![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এববংং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আজ ৭৯তম জন্মবার্ষিকী । ১৯৩৬ সালের আজকের এই দিনে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান । তার ডাকনাম ছিলল কমল। প্রতি বছরই বিএনপি দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকী জাঁকজমকভাবে পালন করলেও এ বছর রাজনৈতিক প্রতিকূল অবস্থার কারণে সাদামাটাভাবেই পালন করলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন। স্বাধীনতার ঘোষক ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের প্রধান হিসেবে জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষের কাছে প্রথম পরিচিত হলেও পরে তিনি বাংলাদেশের একজন বরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হন। যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশকে রাজনৈতিক ঐকতানে নিয়ে আসা এবং সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর কারণে তিনি আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে আখ্যা পান। তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠনের মধ্যদিয়ে দেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির সূচনা করেছেন। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের নতুন দর্শন উপস্থাপন করেন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়ে দেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে যান।
তার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি দেশের মানুষের প্রিয় দল হিসেবে ৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ ৯১ সালের পঞ্চম সংসদ ও ষষ্ঠ এবং অষ্টম সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অধীনে অনুষ্ঠিত ৮৬ সালের তৃতীয় এবং৮৮ সালের চতুর্থ এবং মহাজোট সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালে ১০ম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।
বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ৭১ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা যেমন বাংলাদেশের দেশের মুক্তিকামী মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছিল একই ভাবে ৭৫ সালে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যখন হুমকির মুখে তখন সিপাহি-জনতার অভ্যূত্থান হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসীন হন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একদলীয় বাকশালের পরিবর্তে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চীনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের সূচনা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশকে নিয়ে সার্ক গঠনের উদ্যোগ তারই।
ওআইসিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর সংহতি জোরদার করার জন্য তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বিএনপি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৮১ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মর্মান্তিকভাবে শাহাদাতবরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে সাহসী অবদানের জন্য স্বাধীনতার পর তৎকালীন সরকার তাকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করে।
জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচি: বিগত বছরগুলোতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালিত হলেও এবার তা হচ্ছে না। দলের সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৭৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বেলা ১১ টায় বিএনপি’র উদ্যোগে শেরেবাংলা নগরস্থ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। পুস্পার্ঘ্য অর্পণ অনুষ্ঠানে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে যথাসময়ে শহীদ জিয়ার মাজারে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়। এছাড়া জন্মদিন উপলক্ষে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করবে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮
কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: তথ্যবহুুুল পোষ্ট