|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
(১) বাদামী বামন নক্ষত্র ও তার উষ্ণ বৃষ্টি

 ডিসকভারি বা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে সুর্যের বিভিন্ন ছবি দেখে আমাদের সবার কমবেশি এমনই ধারণা হবে। সূর্যই আমাদের সকল শক্তির উৎস এবং নক্ষত্রের আকার আকৃতি ও ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের যতটুক ধারণা হয়েছে তার প্রায় সবটাই এসেছে এই সূর্য থেকেই। কিন্তু মজার বিষয় হল এই মহাবিশ্বে নানা ধরণের নক্ষত্র আছে, সূর্য তাদের একটি ধরণ ।
নানান বৈচিত্র্যময় এসব নক্ষত্রদের তাদের প্রকৃতি অনুযায়ী দেয়া হয়েছে নানান নাম। যেমন রঙের ভিত্তিতে আমাদের সূর্য হল গিয়ে হলদে নক্ষত্র (Yellow Star), এটি মাঝারি আকৃতির একটি নক্ষত্র। সূর্যের চাইতে ছোট ভর ও আকৃতির নক্ষত্রদেরকে সাধারণত বামন নক্ষত্র(Dwarf Stars) বলে। এরা সূর্যের তুলনায় অনেক শীতল হওয়াতে এদের রঙ হয় সাদা, লাল কিংবা বাদামী। এমনই এক শীতল বাদামী বামন নক্ষত্র (Brown Dwarf Star)-এর বায়ুমন্ডলে প্যাঁচানো ঝড়ো মেঘ থাকতে পারে বলে জানা গেছে।
নাসার স্প্লিটজার স্পেস টেলিস্কোপ এর পর্যবেক্ষণ থেকে জানা গেছে যে এইসব বাদামী বামনে বৃহষ্পতির বিশাল লাল ছোপ (Great Red Spot)-এর মতই গ্রহের সমান আকৃতির ঝড় এক বা একাধিক ঝড় বয়ে চলতে পারে। 
(২)কৃষ্ণবিবর শুষে নিচ্ছে এক ঘূর্ণয়মান নক্ষত্র

একদল স্পেনীয় বিজ্ঞানী এমন একটি দৈত তন্ত্র (Binary System) আবিষ্কার করেছেন যেখানে আছে একটি প্রচন্ড গতিতে ঘুর্ণয়মান নক্ষত্র আর একটি কৃষ্ণবিবর! এই নক্ষত্রটিকে বলা হয় Be Type নক্ষত্র। যদিও ত্বাত্ত্বিকভাবে এমন নক্ষত্রের অস্তিত্ব রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে এই প্রথম তা খুঁজে পাওয়া গেল। স্পেনের ক্যানারী দ্বিপের অবজারভেটরির দেল রুজ দে লস মুচাচোস (The Observatorio del Roque de los Muchachos) নামক নক্ষত্র পর্যবেক্ষন কেন্দ্রে লিভারপুল অ্যান্ড মার্কেটর নামক টেলিস্কোপের সাহায্যে এই অনুসন্ধান সংঘটিত হয়।
 
  
(৩)মহাবিশ্বের “ঠাণ্ডা নক্ষত্র”
মহাশূন্যে রয়েছে বেশ কয়েক শ্রেণীর নক্ষত্র, যেগুলো আমাদের সৌরজগতের সূর্যের চাইতে বেশ ভিন্ন। এদের মাঝে রয়েছে মূলত আকৃতি উষ্ণতা এবং উজ্জলতার ফারাক। যে নক্ষত্রগুলোর রঙ নীলচে সাদা সেগুলোই সবচাইতে উত্তপ্ত। আবার লাল বা হলদে রঙের নক্ষত্রগুলো উষ্ণতার দিক দিয়ে অনেক পেছনে পড়ে থাকে। এদের মাঝে একটি শ্রেণী হলো Brown Dwarf বা বাদামি দৈত্য নক্ষত্র। এগুলো আসলে নক্ষত্র নাকি গ্রহ এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাঝে জল্পনাকল্পনা বিদ্যমান অনেকদিন ধরেই। এবার খুব নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জানা গেলো অন্যান্য নক্ষত্রের তুলনায় এই বিশাল নক্ষত্রগুলো আসলেই কতটা শীতল।   
(৪)এটা হলো মৃত নক্ষত্র সেরেসের গায়ে এলিয়েনের ছাপ 
 
 
মহাশূন্য মানেই কৌতূহল আর যেন প্রতিদিন নতুন কোনো না কোনো কিছুর আবিষ্কার। আর তা যদি হয় এলিয়েন প্রসঙ্গে, তাহলে তো কথাই নেই!
কোন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে তা জানার জন্য প্রতিনিয়তই মহাশূন্যে পাঠানো হচ্ছে নভোযান। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
গত ২৫ জানুয়ারি নাসা তাদের অভিযাত্রার এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। এদিন তারা ডেথ স্টার প্ল্যানেট সেরেসে নভোযান পাঠায়। এ নভোযানটি প্রায় এক লাখ ৪৭ হাজার মাইল দূর থেকে ছবি তুলে পাঠিয়েছে।
কিন্তু এমন কতশত ছবিই তো আসছে প্রতিনিয়ত। ব্যতিক্রম আর কী! কিন্তু না, ব্যতিক্রম এখানেই যে, এসব ছবিতে সেরেসের গায়ে দেখা গেছে একটি সাদা চিহ্ন। যা এলিয়েনের ছাপ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
নভোযানের তোলা সব হাই ডেফিনেশন ছবিগুলো ৪৩ পিক্সেল চওড়া ও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর আগে ২০০৩ ও ২০০৪ সালে নাসার হাবল টেলিস্কোপ দেড়শ মিলিয়ন মাইল দূর থেকে তুলেছিল এ গ্রহের ছবি। তবে সাম্প্রতিক ছবিগুলো আগের তুলনায় অনেক উন্নত।
নাসার গ্রহ বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক জিম গ্রিন বলেন, আমরা সুবিশাল সৌরজগত সম্পর্কে খুবই কম জানি! তবে এ মিশনকে ধন্যবাদ কারণ, এর জন্যই হয়তো সব রহস্যের অবসান হবে।
সেরেস গ্রহের ওপর রহস্যজনক সাদা দাগটিকে নাসার বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এ দাগটি বরফাচ্ছন্ন অংশের ভেতরকার উজ্জ্বল ঝলকানি হতে পারে।
এ বিষয়ে গবেষণাটির পরিচালক ও প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মার্ক রেইমান বলেন, আমরা নিশ্চিত যে, গ্রহটি অনেক বেশি সূর্যালোক প্রতিফলিত করে। তাই এমন অদ্ভুত দাগ দেখা যেতে পারে। তবে তার বাকি অংশে বরফ ছাড়া আর কী রয়েছে তা এখনো একটি রহস্য। খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে গ্রহটির আরও কিছু ঝকঝকে ছবি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সৌর জগত সম্পর্কে অনেক জানলেও, সেরেস গ্রহ সম্পর্কে তেমন জানি না বললেই চলে।
১৮০১ সালে আবিষ্কৃত হয় সেরেস। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গবেষকরা আবিষ্কার করেন যে, গ্রহটির উপরিপৃষ্ঠ সেকেন্ডে ছয় কেজি পানি নির্গত করে।
অন্যদিকে, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির হার্শেল টেলিস্কোপ দাবি করছে, তারা অতি শিগগিরই গ্রহটির জিসার্স বা বরফ আগ্নেয়গিরি নিয়ে সামনে হাজির হচ্ছে।
সেরেসের কক্ষপথ মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে। এটি বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা ও শনির চাঁদ এনসেলাডাসের চাইতেও আকারে অনেক ছোট।সূত্র  
 ৮ টি
    	৮ টি    	 +৩/-০
    	+৩/-০  ২২ শে মার্চ, ২০১৫  রাত ১২:২৯
২২ শে মার্চ, ২০১৫  রাত ১২:২৯
কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই
২|  ২২ শে মার্চ, ২০১৫  সকাল ৯:৩৬
২২ শে মার্চ, ২০১৫  সকাল ৯:৩৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: তথ্যমূলক পোস্টটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে +++
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ১:০৩
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ১:০৩
কালের সময় বলেছেন: কতদিন আপনি ব্লগ লিখেন না ।আপনার জীবন্ত পোস্টগুলো পড়া হয় না ।
৩|  ২২ শে মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৫:৪৬
২২ শে মার্চ, ২০১৫  বিকাল ৫:৪৬
আবু শাকিল বলেছেন:  জানার পোষ্ট ।
+
প্রিয়তে নিলাম।
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ১:০১
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ১:০১
কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল ভাই ।
৪|  ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ৯:৪০
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ৯:৪০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দারুণ একটা পোস্ট
  ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ১:০০
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ১:০০
কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:০৬
২১ শে মার্চ, ২০১৫  দুপুর ২:০৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: ভাল লাগল। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ++++