নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআন তিলাওয়াত এবং শোনার ফজিলতঃ

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

পবিত্র রমজানে অধিকাংশ মসজিদেই তারাবিহর সালাতে পবিত্র কোরআন খতম করা হয়। তারাবিহর সালাতে কোরআন খতম করা মোসত্দাহাব। আমরা এ পদ্ধতির তারাবিহকে 'খতমে তারাবিহ' বলে থাকি। মূলত এটাকে বলা উচিত 'খতমে কোরআনের তারাবিহ'। সিয়াম সাধনাকারীর জন্য এটি অধিক সওয়াব লাভের অপূর্ব সুযোগ। এ মাসেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। আল্লাহতাআলা ইরশাদ করছেন : 'রমজান মাস হচ্ছে যে মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে।' (বাকারাহ-১৮৫)। কোরআন নাজিলের পরশে মাসটি হয়েছে মহিমান্বিত, এর একটি রাত হয়েছে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম, যার নাম 'লাইলাতুল ক্বদর'। সুতরাং এ মাসেই গোটা কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ও মুসলিস্নদের তিলাওয়াত শুনিয়ে অধিক সওয়াবের ভাগী হওয়ার জন্য তারাবিহর সালাতে কোরআন খতমের অবদান অনস্বীকার্য। আর এ পুণ্যবান অভ্যাসটি ছিল সাহাবায়ে কেরাম ও তৎপরবর্তী যুগসমূহের নেক বান্দাদের। এ খতমে কোরআনকে কেন্দ্র করে মুসলিস্নগণ ইমামের পেছনে পুরো ২০ রাকাত তারাবিহর সালাত আদায়ে সৰম হন। রাসুলুলস্নাহ (সা.) হাদিসে ইরশাদ করেছেন : যে ব্যক্তি রমজানে ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় তারাবিহর সালাত আদায় করবে তার বিগত জীবনের গোনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়।' (বুখারি ও মুসলিম)। যারা দুর্ভাগ্যবশত কোরআন তিলাওয়াত করতে জানেন না তাদের জন্যও কোরআন নাজিলের মাসে তিলাওয়াত শোনার বিশেষ সৌভাগ্য হচ্ছে তারাবিহর মাধ্যমে। আর পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শ্রবণে রয়েছে নিশ্চিত ফজিলত ও রহমত লাভের উপায়। আল্লাহতাআলা ইরশাদ করেছেন :

'যখন কোরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে উহা শ্রবণ করবে এবং নিশ্চুপ হয়ে থাকবে, যাতে তোমরা রহমত প্রাপ্ত হও।' (আরাফ-২০৪)।

ইসলাম ধর্মের মূল গাইড লাইন হলো পবিত্র কোরআন। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত এ গ্রন্থ সমগ্র মানবজাতির জন্য নাজিল হয়েছে। বিশ্বে অসংখ্য ধর্মগ্রন্থ থাকলেও কোরআন সত্যিকার অর্থেই তুলনাহীন। ১৪০০ বছর আগে নাজিল হওয়া এই পবিত্র গ্রন্থের একটি অক্ষরও আজ পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়নি। এ কৃতিত্ব অন্য কোনো ধর্মগ্রন্থের নেই। কেয়ামত পর্যন্ত এ বিধান বহাল থাকবে।

হাদিসে এরশাদ হয়েছে, 'তোমাদের মধ্যে কেউ যদি আল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে চায় তবে সে যেন বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করে।' যে ব্যক্তি কোরআন তেলাওয়াত ও মুখস্থ করেছে তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ। এ মর্মে রাসূল(সঃ) বলেন, 'কিয়ামতের দিন কোরআন তিলাওয়াতকারীকে বলা হবে, কুরআন তিলাওয়াত করতে করতে জান্নাতে প্রবেশ করতে থাক।' সুতরাং কোরআন পাঠ জান্নাতে প্রবেশের উছিলা।মহানবী (সঃ) বলেছেন, 'ইবাদতসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত হচ্ছে কোরআন পড়া। তিনি আরো বলেন, তোমরা কোরআন পড়। কারণ কিয়ামতের দিন এই কোরআন স্বীয় পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে।' (মুসলিম)



মহানবী (সঃ) তার অনুসারীদের বলেছেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কোরআন শেখে ও অপরকে শিক্ষা প্রদান করে।' (বুখারী)



মিশকাত শরীফে বর্ণিত আছে, 'লোহায় পানি লাগলে যেমন মরিচা ধরে তেমনি মানুষের অন্তরসমূহেও মরিচা ধরে। মহানবীকে (সঃ) জিজ্ঞাসা করা হলো 'হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর প্রতিষেধক কি? উত্তরে মহানবী (সঃ) বললেন, মৃত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করা এবং কোরআন তিলাওয়াত করা।'



কোরআন তিলাওয়াত মানবাত্দাকে পরিশুদ্ধ করে। মনে আনে অফুরন্ত ও অনাবিল প্রশান্তি। কোরআন তেলাওয়াত করা মুমিনদের জন্য সওয়াবের কাজ। এ মর্মে রাসূল (সঃ) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করে তার জন্য ১০টি নেকী রয়েছে।' (তিরমিযী)



কোরআন হলো জ্ঞানের সাগর। জ্ঞান আহরণ এবং আল্লাহর প্রদর্শিত পথে চলার জন্য কোরআন পাঠের কোনো বিকল্প নেই। কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সংলাপ করা হয়।

রাসূল (সঃ) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি কোরআন শিক্ষা করেছে এবং তাতে যা আছে তদানুযায়ী আমল করেছে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তির পিতা-মাতাকে এমন একটি নূরের মুকুট পরিয়ে দেবেন যার আলো সূর্যের আলো হতেও অধিকতর উজ্জ্বল হবে। আমাদের দুনিয়ার গৃহে সূর্যের কিরণ পতিত হলে ঘর যেরূপ আলোকিত হয়, তার আলো তদাপেক্ষা অধিক উজ্জ্বল হবে। রাসূল (সঃ) বলেছেন, কোরআন তিলাওয়াতের বরকতে অনেক লোক উন্নতি করবে, আর অনেক লোক অবহেলার কারণে লাঞ্ছিত হবে।' সহীহ হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ভালোভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে জানে না, পড়তে গিয়ে পুনঃপুনঃ আটকে যায় এবং তোতলায়, তার জন্যও দ্বিগুণ সওয়াব রয়েছে।'

রাসূল (সঃ) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি কোরআন শরীফ পড়বে ও তা হেফাযত করবে এবং তার হালালকৃতকে হালাল ও হারামকৃতকে হারাম জেনে চলবে আল্লাহপাক তাকে জান্নাতে স্থান দেবেন এবং তার আত্বীয়বর্গের মধ্য হতে এমন দশজন লোকের জন্য তার সুপারিশ গ্রহণ করবেন, যাদের জন্য জাহান্নাম সাব্যস্ত হয়েছিল। কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।

আমি আবার সুরা আল আ’রাফ এর ২০৪ আয়াতের রেফারেন্স দিলাম। আশাকরি এতে করে কোরআন তিলাওয়াত করা এবং শোনার ফজিলত সম্পরকে সামান্য ধারনা রাখতে সহজ হবে।



وَإِذَا قُرِىءَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُواْ لَهُ وَأَنصِتُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়।

When the Qur'an is read, listen to it with attention, and hold your peace: that ye may receive Mercy.



ভবিষ্যতে আর রেফারেন্স পেলে জানাব ইনশা-আল্লাহ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

গোধুলী রঙ বলেছেন: আমার বাসার হাটা দুরত্বে ৪ টা মসজিদ। তারাবীর নামাজে হাফিজ সাহেবরা যে স্পিডে কোরান পড়েন তাতে কি সওয়াব হয় আমি জানি না তবে কোরান অবমাননা যে হয় সেটা নিজের বুদ্ধিতেই বুঝতে পারি। আমাদের চিংড়িব্রেন সম ধার্মিক মন সেটা বুঝতে পারে না, তাই এসি রুমে/ফ্যানের নিচে দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঝিমায় আর ওঠবস করে। দুঃখিত, এই ধরনের সালাত কে কোন আলেম সালাত বলবেন না, বরং হাদিসের বানী শুনেছি কেয়ামতের ময়দানে এই সালাত গুলো মুখের উপর ছুড়ে মারা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.