![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক কালে স্বপ্ন দেখতে ভালবাসতাম। এখন স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে খুবই বাস্তববাদী মানুষে পরিণত হয়েছি। মেইল করতে পারেন অথবা ইয়াহু মেসেঞ্জারে আমি আছি [email protected]
আজকে লাইফে ফার্স্ট টাইমের মত (অপারেশন থিয়েটার)ওটি তে গেলাম। এর আগে অবশ্য রেগুলার ওয়ার্ডে যাচ্ছি।থার্ড ইয়্যারে থেকে ওয়ার্ড করতে হয় আমাদের। ওয়ার্ডে ভালই লাগছে। প্যাশেণ্টদের হিস্ট্রি নিচ্ছি। রোগীদের সাথে কত কথাই না বলছি।তারাও আমার সাথে তাদের মনের সব কথা বলে যেন আমাকে এই সব রোগীরা কত দিন ধরেই না চেনে। যাই হোক আজকে যে ওটি তে যাব আমাদের আগে থেকেই বলা হয়েছিল। ওটি ড্রেস এবং এক জোড়া স্পঞ্জের স্যান্ডেল নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমার ভিতরে আগের দিন রাত থেকেই কেমন যেন এক ধরণের চাপা উত্তেজনা কাজ করছে। আফটার অল ওটি তে যাচ্ছি। সকালে গেলাম ড্রেসিং রুমে। সেখানে ওটি ড্রেস পড়লাম। ওটি ড্রেস পড়ার পর মনে হল স্যান্ডেল আনতে ভুলে গিয়েছি। এখন কি করব বুজতে পারছিনা। স্যান্ডেল ছাড়া ওটি তে যাওয়া আর তাপস স্যারের ঝাড়ী চোখের সামনে ভাসতে লাগল....আমার ফ্রেণ্ডরা সবাই সারি বেঁধে ওটির দিকে যাচ্ছে। আর আমিও ভয়ে ভয়ে খালি পায়ে তাদের অনুসরণ করতে লাগ্লাম। ওটি তে ঢুকছি আর এমন সময় আমার চোখে এক জোড়া স্যান্ডেল পড়ল। মনে হল যেন সাত রাজার ধন পেলাম। স্যান্ডেলের কোন মালিকানা নেই। ২ টা স্যান্ডেল ২ রঙের। আমি উপায় না দেখে এইগুলা পরে ফেললাম.....ভয়ে ভয়ে ঢুক লাম ওটি তে।ও টি তে কি বিভৎস দৃশ্যই না দেখলাম। এক মহিলার কাটা পা দিয়ে রক্ত আর পুঁজ বের হচ্ছে। সেখানে এক ডাক্তার চিকিৎসা করছে। এদিকে আমাদের গল ব্লাডার অপারেশন দেখান হচ্ছে। তাপস স্যার আমাদের ভাল করে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। সবাইকে বললেন ঠিক ভাবে জুতা পরে আসতে হবে। আমি আমার এক পায়ের জুতা স্যারকে দেখাই আর আরেক পায়ের টা আমার ফ্রেন্ডদের পিছনে আড়াল করে রাখি। যেন স্যার এক সাথে ২ পায়ের জুতা দেখতে না পারে। এই দিকে স্যার ইতমধ্যে ২ জনকে ওটি থেকে বের করে দিয়েছে। আর আমাদের উপর শুধুই ধমকা ধমকি করে ফাঁপড় নিল। স্যার অপারেশন শুরু করে দিল আর আমরা দেখতে লাগলাম ।একজন বৃদ্ধ লোকের গলব্লাডার স্যার কি করে সহজেই ফেলে দিতে লাগলেন। কি নিপুণ স্যারের হাতের কাজ।এত ক্ষণ এই লোকের উপর রাগ হলেও এখন মনে হচ্ছে লোকটা অনেক ভাল কাজ জানে। বৃদ্ধটির পেটে ৪ টা ছিদ্র কর আহল।তারপর স্যার মনিটর দেখে দেখে কি সুন্দর করেই অপারেশন টা করলেন।এমন সময় আমার এক বন্ধু মাথা ঘুরে ফ্লোরে পরে গেল। তাকে নিয়ে আবার টানা টানি করতে হল। আমাদের এক ফ্রেন্ডকে স্যার বল্ল যাও তুমি ওর হিস্ট্রি নিয়ে আস। এইভাবেই কাটল আমার ওটির প্রথম দিন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:২৯
ইমির বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩৫
জর্জিস বলেছেন: আপনার যে বন্ধু মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল তাকে অর্থোঃ ওটিতে দেখে রাখবেন...
০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩০
ইমির বলেছেন: অর্থো ওটি তে কেন ভাই?
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৫
রথে চেপে এলাম বলেছেন: জটিল বলেছেন: পরের দিনগুলোও ভাল কাটুক
০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩০
ইমির বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৪২
লুথা বলেছেন: এজন্যই মেডিকেল এ ভর্তি পরীক্ষাই দেই নাই...ভয় লাগে খুব
০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩২
ইমির বলেছেন: ভাল করেছেন। এখন কোথায় পড়ছেন?
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:২২
একাকী বালক বলেছেন: ছোট বেলায় বাপ ছাড়া আমি ঘুমাইতে পাড়তাম না। বাপে ডাক্তার হবার কারণে অনেক নাইট বাপের লগে আমিও হাসপাতালে কাটাইছি। মাঝে মাঝে রাতে উঠে দেখতাম বাপে নাই। কান্দা শুরু করতাম। নার্সরা আইয়া আদর করত। কামড় , লাথি দিলাম। কি আর করা। দিত ও.টিতে ঢুকায়। সবুজ ড্রেস, মাস্ক পড়া কোনটা যে আমার বাপ ঠিকই বুঝতে পাড়তাম। চুপচাপ বইয়া অপারেশন দেখতাম। কিছুই ভয় পাইতাম না। বাপে ভাবছিল আমি হমু ডাক্তার। যাই নাই এই লাইনে। আমার বোনে রক্ত দেখলেই পইড়া যাইত। বোনে অখন ডাক্তারী করে। হা হা।
জর্জিস বলেছেন: আপনার যে বন্ধু মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল তাকে অর্থোঃ ওটিতে দেখে রাখবেন... >>> অর্থোঃ কি অর্থোপেডিকস? আমার বাপেতো এই লাইনেই। আপনি কি পঙ্গু হাসপাতালের নাকি? হি হি।
০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ইমির বলেছেন: আপনার বাবা কিসের সার্জন?আর আপনি এখন কি করছেন?
৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:২৬
ইচ্ছে বলেছেন: একদম Greys Anatomy এর প্রথম দিককার পর্ব পরলাম মনে হল.....
কিছু মনে করবেন না, আপনাদের (এক জন ডকটর) বিষেশ করে সার্জীকাল ডকটর দের আমার কিছু কিছু সময় প্রায় আল্লাহর মত সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মনে হয়, একজন মানুষ হোক তার জীবন যত তূচ্ছ তা নিয়ে যখন আপনারা ওটিতে কাজ করেন তা যে কতটা সাহসের কাজ তা আমি বলে বোঝাতে পারবনা, কিন্তু সেই আপনারাই যখন সেবাটা কে ব্যাবসা বানিয়ে ফেলেন তখন ঠিক সম পরিমান দূঃক্ষ পাই....
আশা করি পাস করে মানুষের সেবায় কাজ করতে পারবেন....
+++++
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫২
ইমির বলেছেন: আপনার ২য় মন্তব্যটিতে কি বলব বুঝতে পারছি না। বিষয়টা দুঃখ জনক।
ধন্যবাদ আমার জন্যে শুভ কামনা করার জন্যে। দোয়া করবেন যেন আপনার ইচ্ছা পূর্ণ হয়
৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:২৭
অবয়ব বলেছেন: বেশ ভালো লাগল পড়ে। প্রায় তিন বছর আগের আমার প্রথম দিনটার কথাও মনে পড়ে গেল। মাস্ক, ক্যাপ, স্যান্ডেল পরে বেশ ভয়ে ভয়ে ঢুকেছিলাম ওটি তে। মনে হয়েছিল একদম আলাদা একটা দুনিয়া।
এক চাচার হার্ণিয়ার অপারেশন ছিল সেদিন। বেচারা গ্রাম থেকে আসা সাধাসিধা মানুষ। এত সব দেখে ভয়ে ফ্যালফ্যাল করে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল। আমরা গিয়ে তাকে অভয় দিলাম, কিছু হবে না, কোন ব্যাথা পাবেন না, ঠিক হয়ে যাবেন ইত্যাদি।
বেশ সফলভাবেই অপারেশন শেষ হয়েছিল। এখনো মনে হয় যেন কালকের ঘটনা।
০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:০০
ইমির বলেছেন: আসলেই। ভয় লাগে প্রথম প্রথম ।তবে অপারেশনকে না স্যারকে
৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৩৬
একাকী বালক বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার বাবা কিসের সার্জন?আর আপনি এখন কি করছেন? >>> বাপে অর্থোপেডিকসের আর আমি একটা এম.এন.সিতে জোগালী দেই।
১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:২৮
ইমির বলেছেন: এম এন সি তে যোগালি দেই মানে?
১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:১৩
একাকী বালক বলেছেন: লেখক বলেছেন: এম এন সি তে যোগালি দেই মানে? >>> মানে কামলা খাটি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:২৯
জটিল বলেছেন: পরের দিনগুলোও ভাল কাটুক