নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা ইস্যু ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২২





এই পর্যন্ত মোট চারটি ধাপে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে-

১ম বারঃ
১৭৮৪ সালে রাজা বোদাওপায়া আরাকান দখল করে তাঁর রাজধানী গঠন করলে

২য় বারঃ
জাপান বার্মা (মিয়ানমার) দখল করে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করলে ২২০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ প্রবেশ করে।

৩য় বারঃ
জেনারেল নে উইন ১৯৭৮ সালে অপারেশন ড্রাগন কিং-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব নথিবদ্ধ করার মাধ্যমে আদম শুমারি করার প্রাক্ষালে বিদেশিদের বাছাই করার মাধ্যমে। এই সময় প্রায় ২০০০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করে পরে GoB ও UN-এর চাপে ফেরত নিতে বাধ্য হয়। সেবারও অনুপ্রবেশকারীরা তাদের হত্যা ধর্ষনের অভিযোগ আনেন।

৪র্থ বারঃ (সবচেয়ে বেশী)
১৯৯১-৯২ সালে The State Law and Order Restoration Council (SLORC) উত্তর রাখাইন রাজ্যে মুসলিম সন্ত্রাসীদের দমনের জন্য সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়ে দেয়। এই সময় তারা বাংলাদেশ বর্ডার অব্দি নানা সামরিক স্থাপনা নির্মান করে। এই সময় রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ্য, জমি দখল, স্থানান্তর, শারীরিক নির্যাতন, হত্যা ধর্ষন করে। মসজিদ ভেঙ্গে দেওয়া হয়, ধর্মিয় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়, মুসলিম নেতাদের লাঞ্ছিত করা হয়






আর এবার গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যারা সুদীর্ঘকাল থেকে বংশপরম্পরায় বসবাস করে আসছে জন্মগতভাবে। তাদের ওপর অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসের মিথ্যা অভিযোগ তুলে নিরীহ সাধারণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তার ফলে এই পর্যন্ত কতজন রহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান কেউই দিতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। বিভিন্ন সুত্র মতে বাংলাদেশে এখন সব মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে৷ এরমধ্যে পাঁচ লাখ এসেছে ২৫ আগস্টের পর থেকে৷

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারীদের অন্তত ২০ হাজার হলেন গর্ভবতী মা৷ আর অনেক শিশু বাবা-মাকে হারিয়ে এতিম অবস্থায় বাংলাদেশে এসেছে৷ অন্তত দেড় লাখ শিশু আছে, যারা এখনই স্কুলে যাওয়ার উপযোগী৷ স্থানিয় সুত্রে জানা যায় ৮-৯ লাখ মানুষের চাপের প্রভাব স্থানীয়ভাবে এখনই দেখা যাচ্ছে৷ কক্সবাজার এলকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে৷ তাদের থাকার জন্য বন এবং পাহাড় কাটা হচ্ছে৷ স্থানীয় অধিবাসীদের চেয়ে এখন রোহিঙ্গা বেশি৷ তাদের সঙ্গে কালচারের পার্থক্য আছে৷ রোহিঙ্গা জনসংখ্যা এখানে আরো বাড়বে৷ আমরা বিষয়টি মানবিকভাবেই দেখছি৷ কিন্তু দীর্ঘ অবস্থানের কারণে এসব বিষয়ই সংকটের সৃষ্টি করতে পারে৷
বর্তমানে সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে কিন্তু তা খুবই ধীর গতিতে। এই প্রক্রিয়ায় কতদিনে এই নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয় তা অনুমান করা মুশকিল।

প্রথম ছবি দেখেন !!! মনে হচ্ছে কোন সাজানো শহরের স্যাটেলাইট ছবি। কিন্তু না, যা দেখছেন তার পুরোটাই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প!!! বুঝাই যাচ্ছে এর পরিনতি কি হবে, বাংলাদেশকে একদিন এর কঠিন মূল্য দিতে হবে। সবেমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি ক্সবাজারের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে, মাত্র পর্যটন শিল্পের ব্যাপক ধস নেমেছে ক্সবাজারে। ক্সবাজারে স্থানীয়রা এখন সংখ্যালঘু হয়ে গেছে।

বিশ্ববিবেকের কাছে প্রশ্ন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে এহেন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড মিয়ানমার চালিয়েছে এর ক্ষতিপূরণ কিভাবে পাবে? বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্যে রোহিঙ্গা ইস্যু সামগ্রিক অর্থে সমস্যার উদ্রেক করেছে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৬

কলাবাগান১ বলেছেন: The image:

This is what the Kutupalong refugee camp in #Bangladesh looks like from above, it has exploded in size ever since the #Rohingya exodus.

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

জুয়েল তাজিম বলেছেন: ছবিটি সংগৃহীত

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৯

কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলাদেশে এমন বিশাল শরনার্থী শিবির দেখে হঠাৎ মনে পড়ল যে জার্মানীতে শরনার্থীদের শিবিরে প্রায়ই আক্রমন হয়...

সেই তুলনায় বাংলাদেশের লোকজন দেবতা...গরীব হতে পারে কিন্তু মন টা অনেক বড়.....।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

জুয়েল তাজিম বলেছেন: এখন স্থানীয়রাই বিপদে পড়েছে বেশি, রোহিঙ্গাদের চাপে পর্যটন খ্যাত বিপর্যয়ের মুখে।

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক চিন্তা ভাবনার প্রকাশ, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলেছেন, আশঙ্কার যেন শেষ হচ্ছে না আমার মন থেকে! কি হবে সামনের দিনে....

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

জুয়েল তাজিম বলেছেন: ঊভয় সংখটে বাংলাদেশ

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: রোহিঙ্গা সমস্যাকে জিইয়ে রাখলে বাংলাদেশে মাত্র গুটি কয়েক ব্যক্তি এজেন্সি লাভবান হবে। অপর দিকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ।
আমাদের দিকে মুলা তাক করে রেখেছে। এই মুলার দিকে তাকিয়ে আমরা আপাতত চুপসে আছি।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

জুয়েল তাজিম বলেছেন: সু-রাহার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। দুর্বল পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না।

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

কলাবাগান১ বলেছেন: "দুর্বল পররাষ্ট্রনীতি" বলাটা একটা কোড ওয়ার্ড... উসকে দিয়ে চান যে বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়ায়ে পড়ুক আর ঘর পোড়ার সুযোগে আলু পোড়া খাওয়ার লোক জন ওয়েট করে আছে

দুর্বল পররাষ্ট্রনীতি বলেন কিভাবে ..বাংলাদেশের কি চীন/রাশিয়ার মত ভেটো পাওয়ার আছে????

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

প্রামানিক বলেছেন: এদের ভবিষ্যৎ কি হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.