নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির জোয়ারে ভাসা (চতুর্থ এবং শেষ পর্ব)

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০১


মহীপুর ব্রীজ থেকে দেখা বিষণ্ণ আকাশ
“ফুরায় বেলা, ফুরায় খেলা, সন্ধ্যা হয়ে আসে”......
ছবি তোলার সময়ঃ ২৫ জুন ২০২১, সন্ধ্যা ৬-৩৭

কাকিনার গর্ব উনিশ-বিশ শতকের কবি শেখ ফজলল করিম (‘ফজলুল’ নয় কিন্তু; কবি তার নিজের নামটা ‘শেখ ফজলল করিম’ ই লিখতেন)। আদিতমারি যাওয়া আসার পথে রাস্তার উপর ‘কবির বাড়ি’র প্রতি দিকনির্দেশ করে স্থাপিত তিরচিহ্নটি বহুবার দেখেছি, কিন্তু কখনো প্রধান রাস্তা থেকে সামান্য পার্শ্ব-পথটুকু অতিক্রম করে কবি’র বাড়িতে যাওয়া হয়নি। এবারে ভাবলাম, দেখেই যাই কবি’র বাড়িটা। পথে বসে থাকা কয়েকজন অলস আড্ডাবাজকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কবি’র বাড়ি ঠিক কোনটা’? আলস্যভরে একজন কোনমতে ‘ঐ হোথা’ ধরণের উত্তর দিল। তার উত্তরে মোটেই সন্তুষ্ট না হয়ে অগত্যা এগোলাম, একটা পাকা বাড়ির খুঁটিতে দেখতে পেলাম লেখা আছে ‘কবি বাড়ি’। ইচ্ছে হচ্ছিল কবির কোন উত্তরসূরীর সাথে কথা বলি। বাড়ির ভেতর থেকে মানুষের কথার আওয়াজও পাচ্ছিলাম। কলিং বেল আছে কি না তা খুঁজলাম। দেখতে পেলাম না, তাই ইচ্ছেও হলো না গলা হেঁকে অন্দর মহলের কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করার। আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করলাম, দেয়ালের ফাঁক ফোকর দিয়ে যতটুকু দেখা গেল, বাড়ীর ভেতরটাকে বেশ ওয়েল মেইন্টেন্ড মনে হলো। একজন পথিক কে জিজ্ঞেস করলাম, কবি’র সন্তানেরা কেউ বেঁচে আছেন কিনা। তিনি জানালেন যে কবি’র একজন মাত্র নাতি বেঁচে আছেন, তবে তিনিও বার্ধক্যের ভারে পঙ্গু হয়ে শয্যাশায়ী। বাড়ির সামনেই কবি’র ক্ববর দেখতে পেলাম। সমাধি ফলকে কিছু ঝরা পাতা ঠাঁই নিয়েছে। সেখানে উৎকীর্ণ রয়েছে কবির চিরবিখ্যাত কবিতার অজর চারটে চরণঃ
“কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক?
কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ নরক,
মানুষেতে সুরাসুর”।

আব্বা আমাদেরকে বলেছিলেন, কবি ওনার মামা সম্পর্কিত ছিলেন এবং এক সময় তিনি কবি’র ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে ছিলেন। কবি’র বাড়িতেও তার বেশ কিছুকাল পদচারণা ছিল। কবি’র বাড়িটা দেখে তাই মনে মনে আব্বাকেও স্মরণ করলাম এবং এমন নিরিবিলি, পরিচ্ছন্ন একটা পরিবেশে তার পদচারণা ছিল, এ কথা ভাবতেও ভালো লাগলো।

কবি পরিচিতিঃ শেখ ফজলল করিম ১২৮৯ বঙ্গাব্দের (১৮৮২ সাল) ৩০ই চৈত্র বর্তমান লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজার গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আমিরউল্লাহ সরদার এবং মাতার নাম কোকিলা বিবি। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ফজলল করিম ছিলেন দ্বিতীয়। তার পারিবারিক ডাক নাম ছিল মোনা।

ছোটবেলা থেকেই কবির লেখা-পড়ার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ ছিল, এমনি কি তার বয়স যখন তিন-চার বছর তখন তিনি বাড়ী থেকে পালিয়ে স্কুলে চলে যেতেন। তিনি পাঁচ বছর বয়সে কাকিনা স্কুলে ভর্তি হন। প্রায় প্রতি বছরেই বার্ষিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের জন্য তিনি পুরস্কৃত হতেন। ফজলল করিম মাত্র ১২ বছর বয়সে তার প্রথম কবিতার বই সরল পদ্য বিকাশ হাতে লিখে প্রকাশ করেন। ষষ্ঠ শ্রেণীতে তাকে রংপুর জেলা স্কুলে ভর্তি করা হলে তিনি তা ছেড়ে কাকিনা স্কুলে ফিরে আসেন। সেখান থেকেই ১৮৯৯ সালে মাইনর পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেন। এরপর তাকে আবারও রংপুর জেলা স্কুলে দেওয়া হলে স্কুলের বাঁধাধরা পড়াশোনায় মন বসাতে না পেরে তিনি সেখান থেকে আবারও ফিরে আসেন এবং জ্ঞানার্জনে উৎসাহী হয়ে প্রচুর বই পড়তে থাকেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বসিরন নেসা খাতুনের সাথে ফজলল করিমের বিয়ে হয়। এরপর অনেক কারণে তার স্কুল জীবনের ইতি ঘটে। দুঃখের বিষয় যে আমরা শিশুদের মানসিক বিকাশে তার স্বাভাবিক প্রবৃত্তিকে প্রশ্রয় দিতে চাই না। সে কারণেই কবিকে শৈশবে প্রতি ক্লাসে প্রথম স্থান অর্জন করা সত্ত্বেও কাকিনার গ্রামীণ পরিবেশ থেকে রংপুর জিলা স্কুলের শহুরে পরিবেশে স্থানান্তর করে জলের মাছকে ডাঙায় তোলা হয়েছিল। ফলে তার পড়াশুনার যবনিকাপাত করা হয়। রংপুর ছেড়ে দুই দুইবার কাকিনায় ফিরে এসে এ কিশোর কবি রক্ষা পান নি। মাত্র তিন-চার বছর বয়সে যে শিশু বাড়ী থেকে পালিয়ে স্কুলে চলে যেত, সেই আবার কিশোর বয়সে রংপুর জিলা স্কুল ছেড়ে কাকিনায় ফিরে এসেছিল!

সাহিত্যের প্রতি তার প্রচন্ড আগ্রহের কারণে কর্মজীবন ফজলল করিমকে তেমন ভাবে আকর্ষণ করতে পারে নি। ছোটবেলাতেই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আয়ত্ত করেছিলেন যা তিনি কাজে লাগাতেন গ্রামের দরিদ্র মানুষের সেবায়। তিনি বাড়িতে বসেই দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা করতেন। সাহিত্য সৃষ্টি, প্রকাশনা ও সাধনার প্রতি ফজলল করিমের প্রচন্ড ইচ্ছা এবং আগ্রহ থেকে তিনি নিজ বাড়ীতে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

জীবনকালেই তিনি বহু পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন। ‘বাসনা’ সম্পাদনার সময় রোমিও-জুলিয়েট সম্পর্কিত তার একটি কবিতা পাঠ করে তৎকালীন প্রখ্যাত সাহিত্যিকেরা তাকে বাংলার শেক্সপিয়র আখ্যা দেন। ‘পথ ও পাথেয়’ গ্রন্থের জন্য তিনি রৌপ্যপদক লাভ করেন। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে নদীয়া সাহিত্য সভা তাকে ‘সহিত্যবিশারদ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ‘চিন্তার চাষ’ গ্রন্থের জন্য তিনি নীতিভূষণ পদকে ভূষিত হন। কাশ্মীর শ্রীভারত ধর্ম মহামন্ডল তাকে রৌপ্যপদকে ভূষিত করে। এ ছাড়া তৎকালীন বাংলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে কাব্য ভূষণ, সাহিত্যরত্ন, বিদ্যাবিনোদ, কাব্যরত্নাকর, ইত্যাদি উপাধিতে ও সম্মানে ভূষিত করে।

১৯৩৬ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কবি’র মাজারের অপর পার্শ্বস্থ কবরস্তানে একটি বাঁধানো প্রস্তরফলকে এই স্মরণিকাটা দেখে মনটা একটু কেমন করে উঠলোঃ
“হে পথিক--- একটু দাঁড়াও, আমাদের জন্য আল্লাহ’র নিকট দোয়া করে যাও, আজ তোমরা যেভাবে আছো, গতকাল আমরা সেভাবে ছিলাম। আজ আমরা যেভাবে আছি, আগামীকাল তোমরা সেভাবে থাকবে”। অজানা অচেনা, নাম না জানা উদ্দিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য এবং প্রয়াত কবি’র জন্য খানিকক্ষণ মৌন প্রার্থনা জানিয়ে ফিরতি পথ ধরলাম।

আদিতমারি যাওয়ার সময় মহীপুর ব্রীজে নামার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু শুরুতেই যাত্রায় বিলম্ব ঘটানো সমীচীন নয়, এই ভেবে নামি নাই। ফেরার পথে নানা কারণে মনটা বিষণ্ণ ছিল। মহীপুর ব্রীজের সন্নিকটে যখন, তখন আকাশটার দিকে তাকিয়ে দেখি পশ্চিমাকাশের মেঘে মেঘে যেন আমার বিষণ্ণতা ছড়িয়ে আছে। উৎপলকে বললাম একটু থামতে। এই করোনার মাঝেও ব্রীজের উপর তরুণ যুবাদের মটর সাইকেলের প্রচুর ভিড়। বিনোদনহীন দেশে একটি ব্যস্ত ব্রীজের উপর সন্ধ্যার প্রাক্কালে মটর সাইকেল হাঁকিয়ে তরুণ তরুণীদের হাওয়া খাওয়াটাও একটা বিনোদনে পরিণত হয়েছে। এমন ভিড় ভাট্টার মাঝে বেশিক্ষণ থাকতে ইচ্ছে হলো না। তাছাড়া আমরা ব্রীজের উপর থাকতেই ফোন এলো, আম্মার জরুরি পরিচর্যা দরকার, আমাদের প্রয়োজন। আমরা একটানে আধ ঘন্টার মধ্যে বাসায় ফিরে এলাম।

চার পর্বে বিবৃত মাত্র একদিনের একটা জার্নি, সকাল সাড়ে দশটা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত, সেটার কথা লিখতেই তো প্রায় পৌণে পাঁচ হাজার শব্দের চার চারটে পর্ব হয়ে গেল! চলার পথে এবং যাত্রাবিরতিতে দেখা কিছু দৃশ্য আর তৎসম্পর্কিত কিছু স্মৃতি নিয়েই চার পর্বের এ সিরিজটা লিখেছি। বিভিন্ন পর্বে দেওয়া ছবিগুলো দেখে অনেকেই হয়তো বা মনে করছেন, এই করোনা এবং 'লকডাউন' এর মধ্যে আমি বোধ হয় বেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। আসলে তা নয়। রংপুরে আসার পর গত এক মাসে মাত্র একদিনই ঘর হতে বের হয়েছি, আর সেটাও 'লকডাউন' শুরু হবার আগে। সব ছবি ও স্মৃতিচারণ- ঐ একদিনেরই!

এ পথচলার বিবরণী “স্মৃতির জোয়ারে ভাসা” সিরিজটি এখানেই সমাপ্ত হলো। যারা আমার সাথে এ স্মৃতির জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন, তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

ভ্রমণঃ ২৫ জুন ২০২১
লিখনঃ ০৯ জুলাই ২০২১
স্থানঃ রংপুর
শব্দ সংখ্যা ৯৬৪



কবি’র সমাধি ফলকে আশ্রয় পাওয়া কিছু ঝরা পাতা
ছবি তোলার সময়ঃ ২৫ জুন ২০২১, বিকেল ৬-০৪


‘কবি বাড়ি’ টা দেখে আব্বার কথা মনে হচ্ছিল।
ছবি তোলার সময়ঃ ২৫ জুন ২০২১, বিকেল ৬-০২


কবরস্থানের প্রস্তর ফলকে উৎকীর্ণ একটি আবেদন
ছবি তোলার সময়ঃ ২৫ জুন ২০২১, বিকেল ৬-০৬


মহীপুর ব্রীজ থেকে দেখা বিষণ্ণ আকাশ
ছবি তোলার সময়ঃ ২৫ জুন ২০২১, সন্ধ্যা ৬-৩৭

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২৪

আরোহী আশা বলেছেন: স্মৃতিগুলো বেঁচে থাক আজীবন

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিগুলো বেঁচে থাক আজীবন - সে আশাতেই তো এতটা প্যাঁচাল পারলাম, এতটা ডিটেইলসে, এমন কি ছবিগুলোতেও দিনক্ষণ উল্লেখ করে!

এ পোস্টে প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসটি রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এমনকি এটাই বোধকরি আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য। আপনাকে সুস্বাগতম!

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

হাবিব বলেছেন: সাবলীল বর্ণনা...... বরাবরের মতোই স্মৃতিকথায় ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আপনি সব সময় এ সিরিজে এসে পোস্ট পড়ে গেছেন এবং ভালো লাগার কথা জানিয়ে গেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার দেয়া প্লাসগুলোও নিঃসন্দেহে অনেক অনুপ্রাণিত করে।
ভালো থাকুন, শুভকামনা....

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লাগল কবি শেখ ফজলুল কবিরের সন্মন্ধে জেনে

আপনি ভাল থাকুন

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, কবি'র সম্বন্ধে লেখা কথাগুলো আপনার ভালো লেগেছে, তা এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।
বলতে একটু সংকোচ হচ্ছে, তবুও কবি'র প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি, কবি'র নামটি লিখতে কিন্তু আপনি ভুল করেছেন। পাঠকেরা ওনার নামটি লিখতে ভুল করতে পারে, এ সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে আমি কিন্তু পোস্টের প্রথম লাইনেই কবি'র নামের সঠিক বানানের প্রতি পাঠকগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:







কবি শেখ ফজলল করিমের লেখা কবিতার বিখ্যাত অংশ -

কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক?
কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক
মানুষেতে সুরাসুর।

চমৎকার স্মৃতিচারণ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি'র নামটি সঠিকভাবে উল্লেখ করে তার কবিতার সেই বিখ্যাত লাইন ক'টি উদ্ধৃত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর সাবলীল বর্ণনা । কবি বাড়ি আর লালমণিরহাটের নাম জানা এলাকা পড়ে ভাল লাগলো। কবি শেখ ফজলুল কবির সম্পর্কেও অনেক তথ্য জানা হলো । ধন্যবাদ।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, পোস্টটা পড়ার জন্য, মন্তব্য রাখার জন্য এবং প্লাস দিয়ে যাবার জন্য।
৩ নম্বর প্রতিমন্তব্যটি লক্ষ্য করুন, আপনিও একই ভুল করেছেন এবং কথাগুলো আপনার মন্তব্যের জন্যেও প্রযোজ্য। আশ্চর্য হ'লাম দেখে যে দুটো মন্তব্যেই কবি'র নামের প্রথম অংশ এবং পরের অংশ, দুটোতেই একই ভুল হয়েছে। খুব সম্ভব, কপি-পেস্ট এর কারণেই এ ভুলটি হয়ে থাকবে।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: ওহ হো স্যরি! ভুল যাতে না হয় আমি পাঁচবার স্ক্রল করে দেখে এসেছি।
নাম আর বানান ভুল আমার সহজাত প্রবৃত্তি- ক্ষমা করবেন
:``>>

১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার বিনয়ে আমি অভিভূত।
কবি'র নামটা একটু ব্যতিক্রমী, সুতরাং ভুল হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শৈশবে মুখস্ত করা কবিতা, কবি সম্পর্কে জানতে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ছবি র জন্য। আরও বেশি আন্তরিক ধন্যবাদ আপনার ভ্রমণে আমাদের সঙ্গী করার জন্য।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, এ সিরিজের সবগুলো লেখা মনযোগ সহকারে পড়ে আন্তরিক মন্তব্য এবং প্লাস দিয়ে যাবার জন্য।

"আরও বেশি আন্তরিক ধন্যবাদ আপনার ভ্রমণে আমাদের সঙ্গী করার জন্য" - আপনারা সঙ্গী হয়েছেন বলেই না সিরিজ লেখাটা সার্থক হলো।

৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




এই পর্বে দৃষ্টি আকর্ষন করেছে কবি ফজলল করিমের জীবনালেক্ষ নিয়ে থাকা মুল্যবান তথ্য
সম্ভারের প্রতি । উল্লেখ ১৯৮০-৮১সনে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ভিলেজ স্টাডি শীর্ষক একটি
প্রকল্পের আওতায় রংপুর দিনাজপুর সহ উত্তর বঙ্গের কয়েকটি জেলা চষে বেড়ানোর সৌভাগ্য
হয়েছিল । সে সময় লালমনিরহাটের কাকিনাতে এই কবির সমাধি স্থল পরিদর্শনের দুর্লভ
সুযোগ হয়েছিল । এখন এই পোষ্টে তাঁর সম্পর্কে কথামালায় স্মৃতিকে নিয়ে যায় তাঁর সকাশে।
সত্যই সাহিত্যসাধনা ছিল তাঁর জীবনের ব্রত। তাঁর কাব্যভাবনা ও সাহিত্যসাধনার পুরাটাই
ছিল ধর্মীয় বোধ ও নীতি-চিন্তা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তিনি ইসলাম ধর্মের আলোকে মুসলমানদের
মধ্যে আদর্শ জীবনযাত্রা এবং নীতি-উপদেশ শিক্ষা দিতে চেয়েছেন।বলা হয়ে থাকে তিনি
চিশতিয়া সুফিমতের সমর্থক ছিলেন । তাঁর রচনায় ওই মতের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
আমার বাবার সংগ্রহে থাকা কবি শেখ ফজলল করিমের লেখা হযরত খাজা মইনুদ্দীন
চিশতি (রহ)এর জীবনী গ্রন্থটি পরিনত বয়সসহ কিশোরকালেই বেশ কয়েকবার পাঠ
করেছি । সে গ্রন্থে একটি অধ্যায়ে হযরত খাজা মইনুদ্দীনের লেখা পুস্তক ‘আনিসুল আরোয়া‌’
তথা 'আত্মার বন্ধু' সম্পর্কে বিষদ কিছু লেখা আছে। সেখানে রয়েছে হাদিসে যমানা এবং কুতুবে
দাওরা হযরত ওছমান হারুনী(হযরত খাজা মইনুন্দীন চিশতীর পীর)কিছু ওয়াজেরও বিবরন ।
হযরত খাজা মইনুদ্দীর চিশতি সহ সে সমস্ত ওয়াজ যেন আধ্যাতিক উপদেশ এবং শিক্ষামুলক
অসংখ্য কাহিনীর সমাহার । যারা আল্লাহ পাকের পথিক তাদের কাছে সে সমস্ত ওয়াজ
আত্মার বন্ধু রূপেই মনে হবে। বিষয়গুলি বেশ সুন্দরভাবে তাঁর লেখা হযরত খাজা মইনুন্দীন
চিশতি(রহ) এর জীবনী গ্রন্থে তুলে ধরা হয়েছে । তবে তিনি সমকালের জীবন-যন্ত্রণা ও সমাজ
সমস্যার কথাও উপেক্ষা করেননি। বিশেষত মুসলিম সমাজের নানা দুঃখ-দুর্দশা তাঁর মনকে
গভীরভাবে স্পর্শ করেছিল। এ সমাজের জাগরণ তিনি কামনা করতেন। সে সঙ্গে মানববাদী
চিন্তাও তাঁর মধ্যে লক্ষ করা যায়।তাঁর লেখায় সমকালের সমাজভাবনার অনেক মুল্যবান উপাদান
পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে বাংলা ভাষার পক্ষে তাঁর স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয়।বাঙালি মুসলমানের
ভাষা নিয়ে সঙ্কটের সময় বাংলা ভাষার স্বপক্ষে তিনি ছিলেন সোচ্চার। হিন্দু-মুসলমান মিলনাকাঙ্ক্ষা
ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য। হিন্দু-মুসলমান সঙ্কটের সময় শেখ ফজলল করিম রচনা করেন:
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহু দূর,
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরা-সুর।
রিপুর তাড়নে যখনই মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয় ।
প্রীতি-প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়ে ঘরে।

বাংলার গর্ব এমন একজন গুণী মানুষের জীবনাচারণ সংক্ষপে এ পোষ্টে
তুলে ধরে তাঁর প্রতি আমাদেরকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ করে দেয়ার
জন্য রইল অশেষ ধন্যবাদ। প্রয়াত কবিবরের প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
তাঁর সমাধি স্থলটি সহ অন্যান্য স্মৃতি চিহ্নগুলিকে যথাযথভাবে
সংরক্ষনের জন্য কতৃপক্ষের আরো দৃষ্টি দান প্রয়োজন বলে মনে
করছি। সেখানে এই স্বনামধন্য কবির জন্ম কিংবা মৃত্যু দিবসে স্থানীয়
কিংবা জাতীয় পর্যায়ে সাহিত্য সন্মেলনের আয়োজন করা যেতে পারে।

আরেকটি কথা বিশাল বড় মাপের কবিত্বের অধিকারী পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত দাদার
যোগ্য উত্তরাধিকাী নাতী হিসাবে আপনার মাঝে কবি প্রতিভার পরিস্ফুটন আমাদের
এখনকার সাহিত্যকাশকেও করে চলেছে সমৃদ্ধ । তাই কবি দৌহিত্রের প্রতিও রইল
কুর্ণিশ ।

আপনার আম্মার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

১৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবি ফজলল করিম এর জীবনালেখ্য নিয়ে আমার পোস্টের চেয়ে আপনার মন্তব্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন, এজন্য আমার পক্ষ থেকে আপনাকে জানাচ্ছি বিশেষ ধন্যবাদ।

"তিনি সমকালের জীবন-যন্ত্রণা ও সমাজ সমস্যার কথাও উপেক্ষা করেননি। বিশেষত মুসলিম সমাজের নানা দুঃখ-দুর্দশা তাঁর মনকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছিল। এ সমাজের জাগরণ তিনি কামনা করতেন। সে সঙ্গে মানববাদী চিন্তাও তাঁর মধ্যে লক্ষ করা যায়। তাঁর লেখায় সমকালের সমাজভাবনার অনেক মুল্যবান উপাদান পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে বাংলা ভাষার পক্ষে তাঁর স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয়। বাঙালি মুসলমানের ভাষা নিয়ে সঙ্কটের সময় বাংলা ভাষার স্বপক্ষে তিনি ছিলেন সোচ্চার।" - কবি সম্পর্কে এমন সারগর্ভ আলোচনাটি আমার পোস্টকে অনেক সমৃদ্ধ করে রাখলো।

"তাই কবি দৌহিত্রের প্রতিও রইল কুর্ণিশ" - এ প্রত্যাশিত সম্মানে কিছুটা বিব্রত বোধ করলেও, আপনার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে আপনাকেও জানাচ্ছি হাজারো সালাম!!!

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: মহীপুর ব্রীজ থেকে দেখা বিষন্ন আকাশ ছবিটি মনে দাগ কাটলো, স্মৃতির বর্ননায় মুগ্ধ। এম এ আলী স্যারের কমেন্ট থেকেও কবি ফজলল করিমকে নিয়ে আরও বিস্তারিত জানলাম।

১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "স্মৃতির বর্ননায় মুগ্ধ" - অনেক ধন্যবাদ, প্রশংসায় প্রাণিত হ'লাম।

মহীপুর ব্রীজ থেকে দেখা বিষন্ন আকাশ ছবিটি মনে দাগ কাটলো - সে সময়টা আমার জন্য বিষণ্ণ সময় ছিল, সে কারণেই হয়তো আকাশটাকেও বিষণ্ণ মনে হয়েছিল।

বিদগ্ধ ব্লগার ডঃ এম এ আলী এর উপরোক্ত মন্তব্যটা আমার পোস্টে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সন্নিবেশ ঘটিয়েছে এবং তার সারগর্ভ আলোচনাটি আমার পোস্টকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। ওনার মন্তব্য প্রায় সব সময়ই ব্লগের মূল পোস্টগুলোকে সমৃদ্ধ করে। ওনার মন্তব্য তাই সকলের কাছে পরম আকাঙ্খিত।

মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্মৃতির জোয়ারে ভাসা দিয়ে শুরু করেছিলেন চারপর্বের এই সিরিজটি আবেগ স্মৃতিকথার প্রতিধ্বনি থাকলেও কোথাও কোথাও তা শুধু সুখস্মৃতি নয় বরং বর্ননাতীত বা বিষাদ সিন্ধুতে পরিচিত হয়েছে।তাই প্রথম দুটি পর্ব পড়ে ততটা ভালো লেগেছে ততটাই বিষন্ন হয়েছি তৃতীয় পরবর্তী পড়ে। চতুর্থ পর্বে আবার মূলত কবি শেখ ফজলল করিম ও কবিভূমির সঙ্গে পরিচিত হলাম।আমার মতো যারা ছোট থেকেই সেঈ বিখ্যাত কবিতার লাইনগুলো শুনে আসছি,
"কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক?
কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক,
মানুষেতে সুরাসুর।"-
আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন আমাদের বাংলা টেক্সট বুকে এই কবিতাটি ছিল। আপনার বলার সৌজন্যে আজ চোখের সামনে আরেকবার কবির জীবন কাহিনী যেন রোমন্থন করলাম। সঙ্গে সুন্দর সুন্দর সমাধি ফলক দেখে পরবর্তী প্রজন্মকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারলাম না।যারা আর পাঁচটি সাধারণ সমাধির মতো না রেখে সুন্দর সমাধি ফলক বানিয়ে কাব্যরত্নকে সম্মান জানিয়েছেন। সবশেষে আরেকবার আপনাকে ধন্যবাদ স্যার স্মৃতির সারণিতে দাঁড়িয়ে এমন মায়াভরা জীবন কথা আমিদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
আপনার মায়ের আরোগ্য লাভ কামনা করি। উপরওয়ালা যেন ওনাকে দ্রুত আরোগ্য দান করেন।
পরিশেষে বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।


১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনাকে ধন্যবাদ স্যার স্মৃতির সারণিতে দাঁড়িয়ে এমন মায়াভরা জীবন কথা আমিদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য" - এমন একটা প্রশংসাবাক্য পেয়ে বড় অভিভূত হ'লাম। মায়াভরা আমাদের এ জগত, তবে আমরা সবাই যাপিত জীবনে প্রায়শঃ দৌড়ের উপর থাকি বলে হয়তো জীবনের পরতে পরতে বিছানো এ মায়ার জালটাকে দেখতে পাই না।

মায়ের আরোগ্য কামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ পাক আপনার শুভকামনা কবুল করে নিন!

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপরের কমেন্টে একসঙ্গে লিখতে বাঁধা বাঁধা লাগলো।ড.আলী ভাই ব্লগের একজন রত্ন। বিভিন্ন পোস্টে ওনার কমেন্টগুলো এক একটা সম্পদ। দীর্ঘ কর্মজীবনের নানান অভিজ্ঞতা পোস্ট প্রসঙ্গে আমাদেরকে শেয়ার করেন।এই পোস্টে বাড়তি পাওনা কবি ফজলল করিম সাহেবের লেখা খাজা মৈনুদ্দিন চিশতির জীবনী গ্রন্থের পরিচয়। একদিকে চিশতি সুফিবাদের সমর্থক অন্যদিকে চলমান সাম্প্রদায়িক অস্থিরতাকে প্রশমিত করতে কবি লিখেগেছেন সেই অমিয় বাণী যা হাজার বছরেও বিশ্বমানবতার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ড. আলী ভাইকে।
আপনার পোস্টের মাধ্যমে ওনার উদ্দেশ্যেও রইলো আমার শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা।

১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ড.আলী ভাই ব্লগের একজন রত্ন। বিভিন্ন পোস্টে ওনার কমেন্টগুলো এক একটা সম্পদ" - আমি আপনার এ কথাগুলোর সাথে একমত।

আপনার পোস্টের মাধ্যমে ওনার উদ্দেশ্যেও রইলো আমার শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা - আশাকরি আপনার এ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন আলী ভাই এর নজরে আসবে।

পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: কবি শেখ ফজলল করিম সম্পর্কে অনেক অজানা কিছু জানলাম। আপনার রচনা শৈলীর গুণে এবং ছবিতে পোস্টটি অন্য মাত্রা পেয়েছে।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।
শুভ কামনা রইলো।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি শেখ ফজলল করিম এর ব্যতিক্রমী নামটি সঠিক বানানে উল্লেখ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

লেখার প্রশংসায় এবং প্লাসে প্রাণিত হ'লাম। অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা....

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:০২

মেহবুবা বলেছেন: আমি তো রীতিমত সরদার ফজলুল করিম ভেবে বসছিলাম; যাই হোক ভুল ভেঙেছেন ।
আপনার বেড়ানো সার্থক হোল !

১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'সরদার' এর জায়গায় শেখ হবে, আর 'ফজলুল' এর জায়গায় ফজলল, এ টুকুই যা ভুল ভেবেছিলেন!
যাক, সেটুকু ভুলও এখন ভেঙেছে জেনে মনে হচ্ছে আমার লেখাটা সার্থক হলো।

১৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১

মেহবুবা বলেছেন: আমার একটা কথা মনে হোল, আপনি আমেরিকা প্রবাসী নাফিস এবং নাবিলের নিকট আত্মীয়! যোগাযোগ হলে বলবেন আমার কথা, শেষবার যখন এসেছিল দেখা করে এসেছিলাম । কি মিষ্টি চমৎকার দুই ভাই !
আমার দাপ্তরিক এই নাম মনে করতে পারবে কিনা জানি না; ডাক ধাম একটা রত্নের নামে সেটা জানে।
ওদের জন্য প্রাণঢালা শুভকামনা ।
করোনার প্রাথমিক পর্যায়ে যখন আমেরিকার অবস্থা অনেক খারাপ ছিল তখন নাফিসের সাথে যোগাযোগ হয়েছিল, জানিয়েছিল ভাল আছে ।
পৃথিবী খুব ছোট খায়রুল ভাই ।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবী আসলেই খুব ছোট!

১৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খায়রুল ভাই উনার কমেন্ট কপি করেছি দ্রুত কমেন্ট করার জন্য। আসলে নামের বানানে গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক বিশেষ করে একজন কবির ।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "উনার কমেন্ট কপি করেছি দ্রুত কমেন্ট করার জন্য" - আমি সেটা বুঝতে পেরেছি, এবং আমিও সেরকমটি প্রায়ই করে থাকি। তবে এখানে একটা ভুল নাম কপি করেছেন বলে নিজেরও ভুল হয়ে গেছে নিজের অগোচরে, আমি সেটাই আপনার গোচরে এনেছি মাত্র, ভুল ধরা মোটেই উদ্দেশ্য ছিল না। আপনারটাও নয়, ওনারটাও নয়। আপনারা উভয়ে এ ব্লগের সম্মানীয় ব্লগার।

"নামের বানানে গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক বিশেষ করে একজন কবির" - এ সত্যটা উপলব্ধির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এপ্রিশিয়েট করছি আপনার এ দৃষ্টিভঙ্গীর।

পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৯

করুণাধারা বলেছেন: সিরিজের সবগুলো পর্বই পড়েছি আগ্রহ নিয়ে, কারণ বরাবরই জীবনী বা স্মৃতিচারণ ধরণের লেখা পড়তে আমার ভালো লাগে। কিন্তু পড়ার পরের অনুভূতি জানানো হয়নি। আপাতত এই পর্ব পড়ার অনুভূতিটাই জানাই!

"কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক?
কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ নরক,
মানুষেতে সুরাসুর।"


এই অসাধারণ পংক্তিগুলো দিয়ে অনেকবার ভাব সম্প্রসারণ লিখেছি, কিন্তু কবির নাম ছাড়া কিছুই জানতাম না। এখন কবি সম্পর্কে জানতে পারলাম। কবির বাড়ি ও সমাধির ছবি পোস্টে সংযোজন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

জানিনা কেন, বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কবিদের বংশধররা দীর্ঘজীবী হন না!!

আপনার এই সিরিজ পড়ে খুবই ভালো লেগেছে... সুযোগ পেলে পরে অন্য পর্বে মন্তব্য করতে যাব। এই পর্বে বিষন্ন আকাশের ছবিও সুন্দর হয়েছে।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "জানিনা কেন, বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কবিদের বংশধররা দীর্ঘজীবী হন না!!" - এটি একটি বিরল পর্যবেক্ষণ। আপনার পর্যবেক্ষণ শক্তি খুবই তীক্ষ্ণ, সন্দেহ নেই।

সুযোগ পেলে পরে অন্য পর্বে মন্তব্য করতে যাব - আগের পর্বগুলো আপনি পড়েছেন, এটা জেনেই খুশি হয়েছি। আর এ কথাটাতে আরও খুশি হ'লাম। বিষন্ন আকাশের ছবিও সুন্দর হয়েছে - এ কথাটাতেও অনুপ্রাণিত বোধ করছি।

১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৭

মেহবুবা বলেছেন: ডাক ধাম -- হবে না, ওটা হবে ডাক নাম ! ওপরে আমার মন্তব্য এ ভুল ।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ওটা হবে ডাক নাম" - ওটা আমি এমনিতেই বুঝে নিয়েছিলাম! :)

১৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৩

জুন বলেছেন: "কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক?
কবি শেখ ফজলল করিমের লেখা কবিতার বিখ্যাত এই অংশটি বহুবার পড়তে হয়েছে কিন্ত ওনার সম্পর্কে এত ডিটেইলস জানা ছিল না । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বর্তমান প্রজন্মের কাছে বিস্মৃত এই কবি সম্পর্কে খানিকটা ধারনা তুলে ধরার জন্য ।
+ -

২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.