নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সংসারী বইপ্রেমীর প্রতি সহমর্মিতা

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩০


ফরমায়েশি ফর্দ

আজ সকাল থেকেই রাওয়া বই মেলায় বেশ কয়েকজন বন্ধু/শুভাকাঙ্খী/ক্রেতা আমার স্টলে এসেছিলেন নিছক গল্প করতে। তবে যাবার আগে আমার প্রতি সৌজন্য প্রদর্শন করে কেউ কেউ দুই একটা বইও কিনে নিয়ে গেছেন। ওরা চলে যাবার পর বিকেলে আসরের নামায পড়ে এসে দেখি টেবিলের উপর একটি চিরকুট পড়ে আছে। সেটি দেখে আমি খুব উৎসুক বোধ করলাম এবং ছোট্ট চিরকুটটির উপর কয়েকবার চোখ বুলালাম। কারণ, এরকম চিরকুটের সাথে আমি সবিশেষ পরিচিত। চিরকুটটি আর কিছু নয়, একটি ফরমায়েশি ফর্দ। আমিও যখন আমার নিজের নানা কাজের একটি তালিকা মানসিকভাবে প্রস্তুত করে বাসা থেকে বের হই, তখন আমার হাতেও মাঝে মাঝে ঠিক এরকমেরই একটি ছোট্ট চিরকুট ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে অবশ্য আমার অনেক সুবিধা হয়। বাজারে গিয়ে আর অন্য কিছুর দিকে দৃকপাত করতে হয় না, সোজাসুজি চিরকুট ধরে ধরে একেকটি ফরমায়েশ পূরণ করে বাসায় চলে আসতে পারি। তবে সমস্যা হয় তখন, যখন বুক পকেটে রাখা চিরকুটটির কথা বেমালুম ভুলে যাই এবং বাসায় ফিরে দেখি চিরকুটটি বুক পকেটেই সেঁটে আছে। এতে নিজের ভুলোমন নিয়ে আমি নিজেই ভীষণ বিব্রত বোধ করি, তবে কপাল ভালো থাকলে অল্পের উপর দিয়ে ঝামেলা পার হয়ে যায়। বিড়ম্বনা হয় তখন, যখন এ নিয়ে লম্বা ভাষণ শুনতে হয় নতুবা বিকল্প কোন ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হয়। আহারে, যে বেচারা এটি ভুলক্রমে আমার টেবিলে রেখে গেছে, তার ঘটে না জানি আজ কী আছে!

চিরকুট ফেলে যাওয়া ভুলোমনা ব্যক্তিটির প্রতি আমি একটু মায়া, একটু সহমর্মিতা অনুভব করতে শুরু করলাম। মনে হলো, তার সাথে আমার একটা সাংসারিক মিল রয়েছে। একবার বাজারে গেলে আমি অনেক বেশি সব্জী-তরকারি কিনে ফেলি। আমার এ কাজটিকে আমার ফরমায়েশদাতা সদয় চোখে দেখেন না। এই চিরকুটটির ফরমায়েশদাতাও তরকারি, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, ইত্যাদি প্রথমে লিখে পরে আবার ভালো করে কেটে দিয়েছেন। পরে আখের গুঢ় আর পোলাওয়ের চাল যোগ করেছেন। অনুমান করছি, শীঘ্রই তার বাসায় হয়তো মোরগ পোলাও অথবা পায়েসের, অথবা উভয়ের একটা আয়োজন আসন্ন। চিরকুট খোওয়ানো ব্যক্তিটিকে শনাক্ত করতে পারলে তার বাসায় আচমকা হানা দেয়ার সত্বর একটা পরিকল্পনা করা যেত! :)

'রাওয়া বইমেলা' থেকে ফিরে,
২৬ নভেম্বর ২০২৩

(পুনশ্চঃ আমার এই লেখাটি পড়ে কবি, লেখক ও গবেষক ডঃ এম এ আলী মন্তব্য করেছেনঃ "ফর্দবাহক মনে হয় আমাদের মত লেখক গোত্রেরই কেউ হবেন। তা না হলে কাঁচা বাজারের ফর্দ নিয়ে কেউ কি 'বইমেলা'য় যায়? আর সেখানে ভুলে ফেলেও আসে? কপালে তার শনি আছে সে কথা হলপ করে বলা যায়"। তার এ কথাটা পড়ে এখনও হাসছি!) :)

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: আমি এখন আর চিরকুট নেই না।ফ্রিজের বোর্ডে লিখে রাখে।আমি মোবাইলে ছবি তুলে নেই।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেটাই মনে হয় এখনখকার জন্য একটি উত্তম পন্থা।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ফর্দ নিয়ে সাংসারিক সহমর্মীতার কাহিনি বড় চমতকার হয়েছে ।
ফর্দ বাহক মনে হয় আমাদের মত লেখক গোত্রিয়ই হবেন ।
তানা হলে কাঁচা বাজারের ফর্দ নিয়ে কি কেও বই মেলায় যায়
আর সেখানে ভুলে ফেলেও আসে , কপালে তার শনি আছে
সে কথা হলপ করে বলা যায় ।

বাজারের ফর্দ বিরম্বনা সেতো আমার জন্য একটি অতি নিয়মিত ব্যপার।
গিন্নীর হাতে লেখা ফর্দ ভুল করে ঘরে রেখে গিয়ে বাজারে গিয়ে সেটি
খুঁজে না পেয়ে টেলিফোনে আবার জেনে নেয়া । কিংবা আগের দিনের
কোন ফর্দ ভুল ক্রমে জ্যকেটের বা ট্রাউজারের পকেটে থেকে গেলে
সেটিকেই এখনকার ফর্দ ভেবে সেমত কেনাকাটা করে বিরম্বনায় পড়া ।
ফর্দ ভুলে রেখে যাওয়ায় কিংবা পকেটে ভুলক্রমে থাকা পুর্ব ফর্দ ধরে
বাজার করার হাত থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার তরে নতুন করে বিধি হয়েছিল
জারি ফর্দ কাগজে না লিখে মোবাইলে লিখে নিতে হবে সাথে করি ।

সেটাতেও বাধে ঝামেলা , পুর্বেকার ফর্দ ভুলক্রেমে না মুছার কারণে
সেই আগের মতই অবস্থা হয়ে যায় ।

তাই এখন নিয়ম হলো মুখে মুখে বলে দিবে , নিতে হবে স্মৃতিতে গেথে
ভুল হলে দুএক আইটেম কম হলেও হতে পারে তবে পুর্বের ফর্দ অনুযায়ী
একই জিনিষ দুবার করে কেনা নাহি হবে, অবশ্য এটাতেও সম্ভানা কিছু আছে।

তবে এ বয়সে এখানেও বাধে গন্ডগুল ।
এইতো দিন কয়েক আগে
নিত্য দিনের মত সামুর পাতায়
সারাটা বেলা পরে ছিলাম মজে
তেমন সময় কাছে এসে গিন্নী
বলল হালকা পাতলা বাজার
সদাই কিছু করা লাগবে যে ।
হাতে সময় নাই ফর্দ লেখার
অফিসের যাওয়ার সময় নাকি
তার বয়ে যায় তাই যাবার কালে
গিন্নী আমার মুখে মুখে
ধরিয়ে দিল ফর্দ এক খানা।

গড় গড়িয়ে বলে দিল
লাউ ,কুমড়ো সীম এনো
এনো কালা চানা!
লাউ চিংড়ি রাঁধব ভাবছি
বাংলা চিংড়ি কিছু এনো ।
পাঁচ মিশালী পেলে এনো কিছু
তরতরা বানিয়ে খাব
ইলিশ ছাড়া ঘরে আসবে না
সর্ষে ইলিশ বানাব!
সবজি সব এনো কিন্তু
বলব না কিছু আর
ওই দেখো গেলাম ভুলে
টমেটো,লঙ্কা কিন্তু কিনো
ওটা ছাড়া হবেনা রান্না
মনে করে এনো!
এখন তবে যাও
দেরি কোরো না কোন ।
লেখার তালে পরে সময় কাটালে
বাজারে গিয়ে কিছুই পাবেনা আর।।

এতটুকু বলেই গেলেন তিনি চলে
বাছ! যামেলা যত বাধল আমার
বাজারে যাওয়ার পরে ।

মনে পড়ল ছোট বেলায় পড়া
যোগীন্দ্রনাথ সরকার এর লেখা সেই বিখ্যাত ছড়া
দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল,চিনি-পাতা দৈ,
দু’টা পাকা বেল, সরিষার তেল, ডিমভরা কৈ।
পথে হেঁটে চলি, মনে মনে বলি, পাছে হয় ভুল;
ভুল যদি হয়, মা তবে নিশ্চয়,”
” ছিঁড়ে দেবে চুল।

দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ,
দু’টা পাকা বেল, সরিষার তেল, ডিমভরা কৈ।

বাহবা বাহবা – ভোলা ভুতো হাবা খেলিছে তো বেশ!
দেখিব খেলাতে, কে হারে কে জেতে, কেনা হলে শেষ।
দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ,
ডিম-ভরা বেল, দু’টা পাকা তেল, সরিষার কৈ।


আমার দশাও বুজি বা
হলো তাই ,উল্টা সিধা বাজার
নিয়ে ঘরে এসে কি গন্ডগুলটাই
না সেদিন পাকাই,শুধু সেদিন কেন
এটা যে এখন নিত্য দিনের ঘটনা
বাকি জিন্দেগীতে এর থেকে
মনে হয় আর রেহাই পাবনা ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ”ফর্দ বাহক মনে হয় আমাদের মত লেখক গোত্রিয়ই হবেন ।
তানা হলে কাঁচা বাজারের ফর্দ নিয়ে কি কেও বই মেলায় যায়
আর সেখানে ভুলে ফেলেও আসে , কপালে তার শনি আছে
সে কথা হলপ করে বলা যায় ” - আপনার মন্তব্যের এ অংশটুকু পড়ে বেশ খানিকক্ষণ হাসলাম! আপনার বাদ বাকি অভিজ্ঞতাগুলোও আমারগুলোর সাথে বেশ মিলে যায়।

অনেক, অনেক ধন্যবাদ, এমন মজার একটি মন্তব্য করার জন্য এবং সেই সাথে পোস্টে প্লাস দিয়ে যাবার জন্য।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমি বেশ ব্যস্ত থাকলে দরকারি কোন কিছু যদি কিনতে ভুলে যাওয়ার আশংকা থাকে তখনই কেবল চিরকুটে লিখে রাখি।

+++

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: লিখে নেয়াই ভালো। স্মৃতিশক্তি কিংবা যন্ত্র বিট্রে করতে পারে, কিন্তু চিরকুট কখনো করে না।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: রাওয়াতে বইমেলা হচ্ছে নাকি ?
আগে আমাকে ঐদিকে যেত হত প্রতিদিন । রাওয়ার সামনে দিয়ে । সেই সময়ে প্রায়ই দেখতাম ওখানে নানান আয়োজন চলছে । সেদিকে যাওয়া বন্ধ হয়েছে বেশ কিছু দিন ।

এই রকম ফরমায়েসী ফর্দ নিয়ে আগে বাজারে যেতে হত । তখন মা প্রায়ই বাজারে পাঠাত আমাকে । বড় ভাইকে পাঠাতো না কারণ সে তখন টাকা নিয়ে অন্য কাজে খরচ করে ফেলত এদিকে আমি সেসব করতাম না । তাই বাজারে আামকেই বেশি বেশি যেতে হত ।

এখন অবশ্য আর যেতে হয় না । ঢাকাতে আসার পর থেকে সেসব বন্ধ হয়েছে ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ”রাওয়াতে বইমেলা হচ্ছে নাকি?” - ”গতকাল রাওয়া বইমেলা - ২০২৩” শেষ হয়ে যাবার পর বাড়ি ফিরে এই পোস্ট লিখেছিলাম।
আপনার মন্তব্য থেকে বুঝতে পারলাম যে টাকা পয়সা হ্যান্ডলিং এর ব্যাপারে আপনি খুব সিন্সিয়ার, যে কারণে আপনার মা তার বড় ছেলের পরিবর্তে আপনার উপরেই আস্থা রাখতেন বেশি। এটা জেনে প্রীত হলাম।

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮

জুন বলেছেন: মজার লেখা খায়রুল আহসান। আপনার কপালে পোলাও কোর্মা ফিরনী না জুটলেও ফর্দ হারানো লোকটার কপালে সেদিন নিশ্চয় অনেক দু:খ জুটেছিল।
আমিও আমার কর্তাকে প্রতিটি জিনিস,পরিমান, ব্রান্ড, তরকারি হলে তার রঙ সব লিখে দেই :P

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ”ফর্দ হারানো লোকটার কপালে সেদিন নিশ্চয় অনেক দু:খ জুটেছিল” - আমারও তাই মনে হয়।
”আমিও আমার কর্তাকে প্রতিটি জিনিস,পরিমান, ব্রান্ড, তরকারি হলে তার রঙ সব লিখে দেই” - ভাইসাহেব সত্যিই খুব ভাগ্যবান। এতকিছু আপনি করে দিলে তার তো আর করার তেমন কিছুই থাকে না। তবে, তরকারির রঙ লিখে দেয়ার প্রয়োজন হয় কি?

অমাবস্যার চন্দ্রোদয়ে প্রীত হলাম, প্লাসে প্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: চিরকুট টি অনেক পুরোনো।

এখন কেউ চিরকুট লিখে না। হোয়াটসআপ করে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চিরকুট টি অনেক পুরোনো - তা হোক না! পুরনো লোকেরা পুরনো অভ্যাসেই থাকতে অভ্যস্ত।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: হা হা মজার চিরকুট । ফর্দমাফিক জিনিষ না নিয়ে যখন বই নিয়ে বাসায় হাজির হবেন ঐ ব্যক্তি , তখন কি অবস্থা হবে তাই ভাবছি :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ”ফর্দমাফিক জিনিষ না নিয়ে যখন বই নিয়ে বাসায় হাজির হবেন ঐ ব্যক্তি , তখন কি অবস্থা হবে তাই ভাবছি” - একইরকম ভাবনা থেকেই আমি পোস্টটা লিখেছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

আরোগ্য বলেছেন: আগে যখন দারোয়ান ম্যানেজারকে দিয়ে বাজার করা হত, তখন চিরকুট লিখা হত। এখন মোবাইল নোটস কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ।
বেচারা লোকটার জন্য মায়া হচ্ছে যে বাজারলিস্ট ভুলে রেখে গেছে। না জানি কি প্রলয় ফেস করতে হয়েছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেচারা লোকটার জন্য মায়া হচ্ছে যে বাজারলিস্ট ভুলে রেখে গেছে। না জানি কি প্রলয় ফেস করতে হয়েছে - আমিও সে কথাটি ভেবেই, তার প্রতি সহমর্মিতা অনুভব করে এ পোস্টটা লিখেছি। ছোট্ট একটি ভুল এক বিশাল অনুভব রেখে গেছে আমার মনে। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি আমার স্টলে এসেছিলেন এবং এমন ছোট্ট একটি ভুল করে আমাকে অনেক কিছু ভাবার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, তিনি এই ফর্দ অনুযায়ী ফরমায়েশ পূরণ করে তবেই আমার স্টলে এসেছিলেন; হয়তো ভুলবশতঃ ফর্দটি পকেটে রয়ে গিয়েছিল এবং তিনি ভুল করেই সেটা বের করে আমার টেবিলে রেখেছিলেন।

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সামান্য একটা বিষয় নিয়ে অসামান্য লিখেছেন।
আম্মা কিছু নিতে বললে যদি ভুলে যেতাম তখন আম্মা বলতেন, "মার কথা মনে থাকলেই না মা'র সদাইর কথা মনে থাকতো।" গল্পটা গিন্নির সাথে করেছিলাম। সেই থেকে তিনিও বলেন, আমার কথা মনে থাক্লে তবেই না ----। (আল্লাহ আম্মাকে জান্নাত নসিব করুন)
এটা সত্য যে এখন চিরকুটের কাজটা মোবাইল দিয়েই সারানো হয়।
ফরমায়েশি বস্তু নিতে ভুলে যাওয়ার চেয়েও এই দুর্মুল্যের বাজারে স্বীয় ফাইন্যান্সিয়াল অক্ষমতা ঢাকার জন্যও "ভুলে গেছি" কথাটা ব্যাপক ব্যবহৃত হয়।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সামান্য একটা বিষয় নিয়ে অসামান্য লিখেছেন" - আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এই অসামান্য স্বীকৃতিটুকুর জন্য।
আমি এখনও মোবাইলের সাহায্য নিতে অভ্যস্ত হইনি। চিরকুট অথবা নিজস্ব হার্ডডিস্কের মেমোরীই আমার ভরসা!
বর্তমান পরিস্থি্তিতে আপনার শেষের কথাটা একটি নির্মম সত্য।
পুরনো পরিচিতদের মাঝে মাঝে ব্লগে পেলে ভালো লাগে।

১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছোট বেলায় আম্মু যখন মুদি দোকানে সদাই কিনতে পাঠাতেন তখন এমন ফর্দ পাঠাতেন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ, আমরা সবাই কম বেশি এমন ফর্দ ধরে সদাইপাতি করেছি। তবে এখনকার প্রজন্ম এসব চিনবে না।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



বিষয়টি কিন্তু তেমন কিছুই নয় অথচ আপনার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিধারী মনটিতে যে দোলাচল উঠেছে আর তা নিয়ে আপনার বলিষ্ঠ কলমে যা ফুটিয়ে তুলেছেন তা বিষয়টিকে অসামান্য করে তুলেছে।

আমি ভাবছি অন্য কথা - নবিস ও দ্বিধান্বিত ফর্দ লেখিকা। ফর্দ লিখতে হবে "জুন" এর (৫নং মন্তব্য) কায়দায়। তরকারীর রং ও লিখতে হবে :|| । পারলে স্বাদের কথাটাও লিখলে ভালো হয়। ফর্দ হো তো জুন য্যায়সা! কাঁচা বাজারের পাকা ফর্দ। :|

ফর্দ বাহক মনে হয় আমাদের মত লেখক গোত্রিয়ই হবেন ।
শ্রদ্ধেয় ব্লগার ডঃ এম এ আলীর এই মন্তব্যের পরে আর কথা চলেনা! :P

শেষে বলে রাখি - অসতর্কতায় বাজারের ফর্দ ফেলে যাওয়ার এই ঘটনাটিকে কি "সাংসারিক সহমর্মিতা" বলা যাবে? নাকি " সাংসারিক কর্মবিমুখতা" বলা ঠিক হবে ? ;)

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ফর্দ হো তো জুন য্যায়সা!" - হা হা হা, ঠিক, ঠিক!
"শ্রদ্ধেয় ব্লগার ডঃ এম এ আলীর এই মন্তব্যের পরে আর কথা চলেনা!" - এটাও ঠিক! উনি আমাদেরর সবার হয়েই কথাটা বলেছেন।

"শেষে বলে রাখি - অসতর্কতায় বাজারের ফর্দ ফেলে যাওয়ার এই ঘটনাটিকে কি "সাংসারিক সহমর্মিতা" বলা যাবে? নাকি " সাংসারিক কর্মবিমুখতা" বলা ঠিক হবে?" - আসল কথা এই যে শিরোনামটা নিয়ে আমিও স্বচ্ছন্দ বোধ করছিলাম না। বুঝতে পারছিলাম, আমি যা বুঝাতে চেয়েছি তা ঠিক ভাবে বলতে পারিনি। তাই শিরোনামটা সম্পাদনা করে একটা নতুন শিরোনাম দিলাম।

মন্তব্যের শুরুর দুলাইনে যে উদার প্রশংসা করে গেলেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। প্লাসে প্রাণিত।

আপনার শরীর এখন কেমন আছে? সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন তো? ধুমপানের অভ্যেসটা একেবারে ছেড়ে দিতে পারেন কিনা, একটু চেষ্টা করে দেখেন।

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২১

জুন বলেছেন: তরকারীর রঙ অবশ্যই লিখতে হয় খায়রুল আহসান, যদি শুধু মুলা লিখি নিয়ে আসে সাদাটা, কিন্ত আমার দরকার লাল। মিষ্টি আলু চাই লা্‌ নিয়ে আসলো সাদা, সীম চাই সবুজ সবুজ নিয়ে আসলো লম্বা কালচেটা,পাতাকপি চাই পার্পল নিয়ে আসলো সবুজ :P

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "যদি শুধু মুলা লিখি নিয়ে আসে সাদাটা, কিন্ত আমার দরকার লাল। মিষ্টি আলু চাই লা্‌ নিয়ে আসলো সাদা, সীম চাই সবুজ সবুজ নিয়ে আসলো লম্বা কালচেটা,পাতাকপি চাই পার্পল নিয়ে আসলো সবুজ" - বুঝতে পারলাম, ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ।
আরও বুঝতে পারলাম, বাজারের ব্যাপারে আপনার চাওয়াগুলো খুবই স্পেসিফিক, এবং নন-ভায়োলেবল।

১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভদ্রলোক আদৌ এসব জিনিস নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছিলেন কি না কে জানে। ভুল হওয়ার কথা। আর বাড়ি গিয়ে কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন; সেটা ভেবে চিন্তিত হচ্ছি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বাড়ি গিয়ে কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন; সেটা ভেবে চিন্তিত হচ্ছি" - এ নিয়ে তো আমিও অল্পবিস্তর ভেবেছি, আর সে ভাবনাটা থেকেই এ লেখাটা উঠে এসেছে। অনেকের ভিড়ে ঠিক কে এটা ফেলে গিয়েছিলেন, তা শনাক্ত করতে পারিনি। পারলে তাকে হয়তো একবার সরাসরিই জিজ্ঞেস করার প্রয়াস পেতাম।

মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: দারুন ফর্দ!

চিরকুট খোওয়ানো ব্যক্তিটিকে সনাক্ত করতে পারলে তার বাসায় আচমকা হানা দেয়ার সত্বর একটা পরিকল্পনা করা যেত।এই ফর্দ দেখে ভেবে নিলেন মোরগ পোলাও আর গুড়ের পায়েস!! দোয়া করছি, যেন সনাক্ত করতে পারেন। তারপর আমাদের অবশ্যই জানাবেন শুধু পোলাওর চাল আর মুরগি দিয়ে রান্না মোরগ পোলাওয়ের স্বাদ আর দুধবিহীন পায়েস কেমন মজা করে খেলেন! B-)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোলাওর চাল আর মুরগি এর কথা ফর্দে উল্লেখ আছে। বাকি উপকরণ গৃহিণীর আয়ত্তে ছিল, এ কথা ধরে নিয়েই ঐ অনুমানটুকু করে নিয়েছি।

১৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৮

সোহানী বলেছেন: লিখা পড়ে যা একটু দু:খ অনুভব করছিলাম কিন্তু মন্তব্য পড়ে আমি হাসতে হাসতে ফিট। আসলেই এ ভদ্রলোক আমাদের গোত্রীয় লোকই হবেন। আলী ভাই এর অবজারবেশন অসাধারন।

আর জুন আপুর মতো যদি কেউ হয় তাহলে বেচারার যে কি অবস্থা তা সহজেই অনুমেয়। তবে আমি কারো ধার ধারি না, নিজেই সব কিছু আনি :P

দেখুন, কি সামান্য একটি বিষয় কিন্তু কি অসাধারন দক্ষতায় তার আত্মকথা তুলে আনলেন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লিখা পড়ে যা একটু দু:খ অনুভব করছিলাম কিন্তু মন্তব্য পড়ে আমি হাসতে হাসতে ফিট। আসলেই এ ভদ্রলোক আমাদের গোত্রীয় লোকই হবেন। আলী ভাই এর অবজারবেশন অসাধারন - আপনি এ লেখাটাকে সঠিক স্পিরিট নিয়ে পড়েছেন বিধায় পোস্টে এবং আলী ভাই এর মন্তব্যে হাসির উপাদান খুঁজে পেয়েছেন।
দেখুন, কি সামান্য একটি বিষয় কিন্তু কি অসাধারন দক্ষতায় তার আত্মকথা তুলে আনলেন - অনেক প্রীত ও প্রাণিত হলাম আপনার এ উদার পর্যবেক্ষণে। প্লাসের জন্যও ধন্যবাদ।

১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


রাওয়ার বই মেলা মিস করলাম। আমি ভয়েস দিতে যাই ওই দিকে। একটি ব্যানার দেখে ভাবলাম যাব। তারপর আর মনেই নেই যে রাওয়াতে বইমেলা হচ্ছে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আবার হয়তো হবে দেখা, অন্য কোন মেলায়!

১৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এমন একটা চিরকুট পোষ্টে মোটামুটি সবাই দেখলাম নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছে।
হাহাহা আলী ভাই আমাদের মর্ম বেদনা ঠিক বুঝেছেন। আর জুন আপু বাসার কর্তাদের এভাবে সব গুছিয়ে দিলে উনারা কবে শিখবেন ? আমি কিন্তু লেখক সম গোত্রের সুতরাং ফর্দ যার প্রয়োজন নিজে লিখে নিলেই হয়।
সোহানী আপু র মত আমিও কারো ধার ধারতাম না , দেশে এসে একটু ওলট পালট হয়ে গেছে আর কি।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ফর্দ লেখার কাজটা আমাদের মাঝে যার যখন সুবিধে হয়, সেই লিখে থাকি। তবে যার আর্জেন্সী বেশি থাকে, গরজটা তারই বেশি হয়ে থাকে। :)

১৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৪

জুন বলেছেন: @ সোহানী, মনিরা সুলতানা ,
তোমাদের ভাইয়া অনেক চালাক। দু একবার এমন ঘটার পর এখন সে দুই রকমের জিনিসই আনে। জিজ্ঞেস করলে বলে তুমি তো সারা জীবন উলটা বিবি হয়েই থাকলে , এটা আনলে বলতে ওটা আনতা :P
আর আমি নিজে বা ড্রাইভার দিয়ে বাজার করলেও তার বাজার করা প্যাশন । বাসা থেকে বের হলেই সে দুই হাত ভরে মাছ মাংস তরকারি ফল এই সব জিনিস নিয়ে আসে। কিছু বললে রাগ হয়, বলে ফেলে দাও, নইলে বুয়াকে দিয়ে দাও X(

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ১৩ থেকে ১৭ নং মন্তব্যকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে আপনার এ মন্তব্যটার উত্তর একটু আগেভাগে দিয়ে দিচ্ছি।
"তার বাজার করা প্যাশন" - আমারও। এবং উনি এ বিষয়ে সচরাচর যা করেন, আমিও তাই করি। আর এ নিয়ে কিছু বললে উনি যা বলেন, আমার উত্তরটাও শতভাগ একই রকমের হয়; কখনো প্রকাশ্যে, কখনো মনে মনে!
এমন একজন সংসারী লোকের সাথে বুকে বুক মেলাতে ইচ্ছে হচ্ছে! :)

১৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আর আমি নিজে বা ড্রাইভার দিয়ে বাজার করলেও তার বাজার করা প্যাশন । বাসা থেকে বের হলেই সে দুই হাত ভরে মাছ মাংস তরকারি ফল এই সব জিনিস নিয়ে আসে।
আহা বাজার করা প্যাশন যে কত প্রকার ও কী এবং কী সেটুকু উদহারন আমার বাসায় আছে আপু। আর ১৮ নাম্বার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আহসান ভাই যা লিখেছেন তাতে দেখতে পাচ্ছি এমন প্যাশনেট বাজারকারীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।

আপনাদের প্রতি লাল সালাম।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সংসারে provisions যোগানো যাদের দায়িত্ব (either of the spouse), মাঝে মাঝে একটু ঝামেলা হয়ে গেলেও তাদের এরকম এক আধটু প্যাশন থাকা উপকারী, সকলের স্বার্থে।

লাল সালাম গৃহীত ও স্বীকৃত হলো! :)


২০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩

শায়মা বলেছেন: আমি তো আমাদের দারোয়ানকে লিখে দিলাম ভ্যানিলা আইস্ক্রিম। নিয়ে আসলো ভ্যানিলা এসেন্স। লিখে দিলাম সসেজ। নিয়ে আসলো সয়াসস। এমন অনেক আছে।


কিন্তু তোমার পোস্ট পড়ে তোমার পিঠে উপর সাটা ভাবীজির ফর্দখানাই দিব্যচোখে দেখতে পেলাম ভাইয়া। মনে পড়লো সেই ছোট্ট বেলার বিজ্ঞাপনটা।


ঘরের কথা পরে জানলো কেমনে?

কিসের বিজ্ঞাপন ছিলো মনে নেই শুধু মনে আছে এই ডায়ালগটাই.......

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: দারোয়ানকে লিখে দিলে তো এর চেয়ে আর ভালো কিছু হবার কথা নয়। যেখানে বাড়ির কর্তারাই (বা কর্ত্রীরা) হিমসিম খান, সেখানে দারোয়ান তো কোন ছার! আপনার স্পাউসের হাতে একদিন ফর্দ ধরিয়ে দিয়ে রেজাল্ট কেমন পেলেন, জানাবেন।

তোমার পিঠে উপর সাটা ভাবীজির ফর্দখানাই দিব্যচোখে দেখতে পেলাম - এ ফর্দটা তো আমার নয়; আমার স্টলে ভিজিট করতে আসা কোন বন্ধু বা ক্রেতার হতে পারে। হয়তো তিনি যখন পেমেন্ট করার জন্য ওয়ালেট বের করেছিলেন, সেখান থেকে চিরকুটটি তার অগোচরে টেবিলে পড়ে যেতে পারে। আপনার ভাবীজিও অনেক বলার পর মাঝে মাঝে ফর্দ লিখে দিতে রাজী হন (তার প্রত্যাশা, তিনি মুখে বলবেন আর আমি মেমোরিতে সেভ করে নিবো!), তবে তার হস্তলিপি এটার চেয়ে ঢের ভালো। গোটা গোটা অক্ষরে লিখে দেন, অনেকটা মুক্তোর মত। অনেক সময় শুধু হাতের লেখা দেখার জন্যই তার ফর্দ বারবার পড়তে ইচ্ছে হয়!

২১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমি ভুলেও ভাবিনি এটা ভাবীর লেখা।

কিন্তু লেখাটা পড়ে তোমার পিঠে সাটা ভাবিজীর হস্তাক্ষর স্বপনে দেখেছি।

আর আমার তিনি তো জীবনেও বাজারে যান না। ডিমের হালি মুরগীর ডিম কিছুই জানেন না। আমি তাকে ফর্দ লিখলে টাইপ করে দিতাম। :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, ঠিক আছে।
"আমি তাকে ফর্দ লিখলে টাইপ করে দিতাম" - কেন?

২২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কাছে বিষয়টি বেশ মজাদার লেগেছে। একজন ভুলোমনার মানুষকে নিয়ে আপনি সুন্দর একটা পোস্ট লিখলেন। সঙ্গে মজার লেগেছে ড.আলী ভাইয়ের বিশেষ উদ্ধৃতাংশটি। আপনার দু'জনেই খুবই মজাদার মানুষ স্যার।
পোস্টে সপ্তদশ লাইক।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ড.আলী ভাইয়ের মন্তব্যটি পড়ে আমিও অনেক মজা পেয়েছি।
অশনাক্তকৃত ভুলোমনা মানুষটাকে নিয়ে কিছুক্ষণ ভেবেছিলাম, তাই এ পোস্টটা লিখতে পেরেছি।
চমৎকার মন্তব্য ও পোস্টে সপ্তদশ লাইক এর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সপরিবারে, সুস্বাস্থ্যে। শুভকামনা....

২৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমিও বাজারের ফর্দ র তো অরিজিনাল কপি না নিয়ে ছবি তুলে নিয়ে যাই।
বাজারের ফর্দ হারানোর রেকর্ড আমার অনেকবার আছে।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: শুধুমাত্র বাজারের ফর্দ হারানো তো নস্যি মাত্র; বাজার করার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে অন্যান্য আর সব আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করে বাজারবিহীন ঘরে ফিরে আসার রেকর্ডও আমার আছে! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.