নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এম ই জাভেদ

প্রত্যেক মানুষই প্রতিভা নিয়ে জন্মায়, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা ধরে রাখতে পারেনা

এম ই জাভেদ

গুণীজনেরা বলেন, ব্লগ লেখা মানে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। আমার অনেক মোষ তাড়ানোর ইচ্ছা আছে। সমাজের অসঙ্গতি দেখলে মনটা বিদ্রোহ করতে চায়। উপায় না দেখে তখন মোষ তাড়ানোর চেষ্টা করি। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়। কারন , ব্যস্ততা আমাকে দেয়না অবসর। ব্যস্ততার ফাঁকে চেষ্টা থাকবে ব্লগে সচল থাকার।

এম ই জাভেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগ্রার তাজমহল - ভালোবাসার এক অপূর্ব নিদর্শনঃ আট দিনে ভারত দর্শন ( পর্ব - সাত)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২





তাজমহল। ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম( মমতাজ মহল) এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটি নির্মিত হয়েছিল ১৬৩২ - ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দ সময়ের মধ্যে। এই তাজমহল দেখার জন্য বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রত্যহ ভিড় জমায় হাজারো পর্যটক। বর্তমানে তাজমহলে বছরে ২ থেকে ৩ মিলিয়ন পর্যটক আসে যার মধ্যে ২,০০,০০০ পর্যটক বিদেশী। এটি ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। এখানে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসে ঠান্ডা মৌসুম অর্থাৎ নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। আজ আমি নিজেও ইতিহাসের সাক্ষী হতে উপস্থিত হয়ে গেলাম ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন তাজমহল প্রাঙ্গনে।





বায়ূ দূষণকারী যানবাহন তাজমহলের কাছে আসা নিষিদ্ধ। তাই, পর্যটকদের গাড়ি রাখার স্থান থেকে পায়ে হেঁটে, উটের গাড়িতে চড়ে অথবা বৈদ্যুতিক বাসে করে তাজমহলে আসতে হয়।আমরা সেখানে গেলাম উটের পীঠে চড়ে। উটের গাড়িতে করে তাজমহলের বাইরের এলাকা একটু ঘুরে দেখা হল।







বিদেশীদের জন্য তাজমহলে প্রবেশের টিকেটের দাম বেশ চড়া। বাংলাদেশের মত এখানেও গাইড রুপী দালালদের আনাগোনা বেশ লক্ষণীয়। এক দালালকে আমরা গাইড হিসাবে নিয়োগ করলাম। শর্ত ছিল সে ভারতীয় নাগরিকদের টিকেট মূল্যে আমাদের তাজমহলে প্রবেশ করিয়ে দিবে। অনেকের কাছে গল্প শুনেছি তারা নাকি টিকেট চেকারকে ধোঁকা দিয়ে ভারতীয় নাগরিক সেজে সস্তায় তাজমহলে ঢুকেছে কিন্তু আমাদের কপাল মন্দ। টিকেট চেকার ইন্ডিয়ান আই ডি চেয়ে বসল। অগত্যা আবার টিকেট কাটা হল চড়া দামেই। ইতিমধ্যে আমাদের গাইড সাহেব গায়েব হয়ে গেল। তাকে আর খুঁজে পেলাম না। আমি এ এডভেঞ্ছারের পক্ষপাতী ছিলামনা। কিছু রূপি বাঁচাতে গিয়ে অযথাই সময় নষ্ট হল।





হাঁটতে হাঁটতে একটু পরেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম বিশ্বের অন্যতম সপ্তাশ্চার্জের সামনে। আহা, কি যে অনির্বচনীয় অনুভূতিতে আত্মহারা হয়ে গেলাম সেটা বলে বুঝাতে পারবনা। কিছুটা সময় পলকহীন চোখে চেয়ে রইলাম তাজমহলের দিকে।





এরই মধ্যে আরেকজন গাইড জুটে গেল। সে গড় গড় করে বলে যাচ্ছে তাজমহলের খুঁটিনাটি। কিন্তু তার দীর্ঘ বয়ান শুনার মত ধৈর্য তখন ছিলনা আমাদের। এখন একটু জানা যাক তাজমহল সম্পর্কেঃ





তাজমহল মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন। এর নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। যদিও সাদা মার্বেলের গোম্বুজাকৃতি রাজকীয় সমাধীটিই বেশি সমাদৃত, তাজমহল আসলে সামগ্রিকভাবে একটি জটিল অখণ্ড স্থাপত্য। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তখন একে বলা হয়েছিল



"universally admired masterpiece of the world's heritage’’



১৬৩১ খ্রিস্টাব্দে শাহ জাহান তার দ্বিতীয় স্ত্রী মমতাজ মহল-এর মৃত্যুতে প্রচণ্ডভাবে শোকাহত হয়ে পড়েন। মমতাজ মহল তাদের চতুর্দশ কন্যা সন্তান গৌহর বেগমের জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তাজমহলের নির্মাণ কাজ মমতাজের মৃত্যুর খুব শীঘ্রই শুরু হয়। মূল সমাধিটি সম্পূর্ণ হয় ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে এবং এর চারদিকের ইমারত এবং বাগান আরও পাঁচ বছর পরে তৈরি হয়। পূর্ববর্তী মুঘল ইমারতসমূহ তৈরি হয়েছিল লাল বেলে পাথরে। কিন্তু শাহজাহান চালু করেছিলেন সাদা দামি মার্বেল পাথরের প্রচলন।





তাজমহলের সামনের চত্বরে একটি বড় চারবাগ (মুঘল বাগান পূর্বে চার অংশে বিভক্ত থাকতো) করা হয়েছিল। ৩০০ মিটার X ৩০০ মিটার জায়গার বাগানের প্রতি চতুর্থাংশ উচু পথ ব্যবহার করে ভাগগুলোকে ১৬টি ফুলের বাগানে ভাগ করা হয়। মাজার অংশ এবং দরজার মাঝামাঝি আংশে এবং বাগানের মধ্যখানে একটি উঁচু মার্বেল পাথরের পানির চৌবাচ্চা বসানো আছে এবং উত্তর-দক্ষিণে একটি সরল রৈখিক চৌবাচ্চা আছে যাতে তাজমহলের প্রতিফলন দেখা যায়।





এছাড়া বাগানে আরও বেশ কিছু বৃক্ষশোভিত রাস্তা এবং ঝরনা আছে। চারবাগ বাগান ভারতে প্রথম করেছিলেন প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর, যা পারস্যের বাগানের মতন করে নকশা করা হয়েছিল। চারবাগ মানেই এতে স্বর্গের বাগানের প্রতিফলন ঘটবে। প্রায় সব মুঘল চারবাগসমূহ চতুর্ভুজাকৃতির, যার বাগানের মধ্যখানে মাজার বা শিবির থাকে। কিন্তু তাজমহল এ ব্যাপারটিতে অন্যগুলোর থেকে আলাদা, কারণ এর মাজার অংশটি বাগানের মধ্যখানে হওয়ার বদলে বাগানের একপ্রান্তে অবস্থিত। যমুনা নদীটি বাগানের নকশায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল যাতে তা স্বর্গের নদী হিসেবে তা অর্থবহ হয়।



বাগানের বিন্যাস এবং এর স্থাপত্যের বৈশিষ্ট যেমন এর ঝরনা, ইট অথবা মার্বেলের রাস্তা এবং জ্যামিতিক ইটের রেখার ফুলের বিছানা এগুলো হুবুহু সালিমারের মতন এবং এই ক্রম নকশা করেছেন একই প্রকৌশলী, নাম তার আলি মারদান।

পরবর্তীকালে বাগানের গোলাপ, ডেফোডিল, বিভিন্ন ফলের গাছসহ অন্যান্য গাছ-গাছালির অতিপ্রাচুর্যের কথা জানা যায়। মুঘল সম্রাটদের উত্তরোত্তর অবক্ষয়ের সাথে সাথে বাগানেরও অবক্ষয় ঘটে। ইংরেজ শাসনামলে তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণ এর দ্বায়িত্ব ইংরেজরা নেয়, তারা এ প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্যকে পরিবর্তন করে নতুন করে লন্ডনের আনুষ্ঠানিক বাগানের চেহারা দেয়।তাজমহল এর চত্বরটি বেলে পাথরের দুর্গের মত দেয়াল দিয়ে তিন দিক থেকে বেষ্টিত। নদীর দিকের পাশটিতে কোন দেয়াল নাই।





এই দেয়াল বেষ্টনির বাইরে আরও সমাধি রয়েছে যার মধ্যে শাহজাহানের অন্য স্ত্রীদের সমাধি এবং মুমতাজের প্রিয় পরিচারিকাদের একটি বড় সমাধি রয়েছে। এ স্থাপত্যসমূহ প্রধানতঃ লাল বেলে পাথর দ্বারা তৈরি, দেখতে সেসময়কার ছোট আকারের মুঘল সাধারণ সমাধির মতন। ইমারতটির নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে।





তাজমহল তৈরি হয়েছে সারা এশিয়া এবং ভারত থেকে আনা বিভিন্ন উপাদান সামগ্রী দিয়ে। নির্মাণ কাজের সময় ১,০০০ এরও বেশি হাতি ব্যবহার করা হয়েছিল নির্মাণ সামগ্রী বহন করে আনার জন্য। আলো-প্রবাহী অস্বচ্ছ সাদা মার্বেল পাথর( যার নাম ছিল মাখরানা) আনা হয়েছিল রাজস্থান থেকে, ইয়াশ্‌ব্‌- লাল, হলুদ বা বাদামী রঙের মধ্যম মানের পাথর আনা হয়েছেল পাঞ্জাব থেকে। চীন থেকে আনা হয়েছিল ইয়াশ্‌ম্‌- কঠিন, সাদা, সবুজ পাথর এবং স্ফটিক টুকরা। তিব্বত থেকে বৈদূর্য- সবুজ-নীলাভ (ফিরোজা) রঙের রত্ন এবং আফগানিস্তান থেকে নীলকান্তমণি আনা হয়েছিল। নীলমণি(উজ্জ্বল নীল রত্ন) এসেছিল শ্রীলঙ্কা এবং রক্তিমাভাব, খয়েরি বা সাদা রঙের মূল্যবান পাথর এসেছিল আরব থেকে।





এ আটাশ ধরনের মহামূল্যবান পাথর সাদা মার্বেল পাথরেরে উপর বসানো রয়েছে। সাদা মার্বেল পাথর খোদাই করে তাতে এসব রঙ্গিন দামি পাথর বসানোর ডিজাইনটি সম্রাট শাহজাহান সংগ্রহ করেছিলেন ইটালি থেকে। বিশেষ ধরনের এ ডিজাইন তৈরির কাজকে বলা হয় পিয়েট্রা ডিউরা। কথিত আছে তাজমহল নির্মাণের পর এর কারিগরদের আঙ্গুল কেটে নেওয়া হয় যাতে অন্য কেউ দ্বিতীয় তাজমহল নির্মাণ করতে সমর্থ না হয়।





তাজমহলের নির্মাণ খরচ অনুমান করা কঠিন। কিছু সমস্যার কারণে তাজমহল নির্মাণে কত খরচ হয়েছিল তার হিসাবে কিছুটা হেরফের দেখা যায়। তাজমহল নির্মাণে তৎকালীন আনুমানিক ৩২মিলিয়ন রুপি খরচ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু শ্রমিকের খরচ, নির্মাণে যে সময় লেগেছে এবং ভিন্ন অর্থনৈতিক যুগের কারণে এর মূল্য অনেক, তাই একে অমূল্য বলা হয়। ইতিহাস থেকে জানা যায় তাজমহল নির্মাণে ২০,০০০ শ্রমিকের ২২ বছর সময় লেগেছিল।





তাজমহলের নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই শাহ জাহান তাঁর পুত্র আওরঙ্গজেব দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত ও আগ্রার কেল্লায় গৃহবন্দী হন। কথিত আছে, জীবনের বাকী সময়টুকু শাহ জাহান আগ্রার কেল্লার জানালা দিয়ে তাজমহলের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়েই কাটিয়েছিলেন। শাহজাহানের মৃত্যুর পর আওরঙ্গজেব তাঁকে তাজমহলে তাঁর স্ত্রীর পাশে সমাহিত করেন। একমাত্র এ ব্যাপারটিই তাজমহলের নকশার প্রতিসমতা নষ্ট করেছে। ১৯ শতকের শেষ ভাগে তাজমহলের একটি অংশ মেরামতের অভাবে খুব খারাপভাবে নষ্ট হয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের সময় ইংরেজ সৈন্যরা তাজমহলের বিকৃতি সাধন করে আর সরকারী কর্মচারীরা বাটালি দিয়ে তাজমহলের দেয়াল থেকে মূল্যবান ও দামী নীলকান্তমণি খুলে নেয়।





১৯ শতকের শেষ দিকে লর্ড কার্জন তাজমহল পুণঃনির্মাণের একটি বড় প্রকল্প হাতে নেন। প্রকল্পের কাজ ১৯০৮ সালে শেষ হয়। তিনি তাজমহলের ভিতরের মঞ্চে একটি বড় বাতি (যা কায়রো মসজিদে ঝুলানো একটি বাতির অনুকরণে তৈরি করার কথা ছিল কিন্তু তৎকালীন কারিগরেরা ঠিক হুবুহু তৈরি করতে পারেনি ) বসিয়েছিলেন। তখনই বাগানের নকশা পরিবর্তন করে ইংরেজ পার্কের মত করে গড়া হয় যা এখনও রয়েছে।





বিংশ শতাব্দিতে তাজমহলের ভাল রক্ষণাবেক্ষণ হয়। ১৯৪২ সালে যখন জার্মান বিমান বাহিনী এবং পরে জাপানি বিমান বাহিনী দ্বারা আকাশপথে হামলা হয়। তৎকালীন সরকার তখন বিমান আক্রমন থেকে তাজমহল রক্ষার জন্য এর উপর একটি ভারা তৈরি করেছিল। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের সময় তাজমহলকে ভারা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল যাতে তা বিমান চালকদের ভ্রম তৈরি করে।



তাজমহল সম্প্রতি যে হুমকির মুখে পড়েছে তা হল যমুনা নদীর তীরের পরিবেশ দূষণ। সাথে আছে মাথুরাতে তেল পরিশোধনাগারের কারণে সৃষ্ট এসিড বৃষ্টি।







নির্মাণের পর থেকেই তাজমহল বহু পর্যটককে আকর্ষিত করেছে। এমনকি তাজমহলের দক্ষিণ পাশে ছোট শহর তাজ গঞ্জি বা মুমতাজাবাদ আসলে গড়ে তোলা হয়েছিল পর্যটকদের জন্য সরাইখানা ও বাজার তৈরির উদ্দেশ্যে যাতে পর্যটক এবং কারিগরদের চাহিদা পূরণ হয়। ভারতের উত্তর প্রদেশের আয়ের বিরাট অংশ এই তাজমহল থেকেই আসে।







তাজমহল ঘুরে ঘুরে দেখা হল, অনেক কিছু জানা হল। ঘণ্টা দুয়েক তাজমহল প্রাঙ্গনে কাটিয়ে বের হয়ে আসলাম। পাশেই রয়েছে সুভেনিরের শো রুম।









একটু ঢুঁ মারলাম শো পিচের দোকান গুলিতে। ৬০০ রূপি দিয়ে একটা ছোট খাট তাজমহল কিনে নিলাম স্মৃতি স্মারক হিসাবে। কোন এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাজমহল পরিদর্শন কর বলেছিলেন- পৃথিবীর মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত , এক অংশ হল যারা তাজমহল দেখেনি, আর অন্যরা হল তারা যারা তাজমহল দেখেছে। আমি এখন সৌভাগ্যবানদের দলে- ভাবতেই ভাল লাগছে।



শেষ করছি তাজমহল সংক্রান্ত একটি কৌতুক দিয়েঃ





স্ত্রীঃ আমার প্রতি তোমার ভালবাসা কেমন ?

স্বামীঃ সম্রাট শাহজাহানের মত।

স্ত্রীঃ তাহলে তাজমহল বানাচ্ছ না কেন ?

স্বামীঃ জমি কেনা হয়ে গেছে। তুমি মরলেই ওটার নির্মাণ কাজ শুরু হবে। :P



(তথ্য সুত্রঃ উইকিপিডিয়া, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক)



মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ঐতিহাসিক নিদর্শন আগ্রার তাজমহল
যুগ যুগ থাকবে আঁকা স্মৃতির নকশায়
তাদের প্রেম আলেখ্য ছবি হয়ে
দেখাবে আরও কত সূর্যালোক এ ভেসে নয়ন তারায় ।।

সুন্দর ছবি এবং ভ্রমন কথা
পোস্টে ভাললাগা +

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

এম ই জাভেদ বলেছেন: প্রেমের প্রতীক তাজমহল কাছে টানে সকল প্রেম পিয়াসী আদম সন্তানকে । শাহজাহান অমর হয়ে আছেন তার প্রিয়তমা পত্নীর স্মৃতিকে অম্লান রাখার নিমিত্তে নির্মিত দারুন এই সমাধি সৌধটির জন্য।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট !

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ কবি
স্বপ্নবাজ অভি।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭

হৃদ যমুনার জল বলেছেন: ভালো।ভ্রমনের জন্য গাইড লাইন দিলে আরো ভালো লাগবে।কিভাবে যাবো,কেমন খরচ?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

এম ই জাভেদ বলেছেন: আমার গাইড লাইন মনপুতঃ হবেনা আপনার। কারন আমি সবচেয়ে জটিল পথে আগ্রায় গিয়েছি। আমার আগের পর্ব গুলিতে একটু চোখ বুলিয়ে নিলেই বুঝতে পারবেন।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

গুড এন্ড নাইস পোস্ট। বেশ গোছানো পোস্টে একরাশ ভালো লাগা রইল।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

এম ই জাভেদ বলেছেন: আপ্নাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: আমিও রিসেন্টলি তাজমহলে গিয়েছিলাম। কপাল ভাল ছিল তাই ২০ রুপি দিয়ে ঢুকতে পেরেছি। আপনার ছবিব্লগতো বেশ ভালো লাগলোরে ভাই কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে এত ফাঁকা পেলেন কি করে? আমি যখন তাজমহল দেখতে গিয়েছিলাম তখন। চারিদিকে গিজগিজ করছিলো মানুষে। সমস্ত ছবিতে মানুষের কল্লা ঢুকে গেছে। তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

এম ই জাভেদ বলেছেন: ভাই দর্শনীয় স্থান প্রান ভরে দেখতে চাইলে অফ সিজনে যেতে হবে। এটাই চিরাচরিত নিয়ম।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট ...
ছবি গুলো অনেক সুন্দর করে তোলা ... :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। এই প্রথম মনে হয় আমার ব্লগে এলেন।

চা খাবেন না কফি?

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

এম ই জাভেদ বলেছেন: থ্যাংকস ভাই ইরফান।

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ভালো লাগলো । ধন্যবাদ

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে। স্বাগতম আমার ব্লগে।

চা চলবে ?

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: খুব ভাল লাগলো।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কামাল।

ব্লগে স্বাগতম।

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

সািহদা বলেছেন: কৌতুক টা খুব ভালো লাগলো । :) হা হা হা

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

এম ই জাভেদ বলেছেন: ৌতুকটা খুব মজার। ন্যাকা স্ত্রীদের এভাবেই শায়েস্তা করতে হয়।

আমার ব্লগে আপনার আগমনে প্রীত হইলাম।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৫

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: সুন্দর অবশ্যই যাবো :) :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০

এম ই জাভেদ বলেছেন: নিশ্চয়ই।

১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সবচাইতে ভাল হয় আগ্রার এক গ্লাস থান্ডা লাসসি হলে :)
ধন্যবাদ ...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

এম ই জাভেদ বলেছেন: উম ম ম লাচ্ছি !!!!!! আমার খুবই ফেভারিট। কিন্তু বাংলাদেশে আগ্রার লাচ্ছি বানায় কোথায় ? পুরান ঢাকায় ? :-P

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

জীবন যেমন ১২ বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা। ভাল লাগল। এখানে কি পানীয় দেওয়া হয় নাকি

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। সামুতে কবে আইলেন ? আমার ব্লগে সুস্বাগতম । নাহ দেয়া হয়না, এখানে পানীয় কিনে খেতে হয় ।

১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

ড. জেকিল বলেছেন: এইসব পোস্ট পড়লে খালি আফসুস লাগে যাইতে মুঞ্চায়।

পোস্ট অনেক তথ্যপূর্ণ হয়েছে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

এম ই জাভেদ বলেছেন: ভাই জান, জীবনের সব আফসুস মিটাইয়া নেওয়াই ভাল। একটাই তো জীবন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: তাজমহল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনেক কৌতুহল ছিল। আপনার পোস্টটি পড়ে কৌতুহল পূরণ করার সুযোগ পেলাম। দারুন তথ্যবহুল পোস্ট। আমার আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪

এম ই জাভেদ বলেছেন: আপ্নাকেও ধন্যবাদ এবং সু স্বাগতম আমার ব্লগে।
সুযোগ পেলে একবার ঘুরে আসবেন ওখান থেকে।

১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

েবনিটগ বলেছেন: :D

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

এম ই জাভেদ বলেছেন: হাসেন ক্যালা

১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৮

মাহমুদুল হাসান তমাল বলেছেন: ফাউ পরামর্শঃ
বাংলাদেশে আহসানুল্লাহ মনি নামে একজন তাজমহলের রেপ্লিকা তৈরি করেছেন।
যাদের সামর্থ্য নেই তারা এই তাজমহল দেখে দুধের সাধ ঘোলে মেটাতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.