নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিজান আহামেদ

কালের সময়

সকলে ভালো থাকুন

কালের সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন চা বিক্রেতা আজিজ বুড়োর কথাঃ

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫১


আমি তখন ক্লাস অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি তো একদিন রবিবার বিকেলে আমি একটু কাজের প্রয়োজনে এক জায়গায়
যাওয়ার পথে দেখি এক বুড়ো চাচা ফ্লাসে করে রং চা বিক্রি করছেন । আমি তাকে ডাক দিয়ে বললাম চাচা আমাকে এককাপ চা দিন । উনি এসে আমাকে এককাপ চা দিলেন আমি চা খেতে খেতে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম চাচা আপনারতো অনেক বয়স হয়েগেছে আপনি এখনো চা বিক্রি করেন কেন ।
আপনার সংসারে বড় ছেলে মেয়ে নাই ।

সেই বুড়ো চাওআলা চাচা আমাকে বললো বাবারে আমার সংসারে দুই ছেলে এক মেয়ে । তো আমি আবার বললাম তারা কি করে উনি আমাকে বললো আমার বড় ছেলে কি যেন বড় একটা ব্যবসা করে আর ছোট ছেলেও একটি ভালো অফিসে চাকরি করে । তাহলে তো চাচা আপনার এই চা বিক্রি না করলেও চলে ।

বুড়ো চাচা আমাকে বললো বাবারে চা বিক্রি না করলে খাবো কি এবং ঘরে এখনো বিবাহ দেওয়ার মতো উপযুক্ত একজন মেয়ে আছে তাকে বিবাহ দিতে হবে ।

কেন আপনার ছেলেরা দিবে । পরে বুড়ো চাচা তার জীবনের কিছু কথা আমার সাথে শেয়ার করলো । সর্ব শেষ লোকটি আমাকে বললো।

হায়রে মানুষ হায়রে তার জীবন হায়রে তার আবার দুনিয়া।
একটা মানুষের জীবনে টাকাই যে সব এই বিষয়টি আমি যখন
ছোট ছিলাম তখন মা বাবা আমাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছেন ।কিন্টু আমি কখনো এতটুক বুঝার চেষ্টা করি নাই ।
যখন বুঝার চেষ্টা নয় শুধু পুড়ো পুড়ি বুঝলাম ও কিছুটা অনূভূতি করলাম তখন আমার এ অনূভূতি ও বুঝার কোন মূল্য বোধ রইলো না কেননা এখন আমি একজন বৃদ্ধ বালক ।যাকে সহজ ভাষায় বলা যায় বয়স্ক ছেলে । আবার অনেকে তোমরা বাবা আছো যারা নিজের আদশ্য বোধটুক হারিয়ে বা ভুলে বয়স্ক বাবা মাকে বুড়ো বুড়ি বলে ডাকো।

আসলে যারা আদশ্যের বাধ ভেঙে আমার মতো বয়ছের মানুষকে বুড়ো ও বয়স্ক ভেবে অবহেলায় ভাসিয়ে দেয় অবহেলার ভেলায় তারা কি কখনো ভেবে দেখেছে তারাও একদিন আমি আজ যে পথের পথ যাত্রী তারাও সেই পথেরই পথ যাত্রী হবেন । তাদেরও বয়স বাড়বে তারাও বুড়ো বুড়ি হবে ।তখন তাদের ছেলে মেয়েও তাদের বুড়ো বুড়ি বলে ডাকবে।

চাওয়ালা আজিজ বুড়ো এ কথাগুলো শুনে আজ আমার একটি গল্পের কথা মনে পরে গেল গল্পটিতে আমাকে সে সময় বুঝানো হয়েছিল একজন ছেলে ও ছেলের বউ তার বাবা মাকে প্রতিদিন একটি মাটি খোড়াতে করে খাবার দিতেন। একদিন সেই ছেলেকে ও ছেলের বউকে তাদের সন্তান জিজ্ঞাসা করলো আচ্ছা বাবা মা তোমরা দাদা ও দাদিকে প্রতিদিন এই মাটির খোড়ায় করে খাবার দেও কেন ।

তো ছেলে ও ছেলের বউ তাদের সন্তানকে বললো তোমার দাদা দাদি বুড়ো হয়েগেছে। আর একজন মানুষ যখন বুড়ো বুড়ি হয় তখন তাদেরকে মাটির খোড়ায় খাবার দেওয়া হয় ।তোমার দাদা ও দাদি বুড়ো বুড়ি হয়েগেছে তাই তাদের এই মাটির খোড়ায় করে খাবার দেওয়া হয় । একদিন সেই বুড়ো বুড়ি মারা গেলেন । তারা মারা যাওয়ার পরে সে মাটির খোড়াটি ভেঙে ফেললো তখন সেই ছেলের সন্তান তার বাবা মাকে বললো এটা কি করলে বাবা মা মাটির খোড়াটি ভেঙে ফেললে ।বাবা মা বললো হ্যা ভেঙে ফেললাম এটার আর এখন কোন প্রয়োজন নেই ।
তখন বাবা মাকে ছেলেটি বললো কেন প্রয়োজন নেই ।বাবা মা ছেলেটিকে বললো তোমার দাদা দাদি বেচে নাই তাই এটার কোন প্রয়োজন নাই ।

সন্তানটি তার বাবা মাকে বললো বাবা মা দাদা দাদি মারা গেলেও তোমরাতো বেচে আছো তোমরাও একদিন বুড়ো বুড়ি হবে আর তখন তোমাদের জন্য এরকম একটি মাটির খোড়া প্রয়োজন আছে ।

মানুষ মাত্রই ভুল আর ভুলতো ভুলই । তবে ভুলের কিছু মাত্রা
আছে । তাই আমরা এরকম কোন ভুল আমাদের বাবা মায়ের সাথে করবো না যা দেখে আমাদের সন্তানেরা শিখবে । আর আমাদের সন্তানদের সেই ভুল শিক্ষার কারনে আমরা তাদের ধারা যেন আঘাত না পাই ।

তাই আসুন কথা দেই বাবা মা বা শশুর শাশুরী সে যে হোক
তারা আমাদের অন্তরে ও মুখে যেন বাবা মাই থাকে কখনো যেন বুড়ো বুড়ি না হয় ।

তাহলে আমরাও আমাদের ছেলে ও ছেলের বউর কাছে এবং মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের কাছে বাবা মা হয়ে থাকবো কখনো বুড়ো বুড়ি হবো না ।


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫২

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১১

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ওরা সন্তানদের কাছে কিছু পাবার প্রত্যাশা না করেই স্নেহ দেয়। ভালবাসা দেয়। আশৈশব নিজে না খেয়ে না খেয়ে সন্তানের ভবিষ্যত নিশ্চিত করে। এ এমন ঋণ যে শোধ করা সম্ভব না। সামান্য একটু খাবার আর যত্ন থেকে যারা বঞ্চিত করে তাদের জন্য করুণা হয়। যার বাবা মা বেঁচে নেই সে জানে এই উষর পৃথিবীতে কেউই নেই যে বাবা মায়ৈর মত অধীর ভাবে সন্তানের সুখ কামনা করে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেটাই বাবা মা কে বৃদ্ধ দেখতে মন চায় না। তারা থাকুক আমাদের কাছে সব সময় তরুন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ কাবা ভাই ।। তবে আপনার মন্তব্যের কোন অর্থ আমি খুজে পেলাম না । কারন আমার পোষ্টে কোথাও কিন্তু লেখা নাই আমাদেের বাবা মাকে তরুন দেখতে ।

আমি শুধু এখানে শুধু বলতে চেয়েছি আমরা এখন অনেকে বৃদ্ধ্য বাবা মাকে বুুড়ো বা বুড়ি বলে ডাকি ।


আসলে যা ঠিক না ।

আপনি একজন কৃৃতপক্ষের মডু সুতারং আপনার কাছে এরকম
কোন মন্তব্য আসা করি নাই ।

যাইহোক আর কিছু বলার নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.