নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ৫: অবশেষে শ্রীনগরে!

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

গাড়ীচালক মোহাম্মাদ শাফি শাহ সালাম জানিয়ে তড়িঘড়ি করে আমাদের লাগেজগুলো তার সুপরিসর জীপে তুলে নিল। আমরা গাড়ীতে ওঠার পর অনুমতি নিয়ে গাড়ী স্টার্ট দিল। প্রথমে অনেকক্ষণ চুপ করেই গাড়ী চালাচ্ছিল, কিন্তু বেশীক্ষণ চুপ থাকার মানুষ সে নয়। হঠাৎ সে প্রশ্ন করে উঠলো, “স্যার, আপকো ক্যায়সা লাগতা হ্যায় কাশ্মীর?” মনে মনে ভাবলাম, ব্যাটা বলে কী? জীবনে এই প্রথম কাশ্মীরে আসার তো কেবল দশ-পনের মিনিট হলো, এর মধ্যে আবার কেমন লাগবে? উর্দু বা হিন্দী কথোপকথনে আমি ততটা স্বচ্ছন্দ নই, তাই বেশী কথা না বলে মাত্র দুটো শব্দে উত্তর দিলাম, ‘বহুত আচ্ছা’। তারপরেই সে জিজ্ঞেস করলো, এই প্রথম আমি কাশ্মীরে আসছি কি না। আমি বললাম, ‘হুঁ’। সে জানালো, কোন চিন্তা নেই। এই চার পাঁচ দিনে কাশ্মীরে যা যা কিছু দেখার মত আছে, সবই সে দেখাবে। একটু পর পর সে জানাচ্ছিল, কাশ্মীরের লোকজন খুবই ভাল, এখানে কোন চুরি ডাকাতি বা অন্যান্য অপরাধ ঘটে না। পর্যটকরা এখানে নারী পুরুষ নির্বিশেষে পুরোপুরি নিরাপদ। আমি মাথা নাড়ালাম।

কিছুক্ষণের মধ্যেই মানযুর (ওর বস) ওকে ফোন করে জিজ্ঞেস করে নিল, সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা, আমরা গাড়ীতে উঠেছি কিনা এবং রওনা হয়েছি কিনা, ইত্যাদি। এর পর সে ফোনটা আমাকে দিল। মানযুর আমাদেরকে কাশ্মীরে স্বাগতম জানিয়ে জানতে চাইলো কোন অসুবিধে হচ্ছে কিনা। আমি ধন্যবাদ জানিয়ে বললাম, কোন অসুবিধে হচ্ছেনা। ও বললো, ‘আজ আপনারা হোটেলে গিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে নিন, তারপরে শ্রীনগরের মধ্যেই কিছু দর্শনীয় স্থান দেখে নিন। আগামী কাল সকালে আপনারা সোনামার্গ যাবেন, সন্ধ্যা নাগাদ ফিরে আসবেন’। আমি বললাম, তথাস্তু।

শাফি জিজ্ঞেস করলো আমরা লাঞ্চ করতে চাই কিনা। শ্রীনগরে পৌঁছার আগে দিল্লী বিমান বন্দরের ১ ও ২ নং টার্মিনালের মধ্যে ছোটাছুটির যে মহাযজ্ঞ অতিক্রম করে এসেছি, তাতে এমনিতেই খিদে পাবার কথা, আর তা ছাড়া লাঞ্চের সময়ও হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি বললাম, হ্যাঁ করবো, এবং একটু তাগাদার সাথেই বললাম, হোটেলে যাবার আগেই পথে যদি কোথাও লাঞ্চ করা যায় তবে সেখানেই করবো। শাফি বললো, আমি আপনাদেরকে লাঞ্চের জন্য খুব ভাল একটি জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি। সে আরো জানালো, এ কয়দিন সকালের নাস্তা আর রাতের খাবার আমাদের প্যাকেজের ভেতরেই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে (যা আমার আগে থেকেই জানা ছিল), শুধু দুপুরের খাবারটা আমাদের নিজ ব্যবস্থায় করে নিতে হবে। আমি বললাম, কোন সমস্যা নেই। সে আমাদেরকে নিয়ে “দরবার-এ-মুঘল” এর সামনে গাড়ী থামিয়ে বললো, আপনারা ভেতরে গিয়ে এখানেই লাঞ্চ করেন, আমি গাড়ী পার্ক করে আশে পাশেই থাকবো।

আমরা সেখানে ওদের একটা স্পেশাল আইটেম দিয়ে লাঞ্চ করলাম, কিন্তু এতটা রিচ ফুড খেয়ে স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভয় হচ্ছিল। হোটেলে প্রবেশের সময় বেশ কিছু মহিলা ভিক্ষুক বাচ্চা কোলে নিয়ে হাত পেতে কিছু সাহায্য চাইছিল, আমি দু’জনকে দিয়ে তাড়াতাড়ি ভেতরে প্রবেশ করলাম। বের হবার সময় আবার কয়েকজন মহিলা ভিক্ষুক ঘিরে ধরেছিল এবং ভিক্ষার জন্য মিনতি করছিল। এবারে শাফি বিরক্ত হয়ে তাদেরকে সরে যেতে বললো। গাড়ী চলতে শুরু করার পর ও আমাকে বললো, “স্যার, ইয়ে সব আদমী কাশ্মীরি নেহি হ্যায়, ইয়ে সব বিহারসে আয়া”। বুঝলাম, ওদের ভিক্ষাবৃত্তি শাফি’র আত্মসম্মানে আঘাত করেছে। ভেবে দেখলাম, তাই তো। ভিক্ষুকদের একটারও চেহারা তো কাশ্মীরিদের মত নয়। বরং ওদের চেহারা তো বিহারীদের মতই।

হোটেলে পৌঁছে আমরা যোহরের নামায পড়ে নিয়ে ঝটপট তৈরী হয়ে নিলাম। হোটেলটিকে বেশ পছন্দও হয়েছিল। খুবই নিরিবিলি, ছিমছাম। আমার স্ত্রীর ইচ্ছে ছিল টিউলিপ গার্ডেন দেখার। কিন্তু মানযুর আমাদেরকে আগেই জানিয়েছিল যে ২৯ এপ্রিলের পর আর টিউলিপ গার্ডেন দেখা যাবে না। অর্থাৎ আমরা মাত্র ৩ দিনের জন্য সেটা মিস করলাম। সেটা জানা থাকা সত্তেও ফের শাফিকে জিজ্ঞেস করলাম, টিউলিপ গার্ডেনটা একটু দেখা যাবে কিনা। সে বললো, টিউলিপ এখন দেখতে পাবেন কিনা সে সম্বন্ধে নিশ্চিত নই, তবে আমি চেষ্টা করবো আপনাদেরকে গার্ডেনের ভেতরে ঢোকাতে, অতি অবশ্যই। আমার স্ত্রী বলে উঠলো, তাই সই!

বিকেল সোয়া চারটার দিকে আমরা টিউলিপ গার্ডেনে পৌঁছ্লাম। পৌঁছে দেখি গেইট বন্ধ। শাফি দারোয়ানের সাথে কিছু কথা বললো। এরই মধ্যে আরেকটি ভারতীয় পরিবার সেখানে এসে পৌঁছলো। নিমরাজী দারোয়ান অবশেষে অনুরোধে ঢেঁকি গিললো। আমরা সবাই ভেতরে প্রবেশ করলাম, আমাদের দেশের মত কোন ‘উপরি’ পরিশোধ না করেই। ভেতরে গিয়ে দেখি টিউলিপ গাছের সারি সেই আগের মতই তখনো লাগানো আছে, শুধু ফুলগুলো তুলে ফেলা হয়েছে। কয়েকটি শালিক ঘুরে ঘুরে সেখানে অন্ন সন্ধান করছে। টিউলিপ ফুটে না থাকলেও, সবুজ গাছের সারিগুলো দেখেও ভাল লাগলো। টিউলিপ না পেয়ে আমার স্ত্রী সেখানে ফুটে থাকা অন্যান্য ফুলগুলোকে দেখতে থাকলো। আমি আমার সেলফোন বের করে ছবি তুলতে থাকলাম। তারপর আমরা আরো দুটো বাগান দেখতে গিয়েছিলাম। চশমেশাহী গার্ডেন এবং শালিমার বাগ। বৃষ্টি ঝরা শুরু হবার কারণে অবশ্য শালিমারবাগে ঢুকেই বের হয়ে আসতে হয়েছিল। ভেবেছিলাম, শ্রীনগরেই যেহেতু আরো দু’রাত থাকবো, পরে না হয় এখানে আরেকবার আসা যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সে সময়টুকু বের করা সম্ভব হয়নি। এর পরে আমরা ‘ডাল লেইক’ এ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম। চশমেশাহী গার্ডেনে একটি প্রবহমান ঝর্নাধারা রয়েছে। জনৈক গাইড জানালো সেই ঝর্নাটা থেকে প্রতিদিন ‘পনি’তে করে পন্ডিত জাওয়াহারলাল নেহেরুর জন্য সুপেয় পানি দিল্লীতে পাঠানো হতো। কথাটার সত্য মিথ্যা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

সেখানে অনেক দর্শনার্থীকে দেখলাম প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের ধরে ছবি তুলছে। কয়েকজন ফটোগ্রাফার আমাদের দিকেও এগিয়ে এলো, কিন্তু আমরা আগ্রহ দেখালাম না। একটু প্রাইভেসীতে আমরা তিনজন নিজেরাই ঘুরে ফিরে দেখতে এবং কখনো কখনো ছবি তুলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছিলাম। তবে আমাদের ছেলে ছবি তুলতে মোটেই আগ্রহী ছিল না। তবুও, জোর করে কিছু কিছু জায়গায় ওকে নিয়ে ছবি তুলেছি। পড়ন্ত বিকেলে ‘ডাল লেইক’ এ এসে কিছুক্ষণ বসে বসে শুধুই চারিদিকে দেখলাম আর ছবি তুললাম। তারপরে একটা বোট ভাড়া করলাম লেইকে নৌকোয় করে কিছুক্ষণ ঘোরার জন্য। সেই বোটগুলোর আবার কি বাহারী নাম! ‘মায়ূরপাঞ্ছী’, ‘লেইক পাল্কী’, ‘দিল কা রাজা’ ইত্যাদি। এখানে আমাদের একটি রাত ‘বোট হাউস’ এ থাকার প্রোগ্রাম নির্ধারিত ছিল, তাই আমরা সেদিন অল্প কিছুক্ষণ বোটে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যা নামার প্রাক্কালে হোটেলে ফিরে এসেছিলাম। বোটের মাঝি আব্দুল বাসিত বারে বারে আমাদের কাছে দোয়া চাচ্ছিল যেন ওরা দৈনন্দিন যে নির্যাতন এবং বঞ্চনার শিকার হয়, তা থেকে যেন আশু মুক্তি পায়। আমাদের ছেলেরা বড় হয়ে যাবার পর আমাদের সাথে একসাথে ঘুরতে চায় না। সর্বশেষ পুরো পরিবার একসাথে ঘুরেছিলাম সেই ২০০৯ সালে, বান্দরবানের নীলগিরি, রাঙামাটির পেদা টিং টিং, কাপ্তাই লেইক, এবং বন্ধু আশরাফের চন্দ্রঘোনার কাছে সদ্য কেনা একটি বাগান এলাকা। এর পরে এই প্রথম ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে বের হয়েছি। খুব ভাল লাগছিল তিনজনে একসাথে ঘুরতে।

চলবে....

ঢাকা
১৪ মে ২০১৯


আমাদের শ্রীনগর সফরের পুরোটাই এই মোহাম্মদ শাফি শাহ আমাদেরকে গাড়ী চালিয়ে এখানে সেখানে নিয়ে গেছে।
With Mr Mohammad Shafi Shah, who drove us to various places during our four days' tour of Kashmir.


ফুল তুলে ফেলার পর টিউলিপ গার্ডেন
At the Tulip Garden at Srinagar, without the tulips.


টিউলিপ গার্ডেনের অন্যান্য ফুল
Non tulips at the tulip garden, Srinagar


টিউলিপ গার্ডেনের অন্যান্য ফুল
Non tulips at the tulip garden, Srinagar


আমরা যখন চশমেশাহী গার্ডেনে, আকাশে তখন কালো মেঘের আনাগোনা চলছে
The clouds getting darker at the Chashmeshahi garden, Srinagar


শান্ত, স্নিগ্ধ "ডাল লেইক"
The quiet, beautiful Dal Lake


"ডাল" বক্ষে নৌকোর জানালা দিয়ে দেখা
Through the window of the boat carriage


নৌকোর মাঝি আব্দুল বাসিত এর সাথে
With our boatman Mr Abdul Basit


নীচে শান্ত হ্রদ, উপরে কালো মেঘের আনাগোনা
Clouds gathering... at Dal Lake, Srinagar

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৪

করুণাধারা বলেছেন: ছবিগুলো অপরূপ, বিশেষ করে লেকের যতগুলো ছবি তুলেছেন, সবগুলো। এমনকি পুষ্পবিহীন টিউলিপ গার্ডেনের ছবি দেখতেও ভালো লাগলো। আশা করি পরবর্তীতে আপনার বোট হাউস এর ছবি ও পাওয়া যাবে।

বর্ণনা ভালো লাগলো। এ পর্যন্ত দুজন কাশ্মিরীর বর্ণনা পেলাম, ড্রাইভার মোহাম্মদ সাফি শাহ এবং ভিখারিনী। (এমন জায়গায় ভিখারী থাকে এটা জানা ছিল না।) ভবিষ্যতে আরো নতুন জায়গা আর মানুষ দেখার আশায় রইলাম।

১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, আশাকরি আগামী কোন এক পর্বে আমাদের বোট হাউসেরও ছবি দেখতে পাবেন। লিখতে ক্লান্তি আসেনা, কিন্তু ছবি বাছাই করে, উপযুক্ত ক্যাপশন বসিয়ে সেট করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাই।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



একটানে পড়ে ফেললাম। সুখপাঠ্য যথারীতি।

সাথে আছি। চলতে থাকুক। +++

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পাঠে, প্লাসে এবং মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা ......

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
রেস্পেক্টেড স্যার,


অত্যন্ত সুন্দর বর্ণনা সঙ্গে ছবিগুলো মনমুগ্ধকর।
কাশ্মীরের ভিক্ষুকরা বিহার থেকে আগত বিষয়টি জানা ছিল না। ওদের ভিক্ষার উৎপাতে তাহলে আপনাদের তো রীতিমত বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে দেখছি। ভালো লাগলো যে শেষ পর্যন্ত টিউলিপ গার্ডেনে ঢোকার সুযোগ মিলেছে দেখে।বৃষ্টির কারণে শালিমার বাগের সৌন্দর্য উপভোগ করতে না পারার যন্ত্রণা তাহলে রয়ে গেল। ডাল লেকের বোটগুলির বাহারি নাম দেখে মুগ্ধ হলাম। সব মিলিয়ে সুন্দর বর্ণনা পোস্টে প্লাস।++

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের পায় প্রতিটি প্রসঙ্গে বিচক্ষণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। +
প্লাসে অনুপ্রাণিত।

৪| ১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

বলেছেন: অনেক কিছু জানা ও দেখা হলো।।।


শুভ কামনা।।

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্য এবং মন্তব্যের মাধ্যমে প্রেরণা দিয়ে যাবার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....

৫| ১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ব্লগে আপনার ছবি দেখলাম। বরাবরের মতই লেখায় অনেক অাকর্ষন গড়ে তুলেছেন।

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটার প্রতি আপনি আকর্ষণ অনুভব করেছেন জেনে প্রীত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

৬| ১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: গুলমার্গ,সোনমার্গ, পাহালগ্রাম যদি ঘুরে থাকেন,সে জায়গা সম্পর্কে জানাবেন। সেখানের খাবার কেমন তার ধারনাও জানতে চাই।

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, জানাবো। সাথে থাকলেই এসব ব্যাপারে সবকিছু জানতে পারবেন।
দুটো মন্তব্যের জন্যই অশেষ ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দুস্হ মহিলাগুলো (বিহারী) দেখতে কি কাশ্মীরী মহিলাদের থেকে বেশ আলাদা?

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, কাশ্মীরী মহিলারা তুলনামূলকভাবে দীর্ঘাঙ্গী, সুতীক্ষ্ণ নাকের অধিকারিণী, আর দেখতে ফরসা রঙের হয়ে থাকেন।
সেই ভিখারিণী মহিলারা কালো বা কেউ কেউ শ্যামবর্ণের ছিলেন, কোলে বাচ্চা, দেখতে অনেকটা একসময়ে দেখতে পাওয়া আমাদের দেশের মিরপুর মোহাম্মদপুরের "বিহারী" মহিলাদের মত।

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় সিনিয়র,
ফেসবুকে আগের পড়া সত্ত্বেও আবারো পড়তে একটুও অন্যথা হলোনা।
দারুন বর্ণনা সাবলীলতায় টেনে নিয়ে গেল বরাবরের মতোই। তবে এখানের ছবি আর ইংরেজী অনুবাদ সাথে দেয়াটা দারুন আইডিয়া! ভাল লাগলো।
আপনার সাথে সাথে আমাদেরও কাশ্মীর ভ্রমন হয়ে যাচ্ছে :)

+++

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এ সিরিজের সবগুলো পর্ব পড়ে পড়ে প্রশংসাসূচক মন্তব্য করে যাওয়ার জন্য।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।

৯| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: যোহরের নামাজ হোটেলে পড়লেন কেন?? আশে পাশে মসজিদ নেই?

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৭:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাসজিদ নিশ্চয়ই ছিল, খোঁজ করিনি। সফরে থাকলে গাড়ীতে, নৌকোয়, ঘোড়ার/উটের পিঠে (যে কোন স্থানে), দাঁড়িয়ে/বসে (যে কোন অবস্থায়) নামায পড়া যায়।

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভারতে খাবারের দাম মারাত্বক চড়া, কাস্মীরে খাবারের কেমন দাম?

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: খাবারের দাম একটু চড়াই বলতে হবে, তবে মাটন তুলনামূলকভাবে একটু সস্তা, কারণ ওখানকার উপত্যকাগুলোতে প্রচুর মেষ পালন করা হয়।

১১| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগা রেখে গেলাম ।
পরে সময় করে এসে ছবি দেখব, পাঠ করব আর
উপভোগ করব প্রাণখুলে আপনার কাশ্মীর ভ্রমন ।

শুখেচ্ছা রইল ।

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, ঠিক আছে।
অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:১৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখনীতে ভ্রমন সঙ্গীকরে সাথে রেখেছেন। ছবিগুলোও অনেক সুন্দর।

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভ্রমণ কাহিনীটা পড়ার জন্য এবং প্রশংসা করার জন্য।

১৩| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চশমেশাহী গার্ডেন, শালিমার বাগ, গুল মার্গ, সোনা মার্গ !!
নামগুলো অনেক সুন্দর !
একই স্থানে অনেকেই ভ্রমণ করেন, নিজেদের আনন্দ ভালোলাগা পাঠকদের সাথে শেয়ার করেন উঠে আসে অপূর্ব সব গল্প। পাঠকদের মনে গাঁথে, লেখার বৈচিত্র্য গল্প কথকের বর্ণনায়; আপনার ভ্রমণ লেখা নিঃসন্দেহে সে হিসেবে মন ছুঁয়ে থাকবে।

চমৎকার সব ছবি প্রাকৃতিক এবং অবশ্যই আপনাদের গুলো ও।

অনেক অনেক শুভ কামনা :)

২১ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখার বৈচিত্র্য গল্প কথকের বর্ণনায়; আপনার ভ্রমণ লেখা নিঃসন্দেহে সে হিসেবে মন ছুঁয়ে থাকবে - প্রশংসা মিশ্রিত আপনার এ কথাগুলো যে কোন লেখককেই অনুপ্রাণিত করবে, আমাকেও করেছে।
সুন্দর মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সপরিবারে, শুভকামনা---

১৪| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাশ্মীরের সাধরণ লোকজনকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন? হাটবাজার, স্কুল ইত্যাদি চোখে পড়েছে?

২১ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, পেয়েছিলাম। সোনামার্গ, গুলমার্গ ইত্যাদি এলাকায় যখন ঘোড়ার পিঠে চড়ে পাহাড়ী পথ চলছিলাম, তখন প্রায় সারাটি পথ সহিসদের সাথে কথা বলেছি। একজন বুড়ো সহিস কাশ্মীরে শিল্পায়ন না হওয়াতে দুঃখ করছিলেন। বৈরী প্রকৃ্তির সাথে যুদ্ধ করে ওরা টিকে থাকে। পর্যটকদেরকে ওরা যথেষ্ট সম্মান ও সাহায্য করে।
হাটবাজার, স্কুল ইত্যাদি চোখে পড়েছে? - না, ওগুলো তেমন একটা চোখে পড়েনি। তবে প্রয়োজনে পথপাশের দোকানে টোকানে যখন নেমেছি, তখন দোকানীদের সাথে আলাপ করেছি। একটা জীর্ণ দশা স্কুল দেখেছি, সেটা নিয়ে আগামী কোন পর্বে আলোচনা হবে আশাকরি।
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। +

১৫| ২০ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৪:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভ্রমন বিবরণীটি পাঠ করছিলাম আর ছবি দেখছিলাম । ফুল পাহাড় আর তার সাথে লেখকের ছবি দেখে মুগ্ধ ।সেই ছোটকালে বইয়ে পড়েছিলাম পাকৃতিক সৌন্দর‌্যের কারণে কাশ্মীরকে বলা হয় ভুস্বর্গ । আসলেও তাই । পোষ্টের নীচের ছবি, সাথে থাকা কথামালা নীচে শান্ত হ্রদ –উপরে কাল মেঘের আনাগোনা, আমার দৃষ্টি কেরেছে ভীষনভাবে । কাশ্মীরের দিগন্তব্যাপী জলদস্পর্শী শৈলমালার পাদদেশে থাকা হ্রদটি দেখতে বড়ই মনোরম ।ছবি দেখে মনে হল হ্রদের পাড় ঘেসে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘরগুলি আঁধার আঁধার ঝোপঝাপের মধ্যে প্রচ্ছন্ন। এখানে সেখানে শ্রেণীবদ্ধ বৃক্ষচ্ছায়ার মধ্য দিয়া একটি-দুটি শীর্ণকায় চঞ্চল ক্রীড়াশীল নির্ঝর গ্রাম্য কুটিরের চরণ সিক্ত করে , ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপলগুলির উপর দ্রুত পদক্ষেপে এবং বৃক্ষচ্যুত ফুল ও পত্রগুলিকে তরঙ্গে তরঙ্গে উলটপালট করে যেন এই হ্রদেই লুটিয়ে পড়ছে। দূরব্যাপী নিস্তরঙ্গ সরসী— লাজুক উষার রক্তরাগে, সূর্যের হেমময় কিরণে, সন্ধ্যার স্তরবিন্যস্ত মেঘমালার প্রতিবিম্বে, পূর্ণিমার বিগলিত জ্যোৎস্নাধারায় বিভাসিত হয়ে শৈললক্ষ্মীর বিমল দর্পণের ন্যায় সমস্ত দিনরাত্রি হাস্য করতেছে। ঘনবৃক্ষবেষ্টিত প্রায় অন্ধকার সদৃশ্য শৈলমালার বিজন ক্রোড়ে আঁধারের অবগুণ্ঠন পরে পৃথিবীর কোলাহল থেকে একাকী লুকাইয়া আছে। শৈল শিলার পাদদেশে হ্রদের পাড়ে আঁধার কুঞ্জে বসে আমাদের ভ্রমন পিপাসু এ ব্লগের প্রিয় কবি কাশ্মীরের র শৈলশ্রেণীর রূপগাথার গান গাহিতেছে । সমস্ত ভ্রমন কাহিনীটিই যেন ভ্রমন পিপাসু কবির এক অনবদ্ধ রচনা , পাঠে কেবলই মুগ্ধতা আনে ।

শুভেচ্ছা রইল

২১ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনরায় ফিরে এসে চমৎকার একটি কাব্যিক মন্তব্য দিয়ে আমার এ লেখাটাকে আরো আকর্ষণীয় এবং সমৃদ্ধ করে গেলেন, এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন, ডঃ এম এ আলী
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১৬| ২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৭:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে একদিন ভ্রমনে বের হবো।

২১ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, খুব ভাল কথা।

১৭| ২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০১

পুলক ঢালী বলেছেন: খুবই চিত্তাকর্ষক ছবি সাথে উপাদেয় ভ্রমন বৃত্তান্ত, মনের রসনা পরিতৃপ্ত করে ভক্ষন করলাম। মন চাইছিলো এখনই ছুট লাগাই কাশ্মীরের পথে :D
খুব সুন্দর হয়েছে আপনার ভ্রমন পোষ্ট। ভাল থাকুন।

২২ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে আপনার ভ্রমন পোষ্ট - অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, এ প্রশংসাটুকু পেয়ে খুবই অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা---

১৮| ২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই পর্বটি বেশ উপভোগ্য। আপনার লিখন শৈলী সাবলীল ও গোছানো। লিখতে থাকুন। আমরা উপভোগ করছি।

ধন্যবাদ ভাই খায়রুল আহসান।

২২ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লিখন শৈলী সাবলীল ও গোছানো। লিখতে থাকুন। আমরা উপভোগ করছি - পোস্টে এমন চমৎকার প্রশংসা ও প্রেরণা রেখে যাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, প্রিয় গল্পকার আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম
ভাল থাকুন, শুভকামনা---

১৯| ২০ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগলো।

২২ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভাল লাগার কথাটি এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভকামনা---

২০| ২০ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বর্ননা শৈলীর কারণে আপনার ভ্রমণের সাথে একাত্ব হয়ে গিয়েছিলাম।
ব্যস্ততার কারণে আগের অনেক পর্ব পড়তে পারিনি।
তবুও চলুক 'আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ' ------

২২ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যস্ততার কারণে আগের অনেক পর্ব পড়তে পারিনি - যেটুকু পড়েছেন এবং পড়ে মন্তব্য করেছেন, আমি তাতেই সন্তুষ্ট।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

২১| ২০ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ওয়াও!

২২ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২২| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: বিহারীদের আলাদা বিহার চেয়ে জিহাদ করা উচিত, ভিক্ষা মিক্ষা করে খায়। সেই তুলনায় কাশ্মিরীরা তো অনেক সুখেই আছে, কি বলেন? পাকিদের প্ররোচনায় পড়ে কাশ্মিরীরা দুকুলই খোয়াবে মনে হয়।

২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিহারীদের চেয়ে কাশ্মীরিদের আত্মমর্যাদাবোধ বেশী বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এখন ওরা শিক্ষা দীক্ষার প্রতিও মনযোগী হয়েছে। এমন কি বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতেও, বিশেষ করে বেসরকারীগুলোতে, অনেক কাশ্মিরী ছেলেমেয়ে চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশুনা করছে।

২৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:৫৫

জোবাইর বলেছেন:
বড় ভাই,
শুভেচ্ছা নেবেন। আপনার এই পুরানো পোস্টে লোকজন এখন খুব একটা আসবে না। তাই এখানেই কমেন্টের মাধ্যমে আমরা কাজ চালিয়ে যাবো। যখন সবকিছু আপনার আয়ত্বের মধ্যে চলে আসবে তখন এই লেখার কমেন্টগুলো ডিলিট করে দেবেন।

Satellite and aerial images হলো স্যাটেলাইট বা উড়োজাহাজ থেকে উচ্চ ক্ষমতার ক্যামেরা দিয়ে তোলা পৃথিবীর বিরাট এলাকার ছবি। পাশাপাশি অনেকগুলো পর্যটন স্থান বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিরাট এলাকাকে বর্ণনার সুবিধার্থে এ ধরনের ছবি ব্যবহার করা হয়। বাংলায় এ ধরনের ছবিকে অনেকে কাব্য করে "পাখির চোখে" বলে। "পাখির চোখে ঢাকা শহর" অর্থাৎ স্যাটেলাইট থেকে তোলা ঢাকা শহরের ছবি। গুগল অ্যাপ প্রোগ্রাম ডাউনলোড করে আরো অনেক ধরনের কাজ করা যায়। তবে সেসব জটিল বিষয়ে আমি যাবো না। আমি শুধু ইন্টারনেটের গুগল ম্যাপ ওয়েবসাইট নিয়ে আলাপ করবো।

ইন্টারনেটের গুগল ম্যাপে যে কোনো এলাকার মানচিত্র এবং স্যাটেলাইট-ছবি দুটোই পাওয়া যায়। উদাহরণ হিসাবে আমি এখানে শ্রীনগরের মানচিত্র ও স্যাটেলাইট-ছবি যোগ করলাম। আপনি শ্রীনগরে টিউলিপ গার্ডেন, শালিমার বাগ, ডাল লেইক ইত্যাদি জায়গায় ঘুরেছেন। একটি স্যাটেলাইট পিকচারের মাধ্যমেই যে কোনো কেউ সবগুলো স্থানের অবস্থান ও ভৌগলিক ধারণা পাবে।





প্রথম ধাপে আপনি অনলাইনে গুগল ম্যাপ ব্যবহারের পদ্ধতিগুলো শিখবেন।
দ্বিতীয় ধাপে গুগল ম্যাপের ছবি এডিট এবং এগুলো নিজের কাজে ব্যবহারের পদ্ধতিগুলো শিখবেন।

প্রথম ধাপ: অনলাইনে গুগল ম্যাপ ব্যবহারের পদ্ধতি

১। https://maps.google.com/এখানে ক্লিক করে সাইটটিতে যান।
২। বামপাশের ওপরের দিকে সার্চ বক্সে যে কোনো এলাকার নাম লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করুন। (Example: Sonargaon Bangladesh)। বাম প্যানেলে কিছু ছবি বা তথ্য, ডান প্যানেলে মানচিত্র প্রদর্শিত হবে।
৩। search box and side panel লুকাতে ◄ মার্কে ক্লিক করুন।
৪। ম্যাপ/ছবিকে জুম ইন ও জুম আউট করতে ডান পাশের নিচের কর্নারে + ও – চিহ্নে ক্লিক করুন।
৫। ম্যাপ/ছবিকে ডানে-বামে, উপরে-নিচে সম্প্রসারণ করতে মাউসের বাম-বাটন চেপে রেখে মাউস মুভ করুন।
৬। ম্যাপের পরিবর্তে স্যাটেলাইট ছবি দেখতে বামপাশের নিচের কর্নারে Satellite আইকনে ক্লিক করুন।

এইভাবে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গার নাম লিখে সার্চ করুন, বিভিন্ন বাটন-অপশনে ক্লিক করে পরিক্ষা-নিরীক্ষা করুন। কয়েকবার করলে সবকিছু সহজ হয়ে যাবে।

আজকে এই পর্যন্ত - ভালো থাকুন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: জোবাইর,
প্রথমে আপনাকে একটা স্মার্ট স্যাল্যুট দিয়ে নিচ্ছি, কারণ আপনি একজন চমৎকার শিক্ষক!
প্রথম ধাপের সব কিছুই বেশ সহজে বুঝেছি, কিন্তু ম্যাপ ও উপগ্রহ চিত্র পোস্টে কিভাবে সংযোজন করবো, তা একই সাথে বলে দিলে আমার আজকের পোস্ট "আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ১১: প্যাহেলগামের চন্দনওয়ারীতে ঝটিকা সফর" এ সংযোজন করে দিতে পারতাম।
অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, বিষয়টি নিয়ে আমাকে শেখানোর আগ্রহ প্রকাশের জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭

ক্লে ডল বলেছেন: আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণঃ অনিশ্চয়তার দোলাচলে যে যাত্রার শুরু - ৪ এর ব্যাগের ছবি দুটির উপর ক্রূর দৃষ্টি দিয়ে চলে গিয়েছিলাম :)
আর আপনার ভ্রমণ পোষ্টে আসা হয়নি। :)

অবশেষে শ্রীনগরে! - ভাল লাগল। আপনার নিখুঁত ও সাবলীল বর্ণনা যেকোনো পাঠককে মুগ্ধ করবে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সিরিজের প্রথম চারটি পর্ব ছিল ভয়ানক টেনশনের। কাজেই কালো ব্যাগটির আপনার ক্রুর দৃষ্টি লাভ করাটা ঠিক আছে। এখন থেকে আশা করি পর্বগুলোতে ভ্রমণের স্বাদ পাবেন।
পর্বে ফিরে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। পাঠকের প্রশংসা লেখককে অনুপ্রাণিত করে। আপনার শেষের কথাটা আমাকেও করলো।
শুভকামনা....

২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

মা.হাসান বলেছেন: অবশেষে শ্রীনগর!!
ফুল বিহীন টিউলিপ গাছ গুলোও অনেক সুন্দর লাগছে।

গরীব মাঝি আব্দুল বাসিত জানে না কোথাও ধর্মের কারনে, কোথাও গায়ের রঙের কারনে, কোথাও গায়ের জোর কম হবার কারণে, কোথাও গরীব হবার কারনে- মানুষের উপর মানুষর নির্মমতা চলেই আসছে। দূর্বলের মুক্তি নেই :(

ছবিতে ডাল লেক খুব নির্জন মনে হলো।
কাশ্মিরি খাবারের অনেক সুনাম সুনেছি, ছবি দেখলে আরো ভালো লাগতো।

২৩ নম্বর মন্তব্যে আপনি যে জবাব দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে যোগ করতে চাই, স্নিপিং টুল দিয়ে আপনি স্ক্রিন থেকে টেক্সট বা ইমেজ কপি করতে পারবেন। নিচের ভিডিও দেখতে পারেন--
https://www.youtube.com/watch?v=2O932t8-k2A&pbjreload=10

https://www.youtube.com/watch?v=DQqwLkrqvmQ

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কোথাও ধর্মের কারনে, কোথাও গায়ের রঙের কারনে, কোথাও গায়ের জোর কম হবার কারণে, কোথাও গরীব হবার কারনে- মানুষের উপর মানুষর নির্মমতা চলেই আসছে। দূর্বলের মুক্তি নেই - এটা বাস্তব সত্য কথা। এ থেকে বাঁচতে হলে জ্ঞানার্জন করতে হবে এবং জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে হবে।
ছবিতে ডাল লেক খুব নির্জন মনে হলো সন্ধ্যা নামার আগে আগে ঐ সময়টাতে এলাকাটা নির্জনই ছিল। আর তা ছাড়া ঐ সময়ের একটু আগেই এক পশলা বৃষ্টি হয়েছিল।
কাশ্মিরি খাবারের অনেক সুনাম সুনেছি, ছবি দেখলে আরো ভালো লাগতো - খাবার সময় খিদের চোটে ছবি তোলার কথা আমাদের কারো মনে ছিল না। পরে এ নিয়ে আফসোস হয়েছে।
আপনার লিঙ্কে দেয়া ভিডিও ক্লিপগুলো দেখে আবার ফিরে আসার আশা রাখছি।
মন্তব্য এবং লাইকের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.