নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

‌দুঃখী মুখের মিছিল !

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪০

ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় বর্তমান বিশ্বের মানুষ মানবেতিহাসের সবচেয়ে স্বচ্ছল সময় কাটাচ্ছে। আগেও ধনী আর গরীব মানুষ ছিলেন। এখনো ধনী আর গরীব আছেন, সাথে আছেন বিশাল আকারের মধ্যবিত্ত। সামাজিক বিকাশের ইতিহাসে উনবিংশ শতাব্দীর শিল্প বিপ্লবের প্রভাব বিপুল। কারণ এর আগে অর্থনৈতিক ও সামাজিক শ্রেণির বিচারে মানুষের অবস্থান ছিলো দু'ভাগে-ভূস্বামী আর প্রজা। শিল্প বিপ্লবের ফলে চাকরি আর বাণিজ্যের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণি। শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমেও মানুষে আর্থিক অবস্থার উন্নতির সুযোগ বেড়েছে। ফলে স্বচ্ছল মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।



প্রযুক্তির বিকাশের ফলে মানুষে জীবনধারা বদলে গেছে, সে সাথে জীবন অনেক আরামপ্রদ হয়েছে। আবাসিক ভবন টেকসই হয়েছে। ফলে দুর্যোগের সময় আর্থিক ও প্রাণহানি অবিশ্বাস্যভাবে কমেছে। বিদ্যুৎ, গৃহস্থালির যন্ত্রপাতি, টিভি, মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদির কারণে মানুষের জীবনে আরাম আর বিনোদনের পরিধিও বেড়েছে।



সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কর্মসংস্থান আর দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্যোগের ফলে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। স্বাস্থ্য সেবায় অভাবনীয় উন্নতি মৃত্যুহার কমিয়ে এনেছে। রোগশোকের কষ্টও অনেক কমেছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, পানীয়জল সরবরাহ, নিরাপদ শৌচাগারসহ মৌলিক চাহিদা পূরণের ফলে গড় আয়ুও বেড়েছে। ফলে চিকিৎসাখাতে ব্যয় কমে গেছে, সুস্থ্য মানুষ নিরবচ্ছিন্নভাবে আয়বর্ধক কাজ করতে পারছেন। ফলে আয় বেড়েছে। দরিদ্র মানুষরা চরম দারিদ্র্যসীমার অভিশাপ কাটিয়ে উঠছে।



সব মিলে আমরা এখন স্বচ্ছল ও আরামপ্রদ জীবন যাপন করছি। সুখী জীবন যাপনের যে চিরকালীন আকাঙ্খা মানুষ পোষণ করে বর্তমান অবস্থা এর অনুকূল।



কিন্তু রাস্তাঘাট, বাজার কিংবা কর্মস্থল যেখানেই যাই সেখানেই দেখি দুঃখী মুখের মিছিল। চোখেমুখে আনন্দ বা সুখের চিহ্ন দেখতে পাই না। মুখটি যে একজন দুঃখী মানুষের তা মুখের দিকে এক পলক তাকালেই বোঝা যায়। এত স্বচ্ছলতা আর আরামের উপকরণ কি মানুষকে সুখী করতে পারছে না ? গলদটা কোথায় ?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩

আল মামুন খান বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টটির জন্য।
সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে আমরা জীবনধারণের উপকরণগুলো সহজলভ্য করেছি সত্য, কিন্তু আমাদের মানসিক গুণাবলীর মান অনেক কমে গেছে। এজন্য আগের তুলনায় সব কিছু থেকেও আমরা মনে দৈন্যতায় ভুগছি। তাই "এত স্বচ্ছলতা আর আরামের উপকরণ" আমাদেরকে সুখী করতে পারছে না। শুভকামনা রইলো।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

শাফি উদ্দীন বলেছেন: জীবনমূল্যবোধ কমেছে। শিক্ষার মান একেবারেই তলিয়ে গেছে বা যাচ্ছে। বিত্ত-বৈভবের প্রতি লোভ-লালসা প্রবলভাবে বাড়ছে। নৈতিকতা ডাউনে। সহিংসতা প্রবল। ফলে সমাজজীবনে শান্তি কাড়ছে।

তবে আপনার পোষ্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনি যৌক্তিক কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: ভালো লাগলো ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

মামুন রশিদ বলেছেন: শুধু অর্থনৈতিক সচ্ছলতা মানুষকে সুখী করতে পারেনা ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সহমত। অনেক ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১১

নিলু বলেছেন: চরিত্রর অবক্ষয়

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এটাও একটা বড়ো কারণ। অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

তুষার কাব্য বলেছেন: সচ্ছলতা মানুষ কে আরাম আয়েশ দিতে পারে মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারেনা...

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: দারুন সুন্দর কথা বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অর্থ অনর্থের মূল ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো বলেছেন।

৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

নেক্সাস বলেছেন: জীবনবোধ বদলে গেছে

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সহমত। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.