![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে খুঁজে পেতে ভালবাসি। ভালবাসি গান , কবিতা , আর গল্পের বইএর পাতায় হারিয়ে যেতে তবে প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটাতে পারলে এ সব তুচ্ছ।
কিছুক্ষণ আগে জন্মদিন চলে গেল,আমার কাছে জন্মদিন মানে “ব্যক্তিগত বৃহত্তম উৎসব” । ছোটবেলা থেকেই যারা মনে রেখে যারা এই দিনে শুভেচ্ছা জানান তারা আমার বড় প্রিয় মানুষ, বড়বেলায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কের রিমাইন্ডার দেওয়ার কারসাজি আমার বড্ড ভাঁওতাবাজি লাগে। তাই কাউকে নতুন করে জানার সুযোগ দেই না। তারপরও যারা মনে রাখে কষ্ট করে, কি যে ভাল লাগে! মনে হয় কত ভালবাসা ছড়িয়ে আছে আমার জন্য। মানুষগুলোর সংখ্যা নেহায়েত কম না।
আমি খুব আবেগী , অনুভূতিগুলো বড় প্রবল। পরম করুণাময়কে অশেষ ধন্যবাদ জীবনের অলিতে গলিতে আমাকে ভালবাসা দিয়ে কদর্য পৃথিবী থেকে আগলে রাখার মানুষের সত্যিকার অর্থেই অভাব নেই। মধ্যবিত্ত পরিবারেও কখনো স্বপ্ন দেখার বাঁধা ছিল না। খুব সহজেই বাবা, মা আর পরিজনদের গর্বের সন্তান হতে পেরেছি। যদিও তাদের আকাঙ্খার সামনে এখনো আমি কিছুই হয়ে উঠতে পারিনি। তবে চেষ্টার ত্রুটি করছি না।
এবার আসি বন্ধুদের কথায়, খুব মন খারাপের মুহূর্তে কবে একা ছিলাম মনে পড়ে না। আমাকে সঙ্গ দিতে গিয়ে কখনো তাদের “দাম্পত্য” জীবনের প্রেমময় সময় বিসর্জন দিতে হয়েছে, কখনো আমার কান্নার ফিরিস্তি শুনতে দুর্বিষহ মেডিকেল জীবনের পরীক্ষার আগের রাতেও সময় বের করতে হয়েছে, সেমিস্টার ফাইনালের আগের রাতে আমাকে বাসায় নিরাপদে পৌঁছে দেবার বন্ধুরাও ছিল পাশে , কতবার আমার জন্য লাঞ্চ প্যাক রেখে দেওয়া কিংবা ঠান্ডা পানির বোতল নিয়ে কারো দাঁড়িয়ে থাকা দেখে চোখ ভিজে গেছে ............। কারো নাম উল্লেখ করে কাউকে ছোট করার ধৃষ্টতা দেখাবো না। আমার বন্ধুভাগ্য বরাবরই ভাল, চমৎকার সব মানুষের মাঝে বেড়ে উঠেছি বলে সহজে নীচু মানসিকতা সহ্য করতে পারি না এখনো। প্রায় বিগত সবগুলো বছরই এমন ছিল , মাঝে কিছু অসামান্য নতুন বন্ধু যোগ হয়েছে। কিছু অতি মেধাবী এবং উঁচুদরের মানুষের খোঁজ পেয়েছি কিন্তু হ্যাঁ, গত দুই বছর জন্মদিন কেটেছে খুব শূণ্যতা নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় পা রাখতে না রাখতে এক অদ্ভুত মানুষের প্রেমে পড়লাম, রীতিমত হোঁচট খেয়ে। শুরুতেই অথবা শুরু হবার আগেই জানতাম সামনে হয়তো কিছুই নেই। তার জীবনে আমার জন্য কোন জায়গা ছিল না। মনে আছে খুব অভিমান নিয়ে একবছর আগে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আমকে কেন সে এড়িয়ে চলে। বিশাল লেকচার দিয়ে “বুঝিয়ে” দিয়েছিল একটা বাচ্চা মেয়ের পাগলামিতে মনোযোগ দেওয়ার বয়স নাকি সে অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছে। আমার জন্মদিনগুলোয় এড়িয়ে যাওয়ার মাত্রাও বেড়ে যেত। এ বছর সেই ভালবাসার মানুষটা দোর্দণ্ড প্রতাপে আমার জন্মদিন আলোকিত করে ছিল আমার পাশে, নিজেকে আর তাকে কয়েকবার চিমটি কেটে দেখেছি সত্যি না স্বপ্ন, সামনে কি হবে এখনো জানি না, কিন্ত এভাবে কখনো কাউকে চাইব বলে মনে হয়না, অন্তত হয়নি কখনো।
এত ভালবাসায় আমার জীবন মুড়িয়ে দেবার জন্য ঈশ্বরকে অশেষ ধন্যবাদ, সুখে দুঃখে এ মানুষগুলোকে নিয়ে পাড়ি দিতে চাই আরো বহুবছর। আমার এবং আমার সব কাছের মানুষগুলোর জন্য দোয়া করবেন সবাই। তাদের হাসিমুখ দেখতে চাই সবসময়।
(১৪/০৯/২০১৪)
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
ইমা সুলতানা চারু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ অভিনন্দন
আর দেরীতে হলেও জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা