নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শক্ত কাঁকর বিছানো সরু পথ সোজা চলে গেছে পুবদিকে, ডানে উচু প্রাচীর ঘেরা বিশাল এক দিঘী। কেন প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রেখেছে বুঝতে পারেনা মিতু একেবারেই।একবার গ্রীলের ছোট গেট টপকে ভেতরে গিয়ে দেখেছিল সেই বিশাল দিঘীটাকে। চারপাশ বুনো আগাছায় ছেয়ে আছে। তেলকুঁচার লতা জড়িয়ে আছে কালকাসুন্দি, আলকুশি আর ভাট ফুলের ঝোপের গায়ে। তেলকুঁচার পাকা লাল টুকটুকে ফলগুলো ঝুলছে চিকন সবুজ লতা থেকে।
পানিতে ছোট ছোট শাপলা পাতার উপর ছোট সাদা ফুল ফুটে আছে।পানির বুকে মেলে আছে পানি ফল গাছের লালচে সবুজ পাতাগুলো যার কিনারাগুলো সুন্দর খাজকাটা। পাতাগুলোর নীচে তিনকোনা ফলগুলো ঝুলে আছে পানির মধ্যে । মিতু সেদিন অনেকটা সময় বসেছিল সেই দিঘীর ধারে।
শক্ত কাঁকর বিছানো সেই পথ দিয়ে কিছুদুর হেটে গেলেই হাতের বা দিকে রেলপথ ।সেটা পার হয়ে গেলেই মাটির রাস্তা । মসৃন মিহি ধুলোয় ঢাকা সে পথ আঁকাবাঁকা হয়ে চলে গেছে পাহাড়ের দিকে।বড্ড প্রিয় ধুলো ঢাকা এই পথ তার। খানিক এগোতেই রাস্তার দুপাশে বেশ নীচুতে কিছু আদিবাসীদের মাটির ঘর। মিতু মাঝে মাঝে নেমে ঘুরে ঘুরে দেখে কি করছে তারা। কোন উপজাতি কোনদিন জিজ্ঞেস করা হয়নি তাদের। ভাষা না বোঝাই হয়তো সেই কারণ। আরেকটু এগুলেই হাতের বায়ে লম্বা বারান্দা আলা নির্জন নিরিবিলি এক ধর্মশালা, শুধু পুজা পার্বনের সময়টাতেই পুন্যার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে এ স্থান। সে আশ্রম পেরোলেই শুরু হয় সেই গভীর অরন্য ।
বিশাল বিশাল দানব আকৃতির শাল সেগুন আর মেহগনী গাছের সারি।দেখে মনে হয় কত যুগ আগের তারা । নীচে শ্যাওলার পুরু আস্তরন যেন খয়েরী সবুজ কার্পেট বিছানো, মাঝে মাঝে পা ডুবে আসে তার, ভয়ে সরে যায় মিতু । মোটা মোটা লতাগুলো এগাছ ওগাছ পেচিয়ে চলার পথকে যেন আগলে রেখেছে।সে লতা সরিয়ে হেটে যেতেও কষ্ট হয় তার। তারপরও সেই বুনো ঝোপঝাড় লতা পাতার বন্য গন্ধে ভরা পথ পেরিয়ে হাটা মিতুর ভারী পছন্দ।
মাথার ওপর ঘন গাছের পাতা দুপুরের রোদকে আড়াল করে কেমন এক ছায়া ছায়া আঁধার আধার ভাব করে রাখে। যখন একটু হাল্কা আলোর আভাষ দেখা যায় মিতু বুঝতে পারে সামনে কোন ছোট্ট পাহাড়ী ঝিরি, ছোট ছোট নুড়ির উপর দিয়ে রিমঝিম নুপুর বাজিয়ে চলেছে আপন মনে।কখনো কখনো বড় এক পাথরের উপর বসে পা চুবিয়ে সেই শীতলতা প্রান ভরে উপভোগ করে মিতু, আহা তার কাছে মনে হয় স্বর্গের স্বাদ।আজ অবশ্য সময় নেই হাতে।
ঝিরির ওপাশেই পাহাড় আর তার গা ছেয়ে আছে নানারকম ফার্ন আর তার অতি পরিচিত বিদ্যাপাতার গাছে।কচি সবুজ পাতার আঁকাবাঁকা কিনারে হাল্কা কালো রঙ্গের নকশা করা বিদ্যাপাতা । মিতু অনেকবার চেষ্টা করেছে টবে বুনতে, বাঁচেনি।
একটু ফাকায় বিষকাটালী আর ভাটফুল গাছের বিশাল ঝোপ, কখনো কখনো তার কাছে আসলে শরীরটা ভার হয়ে উঠে মিতুর।এটা প্রায়ই ঘটে। ভুতপ্রেতের ভয়ে গা ছম ছম করে উঠে। ভয়ের এক নাগপাশ আষ্ঠে পৃষ্ঠে যেন জড়িয়ে ধরে তখন। তারপরও সেই বন বিথীকার অমোঘ আমন্ত্রন সে ফেরাতে পারেনা। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলে সেই দুর্ভেদ্ধ্য গহীনতায়। সে কার কাছে জানি শুনেছিল এটা কোন অশরিরী আত্মা নয়, এ হলো অতিকায় অজগরের গভীর আকর্ষন। সত্যি সত্যি একদিন ফিরে গিয়ে দেখেছিল কালো আর হলুদের চিতি চিতি দাগওয়ালা বিশাল এক অজগর তাকে নিঃশব্দে অনুসরন করে চলেছে।
শীতকাল আসেনি এখনো, তবে আসি আসি করছে। পাতাঝরা গাছের পাতা কিছু কিছু ঝরে পরেছে। দুপায়ে সেই মচমচে শুকনো পাতা মাড়িয়ে এগিয়ে চলেছে মিতু সেই টিলার দিকে। একটু দূরেই আমলকি তলায় একদল হরিণের ঝাক । কি সুন্দর মায়াকাড়া কাজল কালো চোখ তুলে মিতুকে দেখে নিল এক পলক। বুঝলো এর কাছ থেকে কোন ভয়ের আশংকা নেই । একটু দাঁড়িয়ে থেকে আবার চলতে শুরু করলো। সামনেই সেই ছোট টিলা যার মাথার কাছে এক মঠ। মাটির ধাঁপ বেয়ে বেয়ে মিতু উঠে আসে তার চুড়োয়।
জাহিদ বলেছে মিতু যেন আজ অবশ্যই আসে তার সাথে দেখা করতে তাদের সেই প্রিয় পাহাড়ী টিলায়। সে কিছুদিনের জন্য বাইরে যাবে।অনেক কথা নাকি বলার আছে।এই পাহাড়ী টিলাতেই মাস পাঁচ ছয়েক হলো পরিচয় তাদের। মিতু তো তাকে অনেক ভালোবাসে, তার জন্য সে জীবন দিতে পারে। সেকি এখানে একটু কষ্ট করে আজ আসতে পারবে না?
জাহিদের কথা ফেলতে পারেনা মিতু, সে তার যত কষ্টই হোক। মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে দুপুর বেলার দিকেই মাঝে মাঝে সে আসে। মিতু তাকে দু এক দিন বলেছে তাদের বাড়ীর কাছের সেই নির্জন দিঘীর ধারে এসে দেখা করার জন্য। জাহিদ কিছুতেই রাজী হয়নি। তার নাকি ভালো লাগেনা সেই পরিবেশ।
কি আর করা মিতুকেই আসতে হয় ।সেই টিলার মাথায় বিশাল ঝুরি নেমে আসা বট গাছের গুড়িতে গা এলিয়ে পাশাপাশি বসে কতশত আবোল তাবোল গল্প তাদের।ভবিষ্যতের কত স্বপ্ন রচনা চলতে থাকে এক একদিন।
আজ মিতু এসে দেখে জাহিদ তার আগেই এসে বসে আছে সেখানে, তাদের সেই প্রিয় জায়গাটিতে তার অপেক্ষায়। কেমন এক জ্বলজ্বলে চাহনী, যেন কতকাল তার আসার পথ পানে চেয়ে আছে বুঝি।
'কি হলো এত দেরী করলে যে'? অনুযোগের সুর জাহিদের গলায়।
"কৈ দেরী ? মা ঘুমালো তারপর আসলাম, তুমি তো আর কোনদিন গেলেনা, আমাকেই এতখানি পথ পেরিয়ে আসতে হয়", একটু অভিমান হয় মিতুর।
'যাবো যাবো সোনা, খুব শিঘ্রী যাবো দেখে নিও, রাগ করো না, তোমার জন্য অপেক্ষা করতে কষ্ট হয় আমার '।
জাহিদের মিষ্টি কথায় মনটা হাল্কা হয়ে উঠে মিতুর।
'বসো বসো লক্ষী দাঁড়িয়ে আছো কেন'? বলে পাশের জায়গাটিতে চাপড় মারে জাহিদ।
টুপ করে বসে পড়লো মিতু শাড়ীর আচল গুটিয়ে।
"কবে যাবে তুমি বাইরে ? ঠিক ঠিক কতদিন থাকবে একটু বলতো আমাকে জাহিদ, তোমার সবসময় এই হেয়ালী কথা আমার ভালোলাগে না" ।
সত্যি যাবো, হাতের কাজটা শেষ হলেই যাবো একদিন, আর আমি দু তিনমাসের মধ্যেই ফিরে আসবো চিন্তা করোনা সোনা আমার '।
আস্তে আস্তে পেছন থেকে জাহিদের একটা হাত মিতুর কাঁধ জড়িয়ে ধরে। মিতু অবাক হয় জাহিদের আচরণে, এমন তো কোনদিন করে না।
"হাত সরাও, কি করছো ! কেউ যদি দেখে ফেলে"!
'না না কে দেখবে ? এখন কেউ এদিকে আসবেনা' জাহিদ বলে ওঠে।
"তারপরও এটা ঠিক না জাহিদ" ।
'কেন ঠিক না ? আর কদিন পরেই তো তুমি আমার বৌ হয়ে বাড়ী আসবে তাইনা ?'
"যখন যাবো তখন দেখা যাবে" বলে ঠেলে জাহিদের হাত সরাতে চেষ্টা করে মিতু।
'না না দূরে ঠেলে দিওনা লক্ষী, আজ আমাকে একটু আদর করতে দাও, আবার সেই কতদিন পর দেখা হবে আমাদের'।
জাহিদের মিনতি মাখা সেই চোখের আকুতি মিতু ফেলতে পারে না। আস্তে আস্তে দুহাতে জড়িয়ে ধরে বুকের মধ্যে নিয়ে আসে জাহিদ মিতুকে।
এই আদরের মধ্যেও মিতুর মনে হয় জাহিদের হাত এত বরফ শীতল কেন?
জানতে চাইলে তার গলায় আদর করতে করতে বল্লো,
'শীতকাল তাই হয়তো ঠান্ডা মনে হচ্ছে' ।
আস্তে আস্তে জাহিদের সেই বরফ শীতল আলিঙ্গন যেন ক্রমশ আরো দৃঢ় হয়ে উঠে, মিতুর দম বন্ধ হয়ে আসছে, মনে হচ্ছে হাড়গোড় বুঝি সব ভেঙ্গে যাবে। ঠেলে সরিয়ে দিতে চায় সে কিন্ত জাহিদের শক্তির কাছে পেরে ওঠেনা।পিছলে যায় হাত, মনে হচ্ছে জাহিদ যেন ওকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পেচিয়ে রেখেছে এক কঠিন নাগপাশে।কোনমতে মিতু হাঁপাতে হাঁপাতে বলে ওঠে,
"জাহিদ ছাড়ো আমাকে, ছেড়ে দাও জলদি"।
'না সোনা আজ তোমাকে ছাড়বোনা', কেমন অদ্ভুত গলায় হিশ হিশ করে বলে উঠে জাহিদ।
গলা থেকে মুখ সরিয়ে মিতুর মুখের কাছে নিয়ে আসে মুখ, যেন চুম্বনে উদ্যত।মিতু চেয়ে দেখে সবুজ জ্বলজ্বলে পুতির মত এক জোড়া চোখ গভীর সন্মোহনী দৃষ্টিতে চেয়ে আছে প্রচন্ড এক ক্ষুধা নিয়ে তার দিকে।মিতু ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে দেখলো জাহিদের মুখটা আরো এগিয়ে আসছে তার দিকে।আস্তে আস্তে দুই ঠোট ফাক হয়ে আসলো জাহিদের, বের হয়ে আসলো এক চিকন লম্বা ছুঁচালো জিহ্বা যার মাঝখানটা চেরা।
যদিও মেয়েটাকে আস্ত গিলতে কষ্টই হয়েছে তারপরও শীতকালটা ভালোই কাটবে তার।খাবারের জন্য তাকে টানা দু তিন মাস আর ভাবতে হবেনা । এখন কোনমতে শরীরটাকে টেনে নিয়ে গর্তে ঢুকতে পারলেই হলো সবার চোখ এড়িয়ে। আবার আগামী বছর শীত শেষে এমন কোন মিতু পেলেই হলো। ভাবতে ভাবতে দীর্ঘ শরীরটা নিয়ে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে একে বেকে নামতে থাকে এক বিশাল অজগর, যার চকচকে কালো শরীরে হলদে চিতি চিতি দাগ, গন্তব্য সেই বিষকাটালীর ঝোপ।
(অনেক আগে কোথায় যেন পড়েছিলাম কোন এক দেশে সাপ নাকি মানুষের রূপ ধারন করতে পারে। সেই কাহিনীর আলোকে লেখা। )
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আজ আমি কোথাও যাবোনা
ভালো থাকুন সবসময় ..
২| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মনে হলো একটি কবিতা পড়লাম।এ ই কবিতায় অজগর একটা মানুষকে আস্ত গিলে ফেলেছে। এ ই অজগরদের প্রতিহত করতে হবে।আপুনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। ভাল লেগেছে।অনেক ভাল হয়েছে।
২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ।
কবিতার মত লাগলো শুনে অবাক হোলাম,
আমিতো গল্প লিখতে চেয়েছি
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার তো
ছবিটা ভয়ংকর হৈসে, গল্পের সাথে মানাইসে এক্কদম ||
২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
জুন বলেছেন: ছবি দেখে ভয় পেলেন বেশি না, গল্প পড়ে ইম্রাজ কবির মুন :-&
ধন্যবাদ অনেক অনেক
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভাল লাগলো। ++++++++++++++
২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভালোলাগার জন্য ইরফান আহমেদ বর্ষণ আর এত্তগুলো প্লাসের জন্য
৫| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রথমে পড়তে গিয়ে ভাবলাম ভুল করে বিভূতিভূষন কিংবা নন্দলাল শর্মা পড়ছি কি না !!!
পরেতো দেখি একটা অজগর সাপের আত্মকাহিনী, মানুষরুপী..
+++
২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
জুন বলেছেন: বিভূতি ভূষন , নন্দলাল কি বল্লা মামুন
খারাপ বলো নাই কাছাকাছিই বলেছো :#> :!>
অজগর শুনে মন খারাপ করলা নাকি মামুন !!
প্লাসের জন্য এত্তগুলা ধইন্যবাদ
৬| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
সায়েম মুন বলেছেন: বর্ননা খুব ভাল লেগেছে। এই অপার নৈ:শব্দের মাঝে একি গল্প শুনালেন আপু। এখন তো বনে বাদাড়ে যেতে ভয় লাগবে। মেয়েটাকে এভাবে আস্ত খেল সেই আজগর।
২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মুন ।
বান্দরবন নাকি ?? এইজন্যই এত বিরহের কবিতায় ব্লগ ভিজে স্টিকি হয়ে যাচ্ছে
ডরাইয়ো না তুমি তো ছেলে তোমারে কে খাবে
৭| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: বরাবরই সাপ দেখলে ভয় পাই।কিন্তু আপনি বলে কথা তাই শিহরিত ভাবে পড়লাম।
চমৎকার
২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
জুন বলেছেন: মোজাম ভাই আপনাদের মত কিছু নিষ্ঠাবান পাঠকের জন্যই আছি ।
নইলে কবে চলে যেতাম
ভালোলেগেছে জেনে আমারো অনেক ভালোলেগেছে
৮| ২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
আরজু পনি বলেছেন:
ইয়া মাবুদ ! :-&
দরজার সামনে সাপ রেখে দিলে পোস্ট পড়বো কেমন করে ?
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
জুন বলেছেন: পেছনের দরজায়ও একটা দিলাম যাতে পালাতে না পারো আরজুপনি :!>
৯| ২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যদিও মেয়েটাকে আস্ত গিলতে কষ্ট হয়েছে তারপরও শীতকালটা ভালোই কাটবে তার।খাবারের জন্য তাকে আর ভাবতে হবেনা দু তিন মাস। এখন কোনমতে শরীরটাকে টেনে নিয়ে গর্তে ঢুকতে পারলেই হলো সবার চোখ এড়িয়ে। আবার আগামী বছর শীত শেষে এমন কোন মিতু পেলেই হলো।
গল্প পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এ গল্পে সাপের ছবির মর্মার্থ কোথায়। শেষ করে শিহরিত হয়ে গেলাম
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪১
জুন বলেছেন: ওহ কুনো তুমি ভয় পাইছো
ভয় নেই সেতো মানুষ খেয়েছে ব্যাং খাওয়ার টাইম নাই :!>
পোষ্ট পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
১০| ২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রচ্ছদ দেখে কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম। আমি সাপ ভয় পাই।
আপনি গল্প লিখেছেন দেখে খুব ভালো লাগল। এর আগে আপনার গল্প আমি পড়িনি। একটা চমৎকার টুইস্টেড অনুগল্প । শেষে এসে চমকে গিয়েছি। সত্যি বলতে এই ধরনের অজগর গুলো আসল অজগরের চাইতে অনেক বেশি ভয়ংকর। লেখায় প্লাস নেন
অটঃ আপু!!! আমি এখনও সেই কমেন্ট পড়ে হাসছি। !! পুরাই মাইরালা আম্রে মাইরালা জাতীয় ব্যাপার। হিহিহি।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
জুন বলেছেন: আমিও সাপ ভীষন ভয় পাই। সাভারে যখন ছিলাম রাতে ডাইনিং এ খেতে যাবার সময় হাত তালি দিতে দিতে যেতাম জানি রাস্তায় থাকলে সরে যায়।
প্লাস অর্থাৎ ভাললাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক
কোন কমেন্টে এত্ত হাসি পেলো শুনি
১১| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি ভাবছিলাম হয়ত কোনও ভ্রমণ কাহিনীই পড়বো , সাপের ছবি দেখে মনে হলো কোনো সাপের জঙ্গলে আস্তে আস্তে প্রবেশ করছি বোধ হয় !
গল্পের ধরণটা সুন্দর কিন্তু চিন্তা করেন তো দৃশ্যটা ভয়াবহ ! ভয় পেতে পেতে প্লাস দিয়ে গেলাম।
২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অপর্ণা মন্ময়, শেষ পর্যন্ত ভয়ে পালিয়ে না গিয়ে প্লাস দিতে পেরেছেন বলে। শুভকামনা আপনার জন্য অজস্র
১২| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভালো লাগলো আপু !
২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
জুন বলেছেন: ভাললাগলো শুনে আমারও অনেক ভাললাগলো স্বপ্নবাজ অভি
১৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৯
মায়াবী ছায়া বলেছেন: অনেক ভালো লাগা ।।
২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জুন বলেছেন: ভাললাগার কথা শুনে আমারও অনেক ভাললাগলো মায়াবী ছায়া ।
শুভরাত্রি
১৪| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারন ভয়ংকর সুন্দর! পড়তে পড়তে মনে হয়- জাহিদ-মিতুর জীবন যেন অপ্রকাশিত কবিতার পান্ডুলিপি হয়ে যায় কিছু ক্ষণের জন্য।
আকাশ বাড়ির জীবন যেমন, স্বপ্নমাখা ছবির মতন স্বপ্নময়...স্বপ্নময় সুন্দর। মন ভাল করা সুন্দর...মন খারাপ করা সুন্দর...খুব খুব সুন্দর... ছোট্ট একটি বিশয়, কিছু মূহুর্ত, অনুভূতির…বিমূর্ত প্রকাশ!
(খারাপ লাগাঃ সাপ! সাপের ছবি... আমার শরির মন এখনো গুলিয়ে যাচ্ছে চরম অস্বস্তিতে-জানিনা, খারাপ লাগাটা কতক্ষণে কাটিয়ে উঠতে পারবো!)
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৭
জুন বলেছেন: অসাধারন একটি কমেন্টের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জুলভার্ন । সত্যি অনেক ভালোলাগলো আপনাকে দেখে ।
আপনার ভয় দেখে একটি সাপকে সরিয়ে দেখেছি ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য অনেক
১৫| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: অনেকদিন পর একটা ভয়ংকর কিন্ত ব্যাতিক্রমী গল্প পড়লাম। বর্ননা ভালোলাগলো । +++++
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩১
জুন বলেছেন: আপনাক অনেক ধন্যবাদ অতন্দ্র তওসিফ ভালোলাগার জন্য ।
১৬| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৩
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ভয়ংকর সুন্দর।
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
জুন বলেছেন: সপ্নাতুর আহসান আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
১৭| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: লেখাটা অনেক সুন্দর হয়েছে, ভালো লেগেছে। +++
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
জুন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আরেফীন, সুন্দর আর ভালোলাগার কথা শুনে আমারও ভালোলাগলো অনেক
১৮| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
বর্ণনা চমৎকার হয়েছে আর সেটা হয়ে যাবেই বা কোথায় ! দেখতে হবে কে বর্ণনা করতে আমাদের ইবনে বতুতা। আমি বুঝি কেন ভয় দেখান, সাপের ছবি দেখেই মনে হচ্ছিল ভয়ের কিছু আছে ... গিলছে পড়ার সাথেই গায়ে শিহরণ দিয়ে উঠেছে। গল্পে +++
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
জুন বলেছেন: যাক মনযোগ দিয়ে পুরোটা পড়েছেন দেখে খুব ভালোলাগলো আমিনুর। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৯| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৯
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ ভালা পাইছি
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
জুন বলেছেন: আমারও লিখতে ভাললেগেছে মাসুম ১৪
সব সময় সাথে থেকে উতসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
২০| ২৭ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:২০
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আমিনুর রহমান বলেছেন:
বর্ণনা চমৎকার হয়েছে আর সেটা হয়ে যাবেই বা কোথায় ! দেখতে হবে কে বর্ণনা করতে আমাদের ইবনে বতুতা। আমি বুঝি কেন ভয় দেখান, সাপের ছবি দেখেই মনে হচ্ছিল ভয়ের কিছু আছে ... গিলছে পড়ার সাথেই গায়ে শিহরণ দিয়ে উঠেছে। গল্পে +++
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৪
জুন বলেছেন: আমিনুর কে দেয়া উত্তর টা কি দেখবেন না আমি আবার কষ্ট করে কপি পেষ্ট করবো
ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ স্বাগতম আমার ব্লগে কাজী মামুনহোসেন
২১| ২৭ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
সোহাগ সকাল বলেছেন: ছবি দেখেই ভয়ে একটা লাফ দিয়ে উঠলাম। তারপর গল্প পড়ে তো পুরাই!
মেয়েটাকে খেয়েই ফেললো?
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৮
জুন বলেছেন: হা হা হা সোহাগ সকাল আমিও একটা করে লাফ দেই আর একটা করে মন্তব্যের জবাব দেই :!>
হু খেয়েই ফেল্লো
শুভেচ্ছা
২২| ২৭ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
লেডি বার্ড বলেছেন: আরজুপনি বলেছেন:
ইয়া মাবুদ !
দরজার সামনে সাপ রেখে দিলে পোস্ট পড়বো কেমন করে ?
পোকারও একই কথা।
ডর নিয়াই পইড়া ফালাইছি। বেশ জড়ঝরা লেখা হইছে। পড়তে আরাম পাইছি।
২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
জুন বলেছেন: হু পোকার অনেক সাহস এটা আমি জানি সাপ কেন তারা বাঘের গায়েও পোকা থাকে তারা ভয় পায়না ।
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
তবে আফসুস পোকা শুধু পাঠকই থেকে গেল, লিখলো খুব কম
২৩| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
অদৃশ্য বলেছেন:
আপু
চমৎকার লাগছে লিখাটা...
শুভকামনা...
২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
জুন বলেছেন: আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা অদৃশ্য ।
প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
২৪| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
আরজু পনি বলেছেন:
আভাষ- আভাস
হরিন-হরিণ
মিতা - মিতু
কাধ- কাঁধ
ঠিকনা - ঠিক না
জানি না কি করলাম...আমি পোস্টে মন্তব্য করি পোস্ট পড়েই
ধৈর্য্য অনেক সময়ই বাগড়া দেয় বলে অনেক পোস্টেই বিস্তারিত কমেন্ট করতে পারি না । অল্প সময়ে বেশি পোস্ট পড়তে হয়। তাই কমেন্ট বিস্তারিত করতে পারি না। কিন্তু পুরো পোস্ট পড়েই কমেন্ট দেবার আন্তরিক চেষ্টা থাকে।
এক জায়গায় মিতুকে মিতা লিখেছেন । আর আভাষ এবং আভাস এই দুইটার ভিন্ন অর্থ...এখানে বানানগত দিক থেকে "অঅভাস" হবে।
আর, যখন মিতুকে বন টানতো...সাপের নেশা টানতো তখনই কেমন যেন অশনী সংকেত পেয়েছিলাম
এই নেশা থেকে অনেকেই ছুটতে পারে না। আর তাই এভাবেই অজগরের পেটে চলে যেতে হয় .......................
আপনার দেয়া সাপের ছবির কারণে আমাকে এই পোস্ট কপি করে ডেস্কটপে নিয়ে পড়তে হয়েছে
২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
জুন বলেছেন: খুব তাড়াতাড়ি লেখা পনি আর আমার বানান অনেক ভুল হয় তারপরও আমি আবার মানুষের বানান ভুল ধরে শুধরে দিয়ে আসি
আমার ছেলের কথায় বলতে হয় এইসব স ষ শ কে আবিষ্কার করেছে যত্তসব ডিজগাষ্টিং ব্যাপার স্যাপার
তো মাষ্টার সাপকে এত ভয় পেল যে ডেস্কটপে জায়গা হলো
থ্যাংকস পনি ফর ইয়োর হার্টিয়েষ্ট কমেন্ট ইন মাই স্টোরি
২৫| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
আরজু পনি বলেছেন:
ধুর "আভাস" হবে
কী-বোর্ডও ইদানিং ফাজলামো করে
২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
জুন বলেছেন: কুনডা সটিক আগে ডিসাইড করো তারপর ঠিক করবো
২৬| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
আরজু পনি বলেছেন:
এক্ষুণি জবাব চাই
অপেক্ষা বেশিক্ষণ করতে পারবো না
২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
জুন বলেছেন: :-& :-&
বানান ঠিক করতে গিয়ে দেরী হয়ে গেল
২৭| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৯
শায়মা বলেছেন: সাপ আর মানুষ!!!
হায় হায় ভয় পাইসি আপুনি!!!!
২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
জুন বলেছেন: তোমার ভয় কি শায়মা তুমি হচ্ছো পরী আকাশে ভেসে চলো :!>
তুমি কি মাটিতে পাড়া দাও কখনো যে সাপ ভয় পাবে
এই সব পাবো আমরা যারা মাটির মানুষ
ভয় পাইয়োনা, ছু দিয়া দিলাম
২৮| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২০
আরজু পনি বলেছেন:
থিমটার জন্যে পোস্টটাকে প্রিয় তে নিলাম ।
অজগরদের আকর্ষণ থেকে বোকা মিতুদের মুক্তি হোক...
রিফ্রেশ দিতে দিতে টায়ার্ড হয়ে গেলাম
এতো দেরী লাগে জবাব দিতে
২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১১
জুন বলেছেন: ওহ আমার লেখা অসাধারণ অনাবদ্য এই গল্পটির জন্য নহে শুধু থীম টুকুর জন্য প্রিয়তে
অসম্ভব মাইন্ড খাইলাম
২৯| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪২
সোহাগ সকাল বলেছেন: আমি মন্তব্য করেছি দুপুর ১:৫২ এ। জবাব পেয়েছি রাত ১০:২৮ এ। আপনিও এতক্ষণ ওয়েট করেন নাসরীন আপু।
২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
জুন বলেছেন: সোহাগ আমি কি তোমার মত স্টুডেন্ট যে সারাদিন ব্লগ নিয়ে বসে থাকবো
আমার কত্ত কাজ আর ফাক পেলে দু একমিনিটের জন্য ব্লগে বসা
:!> :!>
৩০| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২২
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: লেখার প্রসংশা করবো না অন্য কিছু বলবো বুঝতে পারছি না ।
সমাজ মানুষ আজ এতটাই সভ্যতার পথে যে মেয়েদের কার্বোলিক এসিড নিয়ে ঘুরতে হবে! !
।সাপের ছবি দেখে ভেবেছিলাম জুন আপু এবার বুঝি এমাজাং জংগলে
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
জুন বলেছেন: না সায়েদা সোহেলী আমজান যাবার সৌভাগ্য হয়নি আমার
কোন প্রশংসা নয় আপু, পড়েছেন আমি খুশি হয়েছি
৩১| ২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাপরে বাপ ! কি গল্পরে বাবা !!! ভয় পাইছি !!
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
জুন বলেছেন: কেমন আছ জহির ? নতুন দেশ নতুন পরিবেশ সব কিছু মিলিয়ে কেমন ?বিস্তারিত লিখে একটা পোষ্ট দিও।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৩২| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: জুনাপু, পোস্টটা যেদিন দেখি, সেদিন পড়তে পারিনি। তাই আজ এলাম। অজগর তো আসলে রূপক অর্থে এসেছে। জাহিদ আর অজগর এক ও অভিন্ন। গল্পের শরীর অসম্ভব রূপ মাধুর্যে পরিপূর্ণ। ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ সজীব
তবে সত্যি বলতে কি আমি সাপটিকে কোন রুপক অর্থে ব্যাবহার করিনি।
এমন একটা গল্প শুনেছিলাম সেখানে নাকি সাপ মানুষের রুপ নিতে পারে।
৩৩| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
বাঘ মামা বলেছেন: আমিতো সেই শুরু থেকেই আপু তোমাকে বলে আসছি যে তুমি যতটা নিজেকে নবীন লেখক আর এই সামুই তোমার লেখক স্বত্তার জন্মস্থান বলো আমি মানবোনা।
লেখা অনেকেই লেখতে পারে কিন্তু তোমার মত শব্দের চিত্রশিল্পী খুব কম জনেই হতে পারে।
আর এই প্রতিভা ছেড়ে যাই যাই করো কোন বলে?
এমন লেখার অভিশাপ পড়বে।
শুভ কামনা সব সময়ের মত
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
জুন বলেছেন: অভিশাপ দিওনা বাঘমামা। এই লেখার ক্ষেত্র আমাকে তোমাদের মত কিছু ভাই দিয়েছে আবার কেড়েও নিয়েছে অনেক কিছু ।
শুভকামনা তোমাকেও।
৩৪| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৪
অর্ণব আর্ক বলেছেন: আখাম্বা নির্মলেন্দু গুন আর আমাদের বতুতা মহাজাবাইন জুনাপুকে অনেকটাই সমগোত্রীয় মনে হতো আমার। এই গপ্পো পড়ার পর মেজাজ তেমনি খিচড়ে গেছে।..
কয়েকটা লাইন পানসে। প্রথমে একটা পেল্লাই সাইজ অজগর তারপর গভীরে প্রবেশ করার সুযোগ। দীর্ঘদিন ইতিহাস লেখা (আমার ভাত মারার কাজে লিপ্ত থাকায়) দেখে আপনার গল্পগুলোর কথা ভুলেই গেছিলাম। অনেক দিন পর দেখে ভালো লাগলো।
যাই হোক..
আস্তে আস্তে পেছন থেকে জাহিদের একটা হাত মিতুর কাঁধ জড়িয়ে ধরে। মিতু অবাক হয় জাহিদের আচরণে, এমন তো কোনদিন করে না।
"হাত সরাও, কি করছো ! কেউ যদি দেখে ফেলে"!
'না না কে দেখবে ? এখন কেউ এদিকে আসবেনা' জাহিদ বলে ওঠে।
"তারপরও এটা ঠিকনা জাহিদ" ।
'কেন ঠিকনা ? আর কদিন পরেই তো তুমি আমার বৌ হয়ে বাড়ী আসবে তাইনা ?'
"যখন যাবো তখন দেখা যাবে" বলে ঠেলে জাহিদের হাত সরাতে চেষ্টা করে মিতু।
'না না দূরে ঠেলে দিওনা লক্ষী, আজ আমাকে একটু আদর করতে দাও আবার সেই কতদিন পর দেখা হবে আমাদের'।
এটুকুর বিশ্লেষণ যদি করতে যাই আপনি লাঠি নিয়ে নিশ্চিত দৌড়ানি দিবেন। তাই কিছু কৈলাম না। :/
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
জুন বলেছেন: অর্নব তোমার প্রথম স্থান অধিকার করা ব্রেনের সব কিছু এক্সট্রাওর্ডিনারি তেমনি তোমার মন্তব্য ।
অনেক ধন্যবাদ
৩৫| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন:
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
জুন বলেছেন: :#>
৩৬| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্প ভালো হয়েছে।
ছবির জন্য মাইনাচ!
মারাত্মক ভয় পাইছিলাম।
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
জুন বলেছেন: স্যরি দুর্জয় কিন্ত ছবিটা গল্পের প্রয়োজনে তাই ইচ্ছা থাকলে বদলে দিতে পারলাম না ।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য
৩৭| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: এইটা কি হইল? জাহিদরুপী অজগর! আমার মাথা তো ঘুরায় দেখি!
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
জুন বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম-উদ-দৌলা পড়ার জন্য
৩৮| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অনেকক্ষণ অবদি পড়লাম। জানিনা কেন যে চোখ সরাতে পারছিলাম না।
'
অনেক ধন্যবাদ
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
জুন বলেছেন: ধন্যবাদ সকাল, সব সময়ের জন্য শুভকামনা রইলো।
৩৯| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অনেকক্ষণ অবদি পড়লাম। জানিনা কেন যে চোখ সরাতে পারছিলাম না।
'
অনেক ধন্যবাদ
৪০| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
কালোপরী বলেছেন:
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
জুন বলেছেন:
৪১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ২৬ তম প্লাসে দেরী করে ফেললাম। কি সুন্দর একটা লেখা!! চমৎকার আপু!
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
জুন বলেছেন: আমিও দেরী করে ফেললাম সোনিয়া
ভালোলাগার জন্য ধন্যবাদ অনেক
৪২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
সুরঞ্জনা বলেছেন: শিরোনামে মনে করেছিলাম আহা! না জানি কত সুন্দর সুন্দর ফুলের, গাছ-পালা, অরন্যের ছবি দেখতে পাবো। পোস্টের মাথায় ঘিনঘিনে সাপের ছবি দেখেই মাথা ভোঁ ভোঁ করা শুরু। পোস্ট পড়া শেষে এখন তো হাত পা জমে বরফ হয়ে গেলো গো বন্ধু!
বাপরে! এমন গপ্প তুমি লিখতে পারো? দারুন হয়েছে কিন্তু! মনে হচ্ছে সেবা প্রকাশনী তোমায় দাওয়াত দিয়ে নিবে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
জুন বলেছেন: যাক শিরোনাম দেখেই কিছু বলে ফেলনি তার জন্য একরাশ ধইন্যা পাতা। সাপের ছবিটা তোমাকে পোষ্টের ভেতর ধরে এনেছে এর জন্য সাপটাকেও ধন্যবাদ
চিন্তা করোনা বন্ধু আমাকে কেউ দাওয়াত দিবেনা
আমি এখানেই তোমাদের যাবতীয় অখাদ্য পরিবেশনের দায়িত্বে আছি
অনেক অনেক ধন্যবাদ শুধু আমাদের আকর্ষনে ফিরে ফিরে আসো বলে সুরঞ্জনা
৪৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: এটা কি হলো !
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
জুন বলেছেন: এটা একটা আব্জাব পরিবেশনা নীল দর্পন
ধন্যবাদ অনেক অনেক মন্তব্যের জন্য ।
৪৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
পাগলা দাশু০০৭ বলেছেন: আপনার ফেসবুক ডিএক্টিভেট.... কোথায় হারালেন? অসুস্থ নাকি?
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
জুন বলেছেন: হারাইনি দাশু,একটু অসুস্থ ছিলাম ।
ফেসবুক ডিএক্টিভই করা আছে।
খোজ নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
৪৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো আপু। প্লাস দিলাম। আমাদের সমাজেও এরকম কত অজগর লুকিয়ে আছে তাদের খবর কে রাখে ??
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায় ভালোলাগার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইলো তোমার জন্যও ।
৪৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
জামিনদার বলেছেন: এক কথায় চমতকার গল্প। সিনেমায়তো সাপকে মানুষ হতে দেখা যায়।
এখানে আসার মজা হল এখানে অনেক পুরোনোদের দেখা যায়। রুদ্র মোহাম্মদের সই কথাটা মনে পড়ে গেল। চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়। সবাই লুকিয়ে থাকে। পরিচিত কাউকে দেখলে একসাথে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
জুন বলেছেন: হু জামিন্দার ভাই আপনি যে সাহসের সাথে গল্পটা পড়েছেন তার জন্য একরাশ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা। অনেকেই তো সাপ দেখে ভয় পেয়ে কি পড়তে কি পড়েছে আল্লাহ মালুম ।
হু পুরোনো সবাইকে ব্লগে দেখলে কেমন জানি ভীষন এক ভালোলাগা অনুভব করি। তা সে মন্তব্য করুক না করুক ।
ভালো থাকুন সবসময়।
৪৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
বড্ড দেরী হয়েছে আসতে । পথে যে অজগর-কাঁটা বিছিয়ে রেখেছেন !
ভয় পাইয়ে দিতে চাইলেও পাইনি মোটেও । তাইতো আসা গেছে শেষতক ।
বন-বীথিকার পথে গল্পের সাথে হেটে গেছি মুগ্ধতায় । শব্দের ঠাস বুনুনীতে কালকাসুন্দি ফুলের গন্ধ যেন ।
শেষটা্ও শীতল চেরা জিভে হিসস.... হিসসসসসস করে গেছে যেন ।
চমৎকার ।
সন্ধ্যের শুভেচ্ছা .......
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
জুন বলেছেন: ভয়কে যে জয় করতে পারে সেই প্রকৃত সৈনিক । আপনি যে এই ভয়ংকর অজগরটাকে মেরে কাহিনীর শেষ পর্যন্ত আসতে পারলেন তার জন্য রইলো অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাসার টবেও বুনে রেখেছি আমার প্রিয় তেলকুচা লতা একদিন বড় হলে গ্রীলে বুনে দেব তাকে। বড্ড প্রিয় আমার এসব পথের ধারে গজিয়ে ঊঠা গাছের ঝোপ । তাই প্রায় গল্পে ওদের আমি টেনে আনি আমার গল্পটাকে জড়িয়ে যেন আরো লতিয়ে ওঠে তারা বিস্তৃত করে তোলে কাহিনীর জমিনটাকে।
আপনার জন্য ও রইলো শুভেচ্ছা .।.।।।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা!!!!