![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০৬ সালে নাসা ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির মহাকাশযান পাঠায় 'প্লুটো' গ্রহের দিকে। 'নিউ হরাইজন' নামের ওই মহাকাশযানটি সেই থেকে ছুটে চলেছে 'বামন গ্রহ' প্লুটোর দিকে। আগামী ১৪ জুলাই তারিখে এটি প্লুটোর সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।ওই ঐতিহাসিক দিনটিতে প্লুটোর সবচেয়ে কাছে থেকে ছবি তুলবে স্পেসক্রাফট। এ ছবিগুলো বিখ্যাত হাবল টেলিস্কোপের চেয়ে হাজারো গুন কাছের এবং শতাধিক গুন পরিষ্কার ছবি হবে।প্রায় এক দশক ধরে এ সময়ের অপেক্ষায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আরো কত বিচিত্র তথ্যই না বেরিয়ে আসবে এই গ্রহ সম্পর্কে। তার আগে প্লুটো সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা যা জানেন তার সংক্ষিপ্ত রূপটি আপনিও জেনে নিন।
১। এখন পর্যন্ত জানা মতে প্লুটোর ৫টি উপগ্রহ রয়েছে।
২। সূর্য থেকে গ্রহটির গড় দূরত্ব ৩৭০ কোটি মাইল। যখন পৃথিবী এবং প্লুটো সূর্যের দুইপাশে মুখোমুখি থাকবে, তখন দুই গ্রহের মাঝে দূরত্ব ৪৬৭ কোটি মাইল।
৩। নিজ কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে গ্রহটির ১৪৮ বছর সময় লাগে।
৪। মহাকাশযান 'নিউ হরাইজন' ঘণ্টায় ৩৬ হাজার মাইল বেগে প্লুটোর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটাই সর্বোচ্চগতির স্পেসক্রাফট।
৫। প্লুটোর সবচেয়ে কাছাকাছি লক্ষ্যস্থলে পৌঁছতে এরে ৩ হাজার ৪৬৩ দিন সময় লাগবে।
৬। প্লুটো থেকে ৭ হাজার ৮০০ মাইল দূর পর্যন্ত পৌঁছবে নিউ হরাইজন।
৭। এই স্পেসক্রাফটের গতি বিস্ময়কর। এর তুলনা বুঝতে কিছু তথ্য জেনে নিন। চাঁদে অ্যাপোলো গিয়েছিল ৩ দিনে। নিউ হরাইজন চাঁদে পৌঁছবে মাত্র ৯ ঘণ্টায়। নিউ ইয়র্ক থেকে এটি লস অ্যাঞ্জেলসে পৌঁছবে ৪ মিনিটে।
৮।প্লুটো কাছাকাছি গিয়ে স্পেসক্রাফটটি যে তথ্য দেবে তার মাধ্যমে গ্রহটির বিভিন্ন উপাদান, ভূগোল, ভূ-গর্ভস্থ গঠন, আবহাওয়া ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
৯। শুধু প্লুটোর-ই নয়, এর পাঁচটি উপগ্রহকেও পাশ কাটাবে নিউ হরাইজন। এর উপগ্রহগুলো হলো- স্টিক্স, চারন, নিক্স, হাইড্রা এবং কেরবেরোস।
১০। আমাদের সৌরজগতে সূর্যের সবচেয়ে দূরে থেকে প্লুটোর আবহাওয়া হিম শীতল। অ্যান্টার্কটিকায় সবচেয়ে কম তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছিল মাইনাস ৮৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্লুটোর ভূ-ত্বকের উপরিভাগের তাপমাত্রা মাইনাস ২৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১। স্পেসক্রাফটের পৃথিবী থেকে এতো দূরে থাকবে যে, এদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন হতে ৯ ঘণ্টা সময় লাগবে। পৃথিবী থেকে হরাইজনে কোনো নির্দেশ পাঠালে তা পৌঁছতে সময় লাগবে সাড়ে ৪ ঘণ্টা। সেই অনুযায়ী হরাইজনের ফিরতি তথ্য আসতে আরো সাড়ে ৪ ঘণ্টা সময় ব্যয় হবে।
১২। প্লুটোর এই মিশন শুধু দূরত্বের বিচারে নয়, সময়ের বিচারেও সবার চেয়ে এগিয়ে। মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা কাজে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হয়। ধরুন, আপনি প্লুটো-তে হরাইজন পাঠানোর পরিকল্পনা করলেন। এরপর ৩৭০ কোটি মাইল দূরে যাবে এমন একটি স্পেসক্রাফট নিয়ে গবেষণা এবং তৈরির পেছনে সময় ব্যয় হবে। হরাইজন বানাতে সময় লাগে ৪ বছর। ২০০৬ সালে সেই মহাকাশযান যাত্রা শুরু করেছে এবং প্লুটোর কাছাকাছি পৌঁছতে সময় ব্যয় হয়েছে প্রায় এক যুগের মতো।
১৩। হরাইজনের সফল অভিযানে একটি অংশের সূচনা হবে মাত্র। কুইপার বেল্ট নামের এক ধূমকেতু বেল্ট রয়েছে নেপচুনের পেছনে। সেখানেই প্লুটোর কক্ষপথ। এখানেও হাজার হাজার উপাদান রয়েছে যা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এদের বিষয়ে আরো বহু গবেষণা এখনো বাকি। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
কালের সময় বলেছেন: কষ্ট করে বুঝার জন্য কৃতজ্ঞ থাকলাম ।
২| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আরো এগুবে বিজ্ঞান
১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠে ও মূল্যবান মন্তব্যে । আমরাও চাই আরো দ্রুত এগিয়ে চলুক বিজ্ঞান জগৎ ।
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:০৯
হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: বিজ্ঞান যে এই শতকে কতটা এগুবে আন্দাজ করা মুশকিল। চমৎকার বিজ্ঞান সংবাদ তুলে ধরায় ধন্যবাদ।
১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৯
কালের সময় বলেছেন: সত্যয় আগের তুলনা এখন অনেক এগিয়ে আছে বিজ্ঞান । আমরাও চাই আরো এগিয়ে চলুক বিজ্ঞান জগৎ ।
ধন্যবাদ মূল্যবান মনতব্যে ।
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: প্লুটোর ভর কত? নিশ্চয়ই মংগলের চেয়ে বেশী? এর উপরিভাগের তাপমাত্রা মাইনাস ২৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস!!! মাইনাস ২৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলো পরম শুন্য তাপমাত্রা।
সূর্য থেকে গ্রহটির গড় দূরত্ব ৩৭০ কোটি মাইল। যখন পৃথিবী এবং প্লুটো সূর্যের দুইপাশে মুখোমুখি থাকবে, তখন দুই গ্রহের মাঝে দূরত্ব ৪৬৭ কোটি মাইল।
হিসাবে মনে হয় গন্ডোগোল আছে। কারন সূর্য্যের অন্যপার্শ্বে ৩৭০ কোটি মাইল দূরে প্লুটো মহাশয় থাকলে আর সূর্য্যের এপাশে পৃথিবী গড়ে ১০ কোটি মাইল (৯কোটি ৩০ লক্ষ মাইল) দূরে থাকলে দুই গ্রহের মধ্যে দূরত্ব দাড়ায় ৩৮০ কোটি মাইলের মত।
১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪০
কালের সময় বলেছেন: হুম একবার হিসাব মিলিয়ে দেখতে হবে ।ধন্যবাদ মূল্যবান মনতব্যে ।
৫| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:২৩
৬| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:২৮
ব্লগার মাসুদ বলেছেন: সুন্দর ভালো শেয়ারে ধন্যবাদ ৪র্থ ভালো লাগা রইল ।
৭| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ২:২৯
আমি মিন্টু বলেছেন: দারুন সংবাদ । ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ।
৮| ১৪ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৭:০৭
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: বিজ্ঞান যে এই শতকে কতটা এগুবে আন্দাজ করা মুশকিল। চমৎকার বিজ্ঞান সংবাদ তুলে ধরায় ধন্যবাদ।
৯| ১৪ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫১
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: প্লুটো কোন গ্রহ নয়। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস এজেন্সির দেয়া গ্রহের সংজ্ঞা অনুযায়ী প্লুটো বামন গ্রহের কাতারে পড়ে। সৌরজগতের অন্যান্য বামন গ্রহের মধ্যে আছে সেরেস, এরিস, জুনো আর সেডনা। প্রয়োজন অনুযায়ী পোস্টটি সংশোধনের অনুরোধ রইল।
১০| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৬
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: নিজ কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে গ্রহটির ১৪৮ বছর সময় লাগে--ভুল তথ্য । ২৪৮ বছর হবে ।
ইমরান আশফাকের প্রশ্নের জবাবে, প্লুটোর ভর কখনই মঙ্গলের চেয়ে বেশি নয়। হ্যা প্লুটোর তাপমাত্রা চরম শূণ্যের চেয়ে মাত্র ৩৮ কেলভিন উপরে ।
সূর্য থেকে কত দূরে বা কাছে সেই হিসেবের মাঝে পৃথিবীকে ঢুকানো অর্থহীন। প্লুটোর কক্ষপথ ভীষণ রকমের উপবৃত্তাকার, ১৯৮৯ সালে সেটি পৃথিবী/সূর্যের সবচেয়ে কাছে এসেছিল , তখন প্লুটো ছিল নেপচুনের চাইতে সূর্য/পৃথিবীর কাছে, নেপচুনের কক্ষপথের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল । ইংরেজিতে এই অবস্থানকে Perihelion বলে। ২৪৮ বছর পর আবার সেই নিকটতম অবস্থানে আসার আগ পর্যন্ত দূরে সরে যেতে থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩০
বটের ফল বলেছেন: হুম। বুঝলাম।