নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাদা জমিনের মাঝে হাল্কা এ্যাশ ছাপা চিকন পাড়ওয়ালা শাড়ী পরা ইলা গাড়ীর পেছনের সীটে হেলান দিয়ে বসা। চেহারায় এক আভিজাত্যের ছাপ মাখানো, অল্প একটু ঘোমটার ভেতর রুপোলী চুলগুলো হাতখোপায় বাঁধা, একদা চঞ্চল হরিন চোখদুটোর মায়াবী আকর্ষন আজও কিছুটা ঝলক দিয়ে উঠে টিকোলো নাকের উপর থেকে রিমলেস চশমাটা খুললে।
চলন্ত গাড়ীর জানালার বাইরে চোখ মেলে ইলা তাকিয়ে দেখলো কয়েক বছর আগেও যে খোলামেলা জায়গা ছিল তার এখন কোন চিন্হ নেই। এখন আর সবুজ দুর্বা ঢাকা মাঠে ছেলেপুলেরা বিকেল বেলা বল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় না। তারা হয়তো এখন ঘরে বসে কম্পিউটারে গেমস খেলে।
রাস্তার দুপাশের বাড়ীগুলো ও যেন একটার গায়ে আরেকটা লেগে আকাশ ছোয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ঘাড় উচু করে তাকালেও মাথা দেখা যায় না । সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গাড়ী। এক মিনিটের পথ যেতে এক ঘন্টা লাগে।এ জন্য আজকাল তার কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না তেমন।
কিন্ত আজ দু সপ্তাহ ধরেই ইলার মনটা অস্থির হয়ে আছে আব্বাস কে এক নজর দেখার জন্য। যদিও প্রতিদিনই তার সাথে কথা হয় ফোনে । একজন আরেক জনের খোজ খবর না পেলে অস্থির হয়ে যায় । কি হলো ?কি হলো অসুস্থ নাকি ! দুজনারই বয়স হয়েছেতো তাই ।
আস্তে আস্তে গাড়ীটা এসে থামলো নীলিমা নামে বহুতল এক ভবনের সামনে।যদিও লেখা আছে অতিথির গাড়ী বাইরে রাখুন তবে তার জন্য এ বাড়ীর পার্কিং অবারিত।চালক দরজা খুলে ধরলে অনেক কষ্টে আড়ষ্ট শরীরটাকে টেনে নামিয়ে আনলো ইলা। পার্কিং হলেও অন্য এপার্টমেন্টের মত অন্ধকার ধুলোবালি মাখা নয়। চারিদিক গ্রীল করা খোলামেলা,বাইরে তাকালে এক ভালোলাগায় মনটা ভরে যায় । আব্বাসের রুচি আছে , নাহলে ডেভলাপারকে জমি দেয়া সত্বেও চারিদিকে এমন সুন্দর বাগান, গাছ পালা,সিড়ির ধাঁপে ধাঁপে নিজ হাতে আঁকা ছবি দিয়ে দশ মালিকের বাড়ী কে সাজিয়ে রাখে?
কুঁচকে থাকা শাড়ীটা হাত দিয়ে ঠিক ঠাক করতে গিয়ে মনে হলো আব্বাস পছন্দ করে না তার সাদা শাড়ী পরা।সেজন্যই এখানে আসার সময় হাল্কা ছাপা শাড়ী পরে ইলা। প্রায় আট বছর হলো আমিন তাকে ছেড়ে অন্য পৃথিবীতে চলে গেছে। তারপর থেকে সাদা শাড়ী তার সঙ্গী কিন্ত এখানে আসার সময় ব্যাতিক্রম ঘটে।
'খালাম্মা এই যে ব্যাগটা, আপনি নিতে পারবেন ? না আমি উপরে দিয়ে আসবো'?
চালকের কথায় চমকে উঠে ইলা, তাইতো আব্বাসের জন্য নিজের হাতে পুডিং বানিয়ে এনেছে সে ।ইলার হাতের বানানো পুডিং তার অনেক প্রিয়।
' না না তুমি দিয়ে যাও রফিক , দুটো ব্যাগ নিয়ে আমি উঠতে পারবোনা'।
লিফটে সোজা ছ তালায় উঠে আসে ইলা ডুপ্লেক্সের উপরতলায়। এখানেই আব্বাসের ছবি আকার স্টুডিও। ইলা জানে এখানে আসলেই সে তাকে পাবে। গেটের দারোয়ানরা তার এত পরিচিত যে সে আসলে ইন্টারকম করার ও দরকার হয় না।
বেল বাজতেই আব্বাস দরজা খুলে দেয় আর চমকে উঠে ইলাকে দেখে।
'আরে তুমি ! খবর না দিয়ে সোজা এসে পরলে যে কি ব্যাপার ? আসো আসো ভেতরে আসো আজ কদিন ধরেই তোমার কথা ভাবছি'।
“তাই নাকি! তা ভাবলেই যখন তখন একবার যেতেও তো পারতে”
বলতে বলতে ইলা কালো কাশ্মীরি শালটা আরো জড়িয়ে নিয়ে ঘরের ভেতর পা দেয়। বেশ বড় ঘরটা ছিমছাম সাজানো গুছানো।ঘরের একদিক জুড়ে পুরোটাই একটা খোলা ব্যালকনি তাতে নানা ডিজাইনের টবে হরেক রকম পাতাবাহার।কেমন এক সবুজ ছায়া ছায়া ভাব।এখনও বেশ ঠান্ডা। তাই থাই এর দরজা লাগানো তবে কাচের ভেতর দিয়ে দেখতে পাচ্ছিল ইলা সব কিছু।ঘরের দেয়ালে আব্বাসের আঁকা ছবি ছাড়াও আরো দু একজন শিল্পীর ছবি। একটা শিল্পী বিখ্যাত গনেশ পাইনের আঁকা। অনেক কষ্টের টাকা খরচ করে এই দামী ছবিটা কিনেছিল মনের খোরাক মেটানোর জন্য। গল্পচ্ছলে একদিন বলেছিল তাকে সে।
একদিকে ছবি আকার ইজেল রং তুলি ক্যানভাস সব সাজিয়ে রাখা।ইজেলে একটা ছবি অর্ধেকটা আঁকা।আব্বাস এখন আর আগের মত অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই একটা ছবি একে উঠতে পারে না, কষ্ট হয়।
বিশাল সেই ঘরটির আরেক দিকে বেতের এক সেট সোফা সামনে কাচের টেবিল আর তার উলটো দিকে মোটা সুজনী দিয়ে ঢাকা নানা রকম কুশন দিয়ে সাজানো এক ডিভান। মাঝে মাঝে আব্বাস এখানেই শুয়ে থাকে।ঘরের ভেতরও চীনা মাটির টবে কত রকম ইনডোর প্ল্যান্ট এখানে সেখানে রাখা।মনে হয় এলোমেলো কিন্ত তা নয় আসলে ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যায় এর মধ্যেও রয়েছে এক শিল্পের ছটা। সত্যি অনেক রুচিশীল এই ভদ্রলোক, আর সেটাই ইলার মনকে আকর্ষন করেছিল সবচেয়ে বেশী।
অনেক বার দেখা ঘরটায় আবারো চোখ বুলাতে বুলাতে ইলা এগিয়ে যায় বেতের সোফাটার দিকে।
'খালাম্মা আমি নীচে আছি দরকার লাগলে ডাক দিয়েন' পুডিং এর ব্যাগটা টেবিলের উপর রাখতে রাখতে বলে উঠে রফিক।
মাথা নাড়তেই রফিক ঘর থেকে বেরিয়ে লিফটের দিকে এগিয়ে যায়।
‘এই ব্যাগে আবার কি এনেছো শুনি’ ? সামনের ডিভানে বসতে বসতে মোটা কাচের চশমা পরা চোখদুটো তুলে প্রশ্ন করে আব্বাস।
“তোমার জন্য একটু পুডিং”।
‘তোমার এই অভ্যাস আর গেল না, সবসময় একটা না একটা কিছু আনতেই হবে শুনি?’
'এমন করে বলছো কেন? 'তুমি পছন্দ করো তাই এনেছি', ম্লান গলায় বলে উঠে ইলা।
'একি তুমি মন খারাপ করছো নাকি ? আমি তো এমন করেই তোমার সাথে কথা বলি আজ পনের বছর ধরে, প্লিজ এমন করোনা, জানতো তুমি মন খারাপ করলে আমারও মন খারাপ হয়ে যায়, তাছাড়া তোমার শরীর ভালোনা কখন চুলোর পাশে গিয়ে আগুন টাগুন লাগিয়ে বসো গায়ে তার জন্যই চিন্তা করি’।
“না কিছু মনে করিনি, বাসায় একা থাকি, কাজ নেই, কিছু নেই, একটা পুডিং বানানো কোন ব্যাপার নাকি!আর আমি নিজেই কি সব কিছু করেছি নাকি? রিনার মার সাহায্য ছাড়া” নিজেকে সামলে নিল ইলা।
‘ওহ তাই নাকি বেশ বেশ খুব সুন্দর হয়েছে দেখতে, বুঝতে পারছি খেতেও অনেক মজা হবে ইলা’ ঢাকনা খুলে উকি দিয়ে এক নিশ্বাসে বলে গেল কথাগুলো আব্বাস।
“তারপর তোমার বাসার সবার খবর কি ভালো ? তোমার বৌ কবে আসবে কানাডা থেকে”?
‘ হ্যা সবাই ভালো আছে আর বৌ এর কথা শুনেছি সে নাকি আরো পাঁচ মাস থাকবে। ছেলে মেয়ে নাতি নাত্নি নিয়ে ওখানে সে ভালোই থাকে।তাই আসতে চায়না। তার আবার বাসাভর্তি লোকজন ছাড়া ভালোলাগে না।আর এ বাড়িতো শুন্য’।
“কিন্ত তুমি তো আছো, বয়সও হয়েছে, এত বড় বাড়ীতে একা একা থাকা ও তো ঠিক না। কখন কি হয়” ?
‘একা কই ইলা ! তাহের আছে আমার সবকিছু দেখাশোনা করে ,বুড়ি জমিলার মা আছে রান্না বান্না করে দেয়'।
“হু তা দেয়, তারপরও একজন আপন মানুষ কাছে থাকা”।
‘ইলা এত দিনেও তোমার বুদ্ধি হলো না ! মনে আছে আজ থেকে সেই পনেরো বছর আগে যখন আমাদের প্রথম পরিচয় তখন তোমার বোকামীর জন্য তোমাকে মাঝে মাঝে বুদ্ধু,ছাগল বলে ডাকতাম আর তুমি কেঁদে কেটে অস্থির হয়ে যেতে।তারপর সেই ডাক আর ডাকিনি । কিন্ত আজ এতদিন পরে তোমাকে সেই আদরের ডাকটা আবার ডাকতে ইচ্ছে করছে। আরে আইনি বন্ধনেই কি মানুষ একে অন্যের আপন হয় বলো ‘?
“না তা হয়না অবশ্য”, ইলা বলে উঠে।
'তাহলে পঞ্চাশ বছর সংসার করলাম বলেই কি সে আমার আপন হবে? আমি ভালো আছি অনেক ভালো আছি ইলা আমাকে নিয়ে তুমি একটুও ভাববে না বলে দিলাম। তার চেয়ে নিজেকে নিয়ে ভাবো। তুমিও তো একাই আছো। ছেলে মেয়ে বাইরে চলে গেছে, আমিনও তোমাকে একা রেখে গেছে, এখন তুমি নিজের কথা ভাবো ‘ বলতে বলতে আব্বাস এগিয়ে এসে গভীর মমতায় তার মাথায় হাত রাখে।
কখন চোখের কোন দুটোতে দু ফোটা পানি এসে বাসা বেধেছে খেয়াল করে নি ইলা। আব্বাস দ্রুত হাত সরিয়ে নিল। এত বছরের সম্পর্কেও এমন আবেগের বহিপ্রকাশ খুব কমই হয়েছে তাদের মধ্যে।
‘তাহের তাহের কি ব্যাপার এতক্ষন ধরে মেহমান বসে আছে এখনো চা দিলি না'?
বিশ বাইশ বছর বয়সের তাহের ছেলেটা বলতে গেলে আব্বাসের ছায়া সঙ্গী। গাড়ী চালিয়ে ডাক্তারের কাছে নেয়া বাসায় বাজার করা ছাড়াও বাসায় তার যাবতীয় কাজে সাহায্য করে যায় একমনে। এখনো সে দাঁড়িয়ে আছে পর্দার ওপাশে আব্বাসের হুকুমের অপেক্ষায়।
‘নানীরে বলেছি স্যার চা বানাতে, এক্ষুনি আনছি'।
‘জমিলার মাকে বলতো একটু পুরি বানাতে'
ইলা যে পুরি পছন্দ করে আব্বাস কখনো ভোলে না।
‘ইলা তোমার কি মনে আছে সেদিন গুলোর কথা যখন তোমার সাথে আমার প্রথম পরিচয় হলো ‘?
“কেন মনে থাকবে না সে সব কথা কি ভোলা যায়”! দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে ইলার।
‘তা ঠিক আমিও প্রায় মনে করি।আজ পনের বছর তোমার সাথে আমার কত কথা,কত বিষয় নিয়ে কত আলাপ কত খুনসুটি আবার কখনো কি মারাত্মক ঝগড়া মনমালিন্য দুদিন কথা বন্ধ, কিন্ত সকালে উঠে আমাদের একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানাতাম ঠিকই। মনে আছে তুমি সব সময় বলতে ‘আই লাভ এস এম এস’ যদিও এখন চোখে দেখি না ঠিকমত তবুও ঝাপসা চোখে এস এম এসে গুড মর্নিং লিখতে আজও আমার ভুল হয় না ইলা’।
“খেয়াল করেছো আব্বাস শীতটা কিন্ত এখনো পুরোপুরি যায় নি, পাতলা একটা ফ্ল্যানেলের শার্ট পরে আছো"
প্রসংগ পাল্টানোর জন্য তাড়াতাড়ি বলে উঠে ইলা। সেই আবেগময় দিনগুলোর কথা মনে হলে বড্ড কষ্ট হয় তার। মনে পরে আমিনের কথাও সেই সাথে।
‘আমার কিন্ত তেমন একটা শীত লাগছে না, তোমার লাগছে কি? একদম বুড়ী হয়ে গেছ মনে হয়’ ঠাট্টা করে বলে উঠে আব্বাস।
“হু বুড়ীইতো, বয়স কম হলো নাকি, তুমি যেন এখনো ছোকরা আছো, যাও গরম কিছু গায়ে দিয়ে আসো”?
‘ঠিক আছে দাড়াও সোয়েটার পরে আসি’ ভেতরের ঘরের দিকে হেটে যাবার সময় ইলা লক্ষ্য করলো কেমন যেন সামনের দিকে একটু ঝুকে হাটছে আব্বাস।গত বছর চোখের ছানি অপারেশন করিয়েছে তখন ইলা দেখতে গিয়েছিল হাসপাতালে। কালো চশমা পরা চোখে দেখতে না পারা আব্বাসের হাতটি আলতো করে ধরে বলেছিল “আব্বাস আমি ইলা” শুনেই জোরে চেপে ধরে বলেছিল ‘আমি টের পেয়েছি তুমি’।
“কি করে টের পেলে শুনি”?
‘সেটা বলা যাবে না’ বলে এক রহস্যময় হাসি দিয়েছিল।
এসব কথা ভাবতে ভাবতেই আব্বাস ঘরে ঢুকলো। তাকে দেখেই ইলা চমকে উঠে!একি সেই পুলওভারটা এখনো আছে ?
‘ইলা চিনতে পেরেছো সোয়েটারটা ‘?
“কেন চিনবোনা” ধরা গলায় বলে ওঠে ইলা।নিজের হাতে বানিয়ে জন্মদিনে উপহার দেয়া গাঢ় নীল রঙ্গের সেই পুলওভার। সেই কত বছর আগের কথা।
‘জানো তোমার দেয়া কোন কিছুই আমি ফেলে দেইনি’
“আমি জানি আব্বাস সেটা আর তোমাকে বলতে হবে না । তারপর ডাক্তারের কথায়তো এখন লেখালেখি বাদ দিয়েছো বলেই মনে হয়, তারপর ছবি আঁকা কেমন চলছে শুনি”?
'চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে , চোখটা ঠিক আর হলো না ইলা। সবকিছু ঝাপসা দেখি এমন কি এই যে তুমি সামনেই বসে আছো তোমাকেও। লেখালেখি আর আগের মত হয়ে উঠে না ।তবে ছবি আঁকাটা ছাড়িনি, কষ্ট হলেও একটু একটু করে আঁকি প্রতিদিনই।তুমি তো জানোই ডুপ্লেক্সে বানানোর উদ্দেশ্যই ছিল ছবি আঁকার একটা স্টুডিও বানানো, সেই ডুপ্লেক্স হলো কিন্ত আমার চোখের জ্যোতিও ফুরিয়ে এলো’।
“জানি আমি ভালো করেই। তবে আমার সেই সূর্যমুখীর ছবিটা আঁকতে ভুল হয় না যেন। এটা পনের বছর আগে করা তোমার কাছে আমার এক ছোট্ট আবদার”।
‘মনে আছে ইলা ভুলিনি, কিছুই ভুলি নি। ওটা না একে আমি মরেও শান্তি পাবো না’।
চা এর ট্রে নিয়ে ঘরে পা দিল তাহের।আব্বাসের সব কিছু টিপটপ গুছানো। এই যে চা সেটাও সুন্দর ট্রেতে করে কেটলীতে টিকোজী দিয়ে ঢেকে এনেছে। পাশেই প্লেটে গরম গরম পুরি আর ইলার বানানো পুডিং।
আব্বাস চা বানাতে এগিয়ে আসলে ইলা বলে উঠে, “আমি ঢালি আব্বাস”।
কেটলী থেকে কাঁপা কাঁপা হাতে চা ঢেলে দুধ মিশিয়ে এগিয়ে দেয় আব্বাসের দিকে।
ইলার কেপে ওঠা হাতের দিকে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি কাপটা ধরতে ধরতে আব্বাস বলে উঠে…
‘আচ্ছা প্রেশারের ওষুধটা ঠিকমত খাচ্ছোতো ইলা? আর ডাক্তারের কাছে আরেকবার গিয়ে একটা ইসিজি করিয়ে নিতে ভুলো না।ডাক্তার কি বলে না বলে আমাকে জানিও। আর একা না যেতে পারলে আমাকে খবর দিও আমি সাথে যাবো না হয়’।
“তুমি শুধু শুধু আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না তো, সব ওষুধই নিয়মিত খাচ্ছি, তুমি নিজের দিকে খেয়াল করো”।
‘নিজেকে নিয়ে ভাবি না ইলা এখন তো যাবার সময় হল। আমার সমস্ত চিন্তা তোমাকে ঘিরে।তুমি কি ভাবে একা থাকবে’?
“কি যে বলো আমি কি আরো একশ বচ্ছর বেচে থাকবো বলে ভেবেছো নাকি শুনি” ইলা রাগত গলায় ঝেজে উঠে।
‘আচ্ছা বাদ দাও এসব কথা, পুডিংটা কিন্ত দারুন মজা হয়েছে । চিনি দিয়েছো নাকি’?
“না না চিনি দেইনি আমি জানি তোমার চিনি খাওয়া নিষেধ তাই splenda দিয়েই বানিয়েছি”।
‘তুমি আমার সব কিছু খেয়াল রাখো ’ বলতে বলতে খুশীর হাসিতে তার সাদা দাড়ি গোফে ঢাকা মুখটা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।এটা সেটা কথা বলতে বলতে দুজনই খুব ধীরে ধীরে চা এর কাপে চুমুক দিচ্ছিল তবুও একসময় চা শেষ হয়ে আসে । তারা জানতো চা শেষের পরেই বিদায়ের পালা।সন্ধ্যার ম্লান আলো ঘনিয়ে আসে বাড়ীর চারিদিকে।
খালি কাপটা রাখতে রাখতে ইলা উঠে দাঁড়ায়।
'এখুনি চলে যাবে' ? কেমন এক অসহায় আকুতি ঝরে পরলো যেন আব্বাসের গলায়।
“হ্যা আজ উঠি ,অনেকক্ষনতো থাকলাম” ।
‘আচ্ছা এসো তাহলে, শরীরের দিকে খেয়াল রেখো কিন্ত’ বলতে বলতে সামনে এসে ঝুলে থাকা শালের কোনাটা তুলে পেচিয়ে দেয় ইলার গায়ে যাতে ঠান্ডা না লাগে।
আব্বাসের মাফলারের মাথাদুটো টেনে দিতে দিতে ইলা বলে ওঠে
“ঠিক আছে, তুমিও ভালো থেকো অনেক আর কারো জন্য না হলেও শুধু আমার জন্য আব্বাস”।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ মুগ্ধ হয়ে আমার গল্পটি পড়লেন বলে খেয়াঘাট। অনেক শুভেচ্ছা জানবেন সন্ধ্যার
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সুন্দর!
কিন্তু আপা, আপনার তো কবিতা লেখার কথা ছিল!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
জুন বলেছেন: আমার কোন স্থির সিদ্ধান্ত থাকে না লেখালেখির ক্ষেত্রে জুলিয়ান সিদ্দিকী।আমি লেখক নই, সামান্য ব্লগার মাত্র, তাই হুটাহাট করে যা মাথায় আসে তাই লিখে আপনাদের সামনে পেশ করি
কবিতা লিখবো বলে বলেছি কি আপনাকে ? মনে নেই আমার । আর আমার কবিতা সেতো অকবির কচকচানি তা আপনার কানকে পিড়ীত করা ছাড়া আর তার কিছুই করার ক্ষমতা নেই
ভালো থাকুন আর পাশে থাকুন ভবিষ্যতেও ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
দাদা-দাদীর গল্প ||
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জুন বলেছেন: নাতি নাত্নীদের জন্য লেখা ইমরাজ কবির মুন
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য সাথে শুভেচ্ছা একরাশ
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: সকালের রোদ যেমন স্নিগ্ধ, কোমল, দুপুরে তেমনি তীব্র তেজী, বিকেলে আবার আদুরে নরম। ঠিক তেমনি মানুষের জীবনে বিশেষ করে নর-নারীর সম্পর্ক, বন্ধুত্ত্ব কৈশোর, যৌবন, বার্ধক্যে আলাদা মাত্রা থাকে। কৈশোরে নির্মল, যৌবনে উন্মাদনা, আর পড়ন্ত বেলায় মায়া, মমতা, ভালোবাসায় গোধূলী লগ্নের মত সুন্দর!
মানুষের জীবনের সেই পড়ন্ত বেলার সুন্দর ছবি এঁকেছো তুমি।
এক কথায় অসাধারন একটি ছবি।
এমন একটি বিষয় বেছে নেবার জন্য, বিশেষ করে সেটাকে এমন জীবন্ত ফুটিয়ে তোলার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা তোমায় বন্ধু!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৬
জুন বলেছেন: সুরঞ্জনা সেই দুপুরে তুমি এমন করে আমার গল্প পড়ে তোমার মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেছ এক অসামান্য মন্তব্য করে। আর আমি আসলাম তার জবাব দিতে রাতের অন্ধকারে।
বার্ধক্যের এই মমতাটুকু, এই বন্ধুত্বটুকু, পারস্পরিক এই নির্মল সম্পর্কটুকু কিন্ত মানুষ কোটি টাকা দিয়েও কিনতে পারে না । মাথা কুটে কেঁদে কেটে মরলেও না।
কিন্ত আমরা সেই বিশ্বাসের মর্যাদা কতটুকু রাখি যৌবনের অহংকারে সুরঞ্জনা ?
এত্ত সুন্দর একটি মন্তব্যের জবাবে শুধু এটুকুই বলবো আমার প্রতি তোমার বন্ধুত্বের হাতটুকু যেন চিরদিন প্রসারিত থাকে যে কদিন বাচি।
শুভেচ্ছা যেন নিরন্তর।
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
হুপফূলফরইভার বলেছেন: ইলা, আব্বাস, কাশ্মীরি শাল, বিখ্যাত শিল্পী গনেশ পাইনের আঁকা ছবি, প্রিয় মানুষের জন্য নিজ হাতে বানিয়ে আনা পুডিং, আদুরে ডাক বুদ্ধু,ছাগল, এই পড়ন্ত বেলায় পরম মমতায় প্রিয়জনের মাথায় বুলিয়ে দেয়া ভালবাসার হাত, সেই পুলওভার সুয়েটার গায়ে দিয়ে স্মৃতিরোমন্থন, কেটলী থেকে কাঁপা কাঁপা হাতে চা ঢেলে দেয়া, কিছু স্মৃতি, কিছু অব্যাক্তকথন, ফুরিয়ে যাওয়া বিকেল আর সেই সাথে যাবার বেলায় আর্তনাদের স্বরে জানতে চাওয়া ‘এখুনি চলে যাবে ইলা’?
উফ! কিভাবে পারেন এমন চমৎকার করে জীবনের গল্প শব্দমালায় সযতনে গেথে দিতে? অসম্ভব ভাল লেগেছে জীবনের এই সুন্দরতম তৈলচিত্র
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
জুন বলেছেন: বুঝলে না বুড়া মানুষ, বাতে ধরা হাত তাই কাপাকাপি করছে হুপ
এত্ত সুন্দর মন্তব্যের কি জবাব দিব ভাবছি তখন থেকে। তবে এটা বুঝেছি তুমি খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছো ।
আমিতো সবসময় সুন্দর লিখি শুধু তোমাদের চোখে পরে না
অসংখ্য ধন্যবাদ হুপ আমার পচা লেখাও যে তোমার মত ব্লগ সন্ন্যাসী কে ব্লগে টেনে আনে
রাতের শুভেচ্ছা ..
৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
সায়েম মুন বলেছেন: ছেলে মেয়ে নাতী নাতনি থাকতে আবার প্রেম। যাক সময়টা ভালই পার হবে ইলা মিত্র আর আব্বাস উদ্দিনের
লেখনীটা কিন্তু একদম ঝরঝরে হয়েছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০০
জুন বলেছেন:
মুন, মনে যার প্রেমের জ্যোতি
থাকলোই বা তার নাতি পুতি :!>
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য সাথে
সকালের শুভেচ্ছা ফাউ ফাউ
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
অদৃশ্য বলেছেন:
জুনাপু
অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম একটি গল্প পাঠ করা হলো... পাঠে মুগ্ধতা...
গল্পের ভেতরেও অনেক গল্প থাকে... এই লিখাটিতেও তেমন দেখতে পাওয়া যায়... ইলা ও আব্বাসের সম্পর্কের শুরু ১৫ বছর আগে আর ইলার স্বামি আমিন গত হয়েছেন ৮ বছরের মতো... আমিন থাকাকালীন সময়েই ইলা আব্বাসের বা আব্বাস ইলার মনের গহীনে বসবাস শুরু করে... এইটা এই ছোট্ট রোমান্টিক গল্পটার ভেতরের বিশাল রোমান্টিক গল্প...
ভালোবাসাকে কোনকিছুতেই আটকে রাখা যায় না... সেটা আপনি আবারো গল্পে লিখে গেলেন...
শুধুমাত্র শেষ এই কথাটি... “ঠিক আছে, তুমিও ভালো থেক অনেক আর কারো জন্য না হলেও শুধু আমার জন্য আব্বাস''... না বললেও লিখাটির প্রকৃত ভাব প্রকাশে কোন সমস্যা হতোনা... তারা ১৫ বছর ধরে প্রতিটি মুহূর্তেই দু'জন দু'জনের হয়ে ছিলেন... আছেন
শুভকামনা...
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪
জুন বলেছেন: অদৃশ্য আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো আপনি পুরো গল্পটি অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়েছেন। নাহলে সময়ের হিসাব নিকাশ করা সম্ভব হতোনা । এমন মনযোগী পাঠক সাথে থাকায় আমি অনেক খুশী হোলাম।কারণ সেই সাথে আপনি আমার ভুল ত্রুটি গুলোও তুলে ধরতে পারবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর সাথে সকালের স্নিগ্ধ শুভেচ্ছা ।
৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জুনাপি চমৎকার লিখেছেন।২য় প্লাস।+
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার সব সময় সাথে থেকে নিরন্তর উতসাহ দিইয়ে যাওয়ার জন্য ।
আপনি কি করে প্লাস দিচ্ছেন ? আমিতো কারো পোষ্টে প্লাস দিতে পারছি নাঃ(
৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
অ্যানোনিমাস বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন আপি। শুভকামনা রাশি রাশি!!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৭
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আ্যনোনিমাস । আপনার জন্যও শুভকামনা রাশি রাশি
১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
মামুন রশিদ বলেছেন: বাব্বাহ, দারুণ গল্প লিখেছেন আপু । যেমন রোমান্টিক তেমন সুন্দর বর্ণনা । এক কথায় মুগ্ধপাঠ!
ইয়ে আপু, খুব ব্যস্ততার মাঝে আছি । এই মাসের সংকলন না ও হতে পারে
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১১
জুন বলেছেন: কি যে বলেন মামুন রশিদ, এই দুই বুড়ো বুড়ীর গল্পে রোমান্স পেলেন কই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সবসময় সাথে থেকে প্রেরনা যুগিয়ে যাবার জন্য।
ওহ আচ্ছা ব্যাস্ত আছেন তাই মন্তব্যের জবাব সাথে সাথে দিয়ে বিরক্ত করি নি।
নেট অত্যাধিক স্লো উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল
১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আমি তো আপনাকে এজন্যেই বলি গল্প লিখতে। বেশ হয়েছে
তবে কিছু বানানে ভুলভ্রান্তি আছে
ঠিক কইরা নিয়েন
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৪
জুন বলেছেন: হু তা বলেছো অবশ্য তানিম, আমি অস্বীকার করবোনা।
ভুল শুদ্ধ করে কি হবে আমি তো আর বই ছাপাতে যাবোনা।
তোমরা কষ্ট করে বুঝে নিও আমি কি বলতে চাচ্ছি :#>
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: পড়ার সময় মনে হচ্ছিল খুঊঊউব সফট কিছু পড়ছি....
এত চমৎকার !
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৫
জুন বলেছেন: সুন্দর একটা মোলায়েম মন্তব্যের জন্য নীল- দর্পনকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়
১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: প্রিয় জুনাপু চমৎকার লিখেছেন!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৬
জুন বলেছেন: আপনার ভালোলাগার কথা শুনে আমারও অনেক ভালোলাগলো তন্দ্রা বিলাস
শুভেচ্ছা সকালের
১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৪
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: মুগ্ধপাঠ!
গপের নামটা খুব সুন্দর!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আর সকালের স্নিগ্ধ শুভেচ্ছা একরাশ মাসুম আহমদ ১৪ ।
সাথে আছেন সাথে থাকবেন এই কামনায়
১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮
হুপফূলফরইভার বলেছেন: ও আচ্ছা তাই নাকি? আগে জানতামনাতো? আজকেই জানা হোল নতুন করে। এখন থেকে কয়েকদিনের জন্য চোখ এড়াবেনা আশা করি।
আপনার মত গুনি যত্নবান ব্লগারের কাছে কিছু বাক্যগঠন, কিছু টাইপোতো আরো বেশী টেইক কেয়ার আশা করতেই পারি। গল্পটা পোস্ট করার আগে আরো কয়েকবার রিভিউ করে নিতে পারতেন। তাতে করে সুন্দরতম থেকে চমৎকার সংকলনে গল্পটা ঠাই নিত নিঃসন্দেহে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১২
জুন বলেছেন: হু চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে না দিলে এই জনমে আর দেখা হয়ে উঠতোনা হুপ।
ইচ্ছা করেই কিছু ভুল রেখে দেই নাহলে বলবে কি নিয়ে ? সেই তো অসাধারন অসাধারন বলে চলে যাবে। তাই এই নতুন সিষ্টেম
কোন সংকলনে হুপ !!
ঠাই নেই ঠাই নেই ছোট সে তরী, তাদেরই সোনার ধানে গিয়েছে ভরি
অসংখ্য ধন্যবাদ আবার আসার জন্য
১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হুম....ইলারা এতোদিন সব খেয়াল রাখবে কিনা, চিন্তিত হয়ে গেলাম
সব ইলা তো এক নয়, অবশ্য সব আব্বাসও এক নয়!
সুন্দর গল্প। স্মৃতিগুলো এভাবে ফিরে ফিরে আসলে কত ভালো হতো
শুভেচ্ছা আপনাকে, জুন!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
জুন বলেছেন: আসলেও ইলারা এতদিন মনে রাখবে কি না সেটা সত্যি ভাবার বিষয়। আজ হয়তো যা বল্লো কাল তার উল্টোটা
সাথে থাকা আর সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মাঈনুদ্দিন মইনুল ।
১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ গল্প!!!
ভাললাগা রেখে গেলাম।
++++++
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
জুন বলেছেন: ভালোলেগেছে জেনে অনেক ভালোলাগলো স্নিগ্ধ শোভন
১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমার অনেক পছন্দের একটা গল্প পেলুম। খুউব ভাল লাগল। আগে দেখা হয়নি পড়তে দেরী করেছি তাই নিজেকে ধমকাচ্ছি। ধন্যবাদ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
জুন বলেছেন: আপনার পছন্দের গল্প লিখতে পেরে আমিও আনন্দিত ঢাকাবাসী ।
না না নিজেকে ধমকানোর কিছু নেই । এমন কোন বিশাল কিছু নয়। তাছাড়া আপনি আমার দেশী মানুষ যখন তখন আগে পরে কোন ব্যাপার নয় । অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে সন্ধ্যার এক রাশ শুভেচ্ছা
১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পড়লাম ...
++++++++++ দিয়ে গেলাম আপুনি ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
জুন বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা। সাথে এত্তগুলো প্লাসের জন্য স্পেশাল থ্যাংকস
২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সব প্রেম যদি খালি আপনারাই করেন তবে আমরা কি করব ? আর ছোটদের কথা বাদই দিলাম না হয়।
এমন গল্প লিখলে কেমনে কি হইব আপা ?
পুরাই প্রেমে পইড়া গেছি গল্পের। :!>
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
জুন বলেছেন: আমরা কারা ? এখানেতো ইলা আর আব্বাসের বন্ধুত্বের কথা লিখেছি কান্ডারী :#>
গল্পের প্রেমে ভালোই বলেছো ।
অসংখ্য ধন্যবাদ মজার একটি মন্তব্যের জন্য
২১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জুনাপি আপনারা হলেন তারকা।মানুষ আপানাদের আলো দেখে ভারলাগা দেয়।এভাবেই মানুষের ভাললাগা নেন। সেটা দেয়ার জন্য তো আমরা আম আদমী আছিই। আপনাদের ভাল লাগানোর মত যোগ্যতা থাকলে না আমার মত অধমকে ভাল লাগা দিবেন ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭
জুন বলেছেন: এসব তারকা টারকা বলে উল্লেখ করলে অনেক খুশী হই সেলিম আনোয়ার ।
জীবনেও তা হতে পারবোনা আফসোস থেকে যাবে সারা জীবন
২২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
মাগুর বলেছেন: বাহ! দারুণ গল্প! চমৎকার লিখেছেন আপু। গল্পের সাবলীল বর্ণনা আর রোমান্টিকতা মন ছুয়ে গেল।
একগাদা শুভকামনা রইলো
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
জুন বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো অজস্র শুভেচ্ছা সকালের।
ভালোলাগার জন্য অনেক ভালোলাগা মাগুর
২৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন আপু। ভালো লাগল।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
জুন বলেছেন: ভালোলাগলো শুনে আমারও অনেক ভালোলাগলো কাল্পনিক ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
২৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
জুনা'পুর ছোট গল্পও দারুন হচ্ছে।
দারুন!
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
জুন বলেছেন: শুনে অনেক খুশী হোলাম দুর্জয়। ছোট গল্প কিন্ত আমি অনেক থেকেই লিখছি অবশ্য সেগুলোকে যদি ছোট গল্পের কাতারে ফেলা যায়। আমি অবশ্য ট্যাগে ছোট গল্পই লিখে থাকি :!>
সকালের শুভেচ্ছা আর সাথে অজস্র ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
২৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
খুব চমৎকার লিখেছেন।
স্মৃতির অনূররণে মুগ্ধতা রেখে গেলাম.............
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
জুন বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্যও অনেক অনেক ধন্যবাদ সোনালী ডানার চিল । খুব ভালোলাগে সবসময় সাথে আছেন বলে
২৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০
শায়মা বলেছেন: ইলার গল্প পড়লাম আপুনি!!!
মন খারাপ করা করা আবার ভালো লাগাও।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
জুন বলেছেন: মন খারাপ কেন শায়মা
এখানেতো মন খারাপের কিচ্ছু নেই, শুধু বুড়ো বুড়ীর ভালোবাসা :!>
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
নিটোল এক ভালোবাসার কথা বলে গেছেন লেখায় । বাস্তবে এরকমটা কঠিন বটে তবে একেবারেই অসম্ভব নয় । হয়তো খুঁজলে এরকম গভীর ভালোবাসা ভরা বুক নিয়ে কারো দেখা মিলতেও পারে ।
ছোটখাটো আবেগের কথা দিয়ে নীল সোয়েটার বুনে বুনে বুঝিয়েছেন বয়সের শীতে জড় ভালোবাসাকে কি করে ঢেকে রাখতে হয় উষ্ণতায় ।
আপনি যেন গানের এই লাইনক'টিই বাজিয়ে গেলেন আবার নতুন করে ---
"তোমরা যে বলো দিবস রজনী ভালোবাসা ভালোবাসা
সখি, ভালোবাসা কারে কয় ........... "
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
জুন বলেছেন: আপনিও যে সেই সোয়েটারের মত কথার মালা বুনে বুনে মন্তব্য করে গেছেন তার জন্য অজস্র ধন্যবাদ আহমেদ জীএস।
ভালো থাকুন সবসময়।
২৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাসায় গিয়ে তো ব্লগে ঢুকতেই পারি না, তাই পড়া হয়নি আপনার গল্প। শিরোনাম টা খুব সুন্দর আপু, যেমন করে জীবনের অনেকটা সময় পার করে আসা দুজন মানুষ দুসংসারে থাকার পরেও মনের দিক থেকে কেমন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে আছে সর্বক্ষণ। ভালো লেগেছে গল্পে দুজনের তীব্র আবেগের পরিমিত ব্যবহার।
শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
জুন বলেছেন: এত চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আপনি এসে আমার পোষ্ট পড়েছেন এটা আমার সৌভাগ্য অপর্না মম্ময়।
সত্যি বলতে কি আপনার গল্পটা দারুন হচ্ছে কিন্ত। লিখতে থাকুন সাথে আছি সবসময়।
আপনার জন্যও রইলো অনেক শুভ কামনা
২৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
আম্মানসুরা বলেছেন: বুড়ো বয়সেও যে এমন চমৎকার প্রেম সম্ভব টা আপনার গল্প না পরলে জানতাম না। অনেক সুন্দর গল্প।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
জুন বলেছেন: শুনেছি বুড়ো বয়সের প্রেমই নাকি সত্যিকারের প্রেম আম্মানসুরা। তখন তো আর পৃথিবীর কাছে কিছুই চাওয়া পাওয়ার থাকে না । থাকেনা কামনা বাসনা শুধু পরস্পর নির্ভরশীলতা কিছু সুন্দর সময়ের জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য, ভালো থাকবেন সবসময় সেই কামনায়।
৩০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
একজন আরমান বলেছেন:
পাঠ মুগ্ধ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুনে খুব ভালোলাগলো একজন আরমান
৩১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিত আপু ইলা আর আব্বাসের বন্ধুত্ব পূর্ণ প্রেমের কথাই বললাম আপু। আপনারা মানেই গল্পের নায়ক নায়িকা আর কি
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
জুন বলেছেন: ওহ আচ্ছা গল্পের নায়ক নায়িকাদের কথা বলছেন কান্ডারী
অনেক অনেক ধন্যবাদ আরেকবার আসার জন্য
শুভেচ্ছা সন্ধ্যার....।
৩২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইলা মিত্র আর আব্বাসের বন্ধুত্ব মুগ্ধ করে দিল। চমৎকার।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৯
জুন বলেছেন: প্রফেসরের ভালোলাগার কথা শুনে আমারো অনেক ভালোলাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
কিন্ত ইলা মিত্র পেলেন কোথায় ??
৩৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: চিকন পাড়ওয়ালা শাড়ী কি বেশির ভাগ ভদ্রমহিলার পচ্ছন্দ?
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
জুন বলেছেন: বয়স হলে সব মহিলারাই চিকন পাড় লাইক করে। কারন এটা চওড়া পাড়ের চেয়ে চিকন পাড় হাল্কা লাগে ।পরতে সুবিধা হয় রাতুল
৩৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১০
রাতুল_শাহ বলেছেন: শেষের দিকে এসে মনটা কেমন উদাস করে দিলেন।
সামুও উদাস আর এখন আমিও উদাস, ২ জনের মন ভাল হলে, ভাল লাগা দিবো।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
জুন বলেছেন:
ঠিক বলেছো রাতুল আমিও উদাস
কারো পোষ্ট লাইক দিতে পারছি না
৩৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
ভিয়েনাস বলেছেন: সকল বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলো যেন এমনি হয়। কি চমৎকার আর আবেগী লেখা । পড়ে ভেতরে ভেতরে প্রশান্তি ছড়িয়ে পড়লো। কিভাবে লিখেন আপু এতো সুন্দর করে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
জুন বলেছেন:
আসলেও অনেক সময় মনে হয় এমন কোন প্রিয় বন্ধু থাকুক সে ছেলে মেয়ে যাই হোক যার সাথে সব কিছু শেয়ার করতে পারে কেউ।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস সবসময় পাশে থেকে মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রানিত করার জন্য
৩৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: ভিয়েনাস বলেছেন: সকল বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলো যেন এমনি হয়। কি চমৎকার আর আবেগী লেখা । পড়ে ভেতরে ভেতরে প্রশান্তি ছড়িয়ে পড়লো। কিভাবে লিখেন আপু এতো সুন্দর করে।
কি-বোর্ড দিয়ে।
ভিয়েনাস ভাইকে কি-বোর্ডটা ২ দিনের জন্য ধার দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
আপনার সদয় মর্জির অপেক্ষায় রইলাম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
জুন বলেছেন: আচ্ছা দেব, তবে দুদিন কেন ? অনেক দিনের জন্যই নাহয় নেবে ভিয়েনাস, তাতে আর অসুবিধা কি রাতুল
আমি নাহয় সেই কদিন হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলাম অথবা স্লেট পেন্সিলে ফিরে গেলাম
৩৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
শ্যামল জাহির বলেছেন: ছোট গল্প হলেও সরস ননী'র স্বাদ পেলাম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শ্যামল জহির নতুন একটি শব্দ ব্লগে আমদানী করার জন্য
শুভেচ্ছা জানবেন ...।
৩৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
শীলা শিপা বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়েছি সব টা গল্প । চমৎকার লিখেছেন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
জুন বলেছেন: চমৎকার লাগলো শুনে আমিও খুশী হোলাম অনেক শীলা শিপা। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম
আশা করি ভবিষ্যতেও সাথে থাকবেন।
৩৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
বোকামন বলেছেন:
ক্যানভাসে আঁকা জীবনের তৈলচিত্র ...
চিত্রটি খুব সুন্দর। শিল্পী পরম যত্নে এঁকেছেন। যাবার সময় অধিকারটুকু নিয়ে বলে যাওয়া- কারো জন্য না হলেও শুধু আমার জন্য
সম্পর্কের গভীরতায় সেই অধিকার আমাদের সকলের হস্তগত হয়না। যাদের হয় তারা যেন এভাবেই বলে যান তার প্রিয়জনকে। গল্পের থিম দারুণ পরিপক্ব এবং লেখনী বরাবরে মতই নির্মেদ, খুব সুন্দর।।
ভালোলাগা জানবেন। এবং অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
আস সালামু আলাইকুম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
জুন বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৪০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
আরজু পনি বলেছেন:
লেখাটা গতকাল পড়ার মাঝখানে পিসি অফ করে ননদের সাথে দৌড় লাগাতে হয়েছে ।
তাই মন্তব্য আর করা হয় নি ।
বন্ধুত্বের দারুণ গল্প ।
অনুপ্রাণিত হলাম... ভরসাও পেলাম
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
জুন বলেছেন: পনি আমি খেয়াল করলাম তুমি আমার প্রায় লেখাই অর্ধেক পড়ার পর নানা ঝামেলায় দৌড় দাও
কারন কি
যাই হোক পুরোটা পড়তে যে পেরেছো শেষ পর্যন্ত তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
না এমন বন্ধুত্ব শুধু কল্পনায় হয় পনি বাস্তবে কখনো হয় না। আমি শুধু কল্পনাটাই একেছি।
বাস্তব বড় রূঢ়
৪১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: স্লেট পেন্সিলে ফিরে গেলাম
এটাই ভাল হবে। কতদিন স্লেট আর চক দিয়ে লিখি না।
প্রথম বর্ণ হিসেবে "অ" শিখেছিলাম। আন্টি লিখে দিতেন আর আমি মুখ-হাতে চকের গুড়া ভরিয়ে সেটার উপর লেখতাম।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
জুন বলেছেন: সত্যি রাতুল আমাদের ছেলে পেলেরা শ্লেট পেন্সিল কি জিনিস জানলোও না। আগের দিন হলে যাদুঘরে নিয়ে যেতে হতো দেখানোর জন্য এখন হয়তো বল্লে গুগুলে সার্চ দেবে
অনেক ধন্যবাদ নিজ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ।
৪২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অবশেষে শান্তিপুর্ণ ভাবে সামুতে প্রবেশ করতে পারছি কিন্তু প্লাস দেয়ার অপশনটা এখনও দেখি ঠিক হয়নি
অনেক ভালো লাগলো শেষ বেলায় চলে আসা দুজনের কথোপকথনের গল্প সাথে একরাশ তীব্র প্লেটোনিক ভালোবাসা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
জুন বলেছেন: কুনো অবশেষে শীত আসার আগেই শীত নিদ্রার কোলে ঢলে পরা ঘুম ভেঙ্গে বেরিয়ে আসলে গর্ত থেকে তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার গল্পটা পুরোই কল্পনার উপর ভিত্তি করে লিখেছি। মনে হয় এমন বন্ধুত্ব থাকলেই ভালো হয় মনে হয় তাই না ?
ভালো থেকো অনেক আর সাথে থেক সবসময় যেমনটি থাকো
শুভেচ্ছা সন্ধ্যার ।
৪৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: কলা পাতা বা তাল পাতায় বাঁশের কমচি আর দোয়াত কালি দিয়ে লিখেছেন?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২০
জুন বলেছেন: না রাতুল এত এন্টিক নই
৪৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: তাহলে তো আমি এন্টিক...........
আমার নানাজান কলম বানিয়ে দিয়েছিলেন। তালপাতায় লিখেছি।
চরম অভিজ্ঞতা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
জুন বলেছেন: রাতুল তোমার প্রোপিকের ছবি অনুযায়ী তুমি হলে একে ফজলুল হক
তুমি তো তালপাতায়ই লিখবা ।
৪৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
মুরশীদ বলেছেন: ভালোলাগলো ইলা আর আব্বাসের প্ল্যাটোনিক লাভ।
সুন্দর ফুটে উঠেছে আপনার লেখনীতে।
প্লাস +++++++
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫০
জুন বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক পরে এসে এত্তগুলো প্লাস দিয়ে যাবার জন্য
৪৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনার পোষ্টের সাথে সামুর কোন শত্রুতা আছে?
আপনার পোষ্টে আসতে গেলে বার বার বন্দুকের গুলির মত রিলোড করে আসতে হয়।
মন্তব্য করলে কয়েকবার রিসেন্ড।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
জুন বলেছেন: শত্রুতা কেন রাতুল :-& আমি তো কারো সাথে পাচেও থাকি না ক্যাচাল দেখলে গ্যালারীতে পপকর্ন নিয়েও বসিনা পারলে দেশের বাইরে চলে যাই যেখানে কোন নেট থাকে না ধরো মিশরের ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট ডেজার্টে
চিন্তা করোনা উনি আমার সাথেও এমন করে :!>
৪৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
আমি ইহতিব বলেছেন: নিখাদ ভালোবাসার দারুন গল্প পড়লাম যাকে কোন সম্পর্কের বাঁধ দিয়ে আটকানো যায়নি। ভালো লাগলো গল্পটা। অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম আপু। এত এত ভালো লেখা আসে সামুতে এখন, কিন্তু সময় স্বল্পতায় পড়া হয়ে উঠেনা আর অজানা এক অপরাধবোধ বা অপূর্ণতায় ভুগতে থাকি, তবে পরিচিত ভালো লেখকদের ব্লগে চেষ্টা করি মাঝে মাঝে ঘুরে যেতে। ভালো থাকবেন, শুভ কামনা থাকলো।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
জুন বলেছেন: আমি ইহতিব আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালোলাগলো । বোঝা গেল অনেক মন দিয়ে পড়েছেন আপনি গল্পটা ।
না কেন অপরাধবোধ ইহতিব এখানে কি কোন বাধাধরা আইন আছে যে সবার পোষ্ট পড়তেই হবে। আপনি যখন সময় পাবেন তখন পড়বেন । ভালোলাগলে মন্তব্য করবেন না লাগলে নেই।
আপনার কথা প্রায় মনে করি । কি উত্তাল ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দিচ্ছেন ছোট একটা বাচ্চা নিয়ে।
ভালো থাকুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে।
৪৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: ভালোবাসা থাকুক চিরন্তন সত্যে... মানুষের সম্পর্ক গুলো কত কত্ত সুন্দর হয় সেটা আপনার লেখায় প্রকাশ পেল..
ধন্যবাদ আপুনি....
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জুন বলেছেন: তুহিন ব্লগে পুরোনো মানুষরা যখন উকি দিয়ে যায় তখন এক অন্যরকম ভালোলাগায় মনটা ভরে উঠে।
ভালো আছো তো ?
হু তোমাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পড়েছো বলে ।
৪৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: গতকাল তুহিন ভাই ,আমাকে বললেন আমি নাকি হাজার বছর পর আসছি।
কিন্তু আমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করলো না, আমি কেমন আছি?
এই দু:খ কোথায় মাটি চাপা দিবো? সব জায়গায় বিল্ডিং উঠছে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৭
জুন বলেছেন:
৫০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
রাতুল_শাহ বলেছেন: B:-) B:-)
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
জুন বলেছেন:
৫১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫০
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: চমৎকার লেখা আপুনি
অনেক ভালো লেগেছে
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভালোলাগার জন্য রহস্যময়ী কন্যা
৫২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৮
ঘাষফুল বলেছেন: দারুণ!! এবং অন্যরকম.....।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০০
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ঘাষফুল
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: একেবারে মুগ্ধ পাঠ।