নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
যে হাত তোমার গায়ে-মাথায় পরশ বুলায়,
পরম স্নেহ মমতায়, ভালোবাসায়,
সে হাতটিকে একবার ভালো করে দেখো,
দেখবে সেখানে কত রূঢ় ইতিহাস লিখা আছে!
যে হাত রাঁধে বারে, কখনো আগুনে পোড়ে,
সে হাতদুটো একবার নিজ হাতে নিয়ে উল্টে দেখো।
যে হাতদুটো দেয় তোমাকে স্নেহশীতল পরশ, দেখবে,
সে হাতে চর্মের সাথে মিশে আছে কত তপ্ত ক্ষতচিহ্ন!
মুখে অন্ন তুলে দেওয়া সে দুটো হাতে
কত মায়া, কত স্নেহ, কত ভালবাসা!
একবার কি ভেবেছো কখনো, কর্মঠ সে দুটো হাতে,
হচ্ছে কি কোন ব্যথা, নিশীথে দুপুরে ও প্রাতে?
নারী, তোমার দুটো হাত,
আমাদের জীবনের কান্ডারি, আঁধারে আলোর দিশারি।
সে হাতের পরশ ছাড়া
আমাদের জীবন হয় অসফল, আমরা হই ভাগ্যহারা!
ঢাকা
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: নারীই মানব জাতির ধারক ও বাহক। সব প্রজাতির বেলায়ই এ কথা সত্য। তাই সে একই সাথে কোমল এবং কঠোর। আপনি ঠিকই বলেছেন যে "নারীর হাত বাহ্যতঃ কোমল হলেও সে হাতের মতো কঠিন কর্মঠ হাত পুরুষেরও নেই"।
প্রথম মন্তব্যটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কবিতাটি চমৎকার হয়েছে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩২
মিরোরডডল বলেছেন:
চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ!
কবিতার মধ্যে দিয়ে আমি যেন আবারো অনুভুব করলাম মায়ের পরশ বোনের ছোয়া।
তাদের স্পর্শে এতো মায়া, স্নেহ, ভালোবাসা।
কত ব্যথা নিভৃতে রেখে এভাবে ভালোবেসে যায়।
কেউ নেয়না তাদের ব্যথার খবর।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "কবিতার মধ্যে দিয়ে আমি যেন আবারো অনুভুব করলাম মায়ের পরশ বোনের ছোয়া" - এটাই আমি চেয়েছিলাম, আমরা সবাই একটু ভেবে দেখি, আমাদের জীবনে নারীদের স্নেহময়, ভালোবাসাময় পরশ কতটা জড়িয়ে আছে! মাদের বোনদের ছাড়াও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষদের বেলায় আরও দুটো হাত যোগ হয়, তাদের স্ত্রীদের। এ ছাড়া স্নেহময়ী খালাদের, ফুফুদের, নানীদের, দাদীদেরও হাত তো রয়েছেই।
"কত ব্যথা নিভৃতে রেখে এভাবে ভালোবেসে যায়। কেউ নেয়না তাদের ব্যথার খবর" - তাদের মায়া মমতা স্নেহ ভালোবাসা নিঃস্বার্থ। তুরস্ক/সিরিয়ায় ভূমিকম্প ধ্বসে মা বাবা হারা এক তিন বছরের অবুঝ বোনকে তার এক বছরের ক্ষুধার্ত ছোট ভাইটির কান্না থামানোর জন্য স্তন্যদানের নিষ্ফল প্রচেষ্টা দেখে আমি অনেকক্ষণ অশ্রুরুদ্ধ হয়ে ভাবছিলাম, মেয়েদের মনে এত মায়া কিভাবে আসে!
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, অশেষ ধন্যবাদ।
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
"মাতাপিতা তথা নারী পুরুষ এক ও অভিন্ন। পুরুষ ছাড়া নারী ভগ্নাংশ। নারী ছাড়াও পুরুষ ভগ্নাংশ। একে আলাদা আলাদা করতে হলে বিশ্ব জীব বৈচিত্র সংকটে পড়ে যাবে। প্রকৃতি তা হতে দিবে না।" - ঠাকুরমাহমুদ
কবিতা খুবই প্রাণবন্ত ও ভালো হয়েছে, বলা যেতে পারে কবিতায় প্রাণ ছিলো। +++
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো বলেছেন।
কবিতার প্রশংসায় প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৫
সোহানী বলেছেন: আপনার কবিতা পড়া বিপদজনক.....। মন খারাপ করে দেয়।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার কবিতা পড়া বিপদজনক.....। মন খারাপ করে দেয়" - তাই? আমি তো ভেবেছিলাম মন ভালো হয়ে যাবে!
৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কোন প্রতি উত্তর আছে কিনা দেখতে এসে মনে হলো কয়েকটি শব্দ পুর্ণগঠন প্রয়োজন।
দুয়েকটি শব্দ পূর্ণগঠন করা হয়েছে । তাই দয়া করে উপরের মন্তব্যটি মুছে দিয়ে
এটিকে রেখে দিলে বাধিত হব ।
গৃহগতপ্রাণ বাঙালির জীবনে ও মানসে স্বাভাবিকভাবেই নারীর প্রভাব ও গুরুত্ব সর্বাধিক,
সেইজন্যই বাঙালি কবিদের স্তোত্র কবিতার প্রধান বিষয় নারীবন্দনা।
আপনার নারীর হাত কবিতায় কবিহৃদয়ের যে ঐকান্তিক আবেগে উদগীত হয়েছে,সেখান হতে
অনুররণ জাগে আমাদের মত সাধারণ পাঠকের হৃদয় মাঝারে । মনোমধ্যে জেগে উঠে সমতর
অনেক অনেক ভাবনা ,খুব ইচ্ছে করে বলতে -
আমি জানি নারি, তুমি কবি-বিধাতার
শ্রেষ্ঠকাব্য তোমার সুকোমল হস্ত পদাবলী
ছন্দো-বন্ধে, অনুপ্রাসে আহা কি ঝংকার।
নারী-হস্তই সংসারের সুষমার সার
সাফল্যের প্রধান বাহন বাহু জননীর।
নারী হস্তের নির্বাক ললিত কলা
নারী কাব্য অনুমানি
অপরূপ লীলা বিধাতার
মর্তে মূর্তিমতী সবল বাহু নারী জননীর।
উপচয়ে তিনি দশহস্তা, অপচয়ে ছিন্নমস্তা
মায়াবন্ধা স্নেহময়ী সংসার পরিচালিকা ।
প্রসঙ্গক্রমে এখানে হিন্দু দেবী অন্নপূর্ণা যার অপর নাম অন্নদার কথা বলা যায় । তিনি শক্তির এক রূপ।
তার দুই হাতে অন্নপাত্র ও দর্বী; বিচিত্র বসনা, নিরত অন্নপ্রদায়িনী ও ভবদুঃখহন্ত্রী।
অষ্টাদশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ও মঙ্গলকাব্যের সর্বশেষ শক্তিমান কবি ভারতচন্দ্র রায়
অন্নপূর্ণার মাহাত্ম্য্য বর্ণনা করে অন্নদামঙ্গল কাব্য রচনা করেছিলেন্ ।
অন্নদামঙ্গলকাব্য অষ্টাদশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্য, সমগ্র বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের অন্যতম।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত দেবী অন্নপূর্ণা ও অন্নদামঙ্গল কাব্যের প্রশস্তি করেছেন তার "অন্নপূর্ণার ঝাঁপি" কবিতায়।
মোহিনী-রূপসী-বেশে ঝাঁপি কাঁখে করি
পশিছেন, ভবানন্দ, দেখ তব ঘরে
অন্নদা! বহিছে শূন্যে সঙ্গীত-লহরী,
অদৃশ্যে অপ্সরাচয় নাচিছে অম্বরে।–
দেবীর প্রসাদে তোমা রাজপদে বরি,
রাজাসন, রাজছত্র, দিবেন সত্বরে
রাজলক্ষ্মী; ধন-স্রোতে তব ভাগ্যতরি
ভাসিবে অনেক দিন, জননীর বরে।
কামনা করি আপনার লেখা নারীর হাত কবিতা খানিও কালত্তীর্ণ হয়ে যুক্ত হোক
নারী স্ত্রোত্র কবিতা সম্ভারে ।
সুন্দর কবিতাটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এমন সূক্ষ্ম বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্য প্রাপ্তি যে কোন লেখকের জন্য একটি গর্বের বিষয়। অশেষ ধন্যবাদ ও কৃ্তজ্ঞতা, চমৎকার এ মন্তব্যটির জন্য।
নারী, তুমি কবি-বিধাতার শ্রেষ্ঠকাব্য - অসম্ভব সুন্দর একটি পর্যবেক্ষণ!
নারী-হস্তই সংসারের সুষমার সার - নিঃসন্দেহে!
আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী আগের মন্তব্যটি মুছে দিলাম।
৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর
নীরাদের দুহাতে সভ্যতার ফুল ফোটে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার বলেছেন, ধন্যবাদ।
৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
এতো চমৎকার করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন শুধু ব্যাখ্যা বললেও মনে হয় ভুল হবে কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসাও করেছেন এ-টুকুই কজন অনুভব করতে পারেন ? খুব ভালো লাগলো এক কথায় যার মূল্যায়ন হয়তো এই মন্তব্যে করতে পারলাম না ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত প্রীত বোধ করছি আপনার এ চমৎকার মন্তব্যটি পড়ে।
আশাকরি ভালো আছেন, ভালো থাকার শুভকামনা রইলো।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৬
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার হয়েছে। ভালো লাগা রইলো।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পর মনে হয় ব্লগে ফিরলেন। অনেক ধন্যবাদ, উৎসাহ দিয়ে মন্তব্য করার জন্য এবং ভালোলাগা রেখে যাবার জন্য।
১১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: অপুর্ব সুন্দর এবং হৃদয় স্পর্শী কবিতা। +
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন। কবিতার প্রশংসায় এবং প্লাসে প্রাণিত হ'লাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
চমৎকার ভাবনাওয়ালা কবিতা।
নারীর হাত বাহ্যত কোমল হলেও সে হাতের মতো কঠিন কর্মঠ হাত পুরুষেরও নেই। ঠিকই বলেছেন, নারীর হাতের প্রতিটি রেখায় এক একটি ইতিহাস লেখা।