নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এম ই জাভেদ

প্রত্যেক মানুষই প্রতিভা নিয়ে জন্মায়, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা ধরে রাখতে পারেনা

এম ই জাভেদ

গুণীজনেরা বলেন, ব্লগ লেখা মানে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। আমার অনেক মোষ তাড়ানোর ইচ্ছা আছে। সমাজের অসঙ্গতি দেখলে মনটা বিদ্রোহ করতে চায়। উপায় না দেখে তখন মোষ তাড়ানোর চেষ্টা করি। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়। কারন , ব্যস্ততা আমাকে দেয়না অবসর। ব্যস্ততার ফাঁকে চেষ্টা থাকবে ব্লগে সচল থাকার।

এম ই জাভেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেপকোস্টে কুমিরের খামার দর্শন, নাকি শেয়ালের কুমিরছানা প্রদর্শন ?:P

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫২



কাকুম ন্যাশনাল পার্কের রোমাঞ্চকর স্মৃতির জাবর কাটতে না কাটতে আমরা স্বল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে গেলাম কুমিরের খামারে।



এখানেও আমরা যথারীতি গাড়ি এবং মানুষ উভয়ের জন্য টিকেট কাটতে হল। সৌভাগ্যক্রমে দেখলাম টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বে আছেন এক ভদ্র মহিলা। তার কাছ থেকে পুরনো টেকনিক খাটিয়ে টিকেটে কিছু কনসেশন আদায় করা গেল। উনি আবার ইন্ডিয়ানদের খুব ভাল পান। আমাদের প্রথমে ইন্ডিয়ান ভেবেছিলেন তিনি। পরে তার ভুল ভাঙ্গিয়ে বললাম- উই আর পম বাংলাদেশ, নেইবার অফ ইন্ডিয়া। তাতেই তিনি খুশী। আর টিকেটে ছাড় পেয়ে আমরা তো আরও বেশী খুশী। তিনি আমাদের সে কুমিরের খামারটি ঘুরে দেখালেন। খামারে নাকি ৪৫ টার মত কুমির আছে। কিন্তু আমরা ৪/৫ টার বেশি দেখিনি।











শেয়াল আর কুমির ছানার গল্পের মত এ পরিসংখ্যান কিনা কে জানে। এ খামারটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। ওই ভদ্র মহিলাই এদের দেখা শোনা করেন। তিনি কিছু পাউরুটির টুকরো পানিতে ছেড়ে দিলেন।



পাউরুটি খেতে মাছ আসল, আর মাছ ধরতে আসল কুমির। পানিতে কুমিরের দাপাদাপি দেখলাম কিছুক্ষণ। পুকুরটির চারপাশে কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই! খুবই ভয়ানক ব্যাপার।



ভদ্র মহিলা আমাদের বললেন, তোমরা কুমিরের গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে পার। আমি তাকে বুঝালাম, এই ভুল তুমিও করতে যেওনা। এদের কোন বিশ্বাস নেই। কিছুদিন আগে আইভরিকোস্টে কুমিরের এক কেয়ার টেকারকে পানিতে টেনে নিয়ে কীভাবে তাকে খুবলে খেয়েছে কুমিরের দল সে গল্প তাকে শোনালাম।



কিন্তু তিনি তেমন কনভিনসড হলেন বলে মনে হলনা। আমি দিব্য চোখে ভদ্র মহিলার করুণ পরিণতি দেখতে পেলাম। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কখনো ভাল নয়।



খামারের ভেতরে পর্যটকদের জন্য একটা রেস্টুরেন্ট দেখলাম। রেস্টুরেন্টটি রং বেরঙয়ের বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো।







দুনিয়ায় সাজানোর এত কিছু থাকতে জাতীয় পতাকা কেন ব্যাপারটি ঠিক মাথায় ঢুকল না। যেমন মাথায় ঢুকেনি লেকের ঘাটে স্থাপন করা নারী পুরুষের এ মহান দুটি শিল্প কর্মের তাৎপর্য।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩২

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ছবি আসে নাই। তাই আপনার লেখার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলাম না।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

এম ই জাভেদ বলেছেন: এটা সামু ভাইরাসের কারসাজি। আমার কোন দোষ নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.