নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বদাই কিংকর্তব্যবিমূড় কেননা আমিও সমাজে বাকস্বাধীনতার অভাবেই ভুগি। তাই এখানে আসা। ভুল-ভ্রান্তি মাফ করবেন। নতুন ................

জনাব জাক্কু মশাই

কিছু না বলাটাই শ্রেয় মনে করি

জনাব জাক্কু মশাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাস্তবতা+ব্যাস্ততা= জাতিগত হূমকী

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

বাস্তবতা এবং ব্যস্ততা এর চেয়ে নির্মম ও বিপদজনক আর কি হতে পারে?
তা কি জানা আছে আপনাদের? যদি বলি ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড, নারী নির্যাতন, দূর্নীতি এসব আসলে কিছুই না। একেবারেই মামুলি। এগুলা পানিভাত। তাহলে কি আমাকে জনরোষের স্বীকার হতে হবে?
কেনো বলছি এসব!!! তাহলে বিস্তারিত বলি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে আলোচিত অপরাধ কর্মকাণ্ড গুলো হচ্ছে ধর্ষণ, প্রকাশ্যে/অপ্রকাশ্যে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। যারা এগুলোতে জড়াচ্ছে তারা নিঃসন্দেহে অপরাধী। তাদের নিয়ে টকশো, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ সহ নানাবিধ কর্মকাণ্ড হরহামেশাই হচ্ছে। এগুলাকে আমি 'আজাইরা' বলবো। এখন হয়তো এই কথার প্রেক্ষিতে আমি পুনরায় জনরোষের স্বিকার হবো। চুশীল (উচ্চার : সুশীল) ব্যাক্তিগন আমাকে মানসিক ভারসাম্য হীন বলবে। বলুক...... তাতে আমার কি!!! আমি তো এমনিতেই অসামাজিক খেতাব প্রাপ্ত।
মুল প্রসঙ্গে আসি,
একটা সদ্যপ্রসূত সন্তান কি ধর্ষক বা খুনি হয়েই জন্মায়? কেউ কি এর প্রকৃত কারন উদঘাটন করার চেষ্টা করেছে একেবারে অপরাধীর জীবনের শুরু থেকে?? লাশের পোষ্টমর্টেম বা ব্যাবচ্ছেদ হয়। তাহলে অপরাধ করা অপরাধীর মানসিক ও জীবনবৃত্তান্তের ব্যাবচ্ছেদ হচ্ছে না কেনো? এর কি উত্তর নেই সুশীল দের কাছে?
অপরাধীর সচ্ছলতার হিসেবে যদি আসি তাহলে পরিসংখ্যান বলে শিল্পপতির ঘরের বিলাসী জীবনধারি ব্যাক্তিবর্গ হতে গৃহহীন পর্যায়ের দুস্থ লোক দ্বারাও এসব হচ্ছে হর হামেশাই।
কোটিপতির সন্তান কর্তৃক হোটেলে পার্টির সময় নারী ধর্ষন হচ্ছে। নিম্ন শ্রেণির লোক দ্বার সম্পত্তির অভাবে বা লোভে ডাকাতি ও খুন হচ্ছে। ছিনতাই তো অপরাধের তালিকাতে নাই রাখলাম। কালা জাহাঙ্গীর, পিচ্চি হান্নান রা নাকি অত্যন্ত গরীব ছিলো।অথচ তারাই হয়ে গিয়েছিল আতংকের অপর নাম।
আপনাদের মনে পড়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মেয়েটির কথা যার দ্বারা তার পরিবারে কি নৃশংসতাই না হয়েছিলো।(সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাগুলো বাদই দিলাম।আমার এই লেখাটাকে অরাজনৈতিক রাখতেই চাচ্ছি।) তা হলে এখানে প্রমাণিত হচ্ছে "অভাবে স্বভাব নষ্ট" প্রবাদ টা এখানে অকার্যকর।
এখন মুরুব্বি সমাজ বলবে সবই সঙ্গদোষ। প্রবাদে আছে "সঙ্গদোষে লোহা ভাসে"। বাহ!!! আসলেই তো!!!
তাহলে সেক্ষেত্রে আমার কিছু বা একটা প্রশ্ন অথবা আপত্তি আছে। আচ্ছা বলুন তো তাদের সঙ্গ/সঙ্গী বলতে যাদের বলতেছেন, তারা কোন শ্রেণীর? কোটিপতির সন্তান নিশ্চয়ই ফকিরদের সাথে মিশবে না।ফকির তো ধনী সম্প্রদায়ের ধারে ভিরতেই পারবে না। সেক্ষেত্রে তারা যাদের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং যারা যারা এইক্ষেত্রে অনুঘটক এর ভুমিকা রাখছে তারাই বা এমন টা কেনো করছে। অর্থাৎ প্ররোচিত করছে। এখন কি বলবেন তারাও প্ররোচিত হয়েছে নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ এর চেইন রিয়্যাকশন এর মতোই? সেখানেও তো একটা সুত্রপাত বা কারন থাকে। বিকৃত যৌন মানসিকতা, নেশাগ্রস্থতা, অর্থলোভ এগুলাই কি যথেষ্ট! সেসব প্ররোচক/প্রভাবক/অনুঘটক দের জীবনবৃত্তান্তের ব্যাবচ্ছেদ এখানে হচ্ছে কি? কেন তারা এসব করছই।
অতএব এখানেও "সঙ্গদোষে লোহা ভাসে" বলা যাবে না।
তাহলে সমস্যা কোথায়???
এখন সুশীল সমাজ বলবে নৈতিকতার অবক্ষয়। আরে রাখেন প্লিজ।এসব কেবল ছুতো বা অযুহাত। এসবের মুলে রয়েছে দুজন প্রকৃত সন্ত্রাস।তারা হচ্ছে আমাদের বাস্তবতা এবং ব্যাস্ততা। আর এর উৎপত্তিস্থল হচ্ছে আমাদের পরিবার।
এবার তো আমি শেষ……!! মুরুব্বীদের সেই চিরচেনা গদবাধা উপদেশ বা তির্যক বানী বা খোটা এখন তীরের ন্যায় আসবে।
অনেক জ্ঞানী ব্যাক্তিরা প্রাগৌতিহাসিক আমল থেকেই বলে আসছে একটা কথা যেটা আমরা ভুলেই যাচ্ছি। যাচ্ছি বললে ভুল হবে।গিয়েছি ইতোমধ্যেই।
পাঠ্যপূস্তক থেকে শুরু করে নানা উৎস হতেই শিখছে এই বিশ্বের সব কিছুরই ক্ষুদ্রতম সর্বোৎকৃষ্ট একক বা নমুনা। ফিজিক্স বায়োলজি থেকে রাজনীতির অনেক কিছুই শেখা যায় এই পরিবার থেকেই। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় টাই হচ্ছে নৈতিকতা। যেটার অনুপস্থিতির কারনেই এসব অপকর্ম গুলা হয়েই যাচ্ছে।
এখন ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের পরিবারের এর কর্তারাই যেভাবে সন্তান এর ভবিষ্যৎ ভেবে বাস্তবাতার সম্মুখীন হচ্ছে আর ব্যাস্ত থাকছেন তাতে সন্তান বড় হচ্ছে জানালার গ্রীল ধরে, কাজের বুয়ার কাছে। কৈশোর-শৈশবে তো ভারি ব্যাগ আর কড়া শাসন নতুবা গা ছাড়া শাসন। যার ফলশ্রুতিতে তারা খাচ্ছে মানসিক বাশ, আর তা দিয়ে বারবিকিউ হয়ে যায় তাদের না বলা কথা, প্রতিভা, সুপ্ত রং এর বিচ্ছুরন।আদৌও কি তারা মনের আবেগ আনন্দ দুঃখ ভাগাভাগির সময় টা পরিবার থেকে পেয়ে উঠছে তাদের অভিভাবকদের এই বাস্তবতা এবং ব্যাস্ততার ফাদের জন্য? ঠিক তখনই অলিতে গলিতে গজিয়ে ওঠা কলিকাতা হারবাল টাইপ ভন্ড প্রতিষ্ঠান গুলার মতই ছেলেমেয়েদের মগজে গজিয়ে উঠে নানারকম হতাশা, বিষন্নতা এবং জিদ। সেখান থেকেই যত বিপত্তির শুরু। তারপর নিউক্লিয়ার সায়েন্স এর চেইন রিয়্যাকশন টা কাজ শুরু করে “মানিকে মানিক চিনে” থীওরি অবলম্বন করে।
অপর দিকে দারিদ্র শ্রেণির লোকদের কথা কিইবা বা বলবো। গাইডলাইন তো পরের কথা, তারা তো সর্বদাই অবহেলিত।শিক্ষার আলোর কথা বলবো না। শিক্ষিত শ্রেনিরই দুর্নাম এর অভাব না। অবহেলিত হয়ে এক পর্যায়ে হীনমন্যতা, তারপরেই আবারও মস্তিস্কে অনুরুপ গজিয়ে উঠে অপকর্মের পৈশাচিক আনন্দের হাতছানি।
আর এভাবেই কেবল পরিবারের ইকটু অসতর্কতাই সবকিছুই গরমিলে পরিনত করে।
কিন্ত আমরা কেউ কি এই বিষয় গুলা কি খেয়াল করছি?? কিছু হলেই দোষ আমার বা আমাদে তথা তরুন প্রজন্মের উপরে।
উম্নত দেশগুলোতে যেখানে অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিশেষ করে তরুন অপরাধির মনস্তাত্বিক ব্যাপারটাও তদন্তের অন্তর্ভুক্ত হয়, সেখানে আমাদের দেশে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা থাকা সত্বেও তার প্রয়োগ তো নেইই তার উপর সম্মানিত অবিভাবক মহল নিজেদেরকে সর্বেসেরা ভাবেন। নতুন চিন্তাধারা ধারন করতেও তারা বেশ নারাজ। কেননা এখানেও নিউক্লিয়ার চেইন রিয়্যাকশন বা সহজ ভাষায় ডেসটিনির এম.এল.এম থীওরি বিরাজ করে। বাংলালিংক এর সেই বিজ্ঞাপন এর ভাষায় বলতে গেলে এইরকমটাই হয়েছে আমার বাবার, তার বাবার, তার বাবার। তাই অবিভাবক দের গোড়ামি মার্কা কথা, তোদের জন্য এতো কিছু কেন করতে হবে!! তারা পারেলে তুই কেন পারবি না। মানুষ আরো খারাপ অবস্থা থেকে উঠে আসে। আমরা তো ঠিকই পেরেছি!!
এতে করে সন্তানরা……… ধুর… আমাকেই উদাহরন হিসেবেই ধরে বলি, সবসময়ই অতিরিক্ত শাসনের ভয় থেকে ভুল পথে গিয়েছি হয়তো (নিজের দোষ ধরাটাও পরিবার থেকেই শিখতে হয় যা আমার অবিভাবকের ব্যাস্ততার জন্যই শিখতে হয়তো পারিনি) আর অন্যরা পরিমিত শাষনের অভাবে যাচ্ছেতাই করেই যায়।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, শৈশব বয়সে ভালো মন্দ বিবেচনার ক্ষমতা কতটুকুই বা থাকে? আর কেনই বা আমরা পরবর্তীতে তিরস্কৃত হই এই বলে যে “কেন বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করি নি??” আর কথায় কথায় অমুক তমুকের সন্তান পারলে আমরা পারবো না কেন।
অবিভাবকরা আমাদের ভালো চায় সেটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু এটাই কি আমাদের জন্য অভিষাপ হয়ে যাচ্ছে না???
অবিভাবকরা আমাদের তাদের ইচ্ছেমতো জীবনধারায় পরিচালিত করে তাদের খ্যাতির সাইনবোর্ড বানাতে চাচ্ছে। মেনে নিলাম সেটা, আমাদের স্বপ্ন টা খুন করেই ফেললাম। বিনিময়ে আমরা কি তাহলে তাদের উৎসাহ, একান্তই আমাদের নিয়ে তাদের কিছুটা সময় চাইতে পারি না!! নাকি এটা ঘোরতর অপরাধ??
আজ তাদের ভাষ্যমতে "আমাদের ভালোর জন্য অর্থ উপার্জনে ব্যাস্ত" অবিভাবকদের এবং অপরদিকে অবিভাবক হীন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি আমাদের উদাসীনতার ফলে আমরা আজ কি কি পাচ্ছি???
ধর্ষন, হত্যাকান্ড, দূর্নীতি, কিশোর অপরাধ তথা এলাকায় গ্যাং মেইন্টেইন এর মারামারি নানারকম বিশৃংখলা। পুলিশকে দোষ দিয়ে কিইবা লাভ যদি পরিবার এবং সমাজ থেকেই আমরা সুষম পথ নির্দেশিকা না পাই??
অবিভাবক রা নিজেদের ব্যার্থ স্বপ্ন সন্তান্দের উপর চাপাতে অর্থ উপার্জনে ব্যাস্ত থাকলে অপরাধের দমনে আইন কোনো কাজেই আসবে না।
তাহলে আমার উপলব্ধি অনুসারে, ব্যাস্ততা আর বাস্তবতা সামাজিক অবক্ষয় এর কারন নয়???
শুধু অপরাধিদের কেনো শাস্তি পেতে হচ্ছে??
অবিভাবক রা খাওায়াচ্ছে পড়াচ্ছে বলেই কোকিলের ন্যায় সাত খুন মাফ???
এটাই সুষ্ঠু আইন??

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

লুৎফুর হুমায়ূন বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। আমরা সুন্দর পৃথিবী চাই। চাই সুন্দর সমাজে বসবাস করতে। চাই সুন্দর একটি পরিবার। আর এইসবই সম্ভব আমাদের সুন্দর মনোবৃত্তির দ্বারা। আমাদের ঘর থেকে পুরো পৃথিবীর সকল কিছুর সঙ্গে যদি আমরা সুন্দর ব্যবহার শুরু করতে পারি তবে সেটা আমাদের কাছে ফিরে আসবে সুন্দর একটা পরিস্থিতি তৈরি করে। তাই ভালোবাসতে হবে নিজেকে, নিজের আপনজনকে, সমাজে বসবাস করা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে। এই পারস্পরিক ভালোবাসাই আমাদের এনে দেবে সম্প্রীতিময় সুন্দর সমাজ

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪২

জনাব জাক্কু মশাই বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার কথাটাও কিন্তু সেখানেই। নিজেকে ভালবাসতে পারছি না বলেই আমরা সবকিছু মেইন্টেইন করতে পারছি না। তাই অন্যের টাও বুঝতে পারতেছি না।
সেখান থেকেই সমস্যার সুত্রপাত গুলো।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

হাবিব বলেছেন: ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। শুভ ব্লগিং

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৪

জনাব জাক্কু মশাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। একেবারে নতুন আমি এই জগতে। আমার ভুলভ্রান্তি ক্ষমার দৃষ্টিতেই দেখবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.