![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙালি মুসলমানের ভারত বিদ্বেষ
অনেক পুরানো একটা মানসিক রোগ। এটা
ক্রিকেট কিংবা তিস্তার জল অথবা
সীমান্ত দিয়ে চলে আসা ভারতীয়
ফেন্সিডিল পেটে পড়লেই যে মাথায়
চক্কর দেয় তা কিন্তু নয়।
অন্যদের কথা বাদই দিলাম জীবিত
অবস্থায় স্বয়ং শেখ মুজিব ভারতের
দালাল ট্যাগ খেয়েছিলেন!
স্বাধীনতার পর যখন শেখ
মুজিব যখন রাজাকারদের বিচার করার
উদ্যোগ নেন তখন গুজব ছড়ানো হয় যে
আলেম ওলামাদের খুন করার জন্য এবং
ইসলামের ক্ষতি করার জন্য এই বিচার
করা হচ্ছে। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের সময়
এলাকার অধিকাংশ ধার্মিক ব্যক্তিবর্গ
মোসলমানের দেশ পাকিস্তানের পক্ষে
ছিলেন তাই বিচার করতে গেলে দেখা
যায় তা অধিকাংশ সময় এলাকার
আলেমরাও পড়ে যাচ্ছেন।
সূত্র- ক্রাচের কর্ণেল(শাহাদুজ্
জামান)।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ২ নম্বর
সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার,
লায়নহার্ট খালেদ মোশাররফকেও
ভারতের দালাল ট্যাগ খেয়ে প্রাণ
হারাতে হয়েছিল। আমি জানি ভারতের
বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের চলমান এই
মুক্তিযুদ্ধে(!) অংশ নেওয়া এনড্রয়েড
মুক্তিযোদ্ধাদের কয়জন খালেদ
মোশাররফের সম্পর্কে কিছু জানে।
কিংবা আদৌ কোনদিন উনার নাম শুনেছে
কিনা! শহীদ রুমি, ক্র্যাক প্লাটুন এইসব
দূর্ধর্ষ গেরিলা দলগুলো ছিল উনার
হাতে গড়া। দিনরাত খেটে খেটে এরকম
হাজার হাজার হাজার গেরিলা তিনি
তৈরী করে নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের
একদম শুরুর দিকে ২৬শে মার্চ(সেক্টর
ভাগ হয়নি তখনো) প্রাথমিকভাবে
যেসব সেনাসদস্য বেঁচে গিয়েছিলেন
তাঁদের সংঘবদ্ধ করা, প্ল্যান করে
পাকিস্তানিদের আক্রমণের পাল্টা
জবাব দেওয়া এসবকিছুই করেছিলেন এই
অসাধারণ মেধাবী এবং কুশলী
মানুষটি। টানা এক বছর লিখলেও এই
মানুষটার অবদান লিখে শেষ করা যাবে
না। ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে তিনি এক
রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে
ক্ষমতা দখল করলে পাল্টা অভ্যুত্থানে
উনাকে খুন করা হয় এবং সৈনিকদের
উস্কানি দেওয়া হয় যে খালেদ
মোশাররফ ভারতের দালাল। ব্যস লেগে
যায় ফটকা!
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আমাদের
যেকোন স্বাধিকার আন্দোলন যেমন- ৫২
এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান,
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সবসময় পাকিস্তান
অপপ্রচার চালাত যে এসবকিছুই
ভারতের ষড়যন্ত্রে হচ্ছে। এমনি এমনি
কেউ কিছু প্রচার করে না যদি না সেটা
মানুষ গ্রহণ না করে। মানুষ গ্রহণ করত
বলেই পাকিস্তানিরা ভাষা সৈনিক,
মুক্তিযোদ্ধা সবাইকে ভারতের দালাল
ট্যাগ দিত। ভারতের নাম শুনলেই
বাঙালি মুসলমানের পেটব্যথা শুরু
হওয়া বহু পুরানো রোগ। ভারত হিন্দু
অধ্যুষিত দেশ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে
বাঙালি মুসলমানের ঘৃণা অনেক আগে
থেকেই। সেটা বাংলাদেশ স্বাধীন
হওয়ারও আগে যখন তিস্তার জল নিয়ে
সমস্যা হয়নি কিংবা ফেলানি ইস্যুর
জন্ম হয়নি তখন থেকেই। এই বিদ্বেষ
তারা জন্মসূত্রে এবং
পারিবারিকভাবেই পায়। আজকের দিনে
হঠাৎ জন্ম নেওয়া নব্য চেতনাবাদী
যারা ভারত পাকিস্তান এক পাল্লায়
মাপে তারা তো স্রেফ গোলাম আজমের
বাইচ্চা মাত্র।
আর হুমায়ুন আজাদ তো বহু আগেই লিখে
গেছেন,"বাঙালি মুসলমান এটা একটা
রোগের নাম।"
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
কর্পোরেট পাপী বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: "অন্যদের কথা বাদই দিলাম জীবিত
অবস্থায় স্বয়ং শেখ মুজিব ভারতের
দালাল ট্যাগ খেয়েছিলেন!
স্বাধীনতার পর যখন শেখ
মুজিব যখন রাজাকারদের বিচার করার
উদ্যোগ নেন তখন গুজব ছড়ানো হয় যে
আলেম ওলামাদের খুন করার জন্য এবং
ইসলামের ক্ষতি করার জন্য এই বিচার
করা হচ্ছে। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের সময়
এলাকার অধিকাংশ ধার্মিক ব্যক্তিবর্গ
মোসলমানের দেশ পাকিস্তানের পক্ষে
ছিলেন"
আফসোস ! আফসোস এই জাতির
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ভারত বিদ্বেষ বাংলাদেশীদের মনে এমনি এমনি জন্ম নেয়নি। এই প্রজন্ম জন্মের পর থেকেই দেখে আসছে কিভাবে তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, নীতি নৈতিকতা কিভাবে তারা গিলে খাচ্ছে, কাদের প্রশ্রয় পেয়ে একটা পরগাছা টাইপ রাজনৈতিক দল ক্ষমতা কুক্ষিগত রেখে তরুণ প্রজন্মকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে চলেছে।
দোষটা বাঙ্গালীদের মুসল্মানিত্বের উপর চাপিয়ে আর ফায়দা নেওয়া যাবেনা। আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন যে কোন বাঙালি ভারতের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে - এটাই বাস্তবতা।
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
কর্পোরেট পাপী বলেছেন: দাদা পারলে বলেন ভারত কিভাবে আমাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি,
শিক্ষাকে গিলে খাচ্ছে???আর আপনি তো পরগাছা দল বলতে আওয়ামী লীগ কে বুজিয়েছে আপনি যদি বাংলাদেশের ইতিহাস জানতেন তাহলে আওয়ামী লীগ কে পরগাছা না বলে বি।এন।পি কে পরগাছা বলতেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৪
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা । খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম । অনেক অনেক ভালো লাগা