নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
যে হাত তোমার গায়ে-মাথায় পরশ বুলায়,
পরম স্নেহ মমতায়,
সে হাতটিকে একবার উল্টে দেখো, দেখবে সেখানে
নরম হাতের পাতায় কত রূঢ় ইতিহাস লিখা আছে!
যে হাত রাঁধে বারে, কখনো আগুনে পোড়ে,
সে হাতদুটো একবার নিজ হাতে নিয়ে উল্টে দেখো,
দেখবে, যে হাতদুটো দেয় তোমাকে স্নেহশীতল পরশ,
সে হাতে কত তপ্ত ক্ষতচিহ্ন জ্বল জ্বল করে জ্বলছে!
মুখে অন্ন তুলে দেওয়া সে দুটো হাতে
কত মায়া, কত স্নেহ, কত ভালবাসা! একবার কি
ভেবেছো কখনো, দোলনা দোলানো সে দুটো হাতে,
হয় কি কোন ব্যথা? নিশীথে দুপুরে ও প্রাতে?
নারী, তোমার দুটো হাত,
আমাদের জীবনের কান্ডারি, আঁধারে আলোর দিশারি।
সে হাতের পরশ বিনে
আমাদের জীবন অসফল, অসম্পূর্ণ, ব্যর্থ হয় নির্ঘাত!
ঢাকা
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
শেষের স্তবকটি আমি শুধু 'নারী' কে সম্বোধন করেছি। এ নারী কন্যা, জায়া, জননী- এদের সবাই বা যে কেউ হতে পারে। কিংবা অন্য নারীও হতে পারে, বিশেষ করে যারা কোন কারণে আপন মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে অন্য কোন নারীর লালনে বড় হয়, সেসব নারীও আমার সম্বোধনের অন্তর্ভুক্ত। আমি যখনই 'মা'কে নিয়ে কোন কিছু লিখি, তখন তাদের কথাটাও আমার মনে বারে বারে উঁকি দিতে থাকে, তাদের লালিত সন্তানদেরসহ।
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবিতাটা ভালো লেগেছে।
পরিবারে এবং সমাজে নারীর ভুমিকা এবং অবদানকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না আমাদের দেশে এবং পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে। এখনও উন্নত অনেক দেশেও নাকি অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের বেতন কম ছেলেদের চেয়ে।
১৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটা ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। প্লাসে প্রাণিত।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১:০৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: প্রতিটি কবিতায় নারীর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা আবেগী বিবরণ স্পর্শ করেছে।
২০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ সুন্দর মন্তব্যটাও আমাকে স্পর্শ করে গেল!
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: নারীর প্রতি সম্মানবোধ আখলাকে হামিদাহ-র অন্যতম। নারীর প্রতি সম্মানবোধ ব্যাপক অর্থবোধক। ইসলামে নারীদের প্রভূত সম্মান দেওয়া হয়েছে। ইসলামে নর -নারী সমান মর্যাদার অধিকারী। মা হিসেবে নারী অনন্য মর্যাদার পরিচায়ক। কন্যা হিসেবেও নারীর মর্যাদা অপরিসীম। নারীর প্রতি সম্মানবোধ উত্তম মন-মানসিকতার পরিচায়ক। নারীর প্রতি সম্মানবোধ না থাকলে ঈমান পূর্ণ হয় না। পূর্ণাঙ্গ নৈতিক ও মানবিক গুণাবলি অর্জনের জন্য এ গুণ থাকা আবশ্যক।
২০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যের প্রতিটি কথার সাথে আমি একমত পোষণ করি। অনেক ধন্যবাদ, এত সুন্দর করে কথাগুলো এখানে বলে যাবার জন্য।
প্লাসে প্রাণিত হ'লাম।
৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২৬
জটিল ভাই বলেছেন:
এই হাতের মর্ম ছেলেরা যতোটা বুঝে, স্বামীরা যদি ততোটা বুঝতো......
২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।
৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমার প্রিয় নারী আমার মা, বোন, বেস্ট ফ্রেন্ড,
কতদিন হয়েছে আমি তাদের সেই ভালোবাসা স্নেহ মায়া মমতা মাখানো হাতের স্পর্শ পাইনা !!!
Wonderful writing!!!
২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে প্রাণিত।
এ্যান্ড থ্যাঙ্কস ফর এ্যাপ্রিশিয়েটিং দ্য রাইটিং।
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৬
সোহানী বলেছেন: কম পুরুষেই বোঝে এ হাতের মর্ম। যদি বুঝতো তাহলে এতো হানাহানি হতো না ঘরে ঘরে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কম পুরুষেই বোঝে এ হাতের মর্ম - এ কথাটা তো ঠিকই, তবে অনেক সময় নারীরাও বোঝে না নারীর হাতের মর্ম। শাশুড়িকে তো খুব কমই বুঝে, অনেক সময় মাকেও অনেকে বোঝে না।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনুভূতি ও ভাবনায় শ্রদ্ধা। শেষ স্তবকই আমাদের জীবনের পাথেয়।
শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।