নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অধুনা আমি কেন লিখছি, কী লিখছি? (হয়তো ট্র্যাশ!!! )

২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০২

আমি কোন লেখক নই, কোন কালেও তেমন ছিলাম না। ছোটবেলায় কখনো কখনো ডায়েরী লেখার ইচ্ছে জাগতো বটে, চেষ্টাও করেছিলাম কয়েকবার, কিন্তু সে ডায়েরী অরক্ষিত থাকতো বলে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো, তাই এক সময় বিরক্ত হয়ে সে ইচ্ছে ও অভ্যেস দুটোই পরিত্যাগ করি। ছাত্রাবস্থায় টুকটাক কবিতা লিখতাম, দুই একটা প্রবন্ধ লিখেও স্যারদের প্রশংসা পেয়েছিলাম, তবে এ নিয়ে বেশি দূর অগ্রসর হতে পারি নি। যৌবনের প্রারম্ভে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে লেখনীতে ছিপি এঁটে দেই। অবসর জীবনে এসে আফসোস হলো, জীবনের বাঁকে বাঁকে অনেক যেসব গল্প লুকিয়ে ছিল, সেগুলো সে সময়ে লিখে রাখলে হয়তো নিষ্প্রাণ শব্দগুলো এক সময় প্রাণ পেয়ে আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়তো। যাহোক, সেটা যখন হয়নি, গতস্য শোচনা নাস্তি!

কর্মক্ষেত্র থেকে অবসরে এসে শুরুতে সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে এবং সমাজকল্যাণমূলক কিছু কার্যকলাপে বেশ সক্রিয়ভাবে আত্মনিয়োগ করি। লক্ষ্য করলাম, ঘরের বাইরে বের হলেই, যদি চোখ কান খোলা থাকে, তবে অনেক গল্প শোনা যায়, গল্পের চিত্রপট দেখা যায়। বহু বছর আগে আমাদের সংসার শুরু হবার পর পরই একটা ক্যামেরা কিনেছিলাম। তখন সময় পেলেই রমনা পার্ক, মিরপুর বোটানিকাল গার্ডেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি জায়গায় গিয়ে প্রচুর ছবি তুলতাম। উল্লেখ্য, তখন সেই স্থানগুলোর পরিবেশ এখনকার মত নোংরা ময়লা ও মানুষ দ্বারা পরিবৃত ছিল না। সময় কিভাবে ফুরিয়ে যেত তা টেরই পেতাম না। একেকটা ফিল্মের রীল শেষ হলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম, কখন সেই ছবিগুলোর প্রিন্ট কপি হাতে পাবো! এক সময় সে অফুরন্ত উদ্যমেও ভাটা পড়লো। ক্যামেরা ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম। বহুদিন পর নতুন মিলেনিয়ামের শুরুতে হাতে সেলফোন এলো, কিন্তু কার সাথে কথা বলবো? খুব কম সংখ্যক মানুষের হাতে তখন সেলফোন এসেছে, তাই গুটি কয়েক বন্ধুর সাথে তখন সেলফোনে আলাপ হতো, তাও কদাচিৎ। ধীরে ধীরে সেলফোনের প্রসার ঘটতে থাকলো, উন্নততর ভার্সন আসতে থাকলো, সেলফোনের সাথে ক্যামেরা যুক্ত হলো। ব্যস, আবার শুরু হলো যত্রতত্র বেহিসেবি ছবি তোলা। এভাবে ছবি তুলে পরবর্তীতে অবকাশ সময়ে ছবিগুলো দেখতে দেখতে লক্ষ্য করলাম, পথ চলার সময় তোলা এসব ছবিতেও অনেক গল্প লুকিয়ে থাকে। আবার চলার পথের বৃত্তান্তকে স্মরণীয় করে রাখতেও এসব নির্বাক ছবি গল্প বুকে ধারণ করে রেখে নীরবে গল্প বলে যায়।

২০১৩ থেকে ২০১৯, এ ছয় বছরে দেশ-বিদেশ ভ্রমণে উৎসাহী হই। কোন কোন বছরে একাধিকবার দেশের বাইরে গিয়েছি, দেশের অভ্যন্তরেও ঘুরে বেড়িয়েছি। এ সময়টাতে প্রচুর ছবি তুলেছি এখানে সেখানে- সেগুলো কি শুধুই স্মৃতিচারণের জন্য? না, যা কিছুই দেখতে ভাল লেগেছে, তারই ছবি তুলে রেখেছি। স্মৃতিচারণ লক্ষ্য ছিল না, পরবর্তীতে অনুষঙ্গ হিসেবে এসেছে। এখন মাঝে মাঝে সেসব ছবি দেখি, আর সেখান থেকে গল্প তুলে এনে এখানে সেখানে লিখি। কেন লিখি? মনের আনন্দে। এসব লেখার কোন সাহিত্যমূল্য নেই, তবে আমি মনে করি এসব ছবি ও গল্প কোন না কোন কারণে আমার কাছে প্রেরণার হয়ে আছে, মনোহর মুগ্ধতার উপকরণ হয়ে আছে। নেপালে একটা নিঃসঙ্গ ফুল দেখে, মেলবোর্নে একটা পার্কের পাথর বিছানো সরু রাস্তা ও তার আশেপাশের গাছ-গাছালি, গুল্মলতা ও নিঃশব্দে প্রবহমান ভূঁইফোর একটি শীর্ণ ঝরনার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে কবিতা লিখেছিলাম, কয়েকটা বাংলায়, কয়েকটা ইংরেজীতে- যখন যেটা যেভাবে মনে উদিত হয়েছে, সেভাবে। কবিরা জানেন, কবিতা লিখা যায় না, কবিতা ‘আসে’। আমি জানি, আমার মনে এখন যেসব কবিতা মাঝে মাঝে আসে, একদিন তাদের আসা বন্ধ হয়ে যাবে, কিংবা যেতে পারে। তাই কবিতা-অকবিতাগুলো যখন আসে, তখন সেগুলো লিখে ফেলে আমি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি, ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে এবং ব্লগে শেয়ার করি। এগুলো পড়ে কেউ যদি কখনো ভালো কিছু বলেন, আমি অনুপ্রাণিত হই। কেউ সাধারণতঃ খারাপ কিছু বলেন না, কিন্তু তবুও আমি জানি সমালোচনার অনেক কিছুই থাকে আমার অপরিণত লেখায়। ইংরেজীতে কবিতা লিখি বলে অনেকেই খোটা দেয়, তাদের উষ্মা প্রকাশ করে, কিন্তু আমি নাচার। কবিতার লাইনগুলো মনে যেভাবে আসে, সেভাবেই লিখি, সেভাবেই লিখতে হয়।

আমি যা কিছু লিখে চলেছি, তা জীবন থেকে নেয়া। জীবনের চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা থেকে নেয়া। প্রতিটি মানুষেরই জীবনের গল্প থাকে, কেউ সেসব নিয়ে লিখেন, কেউ লিখেন না। তবে এসব গল্প লিখতে ও পড়তে অনেকেই ভালবাসেন। লেখা ভাল হলে তা পাঠকের অন্তর ছুঁয়ে যায়, তারা পঠিত গল্পের সাথে তাদের নিজের গল্পগুলো মিলিয়ে দেখতে ভালবাসেন। গল্পে তো গল্প থাকেই, এমন কি কবিতায়ও থাকে। এজন্য কিছু কিছু কবিতা পড়েও আমরা আমাদের জীবনের গল্প মিলিয়ে দেখি। ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে অধিকাংশ মানুষের (অর্থাৎ আমাদের) জীবনটা যেমন কোন কোন না কোন সময়ে রূঢ় বাস্তবতার কশাঘাতের সম্মুখীন হয়, এদের অনেকেই তেমনি কোন না কোন সময়ে এমন শুভক্ষণ প্রাপ্ত হয়, যার গরিমা এরা (অর্থাৎ আমরা) সারা জীবনের সুখস্মৃতি হিসেবে উপভোগ করে/করি। সুখ ও দুঃখের সম্মিলিত গল্প নিয়েই আমাদের জীবন। সকল প্রতিকূলতার মাঝেও আমি আমার এ জীবনটাকে ভালবেসে বড় হয়েছি, এখন বুড়োও হচ্ছি। জীবনের প্রতি এই ভালবাসা থেকেই আমার লেখালেখি। একদিন এ লেখা থেমে যাবে। তখন কেউ অপেক্ষা করবে না আমার নতুন কোন লেখা পড়ার জন্য। যা কিছু লিখেছি এখানে ওখানে, সেগুলোও চাপা পড়ে যাবে অজস্র নতুন লেখার অতল তলে। কেউ যদি সেগুলো পুনরায় কিংবা নতুন করে পাঠ করতে চায়, তাকে প্রত্নতাত্ত্বিকের মত অনেক খনন কার্য সমাধা করতে হবে। তবে সেগুলো হয়তো থেকে যাবে এ ল্যাপটপে এবং সেলফোনে। যখন এ দুটো নিত্য-ব্যবহৃত উপকরণ মালিকবিহীন হয়ে যাবে, তখনও এরা আমার লেখাগুলোকে বুকে ধারণ করে রবে, জাঙ্ক হিসেবে বর্জিত হয়ে বর্জ্যস্তুপে নিক্ষিপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। এর পরে ওদের, সেই সাথে আমার লেখাগুলোর গন্তব্য কোথায় হবে, কে জানে!



ঢাকা
২৬ জুলাই ২০২১
শব্দ সংখ্যাঃ ৭৯৯

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবিতার সাথে মনে হয় মুডের (মেজাজ) একটা সম্পর্ক আছে। এটা কখন, কি অবস্থায় আসবে কবি নিজেও জানে না। তাই কবির মেজাজ বজায় থাকা অবস্থাতেই লিখে ফেলা উচিত। আপনি মনে হয় তাই ই করেন। আপনি যে পেশায় ছিলেন সেখানে কবিতা সহজে আসার কথা না। অবশ্য নজরুল ইসলাম যুদ্ধ ক্ষেত্রেও কবিতা আর গান লিখেছেন। আপনার কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে মনে হয়। না হলে বই প্রকাশের জন্য আমার মনে হয় এটাই অনুকুল সময়। আপনি সম্ভবত একটা নির্ঝঞ্ঝাট জীবন যাপন করছেন এখন, যেটা অনেকের জন্য দুর্লভ। বইয়ে একবার কবিতা বা গদ্য স্থান পেলে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। আপনি যে ভালো লেখেন সেটা নিশ্চয়ই সামুর ব্লগারদের ফিডব্যাক থেকে এতো দিনে বুঝে গেছেন।

আমি তরুণ বয়সে ডাইরিতে গোপন কথা লিখে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছিলাম। আমার এক বন্ধু কিছু গোপন কথা পড়ে ফেলে। ফলে আমি ডাইরি লেখার আগ্রহ হারাই চিরদিনের জন্য।

২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনি মনে হয় তাই ই করেন" - জ্বী, আপনি ঠিকই ধরেছেন, আমি তাইই করি। :)
"আপনি সম্ভবত একটা নির্ঝঞ্ঝাট জীবন যাপন করছেন এখন" - এটাও আপনার ঠিক ধারণা, এবং "আপনার কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে মনে হয়" - এটাও।

আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডায়েরী লেখার অভিজ্ঞতাটা সুখকর হয় না, কারণ আমরা অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে অতিমাত্রায় অনুসন্ধিৎসু থাকি।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: লেখাগুলো থাকবে। পৃষ্ঠায়, সার্ভারে, স্মৃতি এবং সময়ে।

২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাগুলো থাকবে। পৃষ্ঠায়, সার্ভারে, স্মৃতি এবং সময়ে - শুভ সংবাদ! আশ্বস্ত হ'লাম।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমারতো অনেক কবিতা ব্লগের বাহিরে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করা। অংবং কবিতা। কতগুলো তার হিসেবও রাখিনি । অনেকগুলো আবার বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দেয়া । সেগুলোর অবস্থা কি হবে? যাইহোক আপনার লেখা ভাল হচ্ছে। এসব আপনার পরিণত বয়সের পরিণত লেখা । প্রতিটি মানুষের জীবন একেকটি বৃহৎ বইয়ের মতো । কেউ কেউ তার কিয়দংশ লিখে সংরক্ষণ করে রাখে। কিন্তু কিছু আবার মৌখিক স্মৃতি তুমি বেদনা হিসেবে কিছুদিন থাকে কাছের মানুষদের কাছে। তারপর আর থাকে না। হাওযায় মিলিয়ে যায়। পোষ্টের কিছু কথা মন ছুঁয়ে গেল । ব্লগার ইমন জোবায়ের ভাইয়ের কথা কজনে মনে রেখেছেন? :(

২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কোন কবিতাই 'অংবং কবিতা' নয়। সবগুলোকে সংগ্রহ করে এক জায়গায় রেখে দিন।
"মানুষের জীবন একেকটি বৃহৎ বইয়ের মতো" - চমৎকার বলেছেন।
ব্লগার ইমন জোবায়ের কে আমি ব্লগে পাইনি। আমার এ ব্লগে যোগদানেরর পূর্বেই তিনি লোকান্তরিত হয়েছেন। তবে আমি অনেকের লেখায় তার রেফারেন্স পেয়েছি, এবং দেখেছি এখনও অনেকে তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ভাই ,
আপনার কবিতা , জীবনমুখী লেখা এবং জীবনে চলার পথে
একেক সময় একেক রকম উপলব্ধি সবই আমি এবং আমরা
খুবই উপভোগ করি । আর আপনার লেখা কখনো হারাবার
নয় এবং হারাবেও না । শরীর কেমন আপনার ?

২৭ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার কবিতা , জীবনমুখী লেখা এবং জীবনে চলার পথে একেক সময় একেক রকম উপলব্ধি সবই আমি এবং আমরা খুবই উপভোগ করি । আর আপনার লেখা কখনো হারাবার নয় এবং হারাবেও না " - অনেক ধন্যবাদ, এমন চমৎকার, প্রেরণাদায়ক মন্তব্য এবং প্লাসটির জন্য। অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।

আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি এবং দোয়া করি আপনিসহ ব্লগের সবাই যেন ভালো থাকেন, সুস্বাস্থ্যে, সপরিবারে।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: @সেলিম আনোয়ার ভাই বলেছেন-ব্লগার ইমন জোবায়ের ভাইয়ের কথা কজনে মনে রেখেছেন?
অনেকেই মনে রেখেছেন, আমার ধারনা সেই সময়ের ব্লগারদের অন্তত ৫০ ভাগ তাঁকে মনে রেখেছেন!

লেখককে বলছি; আপনি আপনার মনের আনন্দে লিখে যান- পরে কি হবে না হবে সেটা আপনি আমি কেউই ফিরে দেখতে আসব
না। তখন পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষ আমাদের বুকে ধারন করলেও আমাদের কিছু যাবে আসবে না।
আপনার লেখা আমার মত অনেকেরই পড়তে ভাল লাগে।
অবসর জীবনে আপনি সবচেয়ে উত্তম কিছুর চর্চা করছেন বলে আমি মনে করি।

ভাল থাকুন-সুস্থ্য থাকুন।

২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অনেকেই মনে রেখেছেন, আমার ধারনা সেই সময়ের ব্লগারদের অন্তত ৫০ ভাগ তাঁকে মনে রেখেছেন!" - জ্বী, আপনি ঠিকই বলেছেন। আমার তো বরং মনে হয় উল্লেখিত শতকরা হারটা আরেকটু বেশিই হবে।

"লেখককে বলছি; আপনি আপনার মনের আনন্দে লিখে যান- পরে কি হবে না হবে সেটা আপনি আমি কেউই ফিরে দেখতে আসব না। তখন পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষ আমাদের বুকে ধারন করলেও আমাদের কিছু যাবে আসবে না" - একদম ঠিক কথা! এ কথাটাই লেখা চালিয়ে যাবার প্রেরণা হয়ে থাকবে।

"আপনার লেখা আমার মত অনেকেরই পড়তে ভাল লাগে। অবসর জীবনে আপনি সবচেয়ে উত্তম কিছুর চর্চা করছেন বলে আমি মনে করি" - এ কথাটাতে অনেক স্বস্তি পেলাম, শান্তি পেলাম। এ চর্চাটা চালিয়ে যাবার আশা রাখি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, মন ছোঁয়া আপনার এ মন্তব্যটার এবং প্লাসের জন্য।

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৪২

সুদীপ কুমার বলেছেন: আপনার লেখা এবং মন্তব্য দুটোই ভালো লাগে।

২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখা এবং মন্তব্য দুটোই ভালো লাগে - অনেক ধন্যবাদ। আমি যদি কোন লেখা পড়ি, সেটা মন দিয়ে পড়ি এবং মন্তব্যটাও যত্নের সাথে করার চেষ্টা করি। আপনার স্বীকৃতি পেয়ে আমার সে চেষ্টা টা সার্থক হলো।

৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:০১

কামাল১৮ বলেছেন: দুঃখ না থাকে সুখের অনুভবি কমে যায়।যারা জাত লেখক তারা চাইলেই লিখতে পারে অথবা লেখার মুড আনতে পারে।তানাহলে এতো এতো লেখা তারা লিখলো কেমন করে।
স্মৃতিচারন খুবই ভালো লাগলো।লেখা লেখি চালিয়ে যান,কে মনে রাখবে কে মানে রাখবে না সেটা আসল কথা না,মনের আনন্দের জন্য লেখবেন।কেউ যদি পড়ে একটু আনন্দ পেল সেটা ফাও।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "স্মৃতিচারন খুবই ভালো লাগলো।লেখা লেখি চালিয়ে যান,কে মনে রাখবে কে মানে রাখবে না সেটা আসল কথা না,মনের আনন্দের জন্য লেখবেন" - আপনার এ পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশ, জাতি, মানুষের কি কি সমস্যা, করোনার কারণে মানব জাতির কি কি সমস্যা আপনার চোখে পড়ছে?

২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দেবো কোথা??

মূল সমস্যা মানুষ ও জাতির চরিত্র।

করোনাকে এখন আমার কাছে একটা মনুষ্য-সৃষ্ট বিধ্বংসী বিপর্যয় বলে মনে হয়। আমরা বোধকরি একটা জীবাণুযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছি।

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:৪৬

সোহানী বলেছেন: কোন কারনে কি আপনার মন বিক্ষিপ্ত?

আসলে আমি আপনি যা লিখি তা অনেকটা নিজের স্বার্থে লিখি। নিজের ভাবনা, নিজের ভালোলাগা, কষ্টলাগা লিখে রাখি। সেটার ভবিষ্যত নিয়ে খুব কি ভাবি! তারপরও আপনার যে ক'টি বই আছে তা ভবিষ্যত প্রজন্ম এর জন্য। আপনার ভাবনাগুলো নিয়ে হয়তো কেউ ভাববে একদিন। তারপর তা নিয়ে আরো কিছু লিখবে।

শুধু তাই নয়, চলমান বিষয় নিয়ে নিজের মতামত দিয়ে তাতে অংশগ্রহন করারও সুযোগ থাকে।

লিখতে থাকুক বরাবরের মতই প্রিয় লেখক, একটুও আগুপিছু ভাববেন না।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এমন চমৎকার মন্তব্যটিও জন্য। আসলেই আমরা নিজের ভাবনা, নিজের ভালো লাগা, মন্দ লাগা, কষ্ট লাগার কথাগুলো লিখে রাখার জন্যই মূলতঃ লিখি। এসব লেখায় সাধারোণতঃ যাপিত জীবনের প্রতিফলন থাকে।

১০| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: শুধুমাত্র নিজের জইন্য লিখেন - বাকি সব জাহান্নামে যাক! ব্যক্তিগত মত। সুন্দর লেখা, ভাবাইলো।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাফ সাফ কথা কওনের লাইগ্যা অনেক ধইন্যবাদ। সাহস পাইয়া সিনাডা ফুইল্যা গেল!

১১| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
জানিয়ে গেলাম।
ভালো থাকুন।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: জানলাম, আপনিও ভালো থাকুন, এই শুভকামনা রইলো।

১২| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার পরিণত বোধ আর জীবনকে দেখার স্বচ্ছ, নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গিই আপনার লেখাকে পৃথক করে সহজেই।
জীবনের নির্যাসটুকু যখন কলমে উঠে আসে আনমনে যে রুপই হোক তা ঋদ্ধ হয়ে আসে।
পাঠককে ভাবায়, দোলায়, হাসায় কাঁদায় বিষন্ন করে!
লেখকের স্বার্থকতা এখানেই

মহাকালের কাছে লেখকই হয়ে ওঠেন যোগসূত্র।
চলমান সময়ের দু:খ ব্যথা, আনন্দ, ভাবনা, সামাজিকতা, ইতিহাসের খন্ড খন্ড সূ্ত্র হয়ে ওঠে লেখা।
ভবিষ্যতের মানুষ বুঝে নেয়/বুঝতে চেষ্টা করে ঐ সময়ের মানুষদের, তাদের ভবনাকে, অনুভবকে . . .

তাই যেভাবে লিখছেন হাত খুলে লিখতে থাকুন :)

২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "মহাকালের কাছে লেখকই হয়ে ওঠেন যোগসূত্র" - চমৎকার বলেছেন, গভীর পর্যবেক্ষণ! পুরো মন্তব্যটি শক্ত বুননে বাঁধা, অত্যন্ত পরিপাটি ও মনোমুগ্ধকর।

মন্তব্যে এবং প্লাসে মুগ্ধ হ'লাম, অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

মিরোরডডল বলেছেন:



ইংরেজীতে কবিতা লিখি বলে অনেকেই খোটা দেয়, তাদের উষ্মা প্রকাশ করে,

কিন্তু কেনো, সমস্যা কোথায় ইংরেজীতে লিখলে ।
সবাইতো চাইলেও ভালো লিখতে পারেনা ।
সেখানে কেউ যদি লেখে তাকে প্রশংসা করা উচিৎ।

প্রতিটি মানুষেরই জীবনের গল্প থাকে, কেউ সেসব নিয়ে লিখেন, কেউ লিখেন না। তবে এসব গল্প লিখতে ও পড়তে অনেকেই ভালবাসেন।

জীবন থেকে নেয়া গল্পগুলো পড়তে খুব ভালো লাগে ।

তখন কেউ অপেক্ষা করবে না আমার নতুন কোন লেখা পড়ার জন্য।

আমরা পড়বো । আপনি লিখুন ।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমরা পড়বো । আপনি লিখুন" - আচ্ছা। লিখছি, লিখে চলেছি এবং লিখবোও, ইন শা আল্লাহ!
সুন্দর মনছোঁয়া মন্তব্য এবং প্লাসটি'র জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

ইসিয়াক বলেছেন: আমি সময় পেলেই অনেক পুরানো লেখা খুঁজে খুঁজে পড়ি। আমি ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে সবার প্রথম আপনার লেখা পড়ার মাধ্যমে ব্লগ পড়া শুরু করি।কমেন্ট করা হয়নি তখন।মন থেকে বলছি আপনার লেখার মধ্যে কোন কৃত্রিমতা নেই। কেমন যেন মায়া জড়ানো থাকে। পড়তে শুরু করলে শেষ না করে রেখে দেয়া যায় না।

আপনি মন খুলে লিখুন। সবাই পড়বো। কেন পড়বে না? ভালো লেখার মৃত্যু নেই। আমি কিন্তু সেই টানেই লিখি।

শুভ কামনা রইলো।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে সবার প্রথম আপনার লেখা পড়ার মাধ্যমে ব্লগ পড়া শুরু করি।কমেন্ট করা হয়নি তখন" - এমন চমৎকার একটা তথ্য পেয়ে অত্যন্ত প্রীত হ'লাম। 'কমেন্ট করা হয়নি' তাতে কোন সমস্যা নেই। আমার পোস্ট পড়ে আপনার 'ব্লগ পড়া শুরু' হয়েছে, এটাই অনেক খুশির ব্যাপার।

"মন থেকে বলছি আপনার লেখার মধ্যে কোন কৃত্রিমতা নেই। কেমন যেন মায়া জড়ানো থাকে। পড়তে শুরু করলে শেষ না করে রেখে দেয়া যায় না" - অনেক ধন্যবাদ এমন উদার মূল্যায়নের জন্য, সেই সাথে 'প্লাস'টির জন্যেও।

ভাল থাকুন, শুভকামনা....

১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

জুন বলেছেন: এমন চিন্তা করলে আর লিখাই হবে না কোনদিন খায়রুল আহসান। আমরা ভালোলাগা থেকে লিখি তবে অনেক পেশাদার লেখকের কথা শুনি তারা নাকি রুটিন করে নির্ধারিত সময়ে বসে নির্ধারিত পাতা লিখে থাকেন। আমি তো শুনে তাজ্জব ! মন ভালো না থাকলেও কি ঘড়ি ধরে লেখালেখি সম্ভব !!
আপনি লিখতে থাকুন আপনার মনের আনন্দে যেমন আমি লিখি :)
+

২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমরা ভালোলাগা থেকে লিখি" - জ্বী, আমিও সেই দলেই অন্তর্ভুক্ত। মনের আনন্দেই আমাদের লেখা!

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি দেখেছি কয়েকজন কবিতার খুবই বিরোধিতা করছেন। কবিতা নিয়ে আজেবাজে কথাও লিখছেন অথবা বাজে কবিতাই লিখে যাচ্ছেন - তাতে কি, আপনার লিখা আপনি লিখে যাবেন। আমি নিজেও একজন ডায়েরী লেখক। কেউ পড়লে ভালো - না পড়লেও ভালো। color of life, color of justice আমার নিজেরও ইংরেজী কবিতা আছে। আমার কবিতা আমি নিজেই পড়ে অভিভূত।

সবচেয়ে ভালো পাউরুটি আর ঝোলা গুড়। - লেখুন, পাশেই আছি।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'আমি কবিতা বুঝিনা' কিংবা 'কবিতা আমার মাথার উপর দিয়া যায়' ইত্যাদি কথা বলা এখন একটা হালফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। অথচ প্রাচীনকাল হতেই মানুষের মুখে মুখে কবিতার মাধ্যমে কাব্য মহাকাব্য রচিত হয়েছে, ইতিহাস গাঁথা রচিত এবং সংরক্ষিত হয়েছে।

শুধু কবিতা কেন, অর্থহীন এবং দুর্বোধ্য ভাষায় লিখলে তো গদ্য, নাটক ইত্যাদিও মাথার উপর দিয়ে চলে যাবার কথা। সুতরাং, শুধু কবিতার দোষ দেয়া সমীচীন নয়।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আপনার ইংরেজী কবিতাটি পড়ে মন্তব্য করে এলাম।

১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



দিনে দিনে আপনার লেখা আরও পরিনত হচ্ছে বাচনভঙ্গিতে।
ঠিকই বলেছেন - প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু গল্প থাকে। সেটা কেউ লিখে রাখেন , কেউ লেখেন না।
যারা লেখেন তারা মনের আকুতিকেই প্রকাশ করেন, আনন্দ সহকারে।

লেখা নিয়ে আপনার যে আক্ষেপ তার বিপরীতে বলি ----- জীবন যে উপাদান সমৃদ্ধ হবার প্রত্যাশায় থাকে প্রতিদিন, একটি লেখা তাকে পরিশোধিত করে ; তারই যোগান দেয় । আর এর ফলেই জীবন মরুতে জলসিঞ্চিত হয় । যে উপাদানে আপনার জীবন সমৃদ্ধ তাই-ই আপনাকে পথ দেখিয়েছে। সে পথের সঙ্গী কেউ হোক বা না হোক , পথ চলতে হয় নিজেকেই। সবারই হয়। একই ঘাটে নোঙর ফেলে বসে থাকা তো জীবন নয় - স্থবিরতা!
তাই নোঙর তুলে পাড়ি দিন অচেনা -অজানা কোনও গন্তব্যে। কোথায় গিয়ে ভিড়বে সে তরী, না হয় নাই-ই ভাবলেন।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: যারা লেখেন তারা মনের আকুতিকেই প্রকাশ করেন, আনন্দ সহকারে - জ্বী, ঠিক বলেছেন, এবং এই 'লিখতে পারা'টাও সবার জন্য এবং সবসময় সম্ভব হয় না। এতদসত্ত্বেও যারা লিখতে পারেন, লিখে মনের আকুতিকে প্রকাশ করতে পারেন, তারা সত্যই সৌভাগ্যবান। সে হিসেবে আমি আপনি সেই সৌভাগ্যবানদের দলে! :)

এত চমৎকার করে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের কথাগুলো বললেন, মন ছুঁয়ে গেল! অশেষ ধন্যবাদ, এ চমৎকার মন্তব্যটি এবং প্লাসের জন্য।

১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫২

করুণাধারা বলেছেন: জানিনা কেন নিজের লেখার মান সম্পর্কে আপনার মনে সংশয় জাগল!! আপনার প্রতিটা পোস্টেই তো পাঠকেরা ভালো লাগার কথা জানান। আমি ব্লগে খুব কম আসি বলে ইদানিং আপনার পোস্টে মন্তব্য করা হয়না, কিন্তু আপনার চার পর্বের স্মৃতি চারণ মূলক পোস্ট সব পর্ব পড়েছি, ইচ্ছা আছে পরে মন্তব্য করার কারণ প্রতিটা পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে।

আমি আগেও বলেছি, ইংরেজি কবিতা লেখায় আপনাকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য মনে হয়। Wandering Thoughts এর প্রতিটা কবিতাই ভালো লেগেছে। খুব সংক্ষেপে হলেও আমি এই বইয়ের কবিতা নিয়ে লিখেছিলাম, প্রশংসা করেছিলাম।

আপনার লেখা সাবলীল এবং সহজবোধ্য। একে ট্র্যাশ বলে কে?

এই পোস্টে একটা নতুন জিনিস দেখলাম, আপনি একটা ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করেছেন! এটা আগে দেখিনি!





২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ইচ্ছা আছে পরে মন্তব্য করার কারণ প্রতিটা পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে" - আচ্ছা, প্রীত হ'লাম।

জ্বী, আপনি এর আগেও একাধিকবার আমার ইংরেজী কবিতার প্রশংসা করেছেন (যখনই কোনটা পড়েছেন), Wandering Thoughts এর কবিতাগুলো ছাড়াও।

"আমি এই বইয়ের কবিতা নিয়ে লিখেছিলাম, প্রশংসা করেছিলাম" - অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি, মূল্যায়নের জন্য।

"আপনি একটা ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করেছেন! এটা আগে দেখিনি" - এখন করি, বিশেষ করে যখন ইংরেজীটি শব্দটির কোন সঠিক প্রতিশব্দ কলমের ডগায় পাই না, যা সঠিকভাবে শব্দটির দ্যোতনা (nuance, এখানেও ইংরেজী শব্দটিকে উল্লেখ করতে হলো) সঠিকভাবে প্রকাশ করে।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ, এবং শুভকামনা....

১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৫

অপু তানভীর বলেছেন: একটা সময়ে আসলেই লেখা বন্ধ হয়ে যাবে সবার । এটাই সব থেকে সত্য আর কঠিন বাস্তব কথা যা কোন ভাবেই এড়ানো সম্ভব না । তবে আপনার লেখার অনুরাগী যারা তারা ঠিকই আপনার লেখার খোজ করবে, ঘুরে ফিরে পুরানো পড়বে । এমন কী কেউ যদি নাও পড়ে তবুও লিখতে হবে । লেখা কেমন হল, ভাল হল কি মন্দ হল এতো কিছু ভেবে যদি সময় নষ্ট করেন তাহলে দেখবেন কত সময় চলে যাচ্ছে । অথচ সময় কত কম ! আমি লিখি কেবল নিজের জন্য । অন্য মানুষ আমার লেখা পড়ে যদি ভাল বলে কিংবা কারো ভালো লাগে তাহলে সেটা কেবল বাড়তি পাওনা । এমন কি আমার লেখা যদি একজন মানুষও না পড়ে তবুও আমার লিখতে ইচ্ছে করে । লেখা গুলো সব নিজের জন্য, নিজের মনের শান্তির জন্য ।

আগে এমন ছিল যে চাইলেই লেখকেরা নিজেদের লেখা প্রকাশ করতে পারতেন না, সকলের সামনে তুলে ধরাটা ছিল বেশ কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার । কিন্তু এখন আর সেটা হয় না । এখন খুব সহজেই নিজের লেখা নিজের চিন্তা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। এই ব্লগ তার একটা উৎকৃষ্ট মাধ্যম যার দরুন । এই জন্য সব সময় লিখুন । মনে যা আসে সব লিখুন । কারো ভালো লাগলেও লিখুন না লাগলেও লিখুন । মনের শান্তির জন্য লিখুন ।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এমন কী কেউ যদি নাও পড়ে তবুও লিখতে হবে" - জ্বী, আমিও তাই মনে করি। একমত।

"এমন কি আমার লেখা যদি একজন মানুষও না পড়ে তবুও আমার লিখতে ইচ্ছে করে । লেখা গুলো সব নিজের জন্য, নিজের মনের শান্তির জন্য" - বাহ, আমারও তো সেরকমই ইচ্ছে করে। এ কথাটার সাথেও একমত।

প্লাসসহ অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন, শুভকামনা....

২০| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার সাথে আমার পরিচয়টা মাত্র পাঁচ বছরাধীক । সামুতে এসেই আপনার সাথে পরিচয়।
সামুতে যখন আমার হাতে খড়ি , লেখা দেখে আনেকেই চলে যান, না পড়েই, সে সময়েই আপনি
লেখাগুলি মনযোগ দিয়ে পাঠ করে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছেন দারুনভাবে। তখনই মনে হয়েছে নীজের
লেখালেখির সাথে মন্তব্যের ক্ষেত্রেও নিজেকে দিয়েছেন উজাড় করে ।

লেখালেখির জগতের যেখানে সম্ভব সেখানে নিজের জীবনের মুল্যবান অভিজ্ঞতা, ধারনা, বিজ্ঞতা,
ও কবি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন অনবদ্যভাবে । অধুনা আমি কেন লিখছি , কি লিখছি
এসব কথা বললে এখন মানব কেন আমরা, এটা অবশ্য মানতে হবে যে একেবারে নিখুঁত মানুষ বিরল।
সে তুলনায় নিখুঁত শিল্পকর্ম খানিকটা কম বিরল। আর এ ক্ষেত্রে আপনি অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে
চলেছেন নিরন্তর তা আমরা সকলেই জানি ও মানি। আপনি এখন আমাদের বিশেষ করে নব প্রজন্মের
লেখকদের কাছে অনুপ্রেরনার উৎস।।কি করলে কি হবে, কী করলে ভালো বা কোনটি করা উচিত নয়
লেখালেখির বেলায় এসব নিয়ে যাঁরা ভাবেন, তাঁদের জন্য আপনার লেখালেখির জগত এখন আমাদের
জন্য এক দুর্দান্ত সম্পদ ।

এ পোষ্টটি হতে জানলাম আপনার লেখালেখির কিছু ইতিহাস । তবে এটাও বুঝলাম যখন উপলব্ধি করতে
শুরু করেছেন যে সামনে লেখালেখির স্বার্থকতা সুস্পষ্ট। তখনইতো স্থির করে ফেলেছেন লিখবেন আমাদের
তরে। যে কাজটি করার জন্য মনের ভিতরে সুপ্ত বাসনা ছিল ঠিক সেটিইতো করে চলেছেন নিরবধি, সফল যে
হয়েছেন তা হলফ করে বলতে পারি। এখানে এই সামু পরিবারে এখনো কোন বিরোপ পরিস্থিতির মুখোমুখি
হননি ,আর হবেনোনা সে প্রত্যয় ব্যক্ত করি। লেখালেখি থেমে থাকবেনা সে প্রত্যাশাও সকলে করি ।

আমরা গুনমুগ্ধ পাঠককুল নির্ভেজাল ভাললাগা জানাই প্রতিটি লেখা পাঠে , সে সকল আপনার কাছে
ঐশ্বর্যমণ্ডিত হয় কিনা সেটা বিবেচনার ভার আপনার পরেই রইল । তবে এটাও মানি যে শুধু পাঠকের
ভাললাগা আর অনুপ্রেরনাই নয় ,লেখক জীবনের বড় অংশই হলো নীজ পরিশ্রম। লেখকের নীজের ভেতর
থেকে অনুপ্রেরনা এলেই তবে না লেখা হয় শুরু । প্রত্যাখ্যান এবং সমালোচনা একজন লেখকের জীবনের
অংশও বটে। তথ্যবহুল প্রতিক্রিয়া খুব কাজে আসে এবং অপরিহার্যও বটে।

সবচেয়ে কঠোর সমালোচক আসলে বাস কর লেখকের নিজের মস্তিষ্কে। তাই হয়ত বলতে পারছেন
অধুনা আমি কেন লিখছি, কি লিখছি । এটি বড় মাপের লেখক ছাড়া আর কে বলতে পারে।
যাহোক এখন আপনার মস্তিস্ক মনে হয় একটু গরম হয়ে আছে কোন কারণে। তাই নীজের সমালোচক
মস্তিস্ককে ঠান্ডা করতে হাতে চা বিস্কুট ধরিয়ে দিয়ে বিরতিতে পাঠিয়ে দিন। দেখবেন ঠান্ঠা হয়ে গেছে।
ঠান্ঠা না হলে আবার বিরতিতে পাঠান , প্রয়োজনে বিরতি পর্ব অব্যাহত রাখুন ।সেই সময়ের মধ্যে মেমরি
কালচার করে আমাদের জন্য অনুপম কোন কাব্য ভাবনা বা অন্য কোন লেখার অনুপ্রেরনা নীজ হতেই
পেয়ে যাবেন, আমরাও পাব সরস রচনা।

আজকাল এ প্রযুক্তির যুগে কোন লেখা কিংবা লেখার ভাবনা যাবেনা হারিয়ে। থাকবে বই পুস্তকে, সামুর পাতায়,
অনলাইনে বিশ্বকোষে, আর্কাইভে। আমরা আগ্রহী পাঠক শুধু আপনার নামটি লিখে ক্লিক করে দিব আমাদের
অন্তরজালের ব্রাউজারে, নিমেশেই পৌঁছে যাব আপনার লেখার জগতে । কবিগুরু বলেছিলেন -
মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে/মানুষের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই , তাঁর এই কাব্য কথায়
অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলেছে তিনি কি বাঁচিতে পারিলেন , মরতেতো তাকে হলই । কিন্তু না তিনি বেঁচে
আছেন আমাদের মাঝে, তাঁর অমুল্য সব লেখার কল্যানে। তাই লেখার সাথে লেখকো থাকবেন বেঁচে
মানবের মাঝে, মানুষ ঠিকই খুঁজে নিবে তার প্রিয় কবি ও লেখকটিকে ভাল লাগার কারণে। দোয়া
করি আপনিও আমাদের মাঝে বিচরণ করুন দীর্ঘ দিন ধরে ।

ভাল থাকার শুভ কামনা রইল


৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন চমৎকার একটি মন্তব্যের যথাযথ স্বীকৃতি কিভাবে লিখতে পারি, সে ভাষাটা খুঁজে পাচ্ছি না।

"সফল যে হয়েছেন তা হলফ করে বলতে পারি" - অনেক ধন্যবাদ, এভাবে, এত জোরালোভাবে আশ্বস্ত করার জন্য।

"দোয়া করি আপনিও আমাদের মাঝে বিচরণ করুন দীর্ঘ দিন ধরে" - কৃতজ্ঞতা, শুধুই কৃতজ্ঞতা!

২১| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর আত্মোপলব্ধি ব্যক্ত করেছেন স্যার। আমাদের চলার পথ- কখনও তাগিদে তৈরি হয় কখনও বা নিজের ভালোলাগার জন্য তৈরি করি। লেখালেখিটাও একটা সময় নিজের তাগিদে লিখেছি। কিন্তু এখন একাজের জন্য কাউকে কৈফিয়ত দিতে হয়না। লেখালেখি করি নিজের ভালো লাগে বলে।সেই লেখা যদি কেউ পাঠ করে আনন্দ পান তাহলে তা আমাদেরকে আবার নুতন করে লিখতে অনুপ্রেরণা যোগায়। আমি যদি খুব বেশি ভুল না বলি কয়েকজনকে বাদ দিলে বাংলা সাহিত্যের বেশিরভাগ লেখক 'লেখক স্বীকৃতি' পেয়েছেন এমনি সখের লেখা লিখতে গিয়ে। সুতরাং শুরুতে তাদেরো যে পথ মসৃণ ছিল তা নয়। আমাদের বরং বাড়তি সুবিধা হলো সামুর মতো কমিউনিটি ব্লগ।যেখানে সরাসরি পাঠকদের কাছে লেখাটা পৌঁছে যায়। লেখনীই এখানে একজনের শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার। কুলীন ব্লগার তিনিই যিনি নিজেকে এখানে উচ্চাসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

সামুতে আমার দেখা অন্যতম কুলীন ব্লগার আপনি। আপনার ইউনিক ব্লগিং রীতি আমার মতো বহুজনের কাছে সমাদৃত। সমালোচনা হয়তো কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে আপনার কানে এসেছে যা আপনাকে ভাবিয়ে তুলে এমন পোস্ট লিখতে চালিত করেছে, অন্যদিকে আপনারাও একটা নিজস্ব পাঠকমহল আছে যারা আপনার লেখা পাঠ করার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। সুতরাং অনুরোধ স্যার আপনাকে অহেতুক সমালোচোকদের কথায় মন ভারী করে নিজের ব্যক্ত কথনকে অব্যক্ত করে রাখবেন না।


লকডাউনে গৃহে থেকে বেশি বেশি লেখালেখি করুন। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আমরা দ্বিতীয় ওয়েবে তার সুফল পেয়েছি। তবে আমি অবশ্য অন্য খাতে নিজেকে পরিবার সহ ব্যস্ত রেখেছিলাম।

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।


০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সেই লেখা যদি কেউ পাঠ করে আনন্দ পান তাহলে তা আমাদেরকে আবার নুতন করে লিখতে অনুপ্রেরণা যোগায়" - পাঠকের আনন্দ অবশ্যই একজন লেখকের প্রেরণা।

আমার ব্লগিং এর ব্যাপারে আপনার উদার মূল্যায়ন বরাবর আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। ব্লগে শুধু ভালো লেখকই নয়, ভাল পাঠক থাকাটাও নিতান্ত জরুরি।

"লকডাউনে গৃহে থেকে বেশি বেশি লেখালেখি করুন। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন" - জ্বী, চেষ্টা করছি তাই করতে। আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্যও অশেষ ধন্যবাদ, এবং শুভকামনা....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.