নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতাঃ ডাক দিয়ে যায়

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

প্রতিদিন আমায় দুটো চেনা স্বরধ্বনি
ডাক দিয়ে যায়, প্রতিদিন পাঁচবার করে।
কল্যাণের আহ্বানে এ মধুর স্বরধ্বনি
কখনো হৃদয়ের গহীনে স্পর্শ করে যায়,
কখনো শুধু কর্ণকুহরে ফুঁ দিয়ে চলে যায়।
বিশেষ করে প্রাতে ও সন্ধ্যা নামার কালে
আঁধার নির্মোচন ও আগমনের নিস্তব্ধতায়
এ ধ্বনির জন্য মনটা উন্মনা, উতলা হয়।

দূরের ও কাছের দু'জন মুয়াজ্জিনের ডাক
প্রায় একই সময়ে মাইকে ভেসে আসে।
দূরের আহ্বানটিই বেশি আবেদনময় হয়;
সে ডাক দূর দূরান্তে বিলীন হবার দীক্ষা দেয়,
অনন্ত একটি গন্তব্যপানে মনকে নিয়ে যায়।
একদিন এ স্বরধ্বনি হয়তো আর শুনবো না,
শুনলেও হয়তো কেবল একটি ধ্বনিই শুনবো,
বোধহীন মনে এ সুর কোন তরঙ্গ তুলবে না!


(আজ মাগরিবের আযান শুনে মনে যে অনুভূতির উন্মেষ ঘটেছিল)

ঢাকা
০১ ডিসেম্বর ২০২৩

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৬

তাহেরা সেহেলী বলেছেন: সুন্দর প্রকাশ!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যটির জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মাগরিবের আজান শুনে অনুভুতির উন্মেষ থেকে অসাথারণ কবিতার জনম।
আজানের ধ্বনি শ্রবণ করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি মুমিনের অন্তরে এক ঈমানি শক্তি উজ্জীবিত হয়।
আজানের ধ্বনি শ্রবনের মাধ্যমে সালাতের জন্য প্রস্তুতির সাথে সাথে মুমিনের অন্তর আল্লাহ রাব্বুল
আলামিনের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি প্রদানে রত হয় । শুধু কি তাই আজানের ধ্বনি শুনে মসজিদে
গিয়ে সালাত আদায় ইসলামী সমাজের ভ্রাতৃত্ববোধ প্রকাশের বিশেষ দিক ও বটে ।

কবিতার শেষ কটি চড়ণের কথামালা যথা-
একদিন এই স্বরধ্বনি হয়তো আর শুনবোনা
শুনলেও হয়ত কেবল একটি ধ্বনিই শুনবো
বোধহীন মনের অতল তলে তা পৌঁছাবে না ।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে আজানের একটি ধ্বনিও
যদি শুনা যায় তাহলে এ বিষয়ে হাদিসে রয়েছে মুল্যবান কথা
‘যেকোনো মানুষ, জিন অথবা অন্য কিছু মুয়াজ্জিনের আওয়াজের
শেষ রেশটুকুও শুনবে, সে কেয়ামতের দিন তার জন্য সাক্ষ্য দেবে।’

(বুখারি : ৬১১)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা থেকে উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ (অবশ্য আপনার উদ্ধৃতির পর কবিতাংশটুকু কিছুটা সম্পাদনা করা হয়েছে)। আর বুখারি শরীফ : ৬১১ থেকে উদ্ধৃতির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। এ তথ্যটা আগে জানা ছিল না।
প্রথম ’লাইক’টির জন্যেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


অসাধারণ সুন্দর।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন। মন্তব্যে ও প্লাসে প্রীত হলাম।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৪

সোহানী বলেছেন: দেশের বাইরে থাকার কারনে আজান শুনি না কত দিন............

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: হুঁ, বিদেশে গেলে আমিও আযান শোনা মিস করি খুব! ঘড়ি ধরে নামায পড়তে হয়, অথবা সারা বছরের পাঁচ ওয়াক্তের আযানের টিউন ডাউনলোড করে নিতে হয়।

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: মাগরিবের আযানটা অন্য রকম অনুভূতি জাগে মনে, শব্দ এবং পরিবেশ মিলে ইহকাল, পরকাল, ছোটকাল ইত্যাদি মিলে অন্য একটা জগতে চলে যায় মন

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইহকাল, পরকাল, ছোটকাল ইত্যাদি মিলে অন্য একটা জগতে চলে যায় মন - বেশ তো!
তবে মাগরিবের আযান আর জামাতের মাঝে সময়ের ব্যবধানটা খুবই কম; সেদিকটাতেও খেয়াল রাখবেন।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩

আরোগ্য বলেছেন: বাহ্ , অনুভূতির চমৎকার প্রকাশ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে ও প্লাসে প্রীত হলাম, প্রাণিত হলাম। অনেক, অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় সুন্দর কবিতা লিখেছেন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনাকে এই সহজ সরল ও সুন্দর মন্তব্যটি জন্য।

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রবাসে আজান শনা হয় না। তবে চাইলে মোবাইলে শোনা যায়। রোজার সময় সবসময় মোবাইলে আজান শুনেই ইফতার করি। ভাল লেগেছে আপনার অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: যেসব দেশে পাবলিক এ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে আযানের অনুমতি নেই, সেসব দেশে ওটাই ভরসা। অথবা সূর্যাস্তের সময় জেনে নিয়ে সেই অনুযায়ী ইফতার করা।
কবিতাটি আপনার ভালো লাগায় প্রীত বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার, অনুভূতির কাব্যিক প্রকাশ। দেশকে মিস করছি।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর একটি প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য।
‘দেশকে মিস করছি’ - বাঙালি দেশ ছেড়ে যে যতই দূরে যাক, সবার অন্তরেই দেশ থাকে।

১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০১

প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভালো লাগল।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মন্তব্যে প্রীত হলাম। অনেকদিন পরে এলেন, খুব ভালো লাগল।

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৩৭

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: কবিতার এই নামটি প্রথম শুনেছিলাম প্রায় ৩০/৩৫ বছর পূর্বে, কবির বাসা ছিল নারায়ণগঞ্জে। কবির নাম ভুলে গিয়েছি ,কবিতার কথা গুলিও। শুধু যার কাছে শুনেছিলাম সেই শফিক ভাইয়ের কথা মনে আছে। এই নিকে ২০০৬ এর দিকে মাঝে মাঝে চ্যাট করতাম একটি চ্যাট রুমে। আপনাকে ধন্যবাদ। নামটি দেখে প্রিয় একজন মানুষের কথা মনে পরে গেলো ,হয়তো আর দেখা নাও হতে পারে এই জীবনে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পাঠ এবং কবিতা পড়ে আপনার স্মৃতিচারণমূলক মন্তব্যটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: sb] আঁধার নির্মোচন ও আগমনের নিস্তব্ধতায়
এ ধ্বনির জন্য মনটা উন্মনা, উতলা হয়।

নিস্তব্ধতার মধ্যে এই ধ্বনি মনের মধ্যে পৌঁছে গিয়ে এক আমেজের সৃষ্টি করে। কর্মব্যস্ত দিনের মধ্যে আযান শুনলেও সেই আমেজটা আর পাওয়া যায় না।

কবিতায় কবির মনের আকুতি বা হাহাকার ফুটে উঠেছে। অমোঘ আকর্ষণে আমরা যেদিকে যাচ্ছি, সেই পথের শেষে কী আছে জানি না!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে আযানের ধ্বনি বিশ্বব্যাপী বায়ুতরঙ্গে প্রক্ষেপিত ও অনুরণিত হচ্ছে। সে ধ্বনি কখন কার কর্ণকুহরে প্রবেশ করে হৃদয় উদ্বেলিত করে তার খোঁজ কে রাখে! ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ ভ্রমণেের সময় সেখানকার আযানের ধ্বনি এবং নামাযের পরে সমস্বরে গীত অনতিদীর্ঘ হামদ ও না‘ত আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করে যেত।

"আহা যবে সেই সুর সুমধুর স্বরে,
ভাসে দূরে সায়াহ্নের নিথর অম্বরে,
প্রাণ করে আনচান, কি মধুর সে আযান,
তারি প্রতিধ্বনি শুনি আত্মার ভিতরে"
- কবি কায়কোবাদ এর ‘আযান‘ কবিতার এ কথাগুলোতে আমার মনের অনুভূতিরই প্রতিফলন খুঁজে পাই।

"সেই পথের শেষে কী আছে জানি না!" - অচেনা পথ, অজানা গন্তব্য। পথস্রষ্টার প্রতি ভরসাই একমাত্র স্বস্তি!

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: কবিতায় লাইক দিয়ে মন্তব্যও লিখেছিলাম, কিন্তু পোস্ট করতে ভুলে গেছিলাম।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও সেরকমই ভেবেছিলাম। বয়স তো সবারই হচ্ছে! :)
কষ্ট করে তবুও দ্বিতীয়বার এসে মন্তব্য করে গেলেন, এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত।

১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পরম আহবানে চরম অনুভূতি মরমে উঠিল বাজি! কবিতায় চমৎকার অভিব্যাক্তির প্রকাশ!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, কবিতা পড়ে এমন চমৎকার একটি মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।

১৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ইসিয়াক বলেছেন: আযানের সুর সত্যি সুমধুর! ফজরের আযানের সময়টা আমার কাছে বেশি প্রিয়।সামগ্রিক প্রাকৃতিক পরিবেশের পটভূমিতে আযানের ধ্বনি মনকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ফজরের আযানের সময়টা আমার কাছে বেশি প্রিয় - আমার কাছেও, এবং তৎপরবর্তী সময়টুকুও, সূর্য ওঠা পর্যন্ত।
সামগ্রিক প্রাকৃতিক পরিবেশের পটভূমিতে আযানের ধ্বনি মনকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয় - একদম ঠিক কথা বলেছেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.