নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশের মাটিতে কোন একজন নাজমা বেগম এর সমাধিতে....

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

২০১৩ সালে তিন মাসের জন্য বেড়াতে গিয়েছিলেম মার্কিণ মুলুকে। সফরের এক পর্যায়ে পাঁচ দিনের জন্য ফ্লোরিডার নেপলসে, এক বাল্যবন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলাম তার বহুদিনের বকেয়া আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে। সেখানে থাকতেই, গত ২৭ মে ২০১৩ তারিখে তার এক মিসরীয় বন্ধুর অকস্মাৎ মৃত্যুর খবর আসে। দাফন হবে ‘টাম্পা বে’ এর কাছে, ‘স্কাইওয়ে মেমোরিয়াল গার্ডেন্স’ এর এক সমাধিস্থলে, শ্যামলিমায় ঘেরা একটি নীরব প্রান্তরে।

সেটা ছিল বন্ধুর বাড়ি থেকে প্রায় ঘন্টা তিনেকের ড্রাইভ। বব গ্রাহাম সানশাইন স্কাইওয়ে ব্রীজের পর আরো কিছুদূর যেতে হয়। দুই একবার পথ ভুল করাতে সেখানে পৌঁছে দেখি দাফন-পর্ব প্রায় শেষের পথে, মাটি দেওয়া হচ্ছে। মরহুম ব্যক্তি জীবনে নিঃসঙ্গ ছিলেন। তার অস্ট্রিয়ান বিমানবালা স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হবার পর বহুবছর ধরে একাই নেপলসে থাকতেন। আর বহুদিন ধরে আমার বন্ধুটির সাথে শুধু জুম্মার দিনে কাকতালীয়ভাবে পাশাপাশি এসে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তেন, প্রায় কোন রকম ব্যতিক্রম ছাড়াই। প্রথমে এভাবেই তাদের মাঝে অল্প স্বল্প সখ্য গড়ে ওঠে, তারপরে আরও জানাশোনা এবং তারও পরে সেটা বন্ধুত্বের পর্যায়ে চলে যায়। এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে প্রথমদিকে কোন মেলামেশা ছাড়াই শুধু পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সাপ্তাহিক জুম্মার নামাজ আদায় করার মাধ্যমেই এ বন্ধুত্বের ভিত্তি রচিত হয়েছিল।

‘স্কাইওয়ে মেমোরিয়াল গার্ডেন্স’ এর এক কোণের সেই নিঝুম নিরিবিলি ক্ববরস্থানে গিয়ে আমিও একমুঠো মাটি তার ক্ববরে ছড়িয়ে দিলাম, আর শান্তি কামনা করলাম সেখানে শায়িত সকলের জন্যে। অনতিদূরেই একটি সমাধিফলক নজর কেড়ে নিল। সমাধিফলক না বলে বলা উচিৎ কালো মার্বেল পাথরে উৎকীর্ণ একটি নামফলক, কবরের উপরে সেঁটে দেওয়া। সবুজ ঘাসে প্রায় চাপা পড়া সে প্রস্তর ফলকে উৎকীর্ণ ছিল সম্ভবতঃ এক বাঙালী মায়ের নাম, ‘নাজমা বেগম – জন্ম মার্চ ২৩, ১৯৩৭ – মৃত্যু অগাস্ট ১১, ২০১১’ (ইংরেজীতে লেখা)। জন্ম-মৃত্যুর তারিখ দেখে ঠাওর করেছিলাম, প্রায় ৭৫ বছর বয়সে এ মায়ের মৃত্যু হয় স্বদেশ থেকে দূরে, বিদেশ বিভুঁইয়ে। সেখানেই রয়ে গেছেন তিনি, চিরতরে। তিনি একজন বাঙালি মা ছিলেন, এটা ভাবতেই আমার ভাল লাগলো। কিন্তু শুধু নামেই কি একজন মানুষের সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়? হতে পারে, নামটা কোন পাকিস্তানি, ভারতীয়, মালদিভীয়, ব্রুনীয়, মালয়েশীয়, ইন্দোনেশীয় এমনকি ইরানী মহিলারও হতে পারে!

সেখানে অন্যান্য আরও অনেক ভিন্ন ধর্মালম্বীদেরও সমাধি ছিল। সেটি যেন ছিল শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এক অনন্য নজির। ধারণা হলো, শুধু কবরস্থান পরিদর্শক, গোরখোদক আর সদ্যপ্রয়াতদের নিকটস্থ ব্যক্তিগণ ছাড়া সেখানে তেমন আর কারো যাতায়াত নেই। তাই নাজমা বেগমের কবর দেখে মনটা ব্যথিত হলো। তাঁর নামফলক দীর্ঘ ঘাসের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে দেখে মনে হলো, ব্যস্ততার এই দেশে জীবিত লোকদেরই কেউ খবব্র রাখেনা। মৃত ব্যক্তির কবরে কেই বা আসবে দু’দন্ড মৌন সময় কাটাতে! বড় হওয়া ঘাসগুলো কেটে রাখতে! হয়তো বা কেউ কখনো আসেনি, আর আসবেও না। তবে দেশে থাকলেও যে এর ব্যতিক্রম হতো, এমন কোন নিশ্চয়তাও নেই।

ব্যথিত হৃদয়ে তার প্রায় ঢাকা পরে যাওয়া কবরের ফলক থেকে আমার দু'হাতে যতটুকু পারা যায়, কিছু ঘাস উপড়ে দিলাম, চারিপাশ একটু পরিস্কার করে দিলাম। আর তার জন্য রেখে এলাম নীরব কিছু প্রার্থনা।


নেপলস, ফ্লোরিডা
ইউ এস এ
৩১ মে ২০১৩


নাজমা বেগম এর সমাধি থেকে ঘাস পরিস্কার করে লেখক ছবি তুলছেন। লেখকের প্রতিচ্ছায়া ছবিতে প্রতিফলিত।

শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। সকল ধর্মালম্বী শান্তিতে একত্রে। কোন সংঘাত নেই, কোন দ্বন্দ্ব নেই।

মরহুমের তালাকপ্রাপ্তা অস্ট্রিয়ান স্ত্রী তার নাবালিকা দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন নিথর দেহকে শেষ বিদায় জানাতে।

মাটি হতে সৃষ্ট, মাটিতে বিলীন। ধরিত্রী মাতার গর্ভে, পাশাপাশি একত্রে।

(ইতোপূর্বে অন্যত্র প্রকাশিত)

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল আপনার লেখা এবং ছবি। শুভেচছা রইল।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৩

জুন বলেছেন: নাজমা খানম সুন্দর নিরিবিলি নির্জন এক পরিবেশে শুয়ে আছে, যদিও তা ভিনদেশের মাটিতে। কেঊ হয়তো দেখতে যায়না বলে দু:খ করছেন। কিন্ত এখানেই বা কি অবস্থা! কে দেখতে যায় আত্মীয়দের কবর? কে তাদের আত্মার জন্য প্রার্থনা করে কায়মনোবাক্যে বলুন? কার সময় আছে? কার মন আছে? হাতে গোনা দু এক জন ছাড়া।
অনেক অনেক ভালোলাগলো আপনার সহানুভুতি দেখে।
+

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখাটা পড়ার জন্য এবং পড়া শেষে এখানে দুটি কথা রেখে যাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মরহুমার নাম নাজমা বেগম, নাজমা খানম নয়।
আপনার কথাটাও তো অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। নিজের মরহুম পিতার ক্ববরের ঘাসও অনেক বড় হয়ে যায়। দেখার কেউ নেই। বছরে একবার করে ঈদের সময় যখন বাড়ী যাই, তখন সাফ করে আসি। তবে তাঁর আত্মার জন্য "কায়মনোবাক্যে" দোয়া প্রার্থনা সবসময়ই করি।
খাঁচার পাখি একবার উড়ে গেলে খাঁচাটা কোথায় পড়ে রয়, সেটা বড় কথা নয়। তবে খাঁচাটা তার স্মৃতির প্রতীক। তাই খাঁচাটাকে ওসিলা করে মানুষ পাখিকেই স্মরণ করে।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো লাগল। আপনার কাছ থেকে নিয়মিত আরো লেখা চাই। :) শুভেচ্ছা জানবেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আমি সাধারণতঃ কবিতাই লিখি। গদ্য লিখি খুব কম। তবুও আপনার কথাটা মনে রাখবো। পাঠক সমাদৃত হলে লেখকের লেখা থেমে থাকেনা।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

কেএসরথি বলেছেন: আমারও এরকম একটা জায়গা আছে।
মাঝে মাঝে যাই। হাত দিয়ে শুকনো পাতাগুলো সরিয়ে দেই। নামফলক টা পানি দিয়ে একটু ধুয়ে দেই।
হয়ত সে অভিমান করে চুপ করে থাকে।
আর আমি ভাবি, পৃথিবীতে আমরা কত ব্যস্ত। অথচ একদিন আমাদের সবাই এরকম চুপ করে শুয়ে থাকব।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "একদিন আমাদের সবাই এরকম চুপ করে শুয়ে থাকব" - অমোঘ সত্য বাণী। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
যার কথা বলেছেন, তিনি চির শান্তিতে থাকুন, এটাই কামনা করছি।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

মানবী বলেছেন: একজন অজানা অচেনা মানুষের প্রতি আপনার সুন্দর অনুভূতি ভালো লেগেছে।

বাস্তবতা হলো, মৃত মানুষের কবর দেশে হলেও কজন যায় সেখানে, কতো বার যায়! আর মৃতের জন্য দোয়া পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে করা যায়। আর ভাবনা তাঁরা সব সময় আমাদের খুব কাছেই থাকেন।

মৃতদেহ দূর দূরান্তে নিয়ে যাবার বিষয়টা তেমন ভালো মনে হয়না। যেদেশেই মৃত্যু হোক সেখানেই দাফনের পক্ষে।

মানবিক অনু্ভূতির চমৎকার পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
ভালো থাকুন সব সময়।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখানে বলা আপনার সবগুলো কথার সাথেই আমি একমত, মানবী। বিশেষ করে "যেদেশেই মৃত্যু হোক সেখানেই দাফনের পক্ষে" আর "মৃতের জন্য দোয়া পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে করা যায়"।
প্রথমতঃ নাজমা বেগম নামটাই আমাকে আকৃষ্ট করে, আর দ্বিতীয়তঃ তার বয়সটা। নামটা দেখেই মনে হয়েছিল যে তিনি একজন বাঙালী মহিলা ছিলেন। অবশ্য সেটা সঠিক নাও হতে পারে, কেননা ঐ নামে অনেক পাকিস্তানী ও ভারতীয় মুসলমান মহিলাও আছেন। হয়তো মরহুমা আমেরিকা প্রবাসী তাঁর স্বামী, পুত্র কিংবা কন্যার কাছে বেড়াতে এসেছিলেন, আর দেশে ফিরে যাওয়া হয়নি।
উদার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০০

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: ভালো লাগল অনেক ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: দুদিনের এই অর্থহীন জীবন :|

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক তাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩০

কিরমানী লিটন বলেছেন: অসাধারণ মুগ্ধতায় মন ছুঁয়ে দিলেন,অনেক ধন্যবাদ জানবেন ...

সতত শুভকামনা ...

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ উদার মন্তব্যে ভীষণ অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৭

মুহামমদল হািবব বলেছেন: সকল ধর্মের মানুষকে একই গোরস্তানে কবর দেয়া হয় নাকি?
ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেখানে তো আমি তাই দেখেছি। আমেরিকায় আমি দুটি কবরস্থানে গিয়েছিলাম। দুটিতেই দেখেছি ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সহ অবস্থান। মুসলমান খৃষ্টান ছাড়াও, আরও যেসব ধর্মাবলম্বীগণ মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে সৎকার করেন, তাদেরও ক্ববর রয়েচে সেখানে একসাথে। তবে একটু আলাদা আলাদা জায়গায়, আলাদা চিহ্নের মাধ্যমে সম্প্রদায়গুলো নিজেদের জায়গা চিনে নেয়।

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৫৬

মানবী বলেছেন: গত বছর আমেরিকায় আমার চেয়ে অল্প বড় এক আত্মীয়া হঠাৎ মৃত্যু বরণ করে দেড় বছরের শিশুকন্যা রেখে। সব নিয়ম মতো গোসল, জানাজার পর দাফন হয়েছে খ্রীস্টানদের কবরস্থানে। কারন তাঁর স্বামী খ্রিস্টান, এবং তারা যখন অনুমতি চাইলো সেখানে দাফন করার আমাদের পরিবার আপত্তি করেনি।

আমার কাছে ব্যাপারটা নতুন। আমার মা বললেন, "পৃথিবীর সব মাটিই তো আল্লাহর। মুসলিম খ্রিস্টান ইহুদী যে গোরস্থানই হোক, সবই তো শুধু মাটি"।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মায়ের মূল্যবান কথাগুলো স্পর্শ করে গেল, মানবী।
"কারন তাঁর স্বামী খ্রিস্টান" - তাঁর স্বামী খৃষ্টান না হলেও তাঁকে সেখানে সমাহিত করা যেত। আমি শুনেছি, আমেরিকার অনেক জায়গাতেই মুসলমানরা অত্যন্ত সংখ্যালঘু হওয়াতে সেখানে মুসলমানদের জন্য আলাদা কোন কবরস্থান নেই। আর খৃষ্টানরা সাধারণতঃ এ ব্যাপারে কোন আপত্তি করেনা, এবং ইসলাম ধর্মেও বোধকরি এ ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। অন্ততঃ আমি পাইনি।
আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

মানবী বলেছেন: "তাঁর স্বামী খৃষ্টান না হলেও তাঁকে সেখানে সমাহিত করা যেত।"

- তাঁর স্বামী খ্রিস্টান বলেই তাদের সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্থ করার প্রসঙ্গ এসেছে, সেখানে আপত্তিটা অন্য তরফ থেকে আসার সম্ভাবনা ছিলো।

ঠিক শুনেছেন, অনেক স্থানে নেই আবার অনেক স্থানেই আছে।

ভালো থাকুন।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তাঁর স্বামী খ্রিস্টান বলেই তাদের সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্থ করার প্রসঙ্গ এসেছে, সেখানে আপত্তিটা অন্য তরফ থেকে আসার সম্ভাবনা ছিলো" - ঠিক বলেছেন। আমারই ওভাবে বলাটা বোধকরি ঠিক হয় নি, অথবা যা বলতে চেয়েছিলাম, আমার কথাটা তা সঠিকভাবে প্রকাশ করেনি।

আপনি ব্লগ ছেড়ে একেবারেই তিরোহিত হয়ে গেলেন? ফিরে আসলে খুশি হবো। এখানে আমার ব্লগিং অধ্যায়ের শুরুর দিকে আপনি ছিলেন এক বিরাট অনুপ্রেরণা। তার পর হঠাৎ করেই নীরব হয়ে গেলেন!

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

সুমন কর বলেছেন: শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। সকল ধর্মালম্বী শান্তিতে একত্রে। কোন সংঘাত নেই, কোন দ্বন্দ্ব নেই। --- এমনটিই হওয়া উচিত।

ভালো বলেছেন।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, সুমন কর।

১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

আব্দুল্যাহ বলেছেন: "শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। সকল ধর্মালম্বী শান্তিতে একত্রে। কোন সংঘাত নেই, কোন দ্বন্দ্ব নেই।" খুব চমৎকার একটি লাইন।
অনেক শুভকামনা রইল

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, আব্দুল্যাহ!

১৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার এত হৃদয়স্পর্শী একটা পোস্ট কেমন করে আমার নজর এড়িয়ে গেল বুঝলাম না !!!

ইসলামে কোন কাজে তাড়াহুড়া করার কোন বিধান নাই, ৩ টা কাজ ছাড়া, তার একটা হলো মৃতের দাফন।
সেই সূত্রে আমি মানবীর সাথে একমত।

আপনাকে চিনি না, আপনার বন্ধুকে চিনি না, তবে বুঝতে পারি তারা কত উদার মনেরঃ

//আর বহুবছর ধরে কাকতালীয়ভাবে আমার বন্ধুটির সাথে শুধু জুম্মার নামাজে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তেন কোন ব্যতিক্রম ছাড়াই। প্রথমে এভাবেই তাদের অল্প স্বল্প জানাশোনা, পরে সখ্যতা এবং তারও পরে বন্ধুত্ব, যার ভিত্তি ছিল বছর বছর ধরে তেমন কোন কথাবার্তা ছাড়াই পাশাপাশি দাঁঁড়িয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করা।//

সমাজের এত অধঃপতন, তার পরও বাঁচতে ইচ্ছে করে, এমন একটা পোস্ট পড়ে।

চশমাটা না খুলে পারলাম না।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার আবেগকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, শামছুল ইসলাম।
আমার আজকের লেখার লিঙ্ক ধরে এই পুরনো লেখাটা পড়ে গেলেন, সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। না আসলেও তো পারতেন, শুধু মূল লেখাটা পড়ে মন্তব্য করেও চলে যেতে পারতেন। এটুকু সময় যে দিলেন, এর জন্যই কৃতজ্ঞতার কথাটা বললাম।
আমি ভেবে নিয়েছি যে নাজমা বেগম একজন বাঙালী মহিলা ছিলেন। তবে সেটা নাও হতে পারে। তিনি পাকিস্তানী কিংবা ভারতীয়ও হতে পারেন। যে দেশেরই হোন না কেন, তিনি একজন মা। মৃত মায়ের জন্য একজন ছেলের মনে যে অনুভূতি হয়, সবুজ ঘাসের উপর নাজমা বেগমের নাম লেখা কালো শিলাখন্ডটিকে দেখে আমারও সেরকমের অনুভূতি হয়েছিলো।
আল্লাহ সকল কবরবাসীর কবরকে শান্তিময় করে দিন! আল্লাহুম্মা আন্তাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম!

১৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর এখন আর কতটুকুইব্ স্মরণ রাখা হয়।এভাবে নাজমা বেগমের মতো অনেকেই নীরবে নিভৃতে লোকচক্ষুর আড়ালে ওপারে থাকে থাকতে হয়।মানবিক অনুভূতিশীল পোস্ট।খুবই ভালো লাগল

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানবিক অনুভূতিশীল পোস্ট।খুবই ভালো লাগল -- আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ উদার প্রশংসার জন্য, রুদ্র জাহেদ।

১৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি পড়ে মনটা কেমন খারাপ হল। বেচে থাকতেই কত আপন মানুষ খোজ নেয় না আর মরে গেলে কেইবা খোজ রাখবে।

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুরনো পোস্টটা পরার জন্য ধন্যবাদ।
মরে গেলে তো মানুষ সব খোঁজ খবরের ঊর্ধ্বে চলে যায়। কেউ খবর নিল কি না নিল, তাতে কিছু যায় আসে না। তবে মানুষের দোয়া অবশ্যই কাজে লাগে।

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পুরানো পোস্ট, আপনার লিংক ধরে এলাম মনটা বিছানা ভরে গেল স্যার। বিদেশ বিভূঁইয়ে নিঃসঙ্গতা বিলীন হবা মরহুম নাজমা বেগম তিনি যে জাতিরই হোন উপরওয়ালা ওনার বেহেস্ত নসিব করুন এই কামনাই করি।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লিংক ধরে এসে পোস্টটা পড়ে গেলেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
আপনার মনোকামনা আল্লহ'তা'লা কবুল করে মরহুমাকে জান্নাত দান করুন! আমিও তার জন্য এই দোয়া প্রাপ্তির আশায় তাকে নিয়ে এ পোস্টটি লিখেছিলাম। জীবিতদের দোয়া ছাড়া কবরবাসীদের নিকট প্রাপ্তির আর কোন পথ এখন খোলা নেই।

প্রায় পাঁচ বছর পর আমার এ পোস্টে নতুন একটা মন্তব্য এলো!

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো

০৭ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.