নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এম ই জাভেদ

প্রত্যেক মানুষই প্রতিভা নিয়ে জন্মায়, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা ধরে রাখতে পারেনা

এম ই জাভেদ

গুণীজনেরা বলেন, ব্লগ লেখা মানে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। আমার অনেক মোষ তাড়ানোর ইচ্ছা আছে। সমাজের অসঙ্গতি দেখলে মনটা বিদ্রোহ করতে চায়। উপায় না দেখে তখন মোষ তাড়ানোর চেষ্টা করি। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়। কারন , ব্যস্ততা আমাকে দেয়না অবসর। ব্যস্ততার ফাঁকে চেষ্টা থাকবে ব্লগে সচল থাকার।

এম ই জাভেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আট দিনে ভারত দর্শন - পর্ব আট (শেষ পর্ব)ঃ এম ই জাভেদ

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮



তাজমহল দেখা হয়ে গেলে ভারতের আর কোন পর্যটন স্পটকে তেমন আকর্ষণীয় বলে মনে হয়না। ইংলিশ আর হিন্দী সিনেমা দেখার পর মুভি পাগল মানুষের নিকট বাংলা সিনেমাকে যেমন পানসে মনে হয় বিষয়টা অনেকটা সেরকম। আগ্রা থেকে দিল্লী পৌঁছে সবার মধ্যে তাই কেমন একটা গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করলাম; যেন ট্যুর শেষ! এবার প্যাক আপের পালা। কিন্তু তা কি করে হয়! এখনো তো দিল্লী দর্শন বাকি। দিল্লী জামে মসজিদ, কুতুব মিনার,ইন্ডিয়া গেট, লোটাস ট্যাম্পল আরও কত কি দেখার আছে এ দিল্লী শহরে। কিন্তু আমাদের সুচতুর স্পন্সর হঠাৎ করে টিনের চশমা পরা ভদ্রলোকের মত বিহেভ করা শুরু করল। হায়রে বাঙালি জাতি! বড়ই স্বার্থের কাঙ্গাল আমরা! আমার এই সিরিজ পোস্টের শুরুতেই বলেছি ভারত ভ্রমন আমার জন্য ছিল রথ দেখা এবং কলা বেচা মূলক। যেহেতু রথ দেখা শেষ , তাই কলা বেচায় স্পন্সরের আগ্রহে যথেষ্ট ঘাটতি পরিলক্ষিত হল। এ কারনে সে খরচ বাঁচানোর কিঞ্চিৎ চেষ্টা করছে। অবশ্য আমাদের হাতে সময়ও কম। তাই দিল্লী শহরে এক চক্কর বার্ডস আই ভিউ দেওয়াটা সমীচীন মনে হল। কাল বিলম্ব না করে হোটেলে লাগেজ রেখে আমরা চললাম দিল্লী দর্শনে । ঘুরতে ঘুরতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর বাসভবনের সন্নিকটে মহাত্মা গান্ধীর ঐতিহাসিক ভাস্কর্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ হল। এ স্থান থেকেই গান্ধীজী সম্ভবত তার অহিংস আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান। পি এম প্যালেসের চারিদিকে চক্কর দিয়ে দেখতে দেখতে আমরা পৌঁছে গেলাম ভারতীয় সংসদ ভবন এলাকায়।





এ দিকটার পরিবেশ বেশ ছিম ছাম, সাজানো গোছানো। রাস্তা ঘাট আর দালান কোঠায় রয়েছে বেশ যত্নের ছাপ।



















ইন্ডিয়া গেট পেরিয়ে আমরা চলে এলাম মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি জাদুঘরে। জাদুঘরের ভেতরে প্রবেশ করে মনে স্নিগ্ধ প্রশান্তির পরশ অনুভব করলাম।





এক পলকে টাইম মেশিনে চড়ে ফিরে গেলাম গান্ধী যুগে।



দেওয়ালে টাঙ্গানো দারুন সব আলোক চিত্র , ইতিহাসের ঘটনাপঞ্জীর চুম্বক বর্ণনা আর শিল্পীর নিপুন হাতে ফুটিয়ে তোলা দারুন সব শিল্প কর্মের বদৌলতে গান্ধীজী কর্তৃক সৃষ্ট বিভিন্ন ঐতিহাসিক পটভূমি চোখের সামনে জ্বলজ্বল করতে থাকল । এ যেন শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় ইতিহাস ফিরে পেল নবজীবন। কাঁচের শো কেসের ভেতর কাপড় , কাঠ আর মাটি দিয়ে তৈরি হয়েছে মানব প্রতিকৃতি, বাড়িঘর, আসবাব পত্র, গাছপালা ইত্যাদি। জাদুঘরের এক রুম থেকে অন্য রুম ঘুরে ঘুরে দেখা হল একজন মহান রাজনীতিকের জৌলুসহীন বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন। পাঠক, মহাত্মা গান্ধী জাদুঘরের কাঁচের শো কেসের ভেতর থেকে তুলে আনা একরাশ ইতিহাস শেয়ার করা হল আপনাদের সাথে। ছবিই কথা বলছে, তাই আলাদা ক্যাপশন দেওয়া হল না।



















































































জাদুঘর পরিদর্শন শেষে আবার ফিরে এলাম একবিংশ শতাব্দীতে। এখন ফিরতে হবে হোটেলে। পথে ট্যাক্সি ড্রাইভার আমাদের একটা শপিংমলের সামনে নামিয়ে দিল। টুরিস্টদের ধরে নিয়ে যেতে পারলে ওই মার্কেট থেকে সে বিনিময়ে কিছু বখসিস পায়। তাই আমাদের ইনিয়ে বিনিয়ে বলল, কিছু না কিনলেও আমরা অন্তত যেন দোকানগুলিতে একটু ঢুঁ মেরে যাই ; তাতেই তার পাওনা হয়ে যাবে। মার্কেটে ঢুকে আমি কিছু কেনাকাটা সেরে নিলাম। আবার কবে দিল্লী আসা হয় বা আদৌ আর আসা হবে কিনা কে জানে। বিকাল ৪ টায় আমাদের ধরতে হবে কলকাতাগামী ট্রেন। স্পন্সর এবার আর ভুল করেনি। আগেভাগেই ট্রেনের এ সি টিকেট কেটে রেখেছে।:-*





বিকেলে যথাসময়ে আমরা কলকাতাগামী ট্রেনে চেপে বসলাম। দিল্লীতে দর্শনযোগ্য বাকি পর্যটন স্পটগুলো আর দেখা হয়ে উঠল না। কি আর করা। শেষ পর্যন্ত দিল্লী দর্শন আমার কাছে দিল্লীকা লাড্ডুর আক্ষেপ হয়েই থাকল!!! গুডবাই দিল্লী, গুডবাই ইন্ডিয়া।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

েবনিটগ বলেছেন: +

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০২

এম ই জাভেদ বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ বেনিটগ, আপনি খুব মিতভাষী।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

েবনিটগ বলেছেন: নারে ভাই, ব্যাপারটা টা না, আপনাদের মত বিদগ্ধ লেখকের ব্লগে অনেক গুনিজনের বক্তব্বের মাঝে উলটা পাল্টা কিছু লিকে আমজনতার বিরাগভাজন হবার মত হঠকারিতার পরিচয় দেয়াতা নিতান্তই নির্বুদ্ধিতার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ হবে বলেই আমার সুতীব্র সন্দেহ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

এম ই জাভেদ বলেছেন: :-P :-P :-P :-P :-P :-P :-P :-P :-P

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আজকাল ভারতের নাম শুনলেই কেমন যেন চুলকায় :P

তবে আপনার ভারত দর্শন ভালোই লাগছে।
লাড্ডু তো খাইলাম এইবার কি খাওয়াবেন :D

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

এম ই জাভেদ বলেছেন: apnader cilkanir voyei to ses porbo aste eto deri holo....

dekhlen na hit koto kom

varotiyo laddu khailen.....r kichur asha na kore ebar mukh muchen.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.