নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাক্তার আর সাংবাদিক দু'জনই যখন সমাজ সেবক

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

৫ জানুয়ারীর সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর ওনার বিভিন্ন বক্তব্য বিবৃতি শুনে মনে হচ্ছিল স্বাস্থ্য খাতে সুবাতাস বইবে ফিরে আসবে স্বচ্ছতা। স্বচ্ছতার কথা বলছি এই জন্যই যে আগেরবারের স্বাস্থ্য-মন্ত্রীর স্বচ্ছতা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছিল।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে মানুষের যে হতাশা তার একটি বড় কারণ হলো ডাক্তারদের পেশাদারিত্বর অভাব। চিকিৎসকদের একটি বিরাট অংশ যখন রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তখন আর চিকিৎসাবিদ্যার মতো কঠিন একটি বিষয় শেখার আর সময় কোথায়? পাশাপাশি সাংবাদিকদের একটি বড় অংশের নীতি নৈতিকতা নিয়ে সমাজে মানুষের ভেতর নেতিবাচক মনোভাব থাকার যতেষ্ট কারণ ও যুক্তি রয়েছে।

নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, ‘শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের হাতে কেন লাঠি থাকবে? লাঠি থাকবে তো পেটোয়া গুণ্ডাদের হাতে।’

কিন্তু কেন একজন নবীন চিকিৎসক বেপরোয়া ভাবে সহিংস হয়ে ওঠে তার কারণ ও সমাধান কি তা কেন কেউ বলে না বা ক্ষতিয়েও দেখে না। আমার প্রশ্ন এটাই যে সমস্থ ভালো ভালো ছাত্ররা মানুষের সেবা করার অভিপ্রায় নিয়ে চিকিৎসক হয়ে ডাক্তারি পেশাকে বেছে নিলেন তারাই আবার এত বেপরোয়া এত হিংস্র হয়ে মানুষ পিটিয়ে রক্তাক্ত করে , আহত করে , ঠেলে দেয় মৃত্যুর ঝুকিতে।

কিন্তু বিষয়টি স্বাভাবিক অবস্তায় নেই , গত পক্ষে বারডেমে এবং এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক) আবার ঘটল কথিত চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুজনিত অনভিপ্রেত ও অপ্রীতিকর ঘটনার।আমি কথিত বললাম এই কারণে কোন চিকিৎসক আমার জানা মতে তার রোগীকে অবহেলা করতে পারে না , ব্যতিক্রম যে নেই তা বলছি না।

চিকিৎসকরা হঠাত করে সাংবাদিকদের উপর বেপরোয়া হতে গেলেন কেন ?

চিকিৎসায় অবহেলা, রোগী ও তার আত্মীয়স্বজনের প্রতি অসদাচরণ, অপ বা ভুল চিকিৎসা, চিকিৎসার নামে টেস্ট বাণিজ্যের মতো অগ্রহণযোগ্য বেআইনি বিষয়াবলি নিয়ে গণমাধ্যমে কিছু লেখা বা প্রকাশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকা বা টিভি মাধ্যমে প্রচার হয়েছে , এটাই কি সাংবাদিকদের অপরাধ ছিল নাকি অন্য কোনো সমস্যা। তবে আর যাই হউক সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলার মজা নতুন চিকিৎসকরা বেশ ভালই টের পাচ্ছেন। যদিও সাংবাদিকরা তাঁদের প্রিয় সহকর্মী সাগর-রুনি খুনিদের ব্যাপরে কিছুই করতে পারল না , পারলনা কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে তাঁরা এবার ডাক্তারদের উপর বেশ চড়াও হয়েছে। বাংলাদেশে সাংবাদিকরা মার খাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এই দেশে সাংবাদিকরা কখন কার হাতে মার খেয়েছে তার বিষধ একটা বর্ণনা রয়েছে বিখ্যাত সাংবাদিক Probhash Amin প্রভাষ আমিনের লেখা " প্রধানমন্ত্রীই যেখানে অসহায় " বইটিতে “প্রধানমন্ত্রী নিজেই যেখানে অসহায়” নামের প্রবন্ধে। লেখক সেখানে অত্যন্ত সুন্দর ও তির্যক ভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন এবং কড়া সমালোচনা করেছেন সরকারের। লেখাটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল সরকারী দলীয় এক এমপি দ্বারা সাংবাদিক আক্রান্ত হওয়ার পরে , যখন ওই এমপি সাংবাদিক পেটানোর অপরাধে গ্রেপ্তার হন। অবশ্যই ওই লেখাটি পড়লে আমরা বুঝতে পারব কেন সাবেক ওই এমপি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। যাক সেই আলাপ। এখন প্রসঙ্গ ডাক্তার আর সাংবাদিক নিয়ে।

এই গত কয়দিন ধরে সাংবাদিক এবং চিকিৎসকদের অনভিপ্রেত ও অপ্রীতিকর ঘটনার সুযোগ নিয়ে দেশে অস্থিতিশীল একটি পরিস্থিতি তৈরি করতেই একটি মহল সাংবাদিক আর চিকিৎসক এই দুই শ্রেণীকে মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে। টেলিভিশনের একটা অনুষ্টানে শুলাম ডাক্তারদের একজন নেতা লাইভ বলছিলেন সাংবাদিক এবং ডাক্তার দু'জনই বন্ধু , দু'জনই সমাজের সেবা করে যাচ্ছেন। আমিও পুরাপুরি একমত ওনার কথায়।তবে উনি রোগীর কথা বলেননি যে রোগীরা কার দারস্থ হবে। আমার মনে হলো ডাক্তাররা সাংবাদিকদের সলিমুল্লায় পিটালো রামেক এ পিটালো এর একটা ব্যালেন্স করতেই এই রকম বলেছেন। কারণ বস্তুত বন্ধুসুলভ আচরণ বর্তমানে কেউই কারো সাথে করে না। সুযোগ পেলেই আক্রমন করি।

সাংবাদিক বলি আর ডাক্তার বলি তাঁরা অন্য গ্রহের মানুষ না । এদের মধ্যে ভালো , খারাপ থাকতে পারে , এবং এই অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই আছে। এই ভালো খারাপের মাজে নতুন যোগ হয়েছে কর্ম বিরতি আর ধর্মঘট। যা জনজীবনকে দুর্বিসহ করে ফেলে। আমরা পেশাকে পেশার জায়গাতে রাখি , যেই পেশা নিয়ে আমরা পরিবার স্বজন নিয়ে বেছে থাকি সেই পেশাকে সম্মান করতে শিখি সাথে যেন অন্য কারো পেশাকেও অমর্যদা না করি। বাঁচতে হলে সমাজে বসবাস করতে হলে ডাক্তার , সাংবাদিক সবাইকে লাগবে সাথে রোগীও থাকবে। হাজারো রোগীর ভিড়ে যেন আমরা কেও অসুস্থ রোগী না হই। রোগীর রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে সরানো যায় কিন্তু অসুস্থ রোগীর অসুখ সরানোর নয় বরং ছোয়াচে। তাই এই বিতর্ক এখানেই বন্ধ করা উচিত।

ভালো মন্দ মিলিয়ে আমরা “মানুষ” ও “ বাঙালী” এবং আমরা "বাংলাদেশী "। কোণো পেশাই খারাপ হতে পারেনা – অনৈতিক-অশোভন কর্মকাণ্ড ছাড়া । তাই আসুন রোগী ধর্মঘট , ইন্টার্নই ধর্মঘট , কলম বিরতি এগুলো থেকে আমরা সরে আসি , এই গুলুকে আমরা না বলি কোণো পেশার লক্ষ্যই – “ মানুষকে কষ্ট দেওয়া না’’ লক্ষ্য পেশা নিয়ে বেঁচে থাকা।

আমি নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সেই কথায় ফিরে আসতে চাই "শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের হাতে কেন লাঠি থাকবে? লাঠি থাকবে তো পেটোয়া গুণ্ডাদের হাতে।"

আমরা কারো হাতেই লাঠি দেখতে চাই না। কারণ লাঠি দিয়ে কোনো পেশা বাংলাদেশে আছে কিনা আমার জানা নেই। তাই লাঠির চর্চা এখনই বন্ধ করতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সাংবাদিক ভাইয়েরা মাইন্ড কইরেননা।





নিন্দুকের ভাষায় সাংবাদিক হল সাংঘাতিক।।

নিন্দুকেরা কয় ---- সাংবাদিক আর পুলিশের মধ্যে নাকি পার্থক্য নেই। পুলিশ যেমন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে তেমনি সাংঘাতিকরাও ধারণ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে ব্লাক মেইল করে।

তবে ব্যাতক্রম তো অবশ্যই আছে।---- এইটা আমার কথা।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

ফিলিংস বলেছেন: টম এন্ড জেরি কার্টুনের মত টম যেমন জেরিকে মুরগির রানের মত সুস্বাদু খবার দ্যাখে, সাধারন মানুষ কে সাংবাদিক এবং চিকিৎসক ১ হাজার টাকার নোটের বান্ডেলের মত দ্যাখে। মাংসের জন্য হায়েনা & বাঘের লড়াই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.