নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এম ই জাভেদ

প্রত্যেক মানুষই প্রতিভা নিয়ে জন্মায়, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা ধরে রাখতে পারেনা

এম ই জাভেদ

গুণীজনেরা বলেন, ব্লগ লেখা মানে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। আমার অনেক মোষ তাড়ানোর ইচ্ছা আছে। সমাজের অসঙ্গতি দেখলে মনটা বিদ্রোহ করতে চায়। উপায় না দেখে তখন মোষ তাড়ানোর চেষ্টা করি। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়। কারন , ব্যস্ততা আমাকে দেয়না অবসর। ব্যস্ততার ফাঁকে চেষ্টা থাকবে ব্লগে সচল থাকার।

এম ই জাভেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রানা প্লাজার মৃত্যু কূপের সর্বশেষ আপডেটঃ সময় - ০৮ঃ ৪৫

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০২





সর্বশেষ ঃ



আজ সকাল দশটায় আরও ১৩ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আরও জীবিত ৪ জন উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছেন। মূলত এ চারজনকে উদ্ধার শেষেই শুরু করা হবে দ্বিতীয় পর্বের অর্থাৎ ভারি ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে উদ্ধারের কাজ। সেনাবাহিনী থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, প্রানের স্পন্দন থাকা পর্যন্ত জীবিতদের উদ্ধারে তারা সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছেন । তাই এখন পর্যন্ত ভারী যন্ত্রপাতি সমূহ স্ট্যান্ড বাই রয়েছে।



এ পর্যন্ত ২৪৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভয়াবহ ধ্বংস স্তুপ থেকে এ বিশাল সংখ্যক মানুষকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনা বিশ্ব বাসীর কাছে উদাহরণ হয়েই থাকবে। এটি সম্ভব হয়েছে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী , কমিউনিটি ও রেডক্রিসেন্ট ভলান্টিয়ার এর একদল নিবেদিত প্রান উদ্ধার কর্মীর অকুতোভয় কর্ম তৎপরতার কারনে। বিশেষ করে ভলান্টিয়ারদের নিঃস্বার্থ সেবা উদ্ধার কাজকে অনেক বেশি বেগবান করেছে। তাদের সহায়তা ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলির পক্ষে এত সংখ্যক জীবিত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা সম্ভব হতো না।





সুখবর ঃ



প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক রানা প্লাজার সামনে এসে ঘোষণা দিয়েছেন, র‍্যাবের গোয়েন্দাগণ বেনাপোল এলাকা থেকে রানা কে গ্রেফতার করেছে। তাকে হ্যালিকপ্তারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ঘোষণায় উপস্থিত জনতা আনন্দে হাততালি দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে রানার ফাঁসির দাবিতে শ্লোগান দায় তারা।





(১) এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৭৭।





(২) গতকাল সকাল ৬ টা থেকে আজ সকাল ৬ টা পর্যন্ত মোট ৩০ জনকে জীবিত এবং ২৯ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ রাত দেড়টায় একজন মহিলা কে জীবিত উদ্ধার করে সি এম এইচ এ পাঠানো হয়েছে।





(৩) এখনো ভেতরে জীবিত ৫ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে যাদের উদ্ধার করা বেশ ঝুঁকি পূর্ণ। তাই ফায়ার সার্ভিস, সেনা বাহিনী বিল্ডিঙের উপর থেকে ক্রেন দিয়ে ছাদের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেনা বাহিনী পুরো এলাকায় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে। ভারী যন্ত্রপাতি রেডি করা হচ্ছে।





(৪) বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ পরবর্তী করনীয় ঠিক করতে জরুরী বৈঠকে বসেছেন। অচিরেই হয়ত বিল্ডিং ভাঙ্গার কাজ শুরু হবে।





গতকাল রাতে রানা প্লাজা এলাকার উদ্ধার তৎপরটার কিছু ছবি দেখুন ঃ

















































এন ডি আর টি এর বিশেষজ্ঞ দল কিভাবে লম্বা পাইপের মাথায় সি সি ক্যামেরা লাগিয়ে কম্পিউটারের মনিটরে ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায় তা ফায়ার সার্ভিস ও সেনা বাহিনীর উদ্ধার কর্মীদের দেখাচ্ছেন। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১০০ মিটার নিচে অনুসন্ধান করা সম্ভব।







একজন আহত উদ্ধার কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।



















মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: প্লিজ আর্মি , সার, আপনাদের পায়ে ধরি, ভবন তাড়াহুড়া করে ভেংগে ফেলবেন না

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

এম ই জাভেদ বলেছেন: সেনা বাহিনী অত অবিবেচক নয়। তারা ভেবে চিন্তে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখনো মেসিভ অপারেশন তাই শুরু হয়নি এখনো।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

রানিং ফ্ল্যাশ বলেছেন:

ভেতরে যে আরও ভয়াবহ আহত, অর্ধমৃত ও মৃতরা আছেন তাদের কি ডাষ্ট বা গারবেজ হিসেবে খাদের মধ্যে ফেলে নিশ্চহ্ন করা হবে নাকি সেইসব দেহগুলোকে জনসমুখ্যে প্রকাশ করা হবে ? বা তাদের আত্মিয় সজনদের হস্তান্তরের চেষ্টা করা হবে না কি না ?

'' পুরো এলাকায় নিরাপত্তা বলয় '' বলতে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন ? যেন কোন সাধারন পাবলিক ওইসব কার্যক্রমের আশপাশ যেতে না পারে। এবং এ পর্যন্ত যে সব সেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তিরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টা চালালো তারাও তার থেকে দূরে থাকবে ?

দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। প্রার্থনা রইলো যারা এখনো জীবিত আছে তারা যেন জীবিত থাকতে পারে। আর সেইসব চাপা পড়া লাশগুলোর যেন সঠিক সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

এম ই জাভেদ বলেছেন: গতকাল রাতেও কিছু গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের গন্ধে রানা প্লাজা এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় লাশ সনাক্ত করা অসম্ভব। তবে প্রত্যেক লাশ উদ্ধার করে সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে।

রানা প্লাজা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, যাতে দ্বিতীয় পর্বের উদ্ধার কাজের সময় কোন দুর্ঘটনা বা প্রান হানি না ঘটে।

আমরা সবাই প্রাথ্রনা করি একটাও জীবিত ব্যক্তি যেন ভেতরে আটকা না থাকে।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

সুমন জেবা বলেছেন: প্রার্থনা রইলো যারা এখনো জীবিত আছে তারা যেন জীবিত থাকতে পারে। আর সেইসব চাপা পড়া লাশগুলোর যেন সঠিক সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

এম ই জাভেদ বলেছেন: সহ মত।

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

বইয়ের পোকা বলেছেন: আসুন সবাই একযোগে ষ্ট্যাটাস দেই .

রক্তখাদক রানার পক্ষে যে আইনজীবি আদালতে দাড়াবে তাকেও রানাকে সহযোগিতার অপরাধে দায়ী করা হবে ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

এম ই জাভেদ বলেছেন: ভাই, উকিলদের ব্যাপারে প্রবাদ আছে , জানেন না?

উকিল রা হচ্ছেন সেই ধরনের মানুষ যারা বখশিশ পেলে নিজের পকেট মারকেও নির্দোষ প্রমানের চেষ্টা করে!! এটা তাদের জব পিকিউলারিটি।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

ভাবনার নদী বলেছেন: রানা হচ্ছে সেই পিচাশ যার কারনে শুধু মানুষের মৃত্যুই হয় নাই হাজারো পরিবারের স্বপ্নের ও মৃত্যু হয়েছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

এম ই জাভেদ বলেছেন: এ সব পিচাশদের উপযুক্ত শাস্তির বিধান অত্যাবশ্যক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.