নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
নারীর দুইটা চক্ষু আছে, যেমন আছে নরের,
মূল কাজটা একই হলেও, ফারাক মাঝে দুয়ের।
নারীর চক্ষু ভরাপুকুর, শাওন মেঘে ঢাকা,
নরের চক্ষু মরুভূমি, জলহীন, করে খাঁ খাঁ।
যতই থাকুক নরের দাপট ভিতর ও বাহির,
পণ সে করুক যতই কঠিন প্রসঙ্গে নারীর,
তার ধনুর্ভঙ্গ পণগুলো সব ভেঙ্গে হয় খানখান,
যখন অভিমানে নারীর গালে বহে অশ্রুবান।
নারীর অশ্রু নাইট্রিক এসিড, লোহাও গলে যায়,
নরের চোখে জল ঝরেনা, ঝাপসা হয়ে রয়।
নারীর চোখের লোনা জলে ভাঙ্গে নরের হিয়া,
যতই কাঁদুক জল ঝরেনা, নরের চক্ষু দিয়া।
ঢাকা
১৫ মার্চ ২০১৪
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ।
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯
রাবার বলেছেন: নারীর চক্ষু ভরাপুকুর, শাওন মেঘে ঢাকা,
নরের চক্ষু মরুভূমি, জলহীন, করে খাঁ খাঁ।
একমত আপনার সাথে।
+++++++্
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, কবিতা পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ঐক্যমত প্রকাশে অনুপ্রাণিত হ'লাম্।
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আসলেই তাই। পুরুষ মানুষের কান্না আর মরুর বুকে বৃষ্টি সমান ব্যাপার। কবিতায় প্লাস ++
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: কেমন করে যেন আমার কবিতায় আপনার এ মন্তব্যটা আমি মিস করে গিয়েছিলাম। এজন্য অত্যন্ত দুঃখিত এবং লজ্জিত!
কবিতার মর্মকথার সাথে ঐকমত্যের জন্য ধন্যবাদ। আন্তরিক শুভেচ্ছা...
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
অপ্সরা বলেছেন: হা হা ভাইয়া ঠিক বলেছো
তবে শুধু সেটা প্রেমময় নর ও নারীর ক্ষেত্রে!!!!!!
যখন মনে প্রেম থাকে তখন নারীর চোখে জল দেখলে নরের কলিজা ফেটে যায়!!!
কিন্তু আমি বেশ কয়েকবার নরের চোখের জল দেখে এ কেমন নর ভেবেছিলাম !!!!!!!!
মনে মনে যা ভাগ দূর দূর
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: নীরবে নিভৃতে ঝরানো মূল্যহীন অশ্রুই আবার অনেক সময় পাথর গলাতে পারে, দানবকে মানবে পরিণত করতে পারে। সেটা অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গের কথা।
কবিতাটা পড়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে প্রাণিত।
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: দানবকে কে মানব বানায়!
এমন অনেক দানব দেখেছি জীবনে ভাইয়া!
তারা মনে হয় সব এখন জাহান্নামে বসে আছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই নাকি?
দানবমুক্ত পৃথিবী চাই!!!
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খায়রুল ভাই নরের চোখেও অশ্রু বের হয় কিন্ত।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: খায়রুল ভাই নরের চোখেও অশ্রু বের হয় কিন্ত - হ্যাঁ, কোন কোন সময় তা হয় বৈকি! কখনো গভীর কষ্টেও চোখ দুটো শুধু ঝাপসাই হয়, আবার কোন সময় অল্প কষ্টেও কিংবা বিনা কষ্টেও শুধু কিছু ভাবনাতেই চোখে ঝর্না বয়। তবে সেটা কেউ দেখে না।
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
অশ্রুর বিচিত্র রসায়ন পড়ে ভাল লাগার বিক্রিয়া ঘটে গেল অনুভূতির অনুভবে.....
নর কিংবা নারী ঘোর বিপদেও অশ্রুসিক্ত নয়নে টলটলে করে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ পুরনো পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে মুগ্ধ হয়েছি।
ভাল থাকুন, শুভকামনা রইলো...
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৯
মানবী বলেছেন: বাহ! চোখে নাইট্রিক এসিডের ফ্যাক্টরী নিয়ে চলাফেরা করছি, এমন তো জানা ছিলোনা!!! :-)
নরের চোখে জল ঝরেনা? :-)
ভালো লেগেছে কবিতা পড়ে, ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।