নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিহাদ মুহাম্মদ

"Prithibite manobik manuser boro proyojon...Ami somaj socheton o manuvik manuser joyogyan dekhte chi"

জিহাদ মুহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনার হরিণ বিসিএস Fact কিংবা সরকারী/বেসরকারী চাকুরী!!!!!!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ, টাঙ্গাইল-১৯০২।

অনেকদিন ধরেই চাকুরীর বিষয়ে কিছু কথা লিখব বলে ভাবছি, বিশেষ করে সরকারী চাকুরী, সোনার হরিন বিসিএস পরীক্ষা কিংবা ব্যাংক। শুনেছি এসব চাকুরীর নাকি বিয়ের বাজারে ভালো মূল্য। তাই এ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও নিরন্তর আকাঙ্খা। এ নিয়ে লিখব লিখব করে লেখা হয়না কিন্তু ক্লাসে কিংবা ঘরোয়া আলোচনায় হয়ত অনেক সময়ই এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। যদিও ভাবনাটি একান্তই আমার । মানুষের কাছ থেকে শোনা অভিজ্ঞতা কিংবা সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষন। মাঝে মাঝেই এমন হয় সেকেন্ড কিংবা থার্ড ইয়ারের দুয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে ক্লাসে পাইনা। অন্য ছাত্রদের জিজ্ঞেস করলে অনেকেই বলেন তারা বিসিএসের কোচিং করে কিংবা আলাদাভাবে প্রস্তুতি নেয়। দুয়েকবার তাদের অনেকের হাতেই কারেন্ট অ্যাফেয়ারস ও বিভিন্ন গাইড বই দেখি। আবার শহরে যাওয়ার সময়ে অটোতে অনেক ছাত্রের সাথে পরিচয় হলে জানতে পারি তারা কনফিডেন্স কিংবা সাইফুরস-এ বিসিএস বা ব্যাংক জব কোচিংয়ে যান। একই অভিজ্ঞতা আমার ছাত্র অবস্থায়ও হয়েছে। আমাদেরই বন্ধু-বান্ধবদের অনেকে সারাবছর কারেন্ট অ্যাফেয়ারস/কারেন্ট ওয়াল্ড বই পড়েন। তিন চারজন মিলে সাধারন জ্ঞান মুখস্থ করেন। এমন অনেককেই করতে দেখি কিন্তু ফলাফল অনেক সময়েই প্রত্যাশার তুলনায় হতাশার!!!

বিসিএস পরীক্ষা কিংবা যে কোন চাকুরীর পরীক্ষা একটি সমন্বিত পরীক্ষা। এখানে মোটামুটিভাবে তিনটি বিষয় থাকেই তা হলঃ প্রিলিমিনারী (মাল্টিপল চয়েজ প্রশ্ন), লিখিত এবং ভাইভা। এখন প্রশ্ন হল, এই তিনটি বিষয়েই ভালো করতে হলে কি করতে হবে? কিংবা কি করা উচিত? আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা কি করেন??? কিংবা যারা ভালো করেছে তাদের অভিজ্ঞতা কি?
আমি দেখেছি যারা বিসিএসে ভালো করেন তাদের মোটামুটি অনেকেই ভালো ছাত্র অথবা তারা পদ্ধতিগতভাবে প্রস্তুতি নেন যার কারনে যে কোন চাকুরীর পরীক্ষায় ভালো করছেন কিংবা চাকুরী পাচ্ছেন। কিন্তু অধ্যবসায়ী কিংবা নিয়মিত ছাত্র নন কিংবা ভালো ছাত্র নন কিংবা একেবারেই পদ্ধতিগতভাবে পড়াশুনা করেননি এমন ছাত্র-ছাত্রীরা খুব কম ক্ষেত্রেই চাকুরী পেয়েছেন। অনেকগুলো কোচিং সেন্টারে দৌড়াদৌড়ি করে, একাডেমিক পড়াশুনা বাদ দিয়ে দিনরাত সাধারন জ্ঞান মুখস্থ করে, টেবিলের উপর নোট গাইডের পাহাড় জমিয়েও চাকুরী পাচ্ছেন না। ক্ষেত্রবিশেষে প্রিলি পাস করলে, লিখিত পরীক্ষায় বাদ কিংবা লিখিত পরীক্ষায় পাস করলে ভাইভায় বাদ। ফলাফল হতাশা...কিংবা টাকা, মামুর জোড় কিংবা কোটা ছাড়া চাকুরী হয়না এমন ধারনায় দৃঢ় বিশ্বাস!!! এসব যে একেবারেই নেই তা নয় কিংবা আমি অস্বীকার করব না। অনেকসময়ই হতাশার ফলে চাকুরী না পাওয়া বেকার ছাত্র-ছাত্রীরা বিভাগকে বকেন, শিক্ষকদের গালাগালি করেন, সরকারকে বকেন, শিক্ষাব্যাবস্থাকে দোষারোপ করেন। আসলে আমি যেটা বলতে চাই তা হলো এর পিছনে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের দায় কিংবা পদ্ধতিগত চিন্তার শৃঙ্খলার অভাব। সেই বিষয়ে আমি মত প্রকাশ করতে চাই...আমার বিভাগকে উদাহরন হিসেবে নিয়ে আসব লেখার বিভিন্ন অংশে....

১। একাডেমিক সিলেবাস শেষ না করে কি কোন ছাত্র-ছাত্রী জাতীয়, আন্তর্জাতিক কিংবা বাংলাদেশ বিষয়ে জ্ঞানী হওয়ার সুযোগ আছে? আমি মনে করি বেশিরভাগ ছাত্রই তা পারবেনা। আমার বিভাগ ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগে একজন ছাত্র-ছাত্রী যখন পড়বেন নুন্যতম তার অনেকগুলো বিষয়ে যোগ্যতা তৈরী হবে। যেমন: কেউ যদি ‘বাংলাদেশ স্ট্যাডিজ’ কোর্সটি পড়েন তবে তার বাংলাদেশের সমসাময়িক ইতিহাস, প্রাচীন বাংলার উৎপত্তি, ব্রিটিশ কিংবা মুঘল আমলের রাজনীতি, অর্থনীতি সংস্কৃতি কিংবা পাকিস্তান আমলের ইতিহাস বিশদভাবে জানা সম্ভব। এই একটি কোর্স থেকেই অভিবক্ত বাংলা, ভারতবর্ষ কিংবা পাকিস্তানের রাজনীতি অর্থনীতি সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান হতে পারে। আমার প্রশ্ন কেউ যদি মনোযোগী ছাত্র হন তবে সে এর মাধ্যমেই ইতিহাস, রাজনীতি ও সমসাময়িক বাংলার ইতিহাস ও ইতিহাস বিষয়ে বিতর্কগুলো জানতে পারেন। এই প্রস্তুতি প্রিলি, লিখিত কিংবা ভাইভা সবক্ষেত্রে সমানভাবে কাজে লাগতে পারে।

আবার ধরুন একজন ছাত্র ‘সন্ত্রাসবাদ’ কোর্সটি পড়লেও একইভাবে সমসাময়িক অনেক ইস্যু সম্পর্কে জানতে পারে। যেমন: আরব বসন্ত, অাইসিস, তালেবান, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদ, বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী ইস্যু, শান্তিচুক্তি, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর অভ্যুদয়ের ইতিহাস ও কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবেন। ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড সমস্যা, রুয়ান্ডা সমস্যা, শিয়া-সুন্নী-কুর্দি দ্বন্ধ-সংঘাত, সিংহলিজ-তামিল বিদ্রোহের ইতিহাসসহ বহু কিছু আছে যা একজন ছাত্র-ছাত্রী দশটি কিংবা বিশটি গাইড বই কিংবা কারেন্ট অ্যাফেয়ারস মুখস্থ করে পড়েও জানা সম্ভব নয়!!!!

একইভাবে উন্নয়নের সমাজবিজ্ঞান, পলিটিক্স এন্ড জেনারেল এ্যাডমিনিস্ত্রেশন ইন বাংলাদেশ, ক্রিমিনোজীক্যাল থট, পুলিশ স্টাডিজ, ক্রিমিনাল জাস্টিজ সিস্টেম, পেনাল কোড, ফরেনসিক, পলিটিকস এন্ড ক্রাইম, কম্পারেটিভ পুলিশিং, জুবেনাইল ডেলিকোয়েন্সিী কোর্সগুলো পড়েও এমন প্রস্তুতি হতে পারে যা প্রিলি, লিখিত কিংবা ভাইভা সব পরীক্ষায় কাজে লাগবে।
অনেক ছাত্র-ছাত্রীই ভালো চাকুরীর পরীক্ষা দিয়ে এসে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ‘স্যার আপনি সবুজ বিপ্লব, এমডিজি পড়িয়েছেন আমাদের বিসিএস পরীক্ষায় আসছে’ ‘স্যার আরব বসন্ত, আইসিস, WTO, শাহবাগ, বুয়াজিজি আমাদের কাজে লাগছে’ ‘স্যার দৃষ্টবাদ, জরিপ, শান্তিচুক্তি আমাদের পরীক্ষায় আসছে। আমি মনে করি শুধু ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স নয় যে কোন বিষয় সেটা রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি, বাংলা ইংরেজী এমনকি পদার্থ রসায়নের একাডেমিক নলেজও ছাত্র-ছাত্রীদের কাজে লাগবে ১০০%। এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেবাসগুলো তৈরী করা। কোন ছাত্র-ছাত্রী যদি ৪-৫ বছরে এই সিলেবাসগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন তবে তার যেকোন বিষয়ে দক্ষতা গড়ে উঠতে বাধ্য যা তাকে যেকোন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করবে। কিন্তু আপনি যদি গাইড পড়েন তবে সরকারী চাকুরীর জন্য এক গাইড, বেসরকারীর জন্য আরেকটি; ক্যাডার চাকুরীর জন্য একটি, নন-ক্যাডারের জন্য আরেকটি গাইড কিনবেন। লিখিত পরীক্ষার জন্য একটি, প্রিলির জন্য আরেকটি এবং ভাইভার জন্য আরেকটি গাইড কিনেও কোন কুল-কিনারা পাবেন না। বিভিন্ন চাকুরীর জন্য তো বিভিন্ন গাইড কোচিং আছেই। আছে পুর্নকালীন কোচিং, আছে ক্রাস প্রোগ্রাম। কোচিং করে একজন ছাত্র একটি বিষয়ে পাস করলেও সামগ্রিকভাবে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভায় ভালো করার সম্ভাবনা কম। কারন যে ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত পরীক্ষা কিংবা ভাইভায় ভাল করবেন না তার বিসিএসে লিখিত কিংবা ভাইভায় ভালো করার সম্ভাবন খুবই ক্ষীন। এখানে যে একজন শিক্ষকের সামনে স্মার্টলি ভাইভা দিতে পারে না বিসিএস ভাইভায় ঝানু প্রফেসর আমলা ও কর্মকর্তাদের সামনে ভালো ভাইভা দিবেন তা নিছক কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা পদ্ধতি একজন ছাত্র-ছাত্রীকে ভাইভা, প্রেজেন্টেশান, এ্যাসাইনমেন্ট, লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে তৈরী করে। সো এখানে কেউ সৎভাবে সেগুলোর চর্চা করে কেউ ভবিষ্যতে ঠকবেনা। তাই আমি মনে করি ফাকি দিয়ে কোচিং কিংবা গাইড মুখস্থ করার অভ্যাস বাদ দিয়ে একাডেমিক পড়াশুনায় মনোযোগ দিলেও সামগ্রিক চাকুরীর প্রস্তুতিও হয়ে যায়।

২। একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি যে ছাত্র-ছাত্রী কোনদিন পেপার পত্রিকা, সংবাদ-নিউজ, কিংবা মিডিয়া কভারেজের উপর খবরাখবর না রাখে তারা কি কোনদিন কোন মানুষকে মুগ্ধ করতে পারবে? আমি দেখেছি অনেক ছাত্র-ছাত্রী পত্রিকা পর্যন্ত পড়তে পারেন না। কিভাবে প্রথম পাতা থেকে পত্রিকার দশম পাতার তিনের কলাম খুঁজে বের করতে হয় তা জানেনা। ফিচার, প্রতিবেদন ও কলাম, সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় বিষয়গুলোও ঠিকমত বুঝেনা। পত্রিকা কালে ভদ্রে পড়লেও সংস্কৃতি-সিনেমার রসালো খবর, খেলার পাতা ও খিস্তি-খেউর সম্পর্কির কৌতুক ভাড়ামোর পাতা দেখেই শেষ। কারেন্ট অ্যাফেয়ারস শুধু না পড়ে পত্রিকা, লিটল ম্যাগ, ত্রৈমাসিক, পাক্ষিকগুলোর উপর চোখ রাখুন। দেশি-বিদেশী নিউজ চ্যানেল ও অনলাইন লার্নিংয়ের দিকে মনোযোগ দিন। অবশ্য আমাদেরও দায় আছে এসব ব্যাপারে। হলে হলে ও লাইব্রেরীতে এসবের যোগান দিতে পারিনা কিংবা দেওয়ার ইচ্ছেও নাই। অামি ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের নিউজপত্র রুমে ২৩ টির বেশী দৈনিক পত্রিকা, ১৫ টির বেশি সাপ্তাহিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক পত্রিকা দেখেছি। শুধু তাই নয় টাইম, নিউজউইক সহ অনেক বিদেশী নিউজ নিয়মিত রাখতে দেখেছি!!!!

৩। একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-রাজনীতি-ইতিহাস-দর্শন বিষয়ে পড়াশুনার অভ্যাস গড়ে তুলুন তবেই সামগ্রিক জ্ঞানের বিকাশ হবে আপনার। কেউ যদি বাট্রান্ড রাসেলের ‘পাশ্চাত্যে দর্শনের ইতিহাস’ দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের ‘যে গল্পের শেষ নেই’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রাশিয়ার চিঠি, চোখের বালি কিংবা ছিন্নপত্র’ অভিজিৎ রায়ের ‘আলো হাতে চলিয়াছে আধারের যাত্রী’ দ্বিজেন শর্মার ‘চার্লস ডারউইন ও বিবর্তনের পথ ধরে’ শেক্সপিয়রের ‘ওথেলো‘ ‘হ্যামলেট’ শাহাদুজ্জামানের ‘ক্রাচের কর্নেল’ কিংবা মুনির চৌধুরীর ‘রক্তাত্ব প্রান্তর’ তবে আর মুখস্থ করতে হবেনা গাইড বই। পড়তে হবে না এমন করে যে, ‘To be or not to be that's the question' কোটেশনটি কোন নাটকের? কিংবা এমন তথ্য যে, ‘অরিজিন অব স্পিসিস’ বইটি কত সালে প্রকাশিত? অথবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রাশিয়ার চিঠি’ কি বিষয়ে লেখা? অথবা ৭ নভেম্বর কি? আমি মনে করি শিল্প সাহিত্যে রাজনীতি ইতিহাস দর্শন বিষয়ে পড়াশুনা মানুষের চিন্তার দুয়ার খুলে দিতে পারে। তথ্য-উপাত্ত ও জ্ঞানের সুষমায় আলোকপ্রাপ্ত হতে পারে মানুষ।

৪। পড়াশুনার পাশাপাশি কিছু স্কিল দরকার চাকুরীর জন্য যেগুলো হতে পারে সাধারন বিষয় যেমন: তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞান, ভাষা শিক্ষা, গ্রন্থাগার ও ইন্টারনেট ব্যাবহার অথবা আপনি যে সাবজেক্টে পড়ছেন তার সাথে সম্পর্কিত বিষয়। যেমন একজন ছাত্র সমাজবিজ্ঞানে পড়ে অথচ এসপিএসএস পারেনা, আবার একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ে কিন্তু অটোক্যাড পারেনা কিংবা ইকোনেমিক্সে পড়ে কিন্তু ইকোনোমেট্রিকস পারেনা। চাকুরীর জন্য স্কিল খুব নেসেসারী বিষয়। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা অবশ্য ভাষা জ্ঞানের চর্চা করে খুব কিন্ত দুঃখের বিষয় বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী শুদ্ধ বাংলা ভাষা বলা, লিখায় পারদর্শী নয়। আপনি ইংরেজী শিখবেন কিন্তু সঠিক বাংলা লেখা কিংবা বলায় পারদর্শী হতে হবে। আমি হলফ করে বলতে পারি শতকরা ৯৫% ছেলে মেয়ে সঠিকভাবে কম্পিউটারে ভালো বাংলা লিখতে পারেনা। অথচ আমাদের সরকারী দপ্তরের ভাষা বাংলা। এখানে ভালো বাংলা লিখতে পারাটা বাধ্যতামূলক। আপনি ইংরেজী শিখছেন সেটাও ভালো করে শিখুন।
৫। ম্যাথ, বাংলা, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রস্তুতি এবং পূর্বের জ্ঞান চর্চার জন্য জুনিয়র ছাত্রছাত্রী পড়ানো একটা ভাল স্ট্রাটেজি হতে পারে!!! যদিও অনেক ভাল ছাত্রছাত্রীরাও টাকা পয়সা কামানোর জন্য টিউশন করে!!! তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে টিউশন কোনভাবেই দুয়েকটির বেশী হবেনা...কারন তাতে একাডেমিক লাইফের ক্ষতি হয়, রেজাল্ট খারাপ হয়!!!

অতএব বিসিএস কিংবা যে কোন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার জন্য হায়-হুতাশ না করে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিন...একাডেমিক পড়াশুনা প্রতি সর্বোচ্চ মনেযোগী হোন...কোনভাবেই ডিগ্রী শেষের আগে একাডেমিক পড়াশুনায় মনোযোগের ঘাটতি দেবেন না তবে শেষে পস্তাবেন, হতাশ হবেন ও নিজেকে চাকুরীর জন্য অযোগ্য মনে করবেন। একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি সঠিকভাবে প্ল্যান করে জীবন গড়ে তুলুন ও সামগ্রিক যোগ্যতা গড়ে তোলার ব্যাপারে মনোযোগী হোন। গাইড, কোচিং ও ক্রাশ প্রোগ্রামের উপর নির্ভরশীলতা কমান কারন বিসিএস কিংবা ব্যাংক চাকুরী বা অন্যান্য চাকুরী কখনোই তিন মাস কিংবা ছয় মাসের প্রস্তুতিতে আসবেনা। সঠিকভাবে প্রস্তুতিই হয়তো পারে ১০০০০০ কিংবা ১০০০ এর মধ্যে প্রমান করতে যে আপনি যোগ্য। যদি এই যোগ্যতা পূরণ করতে না পারেন তবে আপনি অযোগ্য!!! আর পুঁজিবাদী ব্যবস্থা কোন অযোগ্য লোককেই চাকুরী দিবেনা!!! বিদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসররা ছাত্রদের চাকুরী নিয়ে ক্লাশ রুমে কিংবা সেমিনারে কথা বলেননা, তারা ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক পড়াশুনা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করতে বলেন কিন্তু আমি বললাম এই জন্য যে, অনেককেই এসব বিষয়ে হতাশ কিংবা ভূল পথে চলতে দেখি!! সবাইকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করার জন্য নিরন্তর শুভ কামনা জানাই!!!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

কবির আহমেদ (কবির) বলেছেন: ইতিবাচক পরামর্শ দেওয়ার জন্য, আপনাকে ধন্যবাদ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

জিহাদ মুহাম্মদ বলেছেন: জনাব কবির আহমেদ (কবির) আপনাকে ধন্যবাদ...আসলে কাউকে জ্ঞান দেয়ার জন্য লেখাটি পোষ্ট করিনি কেউ একজন যদি এ বিষয়ে আগ্রহ দেখান তবেই আমি খুশি!!! আবারও ধন্যবাদ!!!

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো একটা আর্টিকেল পড়লাম। এখন যাদের কাজে লাগবে বিবেচনায় এই তথ্যবহুল ও শ্রমসাধ্য পোস্টটি লিখেছেন, তারা পড়ে নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করলেই আপনার শ্রম সার্থক হবে বলে মনে করি।

ধন্যবাদ।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

জিহাদ মুহাম্মদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই জন্য যে আপনার ভালো লেগেছে!!!

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভালো লেখা ধন্যবাদ

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৮

জিহাদ মুহাম্মদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.