নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ হয়ে বেঁচে থাকাই আমার পরিচয়

দয়াল ভাই

আমি পৃথিব্য কৃতদাস।

দয়াল ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রদায়িকতা কি?

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

আমরা সকলেই সাম্প্রদায়িক মতবাদে পরিচিত।
তবে সাম্প্রাদায়িক কথা বলতে গেলে আমাদের বিভিন্ন মহল একটা সম্প্রদায়কে বলবে সাম্প্রদায়িক
তা হল মুসলিম?
তবে আমার মতে সাম্প্রদায়িকতা বিশ্বাসী কোন মুসলিম জাতিকে বুঝায় না।হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, সকলেই তাদের ধর্ম থেকে সাম্প্রদায়িক মতবাদী।
এবার সাম্প্রদায়িক সার্বজনীন কথায় আসা যাক।
সাধারণত 'সাম্প্রদায়িকতা' বা (Communalism) শব্দটি একটি জনগোষ্ঠীর নিজ স্বার্থকে তাদের ধর্মীয় দলগুলোর স্বার্থের সাথে অভিন্ন বলে মনে করার প্রবণতা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।মূলত কোন রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে যখন ধর্মাতিরিক্ত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ধর্মে অপব্যবহার ও অসৎ ব্যবহার করা হয় তাকে সাম্প্রদায়িকতা বলে।তবে 'সাম্প্রদায়িকতা' শব্দটি যে সর্বদা খারপ বা নিন্দনীয় অর্থে ব্যবহৃত হয়,তা অবশ্যই নয়।শব্দটির গঠনের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই বুঝা যায় যে,যা কিছু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা সম্প্রদায় সম্পর্কীয় তা সবই সাম্প্রদায়িক (সাম্প্রদায়+ষ্ঞিক)।
কাজেই ব্যুৎপত্তিগত অর্থে শব্দটি মোটেই নিন্দার্থক নয়।যদি বলি : দুর্গাপূজা, ঈদ,বড়দিন,বুদ্ধপূর্ণিমা,এগুলো সব সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান,তাহলে কি নিন্দার্থক করা হলো?
হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান,-এসব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও ধর্মের অনুশাসন পালন করে থাকে,এগুলো সব সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান।এতে কি নিন্দা কিছু আছে?
কিন্তু অনুষ্ঠান গুলো যদি এরকম হয়ে দাঁড়ায় যে হিন্দুরা দুর্গাপূজার পর মূর্তি বিসর্জন দেওয়ার জন্য দুর্গামূর্তি নিয়ে যাবে মুসলমানদের মসজিদের সামনে দিয়ে ঢাকঢোল বাজাতে বাজাতে,কিংবা মুসলিমান ঈদে গরু কোরবানি দেবে হিন্দুদের মন্দিরের সামনে,কিংবা খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধরাও অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে বড়দিন বা বুদ্ধপূর্ণিমা পালন করবে তাহলে ঐসব অনুষ্ঠান নিন্দার্থেই হয়ে উঠবে সাম্প্রদায়িক।
অর্থাৎ বোঝ গেল : যে কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতি না করে বা অনুভূতিতে আঘাত না দিয়ে পালন করে তাহলে সেটি সাম্প্রদায়িক হয়েও নিন্দানীয় হবে না।
কিন্ত এর বিপরীতটি করলেই অর্থাৎ অন্য সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলেই এটি নিন্দনীয় হয়ে উঠে এবং সেখানে সাম্প্রদায়িক শব্দটি নিন্দাসূচক অর্থই বহন করবে।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বদলে বিভাজনই যেখানে বড় হয়ে ওঠে,তখন তা রূপ নেয় 'সাম্প্রদায়িকতা'য়।
এবং সকল ধর্মেই আচার, অনুষ্ঠান,অনুশাসন পালন সাম্প্রদায়িক কার্যক্রম বলা যাবে।
কোন একটি সম্প্রদায়কে সাম্প্রদায়িক মতপুষনকারী বলা যাবে না।
হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান, সকলেই সাম্প্রদায়িক আওতাভুক্ত।
এবং সাম্প্রদায়িকতা কোন নিন্দাজনক অর্থ নয়।
   ....
ধন্যবাদ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.