নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
গত কয়েকদিন ধরে আমাদের এলাকার তাপমাত্রা থাকছে সর্বোচ্চ ৩২ আর সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রী (সেলসিয়াস) এর মধ্যে। মোটামুটি সহনীয় তাপমাত্রা বলা যায়। আজকের দিনের জন্য আগাম বার্তাও ছিল একই। সকালে খোলা জানালা দিয়ে আরামদায়ক একটা হাল্কা বায়ুপ্রবাহ গায়ে এসে লাগছিল। বেশ আরাম অনুভব করছিলাম। খানিক পরে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালাম। দেখলাম, পীচ ঢালা পথটা ভেজা ভেজা। বুঝলাম, ভোর রাতের পরে আকাশটা ঝিরিঝিরি ঝরেছে। পূব-আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি, হাল্কা রঙিন মেঘাচ্ছন্ন আকাশে চলছে সূর্যের লাজুক উঁকিঝুকি । মিনিট পাঁচেক পরেই মেঘ সরে গেলে সূয্যিমামা হেসে উঠলেন। কয়েকটি পাখি ইতস্ততঃ ওড়াউড়ি করছিল। একটা কোকিলও কুউউ কুউউ করে ডাকছিল, কিন্তু যখনই আমি তার বিরহী তান রেকর্ড করার জন্য ভিডিও করা শুরু করি, তখনই সে হতচ্ছাড়া কোকিলটা তার গান বন্ধ করে দেয়। কয়েকবার চেষ্টার পর দুটো মাত্র ডাক ধারণ করতে পারলাম। যেই না ভিডিও ধারণ বন্ধ করলাম, অমনি আবার শুরু হলো তার ক্রমাগত একটানা কুহুতান। আমি জানি আমি যদি আবার চেষ্টা করতাম, অমনি সে আবার চুপ হয়ে যেত। আমাদের মাঝে চাক্ষুষ কোন যোগাযোগ না থাকলেও এ কথা আমি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে নির্দ্বিধায় বলতে পারি।
দুপুরে তাপমাত্রা বাড়লেও মৃদুমন্দ বাতাস বইছিল, ফলে গরম সেরকম অনুভূত হয় নি। যোহরের নামাযের পর মাসজিদের পার্শ্বস্থ পুকুরের চারপাশে খানিকক্ষণ হেঁটে বেড়ালাম। বাতাসের ফলে জলের বুকে সৃষ্ট মৃদুহিল্লোল কিছু “ripples of life” এর কথা মনে করিয়ে দিল। জীবনের রিখটার স্কেলে বড় বড় কম্পনগুলোর আনন্দ বা বেদনার আতিশয্য মানুষকে শারীরিকভাবেও কম্পমান করে তোলে। মানুষ হয় ভীত-সন্ত্রস্ত, নয় বিমূঢ়-বিহ্বল হয়। কিন্তু মৃদু হিল্লোল দ্বারা সৃষ্ট তিরতির করে মানুষের মনে বয়ে যাওয়া অনুভূতিগুলো মানুষকে শান্ত করে, ভাবতে শেখায়, সৌম্যভাব দান করে।
ছোটবেলায় ‘তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে’ থাকার সেই বিখ্যাত ছড়া-কবিতা পড়েছি। কিন্তু তালগাছের মত নারকেল গাছও যে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে, সেটা অনেক সময় আমরা খেয়াল করি না। সাধারণতঃ তাল গাছ সোজা হয়েই দাঁড়িয়ে থাকে, কিন্তু নারকেল গাছকে প্রায়ই বাঁকা হয়েও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আসরের নামাযের পর হাঁটার পথে সেরকমই একটা বাঁকা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সুন্দর নারকেল গাছের প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট হলো। গাছটির নীচে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পুনরায় হাঁটা শুরু করলাম। ফেরার পথে গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে অস্ত যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া কমলা আলোর সূর্যটাকে দেখে মনটা কেমন করে উঠলো। এ সময়টা আমাকে থিতু হতে বলে, তাকিয়ে চারিদিক দেখতে বলে। কিছুক্ষণ পর শুরু হবে পাখিদের নীড়ে ফেরা। প্রথমে কিছুক্ষণ সরব কলতান, তারপরে একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যাওয়া। একটা বাড়ির সামনে রাস্তার উপর শুয়ে থাকা একটা কুকুরকে দেখতে পেলাম। ওর সাথে আমার সখ্য নেই, আবার আমরা একেবারে অপরিচিতও নই। মাঝে মাঝেই পথ চলতে ওর সাথে আমার দেখা হয়, তাই ও আমাকে কিছুটা চেনে। আমার পদশব্দ শুনে তন্দ্রারত কুকুরটি কোন মতে চোখ খুলে আমাকে দেখে নিয়ে পুনরায় আয়েসে চোখ বুঁজলো। ও কোন পোষা কুকুর নয়। যেখানে আদর পায় সেখানেই শুয়ে থেকে পাহারা দেয়।
এশার নামাযের পর আবার সেই পুকুরপারে এক চক্কর দিলাম। বয়স্ক লোক, মহিলা ও শিশুদের জন্য পুকুর পাড়ে রক্ষিত একটি বেঞ্চে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। উদ্দেশ্য বিশ্রাম নেয়া যতটা না, তার চেয়ে বেশি ছিল রাতের পুকুরের এবং পুকুর পারের দুই একটি ছবি তোলা, আর ‘টেক অফ’ করা উড্ডীয়মান প্লেনেরও দুই একটা ছবি তোলা। স্থলে মটর যান ও ধাবমান ট্রেনের শব্দ, গগনে ছোট বড় প্লেনের আসা যাওয়ার। শব্দদূষণ তো কিছুটা হয় বটেই, তবে আমার এ শব্দসাগরে ডুবে থাকতে মন্দ লাগে না। অন্যান্য সময় বেশ বড় বড় প্লেন ওড়ে, কিন্তু আজ কেবল তিনটে ক্ষুদ্র আকারের প্লেন উড়ে গেল। বড়গুলোর ওড়া শুরু হবে মধ্যরাতের দিকে, যা আমি সাধারণতঃ ব্যালকনি কিংবা শয়নকক্ষ থেকে দেখে থাকি। শেষের ছোট প্লেনটি উড়েও ঠিক আমার মাথার উপর এলো না, খানিক বাঁক নিয়ে দূর থেকেই আরও দূরে চলে গেল। কাঙ্খিত এবং প্রতীক্ষিতদের এভাবেই দূর থেকে দেখা দিয়ে দূরে চলে যাওয়াই যেন প্রকৃতির নিয়ম।
ঢাকা
১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
শব্দ সংখ্যাঃ ৫৭২
"পূব-আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি, হাল্কা রঙিন মেঘাচ্ছন্ন আকাশে চলছে সূর্যের লাজুক উঁকিঝুকি"।
ছবি তোলার সময়ঃ সকাল ০৭ঃ৩৮, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ডিভাইসঃ আই-১৩
"মিনিট পাঁচেক পরেই মেঘ সরে গেলে সূয্যিমামা হেসে উঠলেন"।
ছবি তোলার সময়ঃ সকাল ০৭ঃ৪৪, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ডিভাইসঃ আই-১৩
"বাতাসের ফলে জলের বুকে সৃষ্ট মৃদুহিল্লোল কিছু “ripples of life” এর কথা মনে করিয়ে দিল।"
ছবি তোলার সময়ঃ দুপুর ০১ঃ৪২, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ডিভাইসঃ আই-১৩
"একটা বাঁকা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সুন্দর নারকেল গাছের প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট হলো। গাছটির নীচে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পুনরায় হাঁটা শুরু করলাম"।
ছবি তোলার সময়ঃ বিকেল ০৫ঃ০৭, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ডিভাইসঃ আই-১৩
"একটা বাঁকা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সুন্দর নারকেল গাছের প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট হলো। গাছটির নীচে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পুনরায় হাঁটা শুরু করলাম"।
ছবি তোলার সময়ঃ বিকেল ০৫ঃ১৯, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ডিভাইসঃ আই-১৩
"ওর সাথে আমার সখ্য নেই, আবার আমরা একেবারে অপরিচিতও নই। মাঝে মাঝেই পথ চলতে ওর সাথে আমার দেখা হয়, তাই ও আমাকে কিছুটা চেনে। আমার পদশব্দ শুনে তন্দ্রারত কুকুরটি কোন মতে চোখ খুলে আমাকে দেখে নিয়ে পুনরায় আয়েসে চোখ বুঁজলো। ও কোন পোষা কুকুর নয়। যেখানে আদর পায় সেখানেই শুয়ে থেকে পাহারা দেয়"।
ছবি তোলার সময়ঃ বিকেল ০৫ঃ১৩, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ডিভাইসঃ আই-১৩
"ফেরার পথে গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে অস্ত যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া কমলা আলোর সূর্যটাকে দেখে মনটা কেমন করে উঠলো। এ সময়টা আমাকে থিতু হয়ে চারিদিক তাকিয়ে দেখতে বলে"।
ছবি তোলার সময়ঃ বিকেল ০৫ঃ১৩, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ডিভাইসঃ আই-১৩
"কিছুক্ষণ পর শুরু হবে পাখিদের নীড়ে ফেরা। প্রথমে কিছুক্ষণ সরব কলতান, তারপরে একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যাওয়া।"।
ছবি তোলার সময়ঃ বিকেল ০৫ঃ১৮, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ডিভাইসঃ আই-১৩
"উদ্দেশ্য বিশ্রাম নেয়া যতটা না, তার চেয়ে বেশি ছিল রাতের পুকুরের এবং পুকুর পারের দুই একটি ছবি তোলা"।
ছবি তোলার সময়ঃ রাত ০৮ঃ৩৪, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ডিভাইসঃ আই-১৩
"উদ্দেশ্য বিশ্রাম নেয়া যতটা না, তার চেয়ে বেশি ছিল রাতের পুকুরের এবং পুকুর পারের দুই একটি ছবি তোলা"।
ছবি তোলার সময়ঃ রাত ০৮ঃ৩৬, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ডিভাইসঃ আই-১৩
(চারটা ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপও ধারণ করেছি। কিন্তু ভিডিও ক্লিপ কিভাবে আপলোড করতে হয়, তা এখনও শিখিনি বলে সেগুলো আপলোড করতে পারলাম না। এজন্য দুঃখিত)
১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, ঠিক আছে।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনূভুতির সঙ্গে ছবিগুলো খুবই মানানসই হয়েছে। শুভকামনা স্যার আপনাকে।
১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ব্যক্ত অনূভুতির সঙ্গে ছবিগুলোকে মিলিয়ে দেখে মন্তব্য করেছেন, তাই মন্তব্য সংক্ষিপ্ত হলেও এজন্য প্রীত বোধ করছি।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
সুন্দর লেখা ।
ওরকমটাই হয়, কোকিলের কুহুকুহু গান রেকর্ডের কথা বলছি। যেটা চাইবেন সেটা হবেনা কখনও। যেটা চাইবেন না, সেটাই ঘটে বসে থাকবে।
তালগাছ, নারকেল গাছই নয় , সুপারী গাছও কিন্তু একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকে! অবশ্য সব গাছই একপায়ে খাঁড়া থাকে হাত-পাত ছড়িয়ে! তাল-নারকেল-সুপারীদের কোনও হাত থাকেনা , এই যা! তবে নারকেল গাছ বাঁকা হয়ে থাকে সম্ভবত তাদের খাসলতের কারনে - ঐ যে আছেনা , কাউকে কাউকে হেদায়েত করেও কিছুতেই সোজা করা যায়না , বাঁকা হয়েই থাকে।
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। ২য় টি বেশী সুন্দর।
১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মত একজন শৈল্পিক বোধসম্পন্ন মানুষের কাছ থেকে ছবির প্রশংসা পাওয়াতে অনুপ্রাণিত হলাম।
"কাউকে কাউকে হেদায়েত করেও কিছুতেই সোজা করা যায়না , বাঁকা হয়েই থাকে" - তুলনাটা সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক।
মন্তব্যে ভালো লাগা। + +
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: মাঝে আমার রাত জাগা আর সকালে একটু বেলা করে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস হয়েছিলো । গতমাসে বান্দরবানে ট্যুরে গিয়ে সেখানে রাতে জলদি ঘুমিয়ে খুব ভোরে উঠতে হত ট্রেকিংয়ের জন্য । ঢাকা ফিরে এসে সেই অভ্যাসটা টিকে গেছে । প্রায় ২০ দিন ধরে আমি প্রতিদিন জলদি জলদি ঘুমিয়ে পড়ছি আর সকালে একেবারে নামাজের সময় উঠছি । কিছু সময় জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি বাইরে । সেই সময় সকালের বাতাস এসে গায়ে লাগে । অবাক হয়ে খেয়াল করতে শুরু করি সে সকালে প্রচুর পাখির ডাক শোনা যায় চারদিক থেকে । একটা মোরগের ডাক ভেসে আসে প্রতিদিন ।
সকালে কফি দিয়ে দিন শুরু হয় । আপনার সকালের বর্ণনা পড়ে মনে হল নিজের নতুন রুটিনটা বলে যাই ।
ভাল থাকুন সব সময় । এই কামনা করি । শুভ রাত্রি!
১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, সকালের অনূভুতিটা তো দুজনের একই রকমের বলে মনে হচ্ছে।
"মনে হল নিজের নতুন রুটিনটা বলে যাই" - ঠিক কাজটি করেছেন। বলে গেলেন বলেই তো বুঝতে পারলাম আপনার এখনকার রুটিন টা।
"অবাক হয়ে খেয়াল করতে শুরু করি সে সকালে প্রচুর পাখির ডাক শোনা যায় চারদিক থেকে । একটা মোরগের ডাক ভেসে আসে প্রতিদিন" - প্রতিদিনের এসব সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণগুলো লেট-রাইজারদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। আপনার এখনকার এ অভ্যেসটাকে জোর করে হলেও ধরে রাখবেন।
মন্তব্যে ভালো লাগা। + +
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:১৭
কামাল১৮ বলেছেন: আপনার পোষ্টে আসলে প্রকৃতির সুন্দর বর্ননা পাওয়া যায়।মনে হয় বাস্তকেই দেখছি লেখনির মাধ্যমে।সাথের ছবিগুলো যেনো সোনায় সোহাগা।যেমন সুন্দর লেখা তেমন সুন্দর ছবি।
১৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন একটা মন্তব্য যে কোন লেখকের জন্য প্রেরণাদায়ক। আমিও অনেক উৎসাহিত ও প্রাণিত হ'লাম মন্তব্যটি পড়ে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:২১
সোনাগাজী বলেছেন:
উপর থেকে ৩ নং ছবি:
পুকুরটা কোথায়, কেহ চাইলে পানিতে নামতে পারে?
১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুকুরটা র্যাডিসন হোটেলের দুই/তিনশত গজ পূর্ব পার্শ্বে, 'জোয়ার সাহারা' মৌজায়।
পুকুরে সাধারণতঃ কেউ গোসল ইত্যাদির জন্য নামে না, তবে মাছের খাদ্য বিতরণের জন্য এবং পরিষ্কার করার জন্য মাঝে মাঝে রক্ষণাবেক্ষনকারীরা নামে। মাঝে মাঝে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে বড়শিতে মাছ ধরার আয়োজন করা হয়।
৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৪১
রোকসানা লেইস বলেছেন: বত্রিশ আর বাইশ সেলসিয়াস উত্তাপ কি দারুণ। শীতের মধ্যে থেকে এমন উত্তাপের কথা ভাবতেও ভালোলাগে।
তবে সব সময় থাকাটা আরাম দায়কও না এখন।
ছবি দেখার সাথে বর্ণনা পড়তে ভালোলাগল।
দেশ বিদেশের শীতকাল নিয়ে লিখব ভাবছিলাম হয়ে উঠছে না।
১৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঢাকায় বত্রিশ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু এর ঊর্ধ্বে গেলে গরমটা অসহনীয় হতে শুরু করে, কারণ এখানে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে।
ছবি দেখার সাথে বর্ণনা পড়তে ভালো লাগল - পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও প্রাণিত।
দেশ বিদেশের শীতকাল নিয়ে লিখা শুরু করুন। অপেক্ষায় থাকলাম।
৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৬
দারাশিকো বলেছেন: ভালো লাগলো ছবিগুলো। সাথের কথাবার্তাও। আমি আর্লি স্লিপার আর মাঝেমধ্যে আর্লি রাইজার। তবে, এরকম প্রকৃতি উপভোগের সুযোগ পাই না।
ভালো থাকুন।
১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভালো লাগলো ছবিগুলো। সাথের কথাবার্তাও" - অনেক ধন্যবাদ, এ উদার স্বীকৃতির জন্য। মন্তব্যে প্রাণিত হ'লাম।
৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: দিনের চেয়ে রাতের (সন্ধ্যা) ছবি গুলো বেশি সুন্দর হয়েছে।
১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি তেমন কোন ফটোগ্রাফার নই, শখের বশে যখন মন চায়, সেলফোনে যা কিছু ভালো লাগে তার ছবি তুলে রাখি। আপনি একজন বিশিষ্ট ফটোগ্রাফার, তাই আপনার অভিমতের সাথে দ্বিমত পোষণ করতে চাই না।
তথাস্তু।
রাতের (সন্ধ্যা) ছবি গুলোর প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
১০| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
করুণাধারা বলেছেন: ছবির সাথে ছোট ছোট কথা দিয়ে সাজানো ফাগুনের দিনলিপি ভালো লেগেছে। সব ছবিই চমৎকার, তবে শেষ তিনটি ছবি বিশেষ করে ভালো লেগেছে। গতরাতে যখন পোস্ট দিয়েছিলেন, তখন শেষ দুটি ছবির নিচে কোন লেখা ছিল না যার জন্য বুঝতে পারছিলাম না কিসের ছবি। এখন বুঝতে পারছি।
কিছু কথায় গভীর জীবন দর্শন লুকিয়ে আছে।
১)জীবনের রিখটার স্কেলে বড় বড় কম্পনগুলোর আনন্দ বা বেদনার আতিশয্য মানুষকে শারীরিকভাবেও কম্পমান করে তোলে। মানুষ হয় ভীতসন্ত্রস্ত নয় বিমূঢ়- বিহ্বল হয়। কিন্তু মৃদু হিল্লোল দ্বারা সৃষ্ট তিরতির করে মানুষের মনে বয়ে যাওয়া অনুভূতিগুলো মানুষকে শান্ত করে, ভাবতে শেখায়, সৌম্য ভাব দান করে।
২)কাঙ্খিত আর প্রতীক্ষিতদের এভাবেই দূর থেকে দেখা দিয়ে দূরে চলে যাওয়াই যেন প্রকৃতির নিয়ম।
১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আমিও শেষ তিনটে ছবির উপর আরেকবার চোখ বুলিয়ে এলাম। আমারও ভালো লেগেছে। আপনি ঠিকই লক্ষ্য করেছিলেন, শেষ দুটি ছবির নীচে কিছু একটা লিখতে আমি কিছুটা সময় নিয়ে ফেলেছিলাম। এতটা মনযোগের জন্য ঋণী হয়ে রইলাম। আর বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই পোস্ট থেকে আমার জীবন দর্শনের দুটো ব্যক্তিগত উপলব্ধির উদ্ধৃতির জন্য (বোল্ড করে)।
আপনার দেয়া প্রতিটি প্লাস আমাকে অনুপ্রাণিত করে।
১১| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
নজসু বলেছেন:
এই টলটলে পুকুরের জলে যখন হালকা বৃষ্টির ফোঁটা পড়বে তখন অপূর্ব এক ছন্দের সৃষ্টি হবে।
আহা সেই সময়টা যদি এই পুকুর পাড়টায় একটু বসে থাকতে পারতাম!
১৯ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এই টলটলে পুকুরের জলে যখন হালকা বৃষ্টির ফোঁটা পড়বে তখন অপূর্ব এক ছন্দের সৃষ্টি হবে" - আপনার কল্পনাটা সত্যিই খুব সুন্দর।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১২| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩
চারাগাছ বলেছেন:
পুকুরের ছবিটা আকর্ষণ করলো খুব।
আপনার সময়টা উপভোগ্য হোক।
১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে ও প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্য ও শুভকামনার জন্য।
১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক দিন আমার আপনার মন্তব্য পাচ্ছি না। কন্যাকে নিয়ে লিখেছি। দেখুন।
২০ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, দেখবো শীঘ্রই।
১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ছবি আর কথা সুন্দর উপস্থাপনা।
২০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য।
শুভকামনা....
১৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম। খুব ভালো লাগলো এই দিনলিপি। বিশেষ করে এই লাইন কয়টা যেন আমার জন্যই লেখা্, "জীবনের রিখটার স্কেলে বড় বড় কম্পনগুলোর আনন্দ বা বেদনার আতিশয্য মানুষকে শারীরিকভাবেও কম্পমান করে তোলে। মানুষ হয় ভীত-সন্ত্রস্ত, নয় বিমূঢ়-বিহ্বল হয়। কিন্তু মৃদু হিল্লোল দ্বারা সৃষ্ট তিরতির করে মানুষের মনে বয়ে যাওয়া অনুভূতিগুলো মানুষকে শান্ত করে, ভাবতে শেখায়, সৌম্যভাব দান করে।"
অদ্ভুত একটা সময় পার করছি। আপনার এই লেখার মতো আমার ইদানীং মনে হয় নিজের একটা পুরো দিন যাপনের একটা ভিডিও তৈরী করে নিজের জন্য ভ্লগ বানাই। ভবিষ্যতে এই সময়টা যেন দেখতে পাই।
ভালো থাকুন ভাইয়া, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ। শুভরাত্রী।
২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "খুব ভালো লাগলো এই দিনলিপি" - অনেক ধন্যবাদ।
"বিশেষ করে এই লাইন কয়টা যেন আমার জন্যই লেখা্" - প্রেরণাদায়ক মন্তব্য। প্রাণিত হ'লাম। প্লাসেও।
আপনার আইডিয়াটা মন্দ নয়। ভিডিও তৈরী করে ফেলুন, সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকবে।
১৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪০
সোহানী বলেছেন: আমিও মাঝে মাঝে বেড়িয়ে পড়ি। একা একা হাটি, ঘুরে বেড়াই, ছবি তুলি.............
কথা, ছবি, জীবনের উপলব্ধিতে ভালোলাগা।
২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "একা একা হাটি, ঘুরে বেড়াই, ছবি তুলি" - সেসব ছবি কিছু কিছু করে পোস্ট করতে থাকুন, আমরাও দেখি!
প্লাস এবং সুন্দর, প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৭| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আহ পুকুরের ছবিটা !!
দাপিয়ে বেড়াতে ইচ্ছা হচ্ছে।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইচ্ছেটা স্বতঃস্ফূর্ত মনে হচ্ছে, তাই মন্তব্যটাও ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।
১৮| ২১ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: ছবি এবং বর্ননা দুটোই ভালো লাগল।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভারত থেকে কবে ফিরলেন? আপনার শরীর এখন কেমন? অনেক খুশি হলাম আপনাকে পুনরায় ব্লগে দেখতে পেয়ে, বিশেষ করে আমার পোস্টে। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: বরাবরের মতোই অসাধারণ সুন্দর লেখনী এবং ছবি!
প্লাস।
বলা যায় আমি আজীবন ইনসমনিয়া (insomnia) রোগী। তবুও নিয়ম করে সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে বেডে যাই এবং ঘুম না হলেও চোখ বন্ধ করে থাকি। সাড়ে তিনটা নাগাদ উঠে যাই.....
শুভ কামনা শ্রদ্ধেয় অগ্রজ।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখা ও ছবির প্রশংসা এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্রাণিত হ'লাম।
ইনসমনিয়া (insomnia) দেহ ও মন দুটোকেই ক্লান্ত ও অশান্ত করে তোলে। কিছুদিন যোগ ব্যায়াম আর মেডিটেশন করে দেখতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আগে উপস্থিতর জানান দিলাম স্যার।