নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
পূর্বের লিঙ্কঃ স্মৃতির জোয়ারে ভাসা (১)
কাকিনা রেল স্টেশন।
টুনি ফুফুর বাসার দরজায় কয়েকবার কলিং বেল বাজালাম, খোলার মানুষ ছিল না। গেইটের একটা দরজা একটু খোলা ছিল, তাই ভেতর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। দেখলাম, মজিবর ফুফা কেবল গোসল করে এসে বারান্দায় দাঁড়িয়ে পাঞ্জাবি গায়ে দিলেন এবং মাথা আঁচড়াচ্ছেন। আমরা কারো অপেক্ষা না করে ভেতরে প্রবেশ করে সালাম দিলাম। আমার মাথায় একটা গল্ফ ক্যাপ আর মুখে ডাবল মাস্ক পরা ছিল। তাই ওনার চিনতে অসুবিধা হচ্ছিল, আর তা ছাড়া ওনার সাথে দেখাও হল বহু বছর পর। পরিচয় দিলাম, উনি উচ্ছ্বাসে বুকে জড়িয়ে ধরতে চাইলেন। করোনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আমি বললাম, এখন দূর থেকেই আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করতে হয়। আর তা ছাড়া আমি বাইরে থেকে এসেছি, তাই হাত না ধুয়ে এখন স্পর্শ করা যাবে না। ওনাকে দেখেই বুঝতে পারছিলাম যে ওনার স্বাস্থ্য এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। চেহারা উজ্জ্বল, মুখটাও হাসিখুশি। হেঁটে বেড়াচ্ছেন, যদিও হাতে একটা লাঠি ধরা আছে, তবে উনি ওটাকে ব্যবহার করেছেন না। উনি অনেক কথা বলতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু মাসজিদে যাবেন এটা বুঝতে পেরে আমি ওনাকে বুঝিয়ে সালাম জানিয়ে ওনার কাছ থেকে দোয়া চাইলাম। টুনি ফুফু আমাদেরকে ভেতরের ঘরে বসিয়ে সরাসরি বলেই ফেললেন, বাবা তোমার টুপিটা আর মাস্কটা একটু খুলে রাখো তো, এভাবে তোমাকে দেখে চেনা যাচ্ছে না!
ফুফু সম্প্রতি ফুফাকে নিয়ে আম্মাকে দেখতে উৎপলের বাসায় এসেছিলেন, এ কথা দিয়ে গল্প বলা শুরু করলেন। তারপর আব্বা আর আম্মাকে নিয়ে নানা স্মৃতিচারণ শুরু করে দিলেন। ফুফাকে নিয়েও উনি এক নাগাড়ে তার প্রশংসা করেই যাচ্ছিলেন, আমরা দু’জন ছিলাম মূলতঃ শ্রোতা। বুঝতেই পারছিলাম, একটা বয়সে এসে মানুষ শুধুই কথা বলতে চায়, কিন্তু শোনার লোক পায় না। উনি আমাদেরকে কিছু ফলমূল খেতে অনুরোধ করলেন। আমরা না করা সত্ত্বেও উনি একটা মেয়েকে ড্রাগন ফ্রুট কেটে দিতে বললেন। কিছুক্ষণ পর পর উনি বলছিলেন, আমি তোমার কথা অনেক মনে করি বাবা। এই তো সেদিনও তোমার ফুফাকে বলছিলাম তোমাকে ফোন করার জন্য। আল্লাহ’র কি ইচ্ছা, আজই দেখা হয়ে গেল। খুব ভাল লাগছে দেখা হয়ে। আবার কবে দেখা হবে কে জানে!
এটা ঠিক যে বহুদিন পর পর ওনারা হঠাৎ হঠাৎ করে আমাকে ফোন করে আমার কাছ থেকে সবার খোঁজ খবর নিতেন, আমারই মনে করে ওনাদের খোঁজ খবর কখনো নেয়া হয়নি। এক সময় মজিবর ফুফা নিয়মিতভাবে আমাদের বাড়িতে আসতেন, আব্বার সাথে নানা বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করতেন, পরামর্শ বিনিময় করতেন। আব্বাও আদিতমারিতে কোন কাজে গেলে, সুযোগ হলেই ওনাদের বাসাতেও যেতেন। টুনি ফুফু আব্বার আপন বোন নয়, আপন মামাতো বোন। টুনি ফুফুর বাবা আর আব্বার মায়ের (আমার দাদীমা) মধ্যেও খুব ভাব ছিল বলে জেনেছি। আমার কাছে তো মনে হয় ভাইবোনের সে সদ্ভাবটা তাদের সন্তানদের মাঝেও বিস্তৃতি লাভ করেছিলো। এজন্য আব্বা টুনি ফুফুকে অনেক আদর করতেন। তবে আব্বা খুব রাগী মানুষ ছিলেন এবং বয়সে তাদের চেয়ে অনেক বড় ছিলেন বিধায় ফুফু ও ফুফা উভয়ে তাকে ভক্তি যেমন করতেন, ভয়ও তেমন পেতেন। আব্বা সব সময় ওনাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারেও খোঁজ খবর নিতেন এবং ওনাদের বাসায় গেলে ওনার সন্তানদেরকে কিছুক্ষণ পড়িয়েও আসতেন।
এদিকে টুনি ফুফুর মা এবং মজিবর ফুফার মা উভয়ে ছিলেন আমাদের রসিক দাদী। ওনারা দেখা হলেই আমাদের সাথে অনেক হাসি ঠাট্টা করতেন। ফুফু ও ফুফা, এই দু’জনকে আমার কাছে সবসময় একটি আদর্শ জুটি মনে হতো। উভয়ের গড়ন আজীবন হাল্কা পাতলা রয়ে গেছে, উভয়ের গায়ের রঙ ফর্সা। উভয়ে মিশুক এবং নরম স্বভাবের মানুষ। ফুফা লালমনিরহাট সরকারী হাইস্কুলের ইংরেজীর শিক্ষক ছিলেন। তার বহু ছাত্র উচ্চ পদে আসীন থেকে খ্যাতি অর্জন করেছেন, ছাত্র শিক্ষক উভয়ে একে অপরকে নিয়ে এ জন্য গর্ব অনুভব করেন। দীর্ঘকেশী ফুফুকে তার আজানুলম্বিত চুলের জন্য আত্মীয়স্বজন সবাই এক নামে চিনতো। ফুফুর নাম টুনি বিধায় আমরা নিজেদের মধ্যে মজিবর ফুফাকে ‘টোনা ফুফা’ নামে ডাকতাম। তাদেরকে দেখে টোনা-টুনিই মনে হয়। মোটামুটি নির্ঝন্ঝাট একটা জীবন যাপন করে ওনারা ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছেন। তাদের সন্তানেরা সকলেই সুশিক্ষিত এবং নিজ নিজ পেশায় সুখ্যাতি অর্জন করে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত।
টুনি ফুফুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা তুষভান্ডারের উদ্দেশ্যে রওনা হ’লাম। চলার পথে উৎপল বিভিন্ন রাস্তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিল এবং কোন রাস্তাটা কোথায় যাচ্ছে তা জানাচ্ছিল। একটা এলাকায় এসে জানলাম, এলাকাটার নাম ‘শুকানদিঘী’ (বেশিরভাগ লোক ‘শুকানডিঘি’ উচ্চারণ করে থাকে)। ছোটবেলায় এ নামটা বহু শুনেছি, তাই এলাকাটার নামকরণ সম্পর্কে উৎপলের কাছে জানতে চাইলাম। ও বললো, ও এতটুকুই শুনেছে যে হঠাৎ একদিন এলাকার মানুষ দেখে যে একটি শুকনো এলাকায় একটা বিশাল দিঘী খনন করা হয়েছে। কে বা কারা সেটা খনন করেছে, এলাকাবাসী তা জানে না। আমার আগ্রহ দেখে সে একটু ঘুরে ফিরে সেই শুকানদিঘীর পাড়ে এসে থামলো। আমি নেমে কয়েকটা ছবি তুললাম। এক চঞ্চলা কিশোরীকে দেখি একটা সরু বাঁশের মাথায় কাঁচি বেঁধে (স্থানীয় ভাষায় যেটাকে ‘কোটা’ বলা হয়) একটা গাছ থেকে যেন কি পাড়ছে। তার সাথে আমার কথোপকথন এভাবে হলোঃ
-‘তুমি কী পাড়ছো’?
-‘কামরাঙা’।
-এই দিঘীটার নাম কী?
-‘শুকানদিঘী’।
-এর ইতিহাস সম্পর্কে তুমি কি কিছু জানো?
-হ্যাঁ, জানি। বহু আগে এক রাতের মধ্যে এ দিঘীটি খোঁড়া হয়েছিল।
-কে খুঁড়েছিল?
-“দ্যাও” – বলেই সে খিলখিল করে হেসে চলে গেল।
(দেও বা দেবতা বা কোন অদৃশ্য শক্তিকে স্থানীয় বচন অনুসারে ‘দ্যাও’ বলা হয়। সাধারণতঃ ভূত, প্রেত, পেত্নী বা পাপাত্মাকেও এ নামে ডাকা হয়)!
অনতিদূরে আমি একজন প্রবীণ ব্যক্তিকে দেখতে পেলাম। অনুমানে তার বয়স আমার কাছে ৬০-৬৫ হবে বলে মনে হলো। তাকে তার বয়স জিজ্ঞেস করলে তিনি জানালেন,
-আমাদের সময় তো বয়স কোথাও লিখে রাখা হতো না, তাই সঠিক বয়স বলতে পারবো না।
-আপনার নাম?
-মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ।
-স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কত বড় ছিলেন?
-তখন আমি ‘দুই ছাওয়ার বাপ’।
এ থেকে আমি বুঝলাম যে আমার প্রাথমিক অনুমানটা ভুল ছিল। তার বয়স অন্ততঃ সত্তর বা তার কিছু বেশি হবে। উনি জানালেন, ওনার দাদারা তাদের দাদাদের কাছে শুনেছিলেন, কোন এক সময় এক রাতের মধ্যে ঐ এলাকায় কাছাকাছি তিনটে দিঘী খোঁড়া হয়, যার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়। দ্বিতীয়টির নামটাও তিনি আমাকে বলেছিলেন, কিন্তু আমি সেটা এখন ভুলে গেছি। আর সব শেষে খোঁড়া হয় তৃতীয়টি, যেটা খুঁড়ে সব কোদাল ধুয়ে ফেলা হয়, যার জন্য তৃতীয় দিঘীটির নাম দেয়া হয় ‘কোদালধোয়া দিঘী’। কে খুঁড়েছে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনিও একই কথা বললেনঃ “দ্যাও এর ঘর” (মানে দ্যাও-সকল, অর্থাৎ ভুত-প্রেতরা )।
সেই প্রবীণ ব্যক্তিকে ধন্যবাদ ও সালাম জানিয়ে আমরা কাকিনা ও তুষভান্ডার যাওয়ার রাস্তা সম্বন্ধে জেনে নিলাম। তুষভান্ডার যাবার পথে কাকিনা ডাকবাংলো এবং কাকিনা রেল স্টেশনে কিছুক্ষণের জন্য থেমেছিলাম। কাকিনা কোন উপজেলা নয়, উপজেলা প্রশাসন পদ্ধতি চালু হবার আগে কখনো প্রশাসনিক থানাও ছিলনা, এটি একটি ইউনিয়ন মাত্র। কিন্তু শিক্ষা দীক্ষায় এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে এ এলাকার জনগণ গত দুই/তিন শতাব্দী পূর্বে অনেক অগ্রসর ছিলেন। এর কারণ, ১৬৮৭ সালে কাকিনা পরগণায় জমিদার রাম নারায়ণ এর নিযুক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলে জমিদারি প্রথা চালু হয় এবং জমিদারের নিবাস কাকিনা হওয়াতে এতদঞ্চলের সকল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে ‘কাকিনা’ কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। কাকিনা ডাকবাংলোটি সপ্তদশ শতাব্দীর শেষে কিংবা অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে দূর দূরান্ত থেকে আগত কাকিনার রাজার দর্শনার্থীদের বিশ্রাম ও রাত্রিযাপনের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে অনুমিত হয়। ১৬৮৭ সালে শুরু হওয়া কাকিনার জমিদারি বিলুপ্ত হয় ১৯২৫ সালে, সপ্তম জমিদার মহেন্দ্র রঞ্জন রায় চৌধুরী এর শাসনামলে। তার অপরিণামদর্শী খরচ এবং বিলাসিতার কারণে কাকিনা জমিদারি শেষ পর্যন্ত নিলামে উঠে। তবে তার বাবা মহিমা রঞ্জন রায় চৌধুরী একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৮৫৩ সালে জমিদারি লাভ করে ১৮৫৮ সালে একটি জুনিয়র হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেখানে অনেক দূর দূরান্ত থেকে ছাত্ররা শিক্ষালাভের জন্য আসতো। ভাল শিক্ষকের জন্য সে আমলে স্কুলটির অনেক নাম ডাক ছিল। ১৯০৯ সালে তার পিতার মৃত্যুর পর মহেন্দ্র রঞ্জন রায় চৌধুরী কাকিনার সপ্তম জমিদার হিসেবে আসীন হবার পর চার মাসের মধ্যে স্কুলটিকে ‘হাই ইংলিশ স্কুলে উন্নীত করেন এবং তার পিতার নামানুযায়ী ‘মহিমা রঞ্জন মেমোরিয়াল হাই ইংলিশ স্কুল’ নামে নামকরণ করেন। স্কুলটি বর্তমানে ‘কাকিনা মহিমা রঞ্জন স্মৃতি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে অভিহিত। বহুদিন পূর্বে এ স্কুল থেকেই আমার আব্বা ম্যাট্রিক পরীক্ষায় (এসএসসি) উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। সেই আমল থেকেই এই স্কুলের সম্মুখ প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যবাহী ‘কাকিনার হাট’ বসতো। আমি যখন সম্ভবতঃ নবম শ্রেণীর ছাত্র, একবার বাড়ি এসে আব্বার সাথে এই কাকিনার হাটে এসেছিলাম। সেখানে আব্বা হঠাৎ করে তাঁর একজন বয়োবৃ্দ্ধ প্রাক্তন শিক্ষকের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন। সেদিন দেখেছিলাম গুরু শিষ্যের ভক্তি-স্নেহ কাকে বলে! আব্বা তাকে এক হাট মানুষের সামনে পা ধরে সালাম করেছিলেন, তিনিও তাকে অনেকক্ষণ বুকে জাপটে ধরে রেখেছিলেন।
ভ্রমণঃ ২৫ জুন ২০২১
লিখনঃ ২৭ জুন ২০২১
স্থানঃ রংপুর
শব্দ সংখ্যা ১২৪৬
আমদের টুনি ফুফু।
‘শুকানদিঘী’র পাড়ে....
‘শুকানদিঘী’র পাড়ে....
প্রায় ৭৫ বছর বয়স্ক মোঃ আব্দুল লতিফ এর কাছ থেকে ‘শুকানদিঘী’ এর কিছুটা ইতিহাস জানা হলো।
প্রায় ৩৫০ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত কাকিনা ডাকবাংলো (সংস্কারকৃত)।
স্কুলটি বর্তমানে ‘কাকিনা মহিমা রঞ্জন স্মৃতি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে অভিহিত।
১৯০৯ সালে স্থাপিত স্কুলটির ফাউন্ডেশন প্লেক।
২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব গল্প মানুষের মুখে মুখে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যায়। অবিশ্বাস্য বলেই হয়তো এসব গল্প মানুষের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়, ফলে হয়তো আসল ঘটনা বা তথ্য চাপা পড়ে যায়।
প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:১৯
স্বপ্নাশিস বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো। টুনা ফুফা কে দেখা হলো না।
২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: টুনা ফুফা নয়, তিনি আমাদের কাছে 'টোনা ফুফা'। উনি নামাযের জন্য মাসজিদে চলে গিয়েছিলেন বলে 'ওনাকে দেখা হলো না'।
লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। একই মন্তব্য দু'বার এসেছে বিধায় দ্বিতীয়টি মুছে দিলাম।
৩| ২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৫৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন সময়ে অনার্স পরীক্ষার পর তিন মাসের এক প্রজেক্টে রংপুর সদরে ছিলাম। কারমাইকেল কলেজের পাশে মেয়েদের হোস্টেলে থাকতাম। অনেক সুন্দর সব স্মৃতি আছে সেখানকার। আপনার গ্রাম ‘বিন্যাগাড়ি’র কথা মনে আছে। মনে রয়ে গেছে বছর দুয়েক হবে এমন বয়সী দারুণ সপ্রতিভ এক বাচ্চার কথা। যাকে জিজ্ঞেস করলেই বলত আমার নাম যুধিষ্ঠির গ্রাম‘বিন্যাগাড়ি’। যেহেতু খুব ভোরে উঠে বিভিন্ন গ্রামে যাত্রা শুরু করতাম, তাই পাশেই এক ছাপরা হোটেলে সকালে নাস্তা খেতাম। একদিন অনেক সকাল তখন ও ডাল ভাজি রান্না হয় নি। কি দিয়ে খাবো ? কিশোর সাহায্যকারী ছেলে টি বলল " হাঁসের ডিম খাও " ওরা সবাই কে তুমি বলত। এত সুন্দর করে আন্তরিক ভাবে ডাকত আর তুমি বলত!! ভীষণ মায়া ছড়িয়ে আছে সে শহরে এবং সদরের অনেক গুলো গ্রামে।
আপনার স্মৃতিচারণ আমার নিজের স্মৃতির দরজা ও খুলে দিয়েছে। অনেক অনেক ভালোলাগা।
২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার স্মৃতিচারণ আমার নিজের স্মৃতির দরজা ও খুলে দিয়েছে" - লেখাটা পড়ে আপনার এমন মধুর স্মৃতিচারণ করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। হ্যাঁ, রংপুরের লোকজন পরিচিত অপরিচিত নির্বিশেষে সবাইকে 'তুমি-তোমরা' বলে সম্বোধন করে থাকে।
"ভীষণ মায়া ছড়িয়ে আছে সে শহরে এবং সদরের অনেক গুলো গ্রামে" - আপনার এ মন্তব্য থেকেই তার অনেকটা পরিচয় পেলাম।
সুন্দর মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। আবারো ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা....
৪| ২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: গত পর্বে আবেগ অনুভুতির কথা বেশী ছিল- এবার ইতিহাস আর আবেগ মিলেমিশে একাকার!
আপনার লেখা আমি মন দিয়ে পড়ি- অন্যরকম একটা ভাললাগা কাজ করে।
২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "গত পর্বে আবেগ অনুভুতির কথা বেশী ছিল- এবার ইতিহাস আর আবেগ মিলেমিশে একাকার!" - অনেক ধন্যবাদ, উভয় পর্ব মনযোগের সাথে পাঠ করে একটা তুলনামূলক পর্যবেক্ষণ এখানে তুলে ধরার জন্য।
লেখার প্রশংসায় এবং প্লাসে প্রাণিত হ'লাম। শুভকামনা---
আপনার ফটোগ্রাফারদের ফটোগ্রাফি- ফান পোষ্ট শীর্ষক পোস্টটি আজ পড়ে বেশ মজা পেলাম!
৫| ২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:১৭
ইসিয়াক বলেছেন: আপনার লেখা থেকে প্রাচীন একটি জনপদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। শুকানদিঘী, স্কুল,ডাকবাংলো সাথে ছবি তো আছেই। আপনার ফুপা ফুপু। সব মিলিয়ে চমৎকার আয়োজন। প্রিয় ব্লগার আপনার লেখায় অন্য রকম মায়ার স্পর্শ থাকে। খুব সহজে তা হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায়।
আগের পর্বটি সময় করে অতি অবশ্যই পড়বো।
ভালো থাকুন।
শুভ কামনা রইলো।
২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা মনযোগের সাথে পাঠ করেছেন, এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
"প্রিয় ব্লগার আপনার লেখায় অন্য রকম মায়ার স্পর্শ থাকে। খুব সহজে তা হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায়" - আপনার এ মন্তব্যটাও অনেক মায়াময়; প্রাণিত হ'লাম।
আপনিও ভালো থাকুন, শুভ কামনা---
৬| ৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ২:৫৭
আমি পরাজিত যোদ্ধা বলেছেন: আপনি তহ দেখি আমার গ্রামের বাসা থেকে ঘুরে আসলেন, ভালো লাগলো দেখে। ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।
৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার 'গ্রামের বাসা' কোথায়?
ছবির প্রশংসায় প্রীত হ'লাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ৮:১২
নজসু বলেছেন:
তৃতীয় ছবিটা আমি নিলাম প্রিয় ভাই।
৩০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, দিলাম!
কী করবেন এটা দিয়ে? কোন গল্প বা কবিতা লিখবেন কি?
প্লাসে প্রাণিত হ'লাম। শুভকামনা---
৮| ৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কাকিনা হয়ে পাটগ্রামে যাওয়া যায় রংপুর থেকে। যায়গা আমার পরিচিত। তবে বেড়ানোর মত করে যাওয়া হয়নি। বলতে পারেন দৌড়ের উপর ভ্রমন। নামকরণ বিষয়টি অবশ্যই মজার। কোঁদাল ধোয়া ।
০১ লা জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, কাকিনা হয়ে পাটগ্রাম যেতে হয়। আপনি তো খুব সম্ভব আমাদের এলাকার 'জামাইবাবু'। এর আগে আপনার কোন লেখায় বা মন্তব্যে পড়েছিলাম বলে মনে পড়ে। আর এখানকার অনেক এলাকার নামকরণের পেছনে এরকম কিছু মজার ইতিহাস আছে।
সুন্দর মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা....
৯| ৩০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯
মাকার মাহিতা বলেছেন: কাকিনা হতে তুষভান্ডার কত দূর?
০১ লা জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কাকিনা হতে তুষভান্ডার আনুমানিক ৩/৪ কি,মি দূর হবে মাত্র। আপনি কি এ অঞ্চলে কখনো এসেছেন?
১০| ৩০ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
আমি পরাজিত যোদ্ধা বলেছেন: কাকিনা তে আমার দাদার বাবা এর বাসা, আমার দাদি এখনো অই বাসা তেই থাকেন আমার বাবা মা এর সাথে। অনেক দিন থেকেছি কাকিনাতে, অনেক ছোট একটা গ্রাম, ভালো মানুষ দিয়ে ভরপুর।
০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অনেক ছোট একটা গ্রাম, ভালো মানুষ দিয়ে ভরপুর" - আপনার এ প্রশংসাবাক্যে গর্বিত বোধ করছি।
অনেক ধন্যবাদ।
১১| ৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার ফুফার বয়স তো মনে হয় অনেক হবে।
একরাতে দিঘি খননের ঘটনা আমি বরিশাল অঞ্চলেও শুনেছি। তবে নির্দিষ্ট করে নাম বলতে পারবো না। বাংলাদেশের ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনার ক্ষেত্রে হিন্দু জমিদারদের অনেক অবদান আছে। বিভিন্ন জেলায় জমিদারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্কুলগুলি এখনও সুখ্যাতি ধরে রেখেছে।
আপনার ভ্রমণ ও ফুফা ফুফুর গল্প ভালো লাগলো।
০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার ফুফার বয়স তো মনে হয় অনেক হবে" - প্রায় ৭৫ এর মত হবে।
বাংলাদেশের ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনার ক্ষেত্রে হিন্দু জমিদারদের অনেক অবদান আছে। বিভিন্ন জেলায় জমিদারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্কুলগুলি এখনও সুখ্যাতি ধরে রেখেছে - জ্বী, আপনি ঠিক বলেছেন। এর প্রমাণ আমি রংপুর, দিনাজপুর, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ জেলায় দেখেছি। অন্যান্য জেলাতেও নিশ্চয়ই একই হবে।
"আপনার ভ্রমণ ও ফুফা ফুফুর গল্প ভালো লাগলো" - লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো ....
১২| ৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৩
ঢুকিচেপা বলেছেন: এ পর্ব পড়ে রংপুর অঞ্চলের কিছু গ্রাম, ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা হলো।
“বাবা তোমার টুপিটা আর মাস্কটা একটু খুলে রাখো তো, এভাবে তোমাকে দেখে চেনা যাচ্ছে না!”
কি মায়াভরা কথা....
এই লাইন পড়ে আমার ফুফুর কথা ভীষণ মনে পড়লো। উনি আমাকে প্রায়ই যেতে বলেন কিন্তু যাব যাব করে যাওয়া হয় না।
“এক হাট মানুষের সামনে পা ধরে সালাম করেছিলেন”
ঐ সময়ে শিক্ষক-ছাত্র বন্ধন বুঝি এমনই ছিল।
আমার বাবা অল্প কয়েক বছর শিক্ষকতা করেছিলেন গ্রামের স্কুলে। সে সময়ের একজন ছাত্র পরবর্তীতে এম.পি হয়েছিলেন। উনি এই কাজ করতেন, সেটা বাজার বা রাস্তা যাই হোক।
পুরাতন ডাক বাংলো এবং স্কুল দেখে ভাল লাগলো।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই লাইন পড়ে আমার ফুফুর কথা ভীষণ মনে পড়লো। উনি আমাকে প্রায়ই যেতে বলেন কিন্তু যাব যাব করে যাওয়া হয় না - এই লকডাউনের কড়াকড়ি উঠে গেলে একবার গিয়ে দেখা করে আসবেন। বয়স্কা মানুষ তো, গেলে খুব খুশি হবেন।
উনি এই কাজ করতেন, সেটা বাজার বা রাস্তা যাই হোক - উনি পরিবার, সমাজ এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে সঠিক শিক্ষাটাই পেয়েছিলেন।
সিরিজে আগ্রহ প্রকাশে অনুপ্রাণিত হ'লাম। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো ....
১৩| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১১
মোঃমোজাম হক বলেছেন: স্মৃতিচারণ আমার নিকট খুবই আকর্ষনীয়।
আমারও অনেক স্মৃতি মনেপড়ে যাচ্ছে ! বেঁচে থাকলে অবসর জীবনে লিখবো।
এখন নাহয় আপনার সিরিজটিই পড়ার চেস্টা করি।
০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেঁচে থাকলে অবসর জীবনে লিখবো - এখন থেকেই কিছু কিছু করে লিখা শুরু করেন। লিখতে লিখতেই একদিন হঠাৎ করে দেখবেন, 'অবসর' জীবন এসে গেছে!
পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪১
হাবিব বলেছেন: স্মৃতির রেখাগুলো ফুল হয়ে থাকুক আজীবন।
০৩ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর, কাব্যিক এ মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। এমন মন্তব্য পোস্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
১৫| ০১ লা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩০
নজসু বলেছেন:
আমি কল্পনায় শুকানদিঘী'র পাড়ে একাকী একটু বসে থাকতে চাই।
দুই/এক লাইনের শব্দমালা কল্পনায় ভীড় করলে সেগুলো অবশ্যই কীবোর্ডে বন্দী করবো।
০৩ রা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি কল্পনায় শুকানদিঘী'র পাড়ে একাকী একটু বসে থাকতে চাই" - ও এই জন্য! শুনে মুগ্ধ ও প্রাণিত হ'লাম।
"দুই/এক লাইনের শব্দমালা কল্পনায় ভীড় করলে সেগুলো অবশ্যই কীবোর্ডে বন্দী করবো" - আশা করি, আমরাও সে বন্দীদের শীঘ্রই দেখতে পাবো।
অনেক ধন্যবাদ, পুনঃমন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন সপরিবারে, সুস্বাস্থ্যে!
শুভকামনা---
১৬| ০১ লা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারন লেখা পড়ে বেশ ভাল লাগল।আপনার স্মৃতি চারনের মধ্যে কেমন একটা মায়া-মায়া ভাব থাকে।
আপনার ফুফুকে দেখেও ভাল লাগল।
পরের স্মৃতিচারনের অপেক্ষায় রইলাম।
০৩ রা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার স্মৃতি চারনের মধ্যে কেমন একটা মায়া-মায়া ভাব থাকে - এ জগত সংসারটাই তো চতুর্দিকে মায়ায় বাঁধা। আমি এর বাইরে যাই কি করে!
পরের স্মৃতিচারণ পর্ব আসবে শীঘ্রই, ইন শা আল্লাহ! মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন ....
১৭| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৯
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: "একটা বয়সে এসে মানুষ শুধু কথা বলতে চাই " এটা তীব্র সত্যি কথা। যখন মনে হয় ওই সময়টাতে খুব কাছের কারো পাশে থাকা হয়নি, শোনা হয়নি তাদের কথা, এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা বোধহয় আর নেই।
০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: "যখন মনে হয় ওই সময়টাতে খুব কাছের কারো পাশে থাকা হয়নি, শোনা হয়নি তাদের কথা, এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা বোধহয় আর নেই" - সুগভীর সংবেদনশীলতা থেকে এমন ভাবনা উঠে আসে; এমন ভাবনা আমারও হয়।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি, সময় পেলে এর আগের পর্বটিতেও একবার চোখ বুলিয়ে যাবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো ....
১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২০
কাছের-মানুষ বলেছেন: গ্রাম বাংলা আমার সবসময়ই ভাল লাগে, লেখাটি পরে আমার ভাল লাগল। আমাদের এলাকায় এক পুকুর আছে, সেটাকে আন্ধা পুকুর বলে, পুকুরে কেউ গোসল বা কোন কাজ করে না কারন এর পানি সবসময় ময়লা এবং কালো। জনশ্রুতি আছে পুকুরের ভিতর নাকি ছিকল আছে, কেউ নামলে তাকে ধরে পানির নিচে নয়ে যায়।
আপনার ফুফুকে দেখে ভাল লাগল, আমারো একজন ফুফু ছিল তবে আমি দেখিনি, পাকিস্তান সময়ে তার এক পাঞ্জাবির সাথে বিয়ে হয়েছিল, স্বাধীনতার পরেই চলে গিয়েছিলে পাকিস্তানে, তবে অনেক বছর পর আমার জন্মের পর দেশে শেষ এসেছিলেন। ফুফু এখন নেই তবে তার সন্তানাদি আছে পাকিস্তানে। আমার ফুফাতো বোনরা বয়সে আমার বাবার সমান, তাদের ছেলে মেয়েদের সাথে ফেইসবুকে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়!!
০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "জনশ্রুতি আছে পুকুরের ভিতর নাকি ছিকল আছে, কেউ নামলে তাকে ধরে পানির নিচে নয়ে যায়" - গ্রামে গঞ্জে অনেক এলাকায় এরকম অনেক জনশ্রুতির সন্ধান পাওয়া যায় যা জনগণের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে থাকে।
আপনার ফুফু এবং কাজিনদের কথা জেনে এবং তাদের সাথে রিকানেক্টেড হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১
সোহানী বলেছেন: টুনি ফুফু ও ফুফার পরিচয় পেয়ে ভালো লাগলো। এমন কিছু মানুষ ও আমি জীবনে পেয়েছিলাম।
কোদালধোয়া দীঘি এর গল্পে ভালোলাগা। আর স্মৃতিচারনে অনেক অনেক ভালোলাগা।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এমন কিছু মানুষ ও আমি জীবনে পেয়েছিলাম" - আপনি তো চলার পথে দেখা এমন মানুষদেরকে নিয়ে লিখতে ভালবাসেন। আশাকরি, অদূর ভবিষ্যতে আপনার লেখা এমন কোন পোস্ট পড়তে পারবো।
"কোদালধোয়া দীঘি এর গল্পে ভালোলাগা। আর স্মৃতিচারনে অনেক অনেক ভালোলাগা" - অনেক ধন্যবাদ, আপনার ভাললাগার কথাটা এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভেচ্ছা রইলো ....
২০| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইপর্বে প্রথমে টুনি ফুফু ও মজিবর ফুফার সঙ্গে আমরা পরিচিত হলাম। ভালো লাগলো বিশেষ করে ঐ সময়ের অতটা রিমোট এলাকায় এমন একজন শিক্ষিকার পরিচয় পেয়ে। আপনার আব্বুর সঙ্গে মধুর স্মৃতিবিজড়িত ঘটনাগুলো রোমন্থন করার দৃশ্য শুনে সন্তান হিসেবে আপনাদের আবেগতাড়িত বা অসহায়ত্ব বোধ করাটাই স্বাভাবিক। হয়তো এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
'শুকানডিঘি'র নামের উৎপত্তি রহস্য ও সঙ্গে আরও তিনটি দিঘি খনন করার লোক নিঃসৃত ইতিহাস জেনে প্রথাগত ভাবে গ্রামবাংলার সহজ সরল মানুষের যুক্তি না খোঁজার এক প্রচেষ্টা বলে মনে হলো।দেউ আমাদের এলাকাতেও একপ্রকার জ্বিনদেরকে বলতে শুনেছি। যাইহোক দীঘি খননের ইতিহাস ও তুষভান্ডারে যাওয়ার পথে ইতিহাসসমৃদ্ধ কাকিনা স্টেশন, ঐতিহ্য মন্ডিত জমিদার বাড়ির স্থাপনার সাক্ষ্য তুলে ধরে স্মৃতিচারণের সঙ্গে একটা যথার্থ ভ্রমণ পর্বও সম্পন্ন হল। পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা জানবেন স্যার।
১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ সিরিজের প্রতি আপনার মনযোগ আকর্ষিত হওয়ায় সবিশেষ প্রীত হ'লাম। দৌড়ের উপর থেকেও মানুষ যে এ বাংলা ব্লগটার প্রতি দিনে অন্ততঃ একবার হলেও আঁখি বুলিয়ে যায়, এতটুকুই যথেষ্ট গণ্য হওয়া উচিত। তার পরে যারা পোস্টের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেন, তাদের পাঠ প্রতিক্রিয়া জানান, তাদের পদচারণা লেখকের জন্য পরম প্রত্যাশিত।
"স্মৃতিচারণের সঙ্গে একটা যথার্থ ভ্রমণ পর্বও সম্পন্ন হলো" - মাত্র একদিনের একটা জার্নি, সকাল সাড়ে দশটা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত, সেটার কথা লিখতেই তো প্রায় পৌণে পাঁচ হাজার শব্দের চার চারটে পর্ব হয়ে গেল! চলার পথে এবং যাত্রাবিরতিতে দেখা কিছু দৃশ্য আর তৎসম্পর্কিত কিছু স্মৃতি নিয়েই চার পর্বের এ সিরিজটা লিখেছি। বিভিন্ন পর্বে দেওয়া ছবিগুলো দেখে অনেকেই হয়তো বা মনে করছেন, এই করোনা এবং 'লকডাউন' এর মধ্যে আমি বোধ হয় খুব ঘুরে বেড়াচ্ছি। আসলে তা নয়। রংপুরে আসার পর গত এক মাসে মাত্র একদিনই ঘর হতে বের হয়েছি, আর সেটাও 'লকডাউন' শুরু হবার আগে। আপনি দুটো মাত্র পর্ব পড়লেন, আশা করি তৃ্তীয়টাও খুব শীঘ্রই পড়বেন। আর চতুর্থপর্বটা আজ প্রকাশিত হবে বলে আশা করছি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভেচ্ছা রইলো ....
২১| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
আপনার সাম্প্রতিক ভ্রমনে স্মৃতির জোয়ারে যে ভেসে গেছেন তা শুকানদিঘীর জলের মতোই টলটলে লেখাতে।
মুরুব্বিদের নাম "টোনাটুনি" রাখাতে বোঝা যায় কম বদমাশ ( মনে কিছু করবেন না) ছিলেন না ছেলেবেলায়।
হুম.... একটা সময় ছিলো যখন শিক্ষক আর ছাত্রের সম্পর্ক ছিলো বাবা ও সন্তানের মতো! কোথায় এবং কি করে যে হারিয়ে গেল সেই মধুরতম সম্পর্কগুলো!!!!! দুঃখ লাগে...........
০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রিয় ব্লগার আহমেদ জী এস,
আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে আপনার এ চমৎকার মন্তব্যটির উত্তর অনবধানতা বশতঃ আগে দেয়া হয়নি। এমনটি (এত দেরি) সাধারণতঃ আমার হয় না। আশাকরি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে এ বিলম্বিত উত্তরটিকে গ্রহণ করবেন।
"স্মৃতির জোয়ারে যে ভেসে গেছেন তা শুকানদিঘীর জলের মতোই টলটলে লেখাতে" - অনেক ধন্যবাদ, লেখাটি মনযোগ সহকারে পাঠ করে এখানে যথাসময়ে মন্তব্যটি রেখে যাবার জন্য।
২২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আজ অপরাহ্নে অকস্মাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে টুনি ফুফু পরলোকে চলে গেলেন!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বাংলাদেশে গ্রাম ও মফস্বল অঞ্চলে দেও দানব দ্বারা দিঘী ও মসজিদ করার জনশ্রুতি আছে। কিছু কিছু দিঘী থেকে হাড়ি পাতিল থালা বাসন উঠে আসারও গল্পও প্রচলিত ছিলো। গল্পগুলো সত্যি সত্যি মজাদার ছিলো।
আপনার গ্রামে বেড়াবার বিবরণ পড়ে ভালো লাগছে। শুভেচ্ছা নিবেন।