নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েকটি জাংশন রেলস্টেশনের স্মৃতিকথা

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪২



কোন রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে আর বিমানবন্দরের ট্রানজিট লাউঞ্জে অপেক্ষমান যাত্রীদের সময় কাটতে চায় না। অস্থির হয়ে তারা পায়চারি করেন, হাঁসফাঁস করেন। বারবার ঘড়ির দিকে তাকান, সাথে কোন রীডিং ম্যাটেরিয়াল থাকলে তা মেলে ধরে চোখ বুলান ঠিকই, কিন্তু পড়েন না। আসলে পড়তে পারেন না, কারণ মনোসংযোগ করতে পারেন না। আমার আবার এসব জায়গায় সময়টা বেশ কেটে যায়। একেবারে ছোটবেলা থেকেই আমি এরকম ব্যস্ত জনসমাগমকেন্দ্রে একলা ঘুরে ঘুরে সময় কাটাতে ভালবাসতাম। আজ আমি শুধু স্মৃতিময় কয়েকটা রেলওয়ে জাংশন স্টেশনে সময় কাটানোর কথা বলবো, আরেকদিন বলবো ব্যস্ত এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে ট্রাঞ্জিট যাত্রী হিসেবে অলস সময় কাটানোর কথা।

আমার নানাবাড়ী, হাড়িভাঙ্গা থেকে মাত্র আধা ঘন্টার হাঁটা পথের দূরত্বে ছিল বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রেলওয়ে জাংশন ‘লালমনিরহাট রেলওয়ে জাংশন’। তখনকার দিনে খুবই ব্যস্ত একটি রেলওয়ে জাংশন ছিল সেটা। সারাদিন ধরে নানামুখি ট্রেন আসা যাওয়া করতো। প্রধান রুট ছিল চারটেঃ লালমনিরহাট-বুড়িমারী, লালমনিরহাট-শান্তাহার, লালমনিরহাট-পার্বতীপুর আর লালমনিরহাট-মোগলহাট। আমরা কাজিনরা মিলে প্রায়ই স্টেশনে যেতাম আর ওভারব্রীজে দাঁড়িয়ে পিঁপড়ের মত ট্রেনগুলোর পিল পিল করে আসা যাওয়া দেখতাম আর গল্প করতাম। কখনো কাজিনরা যেতে না চাইলে আমি একাই যেতাম। ট্রেনের রিফ্রেশমেন্ট রুমে চমৎকার ফিরনি পাওয়া যেত। পকেটে পয়সা থাকলে মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে ফিরনি খেতাম। লালমনিরহাট-মোগলহাট রুটের দূরত্ব ছিল মাত্র ১০/১২ কিমি, মাত্র একটি স্টেশন। তবুও এ রুটটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ তখনকার দিনে মোগলহাট স্টেশন দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ বৈধভাবে ভারতে যাওয়া আসা করতে পারতো। মোগলহাটের পরে লাইনটি চলে গেছে ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর উভয় দেশের নাগরিকদের জন্য বৈধ পারাপারের এ সুযোগটি রহিত হয়ে গেলেও, মোগলহাট পর্যন্ত যাত্রীরা ঠিকই আসা যাওয়া করতো এবং সীমান্তের সন্নিকটবর্তী যাদের বসতি ছিল, তারা উভয় পারের সীমান্ত প্রহরীদের ‘ম্যানেজ’ করে যাওয়া আসা করতো। মোগলহাট যেহেতু প্রান্তিক স্টেশন ছিল, সেখানে কালো স্টীম ইঞ্জিনগুলো ঘুরানোর জন্য একটি রেলবৃত্ত ছিল, যেখানে উঠে ইঞ্জিনগুলোর মুখ ঘুরানো হতো।

আমার স্মৃতিপটে ‘লালমনিরহাট রেলওয়ে জাংশন’ ছাড়াও আরও বেশ ক’টি রেল-জাংশন ভাস্বর হয়ে আছে। লালমনিরহাট থেকে কুড়িগ্রামগামী যাত্রীরা ‘তিস্তা রেলওয়ে জাংশন’ এ নেমে কুড়িগ্রামের কানেক্টিং ট্রেন ধরতেন। আমি কখনো ট্রেনযোগে কুড়িগ্রাম যাইনি, তাই এই জাংশনে আমার কখনো সময় কাটানো হয়নি। তবে এই জাংশনে আমাদের ট্রেনটি থামলে আমরা ভাইবোনেরা একটু নড়ে চড়ে বসতাম, কারণ এ স্টেশন থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই ট্রেনটা উঠে যেত তখনকার দিনের ঐ এলাকার সবচেয়ে বড় রেলওয়ে ব্রীজ, তিস্তা ব্রীজে। ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে তীরবর্তী জেলেদের মাছ ধরা দেখতাম, পালতোলা নৌকা দেখতাম আর তিস্তা নদীর উপর এখানে সেখানে ভেসে ওঠা চর দেখে সেখানে অস্থায়ীভাবে বসতি গড়া লোকজনের কথা ভাবতাম। এই ব্রীজটি বাংলাদেশের বড় দুটি যুদ্ধের উভয় যুদ্ধেই বিধ্বস্ত হয়। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতীয় বিমানবাহিনী এর উপর বোমা বর্ষণ করে এবং ১৯৭১ এর যুদ্ধে পলায়নপর পাকিস্তানী সেনাদের ‘ইঞ্জিনীয়ার্স কোর’ এটাকে ‘রিজার্ভড ডেমোলিশন’ এ রেখে পলায়নের আগ মুহূর্তে ধ্বংস করে। স্বাধীনতার পর ভারতীয় বাহিনীর ‘ইঞ্জিনীয়ার্স কোর’ এটাকে পুনরায় মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে। আমরা যখন ঢাকা থেকে নানাবাড়ী যেতাম, নানী আমাদের বলতেন যে আমাদের ট্রেনটা তিস্তা ব্রীজে উঠলেই ট্রেনের সে ঘরঘর আওয়াজ নানাবাড়ী পর্যন্ত পৌঁছাতো এবং তা শুনে তিনি বুঝে যেতেন যে আমরা আর ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে পৌঁছে যাব, এবং তিনি সে অনুযায়ী খাবার দাবার তৈরি করে রাখতেন। যেদিন নানাবাড়ী ছেড়ে আবার ঢাকায় ফিরে আসতাম, তার আগের রাতে নানী আমাকে খুব আদর করে খাওয়াতেন আর ঘন ঘন শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ মুছতেন। প্রথমে ভাবতাম, উনুনের গরমে হয়তো উনি ঘেমে গেছেন, তাই মুখ মুছতেন। পরে আবার ভালো করে তাকালে বুঝতে পারতাম, উনি মুখ মোছার আড়ালে আসলে চোখের কোণা মুছতেন। আর খাবার মাঝেই বারে বারে মাথার উপর হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতেন, "ভাই খাও, আবার কবে দেখা হবে"!

এটুকু বলেই তার গলা ভেঙ্গে আসতো, আর আমার গলা বন্ধ হয়ে যেত। শখ করে নানা হাট থেকে আমার প্রিয় ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে আসতেন, বিকেলে নিজে গাই ছেঁকতেন, কারণ দুধ আর খাঁটি দুধের মোটা সর আমার খুব প্রিয় ছিল। কিন্তু নানীর সেই আদর করে খাওয়ানোর সময় তার রুদ্ধ কন্ঠস্বর শুনে আমার গলা দিয়ে আর কোন খাবার নিচে নামতে চাইতো না। আমি বারে বারে শুধু ঢোক গিলে একসময় খাওয়া ছেড়ে উঠে আসতাম। এখন যখন এ কথাগুলো আমি লিখছি, এখনো আমি মাথার উপর আমার মরহুমা নানীর হাত বুলানোর স্পর্শ অনুভব করছি। প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় এমন হৃদয়ের অনুভূতি ধীরে ধীরে একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে কিনা, কে জানে!।

‘তিস্তা জাংশন’ এর পরের স্টেশনটি ‘কাউনিয়া জাংশন’। ঢাকা থেকে রংপুর যেতে হলেও এ স্টেশন পার হতে হয়, আবার লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম যেতেও, এবং প্রত্যেকটি উল্টো পথেও। তাই এ স্টেশনটি আয়তনে ছোট হলেও দিনের ট্রেন পারাপারের নির্দিষ্ট সময়গুলোতে যাত্রীর ভিড়ে গমগম করতো। তখনকার দিনে রংপুর ছিল আমাদের জেলা শহর। তাই অনেক নৈমিত্তিক কাজে আমাদেরকে রংপুর আসা যাওয়া করতে হতো, আবার রাজধানী হিসেবে এবং পড়াশোনার কারণে ঢাকায়ও তো ঘন ঘন আসতে হতোই। কাজেই, এই উভয় গন্তব্যে যাওয়া আসার সময় আমাকে প্রতিবারই ‘কাউনিয়া জাংশন’ অতিক্রম করতে হতো। তাই, বাংলাদেশ রেলওয়ের যতগুলো জাংশন রয়েছে, তার মধ্যে এই ‘কাউনিয়া জাংশন’ আমি সর্বাধিকবার অতিক্রম করেছি, এতবার যে এর প্রতিটি ইট পাথর, পথ পাশের গাছপালা, টী-স্টলের লোকজন, সবই আমার অতি পরিচিত হয়ে গিয়েছিল। ছাত্রাবস্থায় ঢাকা আসার জন্য বাড়ী থেকে শেষরাতে ট্রেনে উঠতাম, কাউনিয়ায় আসতে আসতে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করতো, অরুণোদয় হতো। তখন স্টেশনের ফাঁকা প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিংবা পায়চারি করতে করতে দেখতাম, কিভাবে একটা ঘুমন্ত স্টেশন ধীরে ধীরে জেগে ওঠে।

কাউনিয়ার পরেই ‘বোনারপাড়া রেলওয়ে জাংশন’টি আমার কাছে অনেক স্মৃতিময়। সে স্মৃতিগুলোর কথা এখানে না বলে বরং এ জাংশনটি’র কথা স্মরণ করে আমি যে একটা কবিতা লিখেছিলাম, সেটারই লিঙ্ক এখানে দিয়ে দিচ্ছি। সেই কবিতাটিতেই আমার স্মৃতিগুলো ভাষা পেয়েছেঃ "কবিতাঃ বোনারপাড়া জংশন"

ট্রেনে চলাচলের সময় আমার ট্রেনগুলো ‘ময়মনসিংহ জাংশন’ অতিক্রম করতো বেশিরভাগ সময় মধ্যরাতে, রাত দুটো তিনটার দিকে। সেই স্মৃতি কিছুটা বর্ণিত হয়েছে আমার লেখা “স্মৃতিচারণঃ ময়মনসিংহ” পোস্টে। যদিও সে পোস্টটি মূলতঃ ময়মনসিংহ শহরকে নিয়ে লেখা, রেল জাংশনের কিছু কথাও সেখানে উঠে এসেছে।

‘পার্বতীপুর রেলওয়ে জাংশন’টি বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জাংশন স্টেশন। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশ থেকে বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর জেলায় রেলযোগে আসতে হলে এ স্টেশনটি অতিক্রম করতে হয়। এখানে রেলের একটি বড় প্রশিক্ষণ একাডেমি আছে, তাছাড়া এ জাংশানে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ লাইনগুলো একত্রিত হয় বিধায় এখানে যাত্রীদেরকে নেমে প্লাটফর্ম বদল করতে হয়। ছাত্রাবস্থায় আমি এ জাংশনে কখনো যাইনি। তবে কর্মজীবনে রংপুর, সৈয়দপুর থেকে রাজশাহী ও খুলনা এলাকায় যাবার সময় এ জাংশন কয়েকবার অতিক্রম করেছি। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকেও আন্তঃ-রেলডিভিশনে গমনাগমনের সময় এ পথ পাড়ি দিতে হতো বলে জাংশনটির ব্যবস্থাপনা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা উন্নত মানের ছিল। একবার আমাকে রংপুর থেকে রাজশাহীর সারদা (তখন দাপ্তরিক কাগজপত্রে ‘সরদহ’ লেখা হতো, হয়তো এখনো হয়) পুলিশ একাডেমিতে একটা ডিউটিতে যেতে হয়েছিল। ভোরে রংপুর থেকে ট্রেনে পার্বতীপুর জাংশনে এসে মিটারগেজ লাইনের ট্রেন পরিবর্তন করে ব্রডগেজ লাইনের ট্রেন ধরেছিলাম। সে ট্রেন আমাকে ‘আব্দুল্লাপুর জাংশন’ এ নামিয়ে দিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে চলে যায়। ‘আব্দুল্লাপুর জাংশন’ থেকে একটি ছোট ব্রাঞ্চ লাইন সারদা চলে যায়। খুব সম্ভবতঃ সারদা পুলিশ একাডেমিকে কানেক্ট করার জন্যই অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এ জাংশনটি খোলা হয়। তখন ব্রিটিশ ভারতের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ পুলিশ একাডেমি ছিল এই সারদা পুলিশ একাডেমি। আমি এক ঘন্টার মত একা সেই ‘আব্দুল্লাপুর জাংশন’ এ হাঁটাহাটি করে সময় কাটিয়েছিলাম। পড়ন্ত বিকেলে ঈশ্বরদী থেকে একটা ট্রেন এসে সেখানে থামলে আমি সেটতে উঠে পড়ি এবং ‘সরদহ’ স্টেশনে নেমে ঘোড়ার গাড়ীতে (স্থানীয় ভাষায় টাঙ্গা) চড়ে পুলিশ একাডেমিতে যাই। সেখানে গিয়ে আমার আরো কয়েকজন সতীর্থকে পাই। পুলিশ একাডেমির অতি সন্নিকটে অবস্থিত রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ। সেখানে থাকাকালীন একদিন আমরা কয়েকজন সতীর্থ রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের তৎকালীন এ্যাডজুট্যান্ট মেজর ওয়ালীউল্লাহ’র কাছ থেকে দাওয়াত পেলাম বিকেলে পদ্মার পাড় ঘুরে দেখে তার বাসায় বেড়াতে যাবার জন্য। আমরা খুশিমনে সে দাওয়াত কবুল করেছিলাম এবং একটি ভাল সন্ধ্যা উপভোগ করেছিলাম।

পার্বতীপুর-খুলনা লাইনে চলাচলের সময় আমার আরেকটা জাংশনের প্রতি আগ্রহ ছিল। সে জাংশনে আমি কখনো ট্রেন থেকে নামিনি, কিন্তু প্রতিবারই ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতাম শুধুমাত্র এ জাংশনের বাঁকটি দেখার জন্য। সে স্টেশনটির নাম ছিল ‘পোড়াদহ জাংশন’। স্টেশনের প্লাটফর্মটি ছিল একটি বাঁকের উপর, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বাঁকা ট্রেনটিকে দেখতে আমার খুব ভাল লাগতো। বাঁকা পথ জীবন পথের প্রতীক, এজন্য সড়ক পথ কিংবা রেলপথ, উভয়পথের বাঁক দেখতে আমার ভাল লাগে। এমন কি আকাশপথে যখন প্লেন বাঁক নেয়, তখনো আমি নীচে তাকাই। শূন্যে আমি বাঁক নিচ্ছি, এ কথা ভাবতে ভাল লাগে।

ছবিসূত্রঃ ছবিগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে।


ঢাকা
১৭ জানুয়ারী ২০২১
শব্দসংখ্যাঃ ১০৩৯


মন্তব্য ৭৯ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৭৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কমেন্টটি করছি জানিনা স্যার প্রথম মন্তব্য করতে পারব কিনা।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম 'হাজিরা' (এটাকে মন্তব্য বলছি না, ৫ নম্বরেরটা মন্তব্য) এবং প্রথম 'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৫

সোহানী বলেছেন: জাংশন এর স্মৃতিচারন ভালো লাগলো। তবে এরকম ফিরনি পাওয়া যেত তা জানা ছিল না। বরং ট্রেনের ভীতরে পচাঁ বাসি পাউরুটির টোস্ট পাওয়া যেত তা জানি.....হাহাহা। এখন কি অবস্থা জানা নেই।

তবে সত্য যে আমার ট্রেন জার্নি অসম্ভব ভালো লাগে। আমি মনে হয় একবার শেয়ার করেছিলাম যে সুইজারল্যান্ড থেকে জার্মানের বর্ডার টাউন পর্যন্ত আমি গেছিলাম ট্রেনে। আমার অসম্ভব প্রিয় একটি জার্নি। সুযোগ থাকার পরও প্লেনে যাইনি। বরং বেশী টাকা দিয়ে ট্রেনে চড়েছি।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি যে সময়ের কথা বলছি, সে সময়ে সচরাচর ট্রেনে বাসি ও পচা খাবার পরিবেশন করা হতো না। ট্রেনের বুফে কার এ হয়তো কখনো সখনো হলেও হতে পারে, কিন্তু আমি বলেছি প্লাটফর্মের 'রিফ্রেশমেন্ট রুম' এর কথা। সাধারণ যাত্রীরা সেখানে নির্ধারিত মূল্যে এবং রেলওয়ে স্টাফরা সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার খেত। আর তা ছাড়া লালমনিরহাট একটি রেলওয়ে ডিভিশন সদর দপ্তর হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ নজরদারি থাকতো। এখন বললে হয়তো শের শাহের আমলের মত শোনাবে, কিন্তু সে সময়ে মাত্র চার আনা দিয়ে এক প্লেট ফিরনি খেলে পেটের ক্ষুধাকে বেশ কিছুক্ষণ দমিয়ে রাখা সম্ভব হতো।

ট্রেন জার্নি আমারও অসম্ভব ভালো লাগে। আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া গিয়ে মেট্রো রেলে চড়েছি, কিন্তু ট্রেন জার্নি করি নাই, সে দুঃখ রয়ে গেছে। আগামীতে ইউরোপে যদি কখনো যাই, তবে সেখানে দীর্ঘ ট্রেন জার্নি করার ইচ্ছে পোষণ করি।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৭

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: আপনার জাংশন রেলস্টেশনের স্মৃতিকথা পড়ে খুব ভালো লেগেছে স্যার। আপনি অনেক ভাগ্যবান জীবনে অনেক ঘোরাঘুরি করেছেন অনেক কিছু দেখেছেন আমি কখনো পারবো কিনা জানিনা। আপনার এমন স্মৃতিকথা পড়তে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
আমি স্টেশনে সময় কাটাতে সব সময় বই পড়তে চেষ্টা করি।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি স্টেশনে সময় কাটাতে সব সময় বই পড়তে চেষ্টা করি - সেটাও একটা ভাল অভ্যেস। কিন্তু আমি বই পড়ায় যথেষ্ট মনোনিবেশ করতে পারি না।
আশাকরি, আপনিও একদিন অনেক ঘোরাঘুরি করে পারিপার্শ্বিকতা থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
পোস্ট পাঠের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ছোটকালে যখন ট্রেন ষ্টেশনে যেতেন, আপনার সমবয়স্ক ছেলেদের ফেরি করতে দেখেছেন?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, দেখেছি। সমবয়স্ক, বয়সে আরও কিছটা ছোট, কিছুটা বড়ও দেখেছি। আর বয়স্করা তো ছিলই। মাঝে মাঝে ওদের স্বাধীনতা দেখে ঈর্ষান্বিত হ'তাম, কিন্তু ওদের জীবন সংগ্রামের তীব্রতাটা হয়তো আঁচ করতে পারতাম না।

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জংশন স্টেশনের চমৎকার স্মৃতিকথা পড়লাম। লালমনিরহাট রেলওয়ে জংশন, তিস্তা ব্রিজ ও জংশন, কাউনিয়া জংশন, বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন, ময়মনসিংহ জংশন, পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন, টাংগাই করে সরদহ স্টেশনে যাওয়ার স্মৃতিকথায় ভালোলাগা। সবশেষে পার্বতীপুর- খুলনা রেললাইনের নাম উল্লেখ না করা বাঁকা পথের জংশনটিতে কখনও নামার প্রয়োজন না পরলেও বাঁকারেললাইন সম্পর্কে আপনার আবেগ তাড়িত অনুভূতিতে মুগ্ধ হলাম। উল্লেখ্য বাঁকাপথ বা তার ছবি দেখে আপনার আবেগ তাড়িত হওয়ার অনুভূতি আমি ইতিমধ্যে পেয়েছি। ছোট বেলায় সেই নানুবাড়ি,সেই কলেজে পড়তে আসা ও মাওয়ার দিনগুলো, কাজিনদের সঙ্গে ওভারব্রীজে সময় কাটানো আপনার স্মতিতে সুখস্মৃতি হয়েই থাকুক আজীবন। শুভেচ্ছা নিয়েন স্যার।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পার্বতীপুর- খুলনা রেললাইনের নাম উল্লেখ না করা বাঁকা পথের জংশনটি'র নাম ছিল "পোড়াদহ জংশন"। ত্রুটিটি আমার নজরে আসার সাথে সাথেই সম্পাদনা করে ক্লিক করেই দেখতে পেলাম, সেটা ইতোমধ্যে আপনার নজর কেড়েছে।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: রেলে ভ্রমন আমার ভালো লাগে।
বড় বড় স্টেশনে ট্রেন থামে। তাড়াহুড়া করে চা খাওয়া। লোকজন নামে, কিছু লোকজন উঠে। ভালো লাগে। ট্রেনের খাবারের মান ভালো না।

লালমনির হাঁট আমি কখনও যাইনি।
তবে খুলনা, চিটাগাং, সিলেট বহুবার গিয়েছি ট্রেনে করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জংশনে হবু ছিন্নমূল মানুষ শুয়ে থাকে, ভিক্ষা করে। যুগ যুগ ধরে রকমটা চলছে। এদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন নেই।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন নেই - ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে হলে এদেরকে সুসংগঠিত হতে হবে। কিন্তু কে করবে?
আপনার বর্ণনাতেও রেল স্টেশনের পরিচিত দৃশ্য ফুটে উঠেছে। +

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৮

ঢাকার লোক বলেছেন: এতগুলো জংসন স্টেশন রংপুর দিনাজপুর এলাকায় আছে আমার জানাই ছিল না! ঐদিকে আমার তেমন যাওয়াও হয়নি, একবারই শুধু দিনাজপুর, ঠাকুরগা গিয়েছিলাম, তাও সড়কপথে, আরিচা নগরবাড়ী, বগুরা,রংপুর হয়ে। আমার দেখা রেলওয়ে জংসন, ঢাকা.চট্টগ্রাম লাইনেই সীমিত, ভৈরব, আখাউড়া, লাকসাম! আপনার লেখা পড়ে মনে হলো আবার একদিন ট্রেনে উঠে বসি, ঘুরে আসি রংপুর দিনাজপুর। দেখি সুযোগ কবে আসে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মনে হলো আবার একদিন ট্রেনে উঠে বসি, ঘুরে আসি রংপুর দিনাজপুর। দেখি সুযোগ কবে আসে - আপনার এ মন্তব্যটা পড়ে আমার ভীষণ খুশি হবারই কথা ছিল। কিন্তু ভয় হচ্ছে, দিন দিন রেলের যাত্রীসেবার ও ব্যবস্থাপনার মান যেভাবে দ্রুতগতিতে নিম্নমুখি হচ্ছে, তাতে আপনি এমন একটি উদ্যোগ নিয়ে কি বিরূপ অভিজ্ঞতাই না অর্জন করেন!
এটা মূলতঃ আমার শৈশব এবং তরুণ বয়সের স্মৃতিচারণমূলক পোস্ট। আমরা তখন রেলের যে মান দেখেছিলাম, তার কথা এখনকার যাত্রীদের কাছে বললে তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না।
পোস্টটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমার মনে পড়লো রেল ভ্রমণের কথা। ফেনী হতে লাকসাম ,ফেনী হতে চিটাং, ফেনী হতে বিলোনীয়া। তবে দুঃখের বিষয় হলো বিলোনীয়া রেল চলাচল বন্ধ। বিলোনীয়া হলো ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত এলাকা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগের দিনের অনেক শাখা লাইনই আজ বন্ধ হয়ে গেছে।
পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: খায়রুল ভাই,
"কয়েকটি জাংশন রেলস্টেশনের স্মৃতিকথা" আপনার এই লেখাটা একটা মায়াময় স্মৃতি কথা হয়েছে । ঝিরি ঝিরি বয়ে যাওয়া শান্ত বাতাসে গা জুড়ানোর মতো কোমল একটা শান্তি পেলাম কেন যেন লেখাটা পড়তে পড়তে । আমার খুব ট্রেনে যাওয়া আসা করা হয়নি কখনোই।বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে আমার এই আড়ি নেওয়া সম্পর্কের কারণ হলো আমার আম্মা আর আব্বার জন্মস্থান । মানে আমাদের টাঙ্গাইল জেলার নাম এক সময় সাধারন জ্ঞানের বইয়ে 'বাংলাদেশের কোন জেলায় রেল লাইন নেই' এই প্রশ্নের উত্তরে থাকতো । যাহোক তবে কলেজ জীবনের শেষ দিকে বড় ভাইয়ার ভৈরব আর কিশোরগঞ্জে সরকারি চাকুরীর পোস্টিঙের সুবাদে আমার বেশ ট্রেনে যাওয়া আসা করতে হতো কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে। এছাড়া ইউনিভার্সিটি জীবনে একটা ঝমঝম বৃষ্টির রাতে কুমিল্লা রেলস্টেশেনা আমরা প্রায় সারা রাত কাটিয়ে ছিলাম ট্রেন লেট্ ছিল বলে । আমার আকাশ গঙ্গার তারা বইয়ের সেই রাত নিয়ে একই নামে একটা গল্প আছে। সেই মুসল ধারায় পড়া রেল স্টেশনের রাতটা আমার খুব মনে আছে এখনো। আব্বার বদলির চাকুরীর সুবাদে ছোট বেলায় আমার অনেক নদী অঞ্চলে থাকা হয়েছে দেশে । সেই নদীগুলো নিয়ে আপনার এই লেখাটার মত একটা স্মৃতিমাখা লেখা আমারও লিখতে ইচ্ছে করছে । ভালো থাকুন ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সেই নদীগুলো নিয়ে আপনার এই লেখাটার মত একটা স্মৃতিমাখা লেখা আমারও লিখতে ইচ্ছে করছে" - নদীর স্মৃতি তো আরও মায়াময় হবার কথা। তাড়াতাড়ি লিখে ফেলুন সে স্মৃতিকথাগুলো, কারণ সময়ও নদীর মত বহমান।
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৮

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: ছোটবেলার স্মৃতিচারন, ভালো লাগলো ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পারবর্তীপুর জংশনের কথা আজীবন মনে থাকবে। অনেক স্মৃতি রয়েছে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পারবর্তীপুর জংশনের কথা আজীবন মনে থাকবে। অনেক স্মৃতি রয়েছে" - লিখুন সেসব স্মৃতির কথা, আমরাও শুনি! :)

১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনার ব্লগে স্মৃতিময় পোস্টগুলো পড়তে আমারও বেশ লাগে।
লিংক এড দেয়া ব্লগগুলি ঘুরে দেখলাম, মন্তব্যও করা আছে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার ব্লগে স্মৃতিময় পোস্টগুলো পড়তে আমারও বেশ লাগে। লিংক এড দেয়া ব্লগগুলি ঘুরে দেখলাম, মন্তব্যও করা আছে" - অনেক ধন্যবাদ, 'বেশ লাগা'র কথাটা এখানে জানিয়ে যাবার জন্য। লিঙ্কের পোস্টগুলোতে আগেই মন্তব্য করেছিলেন, এ কথা জেনেও প্রীত হ'লাম।
ভাল থাকবেন, শুভকামনা....

১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২২

শায়মা বলেছেন: ছোটবেলায় মাথায় ঢুকতো না স্টেশন আর জাংশনের পার্থক্য কি? মনে হয় তারপর আর জানাই হয়নি।

যাইহোক বাঁকা পথের বাঁক নেওয়া ভালো লাগে তোমার ঠিক আছে কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর পাহাড়ী পথের বাঁক।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: যেখান থেকে "আজ দু'জনার দু'টি পথ ওগো, দুটি দিকে গেছে বেঁকে" শুরু হয়, অর্থাৎ যেসব রেল-স্টেশন থেকে দুটো রেলপথ দু'দিকে চলে যায়, সেসব স্টেশনকে 'জাংশন স্টেশন' বলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, আপনি যদি ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে রেলযোগে রওনা হয়ে উত্তর দিকে আসতে থাকেন, তবে ক্রমানুযায়ী তেজগাঁও, ক্যান্টনমেন্ট এবং বিমানবন্দর স্টেশনগুলো শুধুই স্টেশন, কিন্তু তার পরের স্টেশন টঙ্গী একটি জাংশন স্টেশন, কারণ টঙ্গী থেকে একটা রেলপথ চলে গেছে কুমিল্লা-চট্টগ্রাম এর দিকে, অপরটা গাজীপুর-রাজেন্দ্রপুর-ময়মনসিংহের দিকে। বাকীগুলো থেকে এভাবে ভিন্নদিকে যাওয়া যাবেনা, তাই সেগুলো জাংশন স্টেশন নয়।
"সবচেয়ে সুন্দর পাহাড়ী পথের বাঁক" - অতি অবশ্যই তাই। আমাদের দেশের পার্বত্য চট্টগ্রমাের পাহাড়ি পথগুলো খুব সুন্দর, আর বাঁকের জায়গাগুলো আরও বেশি সুন্দর, মনোরম।

১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্মৃতিকথা সব সময়ই ভীষণ মনের কাছের লেখা !
ভালোলাগা।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "স্মৃতিকথা সব সময়ই ভীষণ মনের কাছের লেখা" - জ্বী, আপনি ঠিকই বলেছেন। স্মৃতিকথা সব সময়ই মনের কথা।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০০

ঢুকিচেপা বলেছেন: “আমরা যখন ঢাকা থেকে নানাবাড়ী যেতাম, নানী আমাদের বলতেন যে আমাদের ট্রেনটা তিস্তা ব্রীজে উঠলেই ট্রেনের সে ঘরঘর আওয়াজ নানাবাড়ী পর্যন্ত পৌঁছাতো এবং তা শুনে তিনি বুঝে যেতেন যে আমরা আর ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে পৌঁছে যাব, এবং তিনি সে অনুযায়ী খাবার দাবার তৈরি করে রাখতেন।”

প্রযুক্তির এই যুগে এমন হৃদয়ের অনুভূতি আর কখনো আসবে না।

ট্রেনে করে উত্তরবঙ্গে কখনো যাওয়া হয়নি। লেখা পড়ে অনেকগুলে জাংশন ঘুরে এলাম।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে পোস্ট থেকে উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ।

হৃদয়ের অনুভূতি শব্দ দুটো মনে রেখাপাত করে গেল। যেদিন নানাবাড়ী ছেড়ে আবার ঢাকায় ফিরে আসতাম, তার আগের রাতে নানী আমাকে খুব আদর করে খাওয়াতেন আর ঘন ঘন শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ মুছতেন। প্রথমে ভাবতাম, উনুনের গরমে হয়তো উনি ঘেমে গেছেন, তাই মুখ মুছতেন। পরে আবার ভালো করে তাকালে বুঝতে পারতাম, উনি মুখ মোছার আড়ালে আসলে চোখের কোণা মুছতেন। আর খাবার মাঝেই বারে বারে মাথার উপর হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতেন, "ভাই খাও, আবার কবে দেখা হবে"!

এটুকু বলেই তার গলা ভেঙ্গে আসতো, আর আমার গলা বন্ধ হয়ে যেত। শখ করে নানা হাট থেকে আমার প্রিয় ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে আসতেন, বিকেলে নিজে গাই ছেঁকতেন, কারণ দুধ আর খাঁটি দুধের মোটা সর আমার খুব প্রিয় ছিল। কিন্তু নানীর সেই আদর করে খাওয়ানোর সময় তার রুদ্ধ কন্ঠস্বর শুনে আমার গলা দিয়ে আর কোন খাবার নিচে নামতে চাইতো না। আমি বারে বারে শুধু ঢোক গিলে একসময় খাওয়া ছেড়ে উঠে আসতাম। এখন যখন এ কথাগুলো আমি লিখছি, এখনো আমি মাথার উপর আমার মরহুমা নানীর হাত বুলানোর স্পর্শ অনুভব করছি।

এগুলোই হৃদয়ের অনুভূতি!

১৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন নেই - ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে হলে এদেরকে সুসংগঠিত হতে হবে। কিন্তু কে করবে?
আপনার বর্ণনাতেও রেল স্টেশনের পরিচিত দৃশ্য ফুটে উঠেছে।


দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর হয়ে গেলো। তবু এদের ভাগ্যের পরিবর্তন কেন হচ্ছে না?
এই প্রশ্নের উত্তর দেবে কে?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: কোন পরিবর্তনও হবে না, উত্তরও কেউ দেবে না।

১৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " হ্যাঁ, দেখেছি। সমবয়স্ক, বয়সে আরও কিছটা ছোট, কিছুটা বড়ও দেখেছি। আর বয়স্করা তো ছিলই। মাঝে মাঝে ওদের স্বাধীনতা দেখে ঈর্ষান্বিত হ'তাম, কিন্তু ওদের জীবন সংগ্রামের তীব্রতাটা হয়তো আঁচ করতে পারতাম না। "

-আমি সেটাই বুঝতে চেয়েছিলাম, আপনার সমবয়স্করা যখন ফেরী করছিলো, তাদের নিয়ে আপনার মনে কোন রকম ভাবনা-চিন্তা এসেছিলো কিনা।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৯

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। ক্লাস সিক্সে রচনা যখন লিখলাম এ জার্নি বাই ট্রেন, তখনও আমি রেলওয়ে স্টেশন দেখিনি, ভ্রমন তো দূরের কথা। এরপর অনেকবারই তো ভ্রমন করেছি, তবে আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা ছিল - সান্তাহার রেলওয়ে জংশন থেকে বগুড়া শহরের স্টেশনে ভ্রমন করা। সেসময় সাইক্লিং করতাম, সাইকেলে করে বগুড়া থেকে সান্তাহার গিয়েছিলাম। এরপর ফেরার সময় কার্গো ট্রেন ধরে পা ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে দূর দিগন্ত দেখে বগুড়া ব্যাক করলাম।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: গুডস ট্রেন এর 'গার্ড ভ্যান' এ বসে কিছুটা পথ পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা আমারও রয়েছে। উপভোগ করেছিলাম সে অভিজ্ঞতাটা। তবে একটা ইচ্ছে আজও অপূর্ণ রয়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ইঞ্জিন চালকের রুমে বসে কিছুটা পথ চলা।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৪

শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারন গুলি খুবই ভাল লাগলো।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

২০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৬

শায়মা বলেছেন: "সবচেয়ে সুন্দর পাহাড়ী পথের বাঁক" - অতি অবশ্যই তাই। আমাদের দেশের পার্বত্য চট্টগ্রমাের পাহাড়ি পথগুলো খুব সুন্দর, আর বাঁকের জায়গাগুলো আরও বেশি সুন্দর।

ঠিক আছে আজ থেকে তবে এসব পাহাড়ী জংশন...... :)

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে! :)

২১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫০

করুণাধারা বলেছেন: অনেক দিন হয় কোন ট্রেনে চড়িনি; ট্রেনে চলার সময় ছোটবেলায় নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতাম, আমি যে কথাই বলি ট্রেনও সেই কথাটা আমার সাথে সাথে বলতে থাকে। এই আনন্দের স্মৃতি মনে পড়ে গেল আপনার পোস্ট পড়ে। পোস্ট পড়তে পড়তে রেলগাড়ির সেই ঝমাঝম শুনছিলাম। জানিনা এই জংশনগুলোর কোনটা দেখা হয়েছে কিনা! আমি মাত্র একবারই রংপুর বা সৈয়দপুর থেকে খুলনা গিয়েছিলাম, ট্রেনলাইনের একেবারে পাশেই ভারতীয় ভূমি দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম...

স্মৃতি জাগানিয়া পোস্টে প্লাস।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এই জংশনগুলোর কোনটা দেখা হয়েছে কিনা! আমি মাত্র একবারই রংপুর বা সৈয়দপুর থেকে খুলনা গিয়েছিলাম" - রংপুর বা সৈয়দপুর থেকে খুলনা গিয়ে থাকলে আপনি উপরোল্লিখিত জাংশনগুলোর মধ্যে মাত্র দুটো দেখেছিলেনঃ পার্বতীপুর জাংশন এবং পোড়াদহ জাংশন।
"স্মৃতি জাগানিয়া পোস্টে প্লাস" - অনেক ধন্যবাদ, প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০

রামিসা রোজা বলেছেন:
ট্রেনজার্নি একটা সময় আমি অনেক করেছি ভালো লাগে।
আপনার বিভিন্ন যাত্রায় বিভিন্ন জংশনের নাম ও স্মৃতিকথা
এক নিমিষেই পরে শেষ করে ফেললাম ।
অসম্ভব ভালো লেগেছে পড়তে আমি আপনার এ বিষয়ে
অন্য লেখাগুলো পড়বো লিংক ধরে ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, পোস্টে এসে এখানে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। প্লাসে এবং পোস্টটা আপনার অসম্ভব ভালো লেগেছে, এ কথা জেনে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
"আমি আপনার এ বিষয়ে অন্য লেখাগুলো পড়বো লিংক ধরে" - এ কথার জন্যেও অনেক ধন্যবাদ। আশাকরি, অল্প কথায় হলেও লিঙ্কের পোস্টগুলো কেমন লেগেছে সে কথা জানিয়ে আসবেন পোস্টগুলোতেই।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....

২৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

স্মৃতিকাতর করার মতো লেখা। মনে হয়, লেখক অনেক স্মৃতিকাতরতায় ভোগেন।


পার্বতীপুর নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারবেন। হয়তো অনেক সাহিত্যে এসেছে পার্বতীপুর জংশনের কথা।
কয়েক বছর আগে উত্তরবঙ্গে রেলে যাবার আয়োজন হলো।
আমাকে যখন জানানো হলো যে, আমাকে পার্বতীপুর নামতে হবে, জিজ্ঞেস করলাম এটি সে্ই পার্বতীপুর জংশন কিনা।
বিষয়টি খুব আনন্দের ছিলো।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ঠিকই মনে হয়েছে। স্মৃতিচারণ করতে এখন ভাল লাগে।
আমার বাড়ী উত্তরবঙ্গে বিধায় ওসব পথে বহুবার যাতায়াত করতে হয়েছে। আর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি সব সময়ই মধুর।
পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ভাল লাগল উত্তর বঙ্গের কিছু বিখ্যাত রেলওয়ে জংশনের কথামালা পাঠে ।
আশির দশকে কর্মপোলক্ষে বিস্তর যাতায়াত ছিল বৃহত্তর রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলিতে । সে কারণে ঐ
এলাকার প্রায় সবগুলি রেল জংশনে উপর দিয়ে গিয়েছি( বিরতি কিংবা ট্রেন পরিবর্তনের সময়ে ট্রেন হতে নেমে
অবস্থান করেছি অনেকগুলি রেলওয়ে জংশনেই)। প্রায় বছর খানেক (মাঝে মাঝে বিরতি সহ ) অবস্থান করেছি
রংপুরের বদরগঞ্জ সরকারী ডাক বাংলোতে । বদরগঞ্জ থেকে দিনাজপুর যাতায়াত করতে হতো প্রায়ই ।
সে সময় পার্বতিপুর রেল জংশনে কাটিয়েছি অনেক লম্বা প্রহর । সে সময়কার পার্বতিপুর রেলওয়ে জংশনের
স্মৃতিময় অনেক ছবিই ভেসে উঠে এ পোষ্টটি পাঠ কালে । তার একটিকে ধরে আনলাম উইকিপিডিয়া হতে।

ছবি সুত্র : https://bn.wikipedia.org/wiki/ পার্বতীপুর_জংশন_রেলওয়ে_স্টেশন
১৮৭৮ সাল হতে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার রেলপথের দুটি রুটে যাতায়াত সম্পন্ন হতো। উত্তরবঙ্গ রেলওয়ের
৩৩৬ কিলোমিটার দূরত্বের মিটারগেজ লাইনটি পদ্মা নদীর উত্তর তীরের সারাঘাটকে শিলিগুড়ির সাথে যুক্ত করত।
ছবি : শিলিগুড়ি শহড়ের একটি প্যনরমিক ভিউ

সুত্র : https://bn.wikipedia.org/wiki/ শিলিগুড়ি
শিলিগুড়ি গিয়ে পৌঁছলে দার্জিলিং এর মনোরম পাহাড়ী দৃশ্য দেখার জন্য সুন্দর ও হৃদয়গ্রাহী সুযোগ পাওয়া যেতো ।
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত প্রাচীন বাষ্পীয় ইঞ্জিনে টানা একটি খেলনা ট্রেনগাড়ি বা টয় ট্রেন পাহাড় দিয়ে
খাড়া পথ ধরে চলাচল করে পর্যটকদের বহু বিখ্যাত দৃশ্য দেখার সুযোগ করে দিত । জানা যায় সমুদ্রপৃষ্ঠ
থেকে প্রায়১০০ মিটার (৩২৮ফুট) থেকে দার্জিলিংয়ে প্রায় ২২০০মিটার (৭২১৮ ফুট) উচ্চতায় যেতে পারে ।
শিলিগুড়ি হতে দার্জিলিং পর্যন্ত চলাচলকারী ১৮৮০ সনের একটি বাষ্পীয় টয় ট্রেন

সুত্র : https://darjeeling.gov.in/bn/tourist-place/ দার্জিলিং-হিমালয়ান-রেলপ/
সম্প্রতি বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার চিলাহাটি থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার
জেলার হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেলপথ আবারও চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত ।
এর ফলে দীর্ঘ ৫৫ বছর পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে এই রুটের যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ। এখন নাকি শুধু
পন্যবাহী ট্রেন চলবে । সংবাদ ভাষ্য মতে এই রেলপথ কলকাতা থেকে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের
ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর-সৈয়দপুর-নীলফামারী-ডোমার-চিলাহাটি হয়ে ভারতের হলদিবাড়ি এরপর সেখান
থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাবে।
এ বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে যাত্রী পরিবহন শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কথা ও ছবি সুত্র: https://www.bbc.com/bengali/news-55278907
ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে আশা করা যায় এ পোষ্টে বর্ণিত রেলওয়ে জংশনগুলির গুরুত্ব দিন দিন বাড়তে থাকবে ।

স্মৃতি জাগানিয়া পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্য মানেই, সেখানে বিশেষ কিছু থাকবেই। আপনার মন্তব্যের কথা ও চিত্রগুলো আমার এ পোস্টকে সমৃদ্ধ করলো, সেজন্য অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সত্তরের দশকের শেষের দিকে আমি যখন রংপুরে ছিলাম, তখন দুই একবার বদরগঞ্জ যাওয়া হয়েছিল। মনে পড়ে, ঐ পথে রংপুর থেকে ৭/৮ মাইল (আনুমানিক) যাওয়ার পর নিশবেতগঞ্জ নামে একটা জায়গা পড়তো। সে জায়গাটা 'সতরঞ্চি'র জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। নিশবেতগঞ্জের 'সতরঞ্চি'র প্রসিদ্ধি সারা দেশ ছাড়াও ভারতেও ছড়িয়ে গিয়েছিল। আমাদের কুটির শিল্পের আরও অনেক প্রসিদ্ধ পণ্যের মত সতরঞ্চিও আজ বিলুপ্ত।
তখন রংপুর-বদরগঞ্জ সড়কটি একটি সরু সড়ক ছিল। নব্বই এর দশকে খোলাহাটিতে একটি নতুন সেনানিবাস স্থাপিত হবার কারণে রাস্তাটির গুরুত্ব রাতারাতি বেড়ে যায়। এখন বোধকরি সেটা একটি প্রশস্ত, ব্যস্ত সড়ক।
পোস্টটি সাদরে "প্রিয়"তে তুলে রাখার জন্য জানাচ্ছি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

২৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য ।
শতরঞ্চি এখনো একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি ।
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সহ কতক বেসরকারী এনজিও
রংপুরের শতরঞ্চি বুনন শিল্পকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা
দিয়ে যাচ্ছে । এই সুযোগে রংপুরের বিখ্যাত শতরঞ্চি
নিয়ে সকলের সাথে আরো কিছু কথামালা শেয়ার করে
নেয়া যায় ।

রংপুর শহরের উপকন্ঠে সেনানিবাসের পশ্চিমে ঘাঘট নদীর তীরে অবস্থিত গ্রাম নিসবেতগঞ্জ সত্যিই
শতরঞ্চি নামক শিল্পের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক উর্বর ভূমি। অষ্টাদশ শতকের চল্লিশের দশকের কথা।
বৃটিশ নাগরিক মি. নিসবেত তৎকালীন রংপুর জেলার কালেক্টর ছিলেন। সেই সময়ে নিসবেতগঞ্জের নাম
ছিল পীরপুর। পীরপুর গ্রামে সে সময়ে মোট মোটা ডোরাকাটা রং-বেরংয়ের সুতার গালিচা বা শতরঞ্চি তৈরী
হত। মি. নিসবেত এসব শতরঞ্চি দেখে মুগ্ধ হন। পরবর্তীতে তিনি শতরঞ্চি গুণগতমান উন্নয়ন এবং এ
শিল্পের প্রচার ও প্রসার এর লক্ষ্যে সহায়তা প্রদান করেন এবং উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক বিপণন ব্যবস্থার
বন্দোবস্ত করেন। এ শিল্পের মান উন্নয়ন ও বিপনণ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্যই মি. নিশবেতের
নামানুসারে শতরঞ্চি সমৃদ্ধ এ গ্রামটির নামকরণ হয় নিসবেতগঞ্জ।

রংপুর জেলার প্রাচীনতম শিল্প ও গৌরবময় ঐতিহ্য হচ্ছে শতরঞ্চি। ইতিহাস থেকে যদ্দুর জানা যায়,
এয়োদশ শতাব্দীতেও এ এলাকায় শতরঞ্চির প্রচলন ছিল। রাজা-বাদশাহদের গৃহে এর ব্যাপক কদর ছিল।
মোঘল সম্রাট আকবর-এর দরবারে শতরঞ্চি ব্যবহার করা হত বলে ইতিহাস থেকে জানা যায় ।
ত্রিশ দশকের জমিদার জোতদারদের ভোজের আসন হিসেবে শতরঞ্চি ব্যবহারের কথা শোনা যায়।
সে সময়ে শতরঞ্চি রাজা-বাদশাহ্, বিত্ত্ববানদের বাড়িতে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হত।
বৃটিশ শাসনামলে শতরঞ্চি এত বেশী জনপ্রিয়তা লাভ করে যে এখানকার তৈরী শতরঞ্চি সমগ্র ভারতবর্ষ,
বার্মা, সিংহল, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী হত।

বর্তমান বিশ্বে বুনন শিল্পের মধ্যে ‘‘শতরঞ্চি বুনন’’ সবচেয়ে প্রাচীনতম। মজার ব্যাপার হলো, এ পণ্য
উৎপাদনে কোন প্রকার যান্ত্রিক ব্যবহার নেই। কেবলমাত্র বাঁশ এবং রশি দিয়ে মাটির উপর সুতো দিয়ে
টানা প্রস্ত্তত করে প্রতিটি সুতা গননা করে হাত দিয়ে নকশা করে শতরঞ্চি তৈরী করা হয়।

বর্তমান সভ্যতায় কারুশিল্পের প্রতি মানুষের আকর্ষণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে যা শতরঞ্চির জন্য
অত্যন্ত শুভ । বর্তমানে রংপুরের শতরঞ্চি ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও এশিয়ার প্রায় ৩৬টি দেশে
রপ্তানী হচ্ছে । এমনকি বাংলাদেশেও রংপুরের শতরঞ্চির ব্যাপক চাহিদা । বর্তমানে কারুপণ্য রংপুর
লিমিটেড নামক একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে শতরঞ্চি তৈরীর পাঁচটি কারখানা ।
(তথ্য সুত্র : রংপুর সরকারী কলেজের অর্থনীতি বিভাগ, ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত
https://www.facebook.com/rgc.economics/posts/2526749460750985 ) ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মন্তব্যের সূত্র ধরে 'শতরঞ্চি' সম্পর্কে হালফিল তথ্য ছবিসহ সংযোজন করে আমার এ পোস্টটাকে আরো অনেক সমৃদ্ধ করে গেলেন, এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
"বর্তমানে রংপুরের শতরঞ্চি ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও এশিয়ার প্রায় ৩৬টি দেশে রপ্তানী হচ্ছে । এমনকি বাংলাদেশেও রংপুরের শতরঞ্চির ব্যাপক চাহিদা" - রংপুরের সন্তান হিসেবে এ তথ্যটি আমার জন্য সত্যিই অনেক আনন্দ এবং তৃপ্তিদায়ক।

২৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তেমন রেল ভ্রমণের সুযোগ হয় নাই এ জীবনে; ৫/৭ বার হবে। তবে এর মধ্যেই ঢাকা হতে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, দিনাজপুর; চারিদিকেই যাওয়া হয়েছে। তবে রেল স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম, রেল জংশন এর ব্যস্ততা আমাকে ভীষণ টানে।

আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি হতে শেয়ার করা এই জংশন নিয়ে,স্মৃতিচারণ খুব ভালো লেগেছে। তবে আমাদের দেশের রেলওয়ে স্টেশন এর চাইতে ভারতীয় রেল স্টেশন বেশী দেখা হয়েছে বলে সেখানকার বৈচিত্র খুব বেশী চোখে পড়েছে।

অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। কেমন আছেন আপনি? আশা করি ভালো। আপনার সুস্থতা এবং সার্বিক মঙ্গল কামণা রইলো; ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা নিরন্তর।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনাকে আমার পোস্টে পেয়ে খুব খুশি হ'লাম।
"রেল স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম, রেল জংশন এর ব্যস্ততা আমাকে ভীষণ টানে" - আমাকেও টানে। আজীবন টেনেছে, এখনও টানে। তবে, শুধুমাত্র পরিচ্ছন্নতার অভাবের কারণে এখন আর তেমন ট্রেনে উঠতে ইচ্ছে করে না। সময়ানুবর্তিতাও নেই, এটাও একটা কারণ।
ভারতের রেলের মান অনেক উন্নত এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন। আমিও ভারতীয় রেলের রাজধানী এক্সপ্রেস এ ভ্রমণ করেছি এবং সে ভ্রমণ বেশ উপভোগ করেছি।
আমার সুস্থতা এবং সার্বিক মঙ্গল কামনা করায় অভিভূত হ'লাম। আশাকরি, আপনিও ভাল আছেন, সপরিবারে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা....

২৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২১

আখেনাটেন বলেছেন: ট্রেনের বাঁক বদলের দৃশ্যটা পাহাড়ি জনপদগুলোতে বেশ লাগে। আপনার দেখছি বেশ ছোটকাল থেকেই ট্রেনের সাথে সখ্য ছিল। আমাদের সে সৌভাগ্য ছিল না। আশেপাশের বিশ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ট্রেন লাইনই ছিল না।

অভিজ্ঞতার চমৎকার বয়ান। আপনার স্মৃতির পটের এই মণিমুক্তাগুলো পড়া সুখানুভূতির জন্ম দেয়।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার দেখছি বেশ ছোটকাল থেকেই ট্রেনের সাথে সখ্য ছিল" - হ্যাঁ, প্রতিবছর আমাদের ভাইবোনদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে স্কুলে লম্বা ছুটি হতো, সেই সময়টাতে আব্বাও ছুটি নিতেন। সবাই মিলে ট্রেনে চেপে নানাবাড়ী-দাদাবাড়ী বেড়াতে যেতাম। রেলপথেই আমাদের সুবিধা হতো সড়ক পথের চেয়ে।
"আপনার স্মৃতির পটের এই মণিমুক্তাগুলো পড়া সুখানুভূতির জন্ম দেয়" - অনেক ধন্যবাদ, এমন চমৎকার একটি প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য।

২৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: লোকাল ট্রেন ছাড়া আর রেল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নেই।আপনার স্মৃতিচারণ পড়তে পড়তে সেখান থেকে ঘুরে এলাম।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "লোকাল ট্রেন ছাড়া আর রেল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নেই" - কোন লাইনের লোকাল ট্রেনে চড়েছেন?

২৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার শৈশব ও কৈশোরের সাথে ট্রেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ওই সময়টা উত্তরবঙ্গে কাটানোর ফলে ফলে যশোরে আসার একমাত্র বাহনই ছিলো ট্রেন। তাই ট্রেন নিয়ে আমার স্মৃতিকাতরতা অসম্ভব। সে হিসেবে গত কয়েকদিন ধরে বারে বারে এই লেখাটা খুলছি কিন্তু সময়ের অভাবে পড়তে পারছিলাম না। আজ এ লেখাটা পড়তে গিয়ে কত কত সব স্মৃতি এসে ভর করছে। শেষ বিকেলের ধরে আসা কমলা রঙের সাথে মরিচারঙের ট্রেনগুলো পটে বসা সূর্যকে পাশে রেখে চলে যাওয়ার সে স্বর্গীয় দৃশ্যগুলো যেনো পিকাসোর মাস্টার পিস একেকটা! অসম্ভব স্মৃতিকাতরতা!!

“আমরা যখন ঢাকা থেকে নানাবাড়ী যেতাম, নানী আমাদের বলতেন যে আমাদের ট্রেনটা তিস্তা ব্রীজে উঠলেই ট্রেনের সে ঘরঘর আওয়াজ নানাবাড়ী পর্যন্ত পৌঁছাতো এবং তা শুনে তিনি বুঝে যেতেন যে আমরা আর ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে পৌঁছে যাব, এবং তিনি সে অনুযায়ী খাবার দাবার তৈরি করে রাখতেন।”- এই কথাটা খুব মজা লাগলো। একবার সন্ধ্যার দিকে যশোহর (সে সময় সারদহ এর মত যশোরকে যশোহর লেখা হত) (জংশনে এসে নামলাম। নেমে দেখি সেজচাচা, চাচাতো ভাইসহ আরও কয়েকজন আমাদের রিসিভ করতে এসেছেন। সন্ধ্যার পর চাচার বাসার ছাদে গুলতানি মারছি, হঠাৎ ভোঁ-ও-ও শব্দে বেশ দুরের রেললাইন দিয়ে একটা ট্রেন চলে গেলো, আমরা শুধু তার শব্দ শুনলাম আর দ্রুত সরে যাওয়া জানালার আলো দেখলাম।

আমি আমার চাচাতো ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম- আপনারা যে স্টেশনে গিয়েছিলেন, জানলেন কি করে যে আমরা আসছি? বয়সে বড় জুয়েল ভাই প্রায় আধা কিলোমিটার দুর দিয়ে চলে যাওয়া ওই ট্রেন দেখিয়ে বললেন- আমরা এখান থেকে ট্রেনে তোমাদের দেখতে পেয়েছিলাম..... ওই বয়সে জুয়েল ভাইয়ের সে কথা বিশ^াসও করতে পারছিলাম না আবার অবিশ^াসও করতে পারছিলাম না।

করুণাধারা বলেছেন- অনেক দিন হয় কোন ট্রেনে চড়িনি; ট্রেনে চলার সময় ছোটবেলায় নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতাম, আমি যে কথাই বলি ট্রেনও সেই কথাটা আমার সাথে সাথে বলতে থাকে। হা হা হা, এটাও একটা কমন স্মৃতি।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "শেষ বিকেলের ধরে আসা কমলা রঙের সাথে মরিচারঙের ট্রেনগুলো পটে বসা সূর্যকে পাশে রেখে চলে যাওয়ার সে স্বর্গীয় দৃশ্যগুলো যেনো পিকাসোর মাস্টার পিস একেকটা!" - ঠিক বলেছেন। পিকাসোর এমন অনেক মাস্টার পিস আমার মনের দেয়ালেও ঝুলে আছে।
আমার দাদাবাড়ীর উত্তর পাশ ঘেঁষা ছিল বিন্যাগাড়ীর বিল। সেই বিলের উত্তর পাশ ঘেঁষে চলে গেছে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথ, যা ব্রিটিশ আমলে ভারতেও চলে গিয়েছিল। পাকিস্তান আমলে লাইনটি ঠিকই ছিল, কিন্তু রেল চলাচল ছিল না। গোটা একটি দিনে দুটো আপ আর দুটো ডাউন মিলে মোট চারটা ট্রেন চলাচল করতো। দুটো দিনে আর দুটো রাতে। ইঞ্জিনের কুউউউ/ভোঁওওও শব্দ (৭০ এর আগে কালো কয়লার ইঞ্জিনের কুউউউ এবং স্বাধীনতার পর ডিজেল ইঞ্জিনের ভোঁওওও) শুনে দৌড়ে বিলের পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম। গাছ গাছালির ফাঁক ফোঁকর দিয়ে দেখতাম পিঁপড়ার মত পিলপিল করে এগিয়ে যাওয়া সেই মরিচারঙের ট্রেনগুলো। আর রাতের বেলা আলো ঝলমল চলমান ছোট ছোট কামরাগুলো দেখে কেমন একটা মায়াবী অনুভূতি হতো!
করুণাধারা'র সেই পরীক্ষাটা আমরা ভাইবোনরা মিলেও পরখ করে দেখতাম।
স্মৃতিকাতর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে প্রাণিত।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সে সময় সরদহ এর মত যশোরকে যশোহর লেখা হত - এ দেশের রেল এক সময়ের আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে এর উত্তরসূরী। সরদহ, যশোহর, এসব 'অহমিয়া' বা অসমীয় ভাষার বানান রীতি। আপনার খেয়াল আছে কিনা জানিনা, আগে রেলের কামরাগুলোতে লেখা থাকতো '.... জন বসিবেক' (যেমন ধরুন '২০ জন বসিবেক)। এই বসিবেক কথাটাও অসমীয় বচন।

৩০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: নারায়নগঞ্জ-কমলাপুর লাইনেই চড়েছি শুধু। তবে একবার শুধু কমলাপুর থেকে টঙ্গী গিয়েছি। লোকাল ট্রেনে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা তেমন সুখকর নয়। দাঁড়িয়ে থাকা,গাদাগাদি সহ আরো সমস্যা ছিলো সেসময়।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: বুঝতে পারলাম, আপনার দুটো অভিজ্ঞতার কোনটাই রেলভ্রমণকে ভাল লাগার জন্য যথেষ্ট ছিল না। সম্ভব হলে একবার ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট অথবা ঢাকা-রংপুর এর মত দীর্ঘ কোন রুটে ভ্রমণ করবেন। আশাকরি এখনো ভাল লাগবে, যদিও রেলের অবস্থা এখন পূর্বের তুলনায় শোচনীয় বলা যায়।
পুনরায় পোস্টে ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।

৩১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ভবিষ্যতে দূরের পথে ট্রেন ভ্রমণ করার ইচ্ছা আছে। আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল কথা, জেনে প্রীত হ'লাম।

৩২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫২

ঢুকিচেপা বলেছেন: ১৫ নম্বর প্রতিমন্তব্য হৃদয় ছুঁয়ে গেল। প্রতিমন্তব্যটি মূল লেখার ঐ অংশে যুক্ত করলে মনে হয় ভালোই হতো।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "প্রতিমন্তব্যটি মূল লেখার ঐ অংশে যুক্ত করলে মনে হয় ভালোই হতো" - আপনার এ পর্যবেক্ষণটির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিমন্তব্যের (এবং মন্তব্যেরও) কিছু কথা মূল পোস্টে সংযোজন করে দিলাম। সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ।

৩৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২২

ঢুকিচেপা বলেছেন: মূল অংশের সাথে নতুন যুক্ত হওয়া অংশ আবার পড়তে গিয়ে চোখে জল এসে গেল।
আমার অনুভূতিকে মুল্যয়ন করার জন্য ভীষণভাবে আপ্লুত। ধন্যবাদ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমতঃ, ১৫ নং মন্তব্যটা (পোস্ট পাঠ কালে) আপনার গভীর মনযোগের পরিচায়ক, যার কারণে সেই "হৃদয়ের অনুভূতি"টুকু আপনিও আপনার হৃদয়ে অনুভব করেছেন। এ ধরণের মানবিক অনুভূতি ও অভিব্যক্তি আমাকেও ভীষণ টানে, কখনো কখনো স্থবির করে দেয়। আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে পুনরায় আমার মনে ভেসে ওঠে আমার নানীর সেই স্নেহমাখা মুখ, মাথায় স্নেহের পরশ বুলানো মায়াবী হাতের স্পর্শের অনুভবের সে মায়াময় স্মৃতি। সেটুকু লিখতে গিয়ে আমার চোখেও জল এসেছিল। প্রতিমন্তব্যে আমার সে অনুভূতিটুকু আপনার পুনঃমন্তব্যে মর্যাদা পেয়েছে। তাই আপনার ৩২ নং মন্তব্যটি পড়ার সাথে সাথে আমি তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যের কিছু কথা মূল লেখার সাথে জুড়ে দিয়েছি।
কোন লেখায় একজন পাঠকের মনযোগ লেখকের জন্য অমূল্য প্রাপ্তি। আপনি এ পোস্টে সেটা উদারভাবে দিয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ।

৩৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,





ধীরে ধীরে জেগে ওঠা রেলষ্টেশানের মতোই স্মৃতির জেগে ওঠা ষ্টেশানগুলো ছুঁয়ে এলেন!

হায়রে ! সেই ছড়া-
রেলগাড়ী ঝমাঝম
পা পিছলে আলুর দম ....

নদীভরা দক্ষিনের মানুষ বলে এমন ঝমঝম করে রেলে চড়ে আপনার মতো স্মৃতির ষ্টেশানে পা পিছলে পড়ার সুযোগ হয়নি কখনও।

লেখার মাঝে আপনার বোল্ড করে দেয়া শব্দ দু'টি নিয়ে বলতেই হয় -
হৃদয়ের অনুভূতিগুলো আজকাল মরে গেছে। এককালে যে অনুভূতিগুলো নিয়ে আমরা পথ হেটেছি এখন তার ছিটেফোঁটা নিয়েও কেউ হাটেনা! পা পিছলে আলুর দম হওয়া তো দুর......................

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "লেখার মাঝে আপনার বোল্ড করে দেয়া শব্দ দু'টি নিয়ে বলতেই হয় - হৃদয়ের অনুভূতিগুলো আজকাল মরে গেছে" - বোল্ড করে দেয়া শব্দ দু'টো আমার নয়। ঢুকিচেপা এর ১৫ নম্বর মন্তব্য থেকে ও শব্দ দুটো নিয়েছি, ভাল লেগেছে বলে বোল্ড করে দিয়েছি। আবার ৩২ নং মন্তব্যে ওনার "প্রতিমন্তব্যটি মূল লেখার ঐ অংশে যুক্ত করলে মনে হয় ভালোই হতো" - এই সাজেশন অনুযায়ী ১৫ নং প্রতিমন্তব্যটির কিছু কথা মূল লেখার ঐ অংশে যুক্ত করে দিয়েছি।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৩৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: 'বসিবেক' দেখেছি। তবে এর পেছনের কাহিনী জানতাম না। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, পুনঃমন্তব্যের জন্য।

৩৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২৬

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো। হঠাৎ করে যেনো ফিরে গেলাম আমার শৈশবে। মনে পড়ে হাই স্কুলে পড়ার সময় সদ্য নির্মিত ঢাকা-চিটাগাং হাইওয়েতে প্রথম যেবার গাড়ীতে চিটাগাং যাচ্ছিলাম মনে কেমন একটা অভাব অনুভব করেছিলাম - এমন মখমল বিছানো ঝাঁকুনিবিহীন রাস্তা যদি সিলেট পর্যন্ত বিছানো থাকতো! কিন্তু সেই অভাববোধ ছেলেবেলায় টের পাইনি রেলের কল্যাণে। এখনও আমি ব্রিটিশদের ধন্যবাদ দিই যে তারা বিশাল কষ্ট স্বীকার করে রেলপথ বিঁছিয়েছিলো। ছেলেবেলায় সড়ক পথে বিশেষ করে বাসে করে সিলেট যাওয়া ছিলো বিশাল কষ্ট সহনীয়া অভিজ্ঞতা। আধুনিক মানচিত্রানুযায়ী ভারতের সীমান্তবর্তী সিলেট অঞ্চলবাসীদের কাছে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ট্রেন ছিলো প্রথম পছন্দ। শীত বা গ্রীষ্মকালীন স্কুল ছুটিতে বছরে একবার হলেও নানাবাড়ি বেড়াতে যাওয়া ছিলো বাধ্যতামূলক আনন্দ। সেই আনন্দের অনুষঙ্গ হিসেবে বাড়তি পাওয়া রেলভ্রমন। ব্যাপারটা অভ্যস্ততার এমন পর্যায়ে পৌছলো যে এই বড়বেলায়ও যতদুর পারি রেলভ্রমনেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।

রেল যোগাযোগ ও পরিবহনের উপযোগিতায় সে যুগে রেলস্টেশনগুলো ছিলো নিত্য ঘটনাবহুল। আমার নানাবাড়ির অবস্থান স্টেশনের এতটাই কাছে ছিলো যে 'সেকেন্ড বেলের' শব্দ শুনে তবেই আমরা মুরব্বিদের বিদায়ী সালাম পর্ব শুরু করতাম। আমার ছেলেবেলার স্মৃতিতে নানাবাড়ির রেলস্টেশন তাই অনন্য অবস্থানে। স্টেশনের বিখ্যাত বড়ই গাছ কিংবা টিকেট ঘরে দশাসই আকৃতির টেলিফোন যন্ত্রের মতোই আকর্ষন ছিলো স্টেশনের বাম দিকে নাম ভুলে যাওয়া লাইব্রেরি কাম জেনারেল স্টোর থেকে হকের গাড়ি বিস্কুট আর সকাল ১১টার কুশিয়ারা মেইলে আসা খবরের কাগজ। আন্ত:নগরের যুগে ঢাকা থেকে রাতের ট্রেনেই যাওয়া হতো বেশি। ভোর চারটার দিকে পৌঁছতাম শমসেরনগর। মাস-ঋতু নির্বিশেষে নানাবাড়ির কেউ না কেউ স্টেশনে অপেক্ষায় থাকতো আমাদের ট্রেন থেকে নামার। রাতের ট্রেনের উপস্থিতিতে যেনো হঠাৎ করেই আড়মোড়া ভাঙ্গতো ঘুমিয়ে পড়া ক্লান্ত স্টেশনটি।

জংশন না হলেও আকারে বেশ বড়সড়ই ছিলো শমসেরনগর। পাকিস্তান আমলে পিআইএ'র বিমান নামতো আর অনেক চা বাগানের বাণিজ্যিক গুরুত্বে স্টেশনটা যে বেশ কদর পেতো তা তার আকার ও চেহারায় প্রকাশ পেতো। ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া সব ছাপ আজও চোখে ধরা পড়ে যায় নিমেযেই - ট্রেডমার্ক লোহার কাঠামোর লাল টিনের ছাউনি, কংক্রিটের লম্বা প্লাটফর্ম, আর ঘন্টি বেল! সময় পেরিয়ে গেলে প্রত্যাশিত ঘন্টির শব্দ না বাজাটাও যাত্রী, ব্যবসায়ী বা পাশের বাজারে আলোচনার জন্ম দিতো। গুডস ট্রেনে বড় মাছের চালান, শোরগোল স্টেশনের আড়ম্বর বাড়াতো বহুগুন। প্লাটফর্মের পূর্ব প্রান্তে ইরানের শাহকে স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে নির্মিত তোরণটি আজও ঠায় দাড়িয়ে আছে। প্রাইমারি স্কুলে পড়াকালীন গ্রীষ্মের ছুটিতে কোনো এক দৈনিক অভিযানে স্টেশনের মূল বিল্ডিংয়ের পূর্ব দেয়ালে ইংরেজির পাশাপাশি উর্দু হরফে স্টেশনের নাম লিখা দেখতে পাওয়া ছিলো আবিষ্কারের তালিকায় স্পেশাল মেনশন! স্টেশন মসজিদে জুমার নামাজ পড়া ছিলো নিয়মিত সাপ্তাহিক ঘটনা। শীতের দুপুর গড়ালেই স্টেশন পেরিয়ে রেললাইন ধরে এগিয়ে 'বন্দে' গিয়ে ক্রিকেট খেলা। নানাবাড়ির প্রসঙ্গ আসলেই তাই চোখে ভাসে Shamshernugger স্টেশনটি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার পোস্টের অনেক অপূর্ণতাই যেন পূরণ করে দিল আপনার এ চমৎকার মন্তব্যটি। অনেক ধন্যবাদ, আপনার আবেগমাখা স্মৃতিগুলো এখানে রেখে যাবার জন্য।
রেলের ঘন্টি যে কোন রেলবিষয়ক রচনার একটা অন্যতম অনুষঙ্গ হবার কথা, আমি সেটা মিস করে গিয়েছিলাম। সেই সাথে
ট্রেন আগমনের আগে আগে রেলের 'বড়বাবু' ও 'ছোটবাবু'দের 'মোর্স কোড' ব্যবহার করে টরে টক্কা বার্তা দিয়ে ট্রেনের খোঁজ খবর নেয়ার কথাটা বলতেও আমি ভুলে গিয়েছি এ পোস্টে।
শমসেরনগর এবং তার আশে পাশে আমার যাওয়া হয়েছে মোট দু'বার, প্রথমবার ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে, পরেরবার ১৯৯৭ সালে। Shamshernugger বানানটি তুলে ধরেও একটা ভাল কাজ করেছেন, পুরনো স্মৃতিকে এখানে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। কালক্রমে সেটা ইতোমধ্যে Shamshernagar হয়ে গেছে কিনা কে জানে!!

৩৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩১

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: @খায়রুল আহসান। ঠিক ধরেছেন আপনি। Shamshernugger বানানটি ব্রিটিশদের আদর করে দেয়া। কালক্রমে আমরাও আধুনিক। তাই বানানও পাল্টেছে। তবে Shamshernugger Tea Garden তাদের নামের বানান পাল্টায়নি। কিছু জিনিসের পরিবর্তনের দরকার পড়ে না - যেমন আমরা চাই আমাদের স্মৃতিগুলো অটুট থাকুক।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "Shamshernugger বানানটি ব্রিটিশদের আদর করে দেয়া। কালক্রমে আমরাও আধুনিক। তাই বানানও পাল্টেছে" - আদরের চেয়ে আমি বরং বলবো ওরা ওদের উচ্চারণের সুবিধার্থে বানান নির্ধারণ করেছে, আমরা আমাদের। তবে ওদের ঐ একটু আলাদা রকমের বানানগুলো আমারও ভাল লাগতো, এবং কিছু কিছু বানান এখনো চোখে ধরে আছে। যেমন মালিনীছড়া টী গার্ডেন, লাক্কাতুরা টী গার্ডেন, ইত্যাদির ইংরেজী বানান ওরা একটু অন্যরকমভাবে লিখতো।
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ছাত্রজীবনে আমি ট্রেনে করে অনেকবার ময়মনসিংহ যাওয়া আসা করেছি।
আমি টিকিট কেটে যাতায়াত করতাম ।
কিন্তু কখনই সিট করতাম না‌
এই ধরনের টিকেট কে বলা হত স্ট্যান্ডিং টিকেট।

ট্রেনে তিল ধারণের জায়গা থাকত না ।
হাঁসফাঁস অবস্থা।
তার পরেও শুনতাম ট্রেনে নাকি লস হচ্ছে।

আফসোস!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: লস হবে না কেন, কঠোর কোন ইন্সপেকশন নেই, থাকলেও চোর দারোগা মিলে মিশে সব টাকা খেয়ে ফেলে। সত্যিই, বড় আফসোস!
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৩৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সেই সময় ট্রেনে চলাচলের সময় আমি কিছু পরিচিত ভিক্ষুককে ভিক্ষা করতে দেখতাম।

তারা গান গেয়ে গেয়ে ভিক্ষা করতেন ।

গফরগাঁও স্টেশন থেকে এমন এক জন ভিক্ষুক ট্রেনে উঠে আসতেন ভিক্ষা করতে।

তার গানের স্টার্টিং টা ছিল এই রকম ঃঃ
এক দিন আমার দয়াল নবী কইরা গেছেন দান!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোটবেলায় ট্রেনে শোনা ভিক্ষুকদের আরেকটা কমন গান ছিল "হরিণ একটা বান্ধা ছিল গাছেরই তলায়"!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.