নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা - ১২

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৭

"আমার কথা - ১১" পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা - ১১

এমসিসিতে রোজাঃ
এমসিসিতে প্রথম রোজাটা পেয়েছিলাম মাঘের শীতে। যেদিন আকাশে প্রথম রোজার বাঁকা চাঁদটি ওঠার কথা, আমরা সবাই সেদিন হাউসের ছাদে উঠেছিলাম তাকে স্বাগত জানাতে, আর রোজা শুরু করার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে। কিন্তু আমরা তার দেখা পাইনি। পরে রাতে খবরে শুনেছিলাম রাওয়ালপিন্ডির কোথাও চাঁদ দেখা গেছে, তাই পরদিন থেকে রোজা শুরু, অর্থাৎ ঐ রাতেরই শেষরাত থেকে সেহেরী খেতে হবে। কলেজে যাবার আগেও বাসায় রোযার মাসে রোযা রাখতাম, তবে তখনো সম্ভবতঃ পুরো মাসব্যাপী রোযা রাখা হয়নি। মনে মনে শপথ নিলাম, এবারের রোযা পুরো মাসব্যাপী রাখবো। ঈদের ছুটিতে বাসায় গিয়ে যে ক’টা রোযা পাবো, সে ক’টার একটাও ভাংবোনা। তখন আমাদেরকে শীতের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কম্বল আর জার্সি পুলওভার দেয়া হতো। ওগুলো যথেষ্ট গরম ছিলো, কিন্তু শেষরাতে বের হয়ে দেখি পুলওভার পড়ার পরেও শীতে শরীর অবশ হয়ে আসছে। ঐ রকম শীতে ‘ফল-ইন’ এর জন্য দাঁড়িয়ে থাকার কোন অবকাশ ছিলোনা। যে যার মত দৌড়ে ডাইনিং হলে প্রবেশ করলাম আর ভেতরে প্রবেশ করে কিছুটা উষ্ণতা পেলাম। তবে মুশকিল হলো, যে উৎসাহ নিয়ে সেখানে এসেছিলাম, খাবার খেতে বসে সে উৎসাহ উধাও হলো। কোনরকমে কিছুটা খাবার গলধঃকরণ করে পানি খেয়ে উঠে এলাম।

এর পরদিন থেকে আমরা শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করতাম। তিন চারজন মিলে একটা কম্বল পেঁচিয়ে আমরা ধীরে ধীরে হেঁটে ডাইনিং হলে যেতাম। খাওয়া শেষে আবার একই পদ্ধতিতে হাউসে ফিরে আসতাম। দ্বিতীয় দিনে আমাদের স্থানীয় আকাশেও চাঁদ দেখা গেলো। আমরা কয়েকজন চাঁদ দেখে হৈ হৈ করে উঠলাম। আমাদের হাউস টিউটর দোহা স্যার আবির্ভূত হলে তাকেও আমরা সোল্লাসে চাঁদ দেখালাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, চাঁদ দেখার পর কী দোয়া পড়তে হয়, তা কে বলতে পারবে? আমরা কেউই জানতাম না, তাই সবাই নিরুত্তর থাকলাম। উনিও এ ব্যাপারে নিরুত্তর থেকে গেলেন। মনে হলো, দোয়াটা তারও জানা ছিলোনা।

সো হোয়াট?
বাংলা মিডিয়াম থেকে ইংরেজী মিডিয়ামে পড়তে এসে আমাদের জবানে প্রথম যে বুলিটি সার্বজনীনতা খুঁজে পেলো, তা ছিলো “সো হোয়াট?” কথায় কথায় এটা আওড়ানো অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেল। কথাটার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে মাঝে মাঝে আমরা সেটা টীচারদের সাথেও বলে ফেলা শুরু করলাম। কোন কোন টীচার সেটা সহজে গ্রহণ করলেও, অনেকেই বুঝিয়ে দিলেন যে সেটা কাম্য নয়। ছুটির আগে আমাদের বাংলা শিক্ষক আবদুল্লাহ আল আমিন স্যার আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, আমরা বাড়ীতে গিয়ে যেন দুটো জিনিস না করিঃ গুরুজনদের সামনে কথায় কথায় “সো হোয়াট?” যেন না বলি। তবে বন্ধু বান্ধবদের সাথে আর সিবলিংসদের সাথে বলতে আপত্তি নেই। আর দ্বিতীয় কথাটা ছিলো, বাড়ীতে গিয়ে যেন আমরা খাবার টেবিলে কাঁটাচামচ না খুঁজি। ছুটি থেকে ফিরে আমাদের ময়মনসিংহীয় সতীর্থদের কাছ থেকে জেনেছিলাম, সানকিপাড়া নিবাসী আমাদের জনৈক বন্ধু দুটো নিষেধাজ্ঞাই অমান্য করেছিলো। এমনকি তাকে কলেজের টাই পড়ে সিনেমা হলেও যেতে দেখা গিয়েছিলো।

স্ল্যাং এর কথকতাঃ
আমাদের ইংরেজী মিডিয়ামের বন্ধুদের কথোপকথন শুনে মাঝে মাঝে কিছু কিছু শব্দের অর্থ উদ্ধার করতে পারতাম না। চুপে চুপে অভিধান খুঁজে সেখানেও ওসব শব্দের সন্ধান পেতাম না। নিজের অজ্ঞতা গোপন রাখার লক্ষ্যে সেগুলোর কথা ওদেরকে জিজ্ঞেসও করতে পারতাম না। একদিন সকালে পিটি’র সময় প্রিন্সিপাল স্যার দূরে দাঁড়িয়ে থেকে সবকিছু লক্ষ্য করছিলেন। একজন ক্যাডেট পিটিতে একটু ফাঁকি দিচ্ছিল। ঠিক ফাঁকি দিচ্ছিল বললে ভুল বলা হবে। সে আর সবার সাথে তাল মিলাতে পারছিল না। কোন একটি আইটেম যেখানে দশবার করার কথা, দশবারের পর যখন সবাই থেমে যাচ্ছিলো, তখনও সে আনমনা অবস্থায় একাই কন্টিনিউ করছিলো। হয়তো সে বাড়ীর কথা বা অন্য কারো কথা ভাবছিলো। প্রিন্সিপাল তার কাছে এসে ‘ফল-আউট’ হতে বললেন। সে দল থেকে বেরিয়ে আসলে তিনি তাকে পুরো মাঠে চক্কর লাগাতে বললেন। যেহেতু প্রিন্সিপাল স্যার নিজে তাকে পয়েন্ট আউট করেছেন, সেহেতু সকল ওস্তাদগণ সাথে সাথে তার উপর হামলে পড়লো। সে চক্কর দিতে শুরু করলে প্রিন্সিপাল বললেন, “লেট দ্যাট শিট রান!”

আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, প্রিন্সিপাল হয়তো তাকে ‘শীপ’ বলেছেন, শিট নয়। কেননা এর আগেও তার মুখে ব্ল্যাকশীপ কথাটা আমরা বহুবার শুনেছিলাম, আর ব্ল্যাকশীপ কথাটার মানে আমিও জানতাম। কিন্তু ঘটনা ও চরিত্রের সাথে শীপ এর কোন মিল খুঁজে পাচ্ছিলাম না। রুমে ফিরে অভিধান খুললাম। তখনকার দিনে অভিধানগুলোতে এখনকার মত স্ল্যাং আর ট্যাব্যু ওয়ার্ডস থাকতো না। একজন ইংরেজী মিডিয়ামের বন্ধুকে, যে ততদিনে আমার প্রতি বেশ বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে গিয়েছিলো, তাকে শিট কথাটার মানে জিজ্ঞাসা করলাম। সে প্রথমে একচোট হেসে নিলেও পরে আমাকে শব্দটার মানে ব্যাখ্যা করেছিলো। তখন থেকে কোন অপরিচিত ইংরেজী শব্দ শুনলে আমার কান দুটো খাড়া হয়ে যেতো।

চলবে…

ঢাকা
১৯ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪

আরজু পনি বলেছেন:

হাহা
শিট শব্দটার মানে আমিও অনেক বড় হয়ে জেনেছি। ঢাবি, ব্লগ আর ফেসবুক এই তিনের কাছেই আমার যা কিছু শেখা ।
আপনার জনৈক বন্ধুর নাম জানতে পারলে হয়তো চিনতেও পারি...

পরে সিরিয়াস মজা পেয়েছি ।
অনেক শুভকামনা রইল ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনিই প্রথম মন্তব্যকারী এ লেখার উপর - অনেক ধন্যবাদ।
আপনিও কি মৈমুনসিঙ্গা নাকি? চিনে ফেললেই তো বিপদ!
আর তাছাড়া আমাদের সে বন্ধু বহু যুগ ধরে দলছুট। ওর খবর কেউ জানেনা।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৭

আরজু পনি বলেছেন:

হ্যাঁ... আমি, আমার বাবা, দাদা, দাদার বাবা, দাদার দাদা...এই পর্যন্ত জানি মৈমনসিংগা তার আগের খবর জানিনা :D

আমি এমন সাধারণ একজন মানুষ যে অন্যকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন ক্ষতি করে না ।
:)

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আবারো ফিরে এসে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।
যদি তার সম্বন্ধে ভাল কিছু বলতাম, তাহলে নাম বলতে আপত্তি ছিলনা। কিন্তু যেহেতু কলেজের টাই পড়ে সিনেমা দেখতে যাওয়াটা একটা ভালো কাজ ছিলোনা, সেহেতু নাম বলে তাকে হেয় করতে চাইনা, সে জানুক, বা না জানুক। আমি কথাটার উল্লেখ করেছি, শুধু ঐ বয়সের কৈশোরিক নানাবিধ উচ্ছ্বাস সম্পর্কে একটু আলোকপাত করার জন্য।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সো হোয়াট শব্দটা বেশি মজার আমার কাছে।
রোজা কি সব রাখতে পেরেছিলেন?

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওখানে যতদিন ছিলাম, সবই রেখেছিলাম, অর্থাৎ ২০ টার মত। বাসায় এসে বোধহয় একটা বা দুটা ভেঙ্গেছিলাম, আম্মা ডেকে দেননি বলে।
ঐ বয়সের ছেলেদের মুখে চটাং চটাং "সো হোয়াট?" শুনতে মটেই কেউ পছন্দ করতোনা। মনে আছে তো, ঐ বয়সের ফটিকের কথা বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি বলেছিলেন?
"বিশেষত, তেরো-চৌদ্দ বৎসরের ছেলের মতো পৃথিবীতে এমন বালাই আর নাই। শোভাও নাই, কোনো কাজেও লাগে না। স্নেহও উদ্রেক করে না, তাহার সঙ্গসুখও বিশেষ প্রার্থনীয় নহে। তাহার মুখে আধো-আধো কথাও ন্যাকামি, পাকা কথাও জ্যাঠামি এবং কথামাত্রই প্রগল্ভতা। হঠাৎ কাপড়চোপড়ের পরিমাণ রক্ষা না করিয়া বেমানানরূপে বাড়িয়া উঠে; লোকে সেটা তাহার একটা কুশ্রী স্পর্ধাস্বরূপ জ্ঞান করে। তাহার শৈশবের লালিত্য এবং কণ্ঠস্বরের মিষ্টতা সহসা চলিয়া যায়; লোকে সেজন্য তাহাকে মনে মনে অপরাধ না দিয়া থাকিতে পারে না। শৈশব এবং যৌবনের অনেক দোষ মাপ করা যায়, কিন্তু এই সময়ে কোনো স্বাভাবিক অনিবার্য ত্রুটিও যেন অসহ্য বোধ হয়।"

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: চলতে থাকুক জীবনের কথামালা।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, ডার্ক ম্যান। চলবে, ইন শা আল্লাহ!

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: তিন চারজন মিলে একটা কম্বল পেঁচিয়ে আমরা ধীরে ধীরে হেঁটে ডাইনিং হলে যেতাম। খাওয়া শেষে আবার একই পদ্ধতিতে হাউসে ফিরে আসতাম।

হাহাহ , ভালই বুদ্ধি ।
হুহ , সো হোয়াট !!!
যান আমিও বলে গেলুম । হাহাহ :)

ভাল লাগা রইল ।
শুভেচ্ছা ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়া ও সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, মাহমুদ০০৭।

৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার বন্ধুর কথা শুনে আমি হেসেই শেষ। টাই পড়ে সিনেমা দেখা। হা হা হা আছে কিছু আলগা ভাব ধরা মানুষ সবখানে।

আমার কথা হল যখন যেখানে যেমন।অনেকেই বাচ্চাকে ছোটবেলা থেকে আম দেখিয়ে বলে ম্যাংগো, তারপর ব্যানানা আরো যা যা পারে। আমি সবার আগে বাংলা শিখিয়েছি।
শীতের যে বর্ণনা দিলেন মারাত্তক। এখন আর এমন শীত পড়ে না। এই পর্বে অনেক মজা পেয়েছি। কয়েকটা পর্ব মিস হয়ে গিয়েছে। পড়ে নিব।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, ফেরদৌসা রুহী, লেখাটা মন দিয়ে পড়ার জন্য। তখনকার দিনে ছাত্ররা ৫০% হ্রাসকৃত মূল্যে সিনেমা দেখার টিকেট কিনতে পারতো, তবে সে ক্ষেত্রে তাকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় পত্র দেখাতে হতো। আমার মনে হয় যে বন্ধুটি তার টাইটাকেই আইডি কার্ড হিসেবে দেখাতে চেয়েছিলো। আর তাছাড়া কৈশো্রিক উচ্ছ্বাসে পাড়ার আশে পাশের ছেলে মেয়েদেরকেও দেখানোর একটা ব্যাপার ছিলো।
মিস করা পর্বগুলো পড়ে নিলে খুশী হবো।

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৭

জুন বলেছেন: তিন চার জন মিলে একটা কম্বল পেচিয়ে শুনে খুব হাসলাম। হায় এখন আর আগের মত শীত পড়ে না। তারপর ও শীতকাল আমার খুবই না পছন্দের একটি কাল।
বেশ ভালোলেগেছে এ পর্বটি আর না লাগলেও সো হোয়াট! কিই বা করার আছে আপনার তাই না :)
নেটের প্রব মানে হোটেল রুমে এক কানেকশন আর মানুষ দুজন। তাই সব পোষ্ট পড়া বা মন্তব্য করা হয়না খায়রুল আহসান। দু:খিত তাই।
+



২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ফেলে যাওয়া পোস্টে ফিরে এসে মন্তব্য করলেন, কি যে ভালো লাগলো! আপনি যে একহাতে এত কিছু করতে পারেন, দেখে অবাক হই। যতই আপনার লেখা পড়ি, ততই একজন accomplished woman কে সামনে দেখতে পাই। যিনি সুন্দর ঘর সংসার করেন, ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়ান, ঘুরে বেড়ানোর স্মৃতিগুলো তার পাঠকের সাথে শেয়ার করেন, এবং তার সাথে সাথে কিছু ইতিহাস ভূগোলও তুলে ধরেন।
বেশ ভালোলেগেছে এ পর্বটি আর না লাগলেও সো হোয়াট! কিই বা করার আছে আপনার তাই না -- হ্যাঁঁ, তাই... :)
নেটের প্রব মানে হোটেল রুমে এক কানেকশন আর মানুষ দুজন। তাই সব পোষ্ট পড়া বা মন্তব্য করা হয়না খায়রুল আহসান। দু:খিত তাই -- কোন সমস্যা নয়। আপনি বরং প্রাপ্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার করে আপনার লেখাগুলো ছাড়তে থাকুন, আমরা গরম গরম পড়ে নেই।

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সাবলীল ভাষায় লেখা এই সত্য বর্ণনা সত্যি প্রশংসনীয় । পড়তে অনেক ভাল লাগছে আর এটাও বুঝতে পারছি আপনার
অভিজ্ঞতা এবং অন্তরদৃষ্টি অনেক তীক্ষ্ণ । অনেক শুভ কামনা এবং ভাল লাগা ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার প্রায় প্রতিটি লেখায় এতটা উদার প্রশংসা করে আপনি আমায় ঋণী করে যাচ্ছেন, দৃষ্টিসীমানা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আমার এই সিরিজের লেখাগুলো পড়ার জন্য।
শুভেচ্ছা রইলো।

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: স্মৃতি কথা ভাল লেগেছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।


২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতি কথা ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। পুরনো লেখায় ফিরে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ, শামছুল ইসলাম।

১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমিও নতুন কোন ইংরেজী শব্দ শুনলে মানে জানার চেষ্টা করি। বস তো মাঝে মাঝে আমাকে ঝাড়ি দেওয়ার সময় ইংরেজীতে বলে। পরে সেগুলো গুগল মামার কাছে জানার চেষ্টা করি।

বই পড়ে অনেক শব্দ মনে থাকে না। কিন্তু কারো মুখে শুনলে সেটা ভালোভাবে মনে থাকে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: বই পড়ে অনেক শব্দ মনে থাকে না। কিন্তু কারো মুখে শুনলে সেটা ভালোভাবে মনে থাকে। -- হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন, রাতুল_শাহ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

দেখুন আমরা কেমন যুগে এসে পৌঁছেছি! এখানে অজানা বলতে প্রায় কিছুই নেই। নতুন ওয়ার্ড তো খুবই স্বাভাবিক একটি অজ্ঞতা। এখন স্ল্যাং/ট্যাবু শব্দের আলাদা অভিধানই আছে অনলাইনে। তাছাড়া এখন এমন কোন শব্দ নেই, যা ইংরেজি ভাষায় আছে অথচ ইন্টারনেটে নেই! নতুন আইডিয়াও এখন প্রায় সুলভ। অতএব অজ্ঞতাকে অনেকটা গোপনে রেখেই প্রাজ্ঞ হওয়া যায় ;)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অতএব অজ্ঞতাকে অনেকটা গোপনে রেখেই প্রাজ্ঞ হওয়া যায় - কি চমৎকার করেই না বললেন কথাটা।
সময় করে আমার লেখাটা পড়লেন বলে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, মাঈনউদ্দিন মইনুল।

১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০২

কালীদাস বলেছেন: ক্যাডেট কলেজের ব্লগে আরও ইন্টারেস্টিং কিছু স্ল্যাং এবং আদব কায়দা পড়েছিলাম, আপনারটা এখনও অনেক সোবার আছে বলতে হয় :)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনারটা এখনও অনেক সোবার আছে বলতে হয় - হ্যাঁ, ঠিক তাই। অনেক স্ল্যাং এখানে উদ্ধৃতব্য নয়।
নোটিফিকেশন বিভ্রাটের কারণে মন্তব্যের উত্তর দুই বছর পর দিচ্ছি, এজন্য দুঃখিত।
আশাকরি, আপনি ভাল আছেন। দীর্ঘদিন ধরে আপনি ব্লগে অনুপস্থিত রয়েছেন। নিশ্চয়ই আবার ফিরে আসবেন?

১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩৩

সোহানী বলেছেন: আরে মেয়েও সো হােয়াট বলে..!! থাপড়ায়ে থামিয়েছি। ওটা নাকি ওর ক্লাসে অনেকেই বলে।

আমার যদ্দুর মনে পড়ে আপনাদের খাকি সোয়েটার পড়তে হতো, অনেক মোটা!! তাই কি??

খাবারে উৎসাহে ভাটা পড়লো কেন, সেটার ব্যাখ্যা দেননি। খাবার কি খারাপ ছিল? অন্তত রোকেয়া হলের খাবার এর চেয়ে কোন খাবার খারাপ হতে পারে তা আমার জানা নেই....হাহাহাহা

আমি কিন্তু শুনেছি ক্যাডেট এর ছাত্ররা স্ল্যাং এর উস্তাদ। ইংরেজীতে তাদের দক্ষতার সাথে সাথে স্ল্যাং ও নাকি দ্ক্ষ হয়ে যায়??? তবে কানাডায় এসে এফ নিয়ে গালি এতো বেশী কমন যে এটাকে সাধারন কথা হিসেবে চালান করে। প্রথম প্রথম খুব অস্বস্তি হতো এখন কান একটু অভ্যস্থ হয়েছে আর কি........।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ সিরিজটাতে আপনি আবার ফিরে আসাতে আনন্দিত বোধ করছি। :)
হ্যাঁঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদেরকে সে সময়ে মোটা খাকি সোয়েটার পরতে হতো।
খাবারে উৎসাহে ভাটা পড়লো কেন, সেটার ব্যাখ্যা দেননি - উৎসাহে ভাটা পড়ার কারণ খাবার মন্দ ছিল, ঠিক তা নয়। আমার তখন যে বয়স ছিল, সে বয়সের ছেলে মেয়েরা এমনিতেই মধ্যরাতে বা শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে কিছু খেতে চায় না, আমারও সেরকমই অনিচ্ছা হতো।
আমি কিন্তু শুনেছি ক্যাডেট এর ছাত্ররা স্ল্যাং এর উস্তাদ - আপনি ঠিকই শুনেছেন। :)
অনেক ধন্যবাদ, আমার পুরনো পোস্ট পড়ে প্লাস দিয়ে যাবার জন্য।
শুভকামনা---

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.