নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্পের ভিতর বাহির

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দীর্ঘ অবসরময় বর্ষা কি করে কাটাবেন সে নিয়ে খুব ভাবনায় পড়ে গেলেন। ভেবে ভেবে বর্ষা কাটাবার জন্য কাজের ফিরিস্তি দিয়ে লিখলেন একটি দীর্ঘ কবিতা-’বর্ষাযাপন’। ’সোনার তরী’ কাব্যের এ কবিতায় দেখা যায়, কবি বর্ষার ঝুম বৃষ্টির মধ্যে কলিকাতা মহানগরীতে ঘরবন্দী হয়ে সময় কাটাবার জন্য নানা কাজ করছেন- জানালা পথে পাশের দালানগুলোকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন, বিজলী চমক, বৃষ্টি-পতন দেখে আকাশ-পাতাল ভাবছেন, নি:সঙ্গতা কাটাবার জন্য খুলে বসছেন কালিদাসের ’মেঘদূত’, গোবিন্দদাসের পদাবলী খুলে পড়ছেন বর্ষা অভিষার- বিহব্বল হচ্ছেন একাকীনি রাধার বেদনায়, পড়ছেন গীতগোবিন্দ। এত কিছুর পরও সময় ফুরাতে না পেরে যা করতে বসলেন-



”তখন সে পুঁথি ফেলি, দুয়ারে আসন মেলি

বসি গিয়ে আপনার মনে,

কিছু করিবার নাই চেয়ে চেয়ে ভাবি তাই

দীর্ঘ দিন কাটিবে কেমনে।

মাথাটি করিয়া নিচু বসে বসে রচি কিছু

বহু যত্নে সারাদিন ধরে-

ইচ্ছা করে অবিরত আপনার মনোমত

গল্প লিখি একেকটি করে।

ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা ছোটো ছোটো দু:খকথা

নিতান্তই সহজ সরল,

সহস্ত্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি

তারি দু-চারিটি অশ্রুজল।

নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা,

নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ।

অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি’ মনে হবে,

শেষ হয়ে হইল না শেষ।

জগতের শত শত অসমাপ্ত কথা যত,

অকালের বিচ্ছিন্ন মুকুল,

অজ্ঞাত জীবনগুলা, অখ্যাত কীর্তির ধুলা,

কত ভাব, কত ভয় ভুল-

সংসারের দশদিশি ঝরিতেছে অহর্নিশি

ঝরঝর বরষার মতো-

ক্ষণ-অশ্রু ক্ষণ-হাসি পড়িতেছে রাশি রাশি

শব্দ তার শুনি অবিরত।

সেই-সব হেলাফেলা, নিমেষের লীলাখেলা

চারিদিকে করি স্তূপাকার,

তাই দিয়ে করি সৃষ্টি একটি বিস্মৃতিবৃষ্টি

জীবনের শ্রাবণনিশার।”



শুধু বাংলা ছোটগল্প নয়, বিশ্বের সেরা ছোটগল্প লেখকদের অন্যতম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাব্যচ্ছলে ছোটগল্পের ভিতর-বাহিরের সব রহস্য যেন আমাদের সামনে উন্মোচিত করে দিলেন। সকল সাহিত্য মাধ্যমের মধ্যে প্রাচীনতম ও কঠিনতম মাধ্যম কবিতা। এর পাশেই ছোটগল্পের স্থান।





ছোটগল্প কাকে বলে



কবিতা কি এটা যেমন বলা মুশকিল, ছোটগল্প কাকে বলে সেটাও বলা সমান বিপদের কাজ। ওপরে ছোটগল্প নিয়ে রবীন্দ্রনাথের যে উদ্ধৃতি পেশ করা হয়েছে সেটাকে কেউ কেউ সংজ্ঞা বলে চালাতে চান। আমি চাই না। কারণ সেখানে যা আছে তা ছোটগল্পের উপকরণ ও রচনাকৌশলসহ প্রায় সামগ্রিক রূপ।



অক্সফোর্ড এডভান্সড লার্নার্স ডিকশনারী বলছে- "a story, usually about imaginary characters and events, that is short enough to be read from beginning to end without stopping’’



এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা জানাচ্ছে- ’ brief fictional prose narrative that is shorter than a novel and that usually deals with only a few characters.’



ছোটগল্পের অন্যতম দিকপাল এডগার এলান পো বলেছেন, ’a short story should be read in one sitting, anywhere from a half hour to two hours.’



এইচ.জি.ওয়েলস ছোটগল্পকে ১০ মিনিট থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে পাঠযোগ্য বিবেচনা করেছেন।



এ সব সংজ্ঞা থেকে বোঝা যায়, ছোটগল্প শুধু আকারে ছোট হলেই হবে না, তার বিষয় আর বলার কৌশলও একটু আলাদা হবে। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় তার আভাস আছে। তাঁর মতে, জীবনের অনেক ঘটনা থেকে একটিকে নিয়ে বিশেষ ভাব আর কৌশলে গল্প লেখা হবে। সেখানে বর্ণনার বাহুল্য বা দর্শনের কচকচানি থাকবে না। গল্পটি জীবনের বিশেষ সময়ের একটা বিশেষ আবেগের রূপায়নের ভেতর দিয়ে সারা জীবনের আনন্দ বা বেদনার একটা আভাস দেবে। জানালার ছোট কপাট খুলে যেভাবে আমরা আকাশ দেখে নিই অনেকটা সে রকম করে। শেষ হয়ে শেষ না হবার যে অতৃপ্তি, সেটা জানালা খুলে আকাশ দেখে সে আকাশে উড়তে না পারার অবদমিত স্বপ্নকেই যেন তুলে ধরবে।



শ্রীশচন্দ্র দাশ তাঁর ’সাহিত্য সন্দর্শন’ নামক বইতে সামগ্রিক বিবেচনায় ছোটগল্প সম্পর্কে বলেছেন, ’ছোটগল্প মানব জীবনের গভীরতর রহস্য ভেদ করিতে চায় না, জীবনের অবিরাম স্রোতে ক্ষণপ্রাণ ও ক্ষণবিলীয়মান যে তরঙ্গ উঠিতেছে,পড়িতেছে, ভাঙ্গিতেছে, তাহাকেই লেখক স্থির দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করেন। ইহাতে নাটক-উপন্যাসের বা মহাকাব্যের বিস্তৃতি নাই-- জীবনের খন্ডরূপ এইখানে একটি বিশেষ রূপে ধরা দেয়। এই রূপ সৃষ্টিকে সার্থক করিবার জন্য লেখক গল্পের উপাদান ও ভাববিন্যাস একটি মাত্র রসপরিণামমুখী করিয়া তুলিতে চেষ্টা করেন। শ্রেষ্ঠ ছোটগল্পের ইহাই আদর্শ।’



গল্প-ছোটগল্প



’ছোটগল্প’ খুব বেশি বয়সী সাহিত্য মাধ্যম নয়, কিন্তু গল্পের বয়স অনেক। মুখে মুখে গল্প বলার ইতিহাস কবে শুরু হলো তা বলাই মুশকিল।মা কিংবা দাদা-দাদীর মুখে গল্প শুনে ঘুমিয়ে পড়ার গল্পটাও কিংবদন্তী হয়ে গেছে। ঈশপের গল্প বা জাতকের গল্প খ্রীস্টের জন্মেরও অনেক আগে লেখা। তবে সবার আগে গল্পে হাত পাকিয়েছেন মিশরীয়রা। ধর্মীয় বিষয় কাব্যে থাকলেও প্যাপিরাসে লেখা বাকী সব কিছুই ছিলো গদ্যে। অর্থাৎ তারাই প্রাচীনতম গদ্যের অধিকারী। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রাচীনতম মিশরীয় গল্পসঙ্কলনের নাম ‘The Shipwrecked Sailor’ (জাহাজডোবা নাবিক), যা খ্রীস্টপূর্ব ২০০০ সালে রচিত বলে ধারনা করা হয়।



আব্বাসীয় যুগের আরব্য রজনীর গল্প ধারাবাহিক গল্পবলার ধ্রুপদী নিদর্শন। পারস্যের অনুদিত গল্প তোতা কাহিনী কিংবা ঠাকুর মা’র ঝুলি আমাদের গল্পের ইতিহাসের স্বর্ণ-সম্ভার। মুখে মুখে প্রচলিত গল্পগুলোই হোমারের ’ইলিয়াড’ আর ’ওডিসী’র মতো মহাকাব্যে রূপ পেয়েছে। শেক্সপীয়রের নাটকের উপকরণও জুটেছে মুখে মুখে প্রচলিত গল্প থেকে।



ছোটগল্পের জন্ম এ সব গল্পের ধারনা থেকে, সেটা বলাই বাহুল্য। আজকের ছোটগল্পের পূর্বপুরুষ বিবেচনা করা হয় চতুর্দশ শতকের ইংরেজ লেখক জিওফ্রে চসারের ’কেন্টারবারী টেলস’ আর রোমান লেখক বোকাচ্চিওর ’ডেকামেরন’কে। দুটোই পৃথকভাবে লেখা ছোট ছোট গল্পের সমাহার। সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি ফরাসী সাহিত্যে ছোট আকারের উপন্যাস ’নভেলা’ আবির্ভূত হয়। এরপরই ইউরোপীয় গল্প জগতে বিপ্লব নিয়ে আসে ইউরোপীয় ভাষায় ’আরব্যরজনী’র অনুবাদ। বেশিরভাগ গুনীর মতে এখান থেকেই ছোটগল্পের বর্তমান ধারনার সূত্রপাত। অষ্টাদশ শতকে ভলতেয়ারসহ অন্যান্য ইউরোপীয় লেখকের লেখায় আরব্যরজনীর সুস্পষ্ট প্রভাব দেখা যায়।



যুক্তরাজ্যের প্রথম উলেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ রিচার্ড কাম্বারল্যান্ডের ’ দা পয়জনার অব মনট্রিমাস’(১৭৯১)।



এরপর বিখ্যাত উপন্যাস লেখক স্যার ওয়াল্টার স্কট এবং চার্লস ডিকেন্স কিছু ছোটগল্প লেখেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত প্রথম উলেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ চার্লস ব্রোকডেন ব্রাউনের ’সমনামবুলিজম’ (১৮০৫)।

এরপর আসে ওয়াশিংটন আর্ভিংয়ের বিশ্ববিখ্যাত গল্পগ্রন্থ ’রিপ ভ্যান উইংকেল’ (১৮১৯) এবং ’দা লিজেন্ড অব স্লিপিং হোলো’ (১৮২০)। নাথানিয়েল হথোর্নের গল্পগ্রন্থ ’টোয়াইস টোল্ড টেলস’-এর প্রথম খন্ড প্রকাশ পায় ১৮৩৭ সালে। এরপরেই দৃশ্যপটে আসেন ছোটগল্পের প্রধান গুরুদের একজন এডগার এলান পো। যাঁকে রহস্য-উপন্যাসের পিতার সম্মান দেয়া হয়। তাঁর ছোটগল্পেও রহস্যের ছোঁয়া আছে। ১৮৩২ থেকে ১৮৪৯ সালের মধ্যে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত গল্পের মধ্যে রয়েছে ’দা ফল অব দা হাউস অব আশার’, দা টেল টেইল হার্ট’, ’দা পিট এন্ড দা পেন্ডুলাম’।

তাঁর বিখ্যাত গোয়েন্দা গল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ’দা মাডার্স ইন দা রু মর্গ্’।



এ সময়ে জার্মানী এবং ফ্রান্সেও ছোটগল্পের বই প্রকাশিত হয়। তখন রাশিয়ায় ছোটগল্প লেখেন আলেক্সান্ডার পুশকিন এবং নিকোলাই গোগোলের মতো ধ্রুপদী লেখকরা।



ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে ছোটগল্পে সোনার ফসল ফলিয়েছেন টমাস হার্ডি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী লেখক রুডিয়ার্ড কিপলিং, রহস্যগল্পের দিকপাল আর্থার কোনান ডয়েল (দা এডভেঞ্চারস অব শার্লক হোমস খ্যাত), বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর দিকপাল এইচ.জি.ওয়েলস, মবিডিক খ্যাত হেরমেন মেলভিল, মার্ক টোয়েন, হেনরী জেমস প্রমুখ।



এঁদের পর আসেন ছোটগল্পের যাদুকরদের একজন, অঁরি রেনি আলবেয়র গী দ্য মোপাশা। তাঁর লেখা ’নেকলেস’ (ডায়মন্ড নেকলেস), বোল দা সৌপ (চর্বির বল), ইন দা স্প্রিং , এন ওল্ড ম্যান, রাস্ট, টু ফ্রেন্ডস, কনজারভেটরী, দা ম্যাটার উইথ আন্দ্রে ইত্যাদি গল্প অবিস্মরণীয়। একই সময় রাশিয়ায় গল্পের পশরা সাজান ইভান তুর্গেনেভ, ফিওদর দস্তয়েভস্কি, লিও টলস্টয়, ম্যাক্সিম গোর্কি এবং ছোটগল্পের আরেক শীর্ষ দিকপাল আন্তন চেখভ।



গত শতকের প্রথমার্ধে গল্প লিখেছেন হেক্টর হিউ মুনরো (সাকী), উইলিয়াম সমারসেট মম, ভার্জিনিয়া উলফ, গ্রাহাম গ্রীন, আর্থার সি. কার্ক, জেমস জয়েস, নোবেল বিজয়ী লেখক উইলিয়াম ফকনার, আরেক নোবেল বিজয়ী আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর দিকপাল আইজাক আসিমভ, নোবেলজয়ী জার্মান লেখক টমাস মান, ফ্রান্স কাফকা প্রমুখ।



গত শতকের শেষার্ধে ছোটগল্পচর্চা করেছেন নোবেলজয়ী লেখক জন স্টেইনবেক, ফিলিপ রথ, জেমস বল্ডউইন, স্টিফেন কিং, ইতালো ক্যালভিনো, নোবেল বিজয়ী পর্তুগীজ লেখক হোসে সারামাগো, জর্জ লুই বোর্গেস, জুলিও কোর্তাসার, নোবেল বিজয়ী লেখক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, পেরুর নোবেল জয়ী লেখক মারিও ভার্গাস ইয়োসা, নোবেল জয়ী মিসরীয় লেখক নাগিব মাহফুজ, তিন জাপানী লেখক-নোবেল জয়ী কেনজাবুরো ওয়ে, ইয়োকি মিশিমা এবং সম্ভাব্য নোবেল জয়ী বলে কয়েক বছর ধরে আলোচিত হারুকি মুরাকামি। সমকালীন ছোটগল্পের ’মাস্টার’ হিসাবে পরিচিত কানাডীয় লেখিকা এলিস মুনরো এ বছর (২০১৩) ছোটগল্পের জন্য নোবেল পুরস্কার জিতেছেন।



বাংলা ছোটগল্পের ভূবন



বাংলায় অনুদিত ’পঞ্চতন্ত্র’, ’জাতকের গল্প’, ’তোতা কাহিনী’ ও ’আরব্যরজনীর গল্পে’র উত্তরাধিকার আর ’ঠাকুর মার ঝুলি’র সোনালী অতীত নিয়ে বাংলা ছোটগল্পের ঘরগেরস্থালী অনেক সমৃদ্ধ। রবীন্দ্রনাথ ছোটগল্পকার হিসাবে বিশ্বের সেরাদের এক জন। বাংলা ছোটগল্পের কারিগরদের মধ্যে প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শওকত ওসমান, জসীম উদদীন, সৈয়দ মুজতবা আলী, আবু রুশদ, সৈয়দ ওয়ালীউলাহ, বনফুল, আউদ্দিন আল আজাদ, জহীর রায়হান, আবু ইসহাক, আবদুল মান্নান সৈয়দ, সৈয়দ শামসুল হক, হাসান আজিজুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আল মাহমুদ, বেগম রোকেয়া, বুদ্ধদেব বসু, কাজী নজরুল ইসলাম, আবুল মনসুর আহমদ, শাহেদ আলী উলেখযোগ্য।



সমকালীন গল্পকারদের মধ্যে রয়েছেন সাদ কামালী, আহমেদ মোস্তফা কামাল, হুমায়ুন মালিক, মঞ্জু সরকার, অদিতি ফাল্গুনী, হরিশঙ্কর জলদাস প্রমুখ।



বিশ্বের সেরা গল্পের মতো বাংলা ছোটগল্পেও আছে বিষয় আর প্রকরণের ব্যাপক বৈচিত্র্য। রবীন্দ্রনাথের গল্পে আছে মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত মানুষের সুখদুখের ছবি। আছে প্রেমের গল্প বা ভৌতিক গল্পও। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া রবীন্দ্রনাথের গল্পগুলো আকারে দীর্ঘ। ’নষ্টনীড়’ তো এখনকার উপন্যাসের আকারের। মানিক, ইলিয়াস কিংবা হাসান আজিজুল হকের গল্পগুলোও দীর্ঘ। ব্যতিক্রম বনফুল। তাঁর বেশিরভাগ গল্প ছোট আকারের। ’নিমগাছ’ বা ’বিধাতা’র মতো বিখ্যাত গল্প এক পৃষ্ঠাতেই সীমাবদ্ধ। সমাজ চেতনা, রাজনীতি সচেতনতা, নিরীক্ষাধর্মিতা সাম্প্রতিক ছোটগল্পে লক্ষ করা যায়।



আরো গল্প ? কেন ?



এতো সব দুর্দান্ত লেখকের মন পাগল করা গল্পের পর আরো গল্প কি প্রয়োজন আছে ? এটা হতে পারে লাখ টাকার প্রশ্ন।



আমার মতে আরো অনেক গল্প লেখার বাকী রয়ে গেছে। নতুন নতুন মানুষ এসেছেন পৃথিবীতে। তাঁদের জীবনে তথ্যপ্রবাহ আর প্রযুক্তি বহু নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। বিশ্বের সব কিছু এখন মানুষের অভিজ্ঞতার অংশ। একেক জনের অভিজ্ঞতা একেক রকম। একই অভিজ্ঞতার দ্যোতনা নানাজনের কাছে নানাভাবে প্রতিভাত হয়। কার চেয়ে কার গুরুত্ব কম ?

এ সব তুলে ধরার জন্য ছোটগল্প একটি ভালো মাধ্যম। যদিও উপন্যাস আর পেশাগত জীবনের জন্য দরকারী বইয়ের জনপ্রিয়তার মুখে কবিতা, ছোটগল্প জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। বাংলাদেশে কবিতা আর গল্পের বইয়ের প্রকাশক আর ক্রেতা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। কিন্তু গল্প শোনার চিরন্তন আগ্রহই ছোটগল্পের জন্য সুখবর। আপনার গল্পে যদি আকর্ষণীয় গল্প থাকে তাহলে সেটা মানুষ পড়বেই। তাই লিখতে পারেন আপনার গল্পও।



কিভাবে লিখা যায় গল্প ?



কিভাবে গল্প লেখা যায় এ প্রশ্নের জবাব দেয়া অসম্ভব কাজ। কারণ প্রকৃত সৃজনশীলতার কোন ম্যানুয়াল হয় না। কারণ প্রকৃত শিল্পীর প্রতিটি কাজই মৌলিক। কারো সাথে সেটা মিলবে না। যেটা করা সম্ভব সেটা হচ্ছে আরেকজনের অভিজ্ঞতার কথা জানা। কারণ অভিজ্ঞতা খুবই মূল্যবান। প্রায়ই সেটা কেমন করে যেন কাজে লেগে যায়।



জ্ঞান আর সৃজনশীলতার জগতে গুরুর কাছে শিক্ষা নেবার কিছু নজীর আমরা পাই। ফ্লবেয়রের কাছে মোপাশার লিখতে শিখার কথা আমরা সবাই জানি। সে শিক্ষা আর আপন প্রতিভাবলে মোপাশা হয়ে উঠেছেন ফরাসী সাহিত্যের সবচেয়ে নিপুন গদ্য লেখক। গান বাজনার কথা না হয় তুললাম না। আরেকটা খবরও আমাদের জানা আছে, সেটা হচ্ছে অভিজ্ঞতা বিনিময়। ফলে বিভিন্ন জনের মতের মিলের ভেতর দিয়ে শিল্পে সাহিত্যে নানা আন্দোলন দানা বেঁধেছিলো। যেমন- ইম্প্রেশনিজম, এক্সপ্রেশনিজম, সুররিয়ালিজম, কাঠামোবাদ, উত্তর কাঠামোবাদ, বিনির্মানবাদ ইত্যাদি।



তাই গল্প লেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যেতেই পারে।



কি কি চাই গল্পের জন্য ?



কি কি চাই গল্পের জন্য তার তালিকাটা এমন-



১. আইডিয়া: গল্পের উপকরণ ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। চোখ কান খোলা রেখে সেখান থেকেই বেছে নিতে হবে আইডিয়া। যা নিয়ে গল্প লেখা যায়। আইডিয়া মনের মধ্যে হঠাৎ উঁকি মারে। তাই ছোট একটা নোট বই আর কলম সাথে থাকা ভালো। চট করে টুকে নেয়া যায় যেন। চোখের সামনে ঘটা কোন ঘটনা বা দৃশ্য হতে পারে গল্পের প্রেরণা। কপাল ভালো থাকলে পুরো গল্পই মুহূর্তের মধ্যে খেলে যেতে পারে আপনার মনে। কখনো কখনো আকাল পড়তে পারে আইডিয়ার। তখন বন্ধু বা ঘরের কেউ এগিয়ে আসতে পারেন। অভিজ্ঞতাও আইডিয়ার বড়ো সরবরাহকারী। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর ’গ্র্যান্ডমাস্টার’ আইজাক আসিমভ অভিজ্ঞতা থেকেই পেয়েছেন বহু গল্পের আইডিয়া। সব মহৎ গল্পও এসেছে মহান লেখকদের অভিজ্ঞতার ভেতর থেকেই। অভিজ্ঞতার বাইরে যাওয়া কিংবা স্বল্প অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখতে যাওয়া অনেক সময় ভালো লেখার জন্য বিপদ ডেকে আনে।



২. গল্পের মূল কাঠামো: জানতে হবে গল্পের মূল কাঠামোটার গড়ন কেমন। কারণ আইডিয়াকে গল্পে রূপ দিতে হবে যুৎসই একটা কাঠামোতে। একে সাধারণত: প্লট বলা হয়। যাতে থাকে একটা সূচনা। সূচনায় থাকবে স্থান-কাল-পাত্র সম্পর্কে ধারণা। এরপর আসবে ঘটনাক্রম। যার ভেতর দিয়ে ঘটনার ঘনঘটা গতি পেতে শুরু করবে অর্থাৎ গল্প কাইমেক্সের পথে আরোহন করতে শুরু করবে। তারপর কাইমেক্স, জমজমাট ঘটনাবলীর মূল বিবরণ। চলতে আরম্ভ করবে পরিণতির পথে। সবশেষে সুন্দর আনন্দদায়ক পরিণতি কিংবা বিষাদাত্মক সমাপনী। লেখার প্রয়োজনে, বৈচিত্র্য আনার জন্য গল্পে ব্যবহার করুন সংলাপ। সংলাপের ব্যবহারের দক্ষতা আর বৈচিত্র্য লেখকের মুন্সীয়ানার পরিচয় বহন করে।



৩. কাছের মানুষের কাছেই সমাধান: কাকে নিয়ে লিখবেন তা যদি সহজে মিলে যায় তাহলে সমস্যাই থাকে না। যদি খুঁজে না পান গল্পের নায়ক বা নায়িকা তাহলে বেছে নিন আপনার কাছের কোন মানুষকে যিনি কোন না কোনভাবে আপনার এবং অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। তাঁর কান্ডকীর্তিই হতে পারেন আপনার গল্পের বিষয়।



৪. জানুন আপনার গল্পের চরিত্রদের: গল্পটা বিশ্বাসযোগ্য করতে হলে গল্পের চরিত্রগুলোও হতে হবে বাস্তবসম্মত। পাঠক যাতে সহজেই চিনতে পারেন তাদের। বাস্তব মানুষদের আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা খুব কঠিন। মানুষ বিশ্বাসযোগ্যতা আর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব দুটোই চায়। এ বিপদ সামলাতে হলে লেখককে জানতে হবে তার সম্ভাব্য চরিত্রের সবদিক- নাম, ঠিকানা, পদবী, চেহারা, গায়ের রঙ, স্বভাব (রাগী/শান্ত/ভদ্র/অভদ্র/অস্থির/ধীরস্থির), তার প্রিয় রঙ/পোষাক/ খাবার; কথা বলার ভঙ্গি/আঞ্চলিক কোন টান; কোন মুদ্রাদোষ আছে কি না; আবেগ প্রবণ কিনা; চরিত্রের যে সব দুর্বলতা (পানাসক্তি/ধুমপায়ী); চরিত্রের ত্রুটি (মানুষ কোন নিখুঁত চরিত্র চায় না, আবার এমন বেশি দুর্বলতা চায় না যা অতিরিক্ত মনে হয়)।

এর সব কিছু এক গল্পে দরকার হবে না। বর্ণনার বিস্তৃতি উপন্যাসের বিষয়। গল্পকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য যেটুকু লাগবে সেটুকুই ব্যবহার করতে হবে।



৫. গল্পের পরিসর সীমিত রাখতে হবে: গল্পের প্লট থাকবে একটি, চরিত্র কয়েকটি,ঘটনার বিস্তৃতি কয়েক দিনের মধ্যে (প্রয়োজনে কয়েক ঘন্টা) সীমিত থাকবে। রবীন্দ্রনাথ, টলস্টয়, মোপাশা বা এলান পো’র বেশিরভাগ গল্প কিছুটা দীর্ঘ; অন্যদিকে চেখভ, বনফুলের গল্প বেশ ছোট আকারের। গল্পের ভেতর একাধিক প্লট বা বেশি চরিত্র ঢুকে পড়লে সেটাকে গল্পের বদলে নভেলা বা উপন্যাসে পরিণত করাই শ্রেয়।



৬. গল্পের কথক: গল্প লেখা হয় তিন ধরণের ভাষ্যে- উত্তম পুরুষ (গল্পের কোন চরিত্র নিজে গল্পের কথক), মধ্যম পুরুষ (কথক দর্শকের ভূমিকায় অর্থাৎ পাঠক নেমে যান কথকের ভূমিকায়) আর নাম পুরুষ ( লেখক নৈর্ব্যক্তিক দূরত্বে থেকে গল্প বলেন, মনে হবে একজন অজ্ঞাতনামা দর্শক গল্পটির বর্ণনা দিচ্ছেন)।



মধ্যম পুরুষে লেখা গল্পের সংখ্যা কম। উত্তম পুরুষে লেখা গল্পে গল্পের চরিত্রের পক্ষে যতোটা জানা সম্ভব ততোটাই লিখা উচিৎ। এতে বর্ণনায় সীমাবদ্ধতা এসে যায়। নাম পুরুষে গল্প বলায় বর্ণনার পরিসর একটু বাড়ে, লেখক কিছুটা বাড়তি স্বাধীনতা পান। কারণ অজ্ঞাত কথকের পক্ষে বেশি খবর জানা খুব স্বাভাবিক মনে হবে পাঠকের কাছে। লেখক চাইলে আরেকটা কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। গল্পের বয়ানে উত্তম পুরুষ আর নাম পুরুষের বর্ণনা মিলিয়ে নিতে পারেন। উত্তম পুরুষে লেখা আরম্ভ করে নাম পুরুষে পরের অংশ বিশেষ বর্ণনা করা। এভাবে বয়ানভঙ্গিও কথক পরিবর্তনের মিশ্রন ব্যবহার করা যেতে পারে। জাপানী লেখক আকুতাগাওয়া রায়ুনোসুকে তাঁর বিখ্যাত গল্প ’রশোমন’-এ কৌশলটি স্বার্থকভাবে ব্যবহার করেছেন (এ গল্প অবলম্বনে আকিরা কুরোশাওয়া বিশ্বখ্যাত ’রশোমন’ চলচ্চিত্রটি নির্মান করেছিলেন)।



৭. মন গোছানো: লেখার আগে গল্পের বিষয়গুলো মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে হবে। আরম্ভ করবেন কিভাবে এবং পর্যায়ক্রমে গল্পটি শেষ করবেন কিভাবে তার ধাপগুলো মনের ভেতর গুছিয়ে নিন। এটাকেই আমি বলছি মন গোছানো। প্রয়োজনে পয়েন্ট আকারে নোট রাখতে পারেন।



৮. লেখা শুরু করুন: সব চেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটা হচ্ছে লিখতে শরু করা। প্রথম পৃষ্ঠা, বিশেষ করে প্রথম বাক্যটি লেখা সব চেয়ে কঠিন বলে মনে করেন লেখকরা। অনেক সময় প্রথম বাক্যটির জন্যই পাঠক গল্পের বাকী অংশটি পড়েন। সূচনাটা হতে হবে সংক্ষিপ্ত। কারণ গল্পের পরিসর কম। অনেক সময় শুরুটা হতে পারে নাটকীয়। রবীন্দ্রনাথের ’হৈমন্তী’ গল্পের প্রথম বাক্যটি স্মরণ করা যেতে পারে- ’কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না।’ হৈমন্তী গল্পের যে কালপর্ব তখনকার হিসাবে কন্যার বয়স অনেক বেশি ছিলো। সে বিবেচনায় কন্যার বাপেরই তাড়া থাকার কথা। পুরো বিষয়টা উল্টো, অস্বাভাবিক। তাই নাটকীয়। পরের বাক্যগুলোতে রবীন্দ্রনাথ কার কেন তাড়া তার ব্যাখ্যা হাজির করে রহস্যমোচন করেছেন। ও হেনরী ওরফে উইলিয়াম সিডনী পোর্টার-এর বিখ্যাত গল্প ”গিফট অব দা ম্যাজাই”-এর প্রথম বাক্য-’এক ডলার সাতাশি সেন্ট।’ অতি সাধারণ এবং অসম্পূর্ণ প্রকৃতির এ বাক্যটিই পাঠককে গল্পের ভেতরে টেনে নিয়ে যায়। পাঠক যে গল্পে আবিষ্কার করেন ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর অসাধারণ এক প্রেমকাহিনী। দরিদ্র নবীন দম্পতি জিম ও ডেলার পরিবারের ছিলো দুটি মাত্র সম্পদ, যা তাদের অতিপ্রিয় আর গর্বের বস্তু। দাদার আমলে কেনা জিমের সোনার ঘড়ি আর ডেলার আকর্ষণীয় দীর্ঘ চুল। বড়োদিন উপলক্ষে দুজনেই পরষ্পরকে চমকপ্রদ উপহার দেবে বলে মনে মনে ঠিক করে। নানা ঘটনার ভেতর দিয়ে দেখা গেলো জিম তার শখ ও গর্বের সোনার ঘড়িটি বেচে ডেলার জন্য দামী চিরুনী সেট কিনেছে আর ডেলা নিজের অতিকষ্টে জমানো সেই এক ডলার সাতাশি সেন্টের সাথে নিজের দীর্ঘ চুল সাত ডলারে বেচে জিমের সোনার ঘড়ির জন্য আট ডলার দামের প্লাটিনামের চেন কিনে এনেছে। দুটি উপহারই অর্থহীন হয়ে পড়েছে কিন্তু তাদের ভালোবাসাকে তুলে দিয়েছে স্বর্গীয় উচ্চতায়।



৯. দ্রুত শেষ করে ফেলুন: সব চেয়ে ভালো হয় এক বসায় গল্পটি লিখে শেষ করে ফেললে। কারণ দ্রুত শেষ করতে পারলে অখন্ড মনোযোগের মাধ্যমে ভালো একটি সৃজনকর্ম সম্পন্ন করা সহজতর হয়। সেটা সম্ভব না হলে প্রতিদিন অন্তত একপাতা করে লিখতে পারলে ভালো হয়। তাহলে গল্পের পুরো গাঁথুনীতে চিন্তার ঐক্য বজায় রাখা সম্ভব হয়। তবে সময় নিয়ে লিখলেও সমস্যা হয় না কারো কারো। বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ গল্পকারদের একজন এ বছরের নোবেল জয়ী ছোটগল্পকার এলিস মুনরো প্রচুর সময় নিয়ে লেখেন। তবে তিনি প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে লিখতে বসেন। আরেকটা ছোট বিষয় মনে রাখলে ভালো হয়, গল্প যে সব সময় আপনার পরিকল্পনা মতো এগুবেই তার কোন ঠিক নেই। অনেক সময় দেখবেন লিখতে লিখতে গল্পের গতিপথ আপনার ভাবনার বেড়ি ছিঁড়ে নিজের মতো পথ করে নিচ্ছে। তাতে ঘাবড়াবার কিছু নেই। দেখবেন গল্প আপনাকে আপনার ভাবনার বাইরের এক গল্পের দিকে নিয়ে গেছে। তাতে গল্পটা আরো আকর্ষণীয় হয়েও যেতে পারে।



১০. সমাপ্তি: গল্পের বিষয়ে আরম্ভের মতো শেষটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছোট পরিসরে শেষ করতে হয় বলে শেষটাও রাখতে হয় সংক্ষিপ্ত, কিন্তু ইঙ্গিতময়। কারণ শেষ হয়েও শেষ না হবার একটা তৃপ্তিময় অতৃপ্তির আভাস থাকতে হয়। কখনো নাটকীয়তায় শেষ হতে পারে। কখনো কখনো আকস্মিকতায় শেষ হতে পারে। যে আকস্মিকতার ধাক্কায় মন হতবিহব্বল হয়ে যায়। মোপাশার বিশ্ব বিখ্যাত গল্প ’নেকলেস’ একটা আকস্মিক অপ্রত্যাশিত তথ্য দিয়ে এমনভাবে শেষ করা হয়েছে তাতে পাঠক বিস্ময়ে বেদনায় হতবাক হয়ে যান। গল্পের নায়িকার জন্য সমবেদনায় নিজের অজান্তেই চোখ মুছতে আরম্ভ করেন। সুন্দরী মাতিলদে ভাগ্যদোষে গরীব কেরানীর বউ। এক সরকারী পার্টিতে যাবার সময় ধনী বান্ধবীর হীরার নেকলেস ধার নিয়েছিলেন। পার্টি থেকে ফেরার পথে নেকলেসটি হারিয়ে ফেলেছিলেন মাতিলদে। বাধ্য হয়ে নিজেদের সব সঞ্চয় আর পরিচিত অনেক জন থেকে ধার করে, চড়া সুদে টাকা নিয়ে ছত্রিশ হাজার ফ্রাঁ খরচ করে অনুরূপ হীরার নেকলেস কিনে বান্ধবীকে ফেরৎ দেন। তবে ঘটনাটা বান্ধবীর কাছে সঙ্গত কারণেই গোপন রাখেন। স্বামী-স্ত্রী অমানবিক পরিশ্রম করে দশ বছরে ধার শোধ করেন। ফলে অকালে বুড়িয়ে গিয়ে সুন্দরী মাতিলদে কুশ্রী রমনীতে পরিণত হন। পথে বান্ধবীর সাথে হঠাৎ দেখা হলে প্রথমে তিনি মাতিলদেকে চিনতেই পারেননি। পরিচয় দেবার পর চিনতে পারেন। মাতিলদের চেহারার করুন অবস্থা দেখে বান্ধবী ব্যথিত হন। কথায় কথায় নেকলেস কিনে দেবার কথা বলে ফেলেন মাতিলদে। তখন তাঁকে হতবাক করে বান্ধবী জানান তাঁর নেকলেসটি ছিলো নকল হীরার (ইমিটেশন), দাম মাত্র পাঁচ শ’ ফ্রাঁ ! নিজেদের অজ্ঞাতে এই নকল নেকলেসের বদলা দিতেই তাঁদের জীবনের সব স্বপ্ন সাধ ধূলিস্মাৎ হয়ে গেছে! কিংবা বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায় ওরফে বনফুলের ’নিমগাছ’ গল্পটির সমাপ্তির কথাই ধরুন। সারা গল্পে আছে বাড়ীর ময়লা ফেলার জায়গায় বড়ো হয়ে ওঠা এক নিমগাছের বেদনার কাহিনী। শুধু শেষ বাক্যটিতে বনফুল লিখেছেন,”ওদের বাড়ীর গৃহকর্ম-নিপুনা লক্ষ্মী বউটার ঠিক এই দশা।” এক বাক্যেই পুরো গল্পের মানে বদলে গেলো!



১১. সম্পাদনা ও পুন:লিখন : গল্প লেখা শেষ হবার পর আপনাকে বসতে হবে সম্পাদনার খুব ধারালো কাঁচি নিয়ে। প্রথমে শুরু করতে হবে বানান, বিভক্তির ব্যবহার, ক্রিয়াপদের ব্যবহার এসব ঠিকঠাক করার জন্য। বানান সমতার একটা বিষয়ও আছে। রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপির ভেতরের সম্পাদনার বহু চি‎‎হ্ন মিলে ছবির আকৃতি ধারন করেছে। পাশ্চাত্যের পেশাদার লেখকরা একই লেখা কমপক্ষে তিন বার লেখেন। প্রথম খসড়াকে তাঁরা অখাদ্য বিবেচনা করেন। এটা কাউকে দেখতে পর্যন্ত দেন না। প্রথম খসড়া বড়ো জোর গল্পটা সম্পর্কে ধারনা সৃষ্টির কাজেই ব্যবহার করা হয়। দ্বিতীয় খসড়াও তাঁরা ত্রুটি সংশোধনের জন্য সম্পাদনা করেন না। এটা ব্যবহার করা হয় কাঠামো বদল (যদি দরকার মনে করেন লেখক) প্লট বা গল্পের সব চরিত্রের ঘষামাজা বা মূল বক্তব্যের সঠিক উপস্থাপন কৌশল ঠিক করার জন্য। তৃতীয় খসড়ায় গিয়ে চূড়ান্ত ঘষা মাজা করে সম্পাদকের টেবিলে পাঠান (কেউ কেউ পাঁচ/সাতবারও লেখেন একই লেখা)।

পাশ্চাত্যের বড়ো প্রকাশকরা পেশাদার সম্পাদকদের মাধ্যমে সম্পাদনা ছাড়া কোন লেখা প্রকাশ করেন না। এটা সুপারহিট লেখক বা নোবেল পুরস্কার জয়ী লেখকদের জন্যও প্রযোজ্য। নোবেল জয়ীদের ক্ষেত্রে ঘষামাজার মাত্রা বাড়ে বই কমে না।



সৈয়দ শামসুল হক দুই থেকে পাঁচ বছর ধরে ভাবনা চিন্তা করে গল্প বা উপন্যাস লেখেন। অন্তত: দুটি খসড়া করেন গল্প বা উপন্যাসের। তাঁর যে পাঁচটি কাব্যনাটক আমরা পেয়েছি (পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নূরুলদীনের সারা জীবন ইত্যাদি) তার প্রতিটিই তৃতীয়বারের লেখা। একই কবিতা লেখেন দশ থেকে পনেরো বার। তার জন্য সময় নেন বছরের পর বছর। তাঁর যে কবিতা আপনি আজ পড়বেন কোন কাগজে সেটাই হয়তো খোঁজ নিলে জানা যাবে সৈয়দ হক প্রথমবার লিখেছিলেন আট বা দশ বছর আগে এবং প্রকাশিত পাঠটি হয়তো পনেরতমো বারে লেখা। পৃথিবীর সকল মহান লেখকের জীবনের ঘটনাগুলোই কমবেশি এরকম। ছোটগল্পের জন্য এ বছরের (২০১৩) নোবেল সাহিত্য পুরস্কার জয়ী কানাডীয় লেখিকা এলিস মুনরো এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি অনেক সময় নিয়ে খুব ধীরে লেখেন। প্রচুর কাটাকাটি (সম্পাদনা) করেন। সম্পাদনা লেখালেখির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই প্রথম পাঠ লেখার পরে সম্পাদনা ও পুন:লিখনের পর লেখাটি কয়েকদিন বা সপ্তাহ বা মাসের জন্য তুলে রাখবেন। এরপর যখন পড়তে বসবেন তখন লেখার সাথে আপনার একটা আবেগগত দূরত্ব তৈরী হবে। এ দূরত্বই আপনাকে বস্তুনিষ্ঠ পুন:লিখন বা সম্পাদনায় সাহায্য করবে। আপনি নিজে একজন পাঠক হিসাবে গল্পটিকে যদি পাস মার্ক দিতে পারেন তাহলেই ভাবতে পারেন গল্পটিকে পাঠকের কঠিন দরবারে পেশ করার সময় হয়েছে।



আরো কিছু কথকতা, সতর্কতা



যিনি লিখতে চান তাঁর জন্য গুনীজনের প্রথম নসিহত হচ্ছে, লেখালেখি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই লেখকদের স্বাস্থ্যসচেতন হতেই হবে। আরেক বিপদ আসে লেখার মুড নষ্ট হয়ে। লেখা যেন চলে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মহান ক্রিকেটার টেন্ডুলকার কিংবা বুমবুম আফ্রিদী বহুবার ফর্ম হারিয়েছেন, কিন্তু কিছুদিন পর ফিরে এসেছেন রাজসিকভাবে। মাঝের সময়টুকুতে তাঁরা নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন, নেটে অবিরাম ঘাম ঝরিয়েছেন, নিজের মনের সাথে অনেক বোঝাপড়া করেছেন। পৃথিবীর সকল মহান লেখকের জীবনেও এটা ঘটেছে। তাঁরা লেখার ফর্ম হারিয়েছেন। তাঁরা পরাজয় স্বীকার না করে ফিরে এসেছেন। মাঝের সময়টাতে তাঁরাও নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন, পড়ার মাত্রা বাড়িয়েছেন, বেড়াতে গেছেন, মনের সাথে বোঝাপড়ায় নেমেছেন। কেউ কেউ সাহিত্যের যে মাধ্যমে তিনি আগে হাত রাখেননি সে মাধ্যমে কসরৎ করেছেন, কেউ এ সময় অনুবাদে হাত দিয়েছেন। আপনারও লেখার সময় আসতে পারে সে অবস্থা। মনে হতে পারে কিছু হচ্ছে না গল্পের। হাত গুটিয়ে ফেললেন তো লেখক হিসেবে মরে গেলেন। তাই অবস্থা যাই হোক লেখার টেবিলে আপনাকে ঝুলে থাকতেই হবে। টেন্ডুলকার কিংবা আফ্রিদীর পুনর্জন্ম যেমন নেটের আরাধনায় তেমনি আপনারও লেখক পুনর্জন্ম লেখার টেবিলের বন্দনায়। কিন্তু ছোট্ট একটি কথা কানে কানে বলে রাখি, মনের সাথে আপনার এ গোপন যুদ্ধটি লেখকজীবনের সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধগুলোর একটি।



আপনি যখন লিখবেন তখন মনে রাখবেন লেখার সাথে দুটি কাল বা সময়কাঠামো জড়িত। একটি আপনি যে ঘটনা নিয়ে গল্প লিখছেন সে ঘটনা ঘটার কাল। আরেকটি আপনি যখন লিখছেন তার কালপর্ব। দুটি কিন্তু ভিন্ন। তাই সাধারণত গল্পে ব্যবহৃত হয় ক্রিয়াপদের সাধারণ অতীত কালরূপ। যেমন- ’তিথি ঘরে ঢুকলো। ঢুকেই দেখলো সাদীদ শাবাবের হাত থেকে বইটি কেড়ে নিলো।’ এর কারণ লেখক অতীতে কোন এক সময় ঘটে যাওয়া ঘটনাই বর্ণনা করেন। ইংরেজী সাহিত্যে এ কালরূপটিই ব্যবহৃত হচ্ছে প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত। বাংলা কথাসহিত্যে কিংবা মা দাদীর রূপকথার গল্পে ক্রিয়ার এ কালরূপটি প্রধাণত ব্যবহৃত হয়েছে। তবে বাংলা কথাসাহিত্যে সাধারণ অতীত কাল ছাড়াও নিত্যবৃত্ত বর্তমান (সে ঘরে এসে দাঁড়ায়। মিতা তার পাশে এসে বসে।), পুরাঘটিত বর্তমান ( সে বলেছে, সে করেছে।) ও পুরাঘটিত অতীত (সে বলেছিলো, সে করেছিলো।) কালরূপ একক বা মিশ্রিতভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এটা বাংলা ভাষার অনন্যসাধারণ শক্তি আর বাংলা কথাসাহিত্যিকদের অসাধারণ প্রতিভার পরিচায়ক। কিন্তু লেখকদের জন্য এটা বিপদেরও কারণ। ঠিক জায়গায় ঠিক কালরূপ ব্যবহার এবং বিভিন্ন কালরূপের যৌক্তিক ও শিল্পসম্মত ব্যবহার করার বিষয়ে লেখকের প্রতিভা আর তার সচেতনতা দরকার হবে। এর কোন ম্যানুয়াল নেই, ব্যাকরণ নেই, স্বয়ং লেখকই সেখানে পানিণি আর লিওনার্দো দা ভিঞ্চি।



লেখা শুরু করার জন্য কারো কারো মুড আসার দরকার হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রিয় কোন গান চালু করলে সে গানের আবেশে লেখার মুড চলে আসতে পারে। সোজা লিখতে শুরু না করে গল্পের প্লটটিকে কেন্দ্র করে ছাড়া ছাড়া কয়েকটি বাক্য লিখে শূন্যস্থান পূরণ করতে শুরু করতে পারেন। তাতে লেখার মুড চলে আসতে পারে। এই চেষ্টা বার বার করার দরকার হবে না। কদাচিৎ হতে পারে। তবে এর জন্য মনের ওপর কোন জোর খাটাবার দরকার নেই। কিছু সময়ের জন্য (সেটা কয়েক ঘন্টাও হতে পারে) লেখার টেবিল থেকে দূরে থাকলেই মন তৈরি হয়ে যায়। আরেকটা সতর্কবার্তা এখানে প্রাসঙ্গিক, লেখা থেকে অবচেতন মন যেন অনেক সময়ের জন্য আপনাকে দূরে সরিয়ে না নেয়। মন যখন ফাঁকি দিতে চায় তখন এসব অজুহাত আপনাকে পেয়ে বসতে পারে।



লেখার জন্য মাঝে মাঝে গবেষণার দরকার হয়। আপনি যদি ১৯৫০ সাল বা ১৯৭১ সালের প্রেক্ষাপটে কোনো গল্প লিখতে চান তাহলে ১৯৫০ বা ১৯৭১ সালের পারিবারিক আবহ, পোষাক, স্টাইল, চুলের ফ্যাশন, কথা বলার ঢং, তখনকার পরিপ্রেক্ষিত সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তা না হলে ভুল তথ্য বা বিষয় গল্পে ঢুকে যাবে। সচেতন পাঠক কিন্তু ভুলটা ধরে ফেলতে পারবেন। তখন পাঠকের শ্রদ্ধা হারাবেন আপনি। এটা লেখকের জন্য খুব বিপজ্জনক।



আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ’খোয়াবনামা’ উপন্যাসটি বগুড়ার যে এলাকার পটভূমিতে লিখেছেন সে কাতলাহার বিল এলাকায় বছরের পর বছর ঘুরেছেন, বহু লোকের সাথে কথা বলেছেন, গহীন সে এলাকার দোকানে কেনাকাটার সময় মানুষ আর দোকানী কিভাবে কথা বলেন সেটা বোঝার জন্য দোকানের সামনে বসে থেকেছেন, সে এলাকা নিয়ে পড়েছেন বেশুমার (শোনা যায় শত শত খোয়াবনামা কিনেছেন হাটবাজার থেকে), নোট নিয়েছেন বিস্তর, বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষার শুদ্ধতা বজায় রাখার জন্য বারবার বগুড়া গিয়ে স্থানীয় লোকদেরকে দেখিয়ে এনেছেন উপন্যাসের সংলাপ। ইলিয়াসতো মহান লেখক। হ্যারল্ড রবিন্সের মতো বাজার চলতি লেখক বা আর্থার কোনান ডয়েল কিংবা আগাথা ক্রিস্টির মতো থ্রিলার লেখকও ঘটনা বা বিষয়ের সঠিকতা বজায় রাখার জন্য সংশিষ্ট বিষয়ের পেশাদার লোকের পরামর্শ নিয়েছেন।



সচেতনভাবে আপনার নিজস্ব স্টাইল গড়ে নিন। আপনার স্টাইল দিয়ে লোকে আপনাকে চিনবে। রবীন্দ্রনাথ বা টলস্টয় বা মোপাশাকে চিনতে পারবেন তাঁদের নিজস্ব স্টাইল দিয়ে। আমাদের কারো কারো কাছে যেভাবেই মূল্যায়িত হন না কেন হূমায়ুন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন বা সুনীল বা শীর্ষেন্দু, যাঁর কথাই বলুন তাঁরই নিজস্ব একটা স্টাইল কিন্তু আছে। পাঠক সহজেই তা সনাক্ত করতে পারেন। তাই নিয়ম যখন ভাঙতে যাবেন তখনো নিজের নিয়মেই সেটা ভাঙতে ভুলবেন না।



লেখার সময় সতর্কতার সাথে গল্পের চরিত্র, আবহ, পটভূমি, কালপর্ব, গল্পের ধরন ( সামাজিক গল্প না গোয়েন্দা গল্প) ইত্যাদি মনে রেখে লিখবেন। আবারো মনে করাতে চাই, ছোটগল্প কঠিনতম শিল্প মাধ্যমগুলোর একটি। কারণ এখানে বিন্দুতে সিন্ধুকে ফুটিয়ে তুলতে হয়। সাধারণকে করে তুলতে হয় অসাধারণ। লেখার সময় তথ্য, বানান, ব্যাকরণের নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে নির্ভুল থাকার স্বার্থে অভিধানসহ দরকারী বই কাছে রাখার বিষয়ে অলসতা করলে পাঠকের কাছে লজ্জিত ও বর্জিত হবার সম্ভাবনা থাকবে। আকবরের বাবার নাম শেরশাহ লিখলে বা গাঁদা ফুলকে শরতে ফোটালে কিংবা কোকিলকে শ্রাবণে ডাকালে বা অন্য কোন ভুল থাকলে পাঠক আপনাকে অবজ্ঞা করবেন। কখনো ভুলবেন না, সাধারণের পাশাপাশি অনেক অসাধারণ পাঠক থাকেন। বই কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিরিয়াস এবং নিয়মিত পাঠকরাই পড়েন।



আইডিয়ার কোন কপিরাইট নেই। কিন্তু আইডিয়া কিভাবে প্রকাশ করা হয়েছে সেটা কপিরাইটে পড়ে। অনেকবার অনেক লেখক কর্তৃক ব্যবহৃত আইডিয়া আপনি কিভাবে বলছেন, কোন প্রেক্ষাপটে কোন বক্তব্য তুলে ধরার জন্য আপনি বলছেন সেটাই আপনার নিজস্বতার চি‎হ্ন হয়ে থাকবে।



লেখা চালিয়ে যেতে হবে। অলসতাকে প্রশ্রয় দিলে লেখার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলবেন। অতএব সাবধান। একটু ভিন্নধর্মী গল্প লিখে ফেললে লেখকের মনে অহমিকা চলে আসতে পারে। সেটাও সমান বিপজ্জনক। কারণ অহমিকার জন্য লোকের সাথে গোলমাল বেঁধে যেতে পারে। কারণ এ ভিন্নধর্মিতা আপনার কাছে অনন্য লাগলেও আরেকজনের কাছে তা নাও মনে হতে পারে। সৈয়দ শামসুল হক আমাদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, পাঁচ হাজার বছর ধরে মানুষ রীতিবদ্ধভাবে গল্প রচনা করে আসছেন। কোটি কোটি গল্প লেখা হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ নতুন গল্প নির্মান করা এখন অসম্ভব। তার সকল সম্ভাবনা নির্মমভাবে নি:শেষিত। লেখক শুধু কোন বিষয়ে নিজস্ব পর্যবেক্ষণই তুলে ধরেন মাত্র।



এতো কাহিনী করে যে গল্পটি লিখলেন সেটিকে পাঠকের কাছে নেবার জন্য দরকার প্রকাশনা। সেটা হতে পারে সাহিত্য সাময়িকী বা দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যের পাতা অথবা বই। গোলমাল লাগে সেখানে। আপনার গল্পটি সাহিত্য সম্পাদক কিংবা প্রকাশকের নির্মম অবহেলার শিকার হতে পারে। হতে পারে সম্পাদক বা প্রকাশক ভুলভাবে মূল্যায়ণ করেছেন আপনার অমর গল্পটিকে। আবার হতে পারে তাঁরা ঠিকভাবেই ধরেছেন গল্পটি আসলে মানের মাপকাঠিতে ফেল মেরে গেছে যা আপনার চোখে পড়ছে না। কারণ সব মায়ের কাছেই তার সন্তান সোনার চাঁদ। লেখা প্রকাশে নির্মম অবহেলা চিরকালই সাহিত্য চর্চারই অংশ। এটা লেখক বা শিল্পী হয়ে উঠতে প্রেরণার উৎস হতে পারে। প্রত্যাখ্যানের জন্য কখনো হাল ছাড়বেন না। হাল ছাড়লে কি হতে পারতো তার দুএকটি উদাহরণ পেশ করছি।



উইলিয়াম গোল্ডিং তাঁর ’লর্ড অব দা ফ্লাইজ’ উপন্যাসটি প্রকাশের জন্য প্রায় দুই ডজন প্রকাশকের কাছে নির্মমভাবে তাড়া খেয়ে ফিরে এসে পাণ্ডুলিপি পুড়ে ফেলার জন্য আগুনের ইন্তেজাম করে তা সেখানে ফেলেছিলেন। তাঁর স্ত্রীর ত্বরিৎ হস্তক্ষেপে পাণ্ডুলিপিটি বেঁচে যায়। পরে বইটি প্রকাশিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে বইটির জন্য গোল্ডিং নোবেল পুরস্কার পান।



এডগার রাইস বারোজ তাঁর উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। নামমাত্র সম্মানীতেও কেউ জঙ্গলের সে আজিব কাহিনী ছাপতে রাজী হননি। বারোজ হতাশ হলে সারা দুনিয়া কাঁপানো ’টারজানে’র কি গতি হতো ভাবতে পারেন ?



আগুনে মুখের একটা অংশ পুড়ে গেছে, চেহারায় নেই আহামরি কিছু। এমন একজন যদি একটি চিত্রনাট্য লিখে তাতে নায়ক হবার বায়না ধরে পরিচালকের কাছে যান তাহলে যে জবাব মেলা স্বাভাবিক, সে জবাবই তিনি পেয়েছেন অনেক পরিচালকের কাছে। তাঁরা শুধু প্রত্যাখ্যানই করেননি। তাঁকে কোন একটা কাজে মন দিয়ে জীবনধারণের পরামর্শও দিয়েছেন। সেই নায়ক হবার স্বপ্নবান হাল ছেড়ে দিলে আমরা কি ’র‌্যাম্বো’র মতো দুনিয়া কাঁপানো মুভি পেতাম ? ঠিকই ধরেছেন, সেই মুখপোড়া নায়ক প্রবরের নাম সিলভিস্টার স্ট্যালোন এবং তিনিই র‌্যাম্বোর কাহিনীকার কাম চিত্রনাট্যকার। তাই সুমনের গানের কলিতেই বলি, হাল ছেড়ো না বন্ধু। কারণ আপনি কি নিশ্চিত জানেন যে, আপনি আগামী দিনের গোল্ডিং বা বারোজ কিংবা স্ট্যালোন নন ?



শেষ হয়ে হইল না শেষ



গুনীজনেরা বলেন, লেখক হবার গোপন রহস্য তিনটি। এ তিন রহস্য যিনি জানবেন তিনি হয়ে উঠবেন মহান গল্পকার। রহস্য তিনটি হচ্ছে-

১।

অনুশীলন।

২।

অনুশীলন। এবং

৩।

অনুশীলন।




লিখতে লিখতেই লেখা শিখতে হয়। এর কোন বিকল্প নেই।



লেখা শিখবেন কোন স্কুলে ? এর জবাবে গুনীরা বলেন, আপনার আগে যারা লিখে গেছেন তাঁদের স্কুলে। অর্থাৎ তাঁদের লেখা গল্পই আপনার ক্লাসরুম।



কৃতজ্ঞতা স্বীকার



১।

উইকিপিডিয়া।

২।

মার্জিনে মন্তব্য গল্পের কলকব্জা-- সৈয়দ শামসুল হক

৩।

এনসাইকোপিডিয়া ব্রিটানিকা

৪।

বাংলাদেশের ছোটগল্প:উত্তরাধিকারের প্রেতি: আহমাদ মোস্তফা কামাল

৫।

How to Write a Short Story- Etd.by Acebrock, Ben Rubenstein & Others

মন্তব্য ২১২ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (২১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ফেবুতে পড়েছিলাম মনে হয় । পোস্ট প্রিয়তে ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ফেসবুকে সাহিত্য আড্ডার গ্রুপ পেজে পড়েছেন। প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: সাহিত্যের এক অনন্য দিক হচ্ছে ছোট গল্প, আর এর অনেক কিছুই আমাদের অজানা, আপনার পোস্টটা আমাদের জানার শুন্য অংশগুলো পূরন করে দিবে। অনেক ধন্যবাদ। পোস্টটি স্টিকি করার অনুরোধ করছি।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম। ভালো থাকবেন সব সময়।

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকারএকটি। পোস্ট । প্রিয়তে নিলাম । পড়াল সুবিধার্থে । আজকের আড্ডাতে থাকতে পারলে ভাল হতো। অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারতাম । :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আড্ডায় আপনাকে মিস করেছি। পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। প্রিয়তো নিলাম, সময় করে পড়ার জন্য।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

দূর্দান্ত পোস্ট।
যারা সাহিত্য চর্চ্চার নিমিত্তে ব্লগে থাকে, কিন্তু সাহিত্য সমঝদার তাদের জন্য অতি অবশ্যই পোস্ট।

ব্লগের এত এত সৃজনশীল সাহিত্য মনোযোগী ব্লগারদের কথা চিন্তা করে এরকম একটি পোস্ট স্টিকি করা যেতেই পারে। মড়ুগন কি গল্প-কবিতায় বুদ হয়ে থাকা ব্লগারদের কথা ও ভাববেন?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
পোস্ট প্রিয় তে নিয়ে নিলাম।
ধন্যবাদ ভাই, এই অসাধারণ এবং পরিশ্রমী পোস্টের জন্য।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

সায়েম মুন বলেছেন: অসাধারণ পরিশ্রমী একটা পোস্ট। প্রিয়তে রাখলাম।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১

এম মশিউর বলেছেন: আড্ডায় যেতে পারি নি; তবে অসাধারণ পোস্ট।

অবশ্যই প্রিয়তে.।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন একটা পোষ্ট! আমাদের ব্লগে এখন অনেক ছোট গল্পকার আছেন, যারা অনেক পেশাদার লেখকের পাশাপাশি শৌখিনভাবেও লিখছেন। আমি মনে করি, ভালো লেখার জন্য ভালো পড়ার কোন বিকল্প নেই। তাই আমাদের প্রচুর পড়তে হব। আর এত চমৎকার একটি প্রবন্ধ দিয়ে সেই পড়ার যাত্রা শুরু করলে তা দারুন হবে।

পোষ্টটি স্টিকি করা হোক। যারা গল্প লিখতে চান, তাদের অনেক কাজে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সামু ব্লগে গল্পের জায়গাটা দারুন শক্তিশালী। অনেক গুলো ভালো গল্প আছে সামুর ভান্ডারে। এ ধারা অব্যহত থাকবে আশা করি। পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এই লিখাটাকি এর আগে একবার দিয়েছিলেন ??
আমি প্রিয়তে নিয়ে রেখেছিলাম !
আজকের আড্ডায় একেবারেই অনাকঙ্খিত ভাবে আসতে পারিনি , মিস করেছি !

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আজকের আড্ডার বিষয় ছিলো ছোটগল্প। আপনাদের মিস করেছি।

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১১

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: আগে পড়েছিলাম এবং মন্তব্য করেছিলাম, যতদূর মনে পড়ে।

শুভেচ্ছা সতত।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা। আড্ডার আলোচ্য ছিলো ছোটগল্প।

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল লাগল

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৬

জানা বলেছেন:

চমৎকার একটি পোস্ট। এত সুন্দর গোছানো একটি লেখায় কেবল অনেক শেখার আছে, জানার আছে তাই নয়, বরং একটি সুখপাঠ্য লেখা হিসেবেও সবার নজরে রাখা দরকার।

আমাদের এই চলমান চুড়ান্ত অস্থিরতার দিনগুলোতে সবারই মন বিষিয়ে রয়েছে। একটি সুস্থ ও নিরাপদ জীবন যাপনের নিশ্চয়তাই সবার আকাংখার মূল এখন। এই সময়ে লেখাটি খানিকটা ভিন্ন রকম ভাল লাগা দিতে পারে।


অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় এ. টি. এম. মোস্তফা কামাল।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার সুন্দর পর্যবেক্ষন আর ভাবনার জন্য অনেক ধন্যবাদ,আপু। লেখা স্টিকি করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃজনশীল লেখালেখির কোর্স করানো হয়। বাংলা একাডেমি এক সময় তরুণ লেখক প্রকল্পের আওতায় তরুণ লেখকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। টোকন ঠাকুর,মুজিব ইরম,শোয়াইব জিবরান, শান্তা মারিয়া, আলফ্রেড খোকন প্রমুখ সে প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এখন সে পালা উঠে গেছে। লেখালেখি সৃজনশীল কাজ হলেও প্রযুক্তির বিকাশ আর লেখালেখির বিশাল ইতিহাস না জেনে লেখালেখিতে সফল হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। রবীন্দ্রনাথ যে প্রেক্ষাপটে লিখেছেন আমরা আজ সে প্রেক্ষাপটে নেই। এ ভিন্ন সময়ের দাবীর কারণেই লেখার কলাকৌশল শেয়ার করা দরকার হয়ে পড়েছে। এসব ভেবেই এ লেখা। যদি কারো কাজে লেগে যায় তাহলে ভালো লাগবে।(কানে কানে বলে রাখি, এটি আমার নিজের জন্যও লেখা। কারণ আমি কিছু গল্প লিখেছি। ভালো গল্প লেখা শিখতে চাই বলেই গল্পের ভিতর বাহির জানার চেষ্টা করেছি।)
শুভেচ্ছা।

১৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পোষ্টটি প্রিয়তে নিলাম।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক। আপনার নাম যেহেতু পাঠক তাই এক ফাঁকে পড়ে আপনার মতামত জানাবেন আশা করি।

১৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১১

নিশি মানব বলেছেন: অসাধারণ দূর্দান্ত পোস্ট একটা!
স্টিকি হয়েছে দেখে ভাল লাগলো। সাধারণত এসকল পোষ্টটি মডুদের নজর এড়ায় যায়। ফলে আমরা ভাল কিছু পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ি। এবার কিন্তু তা হয়নি।

পোস্টটির উদ্দেশ্য ছোট গল্পকে নিয়ে হলেও বড় গল্প এবং কবিতার ব্যাপারে অনেক দিক নিরদেশনা দেওয়া আছে এখানে। সত্যি জানার অনেক শুন্য স্থান পুরনো হয়েছে আপনার এ পোস্টটি পড়ে। বাকি যে কয়েকটা দুর্বলতা আছে তা আপনার কয়কটি পোস্ট পড়লে কেটে যাবে। আশা করি নিরাশ করবেন
না।

ফেসবুকে সাহিত্য আড্ডার গ্রুপ পেজের লিংকটা দিবেনকি!
আমারও ফেসবুকের আইডির নাম নিশি মানব।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম। আপনি উপকৃত হলে পরিশ্রম সার্থক মনে হবে। আ্ড্ডার লিঙ্ক-
https://www.facebook.com/groups/sahitto.adda/

১৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন! পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আশা করি, অনেকেই এই পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হবেন।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ,ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

১৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল পোষ্ট। পড়ে লাভবান হওয়া যাবে। লেখককে ধন্যবাদ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: কষ্ট করে পড়ে মতামত দেবার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬

মামুনূর রহমান বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট। অনেক উপকৃত হলাম।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনি উপকৃত হয়েছেন জেনে ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন।

১৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০০

কয়েস সামী বলেছেন: চমত্কার! এক লেখায় ছোটগল্পের সবকিছু তুলে এনেছেন।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার ভালো লাগায় আমারো ভালো লাগছে। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

আকিব আরিয়ান বলেছেন: বহু তথ্য সম্বলিত পোস্ট। প্রিয়তে রাখলাম

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ছোট গল্প বিষয়ে পড়া আমার এইটা সেরা লেখা, আগেও কয়েকবার পড়েছিলাম ফেসবুকে! সকাল বেলাতেই যেটা ভালো লাগলো যে সামু এই পোস্ট স্টিকি করেছে, সৃজনশীলতা সংক্রান্ত পোস্ট আমি আগে তেমন একটা স্টিকি হইতে দেখি নাই!

শুভকামনা রইলো কামাল ভাই, মাঝে মাঝে এরকম আরও পোস্ট চাই!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার মতামত জেনে ভালো লাগলো। এটা স্টিকি করার কারণ জানা আপুর কমেন্টে উল্লেখ করা আছে।
এবারের আড্ডায় আপনাকে মিস করেছি।

২২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

শায়মা বলেছেন: আমি তো আগেই প্রিয়তে নিয়েছিলাম ভাইয়া।

এমন উপকারী পোস্ট আসলেই সবার জানা উচিৎ, পড়া উচিৎ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ, আপু।

২৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার সুন্দর পর্যবেক্ষন আর ভাবনার জন্য অনেক ধন্যবাদ,আপু। লেখা স্টিকি করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃজনশীল লেখালেখির কোর্স করানো হয়। বাংলা একাডেমি এক সময় তরুণ লেখক প্রকল্পের আওতায় তরুণ লেখকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। টোকন ঠাকুর,মুজিব ইরম,শোয়াইব জিবরান, শান্তা মারিয়া, আলফ্রেড খোকন প্রমুখ সে প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এখন সে পালা উঠে গেছে। লেখালেখি সৃজনশীল কাজ হলেও প্রযুক্তির বিকাশ আর লেখালেখির বিশাল ইতিহাস না জেনে লেখালেখিতে সফল হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। রবীন্দ্রনাথ যে প্রেক্ষাপটে লিখেছেন আমরা আজ সে প্রেক্ষাপটে নেই। এ ভিন্ন সময়ের দাবীর কারণেই লেখার কলাকৌশল শেয়ার করা দরকার হয়ে পড়েছে। এসব ভেবেই এ লেখা। যদি কারো কাজে লেগে যায় তাহলে ভালো লাগবে।(কানে কানে বলে রাখি, এটি আমার নিজের জন্যও লেখা। কারণ আমি কিছু গল্প লিখেছি। ভালো গল্প লেখা শিখতে চাই বলেই গল্পের ভিতর বাহির জানার চেষ্টা করেছি।)
শুভেচ্ছা।


জানা আপুর কমেন্টের উত্তরটা পড়ে মনে হলো, আসলে লেখা শুধু অন্যের জন্যই না নিজের জন্যও বটে। আমি এমন অনেক কিছু আছে শুধু যার নাম জানতাম হয়তো তা নিজে জানতে গিয়ে দেখা যায় কত অজানার! মনে হয় অন্যদের সাথেও তা শেয়ার করি।

আসলেই লেখা লিখির চর্চা অন্যকে যত না জানায় তার চাইতে নিজের শেখাটাও কম না। ভাইয়া অনেক অনেক ভালো থেকো।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপুনি,আপনি যে ভীষণ ভালো পাঠক তার প্রমান এ মন্তব্য। কেমন করে লেখা পড়া উচিৎ সেটা আবার শিখলাম আপনার কাছে। ধন্যবাদ।

২৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

জুন বলেছেন: কামাল অসাধারন একটি পোষ্ট সাত সকালে সামুতে লগ হয়েই চোখে পড়লো।
আমার প্রিয় অনেক দেশী বিদেশী বাংলা ও অন্য ভাষার ছোট গল্প লেখকদের যেন এক আকাশ ভরা তারার মেলা । এদের লেখা অজস্র গল্প উপন্যাস আমি পড়েছি।আপনি সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন বিশেষ করে ছোট গল্প লেখার বিষয়টি।
শুভকামনা অনেক + প্রিয়তে

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। তারাদের কথা বলার উদ্দেশ্য নিজেকে মনে করিয়ে দেওয়া, আমি যে গল্প লিখতে বসেছি সেই গল্পের ভূবনের মহান স্রষ্টা কারা, কি সব অসাধারণ লেখা তাঁরা উপহার দিয়েছেন। আমাকে সেই কথা মনে রেখে কলম হাতে নিতে হবে। এটা নিজেকে ভয় পাওয়ানোর জন্য নয়, সতর্ক করার জন্য। ভালো থাকবেন।

২৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১১

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: এরকম একটি পোস্ট স্টিকি দেখে ভালো লাগল। সরাসরি প্রিয়তে ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ।

২৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
ভাল পোস্ট, অনেকরই কাজে লাগবে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ। কারো কাজে লাগলে ভালো লাগবে।

২৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার এও পোস্ট স্টিকি হতে দেখে খুব ভালো লাগছে ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:




পোষ্টটি আগেই পড়েছিলাম মোস্তফা ভাই। চমৎকার পোস্ট। প্রিয়তো নিলাম

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ ভাল পোস্ট
ধন্যবাদ পাঠকের হৃদয়ে
ভাল থাকুন
লিখে যান নির্ভয়ে

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার মন্তব্যে উৎসাহ পেলাম। অনেক ধন্যবাদ।

৩০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: নবীন ছোট গল্প লিখিয়েদের জন্য আদর্শ একটা পোষ্ট। প্রচুর খাটাখাটনি করে লিখা পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ এবং শ্রদ্ধা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: দীর্ঘ লেখাটি পড়ে মতামত দেবার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

জেরিফ বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করার জন্য ধন্যবাদ ।



অনেক অনেক ধন্যবাদ তথ্যবহুল পোস্ট এর জন্য । ভালো থাকবেন ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্টের জন্য , আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য এবং উৎসাহ দিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: এই পোস্টটি স্টিকি হতে দেখে অনেক অনেক ভাল লাগল। সৃজনশীল সাহিত্য নিয়ে লেখা কিংবা সৃজনশীল সাহিত্যও যে স্টিকি হওয়া উচিত তা যেন সামু কর্তৃপক্ষ জানতেনই না। আশা করি এর মাধ্যমে তাদের অজ্ঞতার অন্ধকার দূর হল।

অসাধারণ একটি পোস্ট। এই পোস্টটি চলতে থাকুক ধারাবাহিকভাবে। এর পরবর্তী সিরিজগুলো নিয়মিত পেতে চাই। এতে আমাদের নবীন লেখকদের প্রভূত লাভ হবে নিঃসন্দেহে।

ভাল থাকবেন কামাল ভাই। নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনার প্রতি।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার জন্যও শুভেচ্ছা। আরো লেখার বিষয়টি ভাবনায় থাকলো।

৩৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

নীল ভোমরা বলেছেন:
এত ব্যাকারণ না বুঝেই ছোটগল্প লেখার প্রয়াস পাই.... সময় পেলে টুক-টাক লেখার চেষ্টা করি। এবার জানলাম অনেক কিছু! পোস্ট প্রিয়তে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সমস্যা নাই নীল ভোমরা।আমিও এসব না জেনে শুরু করেছি। তারপর একে একে পড়ার চেষ্টা করেছি। রবীন্দ্রনাথতো এক দিনে রবীন্দ্রনাথ হননি। ভাবনার কিছু নেই চালিয়ে যান।

৩৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
এরকম পোস্ট স্টিকি দেখাটা আনন্দের।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Thanks Bhaia.

৩৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পোস্টটি স্টিকি হতে দেখে অনেক অনেক ভাল লাগল। ভাল লাগা রইল।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নিরুদ্দেশ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

বোকামন বলেছেন:

বাহ্ ! সুন্দর পোস্ট করেছেন তো !
চমৎকার উপস্থাপনায় বেশ উপভোগ করলাম আপনার পর্যবেক্ষণ !

মন্তব্যগুলো পড়ছিলাম । [১৩] মন্তব্যের উত্তরে আপনি বলছেন -

লেখালেখি সৃজনশীল কাজ হলেও প্রযুক্তির বিকাশ আর লেখালেখির বিশাল ইতিহাস না জেনে লেখালেখিতে সফল হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। রবীন্দ্রনাথ যে প্রেক্ষাপটে লিখেছেন আমরা আজ সে প্রেক্ষাপটে নেই। এ ভিন্ন সময়ের দাবীর কারণেই লেখার কলাকৌশল শেয়ার করা দরকার হয়ে পড়েছে। এসব ভেবেই এ লেখা।

যথার্থই বলেছেন । গুরুত্বপূর্ণ নোট !
একটা প্লাস থাকলো ।

ভালো থাকুন লেখক , শুভকামনা ।
+

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পাঠক হিসাবে আপনি খুব ভালো। তার প্রমান পেলাম আপনার মন্তব্যে। এরকম পাঠক যার লেখা পড়ে সে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতে বাধ্য।

৩৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: একটা ছোট গল্প লিখেন, পড়ে দেখি!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভয় পাইলাম। ভয়ে ভয়ে একটা গল্পের লিঙ্ক দিলাম-
Click This Link

৪০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: "কখনো কখনো আকাল পড়তে পারে আইডিয়ার। তখন বন্ধু বা ঘরের কেউ এগিয়ে আসতে পারেন।"

-হাহাহা, দারুণ বলেছেন।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: প্রথম বলছি, লেখাটি মন ভরে পড়লাম। তারপরও হইলো না শেষ! তাই প্রিয়’তে রেখে দিলাম। লেখাটি শুধুই গল্পকার নয়, যে কোন লেখকের জন্য অত্যাবশ্যক সহায়িকা।

দ্বিতীয়, এমন একটি লেখা অবশ্যই স্টিকি করা উচিত। কিন্তু সামুতে এরকম একটি লেখা ‘দৃষ্টি আকর্ষণে’ নেওয়ায় আমি বিস্মিত এবং খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ সামু!

সাহিত্য রচনা সম্পর্কিত এ লেখাটিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্লগ কর্তৃপক্ষ অসাধারণ রুচির পরিচয় দিয়েছেন। মাসে অন্তত একটি গল্প, একটি কবিতা কি স্টিকি করার মতো হয় না? আশা করছি বিষয়টি বিবেচিত হবে।

একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য এরকম একটি লেখার দরকার ছিলো। এবং সে রাস্তাটি আপনি বাতলে দিয়েছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন, শ্রদ্ধেয় এটিএম মোস্তফা কামাল :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
ও হ্যাঁ, বোল্ড করা অংশের সাথে লক্ষ বার একমত।

৪২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১২

না পারভীন বলেছেন: এরকম একটি লেখা স্টিকি করার জন্য সামুকে ধন্যবাদ জানাই , এমন লেখা মনে মনে খুজছিলাম .অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারো ভালো লাগছে।

৪৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২

সুবিদ্ বলেছেন: এতো সব দুর্দান্ত লেখকের মন পাগল করা গল্পের পর আরো গল্প কি প্রয়োজন আছে ? এটা হতে পারে লাখ টাকার প্রশ্ন।

আমার মতে আরো অনেক গল্প লেখার বাকী রয়ে গেছে--- সহমত

চমৎকার পোষ্ট, ধন্যবাদ...

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: দারুন পাঠক আপনি। আবার প্রমান দিলেন। সালাম।

৪৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

মোঃ রেজাউর রহমান বলেছেন: দারুণ একটা লেখা যা নতুন লেখকদের অনেক উপকার হবে আর যারা পুরাতন তারা প্রাণ দিতে পারবে লেখাতে ।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: লেখালেখির ব্যাপারে যত কথাই বলা হোক না কেন, তা সব সময়ই অপর্যাপ্ত মনে হবে। আসল কথা হচ্ছে এটাই যে-

মনে হতে পারে কিছু হচ্ছে না গল্পের। হাত গুটিয়ে ফেললেন তো লেখক হিসেবে মরে গেলেন। তাই অবস্থা যাই হোক লেখার টেবিলে আপনাকে ঝুলে থাকতেই হবে।

-লেখালেখিতে একবার ঢুকে পড়লে ছেড়ে যাওয়া চলবে না। যদি লেখক হবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছেও থাকে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: দারুন বলেছেন ভাইয়া।

৪৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

ভষ্ম মানব বলেছেন: এক নি:স্বাসে পড়ে শেষ করলাম। দারুন কাজের পোস্ট। লেখক হতে মন চায়।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: লেখক হয়ে যান,প্লিজ।

৪৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

সুমাইয়া বরকতউল্লাহ বলেছেন: লেখাটি পড়ে আমি অনেক লাভবান হয়েছি। অনেক দরকারি লেখা এটি।
লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানাই।
প্রিয়তে রাখলাম।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার কাজে লেগেছে জেনে ভালো লাগছে।

৪৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৪

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট । প্রিয়তে নিলাম।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ।

৪৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সংজ্ঞার বিষয়ে বলি । যাবতীয় সংজ্ঞা বিষয়টুকুটা খানিকটা স্পষ্টবোধ
করার জন্য । সাহিত্যের অন্যান্য মাধ্যমের মতই এর কোন চূড়ান্ত
ও পরিপূর্ণ সংজ্ঞা হয় ও না , হবেও না , উচিত ও না । কেউ তার ধারণা
ব্যক্ত করতে পারেন মাত্র , কিন্তু তা সবার উপর চাপিয়ে দেয়া , বা সেটার
উপর ভিত্তি করে ভাল কিছুকে অস্বীকার করা বোকামি ও মাস্তানি ।
মনে রাখা উচিত , যাবতীয় সেরা ও মহৎ লিখা সৃষ্টি হয়েছে , সমকাল
বা পূর্বাপর কে সম্মান জানিয়ে অস্বীকার করার মাধ্যমেই । প্রতিভাবান
লিখক মাত্রই তার মত করে সংজ্ঞা নির্ধারণ করেন এবং তার মত দ্বারা
আরো অনেক কে প্রভাবিত করেন । এক্ষেত্রে চঞ্চল আশরাফের কথা বলি -'' সাহিত্যের যে গতিশীলতা, ছোটগল্পের সে গতিশীলতা সেটার একটা নিজস্ব ধর্ম আছে। সেটা এক জায়গায় স্থির থাকে না, কালে কালে দিক বদলায় এবং এই বদলানো থেকেই বৈচিত্রের সৃষ্টি হয় এবং সেই বৈচিত্রই সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে।''
আর প্রত্যেক স্বতন্ত্র , ব্যতিক্রমী , শক্তিশালী আঙ্গিক -ভাষা - প্রকরণ ,
বিদ্যমান সংজ্ঞাসুত্রকে পরিবর্তিত করতে বাধ্য ।

সৃজনশীল লিখক মাত্রই তার সংজ্ঞা নিজের মত করে বানিয়ে নেন ।

রবীন্দ্রনাথ এর সংজ্ঞা মানতে গিয়ে গল্পকার সুমন রহমান এর হালত দেখে
নেই :)
'' ছোটগল্প নিয়ে রবীন্দ্রনাথের যে কাব্যিক সংজ্ঞা আছে, ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’, ‘ছোট প্রাণ ছোট কথা’—আমরা সাধারণত এই সংজ্ঞাটাকে ধ্রুব জ্ঞান করেই ছোটগল্প লিখে থাকি। তো আমি আসলে এই সংজ্ঞার বাইরে অবস্থান করছি বলে আমার ধারণা। এটা যে আমি ইচ্ছা করে যাচ্ছি, তা না। আসলে গল্প লিখতে গিয়ে আমি দেখলাম যে আমি আর এই সংজ্ঞার ভেতরে থাকতে পারছি না। তখন আমি আমার গল্প নিয়ে নিজেই ভাবতে শুরু করলাম—যে, আমি কেন ওভাবে গল্প লিখছি। আমি দেখেছি আমার গল্পে আসলে ভিন্ন ভিন্ন দুটা ন্যারেটিভ থাকে। একটা ন্যারেটিভ থাকে–যেটা প্রকাশ্যে গল্পটা বলে, আর আরেকটা ন্যারেটিভ থাকে ওটার আন্ডারনিথ। দুইটা ন্যারেটিভকে আমি প্যারালাল রান করাই বা করতে দেখতে পছন্দ করি এবং দুটা ন্যারেটিভের একটা দ্বন্দ্ব আমার টোটাল গল্পের মধ্যে থাকে। দুটা ন্যারেটিভ কখনো তারা একই কথা বলে আবার কখনো দু’টা ভিন্ন কথা বলে। এরকম একটা বিষয় আমার গল্পের মধ্যে থাকে যেটা আমি আসলে আমার পড়া অন্য কোনো গল্পের মাঝে পাই নি। সেটা শুধু রবীন্দ্রনাথ নন, তার পরবর্তী বাংলা ছোটগল্পেও এমনকি বাইরের যেসব গল্প আমি পড়েছি সেগুলার মাঝেও আমি খুব রেয়ারলি এরকম ধারা দেখেছি। তো এটা যে আমি খুব কনশাসলি করেছি তা আসলে নয় । ''

আবদুশ শাকুর এর ছোটগল্প ভাবনা দেখি -


'' প্রমথ চৌধুরী ছোটগল্পের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘ছোটগল্পকে ছোট হতে হবে এবং গল্প হতে হবে। এই দু’টিই শর্ত।’ কিন্তু পরবর্তী কালের গল্পকারদের গল্পে আর গল্পত্ব থাকেনি। তারা ভেবেছেন গল্পের অ্যাখানভাগ অত বেশি থাকলে সার্থক ছোটগল্প হয় না, ওটা গল্প হয়ে যায়। তাই তারা অ্যাখানভাগ একদম কমিয়ে দিতে দিতে প্রায় একরকম বাদই দিয়ে ফেলছেন। এজন্যে এখনকার গল্পকারদের গল্পে আর গল্প থাকে না। থাকে শুধু কথা আর কথা, ব্যাখ্যা আর ব্যাখ্যা, কাব্যিয়ানা আর কাব্যিয়ানা, এইসব। গল্পত্ব অল্পই থাকে । ''

বোঝা যাচ্ছে তিনি প্রেমেন্দ্র মিত্র এর সংজ্ঞা টা মানেন । কথা হচ্ছে -

এখন গল্পহীন গল্প বা বিমানবিক গল্প ও হয়, কখনও-বা শুধু অনুভূতির সারাৎসার হয়ে যাচ্ছে গল্প। ত শাকুর সাহেবের কথা ধরলে এসব ত মাঠে মারা , বিশেষ
করে শাহাদুজ্জামান এর অনেক গল্প ত পুরাই খালে B-)

এ প্রসঙ্গে আমার একটা সাধারণ পর্যবেক্ষণ বলি । খেয়াল করেছি ,
প্রবীণদের নিকট হতে প্রায় ক্ষেত্রে নতুন প্রজম্মের সাহিত্যের সঠিক
মূল্যায়ন পাওয়া যায় না , নতুন ধারা হলে ত আরো বিপদ !

প্রত্যেক জেনারেশনেই এই সমস্যা থাকে । অনুজদের প্রতি রবীন্দ্রনাথ
এবং বুদ্ধদেব ও আহসান হাবিব ও হাতে গোনা দুএকজন ছাড়া কেউ খুব একটা নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গির ( নতুন ধারার ক্ষেত্রে ) পরিচয় দিতে পারেন নি ।

আর ১০ মিনিট , ৫০ মিনিট এসব হুদা কথা , বিষয়টাকে একটু স্পষ্ট করার জন্য । মানতে পারছেন না ?
ওকে তাহলে আমি বলি - গল্পকার মাহমুদ বলেন , যা ৩ ঘন্টার মধ্যে
পড়া যাবে তা ছোট গল্প । :P

হাহহা এখন বলবেন তা ত হয় না , সময় বেশি ! আর যদি মেনে নেন
তাইলে ধইন্ন্যা :D


সমাজ চেতনা, রাজনীতি সচেতনতা, নিরীক্ষাধর্মিতা সাম্প্রতিক ছোটগল্পে লক্ষ করা যায়।
এইটা শুধু এই যুগে না সব যুগেই ।


আউদ্দিন আল আজাদ, জহীর রায়হান বানান ঠিক করুন । এবং
সৈয়দ ওয়ালীউলাহ ।

জহির হবে , আলাউদ্দিন হবে ।


সবশেষে সুন্দর আনন্দদায়ক পরিণতি কিংবা বিষাদাত্মক সমাপনী - এর বাইরেও অনেক ধরনের সমাপনি হতে পারে , হয় ,

সমাপ্তিহীন সমাপ্তি ও হতে পারে । একটা করে উদাহরণ দেই -
শহিদুল জহির এর গল্প - আমাদের কুটির শিল্পের ইতিহাস ।
বিদেশে ফকনার ।

চরিত্রের ত্রুটি (মানুষ কোন নিখুঁত চরিত্র চায় না, আবার এমন বেশি দুর্বলতা চায় না যা অতিরিক্ত মনে হয়)। - একমত না ।

আমি যদি নিখুঁত চরিত্রের প্রয়োজনবোধ করি সমস্যা কি ? ( খেয়াল রাখুন
নিখুঁত শব্দটাও আপেক্ষিক । )

আপনার এ কথায় আরেকটা কথাও মনে আসছে । মহৎ
লিখক রা কি এসব মাথায় নিয়ে লিখেন ? মানুষের দিকে অভিমুখ হয়ে ?
কেমন চায় এসব ভেবে ?

বর্ণনার বিস্তৃতি উপন্যাসের বিষয়। - একমত না ।
চরিত্রের বিস্তৃতি উপন্যাসের বিষয় ।

বর্ণনার বিস্তৃতি ত্রুটি হলে ইলিয়াস আর হাসানের গল্প এক কথায় বাদ দেয়া যায় ।

ইলিয়াসের অধিকাংশ ছোটগল্প কে অনেকে বড় গল্প ধরে , না ধরেও
উপায় নেই , উনার গল্পগুলা গুনগতমানে ছোট ও বড় গল্প
উভয় এর সীমা স্পর্শ করে । উনি গল্পগুলাকে একদম উপন্যাসের
দ্বারপ্রান্তে এনে শেষ করেন । টেনে দিলে সব গু্লোকেই উপন্যাস
বানানো যাবে । এ কারণে এবং আরো বেশ কিছু ত্রুটির কারণে হাসান আজিজুল হক উনার ছোটগল্প
নিয়ে তেমন উচ্চকিত নন । ( মেকানিজমের দিক দিয়ে )

হাসান আজিজুল হকের কথাই ধরি । উনার গল্পে প্রকৃতির খুব ডিটেলস
ব্যবহার থাকে । প্রকৃতি উনার গল্পে স্রেফ আবহ তৈরির কাজ করে না ,
নিজেই ভাগ্য নির্ধারণের একটা শক্তিশালি নিয়ামক হিসেবে কাজ করে ।
অনেক টা সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ এর গল্পের মত ।
উনার একটা বিখ্যাত গল্প আছে '' আমৃত্যু আজীবন '' ওখানেও যথারীতি
প্রকৃতির খুব ডিটেলস বর্ণনা আছে ।

ঔপন্যাসিক রশিদ করিম উনার প্রকৃতির বর্ণনার আতিয়োশক্তি এবং
পৌনঃপুনিকতার সমালোচনা করেছেন ।
কিন্তু আরেক দৃষ্টিকোণ হতে ব্যাপারটাকে সমর্থন দেয়া যায় । গল্প টা পড়লেই টের পাওয়া যাবে ।
গল্পকার প্রশান্ত মৃধার '' বুড়ির গাছ '' নামে একটা গল্প আছে ।
সেখানে তিনি জাস্ট একটা মুহূর্তের বর্ণনার জন্য দেড় পাতা খরচ করেছেন !



গল্পকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য যেটুকু লাগবে সেটুকুই ব্যবহার করতে হবে। - বিশ্বাসযোগ্য কথাটা লিখলে অবিশ্বাসযোগ্য , উদ্ভট এভাবে অনেক কথা এসে যায় । আমি ত এভাবেও চাইতে পারি !
তার চেয়ে বরং '' গল্পকে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে পরিপূর্ণ '' করার জন্য এভাবে দিলে ভাল হয় ।

ঘটনার বিস্তৃতি কয়েক দিনের মধ্যে (প্রয়োজনে কয়েক ঘন্টা) সীমিত থাকবে। - একমত নই । একটা করে উদাহরণ দেই ।
১ ) দেশে
১৯৪০ সালে লিখা সোমেন চন্দের '' বনস্পতি '' গল্পের
কালক্রম ১৭৫০ - ১৯৩৯ ।

২ ) বিদেশে ।
আর্জেন্টিনার হোরহে লুই বোরহেস । পুরাই কালহীন , মানে উনার গল্পের কাল নাই ।

উত্তম পুরুষে লেখা গল্পে গল্পের চরিত্রের পক্ষে যতোটা জানা সম্ভব ততোটাই লিখা উচিৎ। এতে বর্ণনায় সীমাবদ্ধতা এসে যায়।
- একমত নই এ কারণে সবার ক্ষেত্রে তা হবে না । ভালমানের
একজন লিখক বর্ণনার পরিপূর্ণতায় ঠিকই উৎরে যাবেন ।

সূচনাটা হতে হবে সংক্ষিপ্ত। - লিখকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে ।

দ্রুত শেষ করে ফেলুন: সব চেয়ে ভালো হয় এক বসায় গল্পটি লিখে শেষ করে ফেললে। কারণ দ্রুত শেষ করতে পারলে অখন্ড মনোযোগের মাধ্যমে ভালো একটি সৃজনকর্ম সম্পন্ন করা সহজতর হয়।


মোটেও একমত না । এ বিষয়ে আপনার রায় দেবার কোন অধিকার নেই । কিভাবে কি করলে কি হবে তা লিখকই সবচেয়ে ভাল জানবে ।



সৈয়দ শামসুল হক এর কথায় একটু আসি । উনার ও তাৎক্ষনিক লিখা
আছে । উনার আত্মজীবনীতে পাবেন । ( প্রণীত জীবন ) । আরো দুএকটা
উদাহরণ দেই । সুবোধ ঘোষের জতুগৃহের মত বিখ্যাত গল্প ,সুনীলের '' কেউ কথা রাখেনি '' কবিতা -সাহিত্ত্যে এমন চাইলে
হাজারটা উদাহরণ দেয়া যাবে । খুব বিখ্যাত এবং মহৎ অনেক কিছুর সৃষ্টি
তাৎক্ষনিক । তাই বলে যে এটা সাপোর্ট করছি তা না । চটপট ও ভাল জিনিস তৈরি হয় এটা কেবল বলতে চাইছি ।
যে কোন সৃষ্টিকর্ম তার পরিপূর্ণতার জন্য যেটুকূ সময় দাবী করে তা অবশ্যই দেয়া উচিত ।

মপাসার নেকলেস গল্প টার চমকটাকেই আবার সৈয়দ শামসুল হক গল্পের দুর্বলতা বলে বিচার করেছেন । :)


সম্পূর্ণ নতুন গল্প নির্মান করা এখন অসম্ভব। - মানা গেল না । এই টাইপ
কথা সুনীল ও বলছে । সাধারণভাবে মানা গেলেও চূড়ান্ত অর্থে মানা গেল না ।

মানুষের কল্পনাশক্তির ত সীমা নেই , সে নতুন কিছু অবশ্যই উদ্ভাবন করবে । তাইলে ত আর সায়েন্স ফিকশন গল্প মাঠে মারা ।
জুল্ভারন যখন সাবমেরিন এর কথা লিখছিল তখন পৃথিবীতে এ জিনিস ছিল না।
উদ্ভাবিত দর্শন , ইতিহাসকে ভিন্ন বিন্দুতে দেখা এবং তার বিনির্মাণ এবং
আরো অনেক কিছু
এসব ত পরাক্রমশালি লিখকরা উদ্ভাবন করবেন । ভিন্ন কিছু দেন বলেই
কিন্তু তারা বড় রাইটার । পিচ্ছি রাইটার টা বড়দের চৌহদ্দিতেই
ঘুরাফিরা করেন ।

লিখার ধরনের কথাও বলি । এক সময় বলাবলি হচ্ছিল ( বাক্য গঠনপ্রণালীতে ) নতুন
কোন ধরন আসার সম্ভাবনা নাই , শহিদুল জহির কিন্তু ভিন্ন ধরন উদ্ভাবন করে সবাইকে চমক লাগাই দিছে ।

'' নির্মাণ '' শব্দটাও কানে খুব বাঁধো বাধো ঠেকছে ।, ইট পাথরের
ছবি মাথায় এসে যায় । এর চেয়ে '' গল্পবুনন '' কি অধিক শিল্প
সুষমা যুক্ত এবং ব্যঙ্গনাবহ নয় ?


সমকালীন অনেক ভাল ভাল ছোট গল্পকারের নাম এখানে আসে নাই এবং খুব শক্তিশালি লিখক যাদের গল্প টিকবে ।
যেমন - শহিদুল জহির , জাকির তালুকদার , শাহাদুজ্জামান। নাজিব ওয়াদুদ । এই চারজনের নাম মুখস্ত বলা যায় । শহিদুল জহির ত অনবদ্য । জহির পড়ার জন্য অনুরোধ রাখলাম । এবং শাহাদুজ্জামান স্পেশালি । শাহাদুজ্জামানের গল্পগুলো
আখ্যানমূলক , কোন গল্প না বলেই একটা অনির্বচনীয় অনুভুতির সৃষ্টি করা তার উদ্দেশ্য ।

নাজিব অয়াদুদ পারফেক্ট ছোটগল্পকার । খুবই সংযমী । ভাষা মলায়েম,
সহজ ।

এবার বেশ কিছু নাম বলছি -
১ ) মাহবুব মোরশেদ । উল্লেখযোগ্য গল্প - ওভারকোট । অন্য এক গলপকারের গল্পের প্রতিলিপি । জিসম । জিসম গল্পটার ভেতর পলিটিকাল এক্টিভিজমের সমালোচনা আছে ।

২ ) কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর ।
৩ ) ওয়াসি আহমেদ ।
৪ ) ইমতিয়ার শামিম ।
৫ ) মামুন হুসাইন ।
৬ ) মনিরা কায়েস ।
৭ ) ব্রাত্য রাইসু , ৮ ) সুমন লাহিড়ী গল্পের একটা প্যাটার্ন এনেছিলেন - তা হল গল্প লিখে গল্পের সমালোচনা করা ।
৯ ) পাপড়ি রহমান । নিম্মবিত্ত দের নিয়ে লিখেন ।
১০ ) শাহনাজ মুন্নি ।
১১ ) মহিবুল আজিজ ।
12 ) মশিউল আলম ।
১৩ ) পারভেজ হোসেন .
14 ) সেলিম মোরসেদ
১৫ ) নাসরিন জাহান

১৬ ) কাজল শাহনেয়াজ ।

১৭ ) বুলবুল চৌধুরী
১৮ ) মনিরা কায়েস ১৯ ) সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ, ২০ ) সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ



এবার আসি
ছোটগল্পের কারিগর দের নিয়ে ।



জসীমউদ্দিন কি ছোটগল্প লিখেছেন ? জানি না ।
হলে ও ছোটগল্পের ক্ষেত্রে তিনি কি উল্লেখ করার মত কেউ ? কিংবা
বেগম রোকেয়া



শাহেদ আলির জিব্রাইলের ডানা আর দুএকটা বাদে আর গল্প গুলা
তেমন ভালই না । শিলপ সফল ত নয় ই ।

খারাপ লাগছে উনাদের নাম আছে অথচ ছোটগল্পের প্রকৃত কুশীলবদের
নাম নাই ।


কিছু নাম বলি - ( খুব ভাল )

১ ) নরেন্দ্রনাথ মিত্র । বিশ্বমানের গল্পকার ।
২ ) প্রেমেন্দ্র মিত্র ।
৩ ) সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ । বিস্ময়কর অসাধারণ ।
বাংলা ছোটগল্পের খুব সংক্ষিপ্ততম তালিকাও উনাকে ছাড়া হবে না ।
৪ ) জ্যোতিরিন্দ নন্দী।
৫ ) জগদীশ গুপ্ত । হাসান আজিজুল হকের উনার নামে
একটা প্রবন্ধ আছে '' কথাসাহিত্যের বিপরীত স্রোত '' নামে ।
আব্দুল মান্নান সৈয়দের মতে , উনি আধুনিক বাংলা ছোটগল্পের জনক ।

৬ ) আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ।
৭ ) শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় ।
৮ ) তিন বন্দ্যোপাধ্যায় । যদিও তারাশঙ্কর এতটা পারফেক্ট না । (
তিনি উপন্যাসেই সফল বেশি ) গভীর
জীবনজিজ্ঞাসা উনার গল্পকে শক্ত ভিত্তি দিছে ।

৯ ) সোমেন চন্দ । প্রায় গল্প খুব পারফেক্ট । আবু রুশদ মিয়ারা
তার ধারে - কাছেও নাই । গল্প শিখার জন্য উনি খুব পারফেক্ট ।

১০ ) আবু বকর সিদ্দিক । বিদিশার আব্বু । এত তীব্র গদ্য মনে হয় বাংলাদেশে কেউ লিখে নাই ।
১১ ) রাহাত খান । অসাম ।


যারা বেশ কিছু ভাল গল্প লিখেছেন

১২ ) রশিদ হায়দার । ভাষায় পরিমিতি আছে । নাগরিক মেজাজ । বুনট
পারফেক্ট ।
১৩ ) জোতিপ্রকাশ দত্ত । রুপকের আবরণে মোড়ানো । ভিন্নরকম । এক
আশ্চর্য আবরণে মোড়া তার শিল্পশস্য ।
১৪ ) হরিপদ দত্ত ।

১৫ ) অচিন্তকুমার সেনগুপপ্ত ১৪ ) মনীশ ঘটক। ১৫ ) শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় ১৬ ) বিমল কর অনেক বড় রাইটার ।

১৬ ) রমাপদ চৌধুরী । কিছু বিখ্যাত গল্প আছে , বরেণ্য সমালোচক ।

১৭) সাইয়িদ আতীকুল্লাহ।

১৮) মাহমুদুল হক ।
১৯ ) আবদুশ শাকুর, খুব উচু স্তরের রসবোধ ।

২০ ) হাসনাত আব্দুল হাই
২১ )
বিপ্রদাশ বড়ুয়া ২২ ) কায়েস আহমেদ


বিশ্ব সাহিত্ত্যে ত নাম বলে শেষ করা যাবে না ।

উর্দু সাহিত্যের সাদত হোসেন মান্টো , কিশন (নাম ভুল হচ্ছে অভ্রের কারণে ) চন্দর , ইসমত চুগতাই এর নাম দিতে পারেন পোষ্টে ।

মান্টো বিশ্বের সেরা গল্পকারদের একজন বলে ধরা হয় । আর উর্দু
সাহিত্যে বেস্ট ।

কোথাও কোথাও হয়ত বলার ভঙ্গি আক্রমণাত্মক ভঙ্গি মনে হতে পারে ,
আসলে আমি অভাবেই বলি , বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
কামাল ভাই । :)

সামুকে খুব খুব ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন পোস্ট স্টিকি করার জন্য ।
আপনাকেও , এই ধরণের পোস্ট লিখার জন্য , আরো লিখবেন আমাদের
জানাবেন এই প্রত্যাশাই রইল । অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।
ভাল থাকবেন । :)



সব শেষে মোপাসার উদ্দেশ্যে ফ্লবেয়ার ছোটগল্প সম্পর্কে উপদেশ বানী
দিয়ে বিদায় নিচ্ছি =

Everything which one desires to express must be look at with sufficient attention and during sufficiently long time. To discovers in it , .some aspect which no one as yet seen or described. In everything there is still some spot unexplored, because we are accustomed only to see our eyes with the recollection of what others before us have thought on the subject which we contemplate. The smallest objects contains something unknown .Find it. To describe a fire that flames and a tree on this plain , look ,keep , looking at the flame and that tree until in your eyes that have lost all resemblance to any other tree and any other fire .




৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: লা জবাব!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৫০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: Everything which one desires to express must be look at with sufficient attention and during sufficiently long time. To discovers in it , .some aspect which no one as yet seen or described. In everything there is still some spot unexplored, because we are accustomed only to see our eyes with the recollection of what others before us have thought on the subject which we contemplate. The smallest objects contains something unknown .Find it. To describe a fire that flames and a tree on this plain , look ,keep , looking at the flame and that tree until in your eyes that have lost all resemblance to any other tree and

any other fire .

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: এ কথাগুলো আড্ডার সময় বলেছিলাম। ধন্যবাদ।

ছোট একটা অনুরোধ-আপনি একটা লেখা দিন।

৫১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট, সাথে ,মাহমুদ ভাইয়ের সংযোজন। সোজা প্রিয়তে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ, খলীল ভাই।

৫২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আবারও পড়লাম। মহাকাব্যিক :)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৫৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

গৌমূমোকৃঈ বলেছেন: পড়ে মুগ্ধ!
সরাসরি প্রিয়তে!!!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ।

৫৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মাহমুদ ভাই এর মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে এটা পোষ্টের ভেতর আরো একটি পোষ্ট! দারুন। আশা করি সামগ্রিক আলোচনায়টি জমজমাট হয়ে উঠবে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পুরাই সহমত।

৫৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

মেহবুবা বলেছেন: অনেক পরিশ্রমের ফসল , রীতিমত থিসিস । অনেক কিছু শেখার আছে ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার কাজে লেগেছে জেনে ভালো লাগছে।

৫৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নবীন প্রবিন সকলের পাঠ যোগ্য চমৎকার পোস্ট ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: মাহমুদের মন্তব্য এই পোস্টের অসাধারণ এক সংযোজন। আশ্চর্য তার মন্তব্যে অনেকগুলো লাইক পড়ার কথা কিন্তু কেউ দিচ্ছে না কেন বুঝলাম না।

মাহমুদের উচিত তার নিজেরই এ বিষয়ে বিশদ একটি পোস্ট দেয়া।


কামাল ভাইকে আবারও ধন্যবাদ চমৎকার একটি প্রসঙ্গ উপস্থাপনের জন্য।

প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সহমত। মাহমুদ ভাইয়ের কাছে একটা লেখা চাই।

৫৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৬

নাছির84 বলেছেন: পড়ে মুগ্ধ ‍! তাই প্রিয়তে। গল্প লিখিয়েদের জন্য দারুন উপকারী পোষ্ট। ধন্যবাদ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

আমি সাজিদ বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে।

একটু একটু লেখার চেষ্টা করি, অনেক কিছুই জানতাম না। পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।

কলেজে স্যার প্রথমদিন পড়িয়েছিল রবীন্দ্রনাথের হৈমন্তী। পড়াতে গিয়ে ছোটগল্প সম্পর্কে অনেক কথাই বলেছিলেন, এককান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্যকানে বের করে দিয়েছিলাম। তবে একটা ছোট সংজ্ঞা বলেছিলেন ( যতটুক মনে আছে বললাম )


ছোট প্রাণ ছোট কথা, ছোট ছোট দুঃখ ব্যাথা, নিতান্ত সহজ সরল। সহস্র বিসৃত রাশি প্রত্যহ জাগিছে ভাসি, তারই দু চারটি অশ্রুজল।নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা, নাহি তত্ত্ব উপদেশ।
অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ করি মনে হবে, শেষ হইয়াও হইলো না শেষ!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ।

৬১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

বিবিবাঁধন বলেছেন: khub valo

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৫

অভিমানী আমি বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম ভাইয়া।..পরবর্তী পোস্ট এর অপেক্ষায় থাকলাম

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

ওয়ািহদ উদ্দিন বলেছেন: অনেক কিছু শেখার এবং অনুসরণ করার আছে এই পোস্টে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

লাবনী আক্তার বলেছেন: গুনীজনেরা বলেন, লেখক হবার গোপন রহস্য তিনটি। এ তিন রহস্য যিনি জানবেন তিনি হয়ে উঠবেন মহান গল্পকার। রহস্য তিনটি হচ্ছে-
১।
অনুশীলন।
২।
অনুশীলন। এবং
৩।
অনুশীলন।




চমৎকার পোস্ট। আমার মত ক্ষুদ্র লেখিকা অনেক কিছুই জানল এবং শিখল এই পোস্ট পড়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। প্রিয়েতে নিচ্ছি।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।আপনি উপকৃত হয়েছেন জেনে ভালো লাগছে।

৬৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

শাহেদ খান বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট ! মাহমুদের কমেন্টে আরও পূর্ণতা পেল ! এমন একটা পোস্ট স্টিকি করায় মডারেটরদের প্রতি সবিশেষ কৃতজ্ঞতা !

সাহিত্যের এই ধারাটায় আমি ভাল পাঠক'ও না ! কেন যেন খুব একটা পড়তে ইচ্ছা করে না ছোটগল্প - কিন্তু এই মুহুর্তে নিজের ভেতরেই ধারণার পরিবর্তন টের পাচ্ছি। আপনাদের আলোচনা থেকে একটা তীব্র আগ্রহ ছড়িয়ে দিলেন।

পোস্ট ভাল লাগল খুব, বুঝতেই পারছেন। অনেক অনেক শুভকামনা।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: গল্পের একজন পাঠক বেড়েছে জেনে কষ্ট সার্থক বিবেচনা করতে পারছি।
মাহমুদ ভাইয়ের অসাধারণ মন্তব্যে আমি আনন্দে আপ্লুত।
নিরন্তর শুভেচ্ছা।

৬৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

মোঃ জাহিদুর রহমান। বলেছেন: Good

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৫

জিহাদ ৭০০৭ বলেছেন: ছোট গল্প রবীন্দ্রনাথের এক বিস্মকর সৃষ্টি। আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথ যদি ছোটগল্পগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করতেন তাহলে তিনি ছোট গল্পের জন্য নোবেল পেতেন। শুধু রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প নিয়ে আমি একটি পোস্ট লিখার ইচ্ছা ছিল। আপনি লেখাতে ধন্যবাদ। রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প এক বিশাল জগৎ। কেমন করে যে তিনি এগুলো লিখেছেন তা আমার কাছে আজও বিস্ময় মনে হয়।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প নিয়ে পোস্ট দিন দয়া করে। আমরা সবাই উপকৃত হবো।

৬৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৬

একজন সৈকত বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভাই এত চমৎকার এবং প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট দেয়ার জন্য। প্রিয়তে রাখলাম।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৯

শিশিরের দুঃখ বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে ।

অনেক প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট দেয়ার জন্য । আশা করি ভবিষ্যতে ও এরকম চমৎকার এবং প্রয়োজনীয় পোস্ট আপনার কাছ থেকে পাব ।
প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। শুভেচ্ছা নিরন্তর । ভালো থাকুন ।

পোস্ট স্টিকি করায় মডারেটরদের প্রতি সবিশেষ কৃতজ্ঞতা ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

মডারেটরদেরও কৃতজ্ঞতা জানাই।

৭০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

সকাল রয় বলেছেন:
নববর্ষের শুভেচ্ছা।
গল্প নিয়ে খুব সাদামাটা ভাবে আমিও লিখেছিলাম। তবে আপনার লেখাটি সবকিছু ছাড়িয়ে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার লেখাটার শিরোনাম কি ? আমি কয়েকপাতা দেখলাম। খুঁজে পেলাম না লেখাটা। ভালো হয় কমেন্টে একটা লিঙ্ক দিলে।

৭১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার ভাই।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

৭২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

শাহেদ খান বলেছেন: মন্তব্য দেখতে এসে জানলাম, আজ আপনার জন্মদিন !

শুভেচ্ছা জানবেন। ভাল থাকা হোক সবসময়।

!:#P

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ নববর্ষ।

৭৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

একজন আরমান বলেছেন:
দুর্দান্ত পোষ্ট কামাল ভাই।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। শুভ নববর্ষ।

৭৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

জনাব মাহাবুব বলেছেন: সেইরাম পোষ্ট
পোষ্টে +++++++++++++++

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ++++++++++

৭৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

বৃতি বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে বিশ্লেষণধর্মী পোস্টটা । নতুন বছর এবং সেইসাথে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভ নববর্ষ।

৭৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: পড়ার সময় পাই নাই পরে পড়ে নিব। কিন্তু প্রিয়তে রাখলাম।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে রাখার জন্য ধন্যবাদ। কষ্ট করে পড়ে মতামত জানালে বাধিত হবো।

৭৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: সাহিত্য নিয়ে এমন একটা পোস্ট স্টিকি করে ব্লগ কর্তৃপক্ষ মননশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। অভিনন্দন তাদের এবং লেখককে।

জন্মদিন এবং নববর্ষের অনেক শুভেচ্ছা।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই। আপনার মতো এক দুর্দান্ত গল্পকার আমার পোস্ট পড়েছেন ভাবতেই ভালো লাগছে। ব্লগ কর্তৃপক্ষের এ মননশীলতার প্রশংসা করতেই হবে।

শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। শুভ নববর্ষ।

৭৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

বাঙলি বলেছেন: দরকারি পোস্ট, প্রিয়তে নিলাম

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সিহাব সুমন বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর একটি পোষ্ট।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে।

৮০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৩

আফতাব আরিফ অবচেতন বলেছেন: ভালো!! অনেক কিছু জানলাম । ধন্যবাদ

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৮১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অনেক উপকারী একটা পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।

লেখালেখির ক্ষেত্রে দেখা যায়, কারও গল্প পড়লে মনে হয়, রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দা পড়ছি। কারোটা পড়লে মনে হয়, সমরেশ মজুমদার বা সুনীলের লেখা। কারও লেখা পড়লে মনে হয়, আরে আজব এটা অনুবাদ নাকি? আর এখনকার বেশিরভাগ লেখকের লেখা পড়লে মনে হয় সরাসরি হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়ছি। সামুর নির্বাচিত পাতায় যেসব লেখা যায়, সেসবের অনেক গুলোই মনে হয়, শুদ্ধ হুমায়ূন সাহিত্য পড়ছি।হুমায়ূন আহমেদ সহজ সরল ভাষায় রচনা করেছেন তার লেখা, পড়তে ভাল লাগে। আমি নিজেও তার ফ্যান। তবুও তার নিজের লেখায় একটা নিজস্বতা আছে। এখনকার লেখকরা কি কারণে যে, সরাসরি হুমায়ূন আহমেদকে কপি করছে বোধগম্য নয়। সহজ ভাষায় লেখা যায়, তাই বলে হুমায়ূন আহমেদ এর মত কেন? কেউ কেউ নতুন নতুন চরিত্র নিয়ে সিরিজ লেখা লিখছেন, তাও হিমুর কপি। তাই মনে করি, আবল তাবল যাই লেখা হোক, একটা নিজস্বতা থাকা দরকার। হুমায়ূন আহমেদের লেখার মত চরিত্রে নানা মজা আনন্দ পাগলামি থাকতেই পারে। তবে লেখার ধরণ হুমায়ূন আহমেদের কপি নয়।

এর পরের ব্যপার হল, আত্মঅহংকার। ভাল লেখকদের তেলাতেলি করে, পা চেটে, সহমর্মিতা পেয়ে অনেকেই অল্প কিছু লিখে রাতারাতি খুব বড় কেউ হয়ে যায়। দেখা যায় এদের ভিতরেই আত্মঅহংকার বোধটা বেশি। তারা নিজেদের সব কিছুর ঊর্ধ্বে ভাবতে শুরু করে। মনে করে, এদের ব্যতীত অন্য সবাই ছাইপাশ লিখে। এই অহংকার বোধ থেকে যে লেখা বের হয়, তা অবশ্যই লেখার মানে পরে না। প্রতিভার চেয়ে এখন, তেলাতেলির মূল্য অনেক বেশি। এরা এই জিনিসটাই বেশি ব্যবহার করে।

আমি লেখক শ্রেণির কেউ না। শখের বশে মাঝে মাঝে লিখি। তবে, আমার ধারণা, লেখাটা কখনও বইয়ে পাতায় ঝাপাঝাপি বা পাঠকের মনতুষ্টির জন্য লেখা উচিৎ না। লেখাটা নিজের ভালবাসা, নিজের ভাললাগা। এই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা উচিৎ না। অন্যের ভাললাগায়, বইয়ের পাতায় যাওয়ায় , উৎসাহ আসতে পারে, তবে উদ্দেশ্য কখনও এটা হতে পারে না।

অনেক কিছু বল্লাম,নিজের স্বল্প মেধায়। নিজের ভাবনা গুলো। কিছু মনে করবেন না ভাইয়া।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুরুতে সব লেখকই প্রিয় লেখকের মতো করে লিখতে শুরু করেন। পরে ধীরে ধীরে নিজের স্বর খুঁজে পান।আর কারো কারো লেখালেখি অনুকরনের মধ্যেই শেষ হয়।
ভালো থাকবেন।

৮২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

বাবুল হোসেইন বলেছেন: প্রিয়তে। অনেক দরকারী পোস্ট। আ ব্রিফ অফ স্মল স্টোরিজ।
একেবারে এটুযেড বলা যায়।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ। আপনার কাজে লাগবে ভালো লাগবে। ভালো থাকবেন।

৮৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

সঞ্জয় মুখার্জী বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে!!!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ।

৮৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

এসাসিন বলেছেন: চমৎকার !!!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

নিউক্লিয়াসে অবস্থানরত ইলেক্ট্রন বলেছেন: দারুন পোস্ট

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

নিউক্লিয়াসে অবস্থানরত ইলেক্ট্রন বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।

৮৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২০

অনিরুদ্ধ রহমান বলেছেন: আপনি কি নিশ্চিত জানেন যে, আপনি আগামী দিনের গোল্ডিং বা বারোজ কিংবা স্ট্যালোন নন ?

অপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৮৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩১

নীল কথন বলেছেন: কুর্ণিশ।
-প্রগাঢ়, আদি থেকে অন্ত, সবকিছু নিপুণ হাতে গুছিয়ে লিখছেন, যা সত্যি কাজে দিবে যে সত্যিকারের লেখক হবার বাসনা রাখে। আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।
- অনুশীলনের বিকল্প নেই। এটা হচ্ছে সবকিছুর মূল কথা।
-ভালো থাকুন সারাবেলা।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৮৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ছোটগল্প নিয়ে আপনার চমৎকার পোস্ট!! আর মাহমুদ ভাইয়ের ময়না তদন্ত !! এরপর এই পোস্ট প্রিয়তে না নিলে ভীষণ অন্যায় হবে।


ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: হা হা হা ! অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।

৯০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

রাবার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই এত চমৎকার এবং প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট দেয়ার জন্++++++++

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: অনেক তথ্যসমৃদ্ধ ও ভাললাগা পোস্ট। সময় নিয়ে অফলাইনে পড়ব।

রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প পড়ার পর যখন পড়ি, পৃথিবীর সেরা ছোটগল্পকার হলো মপাঁসা আর চেখভ, তখন খুব রাগ হতো, রবীন্দ্রনাথ কেন গল্পগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করেননি। মপাঁসার গল্প আসলে অনেক ক্ষেত্রেই কেবলই উচ্চবিত্তদের সমাজকেন্দ্রিক, অবশ্যই তার বিখ্যাত ‘নেকলেস’ গল্পটি কালোত্তীর্ণ। চেখভের গল্পের রুশ সংস্কৃতি সবার পক্ষে যেমন বোঝা কিছুটা কঠিন, আমাদের রবীন্দ্রনাথের গল্পের বাঙালি সংস্কৃতি বোঝাও ইউরোপীয়দের জন্য কঠিন।

এ প্রসংগে আমাদের হুমায়ুন আহমেদের একটি গল্পের কথা মনে পড়ে গেল - একটি গল্প আছে যেখানে খেজুরের কাঁটা দিয়ে একজনের চোখ তোলার বিচার কাহিনী আছে। হুমায়ুনের এই গল্পটি আমার কাছে কালোত্তীর্ণ মনে হয়েছে।

হারুকি মুরাকামি এখনকার আমেরিকান-জাপানিজ ক্রেজ। তবে তার গল্প বোঝা ঘাম ঝরানোর কাজ। তার নিজের কথাই হলো - তার গল্প বুঝতে হলে একাধিকবার পড়তে হবে। ছোটগল্প পড়ে প্রথমবার রসাস্বাদন না হলে বারবার পড়ার চেষ্টা কম জনই করে বলে মনে হয়।

পরে আবার কথা হবে।
এমন সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৯২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪১

এরিস বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
লিখি, লেখার চেষ্টা করি। জেনে লিখিনা, ভেবেও লিখিনা। মধ্যম পুরুষে লেখার খুব ইচ্ছে আমার। কিন্তু কিছুতেই হয়ে ওঠে না, ঠিক আমার জানার পরিধি খুব ছোট বা অপারগতা হতে পারে।
আবারো পড়বো। প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।

আর ১০ মিনিট , ৫০ মিনিট এসব হুদা কথা , বিষয়টাকে একটু স্পষ্ট করার জন্য । মানতে পারছেন না ?
ওকে তাহলে আমি বলি - গল্পকার মাহমুদ বলেন , যা ৩ ঘন্টার মধ্যে
পড়া যাবে তা ছোট গল্প ।


গল্পকার মাহমুদের পাঠক এরিস সহমত।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সৃজনশীলতার কোন স্থির সংজ্ঞা নেই। সেটা শুরুতেই বলেছি। মাহমুদের সাথে আমি তো দ্বিমত করিনি। সাহিত্য আড্ডায় আমরা যেটা চর্চা করতে চাই সেটা হচ্ছে, লেখার জন্য কি ধরণের লেখা পড়া দরকার,ভাবনার দরকার তার একটা ইশারা দেয়া। আরেকটা ছোট্ট কথা নিজেদের মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা যে যুগে জন্মেছি সে যুগে সৃজনশীলতায় পা রাখতে হলে সৃজনের জগতের দৈর্ঘ্য প্রস্থ সম্পর্কে খানিকটা হলেও জরিপ চালাতে হবে।

৯৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: মহা মূল্যবান পোস্ট ! প্রিয়তে !

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ।

৯৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা। প্রিয়তে নিলাম।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ,প্রফেসর।

৯৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: এ.টি.এম.মোস্তফা ,


আপনার লেখার সামগ্রিক বিষয়বস্তু আর ৪৯ নম্বরে সহ-ব্লগার মাহমুদ০০৭ এর মন্তব্যে পুরো পোষ্টখানিই অনবদ্য হয়ে উঠেছে । সংগ্রহে না রাখলে দারুন একটা কিছু হারাতে হবে বলে মনে হলো । তাই প্রিয়তে নিয়ে রাখছি ।

"সাহিত্যের অন্যান্য মাধ্যমের মতই এর কোন চূড়ান্ত ও পরিপূর্ণ সংজ্ঞা হয় ও না , হবেও না , উচিত ও না । কেউ তার ধারণা ব্যক্ত করতে পারেন মাত্র ....." মাহমুদ০০৭ এর এই বক্তব্যের সাথে একমত হয়ে ছোট গল্প সম্পর্কে মহারথীদের সংজ্ঞার পাশাপাশি আমার নিজেরও একটা ধারনা ব্যক্ত করার ধৃষ্টতা সামলানো গেলোনা -

"ছোটগল্প হলো একটা বাঘের মতোন। শিকার ধরবার আগে বাঘ যেমন শিকারের চারপাশে পাঁক খেয়ে ঘুরে ঘুরে বৃত্তটাকে ছোট করে আনে তেমনি। আর একসময় ফাঁক বুঝে ঘাড়ে পড়ে, ছোটগল্পও তেমনি একসময় ঝুপ করে ঘটনা বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দুতে হামলে পড়ে ।

উপন্যাস হলো ঠিক বিপরীত । একটা ক্রুদ্ধ সাপের মতোন । ছোবল মারার আগে তা যেমন ফোঁসফোঁস রাগে পাক খুলতে থাকে তেমনি । তেমনি পাক খুলে খুলে বড় হতে থাকে ।একসময় পাক খুলে গেলে উদ্যত ফনা যেমন ছোবল মারার তাড়নায় নেমে আসে ঔপন্যাসিকের কলমও তেমনি একটা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে । আর ছোবল মারে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে । "


শুভেচ্ছান্ত ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: হা হা হা ! দারুন বলেছেন।

৯৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

লালপরী বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা আপু

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: খাইছে আমারে ! লিঙ্গান্তর করে দিলেন !

৯৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৫

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
লিখাটি ভালো লাগলো। তবে আপনার লেখা কোন একটি ছোটগল্প পড়তে চাই....
ধন্যবাদ ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ৩৯ নং কমেন্টের জবাবে আমার একটা গল্পের লিঙ্ক দিয়েছিলাম। আপনার জন্য সেটার লিঙ্ক আবার দিলাম-
Click This Link
সাথে আপনার জন্য আরেকটার লিঙ্ক-
Click This Link

আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: অসাধারণ এবং খুব কাজের পোস্ট। সেলিম আনোয়ার ভাইকে ধন্যবাদ এই পোস্ট দেখার রেকোমেন্ড করার জন্য।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৯৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: প্রিয়তে আগেই নিয়েছিলাম ৷ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আজ জানিয়ে গেলাম ৷(জানাতে অক্ষম ছিলাম) ৷

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১০০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

সাদরিল বলেছেন: ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা ছোটো ছোটো দু:খকথা
নিতান্তই সহজ সরল,
সহস্ত্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি
তারি দু-চারিটি অশ্রুজল।
নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা,
নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ।
অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি’ মনে হবে,
শেষ হয়ে হইল না শেষ


এই কথাগুলো রবীন্দ্রনাথের জানতাম। ইন্টারে বাংলা পরীক্ষায় বহুবার ব্যাবহার করেছি কিন্তু এগুলো কোন কবিতার লাইন তা জানা ছিলো না। তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধণ্যবাদ

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

১০১| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: এই পর্যন্ত আমার পড়া সামুর শ্রেষ্ঠ পোস্ট গুলোর একটা। প্রিয়তে

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: লেখা প্রিয়তে নেবার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন সবসময়।

১০২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:০৯

মোহামমদ ইকবাল হোসেন বলেছেন: পুরোটা পড়ে মনে হলো যেন এমন একটা কিছুই আজ পড়তে চাইছিলাম। লেখক কে একটা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১০৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

ফাহিমুল ইসলাম বলেছেন: লাইক

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১০৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২১

সানজিদা আয়েশা সিফা বলেছেন: অসাধারণ লেখা , লেখককে ধন্যবাদ তো জানাতেই হবে , সেই সঙ্গে মাহমুদ ০০৭ ভাইকেও তার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ।

অনেক কিছু শিখলাম , জানলাম , গদ্য হলেও দারুণ শিক্ষণীয় , সুপাঠ্য ।

সরাসরি প্রিয়তে নিলাম ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রিয়তে নেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১০৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

মুহাম্মাদ আরিফ হুসাঈন বলেছেন: অনেক আগে পড়েছিলাম ।ভাগ্নীর হাতে খাতায় লিখিয়েছি তখন পুরোটা আসেনি। তখন শুধু পড়তাম .....
এখন প্রিয়তে রাখলাম

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১০৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: শামসুল হক এক লেখা তিনবার লিখেছেন? বলেন কি?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সেটা তাঁর বইতে তিনি উল্লেখ করেছেন। শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.