নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
হক সাহেব কবিও নন, লেখকও নন, তবে একনিষ্ঠ সাহিত্যানুরাগী। জীবনে খুব যে বেশী সাহিত্য পড়েছেন তাও নয়; কিন্তু সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিল্পকলার প্রতি তার একটা আকর্ষণ সেই ছেলেবেলা থেকেই ছিল। নিজে ভাল গাইতে না পারলেও ভাল লাগা গানের কলি সবসময় তার কন্ঠে আশ্রয় খুঁজতো। গলা যেমনই হোক, সময় সুযোগ পেলেই তিনি নিবিষ্ট মনে সেসব কলি মেলে ধরতেন, সুর মেলাতেন। বিশ্বের বড় বড় কবি লেখকদের সম্পর্কে তিনি কিছুটা ধারণা রাখতেন, তাদের অমর সৃষ্টিসমূহের নাম জানতেন, কিন্তু আগ্রহ এবং আকর্ষণটা খুব বেশী তীব্র না থাকায় সেগুলো সংগ্রহ করে পড়েন নি। নিজে কখনো আঁকাআঁকি করেন নি, এ ব্যাপারে একেবারেই অনভিজ্ঞ ছিলেন, কিন্তু তার বাসার নিকটস্থ ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে কোন আর্ট এক্সিবিশনের খবর পেলেই হাজির হতেন, প্রদর্শিত ছবিগুলো দেখে শিল্পীর ভাবনার কথা ভাবতে ভালবাসতেন। বয়ঃসন্ধিকালে একটি হিন্দী গান তার মনে গেঁথে গিয়েছিল- “সাওয়ান কা মাহিনা পাওয়ান কারে শোর”। সে সময় তিনি হিন্দী মোটেই জানতেন না, বুঝতেন না। জীবনে তখনো একটিও হিন্দী ছবি দেখেন নি, কিন্তু তবুও নুতন ও সুনীল দত্ত অভিনীত “মিলন” ছবির এ গানটি তিনি যখনই শুনতেন, তখনই একটা ঘোরের মধ্যে চলে যেতেন। কিন্তু কেন? তিনি কি গানের কথাগুলো তখন বুঝতেন? তখন কেন, এখনও কি বুঝেন? না, বুঝতেন না, এখনো তেমন বুঝেন না। কিন্তু তিনি আচ্ছন্ন হন সুরে। প্রথম যখন তিনি এ গানটা শোনেন, তখন তিনি ডর্মে থাকতেন। তার এক রুমমেট খুব ভাল গান গাইতে পারতো, কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই। সেই রুমমেট যখন এই গানটি গাইতো, তিনি তন্ময় হয়ে শুনতেন। গান শেষ হলে তার কাছে উঠে গিয়ে তিনি গানের অর্থ জিজ্ঞেস করতেন। তার বন্ধুটিও জানতো না। ডিশ টিভি তখন ছিলনা, তাই হিন্দীও লোকে বুঝতো না। তবে এ গানটি তারা উভয়ে না বুঝেই ভালবাসতেন, গাইতেন। গানের সুরের সাথে একাত্ম হয়ে যার যার নিজের মত করে ভাবতে ভাবতে কল্পনার ডানা মেলে সপ্তাকাশে বিচরণ করতেন।
এর অনেক পরে মধ্যবয়সে এসে হক সাহেব “মিলন” ছবিটি দেখেছিলেন। গানের পিকচারাইজেশন দেখে তিনি অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছিলেন। গান শেখার সময় নায়িকার অভিব্যক্তি, নীলাকাশের ছায়া প্রতিফলিত নীল জলের নদীবক্ষে দোদুল্যমান নৌকোয় মাঝি এবং নায়িকা মিলে ময়লা ও তালিযুক্ত পাল ওড়ানোর দৃশ্য (বাস্তবচিত্র), মাস্তুলে বেঁধে রাখা মাঝির খোরাক বহনকারী টিফিন ক্যারিয়ার, ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়ে চিত্র পরিচালকের সজাগ দৃষ্টি দেখে তিনি খুবই ইমপ্রেসড হয়েছিলেন। শিল্পী, কবি, লেখকদের এই দৃষ্টির সাযুজ্য দেখে তিনি সৃষ্টির অভিন্ন যোগসূত্রতা অনুভব করেছিলেন। সাঁঝের নদীতে প্রতিফলিত অস্তগামী সূর্যের সোনালী রশ্মিতে ভাসমান ঢেউ এ নৌকো চালিয়ে ওদের গান গাওয়া, চন্দ্রালোকিত রাতে লন্ঠনের মৃদু আলোয় নির্জন নদীর বুক চিরে নৌকো বেয়ে চলার সময় গানের সুরে ওদের কথোপকথন, ইত্যাদি তিনি মোহাবিষ্ট হয়ে শুনেছিলেন, দেখেছিলেন। বিশেষ করে মাঝি যখন বলছিল, নদীর জলধারা তাকে জিজ্ঞেস করছে ‘কোথায় চলেছো’? নায়িকা তখন বলেছিল ‘মর্জি তোমার, যেখানে খুশী নিয়ে চলো’ – তাদের এই প্রেমের কথোপকনটুকু তাকে জীবনের গন্তব্য সম্বন্ধে ভাবিয়েছিল।
এর পর তিস্তা যমুনা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে, প্রমত্তা নদীগুলো শীর্ণ হয়ে গেছে। সেই নদীগুলোতে হক সাহেব এখন নিজের প্রতিবিম্ব দেখতে পান। শীর্ণ হলেও, সেসব নদী দিয়ে এখনো পাল তোলা নৌকো চলে, নারীরা সে নৌকো চড়ে ছেলেপুলে নিয়ে নাইওর যায়, চন্দ্রালোকিত জ্যোৎস্না রাতে মাঝির দল কন্ঠে ভাটিয়ালি সুর ধরে। হক সাহেব দু’চোখ বন্ধ করে এসব দেখতে পান, এবং মনে মনে একটা প্রচ্ছন্ন সুখ অনুভব করেন। মাঝে মাঝে তিনি নিজেকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি জীবনে সুখী? অধুনা তিনি নিজেও কিছু লেখালেখি শুরু করেছেন। এটা করতে গিয়ে তিনি উপলব্ধি করেছেন, কবি লেখকেরা মানুষের দুঃখবোধ নিয়ে নাড়াচাড়া করেন, কখনো কখনো তা নিজের দুঃখবোধ কিংবা অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে দেখেন, আর তার পরে হয়তো লিখে ফেলেন একটি অনবদ্য কবিতা, গল্প কিংবা গদ্য। কিন্তু আদতে মানুষ নিজে সুখী না হলে অন্যের দুঃখ নিয়ে লিখতে পারে না, কারণ দুঃখী লোকের সময় কোথায় এসব নিয়ে লেখার? এ ছাড়া একজন দুঃখী লোক যতক্ষণ দুঃখী থাকে, ততক্ষণ সে নিজের দুঃখটাকে কিংবা তার জানা অন্যের দুঃখকেও গোপনই রাখতে চায়। তবে নিজেকে সুখী ভাবলেও, হক সাহেবকে অন্যের দুঃখ খুব সহজেই স্পর্শ করে। তখন তিনি মনে একটা ভার অনুভব করেন। তার চিন্তাভাবনা, গতিবিধি, কাজ কারবার সব কিছুই শ্লথ হয়ে যায়। তিনি আশ্রয় খুঁজেন কোন কল্পনায়, কবিতায়, প্রার্থনায় কিংবা সঙ্গীতে।
হক সাহেব সেদিন হঠাৎ আবিষ্কার করলেন, তার দেখা জীবনেও তো এমন অনেক উপাদান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যেগুলো দিয়ে বেশ চমৎকার কিছু গল্প লেখা যায়। তিনি বসে গেলেন একটা গল্প লিখতে। গল্পটা লিখা শুরু করে তিনি এগোতে পারছিলেন না। তিনি বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে উপলব্ধি করলেন, এ গল্প লেখা তার কাজ নয়। গল্পের নায়িকাকে তার কাছে মনে হচ্ছিল দেবীতুল্য। তার অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক সৌন্দর্যকে কিছুতেই তিনি সঠিক মাত্রায় উপস্থাপন করতে পারছিলেন না। তার মুখে কোন সংলাপই তুলে দিতে পারছিলেন না। দেবী না মানবী, সারল্য না সৌন্দর্য, বাস্তব না কল্পনা, ইত্যাদি দ্বন্দ্ব তার কলমকে নিশ্চল করে দিচ্ছিল। তার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছিল, কন্ঠে বাষ্প দলা পাকাচ্ছিল। উপায়ন্তর না দেখে তিনি কলম থামিয়ে দিলেন, ইউ টিউবের আশ্রয় নিলেন। খুঁজে বের করলেন একটি গান, যে গানের অর্থ তিনি আজও ঠিকমত জানেন না, কিন্তু যে গান তাকে সহজেই ঘুম পাড়িয়ে দেয়- “সাওয়ান কা মাহিনা পাওয়ান কারে শোর”।
ঢাকা
১২ মার্চ, ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সাওয়ান কা মাহিনা পাওয়ান কারে শোর
১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক বলেছেন, - এই এক জীবনে সবার দ্বারা সব কাজ হয়না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬
সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: বাহ, কিছু বলতে গিয়েও আটকে গেল মুখটা
১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই? হতেও পারে!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার!
খুব ভাল লাগল।
হয়ত আরও অনেক হক সাহেবের অস্তিত্ব টের পেলাম।
১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
হয়ত আরও অনেক হক সাহেবের অস্তিত্ব টের পেলাম - পাঠকের মনযোগী ভাবনা পেলে লেখকগণ তৃপ্ত হন। আবারো ধন্যবাদ।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৬
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: শাওয়ান কে মাহিনা পওয়ন করে শোর
জিয়াড়া রে ঝুমসে এইসে ,যেইসে বনমাঁ নাচে মোর ......
It's the monsoon season; the winds create a noise.
The heart dances just as a peacock dances in the forest ....।
আহা ছেড়েছি তো অনেক কিছুই
পুরনো বোল চাল
পুরোনো ঘর, পুরোনো ধার, পুরনো জঞ্জাল....
কিন্তু পুরোনো গান ছাড়া যায় না ,কি বলেন ! ঠিকই ফিরে আসে অন্য গানের ভোরে .....
১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু পুরোনো গান ছাড়া যায় না - ঠিকই বলেছেন, কারণ পুরনো গানের কথাগুলো অনেক সুন্দর ছিল। মনে রেখাপাত করে যেত।
দু'লাইনের অনুবাদটুকুর জন্য ধন্যবাদ। যদি সম্ভব হয়, পুরোটা গানের অনুবাদ বাংলায় কিংবা ইংরেজীতে করে দিতে পারলে বাধিত হ'তাম।
৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭
সুমন কর বলেছেন: গল্প কিংবা কবিতার আড়ালে নিজেকে খুঁজে পাওয়া...........
ভালো লিখেছেন। +।
১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প কিংবা কবিতার আড়ালে নিজেকে খুঁজে পাওয়া... - ঠিক তাই। ভালো বলেছেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...
৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি হিন্দি জানি না, তবে চাইলে ঐ কলিটার অর্থ বের করতে পারবো; গানে মোহিত হওয়া, হৃদয়ের মাঝে সুন্দর অনুভুতি সৃষ্টির ক্ষমতা
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: শুধু ঐ কলিটার অর্থ নয়, আমি পুরো গানটিরই অনুবাদ চাই বংলায় অথবা ইংরেজীতে। আশাকরি, কেউ হয়তো তা জানাতে উৎসাহী হবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন, হৃদয়ের মাঝে সুন্দর অনুভুতি সৃষ্টির ক্ষমতা সঙ্গীতের অপরিসীম।
৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা। ঝরঝরে। প্রানবন্ত।
এরকম লেখা পড়তে বিরক্ত লাগে না।
হক সাহেবের সাথে আমার চাচার মিল খুঁজে পেলাম। আমি আমার এই চাচাকে নিয়ে লিখব।
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর লেখা। ঝরঝরে। প্রানবন্ত। - লেখার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার চাচার গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সাথে একটা হক সাহেবের ছবি দিলে খূশি হতাম।
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: হক সাহেব তো কাল্পনিক একটা নাম। তার ছবি পাব কোথায়?
৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
সোহানী বলেছেন: ভাবনা চিন্তা বা মাথায় অনেক কিছু চিন্তা করা যায় সহজে কিন্তু একে কাগজে ফুটিয়ে তুলতে পারা অনেক কঠিন। একটি চরিত্র সৃষ্টি করা এবং আমি যেভাবে চাই পাঠক ও সেভাবে তাকে দেখবে, এই যে পাঠকের দৃষ্টিতে নিজেকে উপস্থাপন সেটা অনেক কঠিন। এমন ভাবনাকে সামনে নিয়ে এসেছেন........... অনেক ভালো লাগলো।
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব মন দিয়ে গল্পটা পড়েছেন দেখে খুশী হ'লাম।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত।
০৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট-- হিন্দি চ্যানেল বন্ধ করুন (অক্টোবর ২০০৮), সামাজিক ভারসাম্যহীনতা....... ভেবে দেখার এখনি সময় (এপ্রিল ২০০৯), আমার মা দিবস (মে-২০০৯) পড়ে মন্তব্য রেখে এসেছি। একবার সময় করে দেখে নেবেন।
১০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
মিরোরডডল বলেছেন: একটি সুখী মানুষ ই লিখতে পারবেন দু:খি মানুষ সম্পর্কে
আমি এটা মনে করি না
কখনও কখনও হতে পারে কিন্তু সবসময় না
একজন ব্যক্তি যে জানে দুঃখ কাকে বলে তিনি অভিজ্ঞতা থেকে দুঃখ সম্পর্কে ভাল লিখতে পারেন
আপনি ভাল লিখেছেন
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইউ হ্যাভ আ পয়েন্ট ঠু!
একজন ব্যক্তি যে জানে দুঃখ কাকে বলে তিনি অভিজ্ঞতা থেকে দুঃখ সম্পর্কে ভাল লিখতে পারেন - কথাটা অবশ্যই মিথ্যে নয়। তবে তিনি দুঃখী অবস্থায় হয়তো লিখতে পারেন না। তিনি যখন লিখেন, তখন হয়তো তিনি দুঃখটাকে অতিক্রম করে গেছেন-এমনটাই হয়তো বলতে চেয়েছিলাম।
আপনি ভাল লিখেছেন - ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: হক সাহেবকে খুব পরিচিত মনে হলো - যেন আমাদের আশেপাশেরই কেউ |
লেখাটা খুব ভালো লাগলো |
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: হক সাহেবকে খুব পরিচিত মনে হলো - হ্যাঁ, পরিচিত মন্ডলেই গল্পের জন্ম হয়, চেনাপথ ধরেই তো গল্প এগিয়ে চলে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। লেখাটা ভাল লাগার কথাটা এখানে জানিয়ে গেলেন বলে প্রীত হয়েছি।
শুভেচ্ছা---
১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট- ১৫ লাখ শ্রমিকের মালয়েশিয়া যাওয়া!! পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। আশাকরি, একবার সময় করে পড়ে দেখবেন।
১২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এখন ছোট ছোট বাচ্চারাও হিন্দি বরতে পারে অনেকটা বুঝতেও পারে।
সময় কি অদ্ভুত সব পরিবর্তন করে দেয়।
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় কি অদ্ভুত সব পরিবর্তন করে দেয় - ঠিকই, আর আমাদেরকে সেসব পরিবর্তনগুলোর সাথে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যারা টুকটাক লিখা লিখি করেন তারা প্রায় সকলেই সময়ে 'হক সাহেব'।
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: হা হা হা, খুবই চমৎকার করে বললেন কথাটা!
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।
১৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট মোডারেটর ভাই দের কাজ কি ?? (জুন/২০১১১) এবং ভিকারুননিসায় শ্লীলতাহানি : লম্পট শিক্ষক পরিমল বরখাস্ত : সাসপেন্ড আরও ২ শিক্ষক (জুলাই/২০১১)- পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। আশাকরি একবার সময় করে পড়ে দেখবেন।
১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।+
আমি তো আগে কমেন্ট করতেনকবিতা লিখবো বলে কারো কবিতা পড়িনা। অন্যের প্রভাব মুক্ত কবিতা লিখতে তাই করতে হবে। ব্লগেও পড়তাম গল্প গদ্য অন্য কিছু কবিতা নয়। লিখতাম সব ধরণের লিখা। এখন পড়ি কবিতা লিখিও কবিতা ....সব কবিতা। প্রভাব মুক্ত কবিতা কয়টি লিখেছি গুণে দেখিনি ।পেরেছি কি না তাও জানি না । ইস যদি লিখতে পারতাম স্বকীয় কবিতা .......
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার কবিতার মান দিনে দিনে ভাল হচ্ছে। আবেগ ছাড়া কবিতা লেখা যায় না।
১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: Bollywodlyrics .com এই গানটির ইংরাজি অনুবাদ দিয়েছে এই ভাবে :
Mukesh:
Hmmm..
Sawan ka mahina, pawan kare sor
The month of rains, breeze creates noise
Lata:
Sawan ka mahina, pawan kare shor
The month of rains, breeze creates noise (mispronounced)
Mukesh:
Hhmm, pawan kare sor
breeze creates noise (mispronounciation corrected)
Lata:
Pawan kare shor
breeze creates noise (mispronounciation repeated)
Mukesh:
Arey baba shor nahin .. sor, sor
listen its not shor, its sor, sor (annoyed)
Lata:
Pawan kare sor
breeze creates noise (mispronounciation corrected)
Mukesh:
Haan..
Yesssss
Jiyara re jhoome aise, jaise banmaa naache mor..
The heart dances with joy as the peacock dances in the forest,
Sawan ka mahina, pawan kare sor
The month of rains, breeze creates noise
Jiyara re jhoome aise, jaise banmaa naache mor
the heart dances with joy as the peacock dances in the forest,
Lata:
Sawan ka mahina, pawan kare sor
The month of rains, breeze creates noise
Jiyara re jhoome aise, jaise banmaa naache mor
the heart dances with joy as the peacock dances in the forest,
Mukesh:
Raama gajab dhaae, yeh purwaiyya
Oh God cruel is this cool breeze from west
Lata:
Naiyya sambhalo kit, khoe ho khiwaiyya
Look to the boat, are you lost, oarsman
Mukesh:
Rama gajab dhaae, yeh purwaiyya
Oh God cruel is this cool breeze from west
Lata:
Naiyya sambhalo kit, khoe ho khiwaiyya
Look to the boat, are you lost, oarsman
Mukesh:
Hey.. Purwaiya ke aage, chale naa koi zor
hey .. Against the western cool breeze, all are helpless
Jiyara re jhoome aise, jaise banmaa naache mor
the heart dances with joy as the peacock dances in the forest,
Lata: Ooo
Lata/Mukesh:
Sawan ka mahina, pawan kare sor
The month of rains, breeze creates noise
Jiyara re jhoome aise, jaise banmaa naache mor
the heart dances with joy as the peacock dances in the forest,
Lata:
Maujhwa kare kyaa jaane, humko ishaara
the waves signal to us, who knows what
Mukesh:
Jaana kahaan hai poochhe, nadiyaa ki dhaara
where are you going, asks the stream of the river
Lata:
Maujhwa kare kyaa jaane, humko ishaara
the waves signal to us, who knows what
Mukesh:
Jaana kahaan hai poochhe, nadiyaa ki dhaara
where are you going, asks the stream of the river
Lata:
Marzi hai tumhari, le jaao jis or
It is as you wish, take us in any direction
Jiyara re jhoome re aise re jaise banmaa naache mor
the heart dances with joy as the peacock dances in the forest,
Mukesh: Ooo
Lata/Mukesh:
Sawan ka mahina, pawan kare sor
The month of rains, breeze creates noise
Jiyara re jhoome aise, jaise banmaa naache mor
the heart dances with joy as the peacock dances in the forest,
Lata:
Jinke balam bairi, gaye hain bideswa
the unfeeling lovers, have gone away
Aaye hain leke unke, pyaar ka sandeswa
they have brought a message of love
Kaali maat waari ghathaye ghan.ghor
these awesome rain clouds, dark as Mother Kali
Jiyara re jhoome aise jaise banmaa naache mor
the heart dances with joy as the peacock dances in the forest,
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই, খুবই সংক্ষেপে একটা বিরাট ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম।
পরে আবার আসছি!
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: Bollywodlyrics .com থেকে ইংরেজী অনুবাদটুকু তুলে দেয়ার জন্য আবারো অশেষ ধন্যবাদ। তবে যেটুকু হিন্দী বুঝি, তাতে মনে হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায় অনুবাদ সঠিক হয় নাই। বিশেষ করে the unfeeling lovers, have gone away কথাটা। যাহোক, তবুও, অনুবাদটুকু পাওয়ার পরে গানের দ্যোতনা স্পষ্টতর হলো।
মেনী মেনী থ্যাঙ্কস!
১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমিতো আগে কমেন্ট করতাম ......হবে
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, সেটা ঠিকই বুঝে নিয়েছি।
১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৫
আখেনাটেন বলেছেন: পড়ার পর 'সাওয়ান কা মাহিনা পাওয়ান কারে সোর' গানটা শুনলাম। চমৎকার। লিংকটাও দিলাম।
১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।
গানের লিঙ্কটা পোস্টের একেবারে শেষে আমিও দিয়েছিলাম।
শুভকামনা...
১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৯
ধ্রুবক আলো বলেছেন: মানুষের জীবনে কিছু আশা প্রত্যাশা পূরণ হয় না। অনেক সময় লেখা মাথায় আসে কলমে আসে না।
এই মানব জীবন খুব রহস্য ময়!
১৪ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক সময় লেখা মাথায় আসে কলমে আসে না। - এটা একদম সত্য কথা। প্রায়ই এটা আমি অনুভব করি।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
আবু আফিয়া বলেছেন: ভাল লাগল, ধন্যবাদ
১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
২০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৭
প্রামানিক বলেছেন: লেখা পড়ে খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।
১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম।
শুভেচ্ছা---
২১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
"শোর" তুলে যাওয়ার মতোই লেখা ।
জীবনের সাদা-কালো কিম্বা রঙিন ছবি দেখে দেখে তেমন কিছু মানুষ তার ভাবের নাওয়ে কতোবার যে পাল তুলে দেয় !
কিন্তু ছেঁড়া পালে হাওয়ারা এদিক ওদিক খাবি খেলেই মনমাঝি আর তার নাও বেয়ে যেতে পারেনা গন্তব্যের পথে। যতো ধীরেই বয়ে যাক পদ্মা-মেঘনা ছেঁড়া পালে আর হাওয়া লাগেনা । নাওখানা নিয়ে মনমাঝি উদাস বসে থাকে । অপেক্ষায় থাকে দিনান্তের শেষে কেউ এসে তার নাও বেয়ে পৌঁছে দেবে ওপাড়ে । রাত বাড়ে, মনমাঝির অপেক্ষার শেষ হয়না । মনের মাঝে শোর তুলে ঘুরে ফিরে যায় আর একখানি গান ----
" সুহানী রাত ঢল চুকে
না জানে তুম কব আঁওগে...."
এমন মেজাজ নিয়েই গল্পখানা সুন্দর গেঁথে তুলেছেন ।
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: দুটো অসাধারণ গানকে এক অপূর্ব যোগসূত্রে গেঁথে দিলেন, আহমেদ জী এস।
মানুষ তার ভাবের নাওয়ে যতোবারই পাল উড়াক না কেন, পাল ছেঁড়া হলে ছেঁড়া পালে তার হাওয়া লাগেনা - কথাটা চমৎকার বলেছেন, বোঝার কথা, হৃদয়ঙ্গম করার কথা।
আপনার অসামান্য মন্তব্যে গল্প লেখার এ সামান্য প্রয়াসটুকু সমৃদ্ধ হলো।
অনেক ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিত হ'লাম।
২২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমার মাঝে মাঝে মনে হয় উচ্ছাস যেখানে প্রবল ভাষা সেখানে নীরব কথাটা খুবই সত্যি | প্রত্যেক দিনের জীবন যন্ত্রনায়, ফেলে আসা পেছনের দিনগুলো সবারই অনেক আপন আর প্রিয় লাগে | হারানো দিনগুলো, তার মানুষেরা সবাই তাই আমাদের প্রিয় হয় | স্মৃতির উচ্ছাসে বেঁচে থাকা তাদের ছবি আঁকতে ভাষা স্তম্ভিত, মৌন,মুক হয়ে যায় খুব সহজেই | হক সাহেবের মনের দ্বান্দ্বিক ভাবনা মনে হয় এজন্যই আসে যেমন আমাদের সবারই মনে আসে স্মৃতিময় কিছু লিখতে গেলে | লেখায় অনেক ভালোলাগা, খায়রুল ভাই |
১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মাঝে মাঝে মনে হয় উচ্ছাস যেখানে প্রবল ভাষা সেখানে নীরব কথাটা খুবই সত্যি - কোন দ্বিমত নেই এ কথার সাথে। খুব সুন্দর করে বাকী কথাগুলোও বলেছেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---
২৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ২:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোষ্টের কথাগুলি মোটেই বিক্ষিপ্ত কোন ভাবনা নয় । এমনি হয় । অনেকের মনেই সুপ্ত থাকে নান্দনিক সাহিত্য রচনার বাসনা সেটা গল্প সাহিত্য , কবিতা কিংবা শিল্প কর্ম অনেক কিছুই হতে পারে । সেগুলির প্রকাশও ঘটে বিবিধ প্রকারে । কেও প্রকাশ করে কাগজে লিখে মুদ্রন আকারে , কেও দেখায় অভিনয় করে , আর কেওবা মনে পুষে রেখে প্রকাশ করে বিবিধ প্রকার আচরনে । তবে সকলের মনের খায়েশ মিটে যায় কোন না কোন প্রকারে । গুপ্ত কারো বাসনা থাকেনা গোপনে , আলোর দেখা তার যায় যে মিলে , যেমনটা আমরা দেখতে পেলাম হক সাহেবের বাসনা কামনাগুলি উঠে এসেছে এখানে সুন্দর করে আপনার কলমের আচরে ।
এ পোষ্টের নীচে গানটির একটি লিংক দিয়ে ১৯৬৩ সনের মুল তেলেগু ভাষায় প্রনীত ‘মুগা মানসুলু’ নামক একটি ছবির ভাবধারায় ১৯৬৭ সনে রচিত ও প্রথম প্রদর্শিত ‘মিলান’ ছায়াছবিতে গীত সংগীতটি শুনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । লিংকটি অনুসরণ করে গানটি শুনতে শুনতে এ মন্তব্য লিখছি । লক্ষিকান্ত পিয়ারেলাল সুরারোপিত লতা মুংগেসকর ও মুকেশের যৌথকণ্ঠের এই অনেক পুরাতন গানটি শুনে মুগ্ধ । রাধাদেবী ও গোপিনাথ চরিত্রে সুনিল ও নতুনের কন্ঠ মিলানো অভিনয়েও মুগ্ধতার পরশ বুলিয়ে গেল । মন্তব্যের ঘরে দেখলাম গানটির পুরাটা তুলে দেয়ার জন্য একটা অনুরোধ আছে । তাই গানটি শুনতে শুনতে এর কথাগুলির যতটুকু পারা গেল এখানে নীচে বাংলা হিন্দি মিশেল করে তুলে দেয়া হলো
সাবন কা মাহিনা, পবন করে সোর( Noise)
সাবন কা মাহিনা, পবন করে সোর
আম্ম হুম, পবন করে শোর, পবন করে শোর
আরি বাবা শোর নেহি, সোর, সোর, সোর
পবন কারে সোর, হাও ......
জিয়ারে ঝুম এইসে , জেইস বনমা নাচে ময়ুর
সাবন কা মাহিনা, পবন কারে সোর
রাম ( রামবাবু কাহিনীর একজ ভিলেন) গজব ডায়ে এ পুরব হাওয়া
নাইইয়া সমঝালো তুমি কি হারাইয়াছ দিশা
হায় পুবাল হাওয়া বইছে , না কর জোর
জিয়ারে ঝুম এইছে, জেইছে বনমা নাচে ময়ুর
ওহে ... ... সাবন কা মাহিনা, পবন কারে সুর্
জিয়ারে ঝুম এইছে, জেইছে বনমে নাচে ময়ুর
কি ইশারা দিছে ডেও না জানি তার
নদীর স্রোতকে পুছ, যাচ্ছ তুমি কোথায়
যেথায় মরজি হয় তুমি নিয়ে যাও সেথায়, কিংবা
জিয়ারে ঝুমে এইসে জেইছে বনমে নাচে ময়ুর
ওহে ... ... সাবন কা মাহিনা, পবন কারে সোর্
জিয়ারে ঝুমে এইসে জেইছে বনমে নাচে ময়ুর
জিনকে বালাম বাইরে গায়েন হায় বিদিশা
( হৃদয়হীন প্রেমিক চলে গেছে দুর )
আয়েন লেকে উনকে পিয়ার কা সন্দেশ
(রেখে গেছে ভালবাসার মিষ্ট খবর )
করে মাতওয়ারা ঘটায় ঘন গৌর
( গৌরী ছিল কাহিনীর আগের জনমের নায়িকা)
জিয়ারে ঝুমে এইসে জেইছে বনমা নাচে ময়ুর
সাবন কা মাহিনা, পবন কারে সোর
জিয়ারে ঝুমে এইসে জেইছে বনমে নাচে ময়ুর।
গান শুনে শুনে লেখায় ভুল যে অনেক আছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা । তবে উপরের ১৫নং মন্তব্যের ঘরে দেখলাম বাপুরাম সাপুড়ে১ সুন্দর করে ( ইংলিশ ট্রান্সলিটারেশনে) বাংলা অনুবাদসহ গানটির সঠিক কথাগুলি তুলে ধরেছেন , উনার প্রতি ধন্যবাদ রইল।
আপনার প্রতিও রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা
১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলা হিন্দি মিশেল করে গানটি আবার এখানে তুলে দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। পোস্টটা পড়ে গানটি নিয়ে এতটা ভেবেছেন, চর্চা করেছেন দেখে মুগ্ধ হ'লাম।
আন্তরিক মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ গ্রহণ করুন, ডঃ এম এ আলী!
২৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আপনার লেখার সাথে মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলো আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। ডঃ এম এ আলী ভাইকে খুব ভাল লাগে কারণ উনি খুব বিস্তারিত মন্তব্য করে সচারচর কেউ এমনটা করে না।
১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: মূল পোস্টসহ মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলো পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমিও সব সময় মূল পোস্টসহ মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলো পড়ে থাকি।
ডঃ এম এ আলী একজন অত্যন্ত জ্ঞানী এবং গুণী ব্যক্তি। তিনি তার অসাধারণ কিছু পোস্ট দ্বারা এবং সুচারু, বিস্তারিত মন্তব্য দ্বারা এ ব্লগকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। তিনি আমারও একজন প্রিয় ব্লগার।
২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, - সুস্বাগতম!
আপনার প্রথম পোস্টে (তোমার জন্য উপহার) একটা মন্তব্য রেখে এসেছি।
২৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
নীলপরি বলেছেন: আপনার লেখার বিষয়গুলো খুবই সুন্দর । পাঠক কানেক্ট করতে পারেন । এটাও সেরকম লেখা । খুব ভালো লাগলো । আর গানটা এমনিতেই ভালো লাগে । এখন আপনার দেওয়া লিংকে আবারো শুনলাম ।
১৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: পাঠক কানেক্ট করতে পারেন - খুবই প্রেরণাদায়ক একটা কমপ্লিমেন্ট দিলেন, প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
এখন আপনার দেওয়া লিংকে আবারো শুনলাম - পাল ওড়ানোর দৃশ্যটা খেয়াল করেছিলেন, পালের ময়লা ও তালিযুক্ত অংশটুকু? মাস্তুলে বেঁধে রাখা মাঝির খোরাক বহনকারী টিফিন ক্যারিয়ার, চন্দ্রালোকিত রাতে নির্জন নদীর বুক চিরে নৌকো বেয়ে চলার সময় মাস্তুলে বেঁধে রাখা লন্ঠনের ক্ষীণ আলোটুকু?
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, শুভকামনা...।
২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮
নীলপরি বলেছেন: মাস্তুলে বেঁধে রাখা লন্ঠনের ক্ষীণ আলোটুকু দেখেছি কিন্তু মনে রাখেনি । আপনার উত্তর পড়ে এখন আবার দেখলাম ওভালো লাগলো । । আসলে এই গান গুলো বেশীরভাগ অডিও শুনি । ইউটিউবে কম দেখা হয় ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনরায় ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
শুভকামনা...
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই এক জীবনে সবার দ্বারা সব কাজ হয়না।তাই হয়তো হক সাহেবের আর লেখক হওয়া হয়নি।
লেখায় +++