নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতাঃ গ্রীলের ফাঁক দিয়ে দেখা

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০০


এখন বাজে সকাল সাতটা সাতচল্লিশ,
খুব বেশি আগে সকাল না হলেও,
অন্যান্যদিন এখানে এ সময়েই দেখা যেত
কাজে বের হওয়া মানুষের চলমান সারি।

করোনার কারণে নেমে আসা লকডাউন,
পুলিশের আকস্মিক টহল আর সতর্কবাণী,
নিত্যদিনের মৃতের ঊর্ধ্বমুখি পরিসংখ্যান
জনশূন্য করে দিয়েছে এ ব্যস্ত সড়কটিকে।

একটাও রিক্সা নেই, নেই কোন গাড়ি ভ্যান,
বা সাইকেল আরোহী। এমন কি সামনের ঐ
“আলহামদুলিল্লাহ ভ্যারাইটি স্টোর” টাও বন্ধ,
যার মালিককে গতকাল পুলিশ শাসিয়ে গেছে।

আমার চোখের সামনে দিয়ে টানা চলে গেছে
ডিশ-কেবলের কালো তারের সমান্তরাল লাইন।
আজ এসব আয়তক্ষেত্রের ভেতর দিয়েই দেখছি
জীবনের পরিসীমা আর নিদারুণ অন্তঃসারশূন্যতা!


রংপুর
০৯ জুলাই ২০২১

(ছবিটা আমার আইফোনে তোলা।)

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সময়োপযোগী কবিতা ।

করোনাতে আমরা যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ।

১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: করোনাতে আমরা যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ - হ্যাঁ, এক ধরণের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়েই আমরা এখন বসবাস করছি, যে কোন সময় দমকা হাওয়ায় আমাদের নিভু নিভু জীবন প্রদীপ একেবারে নিভে যেতে পারে, এ আশঙ্কা নিয়ে!

প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৩:০৩

শায়মা বলেছেন: করোনা সব কিছু বদলে দিলো। চির চেনা পরিবেশগুলোও।

১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: করোনা শুধু চির চেনা পরিবেশগুলোই বদলে দিবে না, পুরো বিশ্বকে, বিশ্ব প্রশাসন কে (ওয়ার্লড অর্ডার) বদলে দিবে, ক্রমান্বয়ে।
বহু মানুষ গতায়ু হবে, নতুন প্রজন্মকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে।

আমার নিজস্ব পরিমণ্ডল থেকে ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রিয়মুখ চিরতরে হারিয়ে গেছে।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: Silence is the pristine language of nature. Sounds are the manipulations of restless mankind.

৪| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: করোনার কারণে সবই যেন এলোমেলো হয়ে গেলো।

১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সব দুর্যোগই একদিন শেষ হয়। কিন্তু দেড় বছর হয়ে গেল, করোনার শেষটা কোথায় তা এখনো দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না।
এদিকে সমাজ ভেঙে পড়ার উপক্রম হচ্ছে।

৫| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সব এলোমেলো। কিছুই ভালো লাগে না। হতাশ লাগে অনেক
সুন্দর লিখেছেন
ভালো থাকুন

১২ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা এক কঠিন সময় পার করছি। এ সময়ে হতাশ না হয়ে সাহসের সাথে করোনাকে মোকাবিলা করে টিকে থাকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন, শুভকামনা....

৬| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২২

হাবিব বলেছেন:



রাস্তাটায় আজ নি:সঙ্গ অবসর
নিরবতা সেথা বেঁধেছে বাসর

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "রাস্তাটায় আজ নি:সঙ্গ অবসর
নিরবতা সেথা বেঁধেছে বাসর"
- এ নীরবতা যেন দীর্ঘস্থায়ী না হয়, পুনরায় প্রাণস্পন্দন ফিরে আসুক জীবনের সকল ক্ষেত্রে, সকল জনপদ প্রাঙ্গণে!

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিষন্নতার সুন্দর অভিব্যক্তি।বিষন্ন মনে জানালার ফাঁক দিয়ে দৃষ্টি যখন অন্তঃসারশূন্যতায় ভরা।

দেহমনের এই ক্রান্তিকালের অবসান ঘটুক।
যাতনাময় পরিস্থিতি দ্রুত সরে যাক। ভালো থাকুন স্যার সবসময় এই দোয়া করি।

১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেহমনের এই ক্রান্তিকালের অবসান ঘটুক - সেটাই চাই। দ্রুত এর অবসান হোক! মানুষ দিনে দিনে শক্তিহীন হয়ে যাচ্ছে, মানসিক দৃঢ়তা হারিয়ে ফেলছে। চোখের সামনে প্রিয়জনের মৃত্যু মানূুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলছে।

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৮| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি চারিদিকে শূন্যতা ;
হতাশাটুকু ই কেবল চোখে আসে। কেমন বদলে গেলো সময়!!

১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সত্যি চারিদিকে শূন্যতা ;
হতাশাটুকু ই কেবল চোখে আসে। কেমন বদলে গেলো সময়!!"
- আপনার এ সুন্দর মন্তব্যটাও বর্তমান অসুন্দর সময়ের একটি প্রামাণ্য চিত্র।

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৯| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৬

প্রামানিক বলেছেন: সময়োপযোগী চমৎকার কবিতা। খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটি পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ, প্রামানিক
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কবিতায় করোনার মহামারী ও লকডাউনের দৃশ্যাবলী সুন্দর ভাবে উঠে এসেছে ।
করোনায় জনমানুষের ভোগান্তি ও প্রিয় মানুষকে হারানোর বেদনা সে বড়ই করুন ।
আপনার মত আমারো অনেক কাছের প্রিয়জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ।

কবিতাটির শিরোনাম দেখে প্রথমেই একটি গুঢ় কথা ভাবতেছিলাম জানালার গ্রীলের ফাঁক দিয়ে
সত্যিই কি সব কিছু দেখা যায় ।জানালার ফাক গলে দেখার জন্য বাহ্যিক দৃষ্টির সাথৈ অন্য
কিছু লাগে।সেই অন্য কিছুর সন্ধান পাই কিনা তা দেখার বাসনা নিয়েই কবিতাটি পাঠে এগিয়ে চলি ।
আমি জানি আপনার কবিতার শেষ চরণে থাকে গুঢ় কথাটি । এখানেও এ কবিতাতেও হল তাই -
আজ এসব আয়তক্ষেত্রের ভেতর দিয়েই দেখছি
জীবনের পরিসীমা আর নিদারুন অন্ত:সারশুন্যতা।


কবিতার এই শেষ চরণদু‌টি আমার নীজের ভাবনাকে নিয়ে যায় বহুদুরে ।
মনে পরে কয়েক দশক আগে বরিশালের সরকারী ব্রজমোহন কলেজের বিশাল পুকুর পারে মাচায়
বসে ছিপ দিয়ে মাছ ধরার কালে সে কলেজেরই দর্শন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক গোলম কাদের
স্যার এর সাথে কিছু কথোপকথনের কথা। উল্লেখ্য, আমার বড় কাকা ছিলেন ঐ কলেজেরই বাংলা
বিভাগের একজন অধ্যাপক সে সুবাধে সেখানে গিয়েছিলাম।

তাঁরা দুজন ছুটির দিনে সারা দিনমান বসে বরশি দিয়ে মাছ ধরার জন্য রোদে কিংবা বৃষ্টিকালে
ছাতা মাথায় বসে থাকতেন , মাছ ধরার চেয়ে একান্তে বসে গুরু গম্ভীর পন্ডিতি গল্পগুজব বেশী
করতেন । তাঁদের বরশি বাউয়ার সময় আমাকে মাঝে মধ্যেই ঘর হতে ফ্লাক্সে করে চাচীর বানানো
চা ও হালকা নাস্তা নিয়ে যেতে হতো । চা নাস্তা খাওয়া পর্যন্ত তাঁদের পাশে বসে বরশি বাওয়া
দেখতাম । একদিন দেখি পানির উপরে গোলাম কাদের স্যারের বরশির সুতার সাথে বাধা ফাতনা
পানিতে ভাসছে আর ডুবছে । বুঝা গেল বরশিতে মাছ ঠোকর দিচ্ছে , এমনকি এক সময় ফাতনা
পানিতে তলিয়ে গেছে , কিন্তু স্যার হুইল লাগানো ছিপে টান দিচ্ছেন না, নির্বিকারভাবে বসে আছেন ।
বললাম স্যার ,বরশিতে মাছ এসেছে আধার সমেত বর্শি গিলে এখন যাওয়ার পথে । স্যার বললেন,
না ছিপে এখন টান দিবনা কারণ মাছ এখনো আধার খায়নি শুধু চাটছে । মনে মনে বলি বলে কি
স্যারে , সাধে কি মানুষে ফিলসফারকে আধা পাগলা বলে । খানিক পরেই দেখা গেল ফাতনায়
কোন উঠা নামা নাই, তারপরেও স্যার হঠাৎ করে ছিপে দিলেন টান , মাছ বরশিতে আটকা পরেছে।
বিশাল পুকুর ,স্যার বরশির সুতা ছাড়ছেনতো ছাড়ছেন , হুইলে কর্কর আওযাজ হচ্ছে , মাছ দৌড়াচ্ছে
পুকুর জুড়ে। প্রায় মিনিট বিশেক পরে স্যার হুইল ঘুরিয়ে অল্প অল্প করে মাছটিকে সারা পুকুর খেলিয়ে
টেনে আনলেন মাচার কাছে । বেশ বড় মাছ বুঝা যাচ্ছে , হাতের কাছে থাকা ছোট জাল দিয়ে
কোমর পানিতে আমাকে নামিয়ে দেয়া হলো জালের ভিতরে আটকে মাছকে পানির উপরে তোলার
জন্য । যাহোক মাছকে উঠানো হল পানির উপরে । বিশাল বড় একটি রুই মাছ । এখানে উল্লেখ্য
বরিশাল বিএম কলেজের ভিতর ও বাহির কেমপাসে ছোট বড় ১৩টি পুকুর ছিল সে সময়ে। বড়
তিনটি পুকুরে (এক একটি ফুটবল খেলার মাঠের মতই বড়) সিজনাল টিকেট কেটে বরশি
দিয়ে মাছ ধরা হতো ।

যাহোক, মাছ ধরার পরে গলায় সুতা বেধে পানিতে ডুবিয়ে এখে একটা হিল্লা করার পরে স্যারকে
বল্লাম স্যার ফাতনায় নড়াচড়া নাই অথচ মাছ এসে আধার খাচ্ছে দেখলেন কিভাবে । স্যার বললেন
আমরা খালি চোখে যা দেখি তার চেয়ে বেশী দেখি অন্তর দৃস্টিতে । বললাম স্যার তা কি করে হয় ।
তিনি বললেন তাহলেতো অনেক তত্ব কথাই বলতে হয় । যাহোক দর্শনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে
ইন্দ্রিয় অতিন্দ্রিয় নিয়ে তিনি যা বললেন স্মৃতির পাতা হাতরিয়ে তার কিছু দিলাম তুলে ।

গল্পের শুরুতেই তিনি চলে গেলেন অনেক পুরাতন কাহিনী কথায়। তার আগে আমাকে জিজ্ঞেস
করেছিলেন পুরাণের কথা আমি কিছু শুনেছি কিনা। বলালাম কাকার বুকসেলফে আমি কয়েক খন্ড
পুরাণ দেখেছি , কয়েকটি পড়ে দেখেছি সেগুলিতে মঝার মঝার কাহিনী আছে । পাঠে বেশ ভাল
লাগে । তিনি বললেন তাহলেতো ভালই হ'ল আমার কথার অর্থ কিছু বুঝতে পারবে। তিনি বললেন
পুরাণ মুলত প্রাচীনযুগীয় হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ আখ্যানমূলক ধর্মগ্রন্থ সমাহার।
মূল পুরাণের সংখ্যা অনেক এবং সেগুলি ছাড়া লেখকবিহীন পুরাণগুলিকে উপপুরাণ বলে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান
হলো সেরকম একটি উপপুরাণ, যেখানে ইন্দ্রিয় ও আতিন্দ্রিয় নিয়ে কিছু তত্ব কথা বলা আছে । সেটার
আলোকেই তিনি বলে গেলেন ইন্দ্রিয় ও অতিন্দ্রিয়ের কথা মালা। এখনে বললাম ইন্দ্রিয়েরর কথা শুনেছি
স্যার, কিন্তু অতিন্দ্রিয়টা কি জিনিষ । স্যার বললেন অতীন্দ্রিয় উপলব্ধি বলতে বোঝায় মনের বিশেষ
ক্ষমতার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ বা জানা ।

বললাম এটা কি করে সম্ভব । স্যার বললেন তাহলে তো প্রথমেই মানুষের আত্মা হতে শুরু করতে হয় ।
বললেন সেই প্রাচীনকালে প্রায় খৃস্টিয় চতুর্থ শতকে ব্রম্মাবর্ত পুরানে আত্মার কথা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে
যিনি সর্বত্র সমভাবে অবস্থান করে সর্বভুতে বিরাজমান তিনিই আত্মা ।
এই আত্মা পাঞ্চভৌতিক জীবশরীরে অবস্থান করে।
জীবশরীরে একাদশ ইন্দ্রীয় , মন ও বুদ্ধি অবস্থান করে ।
জীবের পার্থিব শরীর হল স্থুল শরীর ।
এই স্থুল শরীরে চক্ষু প্রভৃতি কর্মেন্দ্রীয় প্রতক্ষ যোগ্য, আর মন অপ্রত্ক্ষ। কিন্তু দশবিধ ইন্দ্রীয় স্থুল
দেহকে পরিচালনা করে। তাই স্থুলদেহ ইন্দ্রিয়সমুহ শ্রেষ্ঠ । ইন্দ্রিয় জ্ঞান ও কর্মের সাধন। ইন্দ্রিয়
একাদশসংখক (পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয় + পঞ্চকর্মেন্দ্রিয় , + মন)। মন ইন্দ্রিয় সমুহের নিয়ামক। ফলে
একাদশ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে মনই প্রধানতম ।

এই মন থেকে আবার বুদ্ধি শ্রেষ্ঠ । ব্রম্মবৈবর্ত পুরাণে বুদ্ধিকে জ্ঞান জননী বলে বর্ণনা করা হয়েছে ।
বুদ্ধি সাত্ত্বিক , রাজসিক ও তামসিক এই তিন প্রকারের হয় । এর মধ্যে স্বাত্মিকি বুদ্ধির দ্বারাই কেবল
কার্য , অকার্য , ভয় , অভয় , বন্ধ এবং মোক্ষকে জানা যায় । অপরপক্ষে রাজসিক বুদ্ধি ধর্ম ও অধর্ম ,
অকার্যকে কার্য বলে প্রতিপন্ন করে। সাত্ত্বিকী বুদ্ধি সুশ্রষা , শ্রবণ , গ্রহণ , ধারণ, অর্থজ্ঞান ও তত্ত্বজ্ঞান
এই বিশেষ গুণ যুক্ত । এই সপ্তগুণযুক্ত নিশ্চয়াত্নিকা সাত্ত্বিকী বুদ্ধি মন থেকে শ্রেষ্ঠ ।

শ্রেষ্ঠতর সাত্ত্বিকী বুদ্ধি থেকে যিনি শ্রেষ্ঠ তিনিই আত্মা । আত্মাই পরুষ বা জিবাত্মা । জিবাত্মা থেকে
শ্রেষ্ঠ আর কিছুই নাই । এই জীবাত্মা পরমাত্মারই অংশ। আত্মার দুটি স্বরূপ ;পরমাত্মা ও জীবাত্মা ।
পরমাত্মা এক ও অভিন্ন কিন্তু জীবাত্মা প্রতি দেহে ভিন্ন । প্রতিটি জীব পরমাত্মারই অংশ ।
সকল মানুষই ইশ্বরের সৃষ্ট । আমি এক , আমিই বহু হব ; পরমাত্মার এই ইচ্ছাই প্রকাশ জীবলোকে।
আধুনিক কবিও তাই বলেছেন মানুষে মানুষে নাইরে তফাত , নিখিল জগত ব্রম্মময় ।
কর্ণ, চক্ষু, ত্বক,জিহ্না ও নাসিকা এই পঞ্চজ্ঞানেন্দিয়ের বিষয় হলো যথাক্রমে শব্দ,রূপ.স্পর্শ, রস ও গন্ধ ।
ইন্দ্রিয়সমুহের স্বাধীনভাবে ভোগে অধিকার নেই । তারা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মনের সাহায্যে বিষয় দেখা ও ভোগে
প্রবর্তিত হয় ।

তাই মন ইন্দ্রিয় যার যত বেশী সজাগ সে ততবেশী অন্তরদৃষ্টি সম্পন্ন । দেখার বাইরেও তারা অনেক
কিছু দেখতে পায়। আপনার কবিতার শিরোনাম ও শেষ দু‌টি চরণের মহাত্মতা কিছুটা বৃঝার প্রয়াস
নিয়েছি মাত্র। ভুল ত্রুটি হলেও হতে পারে, যাহোক এটা নিছক মন্তব্য কোন তত্ব কথা নয় ।

এখানে উল্লেখ্য, এই ব্রম্মাবর্ত পুরাণ ইসলামের আবির্ভাবের অনেক আগের বিষয় । ইসলামি দর্শনে
আত্মা ও পরম সত্তার সাথে পুরাণের কথা মিলবেনা এটাই স্বাভাবিক । বিজ্ঞানীরাও সাধারণত
অতিন্দ্রিয় উপলব্ধিকে অগ্রাহ্য করেন, কারণ এক্ষেত্রে কোন সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য অনুপস্থিত থাকে। এছাড়া
পরীক্ষামূলক পদ্ধতি না থাকায় এ পদ্ধতির কোন সুস্পষ্ট নির্ভরযোগ্যতা না থাকার কারণে বিজ্ঞানীরা
একে পুরোপুরি গ্রহণ করেননা।জানালার ফাঁক দিয়ে দেখা বাস্তব দর্শন সাথে অন্তরদৃষ্টির সুন্দর মিলন।
যাহোক, জানালা দিয়ে দেখা কবিতার কথামালা হতে মনে উদয় হওয়া কথামালার কিছু বলে গেলাম এ
মন্তব্যের ঘরে । শ্রদ্ধেয় স্যারের কথার সাথে পরবর্তী সময়ে সংগৃহীত কথা, সাথে পুথি হতে ধার করা
কথার সমাহার কিছু যুক্ত হয়েছে এখানে। মন্তব্য বড় হয়ে ধৈর্যচ্যুতি ঘটানের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ।

আশা করি আপনার আম্মার শারিরিক অবস্থা এখন আল্লার রহমতে ভাল অছে ।
উনার জন্য দোয়া রইল ।

আপনার জন্য রইল শুভেচ্ছা ।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ে কয়েক দশক আগে বরিশালের সরকারী ব্রজমোহন কলেজের বিশাল পুকুর পারে মাচায় বসে ছিপ দিয়ে মাছ ধরার এবং সে কলেজেরই দর্শন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক গোলম কাদের স্যার এর সাথে কিছু কথোপকথনের যে স্মৃতিচারণ করলেন, তা বেশ উপভোগ করলাম। সে সময়ের কলেজগুলোতে বিশাল খেলার মাঠ এবং পুকুর- দুটোই থাকতো একাধিক। যাহোক, আপনার কাকা আর তার বন্ধুর মাছ ধরা দেখাকে উপলক্ষ করে ইন্দ্রিয় ও অতীন্দ্রিয়ের কথা মালা সম্পর্কেও কিছুটা জানা হলো।

আপনার এ দীর্ঘ মন্তব্যটা পাঠক মনে অনেক ভাবনার সূত্রপাত ঘটায় এবং ঘটাবে। আপনি এ নিয়ে একটা পৃথক পোস্ট দেয়ার কথা ভাবতে পারেন। যেমনঃ
*প্রতিটি জীব পরমাত্মারই অংশ।
*ইন্দ্রিয়সমুহের স্বাধীনভাবে ভোগে অধিকার নেই । তারা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মনের সাহায্যে বিষয় দেখা ও ভোগে প্রবর্তিত হয়।
*তাই মন ইন্দ্রিয় যার যত বেশী সজাগ সে ততবেশী অন্তরদৃষ্টি সম্পন্ন । দেখার বাইরেও তারা অনেক কিছু দেখতে পায়।

জানালার ফাঁক দিয়ে দেখা বাস্তব দর্শন সাথে অন্তরদৃষ্টির সুন্দর মিলন - এ কথার পেছনে যে সুন্দর পটভূমি বিছিয়ে কথাটাকে দাঁড় করালেন, এ কেবল আপনার মত একজন দার্শনিক ব্লগারের পক্ষেই সম্ভব। অনেক সম্মানিত বোধ করছি আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াসটাকে এত উদারভাবে মূল্যায়ন করার জন্য। আপনার এ গুণটি আমাদের, অর্থাৎ ব্লগারদের জন্য অনুকরণীয়, অনুসরণীয়।

মন্তব্য বড় হয়ে ধৈর্যচ্যুতি ঘটানের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী - আপনি একজন বিজ্ঞ ব্লগার এবং প্রাজ্ঞ পাঠক। আপনার মূল্যবান কথায় পাঠকের বা লেখকের ধৈর্যচ্যতি ঘটবে, তা কখনো হবার নয়।

আম্মার জন্য দোয়া করায় অভিভূত হ'লাম। ওনার অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও, খুব বেশি কিছু আশা করা যায় না বলেই মনে হচ্ছে। আশাকরি দোয়া অব্যাহত রাখবেন।

দু'দিনের এ দুনিয়ায় আপনার মত একজন সজ্জন এবং প্রাজ্ঞ ব্যক্তির সাথে এ ব্লগ মারফত পরিচিত হতে পেরে আমি গর্বিত।

১১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:১৫

সোহানী বলেছেন: দেশের অবস্থা দিন দিন যা দেখছি তাতে আতংকিত না হয়ে পারছি না। যেভাবেই হোক টিকা দেয়া জরুরী সবার।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অবশ্যই আতংকিত হবার মত যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এর মধ্যে আবার 'লকডাউন' তুলে নেয়া হলো, গরুর হাট খুলে দেওয়া হলো। এর ফলাফল তো শুভ হবার কথা নয়।

"যেভাবেই হোক টিকা দেয়া জরুরী সবার" - একমত।

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: মানুষের জীবন কীভাবে কীভাবে যেন অনেকটা বদলে গেছে।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের জীবন কীভাবে কীভাবে যেন অনেকটা বদলে গেছে - আসলেই তাই। সামনে আরও যুগান্তকারী কিছু পরিবর্তন আসবে বলে মনে হচ্ছে।

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫০

মেহবুবা বলেছেন: করোনা খেলাচ্ছলে প্রথম প্রথম একটু ঝাকুনি দিল, কেউ ফিরেও দেখল না তেমন কোথায় কোন্ উহান !
তারপর যখন জোরে নাড়া দিল দিক্ বিদিক দিশা হারা অবস্থা, উড়োজাহাজ ও লেজ গুটিয়ে বসে পড়ল !
করোনা ভেবেছিল জগৎ সংসারের মানুষ গুলো রঙীন চশমা খুলে হাতের ময়লা ধুয়ে শুদ্ধ শব্দ খুঁজে নেবে !
বিবেকহীনতা ঝেড়ে বিশ্ব সংসারে সুবাতাস বইয়ে দেবে !
উঁচু ঢেউ নামিয়ে নিল আবার উঁচু, বাধ্য হয়ে তৃতীয় বার উঁচু ঢেউ দিয়ে আঘাত করলো !

শুভবুদ্ধি আর মানবিকতার অভাব দেখে করোনা দিশে হারা, সেই বুঝতে পারছেনা কি করবে সে !

১৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "উড়োজাহাজ ও লেজ গুটিয়ে বসে পড়ল" - বড়ই চমৎকার বলেছেন এ কথাটা! :)

১৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৫

মেহবুবা বলেছেন: ছবিটা রংপুরের কোথায়?

১৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিটা রংপুরের লালকুঠি মোড় থেকে কেরানিপাড়া পর্যন্ত যে রাস্তাটা চলে গেছে, তার মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত কোন একটি বাসা থেকে তোলা হয়েছে।

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৫৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: খায়রুল ভাই,
গ্রীলের ফাক দিয়ে সব দেশের সব কোনা থেকেই দেখতে পাওয়া বিশ্বটার পুরোটাই বদলে গেছে এই করোনায়। গ্রীলের ভেতর থেকে বদলে যাওয়া পৃথিবীটা দেখে জীবনের পরিসীমা আর নিদারুণ অন্তঃসারশূন্যতা-র অনুভবটা ভালো লাগলো অনেক । ভালো থাকুন এই নিদারুন প্রহরেও।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এই নিদারুন প্রহরেও" যে কোন উপায়ে ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
অনেক ধন্যবাদ, কবিতা পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।

১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১০

ঢুকিচেপা বলেছেন: সকাল সাতটা সাতচল্লিশ অথচ রাস্তা ফাঁকা। কী সময় পার করে যাচ্ছি আমরা।
লক্ষ লক্ষ ছবির মাঝে প্রচ্ছদের ছবিটাও কালের সাক্ষী হয়ে রইল।
অনেক বছর পর গত নভেম্বরে এক কাজে গিয়েছিলাম রংপুরে। স্মৃতিতে থাকা রংপুর আর বর্তমান রংপুর সম্পূর্ণ আলাদা।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "লক্ষ লক্ষ ছবির মাঝে প্রচ্ছদের ছবিটাও কালের সাক্ষী হয়ে রইল" - আসলেই তাই। ফাঁকা রাস্তা আর বন্ধ দোকানপাটগুলোর দিকে তাকালে বুকটা কেমন যেন হু হু করে ওঠে।

"স্মৃতিতে থাকা রংপুর আর বর্তমান রংপুর সম্পূর্ণ আলাদা" - বিভাগীয় এবং মেট্রোপলিটান শহরে পরিণত হবার পর রংপুর তার পুরনো ঐতিহ্য এবং সৌন্দর্য অনেকটা হারিয়েছে।

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.