নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুক্রে শুক্রে অষ্ট দিন শেষ !

০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৯




শুক্রে শুক্রে অষ্ট দিন শেষ!
হ্যাঁ, রাহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের পবিত্র সিয়াম সাধনার পর পবিত্র খুশির ঈদ ঈদুল ফিতরের অফিসিয়াল ছুটি ছিল ৮ দিন। এখন সন্ধ্যা নামল আর রাত পেরিয়ে ভোর হলেই আফিসের ব্যাস্ততার এক অস্থির সকাল শুরু হবে, এটাই বাস্তবতা। রুজি রোজগারের বাস্তবতায় এটাই চিরন্তনী।

এবারের ৮ দিন ছুটির পুরো ৭ দিনই গ্রামের বাড়িতে কাটিয়েছি পরিবার নিয়ে। কর্মজীবনে নির্মল ৮ দিনের ছুটি কাটানো হচ্ছেনা প্রায় এক যুগ। কিন্তু এবারের অফিস কতৃপক্ষ টানা লম্বা ছুটি দিয়ে দীর্ঘ কর্মবিরতির সুযোগ করে দিল।

আমার জন্মস্থান অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি , পাশাপাশি বিস্তর প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এলাকা। উত্তর দক্ষিনে বিস্তৃত অপরুপ বাঁশখালীর পশ্চিমে সমুদ্দুর আর পূর্বে রয়েছে সবুজ বেষ্টিত পাহাড়। সমুদ্র কিনারায় রয়েছে প্রায় ৩০ কিলোমিটার নিরবচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত যা বাঁশখালীর অন্যতম বিনোদন স্পট যেখানে ঈদ উপলক্ষ্যে হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটছে। আর অন্যদিকে রয়েছে প্রাকৃতিক অভয়ারন্য ইকোপার্ক আর বিস্তৃত চা বাগান যা প্রকৃতি প্রেমী মানুষদের বেড়ানোর জন্য মুল আকর্ষণ।

এবার রমজান মাসের শুরুতেই ঘূর্ণি ঝড় মোরার আঘাতে লন্ডভন্ড উপকূলীয় এলাকা সাথে সাথে অতিবৃষ্টির কারনে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চল। ডুবে গেছে পুকুর, মাছের ঘের সহ অসংখ্য কৃষি খামার। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেই কেটেছে বাঁশখালীর প্রান্তিক মানুষের পবিত্র সিয়াম সাধনা। তাই এবারের ঈদ ছিল চ্যালেঞ্জিং।

মুল কথায় ফিরে আসি, অনর্থ লেখা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। ঈদ চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু প্রান্তিক মানুষ গুলোর আনন্দ আয়োজনের কোন কমতি ছিল না। আথিতিয়তায় অকৃত্রিম ভালবাসায় ভরপুর গ্রামের আপনজন গুলো। আমরা যারা কাজের কারনে গ্রামের বাইরে থাকি, উৎসব আয়োজনে বাড়ি যাই তাদের জন্যে গ্রামের সব বাডি গুলোই যেন নিজের বাডি হয়ে যায়। সেই আনন্দ লিখে বোঝানো যাবে না।
শিশুদের ঈদ ছিল অপার আনন্দের, নতুন জামা, নতুন উপহার পেয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের দেখানো, শুভেচ্ছা নেওয়া, তুলনা মূলক বয়স ভিত্তিক আড্ডা এবং দলভিত্তিক ঘুরে বেড়ানো , স্মার্ট ফোনের কল্যানে ক্লিক ক্লিক সেলফি এবং তৎক্ষনাত সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে আনন্দের ভাগাভাগি করে নেওয়া, প্রিয় নেতার সাথে সেলফি, সামাজিক ব্যাস্ততা আর রাজনৈতিক ব্যাস্ততার ছবি ইত্যাদি ইত্যাদি ছিল ঈদ আনন্দের বাড়তি উপদেয়।

আমার অভিজ্ঞতার বাড়তি উপদেয় ছিল হঠাৎ সামনে এসে বলে 'ভাইয়া আস্সালামু আলাইকুম, আমি অমুক! আপনার এফ বি ফ্রেন্ড' । এফ বি প্রথমে না বুঝলেও পরে বুঝতে পারি ফেসবুক এর কথাই বলা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যম কতই না সহজ করে দিয়েছে বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন ধর্মের গোত্রের সবাইকে একই ফ্লাটফর্মে কথা বলার মতামত দেওয়ার। আবার ফেসবুকের ব্যাপারে অভিযোগ এবং কুফল ও কম নয়। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশাল এক ফ্লাটফর্ম সামাজিক মাধ্যম হিসেবে। এবার ঈদে আমি যতটুক পারি ডিজিটাল মিড়িয়া এবং সামাজিক মাধ্যমের বাইরে থাকার চেষ্টা করেছি যাতে ঈদকে যত বেশি উপভোগ্য করা যায়। তবে যতটুকু সম্ভব শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি।বাডির টেলিভিশন বাক্সবন্দী, তাই বস্তাপঁচা টিভি অনুষ্ঠান সুচি গিলতে হয় নি আর আমার এলাকায় টেলিভিশন এর ব্যাবহার খুব বেশি নয়। যা আছে তা এখনো চায়ের দোকান ভিত্তিক। তবে শুনেছি এবার ঈদে সংসদ টিভি ছাড়া তেমন কোন চ্যানেলই দর্শকের মন জয় করতে পারেনি। তবে আজকে পুরোদিন টিভি সামনে থেকে বুঝলাম ঈদ অনুষ্ঠান মালায় বিটিভি এখনো সেরা।

নির্মল ঈদের ছুটি গেল বর্ষার ভেজা মাটির গন্ধ, ভরা পুকুর, কাচা সবুজ, পুকুরের তাজা জ্যান্ত মাছ, সতেজ সবজি বা হরেক রকম সামুদ্রিক মাছ। সব মিলিয়ে অসাধারণ। আমার পুরো সময় কেটেছে আমার মেয়েকে ঘিরে। দারুন সময় কেটেছে ঈশালের। দারুন দুরন্তপনায় ব্যাস্ত ছিল।

কিছু ব্যাতিক্রম দেখেছি, সমাজে বিশৃঙ্খলা সমানে রয়েছে, আর যারা অনিয়ম করে, যারা অন্যায় করে তারা বরাবরই নির্লজ্জ। যারা অন্যায় করে তারাই নির্লজ্বের মত আচরন করে যেন তাদের সব কিছুই স্বাভাবিক। এদের মুখে নির্লজ্বতার কোন ছাপ নাই কিন্ত এরা নির্লজ্জ।

টেলিভিশন এর কোন অনুষ্ঠান কাছে টানছে না। তাই মোবাইল কি প্যাড়ে আঙ্গুল চালাচ্ছি, অনেক্ষন হলো, কি লেখা হয়েছে জানি না। সব অনর্থ হবে, এই লেখা কেউ না পড়লেই ভাল।

ছুটি একদিন হাতে রেখেই গ্রাম থেকে ফিরলাম, কিন্তু এই একদিন খুব বিরক্তিকর। আগামীকাল থেকে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে আর আমি ব্যাস্ত হয়ে যাব কাজে। গতকাল যখন ফিরছিলাম ইশাল ফিরতে চায় নি মোটেও। আর ইশালের দাদু এখনো ফিরে নি। আরো কিছুদিন গ্রামে থাকবে। ইশাল মাঝ পথ থেকে বারবার পিছনের দিকে দেখিয়ে দিচ্ছিল আর বলছিল ' বাবা বাড়ি চল'
কিন্তু চাইলেই তো বাডি যাওয়া সম্ভব নয়, আমি যাচ্ছি আগামীকাল থেকে রুজি রোজগারের বাস্তবতায়। এটাই বাস্তবতা।

কেউ পড়ার জন্য এই লেখা নয়, আমার দিনলিপী হিসেবেই লেখা। অনেকে প্রশ্ন করে এক লেখার সময় কিভাবে পাই, আমার মতে অন্যের সমালোচনা বা গীবত গল্পগুজবের চেয়ে একান্তে সময় কাটানোর জন্যা লেখালেখি বা বই পড়ার চেয়ে উত্তম কিছুই নেই। আমার এই অভ্যাসের নিন্দুকের সংখ্যাও কম নয়। নিন্দুকের মুখে ছাঁই আর শুভাকাঙ্ক্ষীর জন্য ভালবাসা দিয়েই শেষ করলাম।
ঈদ মোবারক।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

ওমেরা বলেছেন: আমি তো পড়েই ফেললাম শেষে এসে দেখলাম কারো পড়ার জন্য এ লিখা না । এখন কি হবে!! জরিমানা -টানা দিতে কিন্ত পারব না ।

ঈদ আনন্দ বেশ ভালভাবেই কাটিছেন শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ ।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

জুয়েল তাজিম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লিখতে থাকুন, কেন লিখছেন, কার জন্য লিখছেন, এগুলো মনের মাঝে ধরে রাখুন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

জুয়েল তাজিম বলেছেন: ধন্যবাদ , অনুপ্রাণিত হলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.