নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিজান আহামেদ

কালের সময়

সকলে ভালো থাকুন

কালের সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউসুফ (আঃ) এর জীবনী থেকে নেওয়া

২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৫

ইউসুফ (আঃ) ইহুদি, খ্রিস্ট, এবং ইসলাম ধর্মে স্বীকৃত একজন পয়গম্বর । কোরআন এবং হিব্রু বাইবেলের বর্ণনা মতে তিনি হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর বারো ছেলের মধ্যে হযরত ইউসুফ ১১তম ছেলে । তিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে জানতেন । ইউসুফ নামটি মুসলিম জাতি এবং মধ্যপ্রাচ্যর মধ্যে সাধারণ নামগুলোর একটি নাম । হিব্রু বাইবেল এবং কোরআনের বিভিন্ন স্থানে ইউসুফ (আঃ) নাম উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু শুধু কোরআনের সূরা ইউসুফে তার ঘটনা সম্পূর্ণ ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে ।
হযরত ইউসুফের ঈর্শান্বিত ভাইরা তাকে একটি কাফেলার দলের কাছে কম মূল্যে বিক্রি করে দেয়, পরবর্তিতে তিনি মিশরের বাদশাহর পরে দ্বিতীয় হ্মমতাশালী ব্যক্তি হন । ইয়াকুবের বারপুত্রের মধ্যে প্রথম দশ জন জ্যেষ্টপুত্র । তার প্রথমা স্ত্রী লাইয়্যা বিনতে লাইয়্যানের গর্ভে জন্মলাভ করেন । তার মৃত্যুর পর ইয়াকুব লাইয়্যার ভাগিনী রাহীলকে বিবাহ করেন । রাহীলের গর্ভে দুই পুত্র ইউসুফ এবং বেনজামিন জন্মলাভ করে । তার ছোট ছেলের জন্মের পরে তিনিও মৃত্যুমুখে পতিত হন । হিব্রু বাইবেল মতে তার বার ছেলের নাম হলোঃ
১। রেউবেন বা ইয়াহুদা
২। সিমোন
৩। লেভি
৪। জুদাহ
৫। ডান
৬। নাফতালি
৭। গাড
৮। আশের
৯। ইসশাচার
১০। জেবুলুন
১১। ইউসুফ
১২। বেনজামিন বা বেনইয়ামিন ।


ইউসুফের স্বপ্নের কথাঃ
ইউসুফ ছোট সময় একদিন স্বপ্নে দেখলেন একাদশ নক্ষত্র ও সূর্য এবং চন্দ্র তার প্রতি অবনত অবস্থায় রয়েছে । পরের দিন ইউসুফ তার পিতাকে তার এই স্বপ্নের কথা বললেন । তার স্বপ্নের বাখ্যা হচ্ছে যে এগারোটি নহ্মত্রের অর্থ হচ্ছে ইউসুফের এগারো ভাই সূর্যের অর্থ পিতা এবং চন্দ্রের অর্থ মাতা । তিনি স্বপ্নের বর্ণনা শুনে বুঝতে পারলেন এবং ইউসুফের ভাইদের কাছে তার এই স্বপ্ন বৃত্তান্ত না করার জন্য ইউসুফকে বললেন । কারণ স্বপ্নের তাৎপর্য অনুধাবন করে ভাইরা ইউসুফের প্রতি ঈর্শান্বিত হয়ে তার ক্ষতি করতে পারে ।

ইউসুফকে কূপে নিহ্মেপের ঘটনাঃ
ইয়াকুব ছোট ছেলে হিসেবে ইউসুফ এবং বেনইয়ামিনকে খুব স্নেহ করতেন । এটা হযরত ইউসুফের অন্য ভাইদের ভালো লাগতো না । তারা আস্তে আস্তে ইউসুফের প্রতি বিরক্ত হয়ে ওঠেন । তারা নিজেদের মধ্যে বলতে লাগলোঃ আমাদের তুলনায় আমাদের পিতা ইউসুফ এবং তার অনুজ বেনিয়ামিনকে অধিক ভালবাসেন । অথচ আমরা দশ জন তাদের থেকে বড় হওয়ার কারণে বাড়ির সব কাজকর্ম আমাদের করতে হয় । তাই আমাদের পিতার উচিৎ এ বিষয় অনুধাবন করা এবং আমাদেরকে অধিক মহব্বত করা । কিন্তু তিনি প্রকাশ্যে আমাদের প্রতি অবিচার করে যাচ্ছেন । তাই তোমরা হয় ইউসুফকে হত্যা করব না হয় এমন দূরদেশে নির্বাসিত করব যেখান থেকে সে আর ফিরে আসতে না পারেন । কেউ কেউ মত প্রকাশ করল যে ইউসুফকে হত্যা করতে হবে । আবার কেউ কেউ বলল তাকে কোন অন্ধকূপের গভীরে নিহ্মেপ করা হবে যাতে আমাদের মাঝখান থেকে এই শত্রু দূর হয়ে যায় এবং তখন আমাদের পিতার সমগ্র মনোযোগ আমাদের প্রতি দিবেন । হত্যা বা কূপে নিহ্মেপ করার পরে পরবর্তীকালে মাফ চেয়ে আমরা আবার ভালো লোক হয়ে যাবো ।

ইউসুফকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে তার অন্য ভাইদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয় । একজন বললো ইউসুফকে হত্যা করার প্রয়োজন নাই । যদি কিছু করতেই হয় তাহলে তাকে কূপের গভীরে এমন জায়গায় নিহ্মেপ কর যেখানে সে জীবিত থাকে এবং পথিক যখন কূপে আসবে পানি নিতে তখন তারা তাকে যেন উঠিয়ে নিয়ে যান । এভাবে একদিকে তোমাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়ে যাবে এবং অপরদিকে তকে নিয়ে তোমাদেরকে কোন দূরদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না । হয়ত কোন কাফেলা আসবে তারা স্বয়ং তাকে সাথে করে দূর দূরান্তে পৌঁছে দেবে । এ অভিমত প্রকাশকারী ছিল তাদের বড় ভাই ইয়াহুদা কিংবা রুবীল রেউবেন । একদিন ইউসুফের ভাইয়েরা তার পিতা ইয়াকুবকে বলল আমরা জানি আপনি ইউসুফ সম্পর্কে আমাদের প্রতি আস্তা রাখেন না কেন অথচ আমরা তার পুরোপুরি কাছের মানুষ এবং আমরা সবসময় তার দেখাশুনা করি । আগামীকাল আপনি তাকে আমাদের সাথে ভ্রমণে পাঠিয়ে দিন । যাতে সেও আমাদের মত স্বাধীনভাবে পানাহার এবং খেলাধুলা করতে পারে । আমরা সবাই তার পুরোপুরি দেখাশোনা করব । তখন ইয়াকুব বললেন তাকে প্রেরণ করা আমি দু'কারণে পছন্দ করি না । প্রথমত ইউসুফ আমার দুই নয়নের মণি, দ্বিতীয়ত কারন তোমাদের অসাবধানতার কারণে তাকে বাঘে খেয়ে ফেলতে পারে । ভাইয়েরা পিতা ইয়াকুবের কথা শুনে পিতাকে বলল আপনি আমাদের ছোট ভাই ইউসুফের জন্য ভয় পাবেন না । আমাদের দশ জনের শক্তিশালী দল তার দেখাশোনা করবে । আমরা সবাই থাকা সত্ত্বেও যদি বাঘেই তাকে খেয়ে ফেলে তাহলে আমাদের শক্তিশালী দল নিষ্ফল হয়ে যাবে । তাহলে আমাদের দ্বারা কোন কাজের আশা করা যেতে পারে ? ইয়াকুব একথা প্রকাশ করলেন না যে আমি স্বয়ং তোমাদের পহ্ম থেকেই আশাঙ্কা করি ।অবশেষে ইয়াকুব তাদের অনুমতি দিয়ে দিলেন ইউসুফকে সাথে নেওয়ার জন্য । কিন্তু ইয়াকুব তার অন্য সব ছেলেদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে নিলেন যাতে ইউসুফের কোন কষ্ট না হয় । ভাইয়েরা পিতার সামনে ইউসুফকে কাঁধে তুলে নিল এবং পালাক্রমে সবাই উঠালেন । কিছুদূর পর্যন্ত ইয়াকুবও তাদেরকে বিদায় দেয়ার জন্য গেলেন । তারা যখন ইয়াকুবের দৃষ্টির আড়ালে চলে গেলেন তখন ইউসুফ যে ভাইয়ের কাঁধে ছিলেন সে তাকে মাটিতে ফেলে দিলেন । এক পর্যায়ে তার ভাইরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউসুফকে কূপের গভীরে নিহ্মেপ করতে সবাই ঐকমত্যে প্রকাশ করলেন ।

যখন ওরা তাকে কূপে নিহ্মেপ করতে লাগলেন তখন ইউসুফ কূপের প্রচীর জড়িয়ে ধরলেন । ভাইয়েরা তার জামা খুলে তার দুইহাত বেঁধে দিলেন । তখন ইউসুফ পুনরায় তাদের কাছে দয়া ভিহ্মা চাইলেন । তখন তারা তাকে বলল যে এগারটি নক্ষত্র তোমার সামনে অবনত দেখেছ তাদেরকে ডাক । তারাই তোমাকে সাহায্য করবে । অতঃপর একটি বালতিতে রেখে তাকে কূপে নামাতে লাগলো । মাঝপথে যেতেই উপর থেকে রশি কেটে দিলেন । পানিতে পড়ার কারণে ইউসুফ কোন আঘাত পেলোনা । তিনি কূপের ভিতর নিকটেই একখন্ড প্রস্তর দেখলেন । তিনি তার উপর গিয়ে বসলেন । ইউসুফ তিন দিন পর্যন্ত কূপে অবস্থান করেছিলেন । তার ভাই ইয়াহুদা প্রতেকদিন গোপনে তার জন্য কিছু খাদ্য আনত এবং বালতির সাহায্যে তার কাছে পৌঁছে দিত ।
সন্ধ্যাবেলায় ইউসুফের ভাইয়েরা কাদঁতে কাদঁতে পিতার নিকট গেল । ইয়াকুব জিজ্ঞেস করলেন ব্যাপার কি ? তোমাদের ছাগলপালের উপর কেউ আক্রমণ করেনি তো ? ইউসুফ কোথায় ? তখন ভাইয়েরা ইয়াকুবকে বলল আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা খেলছিলাম এবং ইউসুফকে আসবারপত্রের কাছে রেখে গিয়েছিলাম । ইতিমধ্যে বাঘ এসে ইউসুফকে খেয়ে ফেলেছে । আমরা সত্য বলছি কিন্তু আপনি তো আমাদের কথা বিশ্বাস করবেন না । ইউসুফের ভাইয়েরা তার জামায় কৃত্রিম রক্ত লাগিয়ে এনেছিল যাতে পিতার মনে বিশ্বাস জন্মাতে পারে যে বাঘই তাকে খেয়ে ফেলেছে । কিন্তু তাদের মিথ্যা ফাস করে দেয়ার জন্য তাদেরকে একটি জরুরী বিষয় ভুলিয়ে দিয়েছিল । তারা যদি রক্ত লাগানোর সাথে সাথে জামাটিও ছিন্ন বিছিন্ন করে দিত তবে ইউসুফকে বাঘে খাওয়ার কথাটা বিশ্বাসযোগ্য হতো । এভাবে ইয়াকুবের কাছে তাদের জালিয়াতি ফাস হয়ে গেল । তিনি বললেন ইউসুফকে বাঘে খায়নি ববং তোমরা মিথ্যা কথা বলছো ।

কাফেলার ঘটনাঃ
এ কাফেলা সিরিয়া থেকে মিশর যাচ্ছিল । তারা পানির সংগ্রহ করার জন্য কূপে গেলেন । কাফেলার নাম ছিল মালেক ইবনে দো বর । তিনি ওই কূপে পৌঁছলেন এবং কূপের নিচে বালতি নিহ্মেপ করলেন । ইউসুফ তখন বালতির রশি শক্ত করে ধরলেন । পানির পরিবর্তে বালতির সাথে ইউসুফ উঠে আসলেন । কাফেলার লোকেরা ইউসুফকে বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিলেন । কাফেলার লোকেরা তাকে মিশর নিয়ে যাওয়ার পর বিক্রয়ের কথা ঘোষণা করতেই ক্রেতারা প্রতিযোগিতামূলকভাবে দাম বলতে লাগল । শেষ পর্যন্ত ইউসুফের ওজনের সমান স্বর্ণ সমপরিমাণ মৃগণাভি এবং সমপরিমাণ রেশমী বস্ত্র দাম সাব্যস্ত হয়ে গেল । আবার কোথাও বলা হয়েছে ইউসুফকে তার ভাইরা ইসমাঈলীদের এক কাফেলার কাছে ২০ রৌপ্য মুদ্রার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয় এবং তারা ইউসুফকে মিশরে নিয়ে যান । যে ব্যক্তি ইউসুফকে ক্রয় করেছিলেন তিনি ছিলেন মিশরের অর্থমন্ত্রী অথবা ফেরাউনের পাহারাদার । তখন মিশরের ফেরাউনের ছিলেন আমালেকা জাতির জনৈক ব্যক্তি রাইয়ান ইবনে ওসায়দ । তিনি পরবর্তীকালে ইউসুফের ধর্ম গ্রহণ করেন । ক্রেতা আযীযে মিশরের কিতফীর স্ত্রীর নাম ছিল রাঈল কিংবা যুলায়খা । আযীযে মিশরে তার স্ত্রীকে নির্দেশ দিলেন ইউসুফকে বসবাসের ভালো জায়গা দাও ক্রীতদাসের মত রেখো না এবং তার প্রয়োজনাদির সুবন্দোবস্ত কর ।

ইউসুফের যৌবনের ঘটনাঃ
ইউসুফ যখন পূর্ণ শক্তি এবং যৌবনে পদার্পণ করলেন তখন প্রজ্ঞা ও বুৎপত্তি হলো । তখন ইউসুফ আযীযে মিশরের বাসায় থাকতো । ইউসুফের আকর্ষণীয় চেহারা এবং তার নম্র ব্যবহারে ক্রমেই যুলায়খা মুগ্ধ হয়ে উঠতে লাগলো । যুলায়খা ইউসুফের প্রকৃতি প্রেমাসক্ত হয়ে পড়ল এবং যুলায়াখার মনে ইউসুফের সাথে কুবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে তাকে ফুসলাতে লাগল । একদিন যুলায়খা ইউসুফকে এক কামরায় আটক করে তার মনের ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন । কিন্তু ইউসুফ দৃঢ়তার সাথে তা প্রত্যাখ্যান করেন । ইউসুফ যখন বাইরে যাওয়ার জন্য দরজার দিকে গেলেন তখন যুলায়খা তার জামা ধরে বাইরে যেতে বাধা দিলেন তার জন্য ইউসুফের জামা পেছনের দিক থেকে ছিড়ে যায় । ইউসুফ দরজার বাইরে চলে গেলেন এবং তার পিছনে পিছনে যুলায়খাও গেল । উভয় দরজার বাইরে যেতেয়েই তাদের দুইজনকে আযীযে মিশর তার সামনে দেখতে পান ।
আযীযে মিশরের স্ত্রী যুলায়খা তাকে দেখে চমকে উঠল এবং ইউসুফ কিছু বলার আগেই যুলায়খা ইউসুফের প্রতি দোষ আরোপ করলো যে এবং যুলায়খা আযীযে মিশরকে বললেন ইউসুফ তার বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে তাই তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হোক বা অন্য কোন কঠিন শাস্তি দেয়া জন্য । ইউসুফ নিজেকে নির্দোষ দাবী করে আযীযে মিশরকে বললেন যুলায়খা মিথ্যা বলছে সেই অনেক দিন যাবত আমার সাথে কুবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে আমাকে ফুসলাতে ছিল । কিন্তু আমি কখনই তাকে প্রশ্রয় দেইনি । আযীযে মিশরের পহ্মে কে সত্য বলছে আর কে মিথ্যা বলছে তা বুঝা কঠিন হয়ে পড়ল । তাই আযীযে মিশর বললেন যদি ইউসুফের জামা পিছনের দিকে ছেড়ে থাকে তাহলে প্রমান হবে সে নিশ্চয়ই পালাবার চেষ্টা করেছিল । তাহলে ইউসুফ সত্য বলছে আর তুমি মিথ্যা বলছো । আর যদি ইউসুফের জামা সামনের দিকে ছেড়ে থাকে তাহলে ইউসুফ মিথ্যা বলছে আর তুমি সত্য বলছো । আযীযে মিশর যখন দেখল যে ইউসুফের জামা পিছনের দিকই ছেড়া সে তখন নিশ্চিত হলো যে যুলায়খা মিথ্যা বলছে ।
আযীযে মিশরের ইউসুফকে এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্যে ইউসুফকে অনুরোধ করলেন । কিন্তু ঘটনাটি সবাই জেনে গেল । সাধারণ মানুষ যুলায়খাকেই এই ব্যাপারে অপরাধী মনে করতে থাকলো এবং লোকমুখে যুলায়খার সমালোচনা নগরব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে । যুলায়খা যখন মিসরের নারীদের সমালোচনা শুনলো তখন সে তাদেরকে এক ভোজসভার জন্য আমন্ত্রণ করলো । যখন তারা সেখানে উপস্থিত হন তাদের সামনে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য এবং ফল দেওয়া হলো । সকলকে ফল কাটার জন্য একটি ছুরিও দেওয়া হলো । মহিলারা যখন ছুরি দিয়ে ফল কেটে খাচ্ছিলেন তখন ইউসুফকে তাদের সামনে উপস্থিত করা হল । ইউসুফের সৌন্দর্য দেখে নিজেদের অজান্তেই সবাই ফলের পরিবর্তে নিজেদের হাত কেটে ফেললেন । তখন যুলায়খা তাদেরকে বলল দেখ এই সে যার জন্য তোমরা আমার সমালোচনা করেছ । কাজেই আশা করি এরপর থেকে আর আমারে নিন্দা এবং সমালোচনা করবে না । সে এটাও বলল ইউসুফ যেহেতু আমার কথা অবমাননা করেছে এজন্য তাকে অবশ্যই কারাভোগ করতে হবে । যুলায়খার প্ররোচনায় আযীযে মিশরের তাকে কারাগারে পাঠালেন ।

ইউসুফের কারাগারের ঘটনাঃ
ইউসুফ যখন কারাগারে প্রবেশ করলেন তখন তার সাথে আরও দুইজন কয়েদীও কারাগারে প্রবেশ করলেন । তাদের একজন বাদশাহকে মদ্যপান করাত এবং অপরজন বাদশাহের বাবুর্চি ছিলেন । তাদের উভয়কে বাদশাহের খাদ্যে বিষ মিশ্রিত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ।
একদিন তারা বলল আমরা আপনার কাছে আমাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চাই । তাদের একজন যে বাদশাহকে মদ্যপান করাত সে বলল আমি স্বপ্নে দেখলাম আঙ্গুর থেকে শরাব বের করছি । এবং দ্বিতীয় জন যে বাদশাহর বাবুর্চি ছিল সে বলল আমি স্বপ্নে দেখলাম আমার মাথায় রুটিভর্তি একটি ঝুড়ি রয়েছে । তা থেকে পাখিরা ঠুকরে ঠুকরে আহার করছে । ইউসুফ তাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিলেন তোমাদের একজন মুক্তি পাবে এবং চাকুরীতে পুনর্বহাল থাকবে । অপর জন অপরাধ প্রমাণিত হবে এবং তাকে শূলে চড়ানো হবে । পাখিরা তার মাথার মগজ ঠুকরে খাবে ।
যে ব্যক্তি মুক্তি পাবে বলে ইউসুফের ধারণা ছিল তাকে বললেন যখন তুমি মুক্তি পাবে এবং বাদশাহর চাকুরীতে পুনর্বহাল হবে তখন বাদশাহর কাছে আমার বিষয়ে আলোচনা করো । কিন্তু কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ওই ব্যক্তি ইউসুফের কথা ভুলে গেলেন ৷ ফলে ইউসুফকে সাতটি বছর কারাগারে থাকতে হয় ৷


ইউসুফের মুক্তিঃ
একদিন বাদশাহ বললো আমি আজ স্বপ্নে দেখলাম সাতটি মোটাতাজা গাভী । এগুলোকেই অন্য সাতটি শীর্ণ গাভী খেয়ে যাচ্ছে । এবং আরও দেখলাম সাতটি গমের সবুজ শীষ এবং সাতটি শুষ্ক শীষ । তার এই স্বপ্নের ব্যাখ্যার জন্য রাজ্যের জ্ঞানী ব্যাখ্যাতা এবং অতীন্দ্রিয় বাদীদেরকে একত্রিত করে স্বপ্নের ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করলেন । কিন্তু কেউ স্বপ্নটির ব্যাখ্যা দিতে পারলো না । তাই সবাই উত্তর দিল এটা কল্পনাপ্রসূত স্বপ্ন । আমরা এরূপ স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানি না । সঠিক স্বপ্ন হলে আমরা এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে পারতাম ।
তখন মুক্তিপ্রাপ্ত সেই কয়েদীর ইউসুফের কথা মনে পড়ে গেল । সে বাদশাহের সামনে যেয়ে বলল আমি এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলতে পারবো । তবে আমাকে কারাগার বন্দী ইউসুফের কাছে যেতে হবে । সে একমাত্র ব্যক্তি যে এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে পারবে । বাদশাহ তাকে কারাগারে তার সাথে দেখা করার অনুমতি দিলেন । সে ব্যাক্তি কারাগারে গিয়ে ইউসুফের কাছে বাদশাহর স্বপ্নের ব্যাখ্যা করার জন্য অনুরোধ করলো । ইউসুফ বাদশাহের স্বপ্নের ব্যাখা দিয়ে বললেন এই যে প্রথম সাত বছর ভাল ফলন হবে এরপর সাত বছর দুর্ভিহ্ম হবে । ইউসুফ আরও বললেন দুর্ভিহ্মের বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে এক বছর খুব বৃষ্টিপাত হবে এবং প্রচুর ফসল উৎপন্ন হবে । তখন ইউসুফ পরামর্শ দিলেন যে প্রথম সাত বছর যে অতিরিক্ত শস্য উৎপন্ন হবে তা গমের শীষের মধ্যেই রাখতে হবে যাতে পুরানো হওয়ার পরও গমে পোকা না লাগে । এ ব্যক্তি স্বপ্নের ব্যাখ্যা নিয়ে ফিরে আসে এবং বাদশাহকে তা অভিহিত করেন । বাদশাহ আদেশ দিলেন যে ইউসুফকে কারাগার থেকে বাইরে নিয়ে এসো । বাদশাহর দূত এ বার্তা নিয়ে কারাগারে পৌছল । তখন ইউসুফ বললেন বাদশাহকে জিজ্ঞাসা কর তার মতে ঐ নারীরা কেমন যারা হাত কেটে ফেলেছিল ? তিনি আমাকে এ জন্য দোষী বা সন্দেহ করে কিনা ? বাদশাহ যখন ইউসুফের ঘটনা তদন্ত করার জন্য নারীদের জিজ্ঞাসা করলেন তখন তারা সত্য ঘটনা স্বীকার করলো । বাদশাহ তখন ইউসুফকে তার উপদেষ্টা করে নিলেন ।তখন ইউসুফ বাদশাহর কাছে দেশের উৎপন্ন ফসলসহ দেশীয় সম্পদ রহ্মণাবেহ্মণ করার দায়িত্ব তার কাছে সোপর্দ করার অনুরোধ করলেন । এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর শুধু অর্থ মন্ত্রণালয়ই নয় বরং যাবতীয় সরকারী দায়িত্বও তাকে সোপর্দ করে দেয়া হলো । এই সময় তিনি আযীযে মিশরের স্ত্রী যুলায়খাকে বিয়ে করেন ।


দুর্ভিক্ষের ঘটনাঃ
ইউসুফ আঃ এর হাতে মিসরের শাসনভার দেওয়ার পর স্বপ্নের ব্যাখ্যা অনুযায়ী প্রথম সাত বছর সমগ্র দেশে সুখ শান্তি এবং কল্যাণ বয়ে আনে । এই সময় অনেক ফসল উৎপন্ন হয় এবং তা সঞ্চিত করে রাখেন । সাত বছর অতিক্রম হওয়ার পরে রাজ্যেভয়াবহ দুর্ভিহ্ম দেখা দেয় । ইউসুফ প্রথম বছরে দেশের মজুদকৃত শস্য খুব সাবধানে সংরহ্মিত করলেন । মিসরের অধিবাসীদের কাছে তাদের প্রয়োজন পরিমাণে খাদ্যশস্য পূর্বে সঞ্চিত করানো হলো । যখন দুর্ভিহ্ম ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ল তখন চুতর্দিক থেকে লোকজন মিশরে আগমন করতে লাগল । ইউসুফ এক ব্যক্তিকে এক উট বোঝাই খাদ্যশস্য দিতেন তার বেশী দিতেন না ।


হযরত ইয়াকুব বসবাস করতেন কেনান শহরে প্যালেস্টাইনের একটি অংশ । এখানে ইব্রাহিম ও ইসহাক, ইয়াকুব এবং ইউসুফের সমাধি অবস্থিত । এই এলাকাটিও দুর্ভিহ্ম থেকে মুক্তি পেল না । ফলে ইয়াকুবের পরিবারেও খাদ্যশস্যের অভাব দেখা দেয় । তারা জানতে পারলো যে মিশরের বাদশাহ অল্প মূল্যের বিনিময়ে খাদ্যশস্য বিক্রি করছেন । ইয়াকুব গম সংগ্রহ করার জন্য তার ছেলেদেরকে মিশরে পাঠালেন । তারা মিশরে পৌঁছার পর রাজ কোষাগারে গেলেন কিন্তু তারা ইউসুফকে চিনতে পারলেন না । কিন্তু ইউসুফ তাদেরকে চিনে ফেলেন । এই সময় ইউসুফের বয়স ছিল চল্লিশ । ইউসুফের দশ ভাই দরবারে পৌঁছালে তিনি এমনভাবে প্রশ্ন করলেন যাতে তারা তাকে চিতে না পারে । ইউসুফের ভাইয়েরা যখন গমের জন্য আবেদন করেন তখন তারা তাদের বৈমাত্রেয় ভাইয়ের জন্যও বরাদ্দ চাইলেন । তখন ইউসুফ বললেন সে নিজে কেন আসে নি ? তারা বললেন আমাদের বাবা একজন বৃদ্ধ মানুষ তাই তাকে দেখাশোনার জন্য আমরা তাকে রেখে এসেছি । ইউসুফ বললেন এবার আমি আপনাদের পিতা এবং ভাইয়ের জন্য পুর্ণমাত্রায় খাদ্য দিয়ে দিচ্ছি । কিন্তু এরপরে আবার যখন আসবেন তখন অবশ্যই আপনাদের বৈমাত্রেয় ভাইকে সাথে করে নিয়ে আসতে হবে । আর তা না হলে আপনাদের কারো জন্যই খাদ্যশস্য দেওয়া হবে না । তারা পণ্যের যে মূল্য পরিশোধ করেছিল তাও তিনি গোপনে ফেরৎ দিয়ে দিলেন । যাতে তারা পরে তাদের বৈমাত্রেয় ভাইকে সাথে করে নিয়ে আসেন । তারা মিশর থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে বাসায় গেলেন এবং পিতা কাছে মিশরের অবস্থা বর্ণনা করেন । তারা বলল বেনইয়ামনকে সাথে করে না গেলে এরপর আর মিশর থেকে খাদ্য আনা যাবে না । তারা মালপত্র খুলার পর তারা দেখল তাদের পরিশোধকৃত মূল্য ফেরত দেওয়া হয়েছে । তারা তাদের পিতাকে বলল বেনইয়ামনকে আমাদের সাথে যেতে দিন যাতে আমরা খাদ্যশস্য পেতে পারি । আমরা তার রক্ষণাবেক্ষণ করবো । তাদের পিতা তাদের নিকট থেকে প্রতিশ্রুতি নিলেন যেন তারা বেনইয়ামনকে নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে আসে । তারা যখন ইউসুফের কাছে পৌঁছল তখন তিনি তাদের প্রতি দুইজনকে একটি করে থাকার জন্য ঘর দিলেন । ফলে বেনইয়ামন একা পরে যায় । ইউসুফ তাকে তার সাথে অবস্থান করতে বললেন । অবস্থান কালে ইউসুফ তার ভাইয়ের কাছ তার পরিচয় প্রকাশ করলেন । ইউসুফের ভাইদের যাত্রার দিন বেনইয়ামনের খাদ্যশস্য যে উটের পিটে দেওয়া হয় তাতে একটি পাত্র গোপনে রেখে দিলেন ।

তারা যখন যাত্রা শুরু করে তখন রাজ কর্মচারীর একজন বলল ওই কাফেলার মধ্যে অনুসন্ধান করা হোক । তারা ঘটনা জানতে চাইলে বলে আমাদের একটি পাত্র হারিয়ে গিয়েছে । তারা বলল আমরা চুরি করি নাই । যদি আমাদের কেউ চুরি করে থাকি তাহলে তাকে দাস হিসেবে আপনাদের কাছে রেখে দিবেন । তারা সবার মালপত্র অনুসন্ধান করলো পরে যখন বেনইয়ামনের মালপত্র অনুসন্ধান করলো তাতে তারা চুরি হয়ে যাওয়া পাত্রটি খুজে পেলেন । তখন ইউসুফের ভাইরা তার পহ্মে কথা না বলে বলতে লাগল তার বড় ভাই ইউসুফও চোর ছিল । তারা বেনইয়ামিনের মুক্তির ব্যাপারে অনেক চেষ্টা করে নিরাশ হয়ে যখন তারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করলেন তখন তাদের জ্যেষ্ঠ ভাই বাড়ী ফিরে যেতে রাজি হলেন না । সে বলল ইউসুফের ঘটনায় আমরা পিতাকে যথেষ্ট আঘাত দিয়েছি । আমি মিশরে থেকে সে পর্যন্ত যাব না যে পর্যন্ত না পিতা আমাকে যেতে না বলেন । তোমরা বাড়ি ফিরে যাও । গিয়ে পিতাকে বলো বেনইয়ামিন চুরির অপরাধে আটক হয়েছে । পিতা যদি বিশ্বাস করতে না চায় তাহলে অন্যান্য সহযাত্রীদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে বলো এবং এটাও বলো আমাদের বড় ভাই বেনইয়ামিনকে মুক্ত করার জন্য মিশরেই রয়ে গেছে । ইউসুফের বৈমাত্রেয় ভাইরা শেষ পর্যন্ত বেনইয়ামিন এবং বড় ভাই ইয়াহুদাকে মিশরে রেখেই দেশে ফিরে গেলেন । তারা তার পিতাকে বেনইয়ামিনের সম্পর্কে বললেন কিন্তু ইয়াকুব তা বিশ্বাস করলেন না । ইয়াকুব ইউসুফের জন্য কাঁদতে কাঁদতে তার চোখ সাদা হয়ে গিয়েছিল এবং দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন । ইয়াকুব পুত্রদেরকে নির্দেশ দিলেন যে তোমরা পুনরায় মিশরে যাও এবং সেখানে ইউসুফকে অনুসন্ধান করো । পাশাপাশি বেনইয়ামিনের মুক্তির জন্য চেষ্টা করো । এরপর তাদেরকে নিয়ে তোমরা আমার কাছে ফিরে এসো । ইয়াকুব পুত্রদের সাথে একটি পত্র লিখে দিলেন বাদশাহকে দেওয়ার জন্য । তৃতীয়বার যখন তারা মিশরে গেল তখন তারা অত্যন্ত অনুনয় বিনয় করে ইউসুফকে বললো আমরা দুর্ভিক্ষের কারণে ভীষনভাবে অভাব গ্রস্ত হয়ে পড়েছি ফলে খাদ্য কেনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ সংগ্রহ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি । তারা আবদার করলো প্রথমবার যেমন তাদের পূর্ণ অর্থ ফেরৎ দেয়া হয়েছিল এবার যেন অনুগ্রহ করে অর্ধেক মূল্য মাফ করে দেওয়া হয় । তখন তারা ইউসুফের হাতে পত্রটি দিয়ে বললেন আমাদের পিতা আপনাকে এই পত্রটি দিয়েছেন । আর আমাদের ভাই বেনইয়ামিনকে আমাদের সাথে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিন । ইউসুফ বললেন তোমাদের কি মনে আছে অজ্ঞতা এবং অপরিনামদর্শীতার কারণে তোমরা তোমাদের ভাই ইউসুফ ও তার সহোদরের সাথে কি আচরণ করেছো ? এই কথা শুনে ভাইরা চমকে উঠলেন । তারা জিজ্ঞাসা করলো তাহলে কি তুমিই ইউসুফ । তিনি বললেন হ্যাঁ আর এই আমার ভাই বেনইয়ামিন । তখন তারা লজ্জিত হলেন । এরপর তারা পিতার অবস্থা সম্পর্কে খুলে বললো । পিতা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এটা শোনার পর ইউসুফ তার নিজের গায়ের একটি জামা দিয়ে বললেন এটা পিতার চোখের উপর রাখলে তিনি পূর্ণ্যরায় আবার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন । এরপর পরিবারের সকলকে নিয়ে আসার জন্য তিনি ভাইদেরকে পাঠাইয়া দিলেন । ইউসুফের ভাইরা যখন তার পরিধানের জামা নিয়ে মিশর ত্যাগ করলেন তখন সিরিয়ার কেনানে বসে ইয়াকুব পরিবারের লোকজনকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন তোমরা যদি আমাকে অপ্রকৃতিস্থ মনে না কর তাহলে আমি নিশ্চিত করে বলবো আমি ইউসুফের ঘ্রাণ পাচ্ছি । পরিবারের লোকজন ইয়াকুবকে বলল ইউসুফের মৃত্যুর এত বছর পর তার বেঁচে থাকার আশা করা বা তার ঘ্রাণ অনুভব করা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু না । যখন তারা বাড়িতে ফিরে এসে ইউসুফের জামাটি তাদের বাবার চেখের উপর রাখলো সাথে সাথে তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন । ইউসুফ যখন জানতে পারলেন তার পরিবার মিসরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তখন তিনি তাদেরকে নিয়ে আসার জন্য শহরের বাইরে অপেক্ষা করতে লাগলেন । কাফেলা পৌঁছামাত্রই তিনি পিতাকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করলেন । ইউসুফ তার পরিবার নিয়ে মিশরে বসবাস করতে শুরু করলেন ।


মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৯

হানিফঢাকা বলেছেন: Brother, Now you tell me what is the punishment of theft according to this Quranic chapter that you mentioned.
Thanks

২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:১১

কালের সময় বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ । ভাই এটা বাঙলা ব্লগ তাছাড়া ধরে নিতে পারেন আমি নিজেও ইংরেজীতে কাঁচা তাই
যদি মন্তব্য করেনয়ই তাহলে বাঙলায় করুন উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১১

নতুন বলেছেন: ভাই উপরের যে কাহিনি বণ`না করলেন তা কি বাইবেলের কাহিনি না কি কোরআন/হাদিসের কাহিনি?

উপরের কাহিনি ৯৫% ই বিবলিক্যাল কাহিনি থেকে নেওয়া।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

কালের সময় বলেছেন: প্রিয় ব্লগার এখানে দেখে নিন

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:০৮

কালের সময় বলেছেন: প্রিয় ব্লগার নেন এখানে দেখুন ।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

কালের সময় বলেছেন: পড়ার জন্য এবং ভালো মন্তব্যের জন্য আপনেরেও ধন্যবাদ ।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:

এই পোস্টে যে সকল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা যদি অন্য কোথাও থেকে সংগ্রহ করে সমন্বয় করে থাকেন, তাহলে অনুগ্রহ করে সেই সোর্সের নাম উল্লেখ্য করে দিন। এতে আপনার পোস্টের গ্রহনযোগ্যতা ও মান বৃদ্ধি পাবে।

২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । একটা বিষয় বুঝলাম না ভাই যে কোন নতুন ব্লগার ভালো কোন পোস্ট দিলেই আপনেরা শুধু তার লিং খুজেন ।
আচ্ছা ধরেন আমার এই পোস্টটি প্রায় আট দশটি লিংকের তথ্য থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তার পরে পোস্ট তৈরি করছি ।
এখন কাভা ভাই আপনি কি দয়া করে আমাকে আরেকবার এসে বলে যাবেন আমি যে লিংগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি তা
সবগুলো লিং দিয়ে দেব নাকি দু একটি দিলে হবে । আর যদি মনে করেন দু একটি লিং দলেই হবে তাহলে @নতুন ভাইয়ের মন্তব্যের
উত্তরে একটি লিং দেওয়া আছে তাও দেখে নিতে পারেন ।
আপনাদের এত অযুহাত আর ভালোলাগে না ভাই । তাই দয়া করে নতুন ব্লগারদের লেখা যদি আপনাদের ভালো না লাগে তাহলে
আপনাদের রেজিস্টশন যে বাটন আছে তা বন্ধ করে দিন । তাহলে আর নতুন কোন ব্লগার এখানে রেজিস্টশন করবেও না ।
আপনাদেরও বেশি কষ্ট করতে হবে না ।
যাই হোক অনেকগুলো কথা বললাম যদি পারেন ছোট ভাই মনে করে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিয়েন ।
ভাবীরে সহ আপনেরে ঈদমুবারক । X((
আর যদি পারেন দয়া করে আমাদের মত নতুন ব্লগারদের প্রতি একটু সুনজর দিয়েন । শুধু কাঠের চশমা দিয়ে দেইখেন না
একটু পাওয়ারী গ্লাসের চশমা দিয়ে দেইখেন ভাই :(
আমাগোও ভালো ব্লগার হতে মন চায় ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

কালের সময় বলেছেন: বড় ভাই আছেন কেমন ?
আজও মুক্তি পেলাম না।
আমার লেখা প্রথম পাতায় যায়না।
এবং আমি কারো লেখায় কমেন্ট টমেন্ট করতে পারিনা।
একটু নজর দিবেন আমার দিকে।

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

কালের সময় বলেছেন: প্রিয় ব্লগার এখানে দেখে নিতে পারেন ।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

রাঘব বোয়াল বলেছেন: ভালো লাগলো। চালিয়ে যান। আপনার পাশেই আছি।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১৪

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ রাঘব ভাই । হ ভাই আপনেরা পাশে আছেন বলেই পোস্ট দিতে সাহস পাই ।
শুভ সকাল ।

৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: । তাই দয়া করে নতুন ব্লগারদের লেখা যদি আপনাদের ভালো না লাগে তাহলে
আপনাদের রেজিস্টশন যে বাটন আছে তা বন্ধ করে দিন

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

কালের সময় বলেছেন: =p~

৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ভালয়ইতো লাগলো ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:২০

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ সকাল

১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: তথ্য ঋণ স্বীকার করা একটি স্বাভাবিক সাধারন ভদ্রতা। আমরা চাই যারা 'ভালো ব্লগার' হতে চায়, তাদের মধ্যে এই নূন্যতম সাধারন ভদ্রতাটি থাকুক। ধরুন উপযুক্ত পড়াশোনা বা কষ্ট করে রিসার্চ করে আপনি একটা লেখা লিখলেন, আমি ইন্টারনেট থেকে তা খুঁজে পেলাম, আপনার লেখা ও অন্য কয়েকটা লেখা থেকে কিছু কিছু অংশ হুবহু কপি করে নিজেই একটা পোস্ট দাঁড় করিয়ে ফেললাম। আপনি যখন আমার লেখাটি পড়বেন, আপনার নিশ্চয় আনন্দ লাগার কথা নয়। তাই তথ্যঋণ স্বীকার করার মাধ্যমে আপনি আপনার অধিকারই রক্ষা করছেন। যারা ব্লগ ব্যবহার করেন ও পড়েন তারা অন্যদের তুলনায় বেশ অভিজ্ঞ ব্যবহারকারী। ফলে উইকিপিডিয়া থেকে সরাসরি কপি করে আনা বা বিদেশী পত্রিকা থেকে গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে হাস্যকর অনুবাদ করে প্রকাশ করলে তাতে অন্য ব্লগাররা খুব সহজেই ধরে ফেলতে পারেন।

ব্লগ সৃজনশীল লেখালেখি, মুক্তমত এবং বির্তকের মাধ্যমে শেখার স্থান। ক্ষেত্র বিশেষে শেখাবার স্থানও বটে। তাছাড়া অন্যের সৃজনশীলতা ধার নিয়ে যদি কেউ নিজেকে সৃজনশীল ভালো ব্লগার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাহলে তিনি কতটুকু সফল হতে পারবেন, তা সময়ের উপরই ছেড়ে দেয়া ভালো। আমাদের এখানে এখন অনেক নতুন ব্লগার রেজিস্ট্রেশন করছেন এবং নতুন হিসেবেও তারা চমৎকার সব বিষয় নিয়ে লিখছেন। ফিচার পোস্টের ক্ষেত্রে বা পোস্টের প্রয়োজনে তারা প্রয়োজনীয় রেফারেন্স সংযুক্ত করতে ভুলছেন না।

যে সকল নবীনরা পুরাতনকে পথ দেখাতে পারে, অনুকরণীয় হতে পারে তাদেরকে স্বাগত না জানিয়ে তো কোথাও যাওয়ার উপায় নেই।

শুভ কামনা রইল।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১৮

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া কষ্ট করে আবারো এসে মন্তব্য করার জন্য ।
বিষয়গুলো মনে রাখার চেষ্টা করবো ।
আর যদি মাঝে মধ্যে ফাঁটা বাঁশের চাপে পড়ে ভুলে যাই তাহলে ক্ষমা করে দিয়েন ।
শুভ সকাল ।

১১| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো লেখছেন তবে তথ্য দিলে আরো ভালো হত না । যাক বসের নজর আপনার ওপর পড়েছে ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৯

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ মিন্টু ভাই । শুভ সকাল

১২| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ সকাল

১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

রেজওয়ান26 বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। তবে আপনার পোষ্টে যারা মন্তব্য করেছেন তাদের কেউ কেউ এর ধরনের পোষ্ট আসলেই সন্দেহ প্রকাশ করেন যেমন- এটা কোরআন না বাইবেল ইত্যাদি। তাই দুশ্চিন্তা করবেন না চালিয়ে যান।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১৩

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পাশে থাকার জন্য । দূর ভাই অনেকের চেয়ে বেশি সমস্যা মডুদের নিয়ে ওনারা কিছু ব্লগারদের দিকে কাঠের
চশমা দিয়ে দেখেন । আমারও কোন সমস্যা নাইকা । আপনেরা পাশে থাকলেই হবে । শুভ সকাল

১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: হযরত ইউসুফ আঃ কে কুপের মধ্যে ফেলার পিছনে মুল ভূমিকা ছিল ইয়াহুদার। সুতরাং সে ইউসুফ আঃ কে খাবার পৌছে দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। খাবার পৌঁছাতো লাভি।

কাফেলা মালিকের নাম ছিল মালিক ইবনে যার। উনি হযরত ইসমাইল আঃ এর বংশধর।

হযরত ইউসুফ আঃকে যখন মিশরে নিয়ে যাওয়া হয় তখন মিশরবাসী আমুন এর পুজা করতো। বাদশাহ এর নাম ছিল আমুন হোতপ ৩। তার ছেলে আমুন হোতপ ৪ পরে ইউসুফের ধর্ম গ্রহণ করে এবং নিজের নাম রাখে আখনাতুন।

জামা ছেড়ার বিষয়টি এক সদ্যজাত শিশুই আল্লাহর কুদরতের জবানে বলেছিল।

তিনি ঐসময় আজীজে মিসরের স্ত্রী জুলায়খাকে বিয়ে করেননি যে সময়ের কখা আপনি বলেছেন। জুলায়খা বয়সে ইউসুফের চেয়ে অন্তত ২০ বছরের বড়। আর যার প্ররোচনায় ইউসুফ এত বছর জেলে ছিল জেল থেকে বের হওয়া মাত্রই কি কারণে তাকে বিয়ে করবেন। তিনি হাসনাত নামে একজনকে বিয়ে করেন যার গর্বে ইব্রাহিম ও মেনিসা নামক সন্তান হয়।

জুলায়খাকে বিয়ে করেন আরো চৌদ্দ বছর পর। তখন জুলায়খা ইউনুফের দোয়ায় আল্লাহর কুদরতে নবযৌবন লাভ করে।

পুরো কাহিনীটা সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন।

ধন্যবাদ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৪

কালের সময় বলেছেন: ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য । কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা কেমনে কমু ।
তা আপনি যা বললেন তা সত্য হলে তার একটা লিং দিয়ে দিতেন । অ্যাডিত করে নিতাম ।

১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

জিয়া চৌধুরী বলেছেন: একটু উইকিতে গুতান।

১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: এসব আসলে রুপকথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.