নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজ্ঞাপনটি ছিল "এই করোনা সময়ে কাজের লোকের অভাবে ছোট মাছ কেটে খেতে পারছেন না? আমরাই নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য সম্পুর্ন ---- "- হ্যান ত্যান নানান কথা লেখা।
ছবিতে একটা মাটির বাসনে কয়েকটা পোয়া মাছ লাইন করে শুয়ে আছে, তাদের পায়ের কাছে আই মিন লেজের কাছে কিছু লাল সবুজ কাচামরিচ আর ধনেপাতা দিয়ে ডেকোরেশন করা। প্রতিটি মাছই একেবারে কাটা বাছা যাকে বলে ফকফকা। সংবাদ পাঠালাম যে ছবি দিয়েছেন ঠিক এইরকম কাটাবাছা পোয়া মাছ ১ কেজি কত? জানালো ৬৩০ টাকা। আমি বল্লাম "ঠিক আছে, ছবিতে যেমন আছে ঠিক তেমনি সাইজের ১ কেজি পোয়া মাছ আমি নিবো "। উত্তর আসলো, ম্যাডাম কোন চিন্তা করবেন না, একদম ফ্রেশ মাছ একবার খেলেই বুঝবেন।
একটু পরে একটি মেয়ে আমাকে কল দিলো। গলাটা শুনে মনে হলো অল্প বয়সী মেয়ে আর তার পেছনে এক লোক প্রম্পট করছে।
ম্যাডাম আপনাকে ডেলিভারি চার্জ ৬০ টাকা দিতে হবে। বল্লাম আচ্ছা। মেয়েটা এর পর আমাকে কি বল্লো আমি ঠিক শুনতে পারি নি। ইদানীং ডান কানে একটু কম শুনি আর দুর্ভাগ্যবশত ফোনটা ডান কানে ধরা। তাড়াতাড়ি বা কানে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম "কি বলছেন দুঃখিত আমি শুনতে পাই নি"।
মেয়েটি জানতে চাইলো আমি কি মাছের বেলি ক্লিনিং করে নিবো কি না? বেলি ক্লিনিং টার্মটা আমি জীবনেও শুনি নাই। সেটা কি জিনিস জানতে চাইলে বল্লো তারা কি মাছের পেট কেটে পরিস্কার করে দিবে কি না? আমি তো হতবাক বল্লাম হ্যা তাতো দিবেনই। বল্লো তাহলে আপনাকে এত টাকা দিতে হবে। আমার মুখ দিয়ে আর কথা বের হয় না। তারপর সে আমাকে প্রশ্ন করলো মাছের আশ পরিস্কার করে দিবে কি না? আমি বল্লাম হ্যা স্কেলিংতো অবশ্যই করে দিবেন। প্রম্পটারের পরামর্শে মেয়েটি বল্লো তাহলে আপনাকে এত টাকা দিতে হবে। আমার মেজাজ তখন আমার বুয়ার ভাষায় উনপঞ্চাশ। বল্লাম আমাকে মোট কত টাকা দিতে হবে তাহলে? তোতলাতে তোতলাতে বল্লো "আপনাকে ৮৭৫ টাকা দিতে হবে "।
আমি বল্লাম আচ্ছা এবার আমার অর্ডারটা ক্যান্সেল করেন।
প্রম্পটারের সাহায্যে কি জানি বলতে চাইছিলো কিন্ত আমার শোনার আর ধৈর্য্য ছিল না।
অনলাইনে কেনাকাটার অভ্যাস নেই তাই ভাবলাম এই সুযোগে একটু শিখে নেই। যা শিখলাম ভাবলাম আপনাদের সাথে অভিজ্ঞতাটা একটু শেয়ার করি।
২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৮
জুন বলেছেন: সেই অভিজ্ঞতাই হলো আহমেদ জী এস। অভিজ্ঞতাটি তিক্ত লিখবো কি না বুঝতে পারছি না। আমারতো সারাজীবন কাচা বাজারে মাছের বাজারে ঢুকে মাছের কানকো দেখা নাকে শোকার বদভ্যাস আছে। মাঝে মাঝে পরিচিত মাছআলারা বলে "আফা একটু জিব্বায় লাগাইয়া দ্যাখেন পচা নাকি"
আসলে আমার ছেলে শুধু বলে আম্মু তুমি আব্বুকে বাজারে যেতে দিও না, অনলাইনে কেনাকাটা করো আমার মত। ছেলের চিল্লাচিল্লিতে এই অবস্থা
সরস একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। কবে যে এই দুর্যোগ যে কবে যাবে! অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিন নিয়ে আশায় আছি।
২| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অনলাইন শপিং এ বিশ্বাসযোগ্যতা আর আস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক লোকই এটা অর্জন করতে চান না। লোক ঠকানো কোন ভালো কাজ নয়।
২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৭
জুন বলেছেন: আসলে আমাদের দেশের মানুষ কে কাকে কতটুকু ঠকাতে পারবে এটাই প্রধান উদ্দেশ্য থাকে। আর এই প্রাকটিস সর্বত্র বিদ্যমান। ছেলে বল্লো তাদের ওখানে প্রত্যেক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী পরিবারে ফ্ল্যায় রেটে ৫০০ বাথ বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে দিয়েছে। সরকার বুঝতে পারছে এই লকডাউনে লোকজন বাসায় থাকতে বাধ্য হচ্ছে। আর আমাদের বিল্ডিং এর অনেকেরই অকল্পনীয় বিদ্যুৎ বিল এসেছে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৩
জোবাইর বলেছেন: অনলাইনে পরিষ্কার মাছ বিক্রির ব্যবসাটা কিন্তু সুন্দর আইডিয়া! তবে ধাপে ধাপে এইভাবে দাম বাড়ানোটা বড়ই বিরক্তিকর। আপা, রেস্টুরেন্ট থেকে রান্না করা মাছ এনেই আজকের মতো চালিয়ে দেন। একেবারে সব ঝামেলা শেষ ।
২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩০
জুন বলেছেন: না না আমাকে রেস্টুরেন্ট থেকে মাছ আনতে হবে না ভাই। আসলে এই মাছটা আমার খুব প্রিয়। দেখে খুব লোভনীয় লেগেছিল তাই একটু। আসলে আমাদের দেশের লোকজন একবারই ব্যাবসা কর্যে চায় যা অত্যন্ত খারাপ প্রাকটিস।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ জোবাইর।
৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনলাইনে জিনিস কিনে মানুষ ঠকে
২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৩
জুন বলেছেন: আমি কখনো কিনি না। আমার ছেলে বাংলাদেশে থাকতে কিনতো দারাজ থেকে। একবার চাল ডাল থেকে কি কি জানি অর্ডার দিল যার মাঝে কয়েক প্যাকেট বিস্কিট ছিল যা খাওয়ার অযোগ্য। আমি এটা দেখেই এই পথে আর যাই নি।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জুন আপা,
আপনি মহা পরিশ্রমী মানুষ আপনি কেনো অনলাইনে কিনবেন? তাও মাছ? অনলাইনে কেনাকাটা করা অলস মানুষজনের কাজ। বাংলাদেশে অনলাইনে কি পাওয়া যাচ্ছে না? আমার ধারণা বাংলাদেশে এখন বাজারের যা কিছু আছে সব অনলাইনে বিক্রিবাট্টা হয়। হিম সাগর, হাড়ি ভাঙ্গা আম, কালি জিরার তেল, ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল এসবের মার্কেটিং দেখে মনে হচ্ছে কিছুদিন পর ডমেস্টিক ও ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটেও বিক্রি হবে।
বাই দ্য ওয়ে, অনলাইন বিক্রিতে ফোন কলে যারা কথা বলেন তারা কি বাংলায় কথা বলেন? আমার কেনো জানি মনে হয় তাদের ভাষাগত সমস্যা আছে।
২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১১
জুন বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ আমি মহা পরিশ্রমী মানুষ কি না জানি না তবে যে কোন কাচা বাজারের ক্ষেত্রে একটু খুতখুতে। আর চাষের মাছ বা ব্রয়লার মুরগী আসে না বাসার কর্তার ইচ্ছায়।
যে মেয়েটি কথা বলছিলো মনে হলো তার পড়াশোনা বা গ্রুমিং একটু কমই হবে। এভাবে চললে আজকের দুনিয়ায় অনলাইনের এই বিশাল বাজারে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমত আপু আপনার ডান কানে শুনতে সমস্যা হচ্ছে জেনে আমরা বিষণ্ণ। মত তাড়াতাড়ি রিকোভার করবেন শুনে খুশি হবো।
এবার আসি পোয়া মাছের প্রসঙ্গে। এপারে ওর নাম বোধহয় ভোলা হবে অন্ততঃ ছবিটি দেখে সেটাই মনে হলো।
সাধারণত সাইজ অনুযায়ী একের ২০০/২৪০টাকা কেজি প্রতি দাম হয়ে থাকে। সামুদ্রিক মাছ। তবে আমি ভেড়ীর মাছ বেশি পছন্দ করি। আপনাদের ওখানে দাম শুনে অবাক হলাম। তবে পম্ফেট মাছের বেশ দাম।
এবার আসি, অনলাইনে আপনার মাছ কেনার অভিজ্ঞতাকে নিয়ে। হ্যাঁ ঘটনার সময় হয়তো খুব খারাপ লাগছিল। তবে পোস্টটি লেখার সময় প্রম্টার এবং মেয়েটির হিসেবের অঙ্ককে মূহুর্তে শূণ্যে নামিয়ে আনতে পারার মধ্যে কিঞ্চিৎ সুখ যে পেয়েছেন, আমরা পাঠক হিসেবেও তার রসাস্বাদন করলাম।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২০
জুন বলেছেন: না না কানে কম শোনা নিয়ে একটুও চিন্তা করবে না পদাতিক চৌধুরী। এই বয়সে কত কিছু হবে, কানে কম শোনা, চোখে কম দেখা
আমি সামুদ্রিক পোয়া মাছ খুব একটা পছন্দ করি না, আমরা যেটা খাই সেটা মোহনার মাছ। আর ভেড়ির মাছ কি বুঝলাম না।
প্রম্ফেট বা রূপ চাদা মাছ আমাদের দেশেও বেশি দাম। আর সমুদ্রের পোয়া মাছ এখানেও সস্তা নদীর পোয়ার চেয়ে।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন সবসময়।
২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৭
জুন বলেছেন:
এগুলো সামুদ্রিক পোয়া পদাতিক
৭| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৫০
ঢাবিয়ান বলেছেন: বেলি ক্লিনিং হাসি আর থামাতেই পারছি না।
২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৪
জুন বলেছেন: এই কথাটি শুনে আমি অনেকটা কনফিউজড হয়ে পরেছিলাম। মেয়েটির কি দোষ? তার উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশই সে পালন করছিল ঢাবিয়ান।
৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ঐ মেয়েকে বিনা পয়সায় কিছু উপদেশ বিতরন করার দরকার ছিল । এক নাম্বার হচ্ছে সে বাঙ্গালী , ফোনও দিয়েছে আরেক বাঙ্গালীকে তাহলে এই জাতীয় দাত ভাঙ্গা ইংলিশ বলার হেতু কি? দুই নাম্বার হচ্ছে সে যেহেতু ব্যবসা করতে চায় তাই কাস্টোমারের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় সে বিষয়ে একটা কোর্স করে নিলে ভাল হয়।
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪১
জুন বলেছেন: ঢাবিয়ান শুধু আমাদের দেশই না এই উপমহাদেশেই কাস্টমার সার্ভিস বলে কিছু নেই। ইন্ডিয়ার দোকানগুলোতে আগের জেনারেশনের যারা ছিল তারা জানতো কি করে ব্যাবসা করতে হয়। আমরা স্টাডি ট্যুরে ভারতে গিয়েছিলাম, ছাত্রবস্থায় কিইবা টাকা ছিল আমাদের হাতে তারপরেও দোকানে গেলে এত জিনিস দেখাতে শুরু করতো আর বলতো না নেন দিদি, এমনি দেখেন। তখন চক্ষুলজ্জায় হোক আর ভালোলাগাতেই হোক দু একটা কেনা হয়ে যেত। কয়েক বছর পর বিক্রেতাদের অন্যরূপ দেখলাম।
আমাদের বড় বড় গ্রোসারি আউটলেটে আদব কায়দার তো কোন তুলনাই চলে না। জিনিসপত্র ছুড়ে ছুড়ে দিচ্ছে। চেহারায় তো মনে হয় আমাদের কাছে বিক্রি করে আমাদের কৃতার্থ করছে। এই বিষয়ে আমার হাজবেন্ড একদিন ম্যানেজারকে ডেকে বল্লো "বেশিদুর না শুধু থাইল্যান্ড যান। দেখেন ওরা কি ভাবে মাথা নামিয়ে খাপুন খাপ (ধন্যবাদ) বলে হাতে ব্যাগটা ধরিয়ে দিচ্ছে । আপনাদের সেলসের লোকজনদের একটু এই বিষয়ে ট্রেনিং দেয়া প্রয়োজন"। ম্যানেজার মাথা নীচু করে রইলো। এই হলো আমাদের অবস্থা। আপনিও তো বিদেশ থাকেন, আপনিও এই বিষয়টি ভালো বুঝবেন।
আরেকবার এসেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলােদেশ নিয়ে খুব হতাশ হযে যাই। কি যে হবে এই দেশটার।
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৫
জুন বলেছেন: দেশের জনপ্রতিনিধি যখন তার জনগনকে মাদকের নেশায় ঘুম পাড়িয়ে রাখে, উচ্ছন্নে যাওয়ার পথ করে দেয় কিছু অর্থের জন্য সেদেশে আপনি কি আশা করতে পারেন মোঃ সাজ্জাদ হোসেন? খুব খারাপ লাগে এইসব হতিভাগ্য বাবা মায়ের জন্য যারা তাদের সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করতে চেয়েছে।
মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
১০| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ্ বাছাইসে আপনারে।
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৬
জুন বলেছেন: ঠিকই কইছেন সাড়ে চুয়াত্তর
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অতি লোভে তাতী নষ্ট। মাছ কেনা হলো না । উচিৎ শিক্ষা দিয়েছেন । নৈতিক উন্নতি প্রয়োজন সর্বাগ্রে ।
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৭
জুন বলেছেন: আসলে এই কালচারটাই আমাদের মাঝে গড়ে উঠেনি। ব্যাবসার জন্য সুনামের কতটুকু প্রয়োজন। এরা সবাই একদিনের ব্যাবসা করতে চায়। ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।
১২| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পদাতিক চৌধুরি ভাই অঞ্চল ভেদে ভিন্ন ভিন্ন নাম হয় মাছের। আমাদের দেশে এই মাছকে পোয়া মাছ বলে। এটি সামুদ্রিক মাছ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মাছের তালিকায় এই মাছের নাম ইয়োলো ক্রোকার।
উল্লেখ্য ভারতের সবচেয়ে বড় মাছ বাজারটি আমাদের খুব কাছাকাছি পশ্চিবঙ্গে দীঘায় অবস্থিত।
ধন্যবাদ পদাতিক ভাই, ধন্যবাদ জুন আপা।
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫০
জুন বলেছেন: এই ঠাকুর মাহমুদ আপনার দেয়া ছবির সাথে গুগুল থেকে আনা সামুদ্রিক পোয়ার কোনো মিল পাচ্ছি না। পদাতিকের মন্তব্যে দেখেন আমি একটা ছবি দেয়েছি। নেট বলছে এগুলো সামুদ্রিক পোয়া। পোয়ার আরেকটা জাত আছে যেগুলো একটু চিকন লম্বা আর মাথাটা সরু।
দেখা যাক পদাতিক কি বলে?
১৩| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: অনলাইনে কোনও মাছ-মাংস- গ্রোসারী অর্ডার করবেন না কখনই।-আহমেদ জী এস।
আপনি মহা পরিশ্রমী মানুষ আপনি কেনো অনলাইনে কিনবেন? তাও মাছ? অনলাইনে কেনাকাটা করা অলস মানুষজনের কাজ।- ঠাকুর মাহমুদ।
যদিও কথাগুলো আমাকে বলা হয়নি, কিন্তু আমিও একই পথের পথিক। কতটা নাচার হলে ছবি দেখে মাছ অর্ডার করা লাগে, সেটা আমি জানি, আপনারা দুজন একেবারেই জানেন না !!
মার্চের মাঝামাঝি দুমাসের মত মাছ মাংস কিনেছিলাম, খুব হিসেব করে আরো একমাস চলল। তারপর থেকে আমিও খোঁজ করছিলাম, অনলাইন মাছ কেনার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কাউকে পেতে, কেন যেন আমার মনে হচ্ছিল এরা যে ছবি দেখায় সেই মাছ দেয় না। আপনি অভিজ্ঞতা শেয়ার করায় খুব ভালো হল জুন। বাড়তি পাওনা, নতুন শব্দ বেলী ক্লিনিং শিখলাম।
চালডাল ডট কম থেকে দুডজন ডিম নিয়েছিলাম। প্রথম বাক্সের পরপর আটটা ডিম ভাঙতেই দেখা যায় কুসুম আর সাদা অংশ মিশে আছে, মিশ্রন দিয়ে ডিম ভাজলে খেতে ডিম ভাজির মত লাগে না। অনেক কথা খরচের পর তারা একবাক্স ডিম বদলে দেয়। সেটা নিশ্চয়ই অন্য কাউকে দিয়েছে!!!
অন্য উপায় থাকলে কি আর অনলাইন গ্রোসারী কিনি!!
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:০০
জুন বলেছেন: করুনাধার, আসলেই আমারও তাই মনে হয়েছিল শ্রদ্ধেয় ব্লগার আহমেদ জী এস আর ঠাকুর মাহমুদ এর মন্তব্যে
আমিও কিছু মাছ মাংস কিনে রেখেছিলাম, কিন্ত আমার ঘরের লোকেরই সমস্যা। কোন কিছুই বেশিদিন ফ্রিজে রেখে খেতে চায়না। একটা একটা করে ধরে আমাকে প্রশ্ন করে কবে কোনটা এনেছে। "এই মাছটা কি গত মাসে আনা? এই গরুর মাংসতো মনে হয় তিনমাস আগের"? তারপর সেগুলো নিজে নিয়ে গেটের কাছে রাখা গন ময়লার বিনে ফেলে আসে পাছে আমি আবার তুলে রাখি
আমার ছেলে ঢাকায় এসেছিল তখন চালডাল থেকে সাবান টুথপেষ্ট আর কিছু বিস্কিট অর্ডার করেছিল। সেই জিনিসতো ডেলিভারি দিলই দশবার ফোন করার পর। আর সেই বিস্কিটগুলোর সব ছিল ভাংগা আর নেতিয়ে যাওয়া।
মাছগুলো দেখতে খুব লোভনীয় ছিল তাই
আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
১৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: অনলাইনে কেনাকাটা করা্ মানেই ঝামেলা। অনলাইনে স্বচ্ছ ব্যবসা করার লোক বাংলাদেশে নাই।
আমি অনলাইনে ২০ কেজি হিমসাগর অর্ডার করেছিলাম। আমাক অন্য আম দিয়ে গেছে। টক খেতে পারি নাই। সবাই চায় মানুষকে ঠকাতে।
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:০২
জুন বলেছেন: সবাইকে ঠকাতে ঠকাতে একদিন নিজেই ঠকে যায় রাজীব নুর। আমার বাসায়ও কাকে দিয়ে জানি ৫ কেজি হিমসাগর আনা হয়েছে। হিমসাগর যে এমন টক আমার জানা ছিল না
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি আজ প্রিয় ছোট ভাই রাজীব নুরের অনুকরণে বলছি,
আমার কমেন্টের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সঙ্গে ধন্যবাদ জানাই প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাইকেও।
এবার আপুর ভেড়ীর মাছ বুঝতে না পারা সম্পর্কে-
দক্ষিণ বঙ্গের নদী অববাহিকায় কৃত্রিম উপায়ে জলাশয় তৈরি করে বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, ভাঙ্গান, ভেটকি,পার্শে, ট্যাংরা প্রভৃতি মাছ চাষ করা হয়। একে বিহারী বনা জলকর ও বলা হয়।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়।
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬
জুন বলেছেন: হা হা হা তবে যাই বলেন রাজীব নুরের এটা একটা ব্যাতিক্রমি গুন বলতে পারেন পদাতিক।
আমাদের দেশেও প্রচুর মাছ চাষ হয়। মনে হয় আমরা মাছে মোটামুটি স্বনির্ভর। তবে মাছদের যে ফিড খাওয়ায় তার জন্য এদের মাংস বেশ নরম থাকে, মনে করেন ব্রয়লার মুরগীর মত আরকি ওয়াইল্ড মাছের যে একটা স্বাদ থাকে তা চাষের মাছে পাওয়া যায় না। তাই চেষ্টা করি বিল বা হাওরের মাছ খেতে। তবে যেই হারে জলাশয় ভরাট করে ঘরবাড়ি উঠছে তাতে আমাদের ও শীঘ্রই ভেড়ির মাছ খাইতে হবে পদাতিক
আরেকবার এসেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার নতুন সিরিজটি একবারে পড়বো বলে মনস্থ করেছি। আপনি কিছু মনে করবেন না আশাকরি। ভালো থাকুন সবসময়।
১৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
করুণাধারা আপা, ধরে নিন কথাটি আপনাকেও বলা হয়েছে। আপা আমরা মাছ ভাত খেয়ে অভ্যস্ত। পিজ্জা খাওয়ার পরও আমাদের মনে হবে - কি যেনো খাইনি, কি যেনো খাইনি! অর্থাৎ ভাতের তৃষ্ণা রয়ে যাবে। আপরি লক্ষ্য করবেন আমি ক্ষুধা না লিখে তৃষ্ণা লিখেছি। ভাত মাছ হচ্ছে আমাদের পানির মতোই তৃষ্ণা।
জুন আপা/করুণাধারা আপা, লকডাউনে সবার খাবারের কি কষ্ট ও সমস্যা হচ্ছে তা আমি জানি, কারণ আমিও আপনাদের সবার মাঝের একজন। পোস্টটি হচ্ছে বর্তমান দিনকালের প্রকৃত চিত্র।
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০
জুন বলেছেন: করুনাধারা প্রথম প্যারা আপনার জন্য
ঠাকুর মাহমুদ আমার যেটা বড় বিশ্রী লাগছে সেটা হলো খাবার দাবারগুলোকে নানা রকম পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করার চেষ্টা। আগে বাজার থেকে কিনে প্যাকেট খুলে সরাসরি ধুয়ে রান্নাবান্না করেছি যা ফ্রিজে বা সংরক্ষণ করার তাই করেছি। এখন আগে ওগুলো নীচে কেয়ারটেকাররা কি সব ছিটিয়ে আধাঘন্টা রেখে দিচ্ছে। তারপর আমার দরজার বাইরে রেখে দিলে সেখানে আধাঘন্টা। এরপর মাস্ক পরে ঘরে এনে প্যাকেটের উপর জীবানুনাশক ছিটানো। প্যাকেট খুলে ওগুলোকে একে একে সাবান পানি, সিরকা সহ নানা কিছুতে ভিজিয়ে রাখা দুই ঘন্টা ।
ঠাকুর মাহমুদ এবার বলেন এইভাবে কি চলা যায়
১৭| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১৭
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: বিশ্বস্ত না হলে মাছ -মাংস অর্ডার করা মনে হয় বেশ রিস্কি। এমন ধান্দাবাজি করে আমার থেকে একবার বেশি টাকা নিয়েছিল এক চুল কাটার সেলুন। শুরুতে দাম জানতে চাইলে বললো, চুল ধুয়ে কাটালে একরকম আর শুধু কাটালে কম। ব্যাপারটা আগে থেকে জানতাম জন্য আমি ভেজা চুলেই গিয়েছিলাম। তাই বললাম, শুধু কাটবো। ধুতে হবেনা। দরদাম করে কাটার পর বিল ধরিয়ে দিল দ্বিগুণ। বললাম, এতো কেন?! তখন বলে যে চুল স্ট্রেইট করেছে তাই। অথচ, তেমন কিছুই করেনি। একদম বোকা হয়ে গেছিলাম সেদিন।
মানুষ অসাধু হলে অনলাইন, অফলাইন সব লাইনেই ঠকানোর সুযোগ খোঁজে।
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জুন বলেছেন: আমার জীবনে এটাই ছিল প্রথম অভিজ্ঞতা। আমি কখনো অনলাইনে কোন কিছু কেনাকাটা করি না। কিন্ত এই মাছের ছবি দেখে আমি মুগ্ধ। ৫/৬ টা মাছ লাল মাটির প্লেটে শুয়ে আছে, পায়ের কাছে লাল সবুজ কাচামরিচ আর ধনেপাতা দিয়ে সাজানো। দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগছিল তাই এই অবস্থা।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে শুভ্রানীল।
১৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: 'মানুষের মস্তিস্কের ডানপাশটা মানুষের সৃজনশীলতাকে ডমিনেট করে আর বামদিকটা যৌক্তিক দিককে লিড করে এবং মোবাইল এর রশ্মি মস্তিকের ক্ষতি করে। কিন্তু ডান কানে ফোন রেখেও আপনার সৃজনশীলতায় কোনো ঘাটতি দেখা গেল না....
দুদিন পরপর হঠাৎ হঠাৎ আমার ফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে- হ্যালো আপনি কি অমুক (আমার হোম মিনিস্টারের নাম) বলছেন? সংগে সংগে বুঝে ফেলি আরেক দফা ঠেক খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে...। ডেলিভারি নেয়ার পর অতি অবশ্যই 'তিনি' বলবেন যে আর কোনওদিন অনলাইনে শপিং করবো না। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও হ্যালো.....
বর্ণনাটা বাস্তব হয়েছে।
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
জুন বলেছেন: ডান কানে ফোন রেখেও ---- হা হা হা ভালোই বলেছেন পদ্মপুকুর।
এই বাহুল্য কথা বলতে হয় বলেই বেশিরভাগ সময় বাড়ির কর্তামশাই এর নম্বরটা আমিও দিয়ে রাখি তাছাড়া টাকা পয়সার একটা ব্যাপার স্যাপার আছে না।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কাভা আসেনি
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৭
জুন বলেছেন: বর্ণনাটা বাস্তব হয়েছে।
পদ্মপুকুর ঘটনাটি তো বাস্তবই। এতে এক বিন্দুও কোন ভেজাল মিশাই নি
১৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: @ ঠাকুর মাহমুদ,
বাজার হাট নিয়মিত করতাম, এখন জানের ডরে সব বাদ! আমি যে অনেক দিক দিয়ে উচ্চ ঝুঁকিতে আছি!
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
জুন বলেছেন: তাহলে আপনার বাজারে না যাওয়াই ঠিক করুনাধারা।
২০| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১২
জাফরুল মবীন বলেছেন: ধরা খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা নিয়েই অনেকসময় বাধ্য হয়ে অনলাইনে কেনাকাটা করতে হয়।কিছু ক্ষেত্রে আশংকা বাস্তবে রূপ নেয়।আবার মাঝে মাঝে লাভবানও হই।বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি সেটা হলো এখানে যতই 'ফিক্সড প্রাইস' লেখা থাকুক,দরদাম করা যায়।৬,০০০ টাকার শাড়ী ১৮০০টাকায় কিনে বেশ লাভবান হয়েছিলাম একবার!
২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
জুন বলেছেন: আমার কিন্তু এটাই প্রথম প্রচেষ্টা যাতে ফেইল হয়েছি জাফরুল মবীন
শাড়িটি ভালো করে চেক করে দেখেন কোন সমস্যা আছে কি না। আমি একবার একটা চাদর বাজার দামের চেয়ে কমদামে কিনে খুব খুশী। ধুয়ে টুয়ে বিছানোর দুদিন পর দেখি তাতে ছোট একটা ছিদ্র এবং সেটা অত্যন্ত চাতুর্য্যের সাথে রিফু করা।
অত্যন্ত ব্যাস্ততার মাঝে সময় করে এসেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
২১| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২১
মা.হাসান বলেছেন: আমি চালডাল থেকে অনলাইনে দুধ কিনেছিলাম, ২ লিটার , চার-পাঁচ দিন আগে। দু লিটারই ছানা (হাতে আসার আধ ঘন্টার মধ্যে জ্বাল দিয়েছি)। মিষ্টি বানিয়ে ফেলেছি (প্রায় ১ কেজি হয়েছিলো)। ১ কেজি মিষ্টির দাম প্রায় ৩ শ টাকার মতো, দু লিটার দুধ আর চিনি মিলে আমার খরচ ১৬০ টাকার কাছাকাছি, লাভ তো আমারই হলো!
ভারতে ভাগাড়ে ফেলে দেয়া পশুর মাংস প্যাকেট করে রেস্তোরা-সুপার মার্কেটে সাপ্লাই দেয়ার ঘটনা পত্রিকাতে একাধিক বার এসেছে। ঐ গ্রুপটা ধরা পড়ার পর পুলিশকে জানায় যে বাংলাদেশের সুপার মার্কেটে বিক্রি করার জন্য তারা অনেক মাংস রপ্তানি ও করেছে। কাজেই সুপার মার্কেট থেকে মাংস না কেনাই মনে হয় নিরাপদ। (এই ভাগাড়ের মাংশের উপর পদাতিক চৌধুরীর একটা পোস্ট আছে)।
গরু-ছাগলের মাংস কেনার সময় সামনে জবাই হয় এমন জায়গা থেকে কেনা বেশি নিরাপদ। আমার এক সহকর্মী বেঙ্গল মিট এর মাংস অনলাইনে কেনেন। যতদূর জানা যায় এটা নির্ভরযোগ্য কম্পানি । মাংসে অভক্ষন যোগ্য অংশের পরিমাণ কম। দাম এই মুহূর্তে খোলা বাজারের দামের চেয়ে খুব বেশি না।
আমার চাচাতো ভাই মাছ ওয়ালার ফোন নাম্বার নিয়ে রেখেছে। দরকার হলে ফোনে অর্ডার করে। বাড়ির দুশো গজ দূরের দোকান। বললে বাসায় দিয়ে যায়। পরিস্কার করার জন্য কোনো পয়সা নেয় না। আমার ভাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জিবন্ত রুই বা কাতলা মাছ কেনে, কখনো পাবদা বা এরকম মাছ কেনে। পরিচিত দোকান বলে সমস্যা হয় না।
অনলাইন থেকে শুকনো জিনিস- যেমন সাবান, বোতলের তেল, চিনি, চা পাতা, গুড়া দুধ, হরলিক্স এগুলো কেনায় কোন সমস্যা নেই। বাজারে কয়েক পদের ডাল আছে, কাজে ওটা দেখে কেনাই নিরাপদ বলে মনে হয়।
তবে এত কষ্ট করছেন কেন দুলাভাইকে বসে বসে না খাইয়ে বেলি ক্লিনিং- স্কেলিং এর কাজতো করাতে পারেন ?
দেশে ফিরলেন কবে?
ওখানে প্রত্যেক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী পরিবারে ফ্ল্যাট রেটে ৫০০ বাথ বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে দিয়েছে
থাইল্যান্ড অনুন্নত দেশ , মানুষ গরিব। ওখানে বিদ্যুৎ বিল কমানোর প্রয়োজন আছে । আমাদের দেশে মানুষের সক্ষমতা ভালো এখানে প্রয়োজন দেখিনা।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১২
জুন বলেছেন: হা হা হা মা হাসান আপনি তো ভাগ্যবান, নাকের বদলে নরুন পেলেন তাক ডুমা ডুম ডুম
রসগোল্লা দেখে তো জীভে পানি আসলো। এগুলো কি আপনি বানিয়েছেন?
কলকাতার সেই ভাগাড় কান্ড পড়ে আমি তো হতভম্ব। ওদের ফাসী দেয়া উচিত।
আপনার ভাইয়া আমাকে অনেক অনেক সাহায্য করে ঘরের কাজে। এখানে আসার পর থেকে হাড়ি পাতিল ধোয়া, ঘর মোছা, আর তার জন্য কত রকম সরঞ্জাম কেনা হয়েছে কি বলবো।
আমাদের বিল্ডিং এর এক একজনের ১৭ হাজার ১৮ হাজার পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল এসেছে যা ৩/৪ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
আমরাতো উন্নয়নের মহা সড়কে তাই সব বেশি বেশি
২২| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
মাত্র উনপঞ্চাশ!
আমি হলে একশো পার হয়ে কয়েকটা শুন্য যুক্ত করতাম!
অনলাইনের লাইন দেখে খুব অবাক হই। এখন সবাই অনলাইন বিজনেস করে। প্রযুক্তির এই সহজলভ্যতা এদেশের অনেক চোর বাটপারকে ইদের চাঁদ এনে দিয়েছে। আপনি বেঁচে গেছেন এ যাত্রায়!!
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৮
জুন বলেছেন: কাউসার চৌধুরী অনেক অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে খুব ভালো লাগছে।
ছোট বেলায় আব্বার মুখে শুনতাম মেজাজ ফর্টি নাইন। এর অর্থ কি আজও জানি না। বছর কয়েক আগে আমার ছুটা গৃহকর্মী একদিন তার ছেলের বৌ এর কান্ড জ্ঞ্যানহীন কারবারে রাগ হয়ে আমাকে বলেছিল "খালাম্মা হের কথা শুইন্না আমার মিজাজটা উনপঞ্চাশ " । অনেক্ষন পরে বুঝতে পেরেছিলাম সেই উনপঞ্চাশ এর মাহাত্ম্য
দোয়া করবেন আমাদের জন্য আর আপনিও ভালো থাকুন এই দুর্যোগে।
২৩| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২৯
চাঙ্কু বলেছেন: চমৎকার একটা আইডিয়া কিন্তু দেশের অধিকাংশ ই-কমার্স কোম্পানির মত এরাও মনে হয় কাস্টমার সার্ভিস ব্যাপারটা না বুঝেই ব্যাবসায় নেমে পড়ছে!! আর বাংলাদেশের এখনকার জেনারেশন দেখি হুদাই দেশী লোকজনের সাথেও অতি ইংরেজী ব্যবহার করে!!
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২২
জুন বলেছেন: এই ই কমার্স দিয়ে কত দেশ কোথায় উঠে গেল আর আমরা এখনো এর কোয়ালিটি এনসিউর করতে পারলাম না শুধু মাত্র আমাদের ভেতরের আজীবন লোক ঠকানোর মনোবৃত্তির কারনে। চোখের সামনে হাত সাফাই করে যারা আর এখানে তো চোখের আড়ালে।
আর সেই ইংরেজিও যদি বোধগম্য হতো তাহলেও চলতো চাংকু। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মাছ কখনি কিনি নি, তাই এই ফেসাদে পড়িনি।
গতকাল বার্গার আর সনপাপড়ি আনিয়েছিলাম।
ঘরে এনে দেখি সনপাপড়ি একটা কম। ডেলিভারি-বয়কে ১০ বার কল করলেও ধরে নাই। পরে কোম্পানিতে কল দিলে অনেকক্ষণ লাইনে থাকার পরে একজন লাইনে এলো। সমস্যার কথা জানানোর পড়ে সমাধান হয়েছে।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৫
জুন বলেছেন: আমার ছেলে যখন বাংলাদেশে ছিল তখন মাঝে মাঝে পিজ্বা হাটের পিজ্বা আনতো। সেগুলোতে ভেজাল দিতে দেখি নি কখনো। ছেলে চিল্লাচিল্লি করে আব্বুকে বাইরে পাঠিও না, অনলাইনে আনাও। তার জন্যই আমার এই প্রচেষ্টা
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫| ২৮ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
জনসংখ্যার বড় অংশ জালিয়াত, বাটপার।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৪
জুন বলেছেন: আপনার কথাগুলো রূঢ় হলেও অতি বাস্তব চাদগাজী। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৬| ২৮ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:৩৩
ইসিয়াক বলেছেন:
বিব্রতকর অভিজ্ঞতা। অথচ এটুকু বুঝলো না ব্যবসা একদিনের জন্য না। আসল কথা হলো আমরা বেশিরভাগ বাঙালীরা কোন কিছুই টিকঠাক পারি না আরো সহজভাবে বলতে গেলে বলতে হয় লোভের ফাঁদে পড়ে কোন কিছু করাার আগেই নিজেকে হারিয়ে ফেলি।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩১
জুন বলেছেন: ব্যাবসা যে একদিনের না এই সত্যটা আমাদের দেশের বেশিরভাগ ব্যাবসায়ীদের মাথাতেই মনে হয় নেই ইসিয়াক। তারা একদিনই ব্যবসা করতে চায়। নিজেদের উপর একেই বলে আস্থার অভাব।
ইসিয়াক আপনার অনেক পোস্টেই আমার যাওয়া হয় না ব্যস্ততার কারনে। কিন্ত তারপরও আপনি নিয়মিত আমার লেখায় আসেন এটা আপনার অনেক বড় মনের পরিচয়। আসলে আরেকটি কারন হলো কবিতা না বোঝাও এর পেছনে একটা বড় কারণ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
২৭| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে বেলি ক্লিনিংওয়ালা মাছ কিনবেন, আর বেশী টাকা দিবেন না! আপনাকে বুঝতে হবে, এটা থাইল্যান্ড না, বাংলাদেশ। এইখানে কিরপিনগিরি চইলতো ন!!!
কিছুদিন আগে দেখলাম সুইডিশ পুটি, আজকে দেখলাম বাংলাদেশী পোয়া। এরপরে কি দেখবো.....আধা নাকি পুরাটা!
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে দেশের কাষ্টমার সার্ভিসও। মেয়েটা আপনাকে কল দিয়েছে, সেই কলের টাকা যে চায় নাই....সেটাই আপনার ভাগ্য। তাছাড়া এদের সময়ের দাম আছে; আপনার মতো তো হুদাই ঘরে বসে নাই। আপনাকে কল করে তাদের যে সময় নষ্ট হলো, সেটার জন্যও একটা চার্জ ধার্য করা উচিত ছিল। সবচেয়ে ভালো হবে, নেক্সট বার ই-বে তে অর্ডার দিয়েন। ভালো জিনিস পাবেন। গ্যারান্টিড!!!
শেষ কথা হলো, একমাত্র পোয়া মাছই আমি খাই না, আর সব মাছ খাই। এটার মাথায় না দাতের মতো কি একটা থাকে!!!
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৮
জুন বলেছেন: আমিতো কিরপিন হইতে চাই নাই ভুয়া। বেলি ক্লিনিং হা হা হা। ভাবীরে বৈলেন বেইলি ক্লিনিং ছাড়া কোন মাছ বাসায় এনে ভেজাল না করে
হু আমিতো সেইটাই চিন্তা করছিলাম এই খাজুইরা আলাপ কৈরা তাগো টাইম নষ্ট করার জন্য আমারে না আবার কিছু টাকা দেয়া লাগে। যত্তসব।
ছোটবেলায় আমিও পোয়া মাছ পছন্দ করতাম না বিশেষ করে গন্ধটার জন্য। কিন্ত আম্মার খাওয়ার সময় পাশে দাড়িয়ে থাকতাম ওই দাত দুটো নেয়ার জন্য। এখন বুড়া হইছিতো এখন খারাপ লাগে না মাছটা। পোড়া পোড়া চড়চড়ি করলে খেতে অনেক মজা ।
তারপর আছেন কিরাম? অফিসে লোকজন ছাটাই হওয়ায় জুতা সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ সবই কর্তাছেন্নাকি
যাইহোক ভালো থাকুন সবসময় এই দোয়া করি। যা অবস্থা দুনিয়ার। আমরাও সবার দোয়া প্রার্থী মানে আপনার চকোলেট, হীরা বসানো জুতা এই যাত্রা বেচে গেল দেখছি
২৮| ২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জুন আপা,
পোয়া মাছ নদী ও সাগরের পানি ও অঞ্চলভেদে নানা রকমের হয়ে থাকে, তবে এগুলো একই জাতের মাছ। যেমনটি রুই মাছ - বর্তমানে বাংলাদেশে ৬ ধরনের রুই মাছ পাওয়া যায়। পোয়া মাছ গুগলে সার্চ করে নানা ধরনের ও রঙের আসবে।
করুণাধারা আপা, নিজে বাজার করার মতো একটি আত্মতৃপ্তি ও সন্তুষ্টি আছে তাই আমিও নিজেই বাজার করি। এখন পরিস্থিতির স্বীকার আমরা - এছাড়া আর কি করার আছে। আপা সুস্থ থাকার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মাংস খাবার ছেড়ে দেওয়া অথবা যথা সম্ভব কম খাওয়া (গরু, মহিষ, খাসি) এছাড়া আরো আছে তা হচ্ছে চা এবং কফি কারণ চা কফিতে ঘুম কমে যায় এবং ঘুম হালকা হয়ে যায় - আর ঘুম কমে গেলে অসুস্থতা বাড়বে নিশ্চিত।
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২২
জুন বলেছেন: হু আমিও তাই দেখলাম ঠাকুর মাহমুদ। ভ্যারাইটিস অফ পোয়া ফিস
আর করুনাধারাকে যতই বুদ্ধি পরামর্শ দেন খাবারের ক্ষেত্রে আমি বিড়াল
দিনে কমপক্ষে দুইবার ঘন দুধ দিয়ে চা ছাড়াতো চিন্তাই করতে পারি না
আরেকটি বার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
২৯| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: কাভা আসেনি
বলেন তো কাভাকে একটা অনলাইন শপিংয়ের নাম দিয়ে ফোন দিই.... তারপর রিকোয়েস্ট করবো এখানে আসার জন্য...
২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
জুন বলেছেন: না কা-ভা আসে নি পদ্মপুকুর
এমনটি আর আগে কুনোদিন হয় নাই। সাময়িক পোস্ট দিলেও তা আলোচিত পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকতো। মনে হয় আপনার ঐ পোস্টে আরো দুই প্রসিদ্ধ ব্লগার সহ মাননীয় মডুকে সৈন্যবাহিনীর উচ্চপদে আসীন করার আবেদন জানানোতে এই প্রতিক্রিয়া
৩০| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
জুন আপা,
খুব ভালো করেছেন অর্ডারটা ক্যান্সেল করে,আমি হলেও
তাই করতাম। আমাদের দেশেও বড় বড় চেইন সুপারশপ
গুলো গেলে একটা বিষয় এতো খারাপ লাগে
বিশেষ করে কিছু মেয়ে সেলসম্যান দেখবেন আপনাকে
আপনার নির্দিষ্ট পণ্য কিনতে বাধা দিয়ে সে তার টার্গেট
ফিলাপ করতে অস্থির হয়ে পড়ে। সে অবস্থায় খুব
বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। সব জায়গাতেই ব্যবসাটা বড়
হয়ে দাঁড়িয়েছে এটাই কথা ।
যাইহোক আপু আপনার অভিজ্ঞতাটা বিব্রত হলেও মজা
লেগেছে বিশেষ করে ক্লিন এর ব্যাপারগুলি স্টেপ বাই স্টেপ
জুন আপা , আরেকটি কথা অনেক কষ্ট করে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম যদি একটু দেখে আসতেন ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
জুন বলেছেন:
বিশেষ করে কিছু মেয়ে সেলসম্যান দেখবেন আপনাকে
আপনার নির্দিষ্ট পণ্য কিনতে বাধা দিয়ে সে তার টার্গেট
ফিলাপ করতে অস্থির হয়ে পড়ে।
জী এর জন্য আমি একবার একটা মেয়েকে এমন ধমক দিয়েছিলাম যে সে আর পরে আমার ধারে কাছে আসতেও সাহস করে নি। আমার পছন্দের চা পাতা নিচ্ছি সে বার বার আরেকটা ব্রান্ডের চা নেয়ার জন্য বার বার এগিয়ে দিচ্ছিলো। আসলে এই সব ট্রেনিং দেয়া উচিত তাদের। একবার ক্যাশে মেয়েটি সব জিনিস এমন ছুড়ে ছুড়ে দিচ্ছিলো যে আমার আচারের বয়োম ভেংগে চুরচুর। পরে আরেকটা এনে দিল। পাশেই ম্যানেজার দাড়িয়ে ছিল সে সবই দেখলো।
আপনার পোস্ট দেখেছি আর মন্তব্য ও করেছি মুক্তানীল আর আমার লেখাটিতে মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩১| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৪
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা হা .... আপনি ওদেরকে আপনার বাসা পর্যন্ত এনে তারপর না হয় অম্লমধুর কিছু দিয়ে দিতেন!
পাজীদের দিয়ে দেশ ভরা।
২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
জুন বলেছেন: বাসায় আনার পর এসব দেখলে আর শুনলে আমার মেজাজ যে কি হতো তা বলা মুশকিল বিজন রয়
সরস মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৩২| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:১৭
রাকু হাসান বলেছেন:
বললাম আচ্ছা -এবার আমার অডারটা কান্সেল করেন:হহাহাহাহা এটি দারুণ ছিল । আর মেজাজ উনপঞ্চাশ
clcikan
২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩১
জুন বলেছেন: কি করবো বলেন রাকু হাসান। টাকাটা বড় কথা না বড় হচ্ছে সততা। তোমরা এড দিয়েছো যারা নিজেরা ছোট মাছ কেটে ধুয়ে খেতে পারছে না তাদের জন্য তোমাদের এই অফার। প্রথমেই ৮৭৫/= বল্লেই তো ঝামেলা শেষ। যত্তসব বাটপারি।
আপনার পোস্টে একটা মতামত রেখে এসেছি, দেখেছেন কি?
৩৩| ২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনলাইন মার্কেটটাই একটা ভুয়া পদ্ধতি
যতবার হিজাব কিনেছি
ছবির রঙের সাথে মিল পাইনি
আর মূল্য তো মাশাআল্লাহ অনেক বেশী। কিছু নারী ক্রেতা এদের সাহস বাড়িয়ে দিয়েছে।
২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
জুন বলেছেন: আপনার হিজাবের কথায় আমার মনে পরলো আমার পরিচিতের কথা। কত হিজাব আর কি আবায়া না কি যেনো সব আনালো অনলাইনে। দেখে আমি বল্লাম এত বাজে কোয়ালিটি! সে আমাকে ছবি দেখালো, ভাবি দেখেন ছবিতে দেয়া এইটা আর এইটা কি এক? ডেলিভারি দেয় যারা তাদের সাথে আর অনলাইনের বিক্রেতাদের সাথে কথা কাটাকাটি আমার একদম পছন্দ নয়। আমার পরিচিতা সারাদিন মনে হয় এই করছে।
৩৪| ২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাগো এইখানে ফ্রোজেন ব্লক আকারে মোটামুটি সব মাছই পাওয়া যায়। ক্লিন করাই থাকে! তবে সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হইলো পাবদা মাছ ক্লিন করা থাকে না। আর এইটাই হইলো আমার সবচেয়ে প্রিয় মাছ! আমার বউ কয়, পাবদা খাইতে হইলে নিজে ক্লিন কইরা খাও, আমি পারুম না। আপনে কন......এইডা হ্যার কেমুন বিচার!!!
এই পোয়া মাছের কোন কিছুই আমার ভাল্লাগে না......মাছটা জানি কিরাম, ভেজাইল্যা!!
তারপর আছেন কিরাম? অফিসে লোকজন ছাটাই হওয়ায় জুতা সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ সবই কর্তাছেন্নাকি :-* এই কতা জিগায়া তো কাটা ঘায়ে নুন ছিটাইলেন। বহুত পেরেশানীতে আছি। কখন যে কি করতে কয়, কোন ঠিক ঠিকানা নাই। কামের প্রচন্ড চাপ। কর্তৃপক্ষ কইছে, যারে যা করতে কওয়া হইবো, তারে তা করতে হইবো। কুন ট্যা ফো করন যাইবো না।
২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৯
জুন বলেছেন: : পাবদা মাছ আমারও খুব প্রিয়। এইটা কাটা খুবই সোজা। কেচি দিয়ে মুখ সহ সাইডের কাটাগুলো কেটে টানা দিলেই বেলি ক্লিনিং ও হয়ে যায় আলাদা করে পরিস্কার করতে হয় না আর এক্সট্রা চার্জও দিতে হয় না
আরেকটু বুড়া হন আমার মত তখন পোয়া মাছ ভালা পাইবেন
আমিও বাসায় কাজ করতে করতে কাহিল আজ দেখছি স্ট্রেসের চোটে গায়ে গায়ে জ্বর, নাক দিয়া একটু হাল্কা পাতলা জলও পরতেছে। বহুত চিন্তায় আছি এই নিয়া। যাই ব্লগার জাফরুল মবীনের লেখাটা পইড়া আসি। ভালো থাইকেন আর আমার জন্য দুয়া কইরেন ভুয়া।
৩৫| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৬
শায়মা বলেছেন: হা হা বেলি ক্লিনিং.......
মনে হয় মাছগুলো আত্মহত্যা করেছিলো.......
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৯
জুন বলেছেন: আমারও তাই মনে হয় শায়মা বেলি ক্লিনিং এই টার্মিনোলজি পয়লা প্রথম শুনলাম অনলাইন শপিং এর কল্যানে
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৩৬| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা
ক্লিন মানে পুরাপুরি মাছের দাম ই ক্লিন করে দিতে চাইছে
ভাগ্যিস তুমি সময়মত না বলতে পেরেছো ...,
আমি তো ধরা খেয়ে এখন অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখাই বাদ দিয়েছি।
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪২
জুন বলেছেন: আমার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল কোয়ালিটি নিয়ে মনিরা। তারপরও ভাবলাম একটু ট্রাই করি নাহলে শিখবো কি করে! পচা মাছ দিলেও এতটা আশ্চর্য হোতাম না যতটা হয়েছি তাদের দফায় দফায় দাম বাড়ানো নিয়ে।
ভালো থেকো অনেক অনেক।
৩৭| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৩৪
মা.হাসান বলেছেন: স্ট্রেসের চোটে গায়ে গায়ে জ্বর, নাক দিয়া একটু হাল্কা পাতলা জলও পরতেছে।
করোনায় নাকে জল থাকবে না। ভালো খবর দিলাম, এখন একটু আনন্দ করেন। আর মডু কি বললো বা কি করলো এইটাতে স্ট্রেস নিবেন না
এগুলো কি আপনি বানিয়েছেন?
ছানা তৈরীর কৃতিত্ব চালডাল.কমের, আমি জ্বাল দিয়ে পানি ঝরিয়েছি, মা গোল শেপ দিয়েছে, শিরাতে আমি জ্বাল দিয়েছি, মা-ছেলে ভাগ করে খাচ্ছি।
কলকাতার সেই ভাগাড় কান্ড পড়ে আমি তো হতভম্ব। ওদের ফাসী দেয়া উচিত।
কোলকাতা বলে কিছু শাস্তি হয়েছে। উগান্ডা-ভুগান্ডা হলে হয়তো মন্ত্রী বানিয়ে দিতো।
ভাগাড়ের মাংসের খবরের লিংক-
১) ইউটিউব লিংক-- https://www.youtube.com/watch?v=Har-JJb_v44
২) ইত্তেফাকের লিংক --- https://archive1.ittefaq.com.bd/world-news/2018/04/28/155363.html
৩) বিবিসির লিংক -- https://www.bbc.com/bengali/news-43941584
৪) ভারতীয় পত্রিকার খবরের লিংক --https://www.theasianjournals.com/2018/04/30/ভাগাড়ের-মরা-পশুর-মাংস-যা/
৫) পদাতিক চৌধুরীর পোস্টের লিংক -- https://www.somewhereinblog.net/blog/padaticchowdhury/30238622
আমাদের বিল্ডিং এর এক একজনের ১৭ হাজার ১৮ হাজার পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল এসেছে যা ৩/৪ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
তাহাজ্জুদের সরকার আসিলে জনগন তাও কিছু পায়। খাম্বা ওয়ালারা আসিলে তো বিদ্যুত ব্যবহার না করিয়াই বিল দিতে হইতো। আপনিও তাহাজ্জুদ শুরু করেন, উন্নয়ন দেখিতে পাইবেন।
৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
জুন বলেছেন: করোনায় নাকে জল থাকে না এই সুখবর শোনার পর মাথা থেকে একটা বিশাল বোঝা আপাতত নামলো মা হাসান। জানিনা ভবিষ্যতে কি আছে কপালে
ভালোই তো রসগোল্লা একেবারে দোকানের মত। তা মা ছেলে কেন!! ছেলের বৌ কি বাদ রসগোল্লার ভাগ থেকে? নাকি তার ডায়বেটিস
ভাগাড় কান্ড যখন প্রকাশ পায় তখনই আমি জেনেছি ভারতের বিভিন্ন পত্রিকা থেকে। কি ভয়ংকর। এমনে তাজা গরু খায় না, মরা পচা খায়। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কিছু শহরেও নাকি সাপ্লাই দিতো। এটা শুনে আমি বাইরের কাবাব, প্যাটিস, আর খাই নি।
আরেকবার এসেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনার পাওনা। অনেক ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
৩৮| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ২:২৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: জুন,
আপনার লেখায় একটু দুঃখ দুঃখ ভাব থাকায় একটু অবাক হয়েছি । এই ফোনধারী কাস্টমার সার্ভিস মেয়েতো আপনার বিড়াট কোনো ব্লগ ফ্যান মনে হচ্ছে ! নিশ্চই ব্লগে আপনার দারুন দারুন সব ভ্রমণ কাহিনী পড়ে আর আপনাকে দেশের ডিজিটাল মাছ কেনার প্যারা দিতে চায়নি ।তাই হেনো তেনো জিজ্ঞেস করে আপনার এভারেস্ট সম কুল টেম্পারমেন্ট নষ্ট করে অর্ডার ক্যানসেল করিয়েছে নইলে নিশ্চিত পচা বাসি এক কেজি মাছের স্বাদ নিতে হতো আপনার ! ওই কাস্টমার সার্ভিস মেয়ের ঠিকানা দিন তাকে একটা ডিজিটাল শুভেচ্ছা পাঠাই আমাদের প্রিয় ব্লগারকে পঁচা বাসি মাছের ঝোল না খাওয়াবার জন্য ।
বাই দ্যা ওয়ে, কিছু দিন আগে মানে গেলো রোজায় আড়ংয়ের অনলাইন অর্ডার নিয়ে পেপারে একগাদা অভিযোগের কথা পড়লাম । সেই থেকেই ভাবছি আমাদের ব্যবসায়ে পেশাদারিত্ব ব্যাপারটা আর এলো না এতো বছরেও ! আপনার অভিজ্ঞতা শুনে মন খারাপ না হয়ে দেশের ব্যবসা বানিজ্যের অপেশাদারিত্ব দেখেই বেশি মন খারাপ হতে চাইছে । এমন অদ্ভুত সব ব্যবস্থা আমরা নিজেদের জন্য করে রেখেছি আশ্চর্য ! আসলে এটা মনে হয় আমাদের পুরো সিস্টেম ফেইলিওরেরই একটা খন্ড চিত্র ! যাক, লকডাউনে মাছে ভাতে বাঙালির বাংলাদেশে ফ্রেশ মাছ খাবার রসনা ওপেন রেখে এবারের অনলাইন মাছ কেনার অপচেষ্টা আবারো কখনো সুপ্রচেষ্টায় পরিণত করে সে নিয়ে নতুন কোনো পোস্ট লিখবেন সেই আশা করে রইলাম । ভালো থাকুন ।
৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৭
জুন বলেছেন: কি যে বলেন মলাসইলমুনা দুঃখ দুঃখ দেখলেন কই ? আমারতো প্রথমে হাসি তারপর অসম্ভব রাগ লাগছিলো তাদের কায়-কারবার দেখে । মানুষকে ঠকাবে তারও তো একটা স্টাইল থাকে , এদের ব্যাপারটা ছিল একেবারেই কাচা হাতের আর অপরিশীলিত । বেইজিং এ এক ট্যাক্সি ড্রাইভার আমাদের ফিরে আসার আগের দিন চোখের পলক ফেলার আগেই আমাদের আসল টাকা নিয়ে জ্বাল টাকা ধরিয়ে দিয়েছিল যা আমরা রাতে হোটেলের বিল পরিশোধ করতে গিয়ে বুঝতে পারি।
পচা বাসী নিয়ে আমারও মনে একটা সন্দেহ অবশ্যই ছিল । কিন্ত ছবিতে এত ফ্রেশ লাগছিলো বলার নয় । আমি ছোটবেলা থেকেই পচা বা গন্ধ ওয়ালা মাছের ব্যাপারে ভীষন খুতখুতে । কেউ যদি বলে রান্না করা এই মাছে গন্ধ তা আমি মরে গেলেও পরীক্ষা করতে যাবো না
দেখেন ব্যংককে আমরা কত খাবার ছাড়াও অন্যান্য জিনিস অনলাইনে আনছি এমন অভিজ্ঞতা কখনোই হয় নি ।
যাই হোক ভালো থাকুন এই করোনা কালে , নিরাপদে থাকুন , আমাদের জন্যও দোয়া করবেন । অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
৩৯| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বেঁচে গেছেন অর্ডার ক্যনসেলেশন চার্জ ধার্য করেনি ।
পুরা লকডাউন পিরিয়ডটাই যাচ্ছে অন লাইন শপিং এ
তবে কোন মাছ মাংস ডিম অবশ্যই না ,সরবরাহকারীগন
অনলাইনে মাছ মাংস ও ডিমের কোন অর্ডার নেয়না ।
ভাল স্বাদের মাছই সিলেক্ট করেছিলেন । এটা খুবই স্বাদের মাছ ,আগে এটা সস্তা দামের মাছ ছিল ।এখন নদীর ও সাগর মোহনার মাছ হিসাবে উচ্চ আসনে সমাদৃত হয়েছে, পুকুরে ও বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা মাছের চেয়ে এর স্বাদ অনেক অনেক
বেশী ।
একটি পোয়া মাছের গড় ওজন ২৫০ গ্রাম ,তখন ওজনের পরিমাপ ছিল সেরে । ৪ পোয়ায় এক সের হত । সে হিসাবে
এটা পোয়া মাছ নাম ধারণ করে । প্রায় চার শতের অধিক নদী, অসংখ্য খাল, বিল, হাওর, বাওর, ডোবা, নালার বাংলাদেশে পাওয়া যায় নানা রং ও স্বাদের মাছ। আকার আকৃতিতে এরা যেমন বিচিত্র, নামগুলোও তেমনি নান্দনিক। বৌরাণী, গুলশা, তপসে, চিতল, কাকিলা, কই, শিং, পাবদা আরও কত কি! বাংলাদেশে ২৬০ প্রজাতির স্বাদুপানির (মোহনা জলসহ) এবং ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ১২-এর অধিক প্রজাতির চাষকৃত বিদেশী মাছ চাষের জলাশয়ে এবং ৭০-এর অধিক জাতের বিদেশী বাহারী মাছ এ্যাকুয়ারিয়ামে পাওয়া যায়। এ সমস্ত মাছের নামকরনের ভাল কোন ইতিহাস নেই ।
কে কখন কিভাবে মাছের এত সুন্দর সুন্দর নাম রেখেছিল তা ভাবতেও অবাক লাগে ।আমি এই পোয়া মাছের নামকরনের
ইতিহাস দিয়ে শুরু করলাম । অন্যরা যদি অন্য কোন মাছের গ্রহনযোগ্য ও যুক্তি সংগত নামকরন কাহিনী জানেন তবে তা বললে মাছের নামকরনের ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে ।
কানের চিকিৎসা করুন ও ভাল থাকুন এ কামনা রইল ।
০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩
জুন বলেছেন: প্রথমেই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন ডঃ এম এ আলী। আপনি এমন একটি মন্তব্য করেন যার উত্তর চট করে দেয়া যায় না। বেশ খানিকক্ষণ ভাবতে হয় বইকি।
ইদানীং বাংলাদেশের বিভিন্ন ছোট ছোট পুকুর আর জলাশয়গুলো এত দুষিত হয়ে পরেছে যে আমরাও এর মাছ খাই না বল্লেই চলে। চাষের মাছও তার ফিডের গন্ধ আর স্বাদের জন্য বাদ পরে যায়। চেষ্টা করি হাওড়ের মাছ, নদী, চলন বিল অথবা মোহনার মাছ খেতে । বেশ কয়েক বছর আগে একবার বাজার থেকে ট্যাংরা মাছ এনেছিলো। আমার আবার বড় বড় রুই কাতলা পাংগাসের চেয়ে মিডিয়াম আর ছোট মাছই পছন্দ। যাইহোক সেই ট্যাংরা মাছ চর্চরি করলাম। কিন্ত মুখের কাছে নিতেই কেমিক্যাল এর গন্ধ। তাড়াতাড়ি বাটি ভরা মাছ বিনে ফেলে দিতে হলো ।
পোয়া মাছ মোহনার বলে খাওয়া যায় কিন্ত তার পেছনে যে এত কাহিনি আপনি না বল্লে তো জানাই হতো না। এই দেখেন আপনাদের মত ব্লগার থাকতেও অনেকে বলে সামুতে ভালো লেখা নেই, সামুর সুর্য অস্তমিত। এটা দুঃখজনক।
হা হা হা কানের চিকিৎসা করানোর দরকার নেই। অর্ডার ক্যান্সেল এর পর পরই কান ঠিক
আবারও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়।
৪০| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনলাইনে কেনাকাটা করা আর ধাপ্পাবাজের হাতে পড়া একই ব্যাপার। পারতপক্ষে অনলাইনে কেনাকাটা না করাই ভালো।
০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫
জুন বলেছেন: ইচ্ছা করে কি আর অনলাইনে মাছ কিনতে যাই হেনা ভাই
দোয়া করেন আল্লাহ যেন এই মহামারী থেকে আমাদের দ্রুত উদ্ধার করেন।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪১| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুুবই বাজে অভিজ্ঞতা!
এরা ব্যবসা করেনা, প্রতারনা করে। কনজুমারস কোর্টে মামলা করে দিতে পারেন, কিছু প্রুফ সহ!
তবে যদি কিছূ জাত হয়!
০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
জুন বলেছেন: আপনে দেখি আমার এক চাচার মত কথা কইলেন ভৃগু। সে হাইকোর্ট এর উকিল। ডেপুটি এটর্নি জেনারেলও ছিলেন। তার সাথে দেখা হলে আর কিছু বল্লেই বলতো "মা একটা মামলা কর "
আসলেই মামলা করা উচিত। কিন্ত এই সব ঝামেলায় কে যায়
অনেক অনেক ভালো থাকুন আর সাবধানে।
৪২| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হা হা হা..
০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
জুন বলেছেন:
৪৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ বিরূপ অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। প্রবাস থেকে ছেলেরা শুধু উপদেশ দেয়, বাজার টাজারে না গিয়ে অনলাইনে সব কেনো। ওদেরকে আপনার এ লেখাটা দেখাতে হবে।
পোয়া মাছটা আমার বাসায় খুব একটা আনা হয়না, যদিও, অনেকের কাছে শুনেছি, ঠিকমত রাঁধতে পারলে এটা নাকি খুব টেস্টী হয়। মনে পড়ে, একবার শৈশবে আমি বাজারে যাবার সাথে সাথে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয় (আমি আমার শৈশবকাল থেকেই বাজার করতে অভ্যস্ত হয়েছিলাম)। মাথার উপরে ছাতা ধরে রাখতে কষ্ট হচ্ছিল। সেদিন আমার চোখের সামনে যে মাছটি পড়েছিল, অর্থাৎ এই পোয়া মাছ, সেটাই তাড়াতাড়ি কিনে নিয়েছিলাম কোন দর দাম না করেই। তবে মনে আছে, নলা জাতীয় মাছের চেয়ে এর দাম অনেক বেশী নিয়েছিল। বাসায় আসার পর আম্মা কিছুটা বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এটা কী মাছ এনেছো? খাবার পরেও বাসার সবাই জিজ্ঞেস করেছিল, এত টেস্টী মাছ, এর নাম কী? সে স্বাদটা এখনো মুখে লেগে আছে।
বাই দ্য ওয়ে, অনলাইন বিক্রিতে ফোন কলে যারা কথা বলেন তারা কি বাংলায় কথা বলেন? আমার কেনো জানি মনে হয় তাদের ভাষাগত সমস্যা আছে (৫ নং মন্তব্য) - ঠাকুরমাহমুদ এর এই কথাটা আমারও মনে হয়। তোতাপাখির মত কি সব বলে যায়, অনেক সময় বুঝতে খুবই কষ্ট হয়।
কব্জীর পর এখন আবার কানের সমস্যা শুরু হলো?
০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১
জুন বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যে বরাবরের মতই মুগ্ধতা খায়রুল আহসান। আমার ছেলের চিল্লাপাল্লাতেই তো আমিও গিয়েছিলাম মাছ কিনতে আর তারই অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখলাম। আজ ফোন করে বাকসল তেলাপোকা মারার জন্য আনলাম। কোন বাহুল্য কথা নাই বার্তা নাই আসলো দাম নিল জিনিস বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেল।
আপনার পোয়া মাছ কেনার অভিজ্ঞতা শুনে মজা পেলাম। আসলে একটু মাংশল মাছ তো যেমন বেলে পোয়া। এগুলো একটু ঝাল ঝাল চড়চড়ি করলে খেতে ভালো লাগে। ছোট বেলায় একদম পছন্দ করতাম না। শুধু এর দাতগুলো নেয়ার জন্য আম্মা খেতে বসলে পাশে দাড়িয়ে থাকতাম। সীম পটল ডাটা এসব দিয়ে মাছ রান্না করলে একটুও পছন্দ করতাম না। আমাদের ছোটদের ধারণা ছিল মাছের মধ্যে আলুই বেস্ট। ওই সব তরকারি দিলে যে কি খারাপ লাগতো। আর এখন নিজেই আমি নানা রকম সব্জি দিয়ে মাছ রান্না করি। আসলে বয়স হলো আসল কথা।।
অনেক অনেক ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন বাসার সবাইকে নিয়ে। মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত।
৪৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেলী ক্লিনিং শেখার কোন শেষ নেই!
পদাতিক চৌধুরী উল্লেখিত "ভেড়ীর মাছ" মনে হয় আমাদের দেশের "মেনী মাছ", যাকে আরেকটা নামেও ডাকা হয়, ভেদা মাছ অর সামথিং।
আমি পারতপক্ষে কোন কিছুই অন লাইনে কেনার পক্ষপাতি নই। আমার ছেলে সেদিন অনলাইনে হিমসাগর আম কিনেছিল। কয়েকটা মিষ্টি ছিল, কিন্তু বেশীরভাগই টক! ব্যবসায়ীরা একথাটা কখনোই মনে রাখতে চায়না যে ব্যবসায়ে পাল্লাটা সমান রাখতে পারলেই ব্যবসায়ে বরকত, একটু নুয়ে গেলে দ্বিগুণ লস, এটা বিধাতার বিধান, কখনো ভুল হবার নয়!
"জনসংখ্যার বড় অংশ জালিয়াত, বাটপার" - চাঁদগাজী প্রকৃত সমস্যাটাকেই চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
আমার পছন্দের চা পাতা নিচ্ছি (৩০ নং প্রতিমন্তব্য) - সেটার নাম কী?
অর্ডার ক্যান্সেল এর পর পরই কান ঠিক (৩৯ নং প্রতিমন্তব্য) - ওহ, তাই নাকি? বুঝতে পারলাম তা'হলে!
৯, ১৮, ৩৪ নং প্রতিমন্তব্য- ভাল বলেছেন!
০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১
জুন বলেছেন:
হা হা হা বেলী ক্লিনিং শুনে আমিও হাসতে হাসতে শেষ
পদাতিক উত্তর দিয়েছে কাইন্ডলি একটু চোখ বুলিয়ে নেবেন। ভেড়ির মাছ মনে হলো সমুদ্র মোহনায় চাষ করা বা বিশেষ ভাবে পালিত মাছ, যেমন আমাদের চিংড়ি চাষ হয়।
আমি একবার গরম মশল্লা কিনতে গিয়ে দেখেছিলাম দোকানী হাতের কড়ে আংগুল দিয়ে মশল্লার দিকে একটু চাপ দিয়ে রেখেছে। এখন সে দাড়ি টুপি পরে হুজুর আমি কিছু কিনতে গেলে তাকে দেখে ভাবি তার সেই স্বভাব কি পরিবর্তন হয়েছে লোক ঠকানোর?
আমার প্রিয় চা পাতা সিলোন গোল্ডেন ব্লেন্ড। ছবি দিলাম দেখেন। ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা রইলো।
৪৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১০
রাতুল_শাহ বলেছেন: মাছ খেতে পারছেন না জেনে, খারাপ লাগছে।
আমি নিয়মিত কোরাল, কাতল, লইট্যা খাচ্ছি।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
জুন বলেছেন: না না রাতুল আমি নিয়মিতই মাছ খাই কারণ মাংস আমার খুব একটা পছন্দ না। মাছের কত ভ্যারাইটি কত রকম তার স্বাদ, আর মাংসের তো সেই গরু, খাসী বা মুরগী। যার মাঝে গরু খাসী স্বাস্থ্যকর নয় বলে সেই মুরগী
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রাতুল। সাথে থেকো আর ভালো থেকো বরাবরের মতই।
৪৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: হুম, আমি তো গরুর আর খাসির মাংস খাওয়া বাদ দিয়েছি।
এখন মুরগী খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেছি।
গ্রামের বাড়িতে গেলে বিভিন্ন রকমের মাছ খাওয়ার সুযোগ হয়। আম্মার সাথে বসে বসে মাছ ভাজি আর খাই।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪১
জুন বলেছেন: মাছ খাওয়া খুবই ভালো। কিন্ত এখনতো দেশে যাওয়া বন্ধ তাই না
আরেকবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রাতুল। ভালো থেকো অনেক অনেক।
৪৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খায়রুল আহসান ভাই, আমার মন্তব্যটি ভালো লেগেছে জেনে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
খায়রুল আহসান ভাই ও জুন আপা আপনাদের ধন্যবাদ।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৩
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো এত সুন্দর একটা ধন্যবাদ জানানোর জন্য ঠাকুর মাহমুদ
৪৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:২৪
সোহানী বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে হাসতে হাসতে অজ্ঞান........হাহাহাহা!!! এই আমাগো দেশের অনলাইন বাজার!!!!!!!!!
আল্লাহ্ বাচাঁইসে, আপনার লিখা পইড়াতো কানে ধরছি এ পথে যামু না। কারন ক'দিন ধরেই খোঁজ নিচ্ছিলাম যে দেশে কোন অনলাইন বাজার ভালো যাতে এখান থেকে পে করে ওখানে বাবার বাসায় বাজার পৈাছে দিবে। এমন কি চালডাল ডট কম ও মাছের একটা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশান করেছি।
এ বন্ধে বলতে গেলে আমি এখানে প্রচুর অনলাইনে কেনাকাটা করেছি। এখানে কোনরকম দুই নাম্বারীর সুযোগ নেই। তবে চায়নার একটা অনলাইন শপিং এ কিনে রাম ধরা খাইছি। সেই গল্প আরেকদিন।
সবার চমৎকর মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে অজ্ঞান! ম.হাসান তবু মিস্টি বানাইছে বাট করুনাধারা আপু যে এরকম ধরা খাইলো... আফসোস!!
২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫
জুন বলেছেন: : আমাদের দেশের অনলাইন ব্যবসায়ীরা নিজেদের সুনাম ধরে রাখার চিন্তা করে না সোহানী। এক দিনের ব্যাবসা করতে আসে। চালডাল.কমের সেলসে এক মেয়ে দেখি দুই দিন পর পর আমার বাসায় ফোন দেয়। মেয়েটির কথার মাধুর্য্যে মুগ্ধ হয়ে আমার বাসার কর্তামশাই কফি, কফি-মেট ছাড়াও লিকুইড দুধ আর ডিমের অর্ডার দিয়েছিলো। অর্ডারের তিন দিন পর সন্ধ্যায় ডেলিভারি দিল। তার হাত থেকে কোনরকমে জিনিসপত্র ঘরে এনে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে কিছুক্ষণ বারান্দায় রেখে ঘরে এনে দেখি সেই ২ লিটার দুধ সেদিনই এক্সপায়ার্ড হবে আর ডিমগুলো মনে হলো কোয়েলের ডিম ( দুধতো সেই রাতেই জ্বাল দিয়ে রক্ষা। আর ডিম তিনদিনে শেষ হলো কারণ একটার বদলে দুটো করে খেয়ে। বেচারা কয়েকদিন পর্যন্ত আমার খোচা শুনলো মেয়েটির মধুর বাতচিতে ক্যারিড এওয়ে হওয়ার জন্য
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সোহানী। এরপরে কিন্ত আরো দুটো পোস্ট দিয়েছি। আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের অপেক্ষায় কিন্ত
৪৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: উপায়হীন আমি ফিশলোজি থেকে মাছ আনালাম এপ্রিল মাসে । রুই, শোল , বাগদা , কেচকি । কেচকি বাদে বাকি মাছ কেটেকুটে প্যাক করা । ভাল ছিল । তিনমাস ওদের সার্ভিস নিলাম । মাঝে ইউনিমারট থেকে বেলে আর মলা কিনল মেয়ে । ঝামেলা হল কাটাকুটা । নতুন কারো কথা সাজেসট করল মেয়ে , এই কদিন আগে দিয়ে গেল , নাহ যে টেংরা দিয়ে গেল তা ম্যাগ্নিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখতে হয়। মলা অন্য জাতের দিয়েছে , স্বাদে ভাল না । ফিসোলজি কুরবানির গরু নিয়ে ব্যাস্ত ছিল । আজ খুললাম ওদের সাইট , নাহ লেটেসট আপডেট নেই । তাহলে কি ব্যাবসা বন্ধ করে দিল ! ফিসোলজি ভাল ছিল মাছের জন্য ।
ব্যাবসা করা এবং ধরে রাখা কঠিন বিষয় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ।
সবাই শর্টকাট খোজে টাকা টুকা বানাইতে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
হা..........হা..........হা.......... মেজাজটা আপনার বুয়ার ভাষায় ঊনপঞ্চাশ নয় সাড়ে ছিয়াত্তর হবার কথা। মনে হয় মাছের বেলী পরিষ্কারের মতো আপনার বেলী থেকেও কিছু কথা বের করে পরিষ্কার করতে চেয়েছিলো আর আপনার পকেট ( পকেট না বটুয়া হবে) কাটা বাছা করে ফকফকা করার ইচ্ছেটাও ছিলো।
একটা বিনে পয়সার উপদেশ দিই- অনলাইনে কোনও মাছ-মাংস- গ্রোসারী অর্ডার করবেন না কখনই। আমার অভিজ্ঞতা বেশ খারাপ। এই ব্লগেও ক'দিন আগে কে যেন তার খারাপ অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলেন।