নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাল্গুন আর ফেব্রুয়ারী

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

আমার কাছে পয়লা ফাল্গুনই ছিল বাঙালির ভালোবাসা দিবস, আর প্রতিদিনই হচ্ছে ভালবাসার দিন!

যে জাতির পয়লা ফাল্গুন আছে, তার আবার ১৪ ফেব্রুয়ারির ভালেন্টাইন ডে'র কি দরকার? আমারা বাঙালিরা ১২ মাসে ১৩ পার্বনের অধিকারীর নিজস্ব সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ একটা জাতি ! নিজস্ব সংস্কৃতিতে এত সমৃদ্ধ জাতি পৃথিবীর আর কোথাও আছে কি না জানি না !
বিভিন্ন পত্র -পত্রিকা বা টিভি মাধ্যম গতকাল পয়লা ফাল্গুনকে যেভাবে সমৃদ্ধ করেছে তার চেয়ে বেশি প্রচার প্রসার হচ্ছে তথা কথিত ১৪ ফেব্রুয়ারির ভালেন্টাইন ডে'র ! কোনো কোনো পত্রিকাতে বিস্তারিত প্রতিবেদন চাপানো হচ্ছে কিভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারির ভালেন্টাইন ডে পালন করবে বয় ফ্রেন্ড বা গার্ল ফ্রেন্ড দের সাথে !

মিডিয়ার বদৌলতে আমরা সবাই ভালোবাসা দিবসের আনন্দে চাপা পড়ে গেছি। ভালোবাসা কি বিশেষ কোন দিনের জন্য নাকি জীবনের প্রতিটি মূহুর্তের জন্য, ভালবাসা কি শুধু আজকের গার্ল ফ্রেন্ড বা বয় ফ্রেন্ডদের জন্য নাকি মা ,বাবা ,ভাই বোন, স্ত্রী -পরিজন , বন্ধু বান্ধব সবার জন্য সেটা বুঝে ওঠা এখন কঠিন।বা আমরা ভুলেই গেছি আসল ভালবাসা কি?
১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসাবে পালনের জন্য স্বৈরাচারের মুখপত্র যায়যায় দিন প্রচার শুরু করে স্বৈরাচার সরকারের আমলে। ক্যাবল আর স্যাটেলাইট চ্যানেলের কল্যাণে ওনারা সফল হয়। তারা স্বার্থপর সমাজ বিচ্ছিন্ন চেতনা যুব সমাজের মধ্যে চাপিয়ে দেয়। প্রেম-ভালবাসার মত স্বাভাবিক সম্পর্ককে অতিপ্রাকৃত বিষয়ে পরিণত করে আফিম নেশার মত বুঁদ করে ফেলে।
আজকের স্যাটেলাইট চ্যানেল এবং মিডিয়ার কল্যাণে ভালবাসার ১৪ তারিখের ভালবাসার যুগলরা খুব সহজেই জেনে যাচ্ছে কোথায় কিভাবে ভালবাসার অভিসার করতে হবে , কিভাবে করতে হবে কি কি সুবিধা নেওয়া এবং দেওয়া যায় আরো অনেক কিছু ! এইসব কিছু আমরা করছি বেশ অনায়াসেই , আমাদের বিবেকে কখনই প্রশ্ন জাগে না আমরা কি ঠিক নাকি ভুল পথে আছি ! ভুলে যাই সামাজিক রীতিনীতি , পারিবারিক মুল্যভোদ আর ধর্মীয় অনুশাসন !

বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্মীয় মুল্যভোদে বিশ্বাসী দেশ ! এখানে হিন্দু ,মুসলিম বৌদ্ধ বা কৃস্টান সবাই যার যার স্বাধীনতা নিয়ে ধর্ম চর্চা করে ! ধর্মীয় অনুশাসন , সামাজিক রীতিনীতি আর পারিবারিক মুল্যভোদে বিশ্বাসী কোনো পরিবারই ১৪ ফেব্রুয়ারির ভালেন্টাইন ডে'র বেহায়াপনাকে মেনে নেয় না , স্বীকৃতি দেয় না ভিনদেশী এই সংস্কৃতিকে ! এবং পৃথিবীর কোনো ধর্ম ও সভ্য জাতি বা আশরাফুল মাখলুখাতকে এই অসভ্য হওয়ার ব্যাপারে উৎসহিত করে না ! এ ব্যাপারে আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ সুবাহানু -তাআলা বলে দিয়েছেন..

"দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষেরজন্য, আর দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য, আর সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য, আর সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্যে,__ তারা যা বলে এরা তা থেকেমুক্ত । তাদের জন্য রয়েছে পরিত্রাণ ও সম্মানজনক জীবিকা" [সূরা আন-নূরঃ ২৬]


তাই এই ভিনদেশী সংস্কৃতিকে গ্রহণ করার আগে আমাদের একটু ভেবে দেখা উচিত আমাদের নিজস্ব এত এত সংকৃতি থাকতে কেন আমরা বেহায়াপনাকে বেছে নেব কেন আমরা দুশ্চরিত্র কিংবা দুশ্চরিত্রা হওয়াকে সমর্থন করব ??
তাই আমার কছে আমার কাছে পয়লা ছিল ফাল্গুনই বাঙালির ভালোবাসা দিবস, আর প্রতিদিনই হচ্ছে ভালবাসার দিন ! ভালবাসব দেশকে , ভালবাসব পরিবারকে ভালবাসব মা-বাবা, আন্তীয় স্বজন , বন্ধুবান্ধব সবাইকে আর আমার দেশীয় সংস্কৃতিকে ! ধন্যবাদ সবাইকে , শুভকামনা যারা আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন তাঁদের সবাইকে ..

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আহা রুবন বলেছেন: বেহায়ারা বেহয়াপনা করবেই। ভালবাসা দিবস থাকুক আর নাই থাকুক। আমার কাছে ভ্যালেন্টাইন ডে-কে ফালতু একটা বিষয় মনে হয়। তবে যারা এটা পালন করতে চায়, তাদের বিপক্ষে নই। ব্যক্তি স্বাধীনতায় আমি বিশ্বাস করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.