![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবি এবং কবিতার জন্য মগ্ন এ মন।
ইতিহাস খোঁজলে নারীদের উপর বর্বতার যে দৃষ্য চোখে ভেসে উঠে তা অতিব মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক ।
কেমন ছিলো সেই দিনগুলি ?
কি ভাবে দিনযাপন করতো নারীরা ?
কোন বিশ্বাসের উপর ছিল তখনকার মানুষ ?
১.বৈবাহিক জীবনঃ
তৎকালীন বৈবাহিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক ছিল।স্বাভাবিকভাবে বিবাহ সম্পাদন করে স্বামী-স্ত্রীর ভিতর জীবন-যাপন করার সংখ্যা ছিল অত্যন্ত নগণ্য।বিবাহ ছাড়াই একজন নারী কিংবা পুরুষ অসংখ্য সন্তানের জনক-জননী হত।কখন দেখা যেত যে,একজন নারী প্রায় দশ পুরুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করত এবং সবার সাথে মিলনের পর একজন সন্তান জন্ম নিলে কখনও স্ত্রী কিংবা কখনও কোন বিশেষজ্ঞ তাদের সন্তানের প্রকৃত পিতাকে চিহ্নিত করত।আবার পুরুষেরাও একসাথে প্রায় দশ কিংবা তা অধিক স্ত্রী শর্তহীনভাবে গ্রহণ করতে পারত।সেখানকার পুরুষেরা যেকাউকে বিবাহ করতে পারত।কারও পিতা মারা গেলে তার স্ত্রীকে অর্থাৎ, সৎ মাকে তার ছেলে বিবাহ করতে পারত।তারা তাদের খালা,ফুফুদের বিবাহ করতে কার্পণ্য বোধ করতে পারত না। এ ব্যাপারে কুরআনে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে।আল্লাহ পাক বলেন, “যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।”[নিসাঃ২২] আবূ বকর জাসসাস(রঃ) বলেন, “পিতার স্ত্রীকে অর্থাৎ সৎ মাকে বিবাহ করার প্রচলন ব্যাপক ছিল।”
২. কণ্যা সন্তানকে জীবিত কবরঃ
তৎকালীন আরব সমাজের নারী জাতির অবস্থা ছিল অত্যন্ত করুন। কণ্যা সন্তান জন্মগ্রহন করলে তাকে জীবিত মাটির নীচে পুতে ফেলা হত। কণ্যা সন্তানকে তারা সর্বদা অভিশাপ মনে করত।আরবেরা কখনো কখনো দারিদ্র্যতার ভয়ে এমন কাজটি সঙ্ঘটিত করত।কিতাবুল আখরাজীর মতে, এ জঘন্য প্রথা কায়স বিন আসিমের মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়।কুরআনুল কারীমে এ ব্যাপারে কিছু ইংগিত পাওয়া যায়।আল্লাহ পাক বলেন, “যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তারা মুখ কাল হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে”। [নহলঃ১৩৮]
৩। নারী জাতির প্রতি অবমাননা:
আইয়ামে জাহিলিয়াতে নারী জাতির প্রতি চরম অবমাননা করা হত।তাদেরকে সেসময় মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হত না।তাদেরকে নিজেদের ভোগের সামগ্রী হিসেবে মনে করা হত।কোন মহিলার সাথে কোন পুরুষের বিবাহের পর সেই স্বামী যেকোন পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখতে পারত।এতে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্বে বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করতে পারত না। স্বামীগণ মারা গেলে স্ত্রীগণ তাদের সম্পত্তির কোন অংশ পেত না।একজন লোক ইচ্ছামত বিবাহ করতে পারত আবার ইচ্ছামত তালাক দিতে পারত।
{চলবে}
২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪৩
দুঃখী জাহিদ বলেছেন: ইনশাআল্লাহ
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৬
আহা রুবন বলেছেন: ওরা তো এখন বাপ-পুতে পালা করে কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করে।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪৩
দুঃখী জাহিদ বলেছেন: আসছে ,,ওয়েট
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মেয়েদের খারাপ অবস্হা মক্কায় ছিলো, এখনো আছে; বিদেশী মেয়েরা যারা আরবে চাকুরী করে, তাদের কাহিনী শুনে, আরেকটি পোস্ট লিখবেন।