নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুকতারার সঙ্গী

জে.এস. সাব্বির

অদ্ভূত!

জে.এস. সাব্বির › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বাংলাদেশের ফুটবল"- একটি লস প্রজেক্টের নাম ।।। তাই এই পোস্টটাও কেউ পড়বে না!!!!!!!

০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

বাংলাদেশে ফুটবল একটা লস প্রোজেক্টের নাম । সারা বিশ্বে যে স্পোর্টসটি যুগ যুগ ধরে মানুষের প্রাণ কেন্দ্রে স্থান করে নিয়েছে ।"হাজার হাজার "কোটি টাকা বিনিয়োগ করে যেখানে চলছে "লাখ লাখ"কোটি আয়ের চিন্তা ।সেখানে খেলাটা আমাদের দেশে হলেই হয়ে যাচ্ছে লস প্রজেক্ট !

অবস্থাতো এরকম হয়েছে- জাতীয় দলের কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্পন্সারের জন্য রিতিমত ঘাম ঝরাতে হয় কর্তৃপক্ষকে !নূন্যতম স্পন্সার পেতেও করতে হয় অনেক রকম হিসাব নিকাশ ।একসেট জার্সি দিয়েই পার করতে হয় গোটা মৌসুম অথবা তারও বেশি ।তখন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্বপ্নের ম্যাচ শেষে নিজের জার্সিতে নাম লেখা না থাকায় জার্সিবদলের স্বপ্নকে গুড়োবালি দিতে হয় মামুনুলদের । আবার এই প্রেক্ষাপট যখন দেশের প্রিমিয়ার লীগ- হাল তখন আরো নাজুক ।বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ থেকে অনলি ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ এটি হয়ে আছে সেই অনেক আগে থেকেই ।কর্তৃপক্ষের তাতেই সন্তুষ্টি- অন্তত হয়েছে তো! অবশেষে কখনো ব্যাংক থেকে কোটি টাকার লোন করে অথবা ফিফার অনুদানের কোন অংশে চলে যায় একটা মৌসুম ।। এতকিছুর পরও যদি দর্শক আসত মাঠে- হয়ত প্রাণ ফিরে পেত ,হারানো জৌলুষ ফিরে পেত ফুটবল ।কিন্তু সে আশায় গুড়োবালি ।আপেক্ষিক হাই ভোল্টেজ ম্যাচে যাও নূন্যতম দু-চারজন দেখা যায় তা সর্বসাকুল্যে ৫০ ছাড়াবে কিনা সন্দেহ!

মাঠের বাইরের যখন এই হাল ,মাঠের খেলার কি অবস্থা তা কি বলে দেওয়া লাগে ।প্রিমিয়ারের খেলা দেখলে বুঝার উপায় নেই এরা কি খেলছে- ফুটবল নাকি কাবাডি! কাবাডিই হবে হয়ত- না হলে সবাই একজায়গায় জটলা পাকিয়ে কি করে ওরা ওখানে ।স্রেফ কাদা ছোড়াছুড়ি ।

অথচ আশির দশকের সেই রমরমা ফুটবল এই দেশেই চলতো ।চায়ের কাপের ঝড় তুলতো আবাহনী-মোহামেডান সমর্থকরা । এই দুইদলের খেলা হলে তো কোন কথাই নাই- দিনভর যুদ্ধ ।সে যুদ্ধ আনন্দের যুদ্ধ ,হৃদয়ের স্পন্দন হাওয়া তোলা যুদ্ধ ।বিকাল ৫ টার ম্যাচ দেখার জন্য হাজার হাজার সমর্থক সকাল ১০ টায় টিকিট কেনার লাইনে দাড়াতে ।সোনার হরিণ সেই টিকিট যে পেত সে যেন ছিল ঈদের চেয়ে বেশি খুশি !! ফুটবলের সেই জৌলুষ আজ কোথায় হারিয়ে গেল ।আর কি কভু ফিরে পাবে সে তার হারানো যৌবন ??

উত্তরটা কারো জানে নাই ।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর সভাপতি কাজি সালিউদ্দীন ।আশির দশকে মাঠ কাঁপানো সেই তাঁরকা রাজির মধ্যে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র ইনি ।টানা তৃতীয় মেয়াদে সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন ।দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা (সাফ) এর সভাপতিও তিনি ।আছেন অনেকদিন যাবত । উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তরটা তাই তার জানা থাকার কথা ।তিনি এখানে সবাক অথচ নির্বিকার ।নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে তিনি আজো ব্যর্থ ।ফাইনাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে এই কিছুদিন আগেই তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি ।

দেশের কোটি ফুটবলি প্রেমির শতকোটি প্রশ্ন জমা পরে আছে তার কাছে ।কিছু সদত্তোর আশায় ।তিনি হয়ত পারবেন ।ব্যর্থতার জাল থেকে বেড়িয়ে আসবেন বেড় করে আনবেন গোটা জাতিটাকে ।ফুটবল ফিরে পাবে তার প্রাণ ,সেই জৌলুষ আর ঘুনে ধরা যৌবনকে রেখে যাবে পিছনে ফেলে ।।

আশায় বুক বাঁধতেই পারি আমরা ।
=============================================
নিয়মিত ফুটবলের খোজ রাখেন যারা তারা এতক্ষণে সামুতে আমার এই পোস্টের হেতু বের করে ফেলেছন ।।তারা আমাকে ভাবছেন- আমি ইউরোপ আর আমেরিকার রমরমা ফুটবলকে নিয়ে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মাতামাতিকে অবঞ্জা করতে আমার এই লেখা ।তার ভাবছেন- আগামী ৩ তারিখে শুরু হতে যাওয়া "কোপা আমেরিকা"কে উদ্দেশ্য করেই আমার এই লেখা ।

অথচ এই বোদ্ধা সমাজ জানেনই না- আগামীকালকে তাজিকিস্তানের দুশানবে বাংলাদেশ দল এশিয়াকাপ বাছাইয়ের প্লে অফের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামতে যাচ্ছে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ।ইউরোপ আমেরিকার হাই কোয়ালিটির ফুটবল দেখে আমরা বিনোদিত হই ।তাই বলে দেশের ফুটবলকে সময় দেওয়ার মত নূন্যতম সময়টুকুনও নেই আমাদের???!!!!!!!!! আফসোস হয় ,আমরা দেশকে ভালবাসে গলাবাজি করি ।

পশেঃ সত্যি অর্থেই দেশের ফুটবল একটা লস প্রোজেক্ট ।এর আরো একবার প্রমাণ পেয়েছিনু আমি- সামুতে আমার সবচেয়ে ফ্লপ করা পোস্টটিও যে দেশের ফুটবলকে নিয়ে!!!!!!!এই পোস্টটা দেওয়ারও তাই ইচ্ছে ছিলনা ।কিন্তু আমি নিজে তো একটা হিট না- এটা ভেবেই আরো একটা ফ্লপ পোস্ট দিলাম ।

সামুর বাঘা বাঘা ব্লগাররা তো আর এই লস পোজেক্ট নিয়ে লিখতে আসবেনা ।তাই আমাদেরকেই লিখতে হবে ।
হাজার হাজার

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

শেয়াল বলেছেন: ফুটবলের মতো সম্ভাবনার খেলাও এই দেশে চলে না । |-) |-) |-)

সামুর বাঘা বাঘা ব্লগাররা তো আর এই লস পোজেক্ট নিয়ে লিখতে আসবেনা ।তাই আমাদেরকেই লিখতে হবে ।


পুরাই ঠিক বলছেন ।

০১ লা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: ফুটবল যে একটা সম্ভাবনাময় খেলা - আমাদের কর্নধারদের মাথায় এই ঞ্জানটিই আছে কিনা সন্দেহ জাগে....তাই চলেনা এদেশে ।

২| ০১ লা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: শারীরিক বৈশিষ্টের কাওণে এ অঞ্চলের মানুষের ফুটবল দক্ষতা হয়তো অনেক উচ্চ পর্যায়ে যাবে না। আবার ভাবি, এদেশে তো জাদুকর আব্দুস সামাদেরও জন্ম হয়েছিলো। ১৬ কোটীর দেশে ১৬ জনও উঠে আসছে না এটা কোনো কথা? দরিদ্র দেশ বলেই হয়তো কেউ পেশা হিসেবে নেয়না, সেরকম স্ট্রাকচার নাই যে ধাপে ধাপে উঠে আসবে। ক্রিকেটে প্রতিভার ঝলক সহজেই ধরা যায়, কিন্তু ফুটবলে তা ধরা পরতেও সময় লাগে।

যাইহোক, আপনার পোস্ট পড়বার পর মনে হচ্ছে, আমি কেউ না। আমি আসলে এই পোস্ট পড়িই নাই। ;)

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৯

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: ১৬ কোটির দেশে ১৬ জনও উঠে আসছে না এটা কোনো কথা?

এটাই সত্য কিন্তু মেনে নেওয়া যায় না ।

প্রতিভাবান ফুটবলার আমাদের দেশেও আছে ।কিন্তু তার উপযুক্ত পরিচর্যা নাই ।যেকারণে মুকুলটা অংরিয়েই বিনাশ হয়ে যাচ্ছে ।ভালো কোন উদ্যোগ নাই ,এই জন্যই ফুটবলার বেড়িয়ে আসছে না ।

উদাহরণ হিসেবে- কয়েকবছর আগে দেশের অপারেটর প্রতিষ্ঠান এয়ারটেলের প্লেয়ার হান্টে বেশ কিছু ফুটবলার বেড়িয়ে আসছিলো ।কিন্তু এখন তাদের কোন খোজ নাই!! এইভাবে একটা স্পোর্টস আগে বাড়তে পারে না ।

৩| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার এখনো ৯০ দশকের সেই উত্তেজনার কথা মনে পড়ে। মাঝে মাঝে আমার মনে হয় ক্রিকেটে আমাদের সাফল্যই ফুটবলকে ধ্বংস করেছে! তবু আশার আলো দেখতে পাই। ক্রিকেট পূজা করা ভারতে যদি ফুটবল জনপ্রিয় হয়ে যায়, তাহলে আমাদের এখানেও হবে হয়তো। জনপ্রিয়তো এমনিতেই আছে। তবে নিয়মিত লীগ না হওয়াতে আর বিদেশী লীগ দেখতে দেখতে আমরাও দেশের ফুটবলের উপর বিরক্ত!

০২ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৩২

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: আমার মনে হয় না- ক্রিকেটের এই বর্ধমান জনপ্রিয়তার জন্য ফুটবলের জনপ্রিয়তায় তেমন প্রভাব করেছে ।দেশের মানুষ এখনো ক্রিকেট থেকে ফুটবলকে বেশি ভালবাসে । যার প্রমাণ পাই ,বিশ্বকাপ ফুটবলের মত আসরে ।

আমাদের ফুটবলের কর্তাব্যক্তিরা যথার্থ উদ্যোগ নিতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে ।লীগ বন্ধ ছিল অনেকদিন ,ছিল অনিয়মিত ।এখন নিয়মিত হচ্ছে অথচ ঢাকা কেন্দ্রীক ।টিভিতে ইউরোপের খেলা দেখে অভ্যস্ত ঢাকাবাসীরা এই অখাদ্য লীগ দেখতে যেতে অপারগ! অথচ সেই ঢাকাতেই যেন হতে হবে লীগ!!! এদিকে ঢাকার বাইরের বাংলাদেশ নূন্যতম ফুটবলীয় বিনোদন পাচ্ছে ।দেশের আনাচে কানাচের আঞ্চলিক ফুটবল টুকুতে যে জনপ্রিয়তা দেখে যায় আমাদের দেশের লীগে সেই পরিমাণ জনপ্রিয়তা আছে কিনা সন্দেহ জাগে!

জাতীয়দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ গুলার ক্ষেত্রেও দেখি ঐ একই অবস্থা ।। এভাবে ফুটবল বেঁচে থাকতে পারে না ,তাই মৃত্যুর দুয়ারে ধুকছে!

৪| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: দেখুন দল কে পারফর্ম করতে হবে, সে নব্বইয়ের দশকের কথা এক বার ভাবুন। যখন ফুটবল খুবি জনপ্রিয় ছিল তখন কৃকেটের কি অবস্থা ছিল ? খুবি নাজুক। হারতে হারতে আচমকা এক টা ম্যাচ জেতে তাও দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির দলের সাথে, ঠিক ওই সময় বাংলাদেশ ফুটবল কয়টা ম্যাচ জিততো? তাদের দৌর ছিল অই নেপাল নয়ত মালদ্বীপ বড়জোর ভারত কিংবা পাকিস্থান। আর সৌভাগ্য ক্রমে যদি বার্মার সাথে জিতে জেত, ভাব খানা দেখার মত হত। সমস্যা ঠিক এইখানে, আমাদের খেলোয়াড় আর কর্মকর্তাদের ঢেঁকুর তুলতে পারলেই হোল, সেটা কোন কাজের ঢেঁকুর না অকাজের সেই দিকে খেয়াল নাই। কয় জন কোঁচ নিয়মিত ছিল? বলুনতো? ১ বছর থেকে ৬ মাস তাদের মেয়াদ থাকতো। ফুটবল কোন জাদুর খেলা না যে ফু দিলাম ওমনি দল জিততে লাগলো। এখন তো শুনি খেলোয়াড় দের ভিতর হাজারো শাখা উপশখায় বিভক্ত। এই যদি হয় অবস্থা তবে উন্নয়ন কেমনে দেখবেন। হাজার টা কোঁচ আর হাজারটা সালাউদ্দিন গুলে খাওালেও কিছুই হবে না।

কৃকেটের দিকে তাকান, এখন হয়তো অনেক কিছু কিন্তু যখন আকরাম ফারুক আতাহার নান্নু মনি দের যুগ ছিল তখন কি এমন ভালো ছিল তাদের অবস্থা, ছিল না। তারা তাদের কাজ টার প্রতি চরম সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছেন বলেই তারা এখন তার ফল ভগ করতে পারছেন।

০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: ধন্যবাদ রানা ভাই । আপনি ভাল একটা জাজমেন্ট দিয়েছেন ।

ক্রিকেটের অতীতে আকরাম ,নান্নু ,মনি- এরা যখন ধুঁকতে ধুঁকতে একটা ম্যাচ জিততো তখন কিন্তু তারা তৃপ্তির তুলে নাই ।কারণ তাদের জনপ্রিয়তা ছিল না ।আজকে ক্রিকেটের প্রতি তাদের ভালবাসা সেই জনপ্রিয়তা আর তৃপ্তি দুইই দিয়েছে ।

আর ওদিকে নব্বইয়ের দশকে যখন আমাদের জাতীয় ফুটবল দল খেলতো এরা হারত খুব কম ম্যাচে ।যার কারণটা আপনিই দেখিয়েছেন- আমাদের প্রতিপক্ষ বড়জোর ভারত-পাকিস্তাদ বা বার্মা পর্যন্ত ।এর বাইরে বাংলাদেশকে খুব ম্যাচ খেলতে দেখা যেত ।কিন্তু ফুটবল জনপ্রিয় ছিল মানুষের প্রাণের টানে ।ন্যাশনাল টিমের থেকে লীগের খেলাতে মাতামাতি ছিল বেশী । আর সবকিছু মিলিয়ে খেলোয়ার বা কর্মকর্তারা ছিল তৃপ্ত(!) ।ক্রিকেট দল ঐসময়ে যে স্বপ্নটা দেখেছিল- "একদিন অস্ট্রেলিয়াকে হারাবো" ,তখন ফুটবল এই স্বপ্নটা দেখতে পারে নাই- "একদিন ব্রাজীলকে হারাবো ।" ।।

আপনার মতের সাথে আমিও একমত ।কিন্তু পোস্টে আমি যেটা বলতে চেয়েছি- "পুরা ওয়ার্ল্ডে ফুটবল সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খেলা ।ফুটবলারদের চাহিদাও প্রচুর ।আমাদের ছোট একটা দেশে এত মানুষ- এর একটা অংশ যদি ফুটবলার তৈরী করা যেত তাহলে দেশের অন্যান্য খাতের মত বৈদেশিক আয়ে এরাও বিশাল একটা অবদান রাখতে পারত ।"

৫| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

অশ্রুকারিগর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ এটা নিয়ে লেখার জন্য। আমার নিজের কিছু অবজার্ভেশন বলি।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের কয়েকজন আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে আছে। তাদের কান্ড- কারখানা দেখলে বুঝা যায় তাদের কাছে খেলাটা নিতান্তই একটা পেশা মাত্র। তারা জানে অপর্যাপ্ত পরিমান নতুন প্রতিভার কারনে জাতীয় দলে তাদের অবস্থান কখনোই বিপদের মুখে পড়বে না, আর পড়লেও ক্লাব পর্যায়ে অপ্রতুল খেলোয়াড়ের কারনে তাদের রুটি-রুজির অভাব হবে না। খেলোয়াড়দের দায়বদ্ধতার অভাব, কর্মকর্তাদের অজ্ঞানতা, নীতিহীনতা, অদূরদর্শী কার্যকলাপ এদেশের ফুটবলকে ধ্বংশ করবেই।

এই যে বাফুফে কয়েকজন প্লেয়ারকে নিষেধাজ্ঞা দিল, আবার নিজের ফেলা থুথু নিজেই চেটে গেয়ে নিলো তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে তাতে কি খেলোয়ারদের দায়বদ্ধতা বাড়বে ?
সালাহউদ্দীন সাহেব ম্যাজিক দেখাতে চান, কিন্তু তার কার্যকলাপ পুরোটাই বিভ্রান্তিমূলক।
এইবার যখন উনি প্রেসিডেন্ট হলেন আবারো, তখনই বুঝে গেছি আর কিছু হবে না।
এখনো পর্যন্ত একবারো একটা ক্যালেন্ডার ইয়ার উনি ঠিকমতো ফুটবল চালাতে পারেননি মাঠে।

বাদ দেই এসব, আজকে রাতে ৯ টায় যে খেলা হবে তার কোন লিঙ্ক আছে আপনার কাছে ? আমি বুঝতেছিনা কোথাও টেলিকাস্ট হবে কিনা। আর দেখেও কি লাভ, সেই তো গোল খাবে ৪-৫ টা।

০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ৮:১১

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: ব্যাপারটা এরকম- "বাফুফে আর কয়েকটা খেলোয়ার মিলে রঙ্গমঞ্চে অভিনয় করছে যেন।" মাঠের খেলার থেকে মাঠের বাইরের রঙ্গেই এদের মনোযোগ বেশি!! বাফুফের গা'ছাড়া ভাব আর ফুটবলার গুলার উদাসীপনা সব ধ্বংস করে দিছে ।

কাজী সালাউদ্দীনের কথা আর কি বলবো ।উনার এই তৃতীয় মেয়াদে এসেও একটা মৌসুমের ক্যালেন্ডার প্রনয়ন করতে পারে নাই ।সেই অনুযায়ী চলা তো বহুদূরে দূরকল্পে ।

০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ৮:১৭

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: দেরিতে উত্তরের জন্য দুঃখিত ।লিংকটার এখন আর প্রয়োজন নেই নিশ্চয়ই! আমরা যে সেই অনুমেয় ৫ গোলই হজম করে ফেলেছি!!!

৬| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

ঢাকাবাসী বলেছেন: এক মানুষ উৎপাদন করা আর দুর্ণীতি করা ছাড়া আর কোন কিছুতে আমাদের উৎকর্ষ দেখাতে পারবেন?

০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ৮:২০

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: নাহ্ ,আমি হয়ত পারব না ।। আপনি নিশ্চয় পারবেন??!!!! (আফটার অল ,আপনি একজন ঢাকাবাসী :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.