নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাষা সৈনিকগণ ভাষার জন্য লড়াই করেছেন। সালাম, বরকত, রফিকরা প্রাণ দিয়েছেন। তাঁদের সবার প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা। ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই জন্ম নিয়েছে আমাদের জাতীয়তাবোধ। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এক সাগর রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাংলা ভাষা প্রথমবারের মত পেল রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা। ভাষা সৈনিকগণের আন্দোলনের সর্বোচ্চ সার্থকতা এখানেই নিহিত।
কিন্তু আমরা যখন শিক্ষাদীক্ষা আর অর্থেবিত্তে অগ্রসর হতে শুরু করেছি তখন থেকে বাংলা ভাষাকে আমরা ত্যাগ করতে শুরু করেছি। ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনাকরা আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে অনেকের কাছে। বেসরকারি বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যখন ইংরেজিতে তখন তার মূল্য (!) বেশি। লেখাপড়াও চলে ইংরেজিতে।
ঢাকাসহ যেকোন শহরের পাড়ার তস্য দোকানের নাম ইংরেজিতে লেখা। দোকানের জিনিসপত্রের নাম ইংরেজিতে লেখা। ওয়ুধের নাম ইংরেজিতে। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ইংরেজিতে।
বাসের নাম ইংরেজিতে লেখা। বাসের রং চটা হোক, ভাঙা হোক নামটি ইংরেজিতে। অনেক ক্ষেত্রে ভুল ইংরেজিতে। তাও ইংরেজিতে লেখা চাই।
আমাদের সব টেলিভিশনের নাম ইংরেজিতে। বিজ্ঞাপন ইংরেজিতে।
ইংরেজের কাছে আমরা দুই শ বছর পরাধীন ছিলাম। এই পরাধীনতার গ্লানি আমরা ভুলে গেছি ! ইংরেজি বলতে পারলে গৌরববোধ (!) করি। বাংলা ভাষা ত্যাগ করতে আমরা দ্বিধা করি না। জীবনের প্রয়োজনে অনেক দেশের মানুষ অভিবাসী হয়েছেন। শতশত বছর আগের অভিবাসীদের বংশধরেরা বিদেশেও মাতৃভাষা ব্যবহার করেন। একমাত্র বাংলা ভাষীগণ তার ব্যতিক্রম। এক প্রজন্মের বংশধররাই বাংলা জানেন না !
হে ভাষা সৈনিকগণ আপনারা কেন এই অবহেলিত বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করেছেন ? বড়োই শোকাবহ আপনাদের আন্দোলনের পরিণতি !
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৩
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সহমত।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৩
মিঃ আতিক বলেছেন: আমাদের দেশের অনেক মেধাবীর ধারনা বিদেশে গিয়ে সাদা চামড়ার লোকদের সেবা দাস হতে পারার মধ্যেই জীবনের সব সার্থকতা। তাইতো আমাদের সরকারের কোটি টাকা খরচ করা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী প্রতি বছর বিদেশে পারি জমায়, আর ভাবে ঝামেলার ময়লার এই দেশে আর না আসা লাগলে বাঁচি।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫১
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: যাঁরা বিদেশ যেতে চান, যাবেন। কিন্তু তার জন্য দেশকে, ভাষাকে অবহেলার কি প্রয়োজন সেটাই বুঝি না।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:০৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধু ইংরেজী না সাথে হিন্দী বলতে পারলেও!!
আর এটা তথাকথিত মেধাবী বা শিক্ষিতদের ক্ষেত্রেই বেশী।।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫২
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২০
সুমন কর বলেছেন: শুধু এক মাস বাংলা ভাষা চর্চা করলে তো হবে না !! সারা বছর জুড়ে চাই সর্বত্র বাংলার ব্যবহার।