নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এম ই জাভেদ

প্রত্যেক মানুষই প্রতিভা নিয়ে জন্মায়, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা ধরে রাখতে পারেনা

এম ই জাভেদ

গুণীজনেরা বলেন, ব্লগ লেখা মানে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। আমার অনেক মোষ তাড়ানোর ইচ্ছা আছে। সমাজের অসঙ্গতি দেখলে মনটা বিদ্রোহ করতে চায়। উপায় না দেখে তখন মোষ তাড়ানোর চেষ্টা করি। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়। কারন , ব্যস্ততা আমাকে দেয়না অবসর। ব্যস্ততার ফাঁকে চেষ্টা থাকবে ব্লগে সচল থাকার।

এম ই জাভেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপার সৌন্দর্যের আধার কেপকোস্ট ওয়েসিস বীচে কাটালাম দারুন কিছু মুহূর্ত , সাথে বাজল বিদায়ে র ঘণ্টা ও - গুড বাই গানা :((:((

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০২



আক্রা থেকে সড়ক পথে তিন ঘণ্টার জার্নি শেষে কেপ কষ্টে পৌঁছাতে বিকেল হয়ে গেল।





পেটে তখনো দানা পানি তেমন পড়েনি বিধায় ক্ষিধেয় পেট চোঁ চোঁ করছিল। একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে ড্রাইভারকে বললাম কাছাকাছি একটা ভাল হোটেলে নিয়ে যেতে। ১০ মিনিটের মধ্যে সে আমাদের একটা সুন্দর হোটেলের সামনে নামিয়ে দিল। হোটেলটির নাম ওয়েসিস বীচ।







দেখে শুনে আমরা এখানে থাকাটাই মনঃস্থির করলাম। খাবারের অর্ডার দিয়ে আমি একপলক দেখে নিলাম হোটেলের আশপাশ। এটি সেরকম টিপিক্যাল হোটেলের মত নয়। এক গুচ্ছ সুন্দর কটেজে ঘেরা দারুণ এক অবকাশ যাপন কেন্দ্র। চারিদিকে আছে সিকিউরিটি গার্ডের ২৪ ঘন্টা নজরদারি। বীচ সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা দেওয়ালের বিভিন্ন পয়েন্টে লোহার শিকলে বেঁধে রাখা আছে পোষা কুকুর- এরা হল রাত্রি বেলার অতন্দ্র প্রহরী। মুগ্ধ হওয়ার মত এদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কটেজগুলো ও দেখলাম বেশ বৈচিত্র্যময়। কিছু কাঠের তৈরি, কিছু সম্পূর্ণ পাকা অর্থাৎ ইট - সিমেন্টের, আবার কিছু কটেজ তৈরি করা হয়েছে পাম গাছের ডাল দিয়ে।













তবে সব গুলো কটেজের ছাদে রয়েছে পাতার ছাউনি।





কটেজের আকার আকৃতিতেও আছে ভিন্নতা; গোলাকৃতি থেকে শুরু করে ত্রিকোণাকার , স্কয়ার , ষড়ভুজ সব ধরনের কটেজই এখানে দেখা গেল। আমরা একটা ত্রিকোণাকৃতি কটেজ বেছে নিলাম।







খাবার দাবার পর্ব শেষে সবাই ছুটলাম বীচের উদ্দেশ্যে। বীচটা অবশ্য আমাদের কটেজ থেকে ২০ গজের বেশি দূরে নয়। কিন্তু সূর্যাস্ত দেখার জন্যই এত তাড়াহুড়ো।













ঘানার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এই কেপকোস্ট ওয়েসিস বীচটি আফ্রিকায় আমার এ যাবত পর্যন্ত দেখা বীচ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর। বীচের পাড়ে আছে অতি পূরানো একটা দুর্গ। এর নাম কেপকোস্ট ক্যাসল।



আফ্রিকার বহুল প্রচলিত ক্রীতদাস ব্যবসার আরেকটা স্মৃতি চিহ্ন এটি। ক্যাসলটির কারণে বীচের আকর্ষণ বেড়ে গেছে কয়েক গুণ।





সমুদ্র পথে শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে ক্যাসল থেকে সারি সারি কামান তাক করা আছে অ্যাটলান্টিকের দিকে।





মহাসাগরের তীর ঘেঁষে হাঁটতে শুরু করি। ঢেউয়ের ধাক্কায় ঝিনুকের মত দেখতে এক ধরনের সাদা প্রানি বীচের পাড়ে ভেসে এলো।





একটাকে হাতে নিয়ে দেখলাম , খোলসটা অত শক্ত নয়। আবার দেখি ছোট একটা দাঁত ও আছে মুখে। এমন আজব প্রানি আগে দেখিনি কখনো। বীচের এক স্থানীয় মেয়েকে জিজ্ঞেস করেও এর বংশ পরিচয় উদ্বার করতে পারিনি।





বীচের একপাশে ক্যাসলের এর কাছাকাছি আছে দৃষ্টি নন্দন ছোট বড় বাদামী রঙয়ের পাথরের ঢিবি।





কিছু কিছু ঢিবিতে শৈবাল জমে সবুজাভ রং ধারণ করেছে।





ঢিবির উপর হেঁটে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট কাঁকড়া।





একটু পর পর মহাসাগরের বিশাল বড় বড় সব ঢেউ এসে প্রবল বেগে আছড়ে পড়ছে এ সব পাথুরে ঢিবিতে। ঢেউয়ের আঘাতে লোনা পানি ঢিবি ছাড়িয়ে লাফিয়ে উঠে যাচ্ছে অনেক উপরে। পরক্ষনে আবার তা ঝির ঝির করে ঝরে পড়ছে বৃষ্টির পানির মত; খুবই উপভোগ্য একটি দৃশ্য। এ রকম এক বৃষ্টির পাল্লায় পড়ে আমার শখের ক্যামেরাটি সমুদ্র স্নান সেরেছিল। সাথে সাথে ব্যাটারি খুলে রৌদ্রে শুকিয়ে ব্যবহার করা গেলেও আমাকে হতাশ করে পরের দিন বিগড়ে যায় ক্যামেরাটি। মনের দুঃখে সবুজ পাথরের উপর বসে শোক পালন করলাম কিছুক্ষণ। পাথুরে ঢিবি গুলো খুবই পিচ্ছিল। পা পিছলে পড়ে গেলে মারাত্মক বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ঢিবি পার হয়ে বেশী দূর আর যাওয়া হলনা।





তবে আশেপাশে কিছু মরা মাছ পড়ে থাকতে দেখে বুঝলাম সমুদ্রের ঢেউ পাথরে আছড়ে পড়ার কারনেই মাছদের এ করুন পরিনতি। মাছের জায়গায় নিজের অবস্থা কল্পনা করে সরে আসলাম নিরাপদ দূরত্বে। তথাপি নিজেকে পুরোপুরি বিপদ মুক্ত রাখতে পারিনি। সমুদ্রের অল্প পানিতে হাঁটাহাঁটি করছিলাম আপন মনে। হঠাৎ দেখি প্রচণ্ড আক্রোশে আমার দিকে ধেয়ে আসছে বিরাট এক ঢেউ। এমনিতেই অ্যাটলান্টিকের বেপরোয়া আচরণের জন্য স্থানীয় ডানপিটে ছেলে মেয়ে ছাড়া কাউকে তেমন একটা পানিতে নামতে দেখা যায়না। বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় তাল সামলাতে না পারলে ভেসে যেতে হয় মহাসাগরের অতল গহ্বরে। আমি সম্ভাব্য বিপদ আঁচ করতে পেরে দিলাম ভোঁ দৌড়। ঢেউয়ের ধাক্কা এড়াতে পারলেও পায়ের কাফ মাসলে লাগলো প্রচন্ড টান । ভয়াবহ ব্যথায় মাটিতে বসে পড়লাম। আমার এ ইনজুরি অবশ্য একটু পুরনো। মাস খানেক আগে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে পায়ে চোট লেগেছিল। প্রায় সেরে গিয়েছিল ব্যাথাটা। কিন্তু আজকে আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল খুব। কোনরকম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চললাম কটেজের উদ্দেশ্যে।





বীচ থেকে আমাদের কটেজ গুলি দেখতে দারুণ লাগছিল। নারিকেল গাছে ঘেরা ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট গ্রাম যেন।









এক ঝাঁক উঠতি বয়সী ছেলেদের দেখলাম বীচে ফুটবল খেলছে মহা উদ্যমে। সন্ধ্যার আঁধার নেমে আসলেও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই কারো।





সন্ধ্যার পর সবাই চলে আসলাম হোটেলের সামনের কমপ্লেক্সে। এখানে আছে প্রচুর খাবার দাবার আর পানীয়ের ব্যবস্থা। ডিনার সেরে সমুদ্রের তীরে বসে আলো আঁধারিতে অবলোকন করলাম সমুদ্রের তীব্র গর্জন আর ভয়ানক রাগে ফুঁসে উঠার দৃশ্য। ক্ষণে ক্ষণে মহাসাগরের মৃদু মন্দ বাতাস শরীরে বুলিয়ে দিচ্ছিল হিম শীতল পরশ। এখানে উইক এন্ড গুলি নাকি খুব জমজমাট থাকে। অনেক রাত পর্যন্ত চলে গান বাজনা আর নৃত্য। সন্ধ্যা বেলায় কয়েকজনকে দেখলাম নাচের রিহার্সেল করছে। আমাদের কপাল মন্দ, উইক এন্ডের বিষয়টা মাথায় ছিলনা, তাই দেখা ও হবেনা ঘানার ট্র্যাডিশনাল ড্যান্স।





পরদিন সকালে ভোরে উঠে বীচে চলে গেলাম সূর্যোদয় দেখতে। দূরে আস্তে আস্তে উঁকি দিচ্ছে হলুদ- কমলা রঙয়ের সূর্য। আর মহাসাগরের বক্ষে দাঁড়িয়ে আছে অনেক গুলো রং বেরঙের পাল তোলা নৌকা। মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। আমি কোন চিত্র শিল্পী হলে দারুণ এক স্কেচের প্লট পায়ে যেতাম। কিন্তু সেই মুরোদ নেই বিধায় ধার করা ক্যামেরায় ধারণ করলাম দারুণ কিছু ছবি।





















আজ আমাদের আবিদজান ফেরার পালা। মনটা হঠাৎ বিষণ্ণতায় ছেয়ে গেল। ভালোই তো কাটছিল দিনগুলি। এত দ্রুত কিভাবে যে সময় ফুরিয়ে গেল টের পেলাম না কিছুতেই। মহাজ্ঞানীরা বলেছেন - সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। এই চিরন্তন সত্যটিকে বাস্তবে উপলব্দি করলাম আর একবার। অবশেষে বাস্তবতা মেনে নিয়ে ব্যাগ গোছানোয় মনোনিবেশ করলাম। আমাদের হোটেলের কাছেই আছে ভিক্টোরিয়া পার্ক। বাকি সবাই যখন গাড়ি ভাড়া করতে ব্যস্ত , এই ফাঁকে আমি গেলাম মহারাণী ভিক্টোরিয়ার কাছে বিদায় নিতে।







মহারাণী একটু অভিমান করেছেন বোধ হয়। কারণ বাইরে ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে তাকে সময় দেয়া হয়নি। ভেবেছি হোটেলের কাছেই তো ,পরে যে কোন সময় দেখা যাবে ভাল করে। কিন্তু কবি বলেছেন –



দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

একটি ধানের শীষের উপর

একটি শিশির বিন্দু।



কবির কথা তো আর বিফলে যাবার নয়। তাই কেপকোস্ট ক্যাসল আর ভিক্টোরিয়া পার্ক ভাল করে না দেখতে পারার আফসোস নিয়ে গাড়িতে চড়ে বসলাম। সব মনীষী আর কবিদের কথা আমার ক্ষেত্রে কেন ফলে যায় অক্ষরে অক্ষরে, এ এক বিরাট রহস্য। নাহ, এ ভীষণ অন্যায়।



মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৭

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: খুবই সুন্দর

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১২

এম ই জাভেদ বলেছেন: থ্যাংকু

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৮

আদিম পুরুষ বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। পোস্ট ভালো লাগল।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৪

এম ই জাভেদ বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে আমার ও ভাল লাগল।

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৯

ইমাম হাসান রনি বলেছেন: অনেক ভাল লাগল ছবি দেখে ও লেখা পড়ে । পোষ্টে +++

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ+++

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৬

মহসিন৭১ বলেছেন: পোস্টা ভাল লেগেছে। কিন্তু ঘানায় থাকা নাকি খুব কষ্টকর। আপনি ওখানে কতদিন আছেন?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৬

এম ই জাভেদ বলেছেন: ঘানায় থাকিনা , বেড়াতে গিয়েছি।

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: লেখা ভালো হইসে

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৭

এম ই জাভেদ বলেছেন: আপনার লগে কতা নাই মিয়া। আগের পোষ্টে আমারে চেতাইয়া দিসেন।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

তুহিন মাজহার বলেছেন: জাভেদ ভাই আইভরি কোস্টে মিশন কেমন চলছে?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

এম ই জাভেদ বলেছেন: মিশন তো ভালই চলছে শুনছি।

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৭

আততায়ী০০৬ বলেছেন: লেখা ভালো হইসে

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

এম ই জাভেদ বলেছেন: ছবি ভালা হয় নাইক্কা ?

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩০

হাসান৭৭৭ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আপনি কি মিশনে আছেন নাকি? শুনেছি ওখানের ইদুরের সাইজ বিড়ালের মত। সত্যি নাকি?


ভালো থাকবেন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২০

এম ই জাভেদ বলেছেন: হ্যাঁ , ঐ ইঁদুর এদের প্রিয় খাবার। এর স্থানীয় নাম - আগুতি

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২২

না বলা কথা বলেছেন: জোস।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০০

এম ই জাভেদ বলেছেন: শুইনা হইলাম দিল খুস

১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গানার অপরুপ সাজ
সুন্দর ছবি

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২২

এম ই জাভেদ বলেছেন: পম গানা আসলেই অপরূপ

১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল লাগল ভাই, অনেক সুন্দর করে তুলে এনেছেন আফ্রিকার এই সৈকতের সৌন্দর্য !! :)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

এম ই জাভেদ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, সৌন্দর্য বুঝতে হলে সুন্দর মন লাগে। আপনার সেইটা আছে। :>

১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারন

ভাল লিখলেন

দৃষ্টি আকর্ষণ

বাংলার বুকে মানুষ রূপি হায়নাদের উৎপাত । এর তিব্র প্রতিবাদে সবাই আওয়াজ দিন ।



ধর্ষণ , ইজ্জত লুণ্ঠন , যৌন হয়রানি এবং নির্যাতন করে নির্বিশেষে হত্তা প্রভৃতি ভারত ও প্রাশ্চাত্য অন্যান্য ভবগুরে সমাজের মত আমাদের বাঙ্গালী সমাজেও প্রতিনিয়ত দেখছি এর বিস্তার ।
আমাদের রুখে দাড়াতে হবে ।নয়ত এদেশ এ জাতি আবারও বিষাক্ত কাল থাবায় নেমে আসবে অন্ধকার । মেয়েরা হারাবে তাদের পূর্ণ অধিকার । আসুন সচেতন মহল জানাই আজি তিব্র প্রতিবাদ ,
, চাই উপযুক্ত বিচার , চাই হায়েনা মুক্ত বাংলাদেশ / জানাই ধিক্কার ।

গ্রাম বাংলার সব স্থানে তাই তিব্র প্রতিবাদ জানাই
আসুন সবাই মিলে এ কর্মসূচিকে সফল করি
সত্যর আওয়াজে / বাচতে হলে লড়তে হবে সমাজে ।

লেখক বলেছেন: পশুদের পাশবিকতা

এম জি আর মাসুদ রানা কবি

: হে নরাধম পশু ধিক্কার
কেন এ কুলুসিত জীবন ঐ বোন টার
ধিক আজি মানবতায়
সমাজ বিমুখ আজি এ লজ্জায়

যৌবনের নষ্ট সময়ে
নেমে পথে নাও কার বোনের লজ্জা ছিনিয়ে
নেই কি তোদের বোন
তাদেরকেও ছোবল দিলে গড়িয়ে ।

এই কি মনুষ্যত্ব নষ্ট বিবেক
কেন সমাজে এসে হান আঁধার
ধিক সেই নরাধম পাপিষ্ঠের
হতে হবে উপযুক্ত বিচার ।





বন্ধু অপূর্ণের আহবান

সামুকে ধন্যবাদ জানাই । আশা করি একটা বড় এবং কঠিন প্রতিবাদ হতে যতটুকু সময় লাগে সামু তা দিবে ।

প্রতিবাদ চাই । প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করুন । ভার্চুয়ালি কিংবা রাজপথে । প্রতিবাদ কর্মসূচী ও আপডেট আসলে সাথে সাথেই জানানো হবে । বড় ধরনের একটা প্রতিবাদের আয়োজন করা হচ্ছে । ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদে কাজ হবে না । বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সহযোগীতা কামনা করছি । প্রতিবাদের মূল একদফা দাবী '' ধর্ষকদের ফাঁসী চাই , কোন কথা নাই । '


আমি কবি মাসুদ রানা

***আমার আহবান , তিব্র প্রতিবাদে
আমার সাথে সবাই আওয়াজ দিন
ঢাকার বন্ধুরা মিলে প্রতিবাদ সভা এবং সারা বাংলায় যেন সব স্থানে স্কুল ,কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয় ,মাত্রাসা সহ সকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রিদের মধ্য সাড়া ও সচেতনতা জাগে সেই বিষয়ে সোচ্চার
হওয়ার জন্য আহবান করা গেল , প্রত্যক সচেতন ব্লগারকে এ
বিষয়ে অন্তত একটা করে পোষ্ট লিখে আওয়াজ দিন

সচেতনতা গড়ে উটুক সাহসি চেতনায়
বীর বাঙ্গালির আওয়াজ আসুক রুখে অন্যায় ।।

ধর্ষক দের ফাঁসি চাই ।
বাংলার মাটিতে মেয়েদের নির্যাতন করা
চলবেনা বন্ধ হোক ।



.

আপনার মন্তব্য লিখুন

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

এম ই জাভেদ বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু , শত ভাগ সহমত।

১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

বিজয়ের রাস্তা বলেছেন: It's very nice place.Can u tell me about the cost and how to go there. u have written very nicely.The Allah bless u all the times

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

এম ই জাভেদ বলেছেন: আগে আপনার নিজ অবস্থান জানান। সেটার উপর নির্ভর করবে খরচা পাতি। আমি তো গিয়েছি আইভরিকোস্ট থেকে।

১৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২০

শেরজা তপন বলেছেন: ছবি ও বর্ণনায় আপনার সাথে ঘুরে এলাম কেপকোষ্ট ওয়েসিস বিচে

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ শের জী :D

১৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

জিদনী বলেছেন: ছবি ও বর্ণনায় আপনার সাথে ঘুরে এলাম কেপকোষ্ট ওয়েসিস বিচে

অনেক ভালো লাগলো
ধন্যবাদ আপনাকে
এত সুন্দর কিছু আমাদের সাথে
ভাগ কারার জন্য। :) :) :)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

এম ই জাভেদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ভাল লাগা রেখে গেলাম।

১৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: পম গানা?! দারুন সব ছবি।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

এম ই জাভেদ বলেছেন: ইয়াপ, পম গানা। জলিল ভায়ের দেশ।

১৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

সায়েম মুন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। খুব ভাল লাগলো।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৩

এম ই জাভেদ বলেছেন: মেকসি বোকু সায়েম।

১৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: সুন্দর ছবি , সুন্দর জায়গা।আফ্রিকার প্রকৃতি আমার বেশ ভাল লাগে ।+++

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৫

এম ই জাভেদ বলেছেন: হুমম, আফ্রিকার মানুষ গুলো ছাড়া বাকি সব সুন্দর। এদের অনেকের আচরন উগ্র।

১৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৫

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: অসাধারণ জায়গা। আপনার উছিলায় আমরাও এইসব সুন্দর সুন্দর জায়গা ভ্রমণ করার সুযোগ পাচ্ছি বলে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আগের পোস্টগুলোর ছবি মনে হয় আসতেছেনা। আবার আপলোড করেন ভাই প্লীজ। কৃতদাসের পোস্ট টা আমি মিস করছিলাম। এখন ছবি দেখতে না পেরে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করতেছে।

২০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

এম ই জাভেদ বলেছেন: নতুন কিছু জানলে, দেখলে বা নিজের ভাল লাগা , খারাপ লাগা সব কিছু ব্লগে শেয়ার করে খুব তৃপ্ত হই। নিজেকে অনেক হালকা মনে হয় যখন নিজের অনুভূতি অন্যকে জানাতে পারি, অন্যের অনুভুতি নিজে জানতে পারি। ইদানিং সামু মনে হয় ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। আগের পোস্টের কোন ছবি দেখা যাচ্ছেনা। খুব খারাপ লাগছে এ জন্য । ম ডু কে অভিযোগ করেছি, এ সংক্রান্ত একটা পোস্ট ও দিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তবে আপানার জন্য ব্যাক আপ রেখেছি।


View this link

২১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

এম ই জাভেদ বলেছেন: দুঃখিত লিংকটিও মনে হয় দেখাচ্ছে না।
http://prothom-aloblog.com/posts/62/170837

২২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: জাভেদ ভাই ধন্যবাদ। সুন্দর লাগল ছবিগুলো। সত্যিই ছবি ছাড়া শুধু লেখা পড়ে ভয়াবহতার পুরোটা বুঝা সম্ভব ছিলনা।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২৩

এম ই জাভেদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ , সাথে থাকুন।

২৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭

রবি_জল বলেছেন: ++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৩

এম ই জাভেদ বলেছেন: ধনিয়া পাতা নিন , গুনে গুনে দুই টা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.