নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডঃ মুবারক খানের আবিষ্কার পৃথিবীকে প্লাস্টিক ব্যাগের দূষণ থেকে বাঁচাবে

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ

ছবিসুত্র:পল্লিমা গ্রীন

পৃথিবীতে প্লাস্টিক দূষণ এমন এক ভয়াবহ অবস্থায় চলে গিয়েছে, যে কারনে জাতিসংঘ ১০ বছরের সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে। অর্থাৎ ২০৩০ এর মধ্যে পৃথিবীর সব দেশগুলোকে প্লাস্টিক বর্জন করতে হবে।
ঠিক এমনি এক সময়ে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ডঃ মুবারক আহমেদ খানের পলিথিনের বিকল্প পাট থেকে সোনালি বাগের আবিষ্কার প্লাস্টিক বর্জনের এক সম্ভাবনাময় দুয়ার খুলে দিয়েছে। তার আবিষ্কার অর্থাৎ প্লাস্টিকের বিকল্প পচনশীল ব্যাগ যা দেখতে এবং কাজে পলি ব্যাগের মতই কিন্তু শতভাগ পরিবেশ বান্ধব।
প্লাস্টিকের সমস্ত বর্জ্য শেষ পর্যন্ত গিয়ে জমা হয় সমুদ্রে। মাত্র ১ টি কোমল পানীয় কোম্পানীই বছরে ৩ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করে। প্লাস্টিক দ্রব্যের উপর লেখা থাকে “শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন” কারণ এটা শিশুর মৃত্যু ঘটাতে পারে। কিন্তু মাছেরা লেখা পড়া জানেনা তাই প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে। হিমালয়ের এভারেস্ট থেকেও ৪০০০ টন প্লাস্টিক দ্রব্য অপসারণ করেছে নেপাল।
জনাব খানের আবিষ্কার বিশ্বকে প্ল্যাস্টিক দ্রব্যের দূষণ থেকে মানুষ এবং প্রাণীকে বাঁচাতে পারে।
খিলগাঁও পল্লীমা সংসদের অঙ্গসংগঠন "পল্লীমা-গ্রীন ২০১৯ স্বর্ণপদক” ২৮শে জুন ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশের এই কৃতি বিজ্ঞানীকে প্রদান করে সন্মানিত করেছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠানে জনাব খানের সাথে কিছুক্ষণ আলাপ করার সুযোগ হয়েছিল। অমায়িক, নির অহংকার এই লোকের প্রশংসা না করে পারা যাবেনা।


ছবি:ইন্টারনেট থেকে নেয়া
তার কাছেই জানলাম সোনালি ব্যাগ নামটা আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দেয়া। আমি ডঃ মুবারক খান কে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনার এত বড় আবিষ্কার নিয়ে দেশে তো তোলপাড় হবার কথা। উনি উত্তরে বললেন এটাকে এগিয়ে নিতে প্রচুর ফান্ড বা পুঁজি বিনিয়োগের দরকার। সেটা আশাব্যঞ্জক না। আর মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে তার সরাসরি এক্সেস থাকলে তিনি তাঁর কাছে সহায়তা চাইতেন। উনার প্রয়োজন গবেষণা চালিয়ে যাবার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ইত্যাদি। এর জন্য প্রচুর অর্থ বা বিনিয়োগ দরকার।

বললাম "গন মাধ্যম "? প্রসঙ্গত চলে আসলো আজকে তিনি পাট নিয়ে সুন্দর একটা কবিতার বই লিখলে হয়ত এর চেয়ে বেশি প্রচার পেতেন। আমার ঘনিষ্ঠ কজন বন্ধু বান্ধব উনার নাম বা আবিষ্কার সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। এরকম অনেক আছে। উনার সম্মতি সূচক অভিব্যক্তিতে বুঝে নিলাম।
সমস্যার সাথে সাথে সমাধানের উপায় পৃথিবীতেই রয়েছে, প্রয়োজন শুধু সাধনা আর লেগে থাকা। মনে প্রাণে আশা করি ডঃ মুবারক খানের আবিস্কার বিশ্বকে প্লাস্টিক থেকে রক্ষা করবে। আমাদের দেশ ব্যর্থ হলে অন্য দেশের মাধ্যমে এই আবিষ্কার আলোর মুখ দেখবে।
শুধু জাতি সংঘের ঘোষণার জন্যই প্লাস্টিক বাতিল করতে দেশগুলো ব্যবস্থা নেবে,তা কিন্তু নয়, এটা বাস্তবসম্মত হবেনা ৷ তাই পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষকে সচেতন হয়ে প্লাস্টিক ব্যাগ বর্জন করতে হবে। মানুষ তখনি তা করবে যখন জানবে প্লাস্টিকের কি ক্ষতি এবং হাতের কাছে বিকল্প কি? প্লাস্টিক মুক্ত পৃথিবী তৈরিতে প্রতিটা মানুষের চেষ্টা জরুরী।

ছবি: ইন্টারনেট
বর্তমানে প্লাস্টিকের ব্যবসা হাজার হাজার কোটি টাকার। এদের প্রচুর ক্ষমতা এবং সেই সাথে তারা রাজনৈতিক ক্ষমতারও অধিকারী। স্বভাবতই তারা সোনালি ব্যাগের প্রসার চাইবেনা। তাকে মাথা তুলে দাড়াতে দেবেনা। তাই আমরা নিজেকে দেশ প্রেমিক বলে দাবি করলে অবশ্যই ডঃ খানের মত দেশের সকল হিরোদের পাশে দাড়াতেই হবে। সেই সাথে মানুষকে সচেতন করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করলে অন্যরা বসে থাকবেনা।

লেখক ঃ ব্লগার মুরশিদ

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাটের ব্যাগ যদি "প্লাষ্টিকের মতোন" দেখায়, ঐ ব্যাগের "মেটেরিয়েল কন্টেন্টস" কি? দেখেন, সেটা পোষ্টে দিতে পারেন কিনা! ব্যাগের ধারণ ক্ষমতানুযায়ী মুল্য কেমন? উহা কি একবার, নাকি বহুবার ব্যবহার করা যায়? ব্যাগ যদি ব্যবহার যোগ্য হয়, উনি বিলিওনিয়ার হয়ে যাবেন।

এই কমেন্টটা রেখে, আমার করা উপরের ২টি কমেন্ট মুছে দেন, প্লীজ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

জুন বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চাঁদ গাজী সাহেব । আপনার মন্তব্য পেয়ে লেখার উপরে লিংক যুক্ত করে দিয়েছি । সেখানে আপনার সকল প্রশ্নের জবাব পাবেন আশা করি । আমার এক আত্নীয় সম্প্রতি ঢাকা এসেছিলো আমেরিকা থেকে । সে এই পাটের তৈরী পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস বানিজ্যিক কারনে দেখে গিয়েছে আগ্রহ ভরে।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যাগের নাম দিয়েই যদি কাম শেষ করেন, তাহলে দুঃখজনক। নাম দেয়ার মানে হলো, উনি এই আবিস্কার সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিবহাল.......তাহলে ফান্ডের এই হাল কেন? ভেরি ফানি!!!

এটা নিয়ে দ্রুত কাজ না করলে আরো অনেক আবিস্কারের মতো এটাও চুরি হয়ে যাবে। একদিন হয়তো দেখবো পাশ্চাত্যের কোন বিজ্ঞানী এটার জন্য নোবেল প্রাইজ পেয়ে বসে আছে! ডিজগাস্টিং!!! X(

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭

জুন বলেছেন: একদিন হয়তো দেখবো পাশ্চাত্যের কোন বিজ্ঞানী এটার জন্য নোবেল প্রাইজ পেয়ে বসে আছে! ডিজগাস্টিং!!! X(
আপনি ঠিকই বলেছেন ভুয়া মফিজ। আর এই আশংকা করেই আমার কর্তামশাই লেখাটি লিখেছেন, আমি শুধু আমার ব্লগে প্রকাশ করে কিছু কিছু সচেতন ব্লগবাসীর নজরে আনতে সহায়তা করেছি মাত্র ।

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাংলাদেশ গুনীর কদর কমই জানে আপি, আর যেহেতু সোনালী নাম দিয়েছেন তিনিই এই কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। চাঁদ দেখার জন্য টেলিস্কোপ কিনতে কথা ত টাকার বাজেট হয় আল্লাহ মালুম। আর এত বড় একটা পিরবেশবান্ধব কার্ক্রম এভাবে বৃথা যেতে পারে না

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৫

জুন বলেছেন: আমিও জানতাম না কাজী ফাতেমা ছবি ওনার সম্পর্কে এত কিছু । তবে এই সোনালী ব্যাগের কিছু কিছু নমুনা আমি দেখেছিলাম যা সত্যি অসাধারন । আর প্লাষ্টিক যে আমাদের পরিবেশের কতখানি ক্ষতি করছে তা ভাবতেও ভয় হয় ।অকাল মৃত সামুদ্রিক প্রানী্র পেট থেকে বের হচ্ছে শত শত কেজি কেজি প্লাষ্টিক যা খাবার ভেবে খেয়েছিল নিরীহ প্রানীরা । পানি ভুগর্ভে প্রবেশ করতে পারছে না যার ফলে সুপেয় পানির অভাবে পড়বে বিশ্ব । এমন কত শত উদাহরন আছে ।

চাঁদ দেখার জন্য সারা দুনিয়া জুড়ে এত কিছু থাকার পর এখন আমাদের টেলিস্কোপ কিনতে হবে ! ভাবলেও দুঃখ হয় এত দুর্নীতি আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার কর্তামশাই লেখাটি লিখেছেন ও, দুলাভাই লেখছে? আগে কইবেন না....লাইক আরো কয়ডা বেশী দিতাম!! =p~

ব্লগার মুরশিদ??? উনিও কি এখানে ব্লগান? নাকি অন্য কোথাও??

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

জুন বলেছেন: এখন তো জানলেন এখন লাইক দেন, নিজে না পারলে নেপলিয়নের সাগরেদে্রে দিয়া দেন না হয় ;)
এই ব্লগেই তবে খুব ব্যাস্ত থাকায় এখানে লেখালেখি কম ।

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশ পাটের দেশ এই দেশে বড় বড় পাটকল ছিলো যা সাধারণ মানুষের জ্ঞানের বাইরে, পাটকল ক্ষমতাধর লোকেরা লোহা লক্করের দরে স্ক্র্যাপ বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।

পরিবেশবান্ধব ব্যাগ বোতল বিদেশেও আছে কিন্তু প্লাস্টিকের ধারে কাছেও দাড়াতে পারছেনা। প্লাস্টিক চক্র সাধারণ ক্রিকেট দল না, যাকে ইচ্ছা তাকে বাদ দেয়া যায়।

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪

জুন বলেছেন: আদমজী জুট মিলের অনেক নাম শুনেছি আর দেখেছি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর । কি ম্যাসিভ দেখে অবাকই হয়েছি । পাটের নাম নিশানা আমাদের দেশ থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে এবং চাচ্ছে কতিপয় দেশ । তবে আমি তাদের দোষ দেই না ঠাকুর মাহমুদ । আমরা নিজেরাই যদি না আমাদের সম্পদ রক্ষা না করতে পারি তবে মানুষতো তার সুযোগ নেবেই ।

প্লাষ্টিক আজ সর্বত্র মাথা তুলে আছে তার সহজ লভ্যতার জন্য । থাই গুরমেটে ডেইলি শপিং এ আমার ধারনা কয়েকশ মন প্লাস্টিক ব্যাগ তুলে দিচ্ছে ক্রেতাদের হাতে । ইদানীং তারা একদিন শপিং ব্যাগ দেয়া বন্ধ রাখছে তবে আমাদের কিছু কিছু সুপার শপের মত কাপড়ের ব্যাগের ব্যাবহার দেখিনি । হোলসেল মার্কেট ম্যাক্রোতে বিনে পয়সায় কোন ব্যাগ দেয় না । কিনে নিতে হবে ৩০/৪০ বাথে । তাই প্রায় সবাই ট্রলিতে গাড়িতে উঠায় কার্টুনে করে । কারন তাদের সমুদ্র সৈকতে মরে ভেসে এসেছে ৮কেজি প্লাষ্টিক পেটে নিয়ে এক তিমি মাছ ।
তারপর ও আমরা আশাবাদী সবাই সচেতন হোক এ বিষয়ে আর তার জন্য কাজে লাগুক বিশ্বময় আমাদের আবিস্কার আমাদের সোনালী ব্যাগ

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: দুলাভাইকে প্রথমেই অভিনন্দন। সাথে আপনকে ধন্যবাদ এমন একটি বিষয় আমাদের মাছে উপস্থাপনের জন্য। বরাবরই আপনার নান্দনিকতায় মুগ্ধ হই। আপনি অনন্যা তারি সাথে আমাদের দুলাভাইও একজন জিনিয়াস।

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

জুন বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য মাহমুদুর রহমান সুজন । আপনার দুলাভাইও আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মন্তব্যের জন্য :)

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,



সামু ব্লগ থেকে বিছরে হুয়ে এক ব্লগারের লেখা দেখে ভালো লাগলো। সেই ফেলে আসা পাটের সোঁদা গন্ধ ভেসে এলো যেন।

প্লাষ্টিকের ক্ষতিকারক দিক গুলো সহকারে ডঃ মুবারক খানের আবিষ্কারটি আরো কিছুটা বিশদ করে লিখলে ভালো হতো । আমরা গুনীর কদর জানিনে এটা ঠিক।
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন -"চাঁদ দেখার জন্য টেলিস্কোপ কিনতে কত টাকার বাজেট হয় আল্লাহ মালুম.........।"
আমরা এমন সব লুটেপাটেই অভ্যস্ত। ভালো কাজে হাযার চেল্লালেও কেউ সাড়া দেয়না।

ভুয়া মফিজ এর মতোই তাহলে বলতে হয়- "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যাগের নাম দিয়েই যদি কাম শেষ করেন, তাহলে দুঃখজনক। নাম দেয়ার মানে হলো, উনি এই আবিস্কার সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিবহাল.......তাহলে ফান্ডের এই হাল কেন?"

চাঁদগাজী র কথাগুলোই বলতে যেয়ে দেখি আপনি তার লিংক দিয়েছেন। এখন ভালো হয়, আপনি তা থেকে নিয়ে আর এই পোস্টের বিষয় মিলিয়ে আর একটি পোস্ট দিন। এমনিতেই ব্লগে ব্লগারদের সংখ্যা হাতে গোনা তার উপর ভালো পোস্টের অভাবও রয়েছে। এটা একটা ভারী ও জরুরী বিষয় হতে পারে।

"পল্লীমা গ্রীন"কে ধন্যবাদ এমন একজন কৃতিমানকে সম্মান প্রদর্শনের জন্যে। "পল্লীমা গ্রীন" এর সকল সদস্য এটা নিয়ে আরো সোচ্চার ও সক্রিয় হবেন বলে আশা করি। কারন তাদের সংগঠনটির নামেই তো উদ্দেশ্য পরিষ্কার- গ্রামবাংলাকে সতেজ-সবুজ রাখা।

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

জুন বলেছেন: বিছরে হুয়ে হলেও আমার মাধ্যমে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে আহমেদ জী এস । অসাধারন এক মন্তব্য করে পোষ্টটিকে গুরুত্ববহ করে তুললেন ।
যাদের নাম আপনি উল্লেখ করেছেন তারা প্রত্যেকেই দারুন অর্থপুর্ন মন্তব্য করে লেখাটিকে সমৃদ্ধ করেছেন বৈকি ।
পল্লীমা গ্রীনের আরেকটি সহযোগী সংগঠন কিন্ত এলাকায় অনেক সেবামুলক কাজ পরিচালনা করে । এই মধ্যে এলাকার কেউ মারা গেলে তার দাফন কাফনের ব্যবস্থা করা । তার জন্য পরিবহন থেকে শুরু করে সব রকম ব্যবস্থা রয়েছে । গুরুত্বপুর্ন একটি মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য লেখক আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে আপনাকে ।

৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০০

করুণাধারা বলেছেন: ডঃ মুবারক আহমেদ খান নাম দিয়ে সার্চ দিতেই তার সম্পর্কে অসংখ্য তথ্য জানা হলো, এবং ভেবে খুবই অবাক হলাম এই রকম একজন জ্ঞানীগুণী মানুষের কথা আগে কেন শুনিনি!! মিডিয়াতে উনার কথা আসেনি কেন!! আপনি এই পোস্ট না দিলে জানতেই পারতাম না উনার সম্পর্কে!! প্লাস্টিক সামগ্রী পরিবেশের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর, আমরা নির্বিচারে তা ব্যবহার করে চলেছি। এই বিজ্ঞানী গবেষণা করে প্লাস্টিকের বিকল্প আবিষ্কার করেছেন। এই বিকল্প যেন তৈরীই না হতে পারে, মনেহয় কেউ সে দায়িত্ব নিয়েছেন!!

ব্লগার মুর্শিদ দারুন একটা পোস্ট দিয়েছেন। ভবিষ্যতেও তার কাছ থেকে এমন পোস্ট চাই। আদায় করবার দায়িত্ব আপনাকে দিলাম। B-)

ডঃ মুবারক আহমেদ খান সম্পর্কে আরো যারা জানতে চান, view this link

পোস্টে লাইক।

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

জুন বলেছেন: করুনাধারা,
আমি যে নিজেকে একজন সর্বাজ্ঞ বলে ধারনা করতাম সেই আমিও এত বিশদ কিছু জানতাম না ;)
তবে আমি একজনের মাধ্যমে দেখেছিলাম পাটের তৈরী বিভিন্ন জিনিস মুলত ব্যাগ । তবে উনি স্ট্র তৈরী করে আমেরিকা সাপ্লাই দিতে পারবে কি না এ ব্যপারে খোজ খবর করছিলেন আমার পরিচিত একজনার কাছে । এরপর ব্যাপারটা আর এগোয় নি বাংলাদেশীদের যথাযথ চারিত্রিক কারনে ।
আপনি লিংক দেয়ায় খুব ভালো হলো । আমি খুব দৌড়ের উপর পোষ্টটা দিয়ে গেছি ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরেকটা চিন্তা মাথায় আসলো।
উনি কি এটার 'পেটেন্ট রাইট' ক্লেইম করেছেন? না করে থাকলে, যতো শীঘ্র সম্ভব করে ফেলা উচিত।

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

জুন বলেছেন: পেটেন্ট রাইট ক্লেইম করেছেন উনি । ভালো একটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন ভুয়া । আবারো অশেষ ধন্যবাদ জানবেন ।

১০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: সুন্দর ।অভিনন্দন।ধন্যবাদ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

জুন বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম ইসিয়াক । আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

১১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
খুব ভালো লাগলো এমন একটি অজানা তথ্য ও পরিবেশ বান্ধব সম্পর্কে জানতে পেরে । এ সম্পর্কে আরও বেশি প্রচার হওয়া উচিত। আপনাকে ও ভাইয়া -কে অনেক ধন্যবাদ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১৬

জুন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ দুজনার পক্ষ থেকে মুক্তানীল :)

১২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২০

রাকু হাসান বলেছেন:
খবর টি নিউজে পড়েছিলাম । খুব ভালো লাগছে । এখন সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাক । এগিয়ে যাক । বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হোক সেই প্রত্যাশা । শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জুন আপু ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭

জুন বলেছেন: আপনেকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়া ও আন্তরি একটি মন্তব্যের জন্য রাকু হাসান ।

১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দুলা ভাইকে ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট দিয়েছেন। আমি তো পড়ে ভাবছিলাম আপুর সঙ্গে সরাসরি ডক্টর খানের কথা হচ্ছে। যদিও পরে এসে ধারনা পাল্টে গেল। সোনালী ব্যাগের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। ঠিকই তো নিয়ম, নীতি করে কখনো কিছু বন্ধ করা যায় যায় না। মানুষের চেতনার প্রসার ঘটুক। প্লাস্টিক চিরদিনের জন্য পৃথিবী থেকে নির্মূল হোক। সোনালী আঁশ আবার স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হোক কামনা করি।

আজ আপুর মাধ্যমে দুলাভাইকেও শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানালাম।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২১

জুন বলেছেন: আমি তো পড়ে ভাবছিলাম আপুর সঙ্গে সরাসরি ডক্টর খানের কথা হচ্ছে।
না পদাতিক আমি কথা বলার সুযোগ পাই নি :(
যাই হোক যেই কথা বলুক আমরা চাই পলিথিন পৃথিবী থেকে পুরোপুরি না হলেও আংশিকভাবে বিলুপ্ত হোক । ডাইনোসোর থেকে কত প্রানী পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হলো আর প্লাস্টিকের কাছে আমরা হার মেনে যাবো ??
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ দুজনার পক্ষ থেকেই :)

১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

আমি মুক্তা বলেছেন: দেশের আরো অনেক প্রতিভাবানের মতো এই আব্ষ্কিারটাও না চুরি হয়ে যায়।

দেশে বিভিন্ন পকেট ভরার প্রজেক্টে টাকার অভাব হয় না কিন্তু এই যে পরিবেশ বাঁচানোর একটি প্রোডাক্ট এ পোড়ার দেশে তৈরি হলো এটাকে বানিজ্যিকভাবে ব্যবসাসফল করার জন্য কেউ নেই বা কোন প্রজেক্ট নেই।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

জুন বলেছেন: দেশের আরো অনেক প্রতিভাবানের মতো এই আব্ষ্কিারটাও না চুরি হয়ে যায়।

আপনি যথার্থই বলেছেন আমি মুক্তা । ব্যবসা সফল করার জন্য লোক আছে তবে বিনা কষ্টে আর নিশ্চিত ভাবে যদি টাকা কামানো যায় তবে চিন্তা করতে কে যাবে এই দেশে বলেন ?
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো বলে আন্তরিক দুঃখিত ।

১৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রথম লিংকটা আসেছ না!

করুনাধারা আপুর লিংকটাতে পড়লাম। জিআই পেটেন্ট জলদি নিয়ে নেয়া উচিত।
আমাদের নিজেদের কত জিনিষের পেটেন্ট এই অবহেলায় ভিনদেশীদের ঝোলায় ! আর কত হারালে আকল হবে?
বিষ দিয়ে বিষ ক্ষয়ের মতো কর্পোরেট ষ্টাইলেই পলি বানিজ্যের দৈত্যকে বধ করতে হবে সোনালী বানিজ্য দিয়ে!
ব্যাক্তিক উদ্যোগেও সম্ভব। চাই ভিশনারি সাহসী উদ্যোক্তা।

++++++

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫

জুন বলেছেন: ভৃগু লিংকটা কেন আসছে না বুঝতে পারছি না । তবে করুনাধারা এই ব্যাপারে এগিয়ে আসায় তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
চাই ভিশনারি সাহসী উদ্যোক্তা।
মালয়েশিয়ার ডঃ মাহাথির, সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান দের মত যারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছে শুধু নিজের মাতৃভুমিকে ভালোবাসার মাধ্যমে । জেলেপল্লী থেকে তুলে এনেছে দেশকে বিশ্বের দরবারে উন্নত দেশের তালিকায় । আমাদের মত শুধু মুখে মুখে উন্নত নয় ।
তারপর ও আশাবাদী এই ১৮ কোটি মানুষ থেকে একজন মানুষের অপেক্ষায় ।
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো বলে আন্তরিক দুঃখিত আমি।

১৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ড: মুবারক খানের আবিস্কার সুত্র এমন হতে পারে

ইউটিউবে i am not plastic লিখে সার্চ দিলে অসংখ্য ভিডিও চলে আসে যা ড: মুবারক খানের আবিস্কারের সাথে মিলে যায় এই সকল ব্যাগ ও পণ্যর র মেটেরিয়েল কাসাভা সহ নানা ধরনের খাদ্যদ্রব্য থেকে তৈরি।

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬

জুন বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এই বিষয়ে আরো তথ্য সংযোজনের জন্য ঠাকুর মাহমুদ ।
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো বলে আন্তরিক দুঃখিত আমি।

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে এই আবিষ্কারকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশ গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি এবং ক্ষতির কারণ প্লাস্টিকের জঞ্জাল দূরীকরণে পথিকৃতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে বলে আশা করা যায়।

অভিনন্দন এদেশের কৃতি সন্তান ডঃ মুবারক খানকে।

সুন্দর একটি পোস্টে বিষয়টি তুলে ধরে আমাদের অবহিত করার জন্য ধন্যবাদ। +++

০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়া ও একটি মুল্যবান মতামত রাখার জন্য নতুন নকিব।
উত্তর দিতে দেরী হলো বলে দুঃখিত ।

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকার করে কিছু লাভ করতে পারে না সাধারনত।
বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার । দেশী বিদেশী বিনিয়োগে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হোক ।
আর সরকার যা করতে হবে সেটা হল সোনালীব্যাগ বাধ্যতামুলক করার আইন করতে হবে ।
তাহলেই সফল হবে।
আমরা যতই বলি প্লাস্টিক ব্যাগ বোতল এত সহজে বাতিল করা যাবে না।
উন্নত দেশের ন্যায় প্লাস্টিকের জন্য পৃথক বিন থাকতে হবে, ময়লা কালেক্টরদের পৃথক ভান্ড থাকতে হবে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

জুন বলেছেন: দেরীতে উত্তরের জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি। লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী।

১৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক আগের কথা।
তখন আমি যুগান্তরে ''ঢাকা আমার ঢাকা'' পাতাতে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করি।
একবার পুরান ঢাকার এক চিপা গলিতে গেলাম ছবি তুলতে। এরা গোপনে পলিথিন বানায়। অথচ সরকার নিষিদ্ধ করেছে পলিথিন।
কারখানার মালিক আমাকে আর রিপোর্টারকে ঘুষ সাধলো।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

জুন বলেছেন: নেট অস্বাভাবিক ধীর। খুব কষ্ট হচ্ছে লগিনে। দুঃখিত মন্তব্যের জবাব দিতে দেরী করার জন্য রাজীব নুর। আন্তরিক শুভকামনা জানবেন।

২০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: @ কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাংলাদেশ গুনীর কদর কমই জানে আপি, আর যেহেতু সোনালী নাম দিয়েছেন তিনিই এই কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। চাঁদ দেখার জন্য টেলিস্কোপ কিনতে কথা ত টাকার বাজেট হয় আল্লাহ মালুম। আর এত বড় একটা পিরবেশবান্ধব কার্ক্রম এভাবে বৃথা যেতে পারে না - এই দেশে এখন কোন কিছুই অসম্ভব না।
জুন আপু দারুন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। সুপাঠ্য।
ধন্যবাদ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

জুন বলেছেন: নীল আকাশ লেখাটি আমি লিখিনি, লিখেছেন আমার সহ ব্লগার :) । অনিবার্য কারণে দেরিতে জবাব এর জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি।

২১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০

নীলপরি বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ নীলপরি। অনিবার্য কারনে উত্তর দিতে দেরীর জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি।

২২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ভালো কাজে বাধা প্রদান করে কতিপয় অসাধু লোভীরা,তারা দেশের ক্ষতি করে নিজেরা লাভবান হতে চায়। আশা রাখছি ডাঃ মোবারক খানের আবিস্কার বৃথা যাবেনা।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯

জুন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ মেঘ প্রিয় বালক মন্তব্যের জন্য। নেটের দুর্বলতায় আপনাদের জবাবগুলো দিতে দেরী হয়ে গেল। আন্তরিক দুঃখিত আমি।

২৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫০

সুমন কর বলেছেন: আগে পড়েছিলাম। আমরা ভালো অনেক কিছু করি কিন্তু সরকার থেকে সাড়া পাওয়া যায় না....
+।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:০১

জুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন কর মন্তব্যের জন্য। অনিবার্য কারণে উত্তর দিতে দেরীর জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি।

২৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আশা জাগানিয়া খুবই মুল্যবান পোষ্ট ।
প্রয় বছর দুয়েক আগে দেশের প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদপত্রে দেখেছিলাম বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) তত্ত্ববধানে ঢাকার ডেমরায় অবস্থিত লতিফ বাওয়ানী জুটমিলে পাটের তৈরি পলিব্যাগ এর উদ্বোবন করা হয়েছে । এটা উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোবারক আহমদ । এই গুণী বিজ্ঞানীর প্রতি রইল অভিনন্দন ও শ্রদ্ধাঞ্জলী ।

সুত্র : প্রথম আলো
ড,মোবারক আহন্মদ এর কৃতিত্ব নিয়ে বিস্তারিত ভাবে এই পোষ্ট দেয়ায় ধন্যবাদ , এর হাল হাকিকত অবস্থা জানা গেল ।
প্রথম আলোর সংবাদে ভাষ্যে বলা হয়েছিল বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত এ পলিব্যাগ দেখতে প্রচলিত পলিথিনের মতোই হালকা, পাতলা ও টেকসই যা এই পোষ্টের ছবিতেও দেখা যাচ্ছে । পাটের সুক্ষ্ম সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে এ ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে । পাটের তৈরি এ পলিথিন মাটিতে ফেললে তা মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। ফলে পরিবেশ দূষিত হবে না। এই ব্যাগ দামেও সাশ্রয়ী হবে। এভাবে পাটের ব্যবহার বাড়লে কৃষক ন্যায্য দাম পাবে এবং অতীতের মতো পাট দিয়েই বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আবার সুপরিচিত হতে পারবে ।

তখন বলা হয়েছিল যে আগামীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাটের পলিথিন উৎপাদন শুরু করা হবে। বলা হয়েছিল সবকিছুই নাকি করা হবে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব থোক বরাদ্ধ হতে । সরকারিভাবে উৎপাদনের পর বেসরকারিভাবেও এই ব্যাগ উৎপাদনে উৎসাহ দেয়া হবে। তাই দেশের মেধাবী তরুনদেরকে এই ধরনের প্রকল্পের কাজে উৎসাহিত করার পাশাপাশি সহজ শর্তে ব্যাংক লোন প্রদানের মাধ্যমে বিনিয়োগ সহায়তা দিলে এটা পোশাক শিল্প খাতের মত দেশে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারবে বলে মনে করি ।

প্রায় বছরখানেক আগে সংবাদ মাধ্যমে এটাও দেখেছিলাম যে বিজেএমসির উদ্যোগে এই ব্যাগ তৈরির জন্য সেমি অটোম্যাটিক পাইলট প্ল্যান্ট ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং সোনালী ব্যাগ নামে এটা বিদেশেও রপ্তানীর কার্যক্রম শুরু হয়েছে । দি ইনডিপেনন্ড এ সংবাদ শিরোনাম ছিল -
Agreement signed to produce jute-made ‘Sonali Bag’
A memorandum of understanding (MoU) was signed between the Bangladesh Jute Mills Corporation (BJMC) and Futamura Chemical Ltd., a UK-based company, for producing "sonali bag’ commercially .
BJMC secretary, AKM Tareq, and Futamura general manager, Graeme Coulthard, signed the MoU on behalf of their respective organisations at the secretariat on 18 October 2018.
( সুত্র : http://www.theindependentbd.com/post/168851' target='_blank' >The Independent )
এখন কথা হল বানিজ্যিকভাবে এর উৎপাদনটা যেন কারো কুক্ষিগত না হয়ে যায় । এখানে যেন সকলেই গনহারে বিনিয়োগ করতে পারে সে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে । পাটের তৈরী বায়োডিগ্রেডেবল ব্যগের উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে যদি এর বিক্রয় মুল্য প্রতিযোগীতামুলক করা যায় তাহলে বিশ্ববাজার ধরতে কোন বেগ পেতে হবেনা । মনে রাখতে হবে টেক্সটাইল শিল্পে এখন প্রথম কাতারে থাকা আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত পাটের গ্রীণ ব্যাগ নামে তাদের কর্মকান্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্ববাজারে অতি জোরে সোরে নেমে পড়েছে এবং ভাল সফলতাও পাচ্ছে । ইউকেসহ এবং ইউরোপের অনেক দেশের বড় বড় নামী দামী সুপারস্টোরে এখন পাটের তৈরী ভারতীয় গ্রীন ব্যগের বিশাল সমারোহ নজরে পরছে । তাই আমাদের বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত জুট পলিব্যাগ গুণে মানে ও দামে সবদিক দিয়েই প্রতিযোগীতামুলক হতে হবে, সে সাথে এর গ্লোবাল মার্কেটিং এর উপরে সর্বাত্মক জোর দিতে হবে ।

পোষ্টটি প্রিয়তে গেল

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮

জুন বলেছেন: ডক্টর এম এ আলী সাহেব। অনেকদিন ধরেই আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি জবাব বিহীন অবস্থায় পরে ছিল যা আমার জন্যই লজ্জার বিষয়। নেটের অস্বাভাবিক ধীর গতি এর অন্যতম কারণ। এখন ফোনে জবাব দিচ্ছি। অত্যন্ত ছোট স্ক্রিনে ভুল ত্রুটি হতে পারে। হলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি আগাম। যেমন একটু আগেই একজনের মন্তব্য ডেল হয়ে গেল যা আমার কাছে খুবই খারাপ লাগছে।
ভালো থাকুন সবসময়।

২৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পাটের নতুন দিগন্ত
এই পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি তাঁকে ২০১৫ সালে স্বর্ণপদক দেয়। ২০০৯ সালে এই বিজ্ঞানী পাটের সঙ্গে পলিমারের মিশ্রণ ঘটিয়ে মজবুত, তাপ বিকিরণরোধী ও সাশ্রয়ী ঢেউটিন ‘জুটিন’ বানান।
একই প্রযুক্তি ও কাঁচামাল ব্যবহার করে তিনি হালকা অথচ মজবুত হেলমেট, স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের রিং, স্ল্যাব, চেয়ার, টেবিল, টাইলসসহ বেশ কয়েকটি নিত্যব্যবহার্য পণ্য তৈরি করেছেন।


১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯

জুন বলেছেন: আপনার লিংকটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো :)

২৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪

নতুন বলেছেন: ঠিক মতন মাকেটিং করতে পারলে পাটের ব্যাগের ভালো বাজার তৌরি সম্ভব উন্নত দেশে।

এমনকি আমাদের দেশেই তো অনেক বড় বাজার আছে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:১০

জুন বলেছেন: অবশ্যই নতুন আমিও তা মনে প্রানে বিশ্বাস করি।
মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:১৬

নতুন বলেছেন: দুনিয়াতে মাকেটিং এখন বিরাট একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাড়িয়েছে বাজারে পন্যের সাফল্যের জন্য।

পাটের একটা সুনাম আছে সেটা ব্যবহার করে বাইরের দেশে এই পন্যকে বড় ইমেজ দিয়ে উপস্হাপন করলে ভালো দামে বিপনন সম্ভব।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪

জুন বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যটি পড়ে ভালোলাগলো নতুন ।আমরাতো সব সময় সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকি । প্রাইভেট সেক্টরে যদি কেউ এগিয়ে আসে তবে ভালো হয় । নতুন কিছু করার রিস্ক নিতে কেউ রাজী হয় না মনে হয় ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্লাস্টিকের ব্যবহার থেকে মুক্ত হতে পারলে দারুন হবে। এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারবে মাটি পানি সব। পাটের আশ বিকল্প হতে পারে। এটি পরিবেশ বান্ধব। তবে রিসাইক্লিং করে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে ক্ষতি নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

জুন বলেছেন: প্লাস্টিক যে কি ভাবে আমাদের দম বন্ধ করে আনছে এবং এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাই বুঝতে পারছে কিন্ত পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে আসে না । সমুদ্রের বিশাল বিশাল মৃত প্রানীদের পেট থেকে কেজি কেজি প্লাস্টিক বের হচ্ছে যা তাদের মৃত্যুর কারন । মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।

২৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৯

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: পলি ব্যাগের আক্রমণ থেকে মানব জাতিকে রক্ষার পথ আবিস্কারের জন্য , জনাব ডঃ মুবারক খানের জন্য এবং আপনার জন্য অনেক মঙ্গল কামনা রইল,

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯

জুন বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো অনেক দোয়া দৃষ্টিসীমানা । অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখে খুব ভালোলাগলো । মাঝে মাঝে আসবেন । পুরনো প্রিয় মুখগুলো দেখলে ভালোলাগে অনেক ।

৩০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৭

সোহানী বলেছেন: দু:খজনক, গুনীর কদর কোন কালেই দেইনি। ভুয়া মফিজের মতো আমারো প্রশ্ন যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এটির নাম দিয়েছেন সেখানে এর ফান্ডিং এর করুন দশা মানা যায় না। হাঁ, ড: মাকসুদের মতো উনিও হয়তো হারিয়ে যাবেন আলু পটলের হিসেব করতে করতে।

আপু লিংক দেন, আমি এখানকার ওয়েবসাইটে লিখবো।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:১০

জুন বলেছেন: সোহানী আমার সাথে ল্যাপটপ নেই, মোবাইল এ লিংক দিতে প্রব। উপরে ব্লগার করুনাধারা লিংক দিয়েছে ওটা ইউস করো। আর লেখাটি আমার কর্তা মশাই এর কিন্ত ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.