![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমেরিকা যদি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে ৩৫% ট্যারিফ বসায়, তা কেবল অর্থনৈতিক চাপই নয়, আত্মসমালোচনারও সুযোগ। কারণ, আজকের বিশ্ববাজার কেবল সস্তা পণ্য চায় না—চায় দক্ষতা, সময়ানুবর্তিতা ও ডাটাভিত্তিক ব্যবস্থাপনা। অথচ বাংলাদেশের প্রায় ৫০% গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি এখনো দক্ষতা পরিমাপ করে না, ৭০% ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন থেকে ডেলিভারির পুরো প্রক্রিয়ার রিপোর্টই নেই। লাইন ব্যালেন্সিং, SMV, Material Loss-এর মতো মৌলিক ধারণাগুলো অনেক প্রতিষ্ঠানে অজানা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অভিজ্ঞতা বা অনুমানের ভিত্তিতে, কারণ অনেক ম্যানেজারই আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও ডাটা-অ্যানালিটিক্সে অদক্ষ।
এই পরিস্থিতিতে শুধু ক্রেতাদের সহানুভূতির উপর নির্ভর করা বিপজ্জনক। এখন ফ্যাক্টরির অভ্যন্তরে পরিবর্তন আনা জরুরি:
ডাটাভিত্তিক উৎপাদন চালু করতে হবে।
মিড-ম্যানেজমেন্টকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
IE (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং) ও লিন ম্যানুফ্যাকচারিং পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।
দক্ষতা, ফিনিশিং, গুণগত মান ও কাঁচামাল সাশ্রয়ে মনোযোগ বাড়াতে হবে।
ট্যারিফ যুদ্ধে জয় নাও আসতে পারে, কিন্তু যদি আমরা ৪৫% থেকে ৬০% দক্ষতায় পৌঁছাতে পারি, তাহলেই টিকে থাকা সম্ভব। বিশ্ববাজার বাড়ছে—প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ কি প্রস্তুত? নিজেদের শৃঙ্খলা ও দক্ষতা বাড়িয়ে আমরা এই চ্যালেঞ্জ জয় করতে পারি। সময় এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার।
২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ট্রাম্প দরিদ্র দেশ গুলোর ভালো চায় না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:২৩
বিপুল শেখ বলেছেন: ভাই, লেখাটা পড়ে মনটা কেমন যেনো ভার হয়ে গেলো। আমরা বাইরের দোষ দেই, কিন্তু ভেতরের বিশৃঙ্খলা নিয়ে ভাবি না। ডাটা নেই, দক্ষতা নেই, সিদ্ধান্ত হয় আন্দাজে। SMV, IE, লিন—এসব যেনো গল্পের মতো শোনায় এখনো।
ট্যারিফ শুধু চাপ না, আয়না। এখনই বদলাতে হবে, না হলে টিকে থাকাটাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে।
নিজেদের ভিতর ঠিক না করলে কেউ পাশে দাঁড়াবে না।