নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ থেকে অনেক বছর আগে স্বামী বিবেকানন্দ বলে গিয়েছিলেন "জীবে দয়া করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ইশ্বর "
এরই চিনহ দেখলাম গতকাল ব্যাংককের এক রাস্তায়। নির্জন দুপুরে আমরা স্বামী স্ত্রী দুজন একটি চাইনিজ মন্দির দেখে ফিরে আসছি, হঠাৎ চোখে পরলো এক বুড়ি মা পাশে সারি সারি লাগানো একটি মেহগনি গাছে প্লাস্টিকের বোতল কাটা অংশে পানি ভরে গাছের কান্ডে ঝুলিয়ে দিল, তারপর তিনটি কলা। আমি এতই অবাক যে ছবি তুলতে ভুলে গেলাম এই পর্বের। এর এক মিনিট পরেই গাছের উপর থেকে নেমে আসলো এক কাঠবিড়ালি আর খেতে শুরু করলো একটি কলা, তারপর থাইল্যান্ডের কাঠফাটা গরমে তৃষ্ণার্ত কাঠবিড়ালি এক চুমুক পানি খেয়ে গলাটা ভিজিয়ে নিয়ে আবার কলা খেতে লাগলো । বিস্মিত অভিভূত আমরা একের পর এক ছবি তুলছি। কিন্ত অনেক চেষ্টা করেও সেই দয়ালু মহীয়সী মহিলার ছবি তুলতে পারিনি কারন সে প্রচার চায়নি তাই মুখ ঘুরিয়ে রেখেছিল সারাক্ষণ। কাঠবিড়ালি অতশত ভাবেনি কারণ সে ছিল ক্ষুধার্ত।
অনেক আগে একজন বলেছিল "কাঠবিড়ালি আর পাখী আমাদের পেয়ারা খেয়ে শেষ করে ফেলছে তাই জাল দিয়ে গাছ ঢেকে রাখি"
তাকে বলেছিলাম "কি হয় পাখিরা দুটো ফল খেলে! তাদেরও তো হক আছে আপনার জিনিসের উপর, তাছাড়া আপনার বাজার থেকে পেয়ারা কিনে খাওয়ার স্বামর্থ্যও আছে তাই না! "। যুবকটি আমার কথা শুনে চুপ করে থেকে মাথা ঝুকিয়ে বলেছিল "ঠিকই বলেছেন আপনি" ।
কাঠবিড়ালি আর দয়ালু মহিলার ছবি আমার মোবাইলে তোলা। জালে ঢাকা গাছের ছবিটি নেট থেকে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
জুন বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ গেয়োভুত। এই সব জিনিসগুলো আমার মনকে দ্রবীভূত করে এক মুহূর্তেই। শুভকামনা রইলো।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট আপু। কিন্তু দুষ্টু চড়ুই যে আমার ফুলের কলি এসে প্রতিদিন খেয়ে ফেলে। এদের কারণ কিছু গাছে ফুল ফুটতে পারে না
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
জুন বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখে খুব ভালো লাগলো কাজী ফাতেমা। চড়ুইগুলো আসলেই দুষ্ট কিন্ত ভারী মিষ্টি যে। এখন ওদের কি মারতে মন চাইবে বলেন?
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমার বারান্দায় বাবুই পাখি উড়াউড়ি করতো তাই দেখে আমার মেয়ে একটা বাটি বেধে তাতে কিছু চাউল দেওয়া শুরু করলে ওরা খেতে শুরু করে এখন ৮/১০ টা নিয়মিত আসে এবং চাউল খায়।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৫
জুন বলেছেন: বাবুই পাখি! বাহ দারুন তো! আমার বারান্দায় বিভিন্ন জাতের অগনিত পাখী আসে। আমার মুক্ত শিকলি কাটা পাখি নিয়ে কয়েকটি পোস্টও আছে ব্লগে। তাদের জন্য নানা রকম খানাপিনার ববন্দোবস্ত আছে
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৫
বিটপি বলেছেন: বাজার থেকে কিনে খাওয়া আর নিজের লাগানো গাছের ফল খাওয়ার মধ্যে যে আকাশ পাতাল তফাৎ আছে, সেটা নিশ্চয়ই আপনি বুঝবেন - ঐ যুবক কেন বুঝলোনা বুঝলাম না।
আপনি তাকে বলেছিলেন - কি হয় পাখিরা দুটো ফল খেলে? পাখিরা দু একটা ফল খেলে কিছুই হয়না। উনিও সম্ভবত মেনেই নিতেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে "কাঠবিড়ালি আর পাখি আমাদের পেয়ারা খেয়ে শেষ করে ফেলেছে" তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রটেকশনের ব্যবস্থা নেয়াই সঠিক পদক্ষেপ ছিল।
বুড়ি মহিলার প্রতি আমার শ্রদ্ধা। উনি হয়তো কাঠবিড়ালীর ক্ষুধা মিটিয়ে পরোক্ষভাবে কোন ফল গাছের মালিকেরই উপকার করলেন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৭
জুন বলেছেন: শোনেন বিটপি কারো যদি একটা দুটো গাছ থাকে তবে সে ঢেকে রাখুক কিন্ত যার বিঘার পর বিঘা জমিতে ফল বাগান আছে তার দু একটা গাছের ফল পাখিদের জন্য রাখা কি বিশাল ব্যাপার! আমাদের মন কি একটুও উদার নয় এই ক্ষেত্রে! অবাক হোলাম আপনার মন্তব্যে। ধন্যবাদ রইলো।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশে পশু পাখিকে এই রকম ভাবে খাওয়াতে গেলে মানুষজন মুখ বেঁকিয়ে বলে যে এদের না খাইয়ে মানুষকে খাওয়াও ! এমন একটা মনভাব যেন পৃথিবীতে কেবল মানুষেরই বাঁচার অধিকার আছে অন্য কারো নয় ।
ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে আমার বেশ কিছু প্রাণীর পেইজে ফলো দেওয়া আছে যেখানে প্রায়ই দেখা যায় মানুষজন কিভাবে এই নানান রকম পশুপাখিদের সাহায্য করছে খাওয়াচ্ছে । এগুলো দেখে এতো চমৎকার লাগে !
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জুন বলেছেন: মানুষকে তো খাওয়ানো হয়েই থাকে, তারা চাইতে পারে। কিন্ত অসহায় প্রানীরা তো বলতে পারে না। আমিও কিছু পশু পাখিদের গ্রুপে দেখি কেমন আদর যত্নে তাদের রেখেছে। আর আমাদের দেশে রাস্তায় কুকুর বিড়াল দেখলে কিছু কিছু মানুষের পা অকারণেই উঠে যায়। এত নিষ্ঠুর হিংস্র আমরা।
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অপু তানভীর।
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বেওয়ারিশ কুকুর গুলোকে যখন মেরে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিল জয়া আহসান তখন প্রতিবাদ স্বরূপ রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুর গুলোকে খাবার কিনে খাওয়াইছিল। সে অপরাধে দেশের নোংরা লোকজন ওনাকে প্রচন্ড গালি দেয় ফেসবুকে। যদিও জয়া আহসানরা শুধু নাটয়ক সিনেমা বিজ্ঞাপনে করে জীবিকা নির্বাহ করার অপরাধে এক শ্রেণীর বস্তিও ছেছড়া ক্লাসলেস লোক জন দিনে ৩ বেলা ওদের গালি দিয়ে কটাক্ষ করে অসম্মান করে।
অথচ জীবে দয়া করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ইশ্বর ।
জাহান্নামী জয়াদের চেয়ে যারা নীরিহ প্রানী গুলো গুলি করে মেরে ফেলে তারা বেশী পাপী নয় কি জুন আপু ?
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
জুন বলেছেন: আমি এক গরীব দোকানীকে দেখেছিলাম ব্যাংককের অসহনীয় গরমে ঘুমন্ত বিড়ালের দিকে ফ্যান দিয়ে নিজে দর দর করে ঘামছে। ওরা অসম্ভব ভালোবাসে পশু পাখিদের। আপনি হেটে যাচ্ছেন আপনার পায়ের কাছে ঘুঘু মাটি থেকে খাবার খুটে খাচ্ছে, একটুও ভয় নেই। আমি এই কথাটি এর আগেও মন্তব্যে বলেছি আবারও বলছি, টাংগুয়ার হাওরে যাবার পথে কিছু কিশোরকে দেখেছিলাম গুলতি দিয়ে শালিক পাখি মারছে। আমি রিকশা থেকে নেমে তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন তারা এই কাজ করছে? পাখিগুলো কি অন্যায় করেছে তাদের সাথে!
আসলে আমরা পারিবারিক ভাবেই অনেক কিছু শিখি নাই গোফরান। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৫
নীলসাধু বলেছেন: কেমন আছেন আপা?
আশা করছি কুশলে আছেন।
আমরা বাংলাদেশিরা অনেকটা বদলে গেছি।
এখন আমরা শুধু নিজেরটা দেখি। নিজে চাই। নিজে খাই টাইপ অভ্যাস করে নিয়েছি। খুবই আত্মকেন্দ্রিক এক জাতিতে পরিণত হয়েছি। আমাদের আশেপাশে মানুষ যারা আছে তারা কেমন আছে তারা কীভাবে আছে তাই ই দেখি না। প্রাণ প্রকৃতির প্রতিও সেভাবে মায়াবোধ লালন করি না। অল্প কিছু মানুষই ভাবেন, বলেন। আর বাকি কিছু সাথে আছেন ভাব ধরেন। কিন্তু এখানে বড়ই শূন্যতা। মানসিক বা সামাজিক অথবা সমষ্টিগতভাবেই আমরা অনেকটা বদলে গেছি।
ভালো থাকবেন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২২
জুন বলেছেন: আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? অনেক দেরি হয়ে গেল জবাব দিতে নীলসাধু তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি।
আপনার প্রতিটি কথার সাথে সহমত। এই যে মহিলা যার ছবি দিয়েছি সে একজন দরিদ্র বৃদ্ধা, ঠেলাগাড়ি করে কি যেন বিক্রি করে। কিন্ত পশু পাখির প্রতি কি তার মমতা। আমাদের দেশে হলে নির্ঘাত ঢিল ছুরে মারতাম।
আপনিও ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
জীবে প্রেম কম-বেশি থাকে সবারই,তবে এ ধরনের প্রেম চোখে পড়লে চমকিত হতে হয়।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৭
জুন বলেছেন: আমি ব্যাংককের এক পিয়েরের পাশ ঘেষে রাস্তার এক ছোট্ট খাবারের দোকানের সামনে দেখেছিলাম মাটিতে একটি বিড়াল অঘোরে ঘুমিয়ে আছে তার দিকে ফ্যান দেয়া। আর বিড়াল মালিক মহিলা সেই আগুন তপ্ত গরমে রুমালে মুখ মুছছে উল্টো দিকে টুলের উপর বসে। আমি সত্যি সেদিন অবাক হয়েছিলাম শুন্য সারমর্ম।
মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হলো বলে অত্যন্ত দুঃখিত।
৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৩
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রথম কমেন্ট এ টাইপো, দোয়া=দয়া
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৮
জুন বলেছেন: আমি বুঝেছি গেয়ো
আন্তরিক দুঃখিত আমি দেরি হলো বলে।
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: জীবে প্রেম এখন খুব কম মানুষই করে।
কেমন আছেন জুনাপি? ভ্রমন বিষয়ক লেখা পড়িনা আপনার অনেক দিন হয়ে গেল।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৩
জুন বলেছেন: আমি আছি মোটামুটি সোহেল, আপনি কেমন আছেন? অনেক দিন হয়ে গেল আপনাদের মন্তব্যের জবাব দিতে তার জন্য লজ্জিত আমি। ভ্রমন বিষয়ক লিখবো কিন্তু সময় করে উঠতে পারছি না একেবারেই। আপনিও তো কিছু লিখেন না এখন। ভালো থাকবেন সব সময় আর সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
ছোট একটি পথ চলতি ঘটনা অথচ কী বিশাল এর অনুধাবন!!!!!!
আপনার এমন মানবিক বিষয় নিয়ে লেখাটিতে যে মেসেজটি আছে তা সত্যিই ভেবে দেখার মতো। কিন্তু আমরা কি তেমন করে ভাবতে পারছি বা শিখেছি ?
নীলসাধুর মন্তব্যটি সুন্দর একটি পর্য্যবেক্ষন ---"মানসিক বা সামাজিক অথবা সমষ্টিগতভাবেই আমরা অনেকটা বদলে গেছি।"
লেখাতে প্লাস...............
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৯
জুন বলেছেন: আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জবাব দিতে এত দেরি হবে ভাবতেও পারিনি আহমেদ জী এস। মানবিকতা কি না জানি না তবে আমি ছাদে হাটতে গেলে মুঠোয় করে চাল বা রুটি নিয়ে যাই। পাখিরা আমাকে দেখলে দৌড়ে আসে। পার্কে হাটার সময় এক বিড়ালছানা আমার দিকে দৌড়ে আসছিল মিউ মিউ করে। তাকে আমি ঘরে আনিনি নিষেধ বলে। হতাশায় পথের উপর বসে পরা সেই ছানাটির করুন চাহনি এখনো আমার চোখে ভাসে।
সব সময় সাথে থেকে উৎসাহিত করেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা সবসময়।
১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কাঠবিড়ালের কথা শুনলে রাগ হয় কারণ বেশ কিছু নারিকেল গাছের পানি পান করে তারা আমাদের নারিকেল গাছ শূন্য করে রাখছে সবসময়। হা হা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪১
জুন বলেছেন: । আমার মনে হয় আপনারা কিছু গাছ জাল দিয়ে ঢেকে কিছু গাছ তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দিন নেওয়াজ আলি। সুন্দর একটি মন্তব্য কত আগে করেছেন আর আমি ব্যাক্তিগত কারনে ব্লগে আসতেই পারি নি। আন্তরিক দুঃখিত আমি।
১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: অসাধারন একটা মুহুর্তকে ক্যাামেরায় ধরেছেন।
ফেসবুক মানুষকে ভোগী বানিয়েছে, ত্যাগী হতে শেখায়নি। কে কত দেশ ভ্রমন করেছে, কে কত হাই ফাই পার্টি করে বেড়াচ্ছে এসবের প্রতিযোগিতায় মত্ত সবাই। মানবিকতা এখন শুধুই মুখের কথায়, কাজে নয়।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৪
জুন বলেছেন: এত আন্তরিক একটি মন্তব্যের জবাব দিতে আমার এত দেরী হলো তার জন্য লজ্জিত আমি ঢাবিয়ান। ইন্টারনেট যেমন আমাদের দিয়েছে অনেক কিছু কিন্ত কেড়ে নিয়েছে তার চেয়ে শত সহস্র গুন।
ভালো থাকুন সব সময়।
১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর শিরোনামে সুন্দর একটি অভিজ্ঞতার কথা সচিত্র শেয়ার করেছেন, এজন্য ধন্যবাদ।
এরই নাম মানবিকতা, এটা কেন যেন আমাদের চেয়ে অন্যদেশবাসীর মাঝে অনেক বেশি দেখা যায়।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯
জুন বলেছেন: দুঃখিত সাথে লজ্জিত আমি নিদারুণ ব্যাস্ততায় ব্লগে আসতে পারি নি সেই সাথে আপনাদের মন্তব্যের উত্তরগুলোও যথা সময়ে দিতে পারিনি।
আমরা কেন আরেকটু মানবিক হতে পারি না সেটাই ভাবি। ভালো থাকবেন এই দোয়া রইলো
১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
জীবে দয়া করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ইশ্বর স্বামী বিবেকান্দের এই
মহামুল্যবান বাণীকে হৃদয়ে ধারণ করে চলার পথে দেখা দৃশ্যকে কেমেরাবন্দী করে
গড়েছেন সুন্দর একটি পোষ্ট ।
জীবে দয়ার চেয়ে মহতকর্ম কি আছেএই পৃথিবীতে, ইহকাল ও পরকাল
দুজাহানে মিলে পরম প্রাপ্তি ।
ক্ষুদার্থ ও পিপাসার্ত কাঠবিরালীর খাবার গ্রহনের দৃশ্যটি হয়েছে খুবই সুন্দর ।
পিপাসাকাতর পাখীরাও অনেক সময় মানুষকে করে সেবা বিবিধ প্রকারে
পানি পান করা ছাড়া কোনো প্রাণী বাচেনা আবার অনেক জীব নির্দিষ্ট উৎসের পানি পান করে থাকে।
এদের মধ্যে চাতক পাখি অন্যতম যারা বৃষ্টির পানি ছাড়া অন্য কোনো উৎসের পানি পান করে না।
অনেক সময় দেখা যায় বৃষ্টির মৌসুম ছাড়াই শীতকালে বা অসময়ে আকাশে কোনোরকম মেঘ ছাড়াই হঠাৎ
এক পশলা বৃষ্টি নামে। এরকম হঠাৎ বৃষ্টি হলে গ্রামের মুরুব্বীরা বলেন, চাতক পাখির আর্তনাদ আর প্রার্থনায়
মেঘদেবতা বা মিকাইল ফেরেশতা বৃষ্টি দিতে বাধ্য হয়েছে। সেই বিশ্বাস থেকেই আগের দিনে গ্রামবাংলায়
চৈত্র-বৈশাখে অনাবৃষ্টি আর খরা দেখা দিলে, খড়কুটো দিয়ে প্রতীকী চাতক পাখি বা চাতকমূর্তি বানিয়ে;
সেটিকে খোলা মাঠে আকাশের দিকে অনেক উঁচু করে রাখা হতো।
ছবি ও কথা সুত্র : গুগল আন্তর্জাল
বিদেশিনির মত বাংগালীরাও কিন্ত জীবে দয়া করতে পিছিয়ে নেই, আমাদের মধ্যেও গর্ব করার মত অনেক উদাহরণ আছে,
হাতের কাছে থাকা উদাহরণ হিসাবে প্রথমেই আপনার নাম নেয়া যায় , আপনার অনেক পোষ্টেই দেখেছি ক্ষুদার্থ ও
পিপাসার্ত পাখীদেরকে খাবার ও জলপান করার জন্য আপনার বাসার বারান্দায় হরেক রকমের আয়োজন করে
রেখেছেন ।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে রোজ সকালে দুই হাজার শালিক পাখিকে খাবার খাওয়াচ্ছেন পাবনার
শ্যামল কুমার মিট্টান্ন ভান্ডারের মালিক সমর কুমার ঘোষ। প্রতিদিন সকাল হলেই পাখিগুলো এসে ভিড়
করতে শুরু করে সমরের মিষ্টির দোকানের সামনে।
সুত্র : https://www.rtvonline.com/country/28957/ পাখিবন্ধু-সমরের-পাখি-প্রেম
সমরের এই অবদানের জন্য বন বিভাগ তাকে দেশ সেরা ‘পাখি প্রেমিক’ উপাধি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে
কথা ও ছবি সুত্র : আরটিভি https://www.rtvonline.com/country/28957/ পাখিবন্ধু-সমরের-পাখি-প্রেম ।
শুভেচ্ছা রইল
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩
জুন বলেছেন: শালিকদের খাবার দেয়ার খবরটি আমার নজরেও এসেছে ডঃ এম এ আলী ভাই। অনেক অনিয়মিত আপনি, অসুস্থ শুনেছিলাম এখন কি একটু ভালো বোধ করছেন? আমিও অবশ্য ব্লগে কম আসি। তাই আপনাকে বলা আমার সাজে না। অনেক আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। যদিও উত্তর দিতে বেশ দেরীই করে ফেললাম। আশাকরি ক্ষমা করে দেবেন।
১৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল ।
আশা করি সকলেই ভাল আছেন ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
জুন বলেছেন: আপনি ও আপনার পরিবারের সবার জন্য রইলো নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা
১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এখন একটু সুস্থ বোধ করছি ,
লেখাতেও ফিরেছি ।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৩
জুন বলেছেন: লেখালেখিতে ফিরেছেন যেনে অনেক ভালো লাগলো ডাঃ এম এ আলী ভাই। আপনাদের মত হৃদ্ধ লেখকদের লেখালেখিতে ব্লগ সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক এটাই তো চাই। ভালো থাকুন সব সময়।
১৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মানুষের অত্যাচারে দিন দিন পশু পাখি সব বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। যার পশু পাখির প্রতি দয়া-মায়া নেই সে নিষ্ঠুর প্রকৃতির একজন মানুষ।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৫
জুন বলেছেন: আমি ছাদে গেলে দেখি পাখিরা শীতে কাতর হয়ে কুন্ডুলি পাকিয়ে বসে আছে। খুব মায়া হয়। মনে হয় এযাত্রা বুঝি আর বাচবেই না।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে জ্যাক স্মিথ। ভালো থাকুন অনেক অনেক।
১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭
আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার ও শক্তিশালী একটি ছবি !
ব্যাংককের রাস্তায় এই এরেঞ্জমেন্ট করা সিনিয়র সিটিজেনের প্রতি শ্রদ্ধা।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪২
জুন বলেছেন: হায় সাজিদ কবে এই মন্তব্য রেখে গেছেন আমি দেখতেই পাইনি। তার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে লজ্জিত বোধ করছি। আসলে বিভিন্ন কারনে অনেক সময় ব্লগে লগ হতে পারি না তার জন্য এই অবস্থা। সিনিয়র সিটিজেনদের প্রতি আপনার আন্তরিক মনোভাবকে জানাই শ্রদ্ধা। ভালো থাকুন সব সময়। শুভেচ্ছা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সকাল বেলা মন ভালো করার মতো পোস্ট, অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ বলেছেন, যদি আমার দোয়া পেতে চাও তাহলে আমার সৃষ্টির প্রতি দয়া করো।