নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্লাইওভারের চেয়ে খাল খনন বেশি জরুরী

৩১ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮



আজকে উল্টো পথে অফিসে আসলাম! অফিসের ট্রান্সপোর্ট সাধারণত আমাদের পটিয়া কালারপুল কারখানা থেকে ছেড়ে মইজ্যার ট্যেক, নতুন ব্রিজ, কালামিয়া বাজার, রাহাত্তারপুল, এক কিলোমিটার, নতুন চাঁদ গাঁ থানা, বহাদ্দার হাট, মুরাদ পুর হয়ে অফিসে আসে সিডিউল অনুযায়ী । আজকে নতুন চাঁদ গাঁ থানা পর্জন্ত গিয়ে সামনে আর আগানো সম্ভব হয়নি। কারন #মোরা'র প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত যা এতদিনের আখাঙ্খিত ছিল। তবে পুরু চট্টগ্রামের ড্রেনেজ ব্যাবস্থা এতটাই বাজে অবস্থায় যে এই কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টির পানি হজম করার শক্তি নেই। তার উপর উন্নয়নের ফ্লাইওভার ব্রিজের অসমাপ্ত নির্মান কাজের কারনেও লালখাণ বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যাবস্থা কি তা সয়ং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ বা চট্টগ্রাম সিটি কর্পরেশন কেউই জানে না মনে হয়। সাথে ওয়াসা কতৃপক্ষ ও চোখ বন্ধ করে আছে।

আমার মনে হয় আমাদের এই সুন্দর শহরের স্বাভাবিক জীবন মান বজায় রাখতে এত দামি দামি ফ্লাইওভার তইরি করার চেয়ে খাল খননের গুরুত্ব অনেক অনেক গুন বেশি মনে হয়। ইতিমধ্যেই চ উ ক এর চেয়ারম্যান মহোদয় ঈদের উপহার হিসেবে মুরাদপুর লালখান বাজার ফ্লাইওভার ঈদের আগেই চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি জানি না এই ফ্লাইওভারের সুবিদা কারা কারা পাবে? বা কারা এই ফ্লাইওভার ব্যাবহার করবে। শুরুর সময় আমরা একরকম নকশা দেখেছিলাম, আর এখন প্রতিদিন নির্মানাধীন ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় নকশা আর নির্মানাধীন ফ্লাইওভারের কোন মিল খুঁজে পাই না।

আগের কথায় ফিরে আসি! নতুন চাঁদ গাঁ থানা থেকে সামনে যখন যেতে পারছি না তখন চাক্তাই হয়ে ঊল্টো পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেম। যেতে যেতে দেখলাম রাহাত্তারপুল,কালামিয়া বাজার, নতুন ব্রিজ কোথাও পানির জট নেই। খুব স্বাভাবিক ভাবেই অফিসে চলে আসলাম। তার মানে শহরের যেই সমস্থ মানুষ বহাদ্দার হাট, মুরাদ পুর, দুই নাম্বার গেইট এলাকায় যাওয়া আসা নেই তারা শহরের এই বিরাট অংশের জলাবদ্ধাতার খবরই জানবে না। তারা মনে করবে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে , গরম কম অনুভব হচ্ছে, আল্লাহর রহমত । বৃষ্টি আসলেই আল্লাহর রহমত, কিন্তু আমাদের দায়িত্বশীল প্রতিনিধি আর দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের অদক্ষ পরিচালনার ফলে আজকের নগরবাসীর এই নাখাল অবস্থা। চ উ ক 'এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি কর্পরেশন ও বিভিন্ন ফ্লাইওভার নির্মানের ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন, অতচ শহর পরিষ্কার রাখার জন্য শহর সচল রাখার জন্য ফ্লাইওভারের চেয়ে খাল খনন বেশি জরুরী ।



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: বুঝলাম কিছুটা

৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

জুয়েল তাজিম বলেছেন: কিন্তু যাদের বুঝা উচিৎ তারা বুঝে না, ধন্যবাদ আপনাকে

২| ৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

সহীদুল হক মানিক বলেছেন: জুয়েল ভাই.আজ আমাকে আমার বাসা হালি শহর এল ব্লক থেকে আগ্রাবাদ আসতে হলো কাস্টম হাউজ নিমতলা দিয়ে ৩ গুন ভাড়া বেশী দিয়ে। এক্সেস রোডে এক কোমর পানি। এ সব দেখার কেউ নেই অথচ আমরা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছি... :D

৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:১২

জুয়েল তাজিম বলেছেন: মানিক ভাই, আপনাকে স্বাগতম ! উন্নয়নের ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য নেই। একেবারে হচ্ছেনা বললে মিথ্যা হবে। এর আগের সরকারের আমলে এক পাল মন্ত্রী কিছুই করে নি চট্টগ্রামের জন্য। এই দুঃখ এখনো আমাকে তেড়ে বেড়ায়। আপনি লালখাণ বাজার থেকে বহাদ্দার হাটের দিকে গেলেই বুঝতে পারবেন মানুষের চলাচলের কষ্ট । এই বর্ষা এলেই ভয়ে থাকি কিভাবে কাজকর্ম নিয়ে বাঁচব । এই ফ্লাইওভারের বিড়ম্বনা না করে খাল খনন আর রাস্তা প্রসস্ত করলে এই শহর অনেক সুন্দর হত।

৩| ৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

খরতাপ বলেছেন: চট্টগ্রামের রাস্তা এমনিতেই অনেক চওড়া। কৃত্রিমভাবে লাগানো না হলে এখানে জানযটের সম্ভাবনা তেমন নেই। কদমতলী আর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার সারা দিন খালি পড়ে থাকে। তারপরও এই সরকার চট্টগ্রামকে ফ্লাইওভার দিয়ে ঢেকে ফেলছে মূলত দুটি কারণেঃ
১। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কম, বেশি বেশি দৃশ্যমান উন্নয়ন করে চট্টগ্রামবাসীর মনের দখল নেওয়া।
২। পছন্দের মানুষজনকে কাজ দিয়ে তাদের হাতকে আর্থিকভাবে শক্তিশালি করা, প্রয়োজনে যাতে তাদের কাছ থেকে 'প্রতিদান' পাওয়া যায়।

৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

জুয়েল তাজিম বলেছেন: ভাই, এত সত্যি কথা বললেও আবার ঝামেলা। কাজ করছে সব অপরিকল্পিত। এই সরকারকে মানুষ এমনিতেই গ্রহন করে নিচ্ছে, হয় ভয়ে অথবা ভালবেসে। কারন চট্টগ্রামের মানুষ সবসময় বঞ্চিত উন্নয়ন থেকে।এর আগের সরকারের আমলে এক পাল মন্ত্রী কিছুই করে নি চট্টগ্রামের জন্য। সেই হ্মোব সবারই কম বেশি আছে। বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার সারা দিন খালি পড়ে থাকে তার উপর লিংক দেওয়া হচ্ছে আর কি ঝামেলা হয় আল্লায় জানে।এরা কেউই শহরের উন্নয়নের জন্য ভাবে না ভাবে শুধু পাবলিসিটির কথা।

৪| ৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ফ্লাই্ওভার বানালে মাল মানে কমিশন বেশী পাওয়া যায়, ইনকামটা অনেক বেশী সুতরাং ফ্লাইওভারই ভাল। তাছাড়া আমাদের দেশে ফ্লাইওভার বানাবার খরচ ইন্ডিয়ার খরচের ৬০ গুন সুতরাং মালটা কিরকম আসে বোঝলেন?

৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

জুয়েল তাজিম বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই, কিন্তু তাদের সত্যিটা হজোম হয় না

৫| ৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: শহর সচল রাখার জন্য ফ্লাইওভারের চেয়ে খাল খনন বেশি জরুরী ।
প্রশাসন কর্তৃপক্ষ বুঝলোনা, খালি ফেলাইওভার কইরা দেশ উন্নয়ন জোয়ারে উড়ায় ফেলাইছে।

৬| ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: উপরে ফ্লাইওভার নিচের রাস্তায় নৌকা হলে মানায় বেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.