নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা শরণার্থী

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

মিয়ারমারে সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে শত শত রোহিঙ্গা শরণার্থী , সতর্ক অবস্থানে বাংলাদেশ, তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন।

বাহ! দারুন মানবিক বাংলাদেশ। পৃথিবীতে রোহিঙ্গারা কীট পতঙ্গের অধিকার নিয়েও আসেনি বিশেষ করে মুসলিম রোহিঙ্গারা।

ঘটনা হচ্ছে চলতি বছর অক্টোবরের ৯ তারিখে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি চেকপোস্টে সন্ত্রাসীদের হামলায় নয় পুলিশ সদস্য নিহত হন। এরপর মিয়ানমারের সরকার হামলাকারীদের খোঁজে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ শুরু করে। মুলত এই ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ এর নামে রাখাইন রাজ্যে জাতিগত দমনপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেখানে ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া, নারীদের ধর্ষণসহ নানান ধারার শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন চলছে। ২০১২ সালে ওই রাজ্যের জাতিগত দাঙ্গায় শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত হওয়ার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানে চরম উত্তেজনা দেখা গেছে।

এক প্রতিবেদনে দেখেছি মায়ানমার সেনাবাহিনী গ্রামে হামলা চালালে পুরুষরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়, আর সেনাবাহিনী লুটতরাজে মেতে উঠে। আর নারীরাত পালাতে পারে না! তখন মায়ানমার সেনাবাহিনীর ধর্ষণ উৎসব শুরু হয়। বালিকা থেকে বৃদ্ধা কেউই রেহায় পায় না। বয়স যা হউক ১২,১৯, ২৩ বা ৩০ সবাই মায়ানমার সেনাবাহিনীর ধর্ষনের শিকার। তারা ধর্ষীতাদের ফেলে রেখে বাকি নারীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তার পরের খবর কই সবার জানা !


আরো ব্যাপার হচ্ছে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করে সেখানে স্থানীয় রাখাইন জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে , কারন রোহিঙ্গারা হচ্ছেন মুসলিম তাই তাদের পৃথিবীতে বসবাস করার অধিকার নেই।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে শিশুদের অবস্থা সবচেয়ে করুন। তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবারও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না , দেওয়ার কেউই নেই দেখার ও কেউ নেই।

এরই মাঝে মিয়ানমারের কেন্দ্র সরকার ও রাখাইন রাজ্য সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবতা প্রদর্শনকেও অস্বীকার করেছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মুসলিম বিদ্বেষও সুস্পষ্ট। ৮ নভেম্বর রাখাইন রাজ্য সরকারের নির্বাহী সচিব টিন মং সুয়ে রাষ্ট্রীয় রেডিওতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। আর এই মুসলিমরা তার অংশ নয়। তোমরা বিদেশিরা কি মনে করো, আমরা তার পরোয়া করি না। আমাদেরকে অবশ্যই নিজভূমি রক্ষা করতে হবে। এরপরে আসবে মানবতার কথা।’

আসলে মানবতা কোথায়?? জাতীয় সংঘে , ইউ এস এ তে নাকি ইউকে তে?? আসলে মুসলিম মারতে পৃথিবীতে কোন মানবতার প্রয়োজন হয় না বরং মুসলিম মারটাই যেন একটা বড় মানবতা ।

আর এই মুসলমান মেরেই কথিত ‘গণতন্ত্রপন্থী’ নেত্রী অং সান সু চি শান্তির নোবেল নিয়ে আজকের অশান্তির জন্য কিছুই করতে পারছে না, করছেও না।

পুর্বের কথায় ফিরে আসি! মিয়ারমারে সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে শত শত রোহিঙ্গা শরণার্থী , সতর্ক অবস্থানে বাংলাদেশ, তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন।

যেখানে পৃথিবীর তাবৎ মানবতা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কোন মানবতা দেখাচ্ছে না সেখানে বাংলাদেশ সতর্ক অবস্থানে থেকে উচিৎ এবং ন্যায্য কাজই করেছে। পৃথিবীর তাবৎ মানবতার প্রতি অনুরোধ রোহিঙ্গাদের পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য মায়ানমারে আরেকটা এটম বোমা নিক্ষেপ করা হউক যাতে করে পুরা মায়ানমারের হিংস্রতা বিলীন হবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রোহিঙ্গা বা মুসলমান শব্দগুলো বাদ দিলেও মানুষ হিসাবে মানবতা দেখানো অবশ্যই কর্তব্য। অতীতে বাংলাদেশ সেই কর্তব্যটা ঠিকঠাকই পালন করেছে, কিন্তু পরবর্তিতে এই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী সনদ নিয়া বিভিন্ন দেশে ঢুকে বাংলাদেশীদের জন্য নানা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপকুলিয় এলাকায় হেন অকাজ নাই যে ওরা করেনা, কিছুদিন আগেও টেকনাফে এক আনসার কমান্ডারকে খুন করে ১০টার মতো অস্র ও গুলি লুট করেছে। তাছাড়া ওরা যেহেতু মিয়ানমারের নাগরিক ওদের ওখানেই থাকা উচিৎ। বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মোয়ানমার নিতে সোস্বীকার করছে, ওরা বলছে রোহিঙ্গারা নাকি বাংলাদেশী। সেক্ষেত্রে তারা একুল ওকুল দু'কুল হারানোর চাইতে নিজ দেশেই থেকে ওদের উপর অত্যাচারের বিষয়গুলো বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা উচিৎ।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৭

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: যারা রোহিঙ্গার মৃত্যুতে উৎবেগ কিন্তু সেই রোহিঙ্গারা যখন আশ্রয় চাইতে এলো তাদে ফিরেয়ে দেওয়া হলো ,ব্যপারটা বুঝলাম না

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: যারা রোহিঙ্গার মৃত্যুতে উৎবেগ কিন্তু সেই রোহিঙ্গারা যখন আশ্রয় চাইতে এলো তাদে ফিরেয়ে দেওয়া হলো ,ব্যপারটা বুঝলাম না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.