![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুণীজনেরা বলেন, ব্লগ লেখা মানে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। আমার অনেক মোষ তাড়ানোর ইচ্ছা আছে। সমাজের অসঙ্গতি দেখলে মনটা বিদ্রোহ করতে চায়। উপায় না দেখে তখন মোষ তাড়ানোর চেষ্টা করি। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়। কারন , ব্যস্ততা আমাকে দেয়না অবসর। ব্যস্ততার ফাঁকে চেষ্টা থাকবে ব্লগে সচল থাকার।
আইভরিকোস্টের লম্বা ভ্রমণ শেষে সহসা আমার বিদেশ ভ্রমণের কোন প্রকার সম্ভাবনা তৈরি হবে তা কল্পনাও করিনি। কিন্তু কাকতালীয় ভাবে অফিসিয়াল কাজে ভারত ভ্রমনের একটা সুযোগ এ অধমের মিলে যায়। কিন্তু ব্লগের পাঠকগণ এশিয়ার ভ্রমণ কাহিনী পড়তে পড়তে অনেক ত্যক্ত- বিরক্ত আর ক্লান্ত হয়ে পড়েছে – এই ভেবে ব্লগ লেখার সাহস হয়নি অনেকদিন। কিন্তু পরে মনে হল, অন্তত নিজের স্মৃতিচারণ হিসাবে হলেও কিছু লিখে রাখা দরকার। বুড়ো বয়সে ব্লগের পাতা উল্টিয়ে অতীত স্মৃতির রোমন্থনের দারুণ সুযোগটি কিছুতেই হাত ছাড়া করতে মন সায় দিচ্ছিল না। কারন সময়ের স্রোতে মানুষের অতীতের অনেক স্মৃতিই তো বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যায়। তাই সুদীর্ঘ বিরতির পর আজ আবার কি বোর্ডে হাত লাগানোর দূর্বার প্রয়াস। কারো বিরক্তির কারণ হলে নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন।
সময়টা মে মাসের শেষ সপ্তাহ। গ্রীষ্মের তীব্র দহনে প্রান ওষ্ঠাগত। এ সময়টা বিদেশ ভ্রমণের জন্য মোটেও অনুকূল নয়। তারপরও গেলাম, তাও আবার সড়ক পথে! নির্ধারিত দিনে একটা মাইক্রো ভাড়া করে আমরা ৫ জন সাভার থেকে রওনা হলাম বেনাপোলের উদ্দেশ্যে। শুরুতেই বাগড়া দিয়ে বসল সকালের ঝুম বৃষ্টি। নবীনগরের কাছাকাছি এসে দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকলাম প্রায় ঘণ্টা খানেক। কথায় বলে- মর্নিং সোজ দ্য ডে। বুঝতে পারলাম এ ভ্রমণ অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। আমি ও মনে মনে সব রকম মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম। আগেই বলে রাখি আমাদের এ ট্যুর স্পন্সর করেছে একটা প্রাইভেট কোম্পানি। আকাশ পথে ভ্রমণের ব্যবস্থা না করায় মনে মনে তাদেরকে এক দফা অভিসম্পাত দিলাম। বেনাপোল বর্ডারে পৌঁছাতে বিকেল হয়ে গেল। বাংলাদেশ অংশে কাস্টমসের ফরমালিটিজ শেষ করে ঢুকে পড়লাম ভারতে। কাস্টমস অফিসে দাদাদের নাক উঁচু মনোভাব দেখে পিত্তি জ্বলে গেল। আমাদের ব্লু পাসপোর্ট যেন তাদের সহ্য হলনা। এক কাস্টমস অফিসার বলল – তোমাদের সরকার ইদানিং প্রাইমারি স্কুলের টিচারদের ও নীল পাসপোর্ট দিচ্ছে, এটা মোটেও ঠিকনা। আমরা আবার রাগ করি কিনা এজন্য আবার বলল – তোমাদের কথা বলছিনা। এভাবে গনহারে ব্লু পাসপোর্ট দিলে এটার আর কোন মর্যাদা থাকেনা। আমি মনে মনে বললাম- আমাদের সরকার যাকে খুশি লাল, নীল পাসপোর্ট দিক, তাতে তোর এত মাথা ব্যথা কেন। পরে বিষয়টা পরিষ্কার হল। সাধারণ পাসপোর্টধারীদের কাছ থেকে এদের টু পাইস কামানোর স্কোপ থাকলেও অন্যদের ক্ষেত্রে এটা পারা যায়না। তাই তো তার এত মর্ম যাতনা! হায় বিধাতা, মানব সমাজ কি কখনো দুর্নীতির বিষ বাষ্প মুক্ত হবেনা? যাহোক মোটামুটি নির্বিঘ্নে এখানকার ঝামেলা শেষ করে রওনা হলাম কলকাতার উদ্দেশ্যে। আমাদের গন্তব্য হোটেল ডি কে ইন্টার ন্যাশনাল। আরও ঘণ্টা তিনেকের বাস জার্নি করে হোটেলে পৌঁছালাম। শরীর জুড়ে নেমে এল রাজ্যের ক্লান্তি। একটা জম্পেস ঘুম হবে আজ।
পরদিন ভোরে উঠেই আমাদের কলকাতা দর্শনের প্ল্যান করে ফেললাম। বিকেলের ট্রেনেই আমাদের দিল্লী যাওয়ার কথা রয়েছে। হাতে সময় কম, তাই ঝটপট রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম সবাই। প্রথমে গেলাম রবি ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সকাল বেলার কলকাতার স্নিগ্ধ রূপ ভালই লাগছিল। রাস্তার পাশে দেখলাম ছেলে বুড়ো সবাই মিলে সরকারি সাপ্লায়ের পানি দিয়ে প্রাত স্নান করছে।
কিছু কিছু জায়গায় রাস্তার ড্রেনের পাশে মনুষ্য বর্জ্য দৃষ্টি গোছর হল। মনে পড়ল একটি পরিসংখ্যানের কথা- ভারতের ৫০% লোক উন্মুক স্থানে প্রাকৃতিক কর্ম সারে। এটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও এখন বিশ্বাস করতে হল। বাংলাদেশে এর হার ৮% মাত্র। অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তো আর মিছেমিছি বলেননি যে অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। কলকাতায় এসে একটা ব্যাপার বেশ ভাল লাগল , এখানকার সব শ্রেণীর মানুষ একই এক্সেন্টে প্রমিত বাংলায় কথা বলে। ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালের কথা বার বার মনে পড়ে যাচ্ছিল এদের কথোপকথন শুনে। কলকাতার মানুষের কিপ্টেমির অনেক হাস্য রসাত্মক গল্প শুনেছি। যেমন, বাসায় অতিথি এলে তারা নাকি বলে- “ দাদা কি খেয়ে এসেছেন না গিয়ে খাবেন”। “ দাদা আধখানা ডিমের পুরুটাই খেতে হবে কিন্তু”গল্প গুলি সত্যি কিনা জানিনা। তবে চায়ের দোকানে মিনি সাইজের কাপ দেখে কিছুটা ভিরমি খেলাম। এক চুমুকেই সবটুকু চা শেষ!
রবীন্দ্র ভারতীতে এসে হতাশ হতে হল। আমরা একটু বেশি আগেই চলে এসেছি। গেট খুলতে এখনো আধা ঘণ্টা বাকি। গার্ড কিছুতেই ভবনের ভেতরে ঢুকতে দেবেনা। আমরা অনুরোধ করাতে বলল – দাদা আমার চাকরিটা খাবেন দেখছি। আমরা ব্রেক ফাস্ট খেয়ে এসেছি, কাজেই তার চাকরি খাওয়ার কোন ইচ্ছে আমাদের নেই। তাই অগত্যা মূল ভবনে না ঢুকে আসে পাশে ঘুরে দেখে দুধের স্বাদটা ঘোলেই মেটাতে হল।
( চলবে)।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৫
এম ই জাভেদ বলেছেন: জুন আপু, ব্লগে পোস্ট দিয়েই ঈদের লম্বা ছুটিতে গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছি। অন্তর্জালের সাথে কোন যোগাযোগ ছিলনা, তাই জবাব দিতে দেরি হয়ে গেল। দুঃখিত। আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম। বাকি পর্ব লিখতে শুরু করব শীঘ্রই।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭
মেদভেদ বলেছেন: আপনে কি দিপু-সোনামনির কেউ হন নাকি??????????????
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৭
এম ই জাভেদ বলেছেন: নারে ভাই, সে কপাল কি আর আছে? আমি ভাই মেঙ্গো পিপল।
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৭
মুহিব বলেছেন: keep going..........
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৯
এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ মুহিব। অনুপ্রানিত হলাম।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১২
ভারসাম্য বলেছেন: প্লাস। অনুসরনে নিলাম আপ্নেরে।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২১
এম ই জাভেদ বলেছেন: ভাই ভারসাম্য। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আর সবাই অনুসরনে নিক ইহাই এই অধমের কাম্য।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অবশ্যই ++++++++++
ভালো লাগলো!!!!!
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৫
এম ই জাভেদ বলেছেন: অবশ্যই আপনাকে ধন্যবাদ।
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: জাভেদ ভাইকে শুভেচ্ছা
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৬
এম ই জাভেদ বলেছেন: শুভেচ্ছা নিলাম মইনুল ভাই।
৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলুক
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৮
এম ই জাভেদ বলেছেন: বস বলেছেন যখন চলবে মানে ? দৌড়াবে ........
৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমত্কার লেগেছে! ধীরে ধীরে শেয়ার করতে থাকুন! অনুসরণ করলাম আপনাকে! কলকাতা গেলে পকেটে করে চায়ের কাপ নিয়ে যাবো, তুই বেটা দাম নে, চা টা আরাম করে খাই!
শুভকামনা লেখক!
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩১
এম ই জাভেদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আমি এরপর কলকাতা গেলে কাপ নয় ফ্লাস্কে করে চা বানিয়ে নিয়ে যাব।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩১
এম ই জাভেদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আমি এরপর কলকাতা গেলে কাপ নয়, ফ্লাস্কে করে চা বানিয়ে নিয়ে যাব।
৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
ম্যাংগো পিপল বলেছেন: ++++++++++
সাথে আছি চালিয়ে যান।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
এম ই জাভেদ বলেছেন: আমি তো চালাব , কিন্তু আপনি যাচ্ছেন কথায় ?
১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: চালিয়ে যান অনুসরনে থাকলাম ।
অনেক ধন্যবাদ ।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
এম ই জাভেদ বলেছেন: নিপু দা কে ধন্যবাদ অনুসরনে থাকার জন্য।
১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: সাথেই আছি...
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
এম ই জাভেদ বলেছেন: অভিনন্দন আপনাকে , সাথে থাকার জন্য।
১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
েবনিটগ বলেছেন: +
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৩
আম্মানসুরা বলেছেন: ভ্রমণ পছন্দ করি তাই ভ্রমণের গল্প শূনতেও ভালো লাগে
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
এম ই জাভেদ বলেছেন: ভ্রমনের গল্প আমি ও খুব ভালা পাই।
১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১০
রুপ।ই বলেছেন: সাথে আছি ।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
এম ই জাভেদ বলেছেন: আপ্নারা সাথে থাকলে লিখতে ভরসা পাই
১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২০
survivor বলেছেন: চলুক ... ভালই লাগছে। আছি আমরা।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম
১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ভালো লাগা রইল ! চলুক ...
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইল আপনার জন্য
১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: আমি নিজেই খুব ভ্রমন প্রিয় । ভ্রমন খুব উপভোগ করি। চলুক ......
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
এম ই জাভেদ বলেছেন: ঘুরে বেড়াতে আমার বেজায় ভাল লাগে। কিন্তু বিধি বাম, কাজের চাপে ফুরসত পাইনা।
১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৭
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: জুন বলেছেন: চলুক সাথে আছি
+
১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
এম ই জাভেদ বলেছেন: সাথে থাকুন, ফিরে আসছি শীঘ্রই।
১৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: ভালো লিখছেন ,পরের পর্বটা পড়ে আসি ।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
এম ই জাভেদ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা। আশা করি পরবর্তীতে আমার ব্লগে আপনার পদচারনা থাকবে। ভাল থাকবেন।
২০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯
সাজিদ ঢাকা বলেছেন: পোষ্টে ++++++
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০০
জুন বলেছেন: চলুক সাথে আছি
+